Logo
আজঃ শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3
শিরোনাম

কত টাকা পেল চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া, ভারতের পকেটে গেল কত?

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ২৯জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক : গত ৫ অক্টোবর ভারতের আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে পর্দা উঠেছিল ত্রয়োদশ ওয়ানডে বিশ্বকাপের। দেড় মাসের ক্রিকেটযজ্ঞ শেষে সেই আহমেদাবাদেই গতকাল (রোববার) পর্দা নামল টুর্নামেন্টটির। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ স্টেডিয়ামে এক লাখ ত্রিশ হাজারের বেশি দর্শকের সামনে স্বাগতিক ভারতের হৃদয় ভেঙে রেকর্ড ষষ্ঠবারের মতো শিরোপা জিতে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

শিরোপার হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার ধারেকাছেও নেই কেউ। অজি বাহিনীর যেখানে ট্রফি ৬টি, আর কোনো দলের নেই তিনটি শিরোপাও। টানা দুই হারে বিশ্বকাপ শুরু করা অস্ট্রেলিয়া দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে টানা নবম জয়ে ২০১৫ সালের পর সোনালী শিরোপা ফের পুনরুদ্ধার করল। সেই সঙ্গে বড় অঙ্কের অর্থ পুরস্কারও পেয়েছে চ্যাম্পিয়নরা। 

সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপ আসরের জন্য মোট ১০ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ১১০ কোটি টাকা প্রাইজমানি বরাদ্দ রাখে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা-আইসিসি। এখান থেকে বিশ্বকাপ জেতার জন্য ৪০ লাখ ডলার (প্রায় ৪৪ কোটি টাকা) পুরস্কার পাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপজুড়ে ঘরের মাঠে দাপট দেখিয়েছে ভারত। রাউন্ড রবিন লিগে টানা নয় ম্যাচে জয়ের পর সেমিফাইনালেও জয়রথ ধরে রাখে স্বাগতিকরা। একমাত্র ব্যর্থ হয় ফাইনালে এসেও। রানার্সআপ ভারতের পকেটে ঢুকেছে ২০ লাখ ডলার (প্রায় ২২ কোটি টাকা)। 

সেমিফাইনালে পরাজিত দু’দল নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা সমান অঙ্কের টাকা পাচ্ছে। দুই দলকে দেওয়া হচ্ছে আট লাখ ডলার (প্রায় ৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকা) করে। এ ছাড়া শেষ চারের আগেই বিদায় নেওয়া বাংলাদেশসহ প্রতিটি দল পাবে এক লাখ ডলার বা প্রায় এক কোটি ১০ লাখ টাকা। 

এ ছাড়া প্রতিটি ম্যাচের জন্যও বরাদ্দ ছিল প্রাইজমানি। প্রতিটিতে জয়ের জন্য ৪০ হাজার ডলার করে পেয়েছে দলগুলো। সে হিসেবে অস্ট্রেলিয়া, ভারতসহ দলগুলোর টাকার অঙ্ক আরও বাড়ছে।


আরও খবর

৩১৭ রানে অলআউট নিউজিল্যান্ড

বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩




নতুন ফসলে তিস্তা পাড়ের কৃষকের মুখে হাসি

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | ২০জন দেখেছেন

Image

স্বচ্ছ পানির নদী হিসেবে তিস্তার-ধরলার পরিচিতি। নাব্য সংকটে বর্ষায় অল্প পানিতেই উপচে পড়ে। ভাঙে ঘরবাড়ি, ক্ষেত-খামার। তবে শুষ্ক মৌসুমে সম্পূর্ণ বিপরীত। জেগে ওঠা চরগুলো ফুলে-ফসলে ভরে ওঠে। বাদাম, ভুট্টা, আলু, মিষ্টি কুমড়াসহ নানা ফসল চাষে ব্যস্ত ও মুখরিত সময় পার করেন চরের কৃষকরা। অন্যবারের তুলনায় এবার তারা আরও বেশি খুশি।

সিকিমের চুংথাং বাঁধ ভেঙে একদিনে ভেসে যায় তিস্তা। তখন দুর্গতির কমতি না থাকলেও এখন তিস্তা পাড়ে খুশি। ওই বন্যায় স্মরণকালের সব থেকে ঘোলাটে পানি আসে। পানি কমে গিয়ে তিস্তার চকচকে বালির ওপর ১ থেকে ৩ ফুট পর্যন্ত পলি জমেছে। আর এই পলিযুক্ত বালিতে অল্প সার, পানি ব্যবহার করেই ফলাচ্ছেন ফসল। ইতোমধ্যে চরে চাষকৃত আমনের ব্যাপক ফলন হয়েছে। বাদামসহ বেশ কিছু সবজি চাষেও মিলেছে সাফল্য। সম্ভাবনা দেখাচ্ছে আলু, ভুট্টা, তামাক, রসুন, মিষ্টি কুমড়াসহ অর্থকরী ফসলগুলো।

কৃষি অধিদফতরের মতে, গেলো রবি মৌসুমে ৮ হাজার ৫০০ হেক্টর চাষাবাদের আওতাভুক্ত ছিল। তবে তিস্তার চরে প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর চাষাবাদ যোগ্য জমি আছে। প্রতিনিয়ত নতুন চরকে চাষযোগ্য করা হচ্ছে। যেখানে শুধু বালি আছে সেখানে বিকল্প ব্যবস্থা করে চাষের আওতায় আনা হচ্ছে। রবিশস্য, ধান, পাট, আলু, বাদাম, ভুট্টা, পেঁয়াজ, মরিচ, ডাল এসব অর্থকরী ফসল চরাঞ্চলেই বেশি উৎপাদন হয়।

সদর উপজেলার খুনিয়াগাছের কৃষক মোফা মিয়া বলেন, ‘এবার নিচু কিছু স্থানে ২/৩ ফুট পলি জমেছে। বালুর ওপর এমন পলি আমার জীবনে দেখিনি। এবার যা-ই লাগানো হচ্ছে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নের কৃষক রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘এবার ভারতের বাঁধ ভেঙে অনেক বেশি ঘোলা পানি এসেছে। এমন ঘোলা পানি কখনও আসে নাই। সাদা বালু কালো হয়ে গেছে। এবার খুব ভালো ফলন হচ্ছে।’

একই ইউনিয়নের রাব্বানি আজিজার বলেন, ‘যেখানে কখনও ধান হতো না এবার সেখানে ধান হয়েছে। অন্যবার যে চরে সার-পানি দিয়ে বিঘায় ৬ মণ ধান হতো এবার সেখানে ১৮ থেকে ২০ মণ পর্যন্ত ধান হয়েছে।’

কালিগঞ্জের চর শৌলমারির কৃষক আব্দুর রহিম মিষ্টি কুমড়া লাগিয়েছেন ২৮ দিন আগে। এখন পর্যন্ত কোনও সার কীটনাশক প্রয়োগ করেননি। গাছ হৃষ্টপুষ্ট হয়ে ৪/৫ ফুট লম্বা হয়েছে। আশা করছেন এবার খুব কম খরচে বেশ ভালো ফল পাবেন।

ভোটমারি ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘চরে আমার দুই জায়গায় ৪ একর পর্যন্ত বালুতে মিষ্টি কুমড়া চাষ হচ্ছে। কৃষি উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে মিষ্টি কুমড়া ও তরমুজ চাষ হচ্ছে। তরমুজের সাথি ফসল হিসেবে ক্ষীরা চাষ হচ্ছে। এ ছাড়াও ভুট্টা, ধান, পেঁয়াজ, পেঁয়াজ বীজ, লাউ, গমসহ অন্যান্য ফসল চাষ হচ্ছে।’

মৃত্তিকা গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মশিউর রহমান বলেন, ‘উঁচু স্থান বা পাহাড় থেকে যে পানি আসে তা বিভিন্ন নিউট্রিয়েন্ট বা পুষ্টি নিয়ে আসে। বন্যার পানিতে কয়েকটি স্তর আছে। প্রথমত তিনটি স্তর; বালি, পলি, ফেনা। বালির ওজন বেশি হওয়াতে প্রথমে বালিটা পড়বে তারওপর পলি বা ঘোলা এবং তারওপর ফেনা। যেখানে শুধু বালি পড়বে সেখানে ভালো জমিও নষ্ট হয়ে যাবে। আর পলির সঙ্গে পানির যে ফেনা অংশ থাকে এটা পড়লে যেকোনও অনুর্বর জমি উর্বর হবে। এটা আশীর্বাদ। সাধারণত ১০ ইঞ্চি পর্যন্ত পলি জমে।’

লালমনিরহাট কৃষি দফতরের উপপরিচালক (শস্য) সৈয়দ সিফাদ জাহান বলেন, পলি প্রতি বছর পড়ে। এবার সিকিমের বন্যার পরে বেশি পড়েছে। এখন পর্যন্ত প্রতি হেক্টরে ৩ দশমিক ০২ মেট্রিক টন (চালের হিসাব) আমনের ফলন পাওয়া গেছে। চূড়ান্ত হিসাব এখনও করা হয়নি। পলি পড়ার ফলে প্রচুর মাইক্রো নিউট্রিয়েন্ট জমিতে থাকে। জমির অপুষ্টির লক্ষণ প্রকাশ না ঘটলে রাসায়নিক সার দিতে হবে না। তবে কিছু জমিতে মাটির কিছু খাদ্য উপাদান দিতে হতে পারে।


আরও খবর



রাজনৈতিক সহিংস কর্মকাণ্ডে দেশের অর্থনীতি ঝুঁকিতে পড়ছে

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৩৭জন দেখেছেন

Image

বিরাজমান বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, অর্থনীতিবিদ এবং এফবিসিসিআইয়ের সাবেক নেতৃবৃন্দকে নিয়ে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন এফবিসিসিআই। গতকাল মঙ্গলবার এফবিসিসিআইয়ের গুলশান কার্যালয়ে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় চলমান রাজনৈতিক সহিংসতা, ডলার-সংকট, মূল্যস্ফীতি, বিলাসী পণ্যের আমদানি নিয়ন্ত্রণ, ব্যাংক ঋণ, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতকরণ, এলসিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, বিগত কয়েক বছর যাবত্ দেশে অত্যন্ত স্থিতিশীল রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিবেশ বিরাজ করছে যা ব্যবসা, বাণিজ্য ও অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু সম্প্রতি রাজনৈতিক দলগুলোর সহিংস কর্মকাণ্ডের ফলে দেশের ব্যবসা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ঝুঁকিতে পড়ছে। একই সঙ্গে, তৈরি পোশাক খাতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে।

দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা জাতীয় অর্থনীতিকে শঙ্কার দিকে ঠেলে দিচ্ছে উল্লেখ করে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বিদ্যমান পরিস্থিতি দেশের সাপ্লাই চেইনকে ভীষণভাবে বিঘ্নিত করছে—যার প্রভাব পণ্যের উত্পাদন, বাজার মূল্য এবং রপ্তানি ও সেবা খাতের ওপরও পড়ছে। এ সময় রাজনৈতিক দলগুলোকে জাতীয় অর্থনীতির স্বার্থে সব ধরনের সহিংস কর্মকাণ্ড পরিহারের আমন্ত্রণ জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।

তৈরি পোশাক খাতে শ্রমিক ও কর্মচারীদের চাহিদা অনুযায়ী মজুরি কমিশন গঠন এবং শ্রমিক-মালিক উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে মজুরি পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে—যা ইতিবাচক পদক্ষেপ। তা সত্ত্বেও তৈরি পোশাক খাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। প্রকৃত শ্রমিকরা কোনোভাবেই ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত হতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ডলার-সংকট সমাধান এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংককে আরো কার্যকরী ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি। পাশাপাশি শিল্পকারখানায় উত্পাদন ব্যবস্থা অব্যাহত রাখতে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতিও আহ্বান জানান তিনি।

এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ বর্তমান সহিংস রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সারা দেশের সব চেম্বার, অ্যাসোসিয়েশনকে সঙ্গে নিয়ে ব্যবসায়ী সংহতি সমাবেশ আয়োজনের জন্য এফবিসিসিআইকে পরামর্শ দেন। এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম অর্থনীতির এই সংকটের মুহূর্তে রাজনৈতিক সহিংস কর্মসূচি থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। পাশাপাশি সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তাব্যক্তিদের বিতর্কিত মন্তব্য থেকে বিরত থাকার আহ্বানও জানান তিনি। অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্যাংক, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, এনবিআর, কৃষি মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের মধ্যে সমন্বয় আরো জোরদার করতে এফবিসিসিআইকে কমিটি গঠনের পরামর্শ দেন তিনি। এছাড়াও বিদ্যমান সহিংস কর্মসূচির বিরুদ্ধে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য এফবিসিসিআইকে আহ্বান জানান তিনি।

সভায় এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ডলারের ওপর চাপ কমাতে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের আরো সচেতন ভূমিকা পালন করতে হবে। প্রয়োজনে আগামী ছয় মাস থেকে এক বছর সময়ে অপ্রয়োজনীয় ও বিলাসী পণ্য আমদানির হার আরো কমিয়ে আনতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। অর্থনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে কাটছাঁটের কোনো বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সম্প্রতি তৈরি পোশাক খাতে সৃষ্ট সহিংস ঘটনায় বহিরাগতরা জড়িত উল্লেখ করে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, প্রকৃত শ্রমিকরা কখনো নিজ কারখানায় আগুন দিতে পারে না। উদ্দেশ্যমূলকভাবে তৈরি পোশাক খাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।


আরও খবর

আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম

শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩




যেসব কারণে কাশির সঙ্গে রক্ত যায়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ১৭জন দেখেছেন

Image

কাশির সঙ্গে ফোঁটা ফোঁটা রক্ত বা কফমিশ্রিত রক্ত, শুধুু রক্ত, পরিমাণ কম বা বেশি যা থাক না কেন তাকে মেডিকেলের ভাষায় হেমোপটাইসিস বলে। কাশির সঙ্গে রক্ত গেলে তার সঠিক ইতিহাস জানা এবং কারণ বের করা প্রয়োজন। কারণ কাশির সঙ্গে রক্ত দেখা দিলে কখনো কখনো ফুসফুসের জটিল রোগ সন্দেহ করা হয়। যেমন- ফুসফুসে ক্যান্সার। দ্রুত রোগ নির্ণয় করে সঠিক মাত্রায় ওষুধ সেবন করে বেশির ভাগ রোগ সম্পূর্ণ নির্মূল/ভালো করা সম্ভব। যেমন যক্ষ্মা প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে ছয় মাসের ওষুধ খেলে যক্ষ্মা ভালো হয়। যেসব কারণে কাশির সঙ্গে রক্ত যায়- ব্রঙ্কাইটিস (শ্বাসনালির প্রদাহ), ফুসফুসে ক্যান্সার যক্ষ্মা, ব্রংকিয়েক্টেসিস (স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত শ্বাসনালি), ফুসফুসে ফোঁড়া হার্টের বাল্বের সমস্যা যেমন- মাইট্রাল স্টেনোসিস, হার্ট ফেইলার। এছাড়া অন্যান্য কারণ যেমন : বুকের আঘাতজনিত কারণে, বিভিন্ন ধরনের ভাসকুলাইটিস যেমন পালমোনারি ধমনী-শিরা প্রদাহজনিত জটিলতা, বিভিন্ন প্রকার রক্তের রোগ যেমন- ব্লাড ক্যান্সার। এছাড়া অনেক সময় কারও কারও ক্ষেত্রে ওষুধজনিত কারণে হতে পারে। এছাড়া কিছু বিরল কারণে যেমন- কখনো কখনো মহিলাদের প্রতিমাসে ঋতু স্রাবের সময় কাশির সঙ্গে রক্ত যেতে পারে।

উৎস : কোন জায়গা থেকে রক্ত বের হচ্ছে তার ইতিহাস থেকে রোগ নির্ণয় করা যায়। এজন্য চিকিৎসককে রোগীর ইতিহাস জানাতে হবে। যেমন নাক দিয়ে রক্ত আসা, গলা ফ্যাসফ্যাসে হয়ে যাওয়া, মুখে ঘা থাকলে শ্বাসনালির উপরিভাগ ইনফেকশন সন্দেহ করা হয়। কালচে লাল রং, নোনতা লাগা, বমি বমি ভাব, পেটে ব্যথা, আগে জন্ডিস ও মদ পানের ইতিহাস থাকলে বমির সঙ্গে রক্ত এসেছে বলে ধারণা করা হয়। যার উৎস খাদ্যনালি বা লিভার জনিত জটিলতার কারণে। তাই এন্ডোসকপি জাতীয় পরীক্ষা প্রয়োজন। কাশির সঙ্গে রক্তের রং দিয়ে বিভিন্ন অসুখ আলাদা করা যায়। যেমন- ফেনাযুক্ত কাশি, পরিষ্কার লাল রং শ্বাসনালি জনিত বা লিভার জনিত কারণে। কাশির সঙ্গে রক্তের পরিমাণের ওপর ভিত্তি করেও রোগ আলাদা করা যায়। যেমন- বেশি পরিমাণে রক্ত গেলে ফুসফুসে ক্যান্সার, যক্ষ্মা, ফুসফুসে ফোঁড়া, স্থায়ী ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত শ্বাসনালি। কাশির সঙ্গে অল্প পরিমাণ রক্ত গেলে ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়া, হৃদরোগের জটিলতা সন্দেহ করা হয়। হঠাৎ করে কারও কাশির সঙ্গে রক্ত যাওয়া শুরু হলে হৃদরোগজনিত জটিলতার কারণে হতে পারে। ক্রমাগত কাশির সঙ্গে রক্ত যাওয়া, মাঝে মাঝে রক্ত যাওয়া ফুসফুসে ক্যান্সার সন্দেহ করা হয়। আমরা অনেক সময় এসব কাশিকে খুব একটা গুরুত্ব দিই না। কাশির সঙ্গে রক্ত গেলে বা এরকম উপসর্গ প্রকাশ পেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।


আরও খবর

একদিনে ৮৭৭ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ৭

বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩




কোরআন তিলাওয়াতের সময় মাথা ঢেকে রাখতে হবে

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১১জন দেখেছেন

Image

ইসলামিক ডেস্ক : কোরআন তিলাওয়াত ফজিলতপূর্ণ কাজ। বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াত কারীদের আল্লাহর পরিজন বলা হয়েছে হাদিসে। আনাস বিন মালিক রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, কিছু মানুষ আল্লাহর পরিজন। সাহাবিরা জিজ্ঞেস করেন, হে আল্লাহর রাসূল, তারা কারা? তিনি বলেন, কোরআন তেলাওয়াত কারীরা আল্লাহর পরিজন এবং তাঁর বিশেষ বান্দা।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস, ২১৫)

কোরআন তিলাওয়াতের সময় তা মনোযোগ সহকারে শোনার কথা বলা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘যখন কোরআন তিলাওয়াত করা হয়, তখন কান লাগিয়ে শোনো এবং চুপ থেকো।’ (সূরা আরাফ, (৭), আয়াত, ২০৪) 

কোরআন তিলাওয়াতের সময় সবধরনের পার্থিব ব্যস্ততামুক্ত হতে বসতে হয়। এ সময় নিজের ভেতর গাম্ভীর্যতা নিয়ে আসা জরুরি এবং মনে মনে এই কথা খেয়াল রাখতে হবে যে, আমি আল্লাহর বাণী পাঠ করছি, তিনি তা শুনছেন। 

কোরআন তিলাওয়াতের সময় নারীদের মাথায় কাপড় থাকা বা পুরুষদের মাথায় টুপি রাখাও জরুরি নয়। তবে  কোরআন তিলাওয়াতের আদব ও হক গুলো ঠিক মতো আদায় করা জরুরি। আর নারীর পুরো শরীর যেহেতু সতরের অন্তর্ভুক্ত, তাই কোরআনের আদবের প্রতি খেয়াল রেখে আলেমরা নারীদের মাথায় কাপড় রাখা এবং পুরুষদের মাথায় টুপি রাখার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।

আলেমদের মতে, যিনি কোরআন তিলাওয়াত করছেন, তার সাজসজ্জা এমন হওয়া উচিত যেন তাকে দেখে মনে হয় তিনি নিজেকে অন্য সব কাজ থেকে একেবারে মুক্ত করে নিয়েছেন এবং নিজেকে আল্লাহ মুখী করে ধর্মীয় পোশাক-আশাকে আবৃত্ত করেছেন।


আরও খবর



জোড়া ফ্ল্যাট বিক্রি রণবীর-দীপিকার! নেপথ্যে কী

প্রকাশিত:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৩৬জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক : কার্তিকের ধনত্রয়োদশীর দিনে পালন করা হয় ধনতেরাস। এবার দিনটি ছিল শুক্রবার (১০ নভেম্বর)। ধনতেরাসে লক্ষ্মী লাভের আশায় অনেকে নতুন গহনা কিংবা সম্পত্তি কেনেন। এই অনন্যা পান্ডে নতুন অ্যাপার্টমেন্ট কিনে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সবাইকে। আর সেই আবহেই রণবীর-দীপিকা নিজেদের জোড়া ফ্ল্যাট বিক্রি করে দিয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে।

বলিউড সূত্রে খবর, ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের গোরেগাঁওতে রণবীর সিংয়ের নামে দুটি ফ্ল্যাট ছিল। ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে সেই ফ্ল্যাট দুটি কিনে ছিলেন অভিনেতা। তবে সেসময়ে যে দামে ওই ফ্ল্যাট কিনেছিলেন, সেটিই এবার ধনতেরাসে চড়া দামে বিক্রি করে দিয়েছেন।

জানা গেছে, প্রায় ৫ কোটি টাকা লেগেছিল ওই ফ্ল্যাট দুটি কিনতে। তবে এবার সেটা বিক্রি করলেন ১৫.২৫ কোটি টাকায়। এক্ষেত্রে অভিনেতা যে তিন গুণ দামে গোরেগাঁওয়ের ফ্ল্যাট দুটি বিক্রি করেছেন তা বলাই যায়।

মুম্বাইয়ে ওয়েস্টার্ন এক্সপ্রেস হাইওয়ের ধারে ওই ফ্ল্যাট দুটি ওবেরয় মলের অল্প দূরেই ছিল। দুটিই ছিল ১৩২৪ বর্গফুটের। তবে ধনতেরাসের দিন সেই দুটি ফ্ল্যাটই বিক্রি করে দিলেন রণবীর সিং। সেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই জল্পনা, তাহলে কি অর্থকষ্টে ভুগছেন তারকা দম্পতি? আবার উদ্বিগ্ন অনুরাগীদের প্রশ্ন, নাকি বিচ্ছেদের জল্পনায় সিলমোহর পড়ল। যদিও জনসমক্ষে রোম্যান্টিক কাপল হিসেবেই ধরা দেন রণবীর-দীপিকা।


আরও খবর