Logo
আজঃ শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3
শিরোনাম

কোটালীপাড়া ঘাঘর বাজার সৈলদহ নদীতে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ২২০জন দেখেছেন

Image

মাহাবুব সুলতান,কোটালীপাড়া প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া ঘাঘর বাজার সৈলদহ নদীতে  শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও  ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বিকেল তিনটার  সময় ঘাঘর বাজার বণিক সমিতির আয়োজনে নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়। ছোট, মাঝারি চিলাকাটা নৌকা সহ   ১০ থেকে ১৫ খান  নৌকা বাইচে অংশগ্রহণ করেন।

প্রতিযোগী  নৌকা বাইচের  মাঝে সান্তনা পুরস্কার বিতরণ করেন কোটালীপাড়া উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার মোঃ সাইফুর রহমান। সকল বাইচের নৌকা সান্তনা পুরস্কার হিসেবে মোবাইল,ও রাইস কুকার পুরষ্কার পান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার  সহধর্মিনী, কোটালীপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনারের সহধর্মিনী,  কোটালীপাড়া থানার তদন্ত অফিসার ফয়েজ আহমেদ, ঘাঘর বাজার  বণিক সমিতি সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল, পুণ্য সাহা, বাদল সাহা,মোঃ আজিবর দারিয়া  পোটল সাাহা সহ অনেক ব্যবসায়ী এবং  গণ্যমান্য ব্যক্তিরা  উপস্থিত ছিলেন।

বিভিন্ন এলাকার জনগণ সৈলদহ নদীর  দুই পাশে দাঁড়িয়ে  ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ উপভোগ করেন।



আরও খবর



রোপা আমনের বাম্পার ফলন খুশিতে কৃষক হাসে

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৫০জন দেখেছেন

Image

চলতি মৌসুমে মৌলভীবাজরের শ্রীমঙ্গলে রোপা আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। মাঠে মাঠে দোল খাচ্ছে সোনালী আমন ধান। আর আমনের এই দোলা দেখে খুশিতে হাসছে কৃষক। আর কয়েক দিন পরই শুরু হবে ধান কাটার ধুম। গোলায় উঠবে সফল। দুর হবে কৃষকের দুঃখ কষ্ট। এবার আমনের ফলন দেখে এমন আশায়ই বুক বেঁধে আছেন কৃষকরা।  

উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানা যায়, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ১৫ হাজার ৩৬৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। কিন্তু আবাদ হয়েছে ১৫ হাজার ৩৭৫ হেক্টর। এর মধ্য পাঁচ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড জাতের বারি হাইব্রিড-৬, হীরা-১০, এজেড-৭০০৬ ও সুবর্ণ-৮ চাষ করা হয়। ১৫ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের বিআর-১১, ১২, ব্রি ধান-৩২, ৩৪, ৪৯, ৫১, ৭১, ৭৫, ৮৭, ৯৩, ৯৪, ৯৫, বিনা-৭, ১১, ১৬,  ও ১৭ এছাড়া ২৫০ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের  বিরুইন, বালাম, কালিজিরা ও চিনিগুড়া ধান চাষ করা হয়। আর উৎপাদন লক্ষামাত্র ধরা হয় ৪৫ হাজার ৬৩৪ মে.টন (চাল)। উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্য আমন মৌসুমে ১১৫০ জন কৃষককে সরকারি প্রনোদনা (বীজ ও সার) দেয়া হয়েছে।

 সরজমিনে দেখা যায়, মাঠে আমন ধান পাকতে শুরু হয়েছে। কোন মাঠে ধান পেকে সোনালী রং ছড়াচ্ছে। আবার কোন মাঠ থেকে গন্ধ বের হচ্ছে সুগন্ধি ধানের। কৃষকরা আইলে দাঁড়িয়ে দেখছেন পাকা ধান। কেউ পাখি তাড়াচ্ছেন, কেউ তাড়াচ্ছেন গবাদিপশু। কৃষকরা প্রহর গুনছেন কাস্তে হাতে মাঠে নামার। সবার মনেই উৎসবের আমেজ।

আশিদ্রোন ইউনিয়নের খুশবাস গ্রামের কৃষক শাকির আহম্মেদ জানান, তিনি চার একর জমিতে তিন জাতের আমন ধান রোপন করেছেন। ফলন ভাল হয়েছে। পনের বিশ দিন পরেই ধান কাটা শুরু করবেন। সব মিলে ১৫২ মন ধান পবেন বলে আশা করছেন।

কালাপুর ইউনিয়নের হাজীপু গ্রামের কৃষক কাজী রুহেল জানান, তিনি পাঁচ একর জমিতে আনম চাষ করেছেন। এক একরে চিনিগুড়া ও চার একরে রঞ্জিত জাত। অন্য বছরের তুলনায় এবার ভাল ফলন হয়েছে। প্রায় ১০ টন ধান ঘরে তুলতে পারবেন বলে আশা করছেন। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন বলেন, এবছর আমন মৌসুমে বৃষ্টিপাত বেশী হয়েছে। মাঠে রোগ বালাই কম ছিল। যখনই প্রয়োজন হয়েছে আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছিল। সব মিলিয়ে ফলন ভাল হয়েছে। আশা করছি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্র অর্জন হবে।


আরও খবর



গাজার জন্য ‘বর্ধিত মানবিক বিরতির’ প্রস্তাব পাস জাতিসংঘের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | ২৯জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অবশেষে গাজার জন্য ‘বর্ধিত মানবিক বিরতির’ প্রস্তাব পাস হলো জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে। ইসরায়েলের নৃশংস আগ্রাসনের প্রায় দেড় মাসের মাথায় এই প্রস্তাব পাস হলো।

১৫ নভেম্বর গাজায় মানবিক বিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব দেয় মাল্টা।

মানবিক বিরতি প্রস্তাবের পক্ষে নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে ১২ সদস্য ভোট দিয়েছে। কোনো সদস্য রাষ্ট্র প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট না দিলেও ভোটদানে বিরত ছিল যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও রাশিয়া।  

ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল যুদ্ধ শুরু হওয়ার গাজায় যুদ্ধ বিরতি বা মানবিক বিরতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিরাপত্তা পরিষদ পঞ্চমবারের বৈঠক ছিল এটি। আগের বৈঠকে উত্থাপিত প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দেওয়ায় পাস হয়নি।

পাস হওয়া প্রস্তাবে নির্দিষ্ট সময়সীমা উল্লেখ করা না হলেও রেড ক্রস, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ও অন্যান্য নিরপেক্ষ মানবিক সংগঠনগুলোকে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ করে দিতে ‘পর্যাপ্ত সংখ্যক দিন’র জন্য জরুরি ভিত্তিতে বর্ধিত মানবিক বিরতি ও করিডর খুলে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়া গাজায় হামাসের হাতে জিম্মি সব ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

প্রস্তাবটি পালনে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। যদিও নিরাপত্তা পরিষদের এ ধরনের অনেক প্রস্তাব ইতোপূর্বে ইসরায়েল মেনে চলেনি।

গত ৭ অক্টোবর থেকে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১১ হাজার ৩০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে সাড়ে সাত হাজারের বেশি নারী ও শিশু। 


আরও খবর



বেসরকারি খাতে বিদেশি ঋণ কমছেই

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৪৬জন দেখেছেন

Image

গত জানুয়ারি থেকে প্রতি মাসে বেসরকারি খাতে স্বল্পমেয়াদি বিদেশি ঋণ কমছে। কারণ পুরোনো ঋণ পরিশোধের পরিমাণ নতুন ঋণের তুলনায় বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, গত সেপ্টেম্বরে স্বল্পমেয়াদী বিদেশি ঋণ ৩ দশমিক ১৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৪৩ কোটি ডলার। গত আগস্টে তা ছিল ১২ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন ডলার। স্বল্পমেয়াদী ঋণ তিন থেকে নয় মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হয় এবং তা বিদেশ থেকে নেওয়া বেসরকারি খাতের মোট ঋণের ৬৩ দশমিক ৫ শতাংশ।

কিন্তু ডলারের কম মজুত, টাকার অবমূল্যায়ন ও বৈশ্বিক সুদের উচ্চহারের কারণে উদ্যোক্তারা এই ধরনের ঋণ এড়িয়ে চলছেন। গত জানুয়ারির শুরুতে বেসরকারি খাতে স্বল্পমেয়াদী বিদেশি ঋণের পরিমাণ ছিল ১৬ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার। এরপর তা কমে হয়েছে ২৪ দশমিক ২৯ শতাংশ। গত ৯ মাসে উদ্যোক্তারা ১৯ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়েছেন এবং মূল অর্থ ও সুদ বাবদ ২৩ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার শোধ করেছেন। নতুন ঋণের তুলনায় ঋণ পরিশোধের উচ্চহার জানুয়ারি থেকে চলমান আছে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, টাকার ব্যাপক অবমূল্যায়নের কারণে বেসরকারি খাত ডলারে ঋণ নিতে আগ্রহী নয়। কয়েক বছর আগে বিদেশি ঋণের সুদের হার ছিল দুই শতাংশ। এখন উদ্যোক্তারা ১০ শতাংশ দিতে রাজি হলেও ডলারে ঋণ পাচ্ছেন না।

২০২১ সালে বেসরকারি খাত বিদেশি ঋণদাতাদের কাছ থেকে স্বল্পমেয়াদে ৩৩ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার ঋণ পেয়েছে। গত বছর ৩৭ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার নতুন ঋণের বিপরীতে ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ছিল ৩৬ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন ঋণের তুলনায় বেশি পরিমাণে ঋণ পরিশোধ দেশের রিজার্ভ কমিয়ে দিচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত ১ নভেম্বর দেশের মোট রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন ডলার। গত ২৫ অক্টোবর তা ছিল ২০ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলার। আইএমএফের তথ্য অনুসারে, ২০২১ সালের আগস্টে দেশের রিজার্ভ ছিল প্রায় ৪০ দশমিক সাত বিলিয়ন ডলার ও ২০২১-২২ সালের শেষে তা ছিল ৩৩ দশমিক চার বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা গেছে, গত জুনে শুরু হওয়া চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে ব্যালেন্স অব পেমেন্টের আর্থিক হিসাবের ঘাটতি ছিল ৯ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার। এর বিপরীতে, আগের বছরের একই সময়ে এটি ৮৩৯ মিলিয়ন ডলার উদ্বৃত্ত ছিল।

রিজার্ভের পতন ঠেকাতে আমদানি সীমিত করার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্যোগের পর চলতি অর্থবছরের জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশের আমদানি কমেছে ২২ দশমিক ৪৭ শতাংশ। গত ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা ছিল ১৫ দশমিক ৮১ শতাংশ।


আরও খবর

আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম

শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩




শাড়িতে উষ্ণতা ছড়ালেন মিম

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ২২জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক : দেশ পেরিয়ে কলকাতাতেও নিজের পরিচয় তুলে ধরছেন ঢালিউড অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম। গত শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) ভারতে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত সিনেমা ‘মানুষ’। ভারতে সিনেমা মুক্তি পেলেও দেশে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন এই অভিনেত্রী।

এত ব্যস্ততার মাঝেও অন্যান্য তারকাদের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সক্রিয় মিম। সিনেমার প্রচারে ভারতে না গেলেও ফেসবুকের মাধ্যমে জানান দিয়েছেন নিজের সিনেমার কথা। এছাড়া প্রায় সময় ভক্তদের জন্য শেয়ার করেন নিজের ছবি। আর এরই মধ্যে ফেসবুকে শেয়ার করেছেন নিজের নতুন ছবি।

গতকাল সন্ধ্যায় ফেসবুকে বেশ কিছু ছবি পোস্ট করেন মিম। অফ হোয়াইট শাড়িতে মিমকে দেখা গেছে সাহসী রূপে।

মিমের সাহসী ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাড়া ফেলেছে। মুগ্ধতা ছড়িয়েছে তার ভক্তদের মাঝে।

সকাল পর্যন্ত তার এই ছবিগুলোতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে প্রায় ৩০ হাজারের বেশি অনুসারী। যা তার অন্যান্য পোস্টের তুলনায় অনেক বেশি।  

ছবিগুলোতে মন্তব্য করেছেন হাজারেরও বেশি অনুসারী। অনেকেই প্রিয় তারকার লুকের প্রশংসা করেছেন। এছাড়া এই পোস্টটি শেয়ার হয়েছে প্রায় আড়াইশ বার।

২০০৭ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার হন মিম। পরে হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত ‘আমার আছে জল’ দিয়ে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু করেন।

মিমের টালিউডে যাত্রা শুরু ‘ব্ল্যাক’ ছবি দিয়ে। এরপর ‘ইয়েতি অভিযান’, ‘সুলতান দ্য স্যাভিয়ার ’ও ‘থাই কারি’ নামের আরও তিনটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। কলকাতায় ‘মানুষ’ তাঁর পঞ্চম সিনেমা।


আরও খবর



বিপদগ্রস্ত মানুষের সহযোগিতা রসুলুল্লাহ (সা.)-এর আদর্শ

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৩১জন দেখেছেন

Image

ইসলামিক ডেস্ক : ইসলাম শান্তি ও মানবতার ধর্ম। এক মুসলমান অপর মুসলমানের ভাই। কোনো মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত ও বিপদগ্রস্ত হলে তাদের পাশে দাঁড়ানো ইসলামের শিক্ষা। মহানবী (সা.)-এর আদর্শ। নামাজ, রোজার মতো শ্রেষ্ঠতম ইবাদত। মহানবী (সা.) ইরশাদ করেন- ‘মুমিনদের উদাহরণ তাদের পারস্পরিক ভালোবাসা, দয়া ও সহানুভূতির দিক দিয়ে একটি মানবদেহের মতো, যখন একটি অঙ্গ আক্রান্ত হয়, তখন তার পুরো দেহ আক্রান্ত, তখন তার পুরো দেহ ডেকে আনে তাপ ও অনিদ্রা।’ (সহিহ মুসলিম)। যাদের যে পরিমাণ সামর্থ্য রয়েছে সে অনুযায়ী অসহায়, দুর্গত মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসার জন্য মহানবী (সা.) নির্দেশ প্রদান করেছেন। নির্দেশ প্রদান করেছেন আপন আপন সাধ্যানুযায়ী জুলুম-অত্যাচার প্রতিহত করার প্রতি। তিনি ফরমান, ‘তোমাদের মধ্যে যে অন্যায় দেখবে সে যেন তার হাত দিয়ে বাধা দেয়, আর যদি হাত দিয়ে বাধা দিতে না পারে তবে যেন মুখ দিয়ে বাধা দেয়, আর যদি মুখ দিয়ে বাধা দিতে না পারে তবে যেন অন্তরে বাধা দেয় (বা পরিকল্পনা গ্রহণ করে)’। আর এটি হলো দুর্বল ইমানের পরিচয়।’ (সহিহ মুসলিম)। মহান প্রভু ঘোষণা করেন, ‘তোমরা বের হয়ে পড় স্বল্প সম্বল নিয়ে অথবা প্রচুর জিনিসের সঙ্গে এবং প্রচেষ্টা কর আল্লাহর পথে নিজেদের জানমাল নিয়ে, এটি তোমাদের জন্য অতি উত্তম, যদি তোমরা বুঝতে পার।’ (সুরা-আত তাওবাহ-৪১)।

মানুষ এবং হিংস্র প্রাণীর মধ্যে মৌলিক পার্থক্য হলো- হিংস্র প্রাণী একে অপরকে খেয়ে বাঁচে। মানুষ পরস্পরের সহযোগিতা করে আনন্দ পায়। মানুষ সামাজিক জীব। তারা হিংস্র প্রাণী নয়। তাই মানুষ মানেই মিলেমিশে থাকবে। পরস্পর কল্যাণকামী হবে। কারও ওপর অন্যায় আচরণ, জুলুম-অত্যাচার, মানবতাবিরোধী কোনো কাজ তারা করবে না। ক্ষমতার দাপটে, টাকার প্রাচুর্যে এবং জাতিগত অহমিকায় কোনো মানুষ অসহায়-দুর্বলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে না। আল্লাহতায়ালা অত্যাচারীকে পছন্দ করেন না। অত্যাচারীদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়ানোর জন্য তিনি মানবসমাজকে প্রত্যাদেশ দিয়েছেন। তিনি ঘোষণা করেন, ‘আর তোমাদের কী হলো যে তোমরা লড়াই কর না আল্লাহর পথে এবং অসহায় নর-নারী ও শিশুদের পক্ষে যারা বলে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের এ জনপদ যার অধিকারী অত্যাচারী, তা থেকে নিষ্কৃতি দান করুন। আর আপনার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য অভিভাবক ঠিক করে দিন এবং আপনার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য সাহায্যকারী নির্ধারণ করে দিন।’ (সুরা আন-নিসা-৭৫)।

অত্যাচারী আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত। জান্নাত থেকে বিতাড়িত। অত্যাচারীর বিরুদ্ধে আল্লাহর বিধান এবং তাঁর অবস্থান অনেক কঠোর। পবিত্র কোরআনে আল্লাহতায়ালা ঘোষণা করেন, ‘তোমরা অত্যাচারীদের মোকাবিলার জন্য যথাসাধ্য শক্তি সংগ্রহ এবং অশ্ববাহিনী প্রস্তুত রাখবে, যেন আল্লাহর শত্রুদের ওপর এবং তোমাদের শত্রুদের ওপর প্রভাব পড়ে।’ (সুরা আল আনফাল-৬০)।

বর্তমান সমাজে বিরাজমান অশান্তি ও অস্থিরতার মূল কারণ হলো- জুলুম, অত্যাচার। ইসলামী পরিভাষায় অত্যাচারী হলো সীমা লঙ্ঘনকারী। সীমা লঙ্ঘনের অপরাধে আল্লাহতায়ালা এ পৃথিবীর প্রতাপশালী ও পরাশক্তি কাউকে ছেড়ে দেননি। ভবিষ্যতেও কেউ রেহাই পাবে না। অতএব আমাদের জন্য জুলুম-অত্যাচার পরিহার করা এবং যাবতীয় অপরাধ প্রতিহত করার দৃঢ় প্রত্যয় গ্রহণ করা বর্তমান সময়ের দাবি। মানবিক ও ইমানি দায়িত্ব।


আরও খবর