Logo
আজঃ শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3
শিরোনাম

কৃষিতে স্বাবলম্বী পাবনার রাকিব

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৫৮জন দেখেছেন

Image

সফিক ইসলাম,পাবনা: ছোটবেলা থেকেই লেখাপড়ার পাশাপাশি বাবাকে কৃষি কাজে সহায়তা করাই ছিল রাকিবের নেশা।

বাবার অল্প কিছু জমি নিয়ে বাবা চাষাবাদে ব্যস্ত থাকেন সর্ব সময়। বাবার ফসল উৎপাদন দেখে পাবনা সদর উপজেলার কৃষি অফিস সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতেন অনেক সময়ই।

আর এটা দেখে রাকিবের চাষাবাদ করার আগ্রহ জন্ম নেয়। বাবা শীতকালীন গ্রীষ্মকালীন সকল শস্য উৎপাদনে পাবনা সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তাদের সহায়তা নেন। আর কিছু কর্মকর্তাদের সহায়তার ধরণ দেখে রাকিবের মন জুড়িয়ে যায়। ছোটবেলা থেকেই নতুন নতুন কিছু উদ্ভাবন তাকে ভেতরে ভেতরে অনুপ্রাণিত করে ।


বাবার কৃষিকাজকে সামনে রেখে, কৃষি অফিসের নতুন কোন প্রকল্প আসলেই রাকিব ঝাঁপিয়ে পড়ে। মনে মনে সংকল্প করেন না আমি এটা করবোই। এভাবেই লেখাপড়া চালিয়ে যেতে থাকে পাশাপাশি বাবা কে সহায়তা করতে থাকে, মনে মনে চিন্তা করতে থাকে কৃষিতে নতুন বিপ্লব ঘটাবো। এসএসসি পাস করার পর থেকেই তার ভেতরে নতুন উদ্দিপনা সৃষ্টি হয়।

নতুন কিছু করতে চাই নতুন কোন ভাবনা নিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলা কৃষি অফিসের অনেক প্রদর্শনী তার কাছে আসে এবং সে সফল ভাবে প্রদর্শনী গুলো সম্পন্ন করে। নতুন কিছু আবিষ্কারের মধ্যেই চলে আসে পলিনেট হাউজ প্রদর্শনীটি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাহানা পারভীন লাবনী এবং উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আসমা আহমেদের অনুপ্রেরণা এবং সহযোগিতা পলিনেট হাউজ প্রদর্শনী টি শুরু করেন। পলিনেট হাউজের মধ্যে ক্যাপসিকাম সহ অন্যান্য শীতকালীন লাভজনক ফসল উৎপাদন হওয়ার কথা।


কিন্তু হাতে অনেক খানি সময়ও রয়ে গেছে। এ সময়ের মধ্যে উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আসমা আহমেদ মাঠ ফাঁকা না রাখার জন্য পরামর্শ দেন।এই সময় রাকিবের অক্লান্ত পরিশ্রমে তৈরি হয় পালংশাকের চাষ ‌। সুখের মুখ দেখতে বেশি সময় লাগে না। আল্লাহ পাকের সহায়তায় মাঠ ভরপুর পালং শাক অনেক সুন্দরভাবেই উৎপাদন হয়। লাভের পরিমাণ অন্য ফসলের তুলনায় বেশি‌‌।

এ তো বললাম একটা প্রকল্পের কথা। এরকম আরো অনেক প্রদর্শনী করে এবং অন্যান্য জমিতে প্রযুক্তির ব্যবহার ও পরিশ্রম করে আজ স্বাবলম্বী রাকিব। রাকিব ধান গম সরিষা গ্রীষ্মকালীন টমেটো তরমুজ চাষ করে অনেক লাভবান হয়েছেন। পাশাপাশি রাকিব ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন করেও অনেক লাভবান হয়েছেন ।রাকিব বলেন আমি নতুন একটি প্রযুক্তির সাথে যুক্ত আছি যেটাতে লেবার কস্ট অনেক কম।


প্রযুক্তিটির নাম হচ্ছে পলিথিন মালচিং এটি ব্যবহারের মাধ্যমে চাষাবাদ করলে জমিতে আগাছা জন্মায় না ফলে লেবার খরচ অনেক কম হয়। রাকিব আরো বলেন কৃষি কর্মকর্তা এবং উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আসমা আহমেদের দিকনির্দেশনায় আমার এ সফলতা। আমি উনাদের কাছে কৃতজ্ঞ।


আরও খবর



তবে কী রিয়ালের কোচ হতে যাচ্ছেন লিওনেল স্কালোনি!

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১০জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক : আর্জেন্টিনা ফুটবলের নতুন ইতিহাস লেখা কোচ লিওনেল স্কালোনি। মেসিদের দায়িত্ব নেওয়ার পর ভালো সময়ই যাচ্ছিল তার। তার অধীনে আলবিসেলেস্তেরা একের পর এক ফাইনাল জিতে দীর্ঘ দিনের শিরোপা জয়ের খরা কাটাচ্ছিল। সব কিছু ঠিক ঠাকই চলছিল তবে হুট করে গেল সপ্তাহে তিনি ইঙ্গিত দিয়ে বসলেন তিনি ছাড়তে যাচ্ছেন এই দায়িত্ব। তবে কেন, তা জানায়নি। এবার সামনে এলো এক নতুন খবর। স্কালোনিকে কোচ হিসেবে পেতে চায় স্প্যানিশ জায়ান্ট ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ। সম্প্রতি এ প্রসঙ্গে আর্জেন্টিনার সংবাদ মাধ্যম মুন্দো আলবিসেলেস্তে ‘দবলে আমারিয়া’র বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ‘কোচ হিসেবে পেতে এরই মধ্যে স্কালোনির সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা সেরে রেখেছে রিয়াল মাদ্রিদ।’

এদিকে আগে থেকেই শোনা যাচ্ছিল যে এই মৌসুম শেষেই রিয়াল মাদ্রিদের কোচের দায়িত্ব ছাড়তে যাচ্ছেন কার্লো আনচেলত্তি। নিশ্চিত না হলেও গুঞ্জন রয়েছে এই দায়িত্ব ছেড়ে ব্রাজিলিয়ান জাতীয় দলে কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছেন ইতালিয়ান এই কোচ। আর তাই মৌসুম শেষে আনচেলত্তির পরিবর্তে স্কালোনিতে দেখা যেতে পারে রিয়ালের ডাগ আউটে।

এর আগে ২০১৮ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়ার পর কোচের দায়িত্ব নিয়েছিলেন স্কালোনি। এরপর যেন নতুন রূপে লিওনেল মেসি, এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, আনহেল ডি মারিয়া, ডি পল, রোমেরোদের দেখেছে ফুটবল বিশ্ব। তার অধীনেই আর্জেন্টিনা তিনটি মেজর শিরোপা জিতেছে আর্জেন্টিনা। এর মধ্যে ২৮ বছর পর ২০২১ সালে ব্রাজিলকে হারিয়ে কোপা আমেরিকা জিতেছে আর্জেন্টিনা। তারপর ২০২২ ফিনালিসিমাতে ইতালিকে হারিয়ে জিতেছে আলবিসেলেস্তেরা। এরপর ঐ বছরই ২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপ জিতে ৩৬ বছরের বিশ্বকাপ খরা ঘুচে যায় আর্জেন্টিনার।


আরও খবর

৩১৭ রানে অলআউট নিউজিল্যান্ড

বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩




সাংবাদিককে হত্যার হুমকি ভূমিদস্যু ওসমান ও ইমরানের বিরুদ্বে,থানায় ডায়েরি

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৪৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জের ওসমান গনি ও তার ছেলে ইমরান নামটা গুণবাচক মনে হলেও কাজ উলটো। ওসমান গণির কাজই হল মানুষের সাথে প্রতারণা, ভূমিদস্যুতা, জবরদখল, জাল দলিল তৈরি, বায়না করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া। এমন অসংখ্য ভুক্তভোগীর মাজে ডেমরার দুই বোন রিনা বেগম ও শাহিনুর ইসলাম।

ভুক্তভোগ রিনা বেগম মরণব্যাদী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়লেও ভূমিদস্য ওসমানের মন গলেনি এক সুতাও। অন্য ভুক্তভোগী ছোট বোন শাহিনুর ইসলাম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির স্বপক্ষে একজন মাদকবিরোধী যোদ্ধা তিনি মাদক প্রতিরোধ ও কল্যাণ সোসাইটির কেন্দ্রীয় কমিটির মহিলা সম্পাদিকা ও দৈনিক আমাদের কন্ঠের রিপোর্টার।

ভুক্তভোগী দুই বোন বলেন ওসমান ২০১২ সালে আমাদের কাছ থেকে কয়েক দফায় নগদ ৪৭ লক্ষ টাকা সহ সর্বমোট নিরানব্বই লক্ষ টাকা হাওলাত নেয় দুই মাসের জন্য। দুই মাসের জন্য নিয়ে ওসমান প্রতারণা করে আজ ১১ বছর পার করে দেয়। টাকা হাওলাত হলেও টাকাগুলো আত্মসাৎ করার জন্য দশ কাঠা জমি লিখে দেন আমাদের দুই বোনের নামে।

আবার সেই জমি ২০১৭ সালে গুলিস্তানের সন্ত্রাসী কালা বাচ্চুর অফিসে ডেকে নিয়ে পিস্তল ঠেকিয়ে লিখে নেন ওসমান। জমিটি যেদিন লিখে নেন সেদিন ওসমান চার লক্ষ টাকা দিয়ে বলে দ্রুত বাড়ি চলে যাও বাকি টাকা আমি নিয়ে আসতেছি বাড়াবাড়ি করলে বুঝোই তো কি হইতে পারে।

ভুক্তভোগী দুই বোনের ঘটনাটি হুবহু ১৮ই সেপ্টেম্বর ২০২২ ও ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ জাতীয় দৈনিক আমাদের কন্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত হলে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমান ওসমান ও ইমরানকে ধরার জন্য একাধিকবার অভিযান চালায়। পুলিশের অভিযান থেকে বাঁচতে ভুক্তভোগী রিনা ও শাহিনুরের হাত পাও ধরে এক মাস সময় নিয়ে আবারো নতুন প্রতারণা করে।

তৎকালীন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমান আপ্রাণ চেষ্টা করেও ভূমি দস্য ওসমানের কাছ থেকে অস্ত্রটি উদ্ধার করতে পারেনি।সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ব্যর্থ হলেও থেমে নাই রিনা ও শাহিনুর ইসলাম। সর্বশেষ ২-১১-২৩ তারিখে ভুক্তভোগীরা ডেমরা থানা হাজির হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন ওসমানের ও ইমরানের বিরুদ্ধে।

যার তদন্ত কর্মকর্তা ডেমরা থানার এসআই তৌহিদুল ইসলাম ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত ওসমান গনিকে থানায় ডেকে আনলে ওসমান গনি তার ছেলে ইমরান এক চাচাতো ভাই এবং একজন সিআইডি ইন্সপেক্টর ও এশিয়ান টিভির প্রতিনিধি ফারুককে থানায় ডেকে এনে বিষয়টি সুরাহা করার চেষ্টা করেন।

এই সময় ডেমরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সেলিম নিজামী উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগের বাদী ভুক্তভোগী রিনা ও শাহিনুর ইসলাম বিবাদী ওসমান এবং উপস্থিত সকলের সম্মুখে ওসমান গনি ও তার ছেলে ইমরান ৬০ দিনের ভিতরে নগদ ২০ লক্ষ টাকা ফেরত দিবেন মর্মে সমঝোতা হয়। এই সময় অভিযুক্ত ওসমানের ও তার ছেলে ইমরানের পুরো দায় দায়িত্ব নেন সিআইডি অফিসার।

এই ২০ লক্ষ টাকার প্রথম দুই লক্ষ টাকা গত ২৩-১১-২৩ তারিখে ডেমরা থানায় হাজির হয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও প্রতারক ও ভূমি দস্য ওসমান ও তার ছেলে কথিত সাংবাদিক ও ডেমরা প্রেসক্লাব থেকে বহিষ্কৃত নজরুল ইসলাম বাবুকে সাথে নিয়ে অভিযোগের বাঁদিকে চিটাগাং রোড গিয়ে টাকা আনার জন্য বারবার চাপ প্রয়োগ করেন।

ভুক্তভোগী বিষয়টি ডেমরা থানার অফিসার ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম ও তদন্ত কর্মকর্তা এস আই তহিদুল ইসলামকে অবগত করলে তাদেরকে যেতে নিষেধ করেন। ভুক্তভোগী বলেন আমাদেরকে একবার পিস্তল ঠেকিয়ে জোরপূর্বক জাগা লিখে নিয়েছে কৌশলে টাকাগুলো আত্মসাৎ করেছে এখন টাকাগুলো আমরা যাতে না নিতে পারি এইজন্য ওসমান ও তার ছেলে ইমরান কৌশলে আমাদেরকে গুম করার জন্য চিটাগাং রোড ডেকেছে।

ভুক্তভোগীরা আরও বলেন আমরা তো আইনের কাছে গিয়েছি আপনারা আসেন থানায় এসে উপস্থিত সকলের সামনে টাকাগুলো বুঝিয়ে দেন ওসমান ও তার ছেলে তার প্রতি উত্তরে বলেন আমরা থানায় যাব না পুলিশ এবং সাংবাদিক খারাপ লোক তাদেরকে আমরা মানি না। ভুক্তভোগী শাহিনুর ও রিনা বেগম বলেন ওসমান ও তার ছেলে এতটা দুর্ধর্ষ তারা পুলিশকে মানে না আইন মানে না সাংবাদিক মানে না এইজন্য এখন আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি যেকোনো সময় টাকাগুলো মেরে দেওয়ার জন্য আমাদেরকে গুম খুনের মত জঘন্য কাজ করতে পারে।

ঘটনার বিষয়ে উপস্থিত ডেমরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এবং মাদক প্রতিরোধ ও কল্যাণ সোসাইটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ সেলিম নিজামী ন্যায্য হক কথা বলার কারণে অভিযুক্ত ওসমান গনি ও তার ছেলে ইমরান শেখ এর ব্যবহৃত মোবাইল নং ০১৬৭১ ৫০৮৫১৮ নাম্বার থেকে ফোন করে সেলিম নিজামীকে হত্যার হুমকি দেন।

হুমকির বিষয়ে সেলিম নিজামী ডেমরা থানায় হাজির হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন যাহার নং ১১৯৪/-- ২৫/ ১১/ ২০০৩ সেলিম নিজামীকে হত্যার হুমকি বিষয়ে মুফাস্বল সাংবাদিক ফোরাম, এফবি জেও, আর জে এপ, যাত্রাবাড়ী সাংবাদিক ক্লাব, শ্যামপুর প্রেসক্লাব, ডেমরা প্রেসক্লাব, পতুল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটি, কুমিল্লা প্রেস ক্লাব, সাংবাদিক ইউনিয়ন, ফটো জানা লিস্ট ফোরাম সহ একাধিক সাংবাদিক সংগঠন তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

এবং হুমকি দাতা ওসমান ও ইমরানকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। হুমকির বিষয়ে ভুক্তভোগী সেলিম নিজামী ডেমরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন এবং তাদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে হুমকি দাতাদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করে।


আরও খবর



আগাম জাতের ভুট্টায় ঝুঁকছেন ভৈরবের চাষিরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | ১২জন দেখেছেন

Image

লাভের আশায় আগাম জাতের ভুট্টা চাষে ঝুঁকছেন ভৈরবের কৃষকেরা। এ বছর ভৈরব পৌরসভা ও উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে বেশি ভুট্টা চাষ হয়েছে। এ বছর উপজেলায় লক্ষ্য মাত্রা ছিল ৬৫ হেক্টর কিন্তু চাষ হয়েছে ৭০ হেক্টর জমিতে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, বাজারে আগাম জাতের ভুট্টার চাহিদা ও ভুট্টা মাড়াই সহজ হওয়ায় কৃষকেরা আবাদি ও পতিত জমিতে ভুট্টা চাষ করেছেন। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আগাম জাতের ভুট্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকেরা আগাম জাতের ৭৭২০, লাকি সেভেন, সানশাইন, ধামাকাসহ বিভিন্ন জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন।

সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার শিমুলকান্দি, আগানগর, শ্রীনগর, সাদেকপুর, মৌটুপী, ভবানীপুর, শ্রীনগর, মানিকদি, গজারিয়ার চাষিরা ভুট্টা জমিতে পানি সেচ, কীটনাশক দেওয়া ও পরিচর্যায় ব্যস্ত আছেন। এরই মধ্যে গাছে গাছে ফুল এসেছে। এছাড়া আগাম জাতের ভুট্টা বিক্রির অপেক্ষায় আছেন কৃষকেরা।

উপজেলার মেন্দিপুর গ্রামের কৃষক আল আমিন বলেন, ‘এলাকার অনেক পতিত জমিতে ৮-১০ বছর ধরে কোনো ফসল চাষ হয়নি। তাই সবাই সিদ্ধান্ত নেন পতিত জমিতে আগাম জাতের ভুট্টা চাষ করার। সে অনুযায়ী যার যার জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়। এ বছর আমি ১০০ শতাংশ জমিতে চাষ করেছি। এতে প্রায় ২৫-৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখন যদি বাজারে ন্যায্য দাম পাওয়া যায় তাহলে ১ লাখ টাকার মতো ভুট্টা বিক্রি করতে পারবো।’

কৃষক বলেন, ‘আমাদের হাওরের জমিতে গরু চড়তো। এসব জমিতে এ বছর আগাম জাতের ভুট্টা চাষ করেছি। আমি ৩ বিঘা জমিতে চাষ করেছি। এতে খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকার মতো। জমিতে যে ফলন এসেছে, আশা করি লাখ টাকার ওপরে বিক্রি করতে পারবো।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আকলিমা বেগম বলেন, ‘এ বছর ৭০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের ভুট্টা চাষ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ। প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌর সভার বিভিন্ন এলাকায় চাষ করা হয়েছে। ভুট্টা চাষে কৃষককে আগ্রাহী করতে বিনা মূল্যে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা চাষিদের পরামর্শ দিচ্ছেন। আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে মাড়াই সহজ হওয়ায় ভুট্টা চাষে আগ্রহ বাড়ছে।’


আরও খবর



যেসব কারণে কাশির সঙ্গে রক্ত যায়

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | ৪২জন দেখেছেন

Image

কাশির সঙ্গে ফোঁটা ফোঁটা রক্ত বা কফমিশ্রিত রক্ত, শুধুু রক্ত, পরিমাণ কম বা বেশি যা থাক না কেন তাকে মেডিকেলের ভাষায় হেমোপটাইসিস বলে। কাশির সঙ্গে রক্ত গেলে তার সঠিক ইতিহাস জানা এবং কারণ বের করা প্রয়োজন। কারণ কাশির সঙ্গে রক্ত দেখা দিলে কখনো কখনো ফুসফুসের জটিল রোগ সন্দেহ করা হয়। 

যেমন- ফুসফুসে ক্যান্সার। দ্রুত রোগ নির্ণয় করে সঠিক মাত্রায় ওষুধ সেবন করে বেশির ভাগ রোগ সম্পূর্ণ নির্মূল/ভালো করা সম্ভব। যেমন যক্ষ্মা প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে ছয় মাসের ওষুধ খেলে যক্ষ্মা ভালো হয়। যেসব কারণে কাশির সঙ্গে রক্ত যায়- ব্রঙ্কাইটিস (শ্বাসনালির প্রদাহ), ফুসফুসে ক্যান্সার যক্ষ্মা, ব্রংকিয়েক্টেসিস (স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত শ্বাসনালি), ফুসফুসে ফোঁড়া হার্টের বাল্বের সমস্যা যেমন- মাইট্রাল স্টেনোসিস, হার্ট ফেইলার। এছাড়া অন্যান্য কারণ যেমন : বুকের আঘাতজনিত কারণে, বিভিন্ন ধরনের ভাসকুলাইটিস যেমন পালমোনারি ধমনী-শিরা প্রদাহজনিত জটিলতা, বিভিন্ন প্রকার রক্তের রোগ যেমন- ব্লাড ক্যান্সার। এছাড়া অনেক সময় কারও কারও ক্ষেত্রে ওষুধজনিত কারণে হতে পারে। এছাড়া কিছু বিরল কারণে যেমন- কখনো কখনো মহিলাদের প্রতিমাসে ঋতু স্রাবের সময় কাশির সঙ্গে রক্ত যেতে পারে।

উৎস : কোন জায়গা থেকে রক্ত বের হচ্ছে তার ইতিহাস থেকে রোগ নির্ণয় করা যায়। এজন্য চিকিৎসককে রোগীর ইতিহাস জানাতে হবে। যেমন নাক দিয়ে রক্ত আসা, গলা ফ্যাসফ্যাসে হয়ে যাওয়া, মুখে ঘা থাকলে শ্বাসনালির উপরিভাগ ইনফেকশন সন্দেহ করা হয়। কালচে লাল রং, নোনতা লাগা, বমি বমি ভাব, পেটে ব্যথা, আগে জন্ডিস ও মদ পানের ইতিহাস থাকলে বমির সঙ্গে রক্ত এসেছে বলে ধারণা করা হয়। যার উৎস খাদ্যনালি বা লিভারজনিত জটিলতার কারণে। তাই এন্ডোসকপি জাতীয় পরীক্ষা প্রয়োজন। কাশির সঙ্গে রক্তের রং দিয়ে বিভিন্ন অসুখ আলাদা করা যায়।

 যেমন- ফেনাযুক্ত কাশি, পরিষ্কার লাল রং শ্বাসনালিজনিত বা লিভারজনিত কারণে। কাশির সঙ্গে রক্তের পরিমাণের ওপর ভিত্তি করেও রোগ আলাদা করা যায়। যেমন- বেশি পরিমাণে রক্ত গেলে ফুসফুসে ক্যান্সার, যক্ষ্মা, ফুসফুসে ফোঁড়া, স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত শ্বাসনালি। কাশির সঙ্গে অল্প পরিমাণ রক্ত গেলে ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়া, হৃদরোগের জটিলতা সন্দেহ করা হয়। হঠাৎ করে কারও কাশির সঙ্গে রক্ত যাওয়া শুরু হলে হৃদরোগজনিত জটিলতার কারণে হতে পারে। ক্রমাগত কাশির সঙ্গে রক্ত যাওয়া, মাঝে মাঝে রক্ত যাওয়া ফুসফুসে ক্যান্সার সন্দেহ করা হয়। আমরা অনেক সময় এসব কাশিকে খুব একটা গুরুত্ব দিই না। কাশির সঙ্গে রক্ত গেলে বা এরকম উপসর্গ প্রকাশ পেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।


আরও খবর

একদিনে ৮৭৭ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ৭

বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩




এস.এস.সি ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি আদায় করছে সবুজ বিদ্যাপীঠ স্কুল কতৃপক্ষ

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৬৯জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানাধীন বিবির বাগিচা ১নং গেইট সবুজ বিদ্যাপীঠ উচ্চ বিদ্যালয়ে এস.এস.সি পরিক্ষা -২০২৪ সালের দুটি নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।

গত ২৬-১০-২৩ ইং তারিখে একটি প্রধান শিক্ষক এর স্বাক্ষর ও সিল সহ যাতে লেখা আছে শুধু মাত্র বোর্ড ফি বিজ্ঞান বিভাগ ২১৪০ টাকা, মানবিক বিভাগ ও ব্যবসায় শিক্ষা ২০২০ টাকা, ছাত্রছাত্রীদের প্রদান করতে বলা হয়েছে। গত ০২-১১-২৩ ইং তারিখে আর একটি শুধু মাত্র অফিসের সিল প্রদান করে সভাপতি নির্দেশে বোর্ড ফি সাথে অতিরিক্ত ৬০০০ টাকা যোগ করে প্রদান করা হয়েছেন।


ফরমের জন্য অতিরিক্ত আরো২০০টাকা আদায় করছে। অতিরিক্ত টাকা না দিলে ফরম পূরণ করতে দেওয়া হবে না বলে অভিভাবকগন জানালেন এবং ছাত্র/ছাত্রীদের কাছ থেকে ফি আদায় করছেন। যা অনেক অভিভাবক দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। অভিভাবকরা আরো বলেন বিগত কালে এই স্কুলে নিয়ম করে ছাত্র/ছাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে আসছেন ।

স্কুল কমিটির দূর্নীতির জন্য দিনে দিনে ছাত্র/ছাত্রীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। অনেক পরিবারের অতিরিক্ত ফি এর চিন্তায় সন্তানদের মনের উপর প্রভাব ফেলছে। এই বিষয়ে প্রধান শিক্ষক কে মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি অতিরিক্ত ফি আদায়ের বিষয়ে অস্বীকার করেন।

অভিভাবকগন বলেন শিক্ষা মন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করে ৫ম শ্রেনীর ২২০ উপরে ছাত্রছাত্রীর কোচিং ফি ১০০০ টাকা ও ১০ম শ্রেণীর ২০০ উপরে ছাত্র/ছাত্রীর কোচিং ফি ১২০০ টাকা করে আদায় করেন। যা প্রতি মাসে ৪ লক্ষ ২০ টাকা উপরে আদায় করেন সভাপতি যা প্রধান শিক্ষক জানেন না।


এ সমস্ত টাকা আদায় করা হয় কোন রকম রশিদ ছাড়া। আদায়কৃত কোচিং ফি এর এক টাকাও স্কুল ফান্ডে জমা হয় নাই। স্কুল ছাত্র/ছাত্রীর অনুপস্থিতির জরিমানার টাকা ও চলে যায় সভাপতির পকেটে।

একি বিষয় সভাপতি’র কাছে মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি বলেন এটি তিন মাসের স্পেশাল ক্লাস ফি নেওয়া হচ্ছে ।কেউ স্পেশাল ক্লাস করতে না চাইলে সে শুধু মাত্র বোর্ড ফি প্রদান করতে পারবে।

স্কুল অভিভাবকদের দাবি শুধু মাত্র বোর্ড ফি এর মাধ্যমে পরিক্ষা দেওয়ার জন্য। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।


আরও খবর