Logo
আজঃ শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3
শিরোনাম

ক্ষুধা ও খাদ্য গ্রহণ

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ২৭জন দেখেছেন

Image

ক্ষুধা একটি জৈবিক তাড়না। মানবদেহে রক্তে খাদ্যকণা (ট্রাইগ্রিসারাইড, গ্লুকোজ, ফ্যাটি অ্যাসিড ইত্যাদি) একটি নির্দিষ্ট মাত্রার নিচে নেমে গেলে মানুষ ক্ষুধা অনুভব করে থাকে, এটাকেই প্রকৃত ক্ষুধা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে এ ছাড়াও অন্য অনেক কারণে মানুষ খাদ্য গ্রহণ করে থাকে, ওইসব কারণকে প্রকৃত ক্ষুধা বলা ঠিক হবে না। যেমন- খাদ্যবস্তু দেখলে, খাদ্যের ঘ্রাণ পেলে, অন্যদের খাদ্য গ্রহণ দেখলে, খাবারের সময় হলে, খাবারের কথা চিন্তা করলে, মানসিকভাবে খাদ্য গ্রহণের প্রস্তুতি থাকলে, প্রকৃত ক্ষুধা না থাকলেও মানুষ খাদ্য গ্রহণ করতে পারে এবং খাদ্য গ্রহণ করে থাকে। এসব অবস্থাকে চোখের ক্ষুধা, নাকের ক্ষুধা ও মনের ক্ষুধা বলে আখ্যায়িত করাই যুক্তিযুক্ত।

মানবদেহে রক্তে গ্লুকোজ, ফ্যাটি অ্যাসিড ও ট্রাইগ্রিসারাইড নামক বস্তু বিদ্যমান থাকে। মানুষ যখন খাদ্য গ্রহণ করে তখন খাদ্যবস্তু হজম হয়ে এসব খাদ্যকণিকা রক্তে প্রবেশ করে এবং এসব খাদ্যকণা রক্তে বেশি পরিমাণে প্রবেশ করলে অতিরিক্ত খাদ্যকণা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে সাময়িকভাবে মজুদ হয়ে থাকে। রক্ত থেকে প্রতি মুহূর্তে খাদ্যকণা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে খাদ্যের জোগান দিয়ে থাকে, এতে ধীরে ধীরে রক্তে খাদ্যকণার পরিমাণ কমতে থাকে এবং প্রতি মুহূর্তে বিভিন্ন অঙ্গে সাময়িক মজুদ থাকা খাদ্যকণা রক্তে প্রবেশ করে রক্তে খাদ্যকণার স্বাভাবিক মাত্রা বা পরিমাণ বজায় রাখে। যার ফলে শরীরের প্রতিটি কোষ রক্ত থেকে প্রয়োজনীয় পরিমাণ খাদ্যকণা গ্রহণ করে তাদের কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারে। তবে একটা সময়ে সাময়িক মজুদ শেষ হয়ে যায় এবং রক্তে খাদ্যকণিকার মাত্রা বেশ কমে যায়, মানুষ তখনই প্রকৃত ক্ষুধা অনুভব করে এবং খাদ্য গ্রহণে সচেষ্ট হয়। খাদ্য গ্রহণ করলে আবার খাদ্য হজম হয়ে খাদ্যকণিকা রক্তে প্রবেশ করে এবং রক্তে খাদ্যকণিকার মাত্রায় স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। এই চক্র মানব শরীরে অবিরতভাবে চলতে থাকে। ক্ষুধা পেলে মানুষ দুর্বলতা অনুভব করে কর্মক্ষমতা কিছুটা কমে যায়, অনেকের মধ্যে মানসিক অস্থিরতা পরিলক্ষিত হয় এটা সবাই জানে। যদি কেউ এ সময়ে খাদ্য গ্রহণ করতে না পারলে অথবা না খেলে তখন প্রাকৃতিক নিয়মেই দেহের বিভিন্ন অঙ্গে মজুদ থাকা গ্লাইকোজেন এবং চর্বি ভেঙে রক্তে খাদ্যকণার জোগান দিয়ে থাকে। তবে এসব স্থায়ী মজুদ ভেঙে খাদ্যকণিকার জোগানের জন্য দেহে বিভিন্ন হরমোন ও এনজাইমের প্রয়োজন হয় যা একটু সময় সাপেক্ষ বটে। তবে প্রাথমিক অবস্থায়ও কিছু পরিমাণ খাদ্যকণা সরবরাহ করতে পারে। মানুষ যখন ক্রমাগত ভাবে অন্যান্য ক্ষুধায় আক্রান্ত হন, তখনই অধিক খাদ্য গ্রহণের ফলে শারীরিক ওজন বৃদ্ধির সুযোগ তৈরি হয়। বয়স ৩০ বছর হওয়ার আগ পর্যন্ত দৈহিক বৃদ্ধির কারণে, হরমোনাল ভারসাম্যের কারণে, শারীরিক যোগ্যতা বৃদ্ধির মাধ্যমে পরিশ্রম করে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন। তারা প্রচুর শক্তি খরচ করতে পারে মানে প্রচুর খাদ্য কণিকা ব্যবহার করে মোটা হওয়ার প্রতিরোধ করতে পারেন। তাই বয়স ৩০ বছর অতিক্রম করলে খাওয়া-দাওয়ার প্রতি নজর রাখা (৩০ বছর বয়সে আপনার শারীরিক ওজনেই আপনার প্রকৃত ওজন)। আপনি প্রকৃত ক্ষুধা ও অন্যান্য ক্ষুধার মধ্যে পার্থক্য অনুধাবন করে কম খাদ্য গ্রহণের চেষ্টা করে ৩০ ঊর্ধ্ব ব্যক্তিরা সুস্থতা বজায় রাখতে পারেন। ৩০-পরবর্তী শুধু ক্ষুধাকে কাজে লাগিয়ে আপনি সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে পারবেন এবং ৩০ বছরপূর্তির ওজন বজায় আছে কি না সেদিকে নজর রেখে আপনি আপনার খাদ্যাভ্যাস সাজিয়ে নিতে পারেন। ওজন বৃদ্ধি পেতে থাকলে আপনি খাবারের পরিমাণের ওপরে নজর রাখুন মানে ওজন বাড়তি হলে খাদ্য গ্রহণের পরিমাণ কমান বা পরিশ্রমের পরিমাণ বৃদ্ধি করুন। ওজন কম হলে খাদ্য গ্রহণের পরিমাণ বৃদ্ধি করুন, যাতে আপনার প্রকৃত ওজন ঠিক থাকে। তবে যারা যত শিগগিরই প্রকৃত ক্ষুধা ও অন্যান্য ক্ষুধার মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারবেন, তারা চাইলেই খাদ্যাভ্যাস বজায় রেখেই সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারবেন। তাই এসব বিষয়ে অবহেলা না করে সবাইকে আরও যত্নবান হতে হবে।


আরও খবর

একদিনে ৮৭৭ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ৭

বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩




ক্ষমা চাইলেন ছবির নির্মাতারা, এখনো চুপ এ আর রহমান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | ৩৩জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক : ‘পিপ্পা’ ছবিতে বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ‘কারার ওই লৌহ কপাট’ গানের সুর বিকৃতির অভিযোগ উঠেছে সুরকার এ আর রহমানের বিরুদ্ধে। এরপরই এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ শুরু হয়। কড়া সমালোচনার মুখে অবশেষে ক্ষমা চাইলেন ছবিটির নির্মাতারা। আনন্দবাজার

গত শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে রাজা কৃষ্ণ মেনন পরিচালিত ছবি ‘পিপ্পা’। এই ছবিতে কাজী নজরুল ইসলামের ‘কারার ওই লৌহ কপাট’ গানটিতে সুর বিকৃতি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশে একযোগে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ। ছবির সংগীত পরিচালক এ আর রহমান।

বিগত কয়েক দিনে বাংলার সাংস্কৃতিক জগতের বিশিষ্টরা বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। কিন্তু গত রোববার পর্যন্ত ছবির নির্মাতা বা রহমান কারো পক্ষ থেকেই কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে সোমবার বিকালে এই বিতর্ককে মাথায় রেখে বিবৃতি দিলেন ‘পিপ্পা’ ছবির অন্যতম প্রযোজক সিদ্ধার্থ রয় কপূর (রয় কপূর ফিল্মস)।

এই প্রসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘এই গানকে ঘিরে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেখানে প্রযোজক, পরিচালক এবং সংগীত পরিচালক হিসেবে আমরা নজরুল পরিবারের থেকে প্রয়োজনীয় স্বত্ব নেওয়ার পরই শিল্পের খাতিরে গানটিকে তৈরি করেছি।’

নির্মাতারা লিখেছেন, ‘নজরুল ইসলাম ও তার সৃষ্টির প্রতি আমাদের মনে গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে।’ এরই সঙ্গে নজরুলের পুত্রবধূ কল্যাণী কাজী এবং তার পুত্র কাজী অনির্বাণের থেকে যাবতীয় নিয়ম মেনে যে এই গানের স্বত্ব নেওয়া হয়েছিল, সে কথাও ঐ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

উল্লেখযোগ্য বিষয়, এর আগে নজরুল পরিবারের তরফে আনন্দবাজার অনলাইনকে অনির্বাণ জানান যে, গানের কথা ব্যবহার করা হলেও সুর বদলানো যাবে না, এই মর্মেই তারা নির্মাতাদের স্বত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু বিবৃতিতে রয় কপূর ফিল্মস জানিয়েছে, ‘গানটির ঐতিহাসিক তাত্পর্যকে শ্রদ্ধা জানানোই আমাদের উদ্দেশ্য ছিল। গানের কথা ব্যবহার ও সুরের পরিবর্তন চুক্তি অনুযায়ী করা হয়েছে।’ সবশেষে ঐ বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘আমরা মূল গানটিকে ঘিরে শ্রোতাদের আবেগকে সম্মান করি। শিল্প যেহেতু ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গির ওপর নির্ভরশীল, সেখানে আমাদের পদক্ষেপ যদি কারো আবেগে আঘাত করে থাকে, তার জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।’


আরও খবর



সোনালী ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষক তবুও দাম নিয়ে শঙ্কা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৪২জন দেখেছেন

Image

নড়াইলের মাঠে মাঠে দোল খাচ্ছে আমন ধান। সোনালী ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। ফলন মোটামুটি ভালো হলেও উৎপাদন ব্যয় উঠবে কি না তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন তারা। এদিকে ফলন ভালো হয়েছে দাবি করে কৃষি বিভাগ বলছে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা গেলে এবং কৃষক ন্যায্য মূল্য পেলে আগামীতে আমান চাষ আরও বাড়বে। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর জেলায় আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪২ হাজার ২৬২ হেক্টর জমিতে। আবাদ হয়েছে ৪২ হাজার ৬৮৫ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪২৩ হেক্টর বেশি জমিতে আবাদ হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৪৮ শতাংশ জমির ধান কর্তন হয়েছে। 

সরেজমিন মাঠে গিয়ে দেখা যায়, দিগন্ত বিস্তৃত মাঠজুড়ে আমন ধানের খেত সবুজ থেকে সোনালী বর্ণ ধারণ করেছে। কৃষকরাও ফসল ঘরে তুলতে দিন-রাত এক করে কাজ করছে। কেউ ধান কাটছে, কেউ আঁটি বাঁধছে। কেউ কেউ সেই ধান মাথায় নিয়ে খেত থেকে বাড়ি যাচ্ছে। আবার কেউ করছে মাড়াইয়ের কাজ। সকাল থেকে দিনভর এভাবেই ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক-কৃষাণীরা। তবে কৃষকের মুখে নেই হাসি। ফলন মোটামুটি ভালো হলেও সার, কীটনাশক, ধান কাটা শ্রমিকসহ অন্যান্য খাতে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হয়েছে। খরচের তুলনায় ধানের দাম কম। ফলে ধানের দাম না বাড়লে লাভ তো দূরে থাক এই দামে উৎপাদন খরচ উঠবে কি না তা নিয়ে এখন শঙ্কায় কৃষক।  

সদর উপজেলার উজিরপুর এলাকার আমন চাষি বলেন, ধানের ফলন একেবারে খারাপ না। ফলন ভালোই। কিন্তু সার, ওষুধ দিয়ে যে খরচ পড়ে তাতে তাদের মোটেই লাভ থাকে না। খরচের তুলনায় ধানের দাম কম। দাম বাড়ানো উচিত। দাম না বাড়ালি কৃষক বাঁচবে না। 

অজিত বিশ্বাস জানান, তারা যে দাম পাচ্ছে সে দামের তুলনায় যে খরচ হয় সে খরচের পয়সা তাদের বাঁচে না। এ বছর পোকার (কারেন্ট পোকা) কারণে বিঘা প্রতি ধানের ফলনও কম হয়ছে। তারপর সার-মাটিতে যে খরচ তা চালান একটুও মেলে না। চাষি মানুষ, চাষ করতে হয়, তাই করে যাচ্ছেন। 

কার্তিক দাসসহ জেলার আরো কয়েকজন কৃষক জানান, সব কিছুর যে দাম তাতে ধানের দাম ১৫শ টাকার নিচে হলে কৃষকের লস। যেভাবে খরচ হয়, তাতে কৃষকের বেঁচে থাকা সম্ভব না। তারপরও নিজেদের জমি, চাষ না করে কি করবেন। না খেয়ে তো আর মরা যায় না। তাই বাধ্য হয়ে  লস হলেও চাষ করা লাগে। 

এদিকে আমনের ফলন ভালো হয়েছে দাবি করে নড়াইল সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. রোকনুজ্জামান বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকরা আগ্রহের সাথে রোপা আমন চাষ করেছে। তুলনামূলক রোগবালাই এবং পোকামাকড়ের আক্রমণ কম থাকায় এ বছর ফলন ভালো হয়েছে। তবে কৃষকদের একটি আশঙ্কার জায়গা হচ্ছে ধানের দাম। প্রতিটা স্তরে যে উৎপাদন ব্যয়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বাজার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং কৃষক যদি যথাযথ মূল্য পায় তাহলে নড়াইলসহ সারাদেশে রোপা আমনের আবাদ বাড়বে। একইসঙ্গে উচ্চ ফলনশীল ধান চাষে কৃষক আরও আগ্রহী হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন এই কর্মকর্তা। 


আরও খবর



আগাম জাতের ভুট্টায় ঝুঁকছেন ভৈরবের চাষিরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | ১২জন দেখেছেন

Image

লাভের আশায় আগাম জাতের ভুট্টা চাষে ঝুঁকছেন ভৈরবের কৃষকেরা। এ বছর ভৈরব পৌরসভা ও উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে বেশি ভুট্টা চাষ হয়েছে। এ বছর উপজেলায় লক্ষ্য মাত্রা ছিল ৬৫ হেক্টর কিন্তু চাষ হয়েছে ৭০ হেক্টর জমিতে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, বাজারে আগাম জাতের ভুট্টার চাহিদা ও ভুট্টা মাড়াই সহজ হওয়ায় কৃষকেরা আবাদি ও পতিত জমিতে ভুট্টা চাষ করেছেন। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আগাম জাতের ভুট্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকেরা আগাম জাতের ৭৭২০, লাকি সেভেন, সানশাইন, ধামাকাসহ বিভিন্ন জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন।

সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার শিমুলকান্দি, আগানগর, শ্রীনগর, সাদেকপুর, মৌটুপী, ভবানীপুর, শ্রীনগর, মানিকদি, গজারিয়ার চাষিরা ভুট্টা জমিতে পানি সেচ, কীটনাশক দেওয়া ও পরিচর্যায় ব্যস্ত আছেন। এরই মধ্যে গাছে গাছে ফুল এসেছে। এছাড়া আগাম জাতের ভুট্টা বিক্রির অপেক্ষায় আছেন কৃষকেরা।

উপজেলার মেন্দিপুর গ্রামের কৃষক আল আমিন বলেন, ‘এলাকার অনেক পতিত জমিতে ৮-১০ বছর ধরে কোনো ফসল চাষ হয়নি। তাই সবাই সিদ্ধান্ত নেন পতিত জমিতে আগাম জাতের ভুট্টা চাষ করার। সে অনুযায়ী যার যার জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়। এ বছর আমি ১০০ শতাংশ জমিতে চাষ করেছি। এতে প্রায় ২৫-৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখন যদি বাজারে ন্যায্য দাম পাওয়া যায় তাহলে ১ লাখ টাকার মতো ভুট্টা বিক্রি করতে পারবো।’

কৃষক বলেন, ‘আমাদের হাওরের জমিতে গরু চড়তো। এসব জমিতে এ বছর আগাম জাতের ভুট্টা চাষ করেছি। আমি ৩ বিঘা জমিতে চাষ করেছি। এতে খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকার মতো। জমিতে যে ফলন এসেছে, আশা করি লাখ টাকার ওপরে বিক্রি করতে পারবো।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আকলিমা বেগম বলেন, ‘এ বছর ৭০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের ভুট্টা চাষ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ। প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌর সভার বিভিন্ন এলাকায় চাষ করা হয়েছে। ভুট্টা চাষে কৃষককে আগ্রাহী করতে বিনা মূল্যে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা চাষিদের পরামর্শ দিচ্ছেন। আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে মাড়াই সহজ হওয়ায় ভুট্টা চাষে আগ্রহ বাড়ছে।’


আরও খবর



ইউরোপীয় ইউনিয়ন যা চায়, আমরাও তা-ই চাই : ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ১৩জন দেখেছেন

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমরা তাদের সঙ্গে একমত। নির্বাচনের বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন যা বলেছে, আমরাও তা-ই চাই।’ 

৩০ নভেম্বর সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। ‘বাংলাদেশে অংশ গ্রহণ মূলক নির্বাচন দেখতে চায় বিশ্ব’— ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির এ বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এ নির্বাচন নিয়ে যত বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে, যত অপবাদ ছাড়ানো হয়েছে... সেখানে কিন্তু অনেকে ভেবেছিল বিদেশি পর্যবেক্ষকরা সাড়া দেবেন না। কিন্তু ইতোমধ্যে শতাধিক পর্যবেক্ষক সাড়া দিয়েছেন। এ নিয়ে আমরা চিন্তিত না।’

গতকাল ২৯ নভেম্বর নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন গণতান্ত্রিক, গ্রহণযোগ্য, শান্তি পূর্ণ ও অংশ গ্রহণ মূলক দেখতে চায় পুরো বিশ্ব।’  

ইসির সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিস্তারিত মতবিনিময় হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও তার টিম খোলামেলা আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে জেনেছি। আমরা আশাকরি গণতান্ত্রিক, গ্রহণ যোগ্য ও অংগ্রহণ মূলক নির্বাচন হবে। পুরো বিশ্বও এটি দেখতে চায়।’

বৈঠক শেষে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘তারা আগেও একাধিকবার এসেছেন। তাদের একটা এক্সপার্ট ইলেকশন পর্যবেক্ষণ টিম আসবেন বলে জানিয়েছেন। ইতোমধ্যে চারজন এসেছেন। তারা দীর্ঘ সময় আমাদের প্রস্তুতি সম্পর্কে জেনেছেন। আমাদের প্রস্তুতিটা অনেক দূর এগিয়ে গেছে এটা তারা জানতেন না। তারা আজও এসেছেন, এর মধ্যে আমাদের কী কী অগ্রগতি হয়েছে সেগুলো আমরা তাদের জানিয়েছি। আমরা আগের মতোই স্পষ্ট করে জানিয়েছি, নির্বাচন ফ্রি-ফেয়ার, পিসফুল এবং ক্রেডিবল যাতে হয়— সেটি নিশ্চিত করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

এদিকে, ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনে জাতিসংঘ পর্যবেক্ষক না পাঠালেও যুক্তরাষ্ট্র ও কমনওয়েলথসহ অনেকে পাঠাচ্ছে। এ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে প্রায় শতাধিক পর্যবেক্ষকের নাম চলে এসেছে। 

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, পিটার হাস মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে তার আচরণের সীমা মেনে চলবেন বলে আশা করে সরকার। আর জোটের আসন নিয়ে শরীকদের হতাশ করবে না আওয়ামী লীগ। 

নির্বাচনে বিএনপির অংশ গ্রহণ প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণের বিষয়ে বিএনপি তাদের শেষ কথা বলে দিয়েছে। তাই তাদের নিয়ে কথা বলার কোনো জায়গা নেই। 

দলীয় প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের নির্বাচনী আচরণবিধি কঠোর ভাবে মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, জনগণের অংশ গ্রহণে একটি ভালো নির্বাচন হবে। বিশেষ করে নারী ভোটারদের মধ্য জাগরণ দেখা যাচ্ছে। এই নির্বাচন ভোটারবিহীন হবে না। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দীন নাছিম ও দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। 


আরও খবর

হঠাৎ ডিবি কার্যালয়ে শামীম ওসমান

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




চাষিদের আশার আলো দেখাচ্ছে ব্রি ধান ১০৩

প্রকাশিত:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৪৬জন দেখেছেন

Image

বালাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সদ্য উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল জাতের ব্রি ধান ১০৩ চাষে আশার আলো দেখছেন ধান চাষিরা। আমন মৌসুমে অন্য জাতের ধান চাষের চেয়ে এ জাতের ধান চাষাবাদে দ্বিগুণ ফলন পাওয়া যায়। টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার চাষিরা এ ধান চাষ করে দ্বিগুণ ফলন পাওয়ায় তাদের মুখে ফুটেছে হাসি। 

তাই এ জাত সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে পাড়লে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং চাষিরা উপকৃত হবে। খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপশি জাতীয় পর্যায়ে খাদ্য নিরাপত্তা চাহিদাও মিটবে।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, ব্রি ধান-১০৩ স্বল্প জীবনকাল সম্পন্ন ধান। গড় আয়ু ১২৮-১৩৩ দিন। গাছের গড় উচ্চতা ১২৫ সে. মি। কাণ্ড শক্ত, ডিগ পাতা খাড়া, ধানের ছড়া ও ধান লম্বা, চাল সোজা। ১০০০টি পুষ্ট ধানের ওজন প্রায় ২৩.৭ গ্রাম। এ ধানের প্রোটিন এবং অ্যামাইলোজের পরিমাণ ৮.৩% এবং ২৪%। চালের আকার/আকৃতি লম্বা ও চিকন হওয়ায় ধানের দাম বেশি। বিঘা প্রতি ফলন ২৪/২৫ মণ। উপযুক্ত পরিচর্যা পেলে প্রতি হেক্টরে ৮.০ টন পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়।

আরও জানা গেছে, ভাত ঝরঝরে। ধানে রোগ-বালাই ও পোকা-মাকড়ের আক্রমণ অনেকটা কম। সারও কম লাগে। খেত থেকে ধান কাটার পরপরই ‘রবি শস্য’ করা যায়। এ আগাম জাতের ধান চাষাবাদ করে ২ ফসলি জমিকে ৩ ফসলি ও ৩ ফসলি জমিকে ৪ ফসলে রূপান্তর করতে পারেন চাষিরা। তাই চাষিদের নিকট ব্রি ধান-১০৩ দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের গত বছরের উদ্ভাবিত ব্রি ধান-১০৩ এ উপজেলায় আবাদ হয়েছে ১২০ হেক্টর। এছাড়াও ব্রি ধান-৭৫, ৮৭, ৯০ ও ৯৫ জাতের ধান চাষ করা হয়েছে। এসব ধানের উপর গত শুক্রবার ‘খামারি মোবাইল অ্যাপের’ কার্যকারিতা যাচাই-বাচাই ও উচ্চ ফলনশীল আমন ধানের ফসল কর্তন ও কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় ধনবাড়ীর মুশুদ্দি উত্তরপাড়ায়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলার মুশুদ্দি গ্রামের কৃষক হারুন মিয়া বলেন, এবার ৫ বিঘা জমিতে ব্রি ধান-১০৩ আবাদ করেছি। এতে বিঘা প্রতি ২৪/২৫ মণ ফলন পেয়েছি। এলাকার অনান্য চাষিরা এ ধান চাষে আশার আলো দেখছেন।

কৃষক বদিউজ্জামান, জমির উদ্দিন, সোহরাব আলী ও খন্দকার গোলাম মোস্তফা বলেন, এ উচ্চ ফলনশীল ধান আবাদে চাষিরা বেশি লাভবান হবে। ধানে রোগ-বালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ নেই বললেই চলে।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফরিদ আহমেদ বলেন, ব্রি ধান-১০৩ এ আধুনিক উফশী ধানের সকল বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। আমরা এ জাতের ধান চাষে চাষিদের সঠিক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাসুদুর রহমান বলেন, ব্রি ধান-১০৩ উচ্চ ফলনশীল জাত। এ মৌসুমে যেসব চাষিরা এ ধান আবাদ করেছেন তারা দ্বিগুণ ফলন পেয়েছেন। যদি বীজ সংগ্রহ করে কৃষক পর্যায়ে ছড়িয়ে দেয়া যায় তাহলে চাষিরা লাভবান হবেন।


আরও খবর