Logo
আজঃ শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3
শিরোনাম

লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহর অর্থ ও শর্ত

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ২৭জন দেখেছেন

Image

ইসলামিক ডেস্ক : সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হলো ঈমান। ঈমানের বিপরীত কুফর। ঈমান সত্য, কুফর মিথ্যা। ঈমান আলো, কুফর অন্ধকার।

ঈমানই জীবন, কুফর মৃত্যুতুল্য। ঈমান সরল পথ, আর কুফর ভ্রষ্টতার পথ। ঈমানের কালেমা ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’। এ কালেমার জন্য সৃষ্টিজগতের সৃষ্টি।

এ কালেমার জন্য মানুষ কাফির ও মুমিন—দুই ভাগে বিভক্ত। কেউ সৌভাগ্যবান—তারা জান্নাতি। আর কেউ হতভাগা—তারা জাহান্নামি।

এ কালেমার বাণী প্রচারের জন্য মহান আল্লাহ যুগে যুগে অসংখ্য নবী-রাসুল প্রেরণ করেছেন।

মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমার আগে আমি যত রাসুল প্রেরণ করেছি, তাদের সবার ওপর আমার এই মর্মে নির্দেশ ছিল যে আমি ছাড়া আর কোনো ইলাহ (উপাস্য) নেই। সুতরাং তোমরা আমারই ইবাদত করো।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত : ২৫)

‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র অর্থ হলো, আল্লাহ ছাড়া কোনো (সত্য) মাবুদ (উপাস্য) নেই। আল্লাহ ছাড়া কোনো বস্তু বা সত্তার ইলাহ হওয়ার যোগ্যতা নেই। ইবাদতের একমাত্র উপযুক্ত মহান আল্লাহ।

মহান আল্লাহ পৃথিবীর প্রকৃত মালিক। আকাশ ও পৃথিবী তিনি নিজ ক্ষমতাবলে সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টির ওপর তাঁর একচ্ছত্র মালিকানা, কর্তৃত্ব ও নিরঙ্কুশ ক্ষমতা। আর তা অবিভাজ্য ও অংশীদারহীন। সুতরাং তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘তিনিই (আল্লাহ) সেই সত্তা, যিনি আকাশ ও পৃথিবীর ইলাহ (উপাস্য)।’ (সুরা জুখরুফ, আয়াত : ৮৪)

‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র দুই রুকন বা স্তম্ভ। অর্থাৎ এই বাক্যের মধ্যে ইতিবাচক ও নেতিবাচক—দুই ধরনের অর্থ আছে :

১. ‘না’ সূচক : আর তা হলো, ‘লা-ইলাহা’।‘লা’ মানে না বা নেই।‘ইলাহ’ মানে মাবুদ (উপাস্য/ইবাদতের উপযুক্ত)। অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোনো (সত্য) ইলাহ নেই।

প্রত্যেক পূজনীয় বস্তুকে ‘ইলাহ’ বলা হয়। ইমাম রাগেব ইসফাহানি (রহ.) লিখেছেন, কারো কারো মতে, আল্লাহ শব্দের মূল হলো ‘ইলাহ’। আর আরবের লোকেরা ‘ইলাহ’ শব্দ মাবুদ (যার ইবাদত করা হয়) অর্থে ব্যবহার করে। (আল-মুফরাতাদ ফি গারিবিল কোরআন, পৃষ্ঠা ৩১, ইলাহ)

সুতরাং ‘লা-ইলাহা’ মানে ইবাদত ও উপাসনায় আল্লাহর কোনো শরিক নেই।‘লা-ইলাহা’ অংশীদারত্বের সব প্রকারকে সম্পূর্ণরূপে বাতিল করে দেয়। আল্লাহ ছাড়া যাদের ইবাদত করা হয়, সবগুলো বর্জন করা অপরিহার্য করে দেয় ‘লা-ইলাহা’। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর এটা এ জন্য যে নিশ্চয়ই আল্লাহই সত্য এবং তার পরিবর্তে তারা যা ডাকে, অবশ্যই তা বাতিল। আর নিশ্চয়ই তিনিই তো সমুচ্চ, সুমহান।’ (সুরা হজ, আয়াত : ৬২)

২. ‘হ্যাঁ’ সূচক : আর তা হলো ‘ইল্লাল্লাহ’।‘ইল্লা’ মানে ছাড়া, ব্যতীত। ‘ইল্লাল্লাহ’ মানে আল্লাহ ছাড়া (আর কোনো ইলাহ নেই)।

সুতরাং এই কালেমার ‘না’ সূচক ‘লা-ইলাহা’ এবং ‘হ্যাঁ’ সূচক ‘ইল্লাল্লাহ’ দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা দেয়—একমাত্র ইলাহ মহান আল্লাহ।

তাই ‘ইল্লাল্লাহ’ বান্দার ইবাদতকে শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য সাব্যস্ত করে। ইবাদতের যোগ্য একমাত্র আল্লাহ—তা অপরিহার্য করে দেয়। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আর তোমাদের ইলাহ এক ইলাহ’। তিনি ছাড়া অন্য কোনো ইলাহ নেই। তিনি অতি দয়াময়, পরম দয়ালু। (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৬৩)

এই পবিত্র কালেমায় যথাযথ বিশ্বাসী হতে হলে সাতটি শর্ত পূরণ করতে হবে। এসব শর্ত কোরআন-হাদিস থেকে গৃহীত।

শর্তগুলো হলো : ১. ‘ইলম’ অর্থাৎ (কালেমার অর্থ ও দাবি) জানা। ২. ‘ইয়াকিন’ তথা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করা। ৩. ‘ইখলাস’ অর্থাৎ একনিষ্ঠ ও বিশুদ্ধ হওয়া। ৪. ‘সিদক’ তথা সত্যায়ন করা। ৫. ‘মাহাব্বাহ’ তথা ভালোবাসা। ৬. ‘ইনকিয়াদ’ তথা নিঃশর্ত আনুগত্য প্রদর্শন করা। ৭. ‘কবুল’ তথা শর্তহীনভাবে গ্রহণ করা।

শর্তগুলোর সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা

প্রথম শর্ত : এ কালেমার ‘না’ বাচক এবং ‘হ্যাঁ’ বাচক দুটি অংশের অর্থ সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান থাকা জরুরি।

দ্বিতীয় শর্ত : ইয়াকিন বা দৃঢ় প্রত্যয়। অর্থাৎ এ কালেমার মাধ্যমে যে কথার স্বীকৃতি দেওয়া হয়, তাতে বিন্দু পরিমাণ সন্দেহ থাকতে পারবে না।

তৃতীয় শর্ত : ইখলাস বা নিষ্ঠা। অর্থাৎ অংশীদারত্বমুক্ত হয়ে বিশুদ্ধচিত্তে কালেমার দাবি মেনে নেওয়া। এই শর্ত ব্যক্তিকে শিরক ও রিয়া থেকে মুক্ত রাখবে।

চতুর্থ শর্ত : এই কালেমা পাঠকারীকে সত্যের পরাকাষ্ঠা হতে হবে। অর্থাৎ একই সঙ্গে মুখে ও অন্তরে এই কালেমায় বিশ্বাসী হতে হবে। এই শর্ত তাকে মুনাফিকি আচরণ থেকে বিরত রাখবে।

পঞ্চম শর্ত : ভালোবাসা। এই কালেমাকে হৃদয় দিয়ে গ্রহণ, ধারণ ও লালন করতে হবে এবং মনেপ্রাণে ভালোবাসতে হবে।

ষষ্ঠ শর্ত : আনুগত্য করা। এই কালেমার শর্ত ও দাবি হলো, পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ করা। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য ইসলামী শরিয়তের যাবতীয় আদেশ-নিষেধ মেনে চলা।

সপ্তম শর্ত : আন্তরিকভাবে এ কালেমা কবুল করা। দ্বিনের কোনো কাজ প্রত্যাখ্যান ও বর্জন থেকে নিজেকে বিরত রাখা। (ফাতহুল মাজিদ, শায়খ আবদুর রহমান বিন হাসান, পৃষ্ঠা ৯১)

কোনো কোনো আলেম উল্লিখিত সাতটি শর্তের সঙ্গে অষ্টম শর্ত যোগ করেছেন, আর তা হচ্ছে, তাগুতের সঙ্গে কুফরি করা। অর্থাৎ আল্লাহর প্রতি ঈমান এবং তাগুতের প্রতি কুফরি।

তাগুত হলো, ওই সব বাতিল উপাস্য, আল্লাহকে ছাড়া যাদের উপাসনা করা হয়।

তাগুত শব্দের অর্থ সীমা লঙ্ঘনকারী, দুষ্কৃতির মূল বস্তু, যা মানুষকে বিভ্রান্ত করে। শয়তান, কল্পিত উপাস্য, যাবতীয় বিভ্রান্তিকর উপায়-উপকরণ তাগুতের অন্তর্ভুক্ত। [আল-কোরআনুল করিম, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, টীকা নম্বর : ১৭৭ (অবলম্বনে)]

সুতরাং কালেমা পাঠকারী এগুলো বর্জন করবে—এটাই স্বাভাবিক। মহান আল্লাহ বলেন, ‘...সুতরাং যে ব্যক্তি তাগুত অস্বীকার করে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে, অবশ্যই সে মজবুত হাতল আঁকড়ে ধরে, যা কখনো ভাঙবে না। আল্লাহ সর্বশ্রোতা, প্রজ্ঞাময়।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৫৬)


আরও খবর



সারাদেশে ১৮৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | ৩৪জন দেখেছেন

Image

বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর ডাকা চতুর্থ দফার অবরোধের দ্বিতীয় দিনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দেশব্যাপী  ১৮৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। সোমবার (১৩ নভেম্বর) সকালে বাহিনীটির সদরদপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঢাকা ও আশপাশের জেলায় ২৫ প্লাটুনসহ সারাদেশে ১৮৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন রয়েছে। এ ছাড়া পর্যাপ্ত সংখ্যক বিজিবি প্লাটুন স্ট্যান্ডবাই রয়েছে।

এদিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবির পাশাপাশি আগে থেকেই র‌্যাব ও পুলিশের সদস্যরাও মাঠে রয়েছেন।


আরও খবর



ইমো অ্যাকাউন্টে ব্যক্তিগত তথ্য যেভাবে নিরাপদ রাখবেন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৭জন দেখেছেন

Image

স্মার্টফোন বা কম্পিউটারের মাধ্যমে ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের সময় আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যক্তিগত অনেক তথ্য উন্মুক্ত হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। ইন্টারনেট আমাদের জীবনকে সহজ করলেও ইন্টারনেটের অসাবধান ব্যবহারে ব্যক্তিগত তথ্য চুরি ও ফাঁসের ঝুঁকি থেকে যায়।

ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা রক্ষার লক্ষ্যে এ বছর ইমো নিয়ে এসেছে কয়েকটি উদ্ভাবনী সিকিউরিটি ফিচার। বার্তা আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের নিশ্চিন্ত রাখতেই ইমোর এই প্রচেষ্টা।

ডিসঅ্যাপিয়ারিং মেসেজ
একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর ব্যক্তিগত মেসেজগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে ফেলে ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা রক্ষা করে এই ফিচারটি। ডিসঅ্যাপিয়ারিং মেসেজ ফিচারটি চালু থাকলে মেসেজ আদান-প্রদানের পর একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্তই মেসেজগুলো দেখা যায়, যা ব্যবহারকারীরা নিজেদের সুবিধামতো নির্ধারণ করতে পারবেন। এতে করে তথ্য ফাঁস হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে আসে।

সিক্রেটচ্যাট
সিক্রেটচ্যাট চালু থাকলে চ্যাট উইন্ডো থেকে বের হয়ে যাওয়া মাত্রই সম্পূর্ণ উইন্ডো মুছে যায়। প্রাতিষ্ঠানিক ও আর্থিক তথ্যের সুরক্ষার ক্ষেত্রে এই ফিচার হতে পারে অত্যন্ত কার্যকর।

টাইম মেশিন
নিজেদের ব্যক্তিগত তথ্যের ওপর সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সহায়তা করে এ ফিচার, যার মাধ্যমে সময় নির্বিশেষে যেকোন কথোপকথন চ্যাট হিস্ট্রি থেকে ডিলিট করা যায়। ফলে নিজেদের ব্যক্তিগত তথ্য থাকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে।

ব্লক স্ক্রিনশট ফর কলস
তথ্য ফাঁসের পেছনে একটি মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে অযাচিত স্ক্রিনশট। তাই ইমো চালু করেছে ব্লক স্ক্রিনশট ফর কল, যার মাধ্যমে আপনি যে কাউকে ভিডিও কল চলাকালীন স্ক্রিনশট নেয়া থেকে বিরত রাখতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে এ ফিচারের মাধ্যমে নিজের ব্যক্তিগত তথ্যসমূহ সুরক্ষিত করা যায় খুব সহজেই।

ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট
অপরিচিত ব্যবহারকারীদের থেকে অযাচিত মেসেজগুলোর ক্ষেত্রে সুরক্ষা প্রদান করে ফিচার। ‘ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট’ ব্যবহার করে আপনি যোগাযোগ স্থাপন না হওয়া পর্যন্ত অপরিচিত বা অনাকাঙ্ক্ষিত মানুষদেরকে দূরে রেখে নিজের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখতে পারবেন। কার সাথে যোগাযোগ রাখবেন এবং কার সাথে রাখবেন না, সেই সিদ্ধান্ত থাকবে আপনার হাতে।

সিম কার্ড বাইন্ডিং
সিম কার্ড বাইন্ডিং ফিচারটির মাধ্যমে ইমো ব্যবহারকারীদের নিজস্ব ফোনের সিম কার্ডের সাথে ইমো অ্যাকাউন্টটি আবদ্ধ থাকে। এতে করে শুধুমাত্র সিম কার্ড সংলগ্ন ডিভাইসটিতেই অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করা যায়। যেহেতু অন্যান্য ডিভাইসে অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করা যায় না, সেহেতু হ্যাকিংয়ের সুযোগও কমে আসে। এমন একটি ফিচার বিশ্বে প্রথমবারের মত চালু করেছে ইমো।


আরও খবর



রোগীদের পানাহার সম্পর্কে মহানবী (সা.)-এর উপদেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | ৩১জন দেখেছেন

Image

ইসলামিক ডেস্ক : অসুস্থ হলে অনেকের খাবারের চাহিদা কমে যায়। অনেক সময় আমরা তাদের জোর করে খাবার দিতে চেষ্টা করি। এটি সমীচীন নয়। উকবা ইবনু আমির (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমরা তোমাদের রোগীদের পানাহারের জন্য জোর-জবরদস্তি কোরো না।

কেননা আল্লাহ তাদের (বিশেষভাবে) খাওয়ান এবং পান করান। (তিরমিজি, হাদিস : ২০৪০, ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৪৪৪)

এই হাদিসের ব্যাখ্যা হলো, মহান আল্লাহ অসুস্থ ব্যক্তিকে ক্ষুধার যন্ত্রণা ও পিপাসার ওপর ধৈর্য ধারণ করার ক্ষমতা দান করেন।

ইবনুল কাইয়িম (রহ.) লিখেছেন, ‘রোগীর পানাহারে ইচ্ছা না থাকার পেছনে হতে পারে রোগীর শরীর তখন রোগ নির্মূল করার কাজে ব্যস্ত থাকে, অথবা তার চাহিদা শেষ হওয়া, অথবা শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা কমে যাওয়া কিংবা নিঃশেষ হয়ে যাওয়ার কারণে পানাহারের চাহিদা কমে থাকতে পারে। 

মোটকথা, কারণ যা-ই হোক, এ অবস্থায় রোগীকে খাবার খেতে বাধ্য করা কোনোভাবেই সমীচীন নয়।

আর মানুষ যখন রোগাক্রান্ত হয়, তখন মানব স্বভাব রোগের মূল উৎস চিহ্নিত করে তা প্রতিহত করার প্রতি মনোনিবেশ করে। তাই এ সময় রোগীর মধ্যে খাবার-পানীয় গ্রহণের চাহিদা বেশি থাকে না।’ (আত-তিববুন নববী, পৃষ্ঠা-১৫২)


আরও খবর



শিশুর বেছে বেছে খাবার খাওয়ার অভ্যাস দূর করবেন যেভাবে

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৩৯জন দেখেছেন

Image

সাধারণত অভিভাবকরা মনে করেন যে শিশুরা সব ধরনের খাবার নাও খেতে পারে। প্রি-প্যাকেজড কিড-সাইজ স্ন্যাকস যেমন চিকেন নাগেটস, স্যান্ডউইচ শিশুদের পছন্দের খাবার। কিন্তু মায়েরা সচরাচর এমন খাবার শিশুদের খেতে দিতে চান না যদি শিশুটি জোর না করে। শিশুর জন্য অভিভাবকরা যে ধরণের খাবার তৈরি এবং পরিবেশন করে সেটি পরিবর্তন করা দরকার। কিন্তু বাবা-মা চাইলেই তাদের দুশ্চিন্তা দূর করতে পারে যদি তারা কিছু নিয়ম মেনে চলে। আসুন জেনে নিই সেই নিয়মগুলো-

১. খাবারকে না বলা চলবে না
বাসায় শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্কদের কোনো খাবার নিয়ে অভিযোগ করার সুযোগ রাখবেন না। এর মানে তাদের সব খাবারই খেতে হবে তেমনও নয়। কিন্তু খাবারকে না বলা চলবে না। সব খাবার শরীরে পুষ্টি জোগায়। শিশুদেরকে এটি বোঝানো উচিত। প্রত্যেক খাবারেরই নিজস্ব গুণ আছে। যারা অনেক কষ্ট করে রান্না করে শিশুরা খাবার না খেলে তারাও মনে কষ্ট পায়। ক্ষুধার্ত না থাকলে কাউকে খাবারের জন্য জোর করা উচিত নয়। খাবারের টেবিলে অবশ্যই খুশি মনে বসতে হবে। তাতে খাদ্য পরিপাক ভালোভাবে হয় এবং ভালো ঘুমও হয়। যেকোনো খাবার নিয়ে বলা উচিত না যে এটা ভালো না। এতে শিশু পরবর্তীতে ওই খাবার আর খেতে চায় না।

২. খাবার খাওয়াকে স্বাভাবিক অভ্যাস হিসেবে গড়ে তুলুন
শিশুরা খাবার খায় শরীরে পুষ্টি জোগাতে। তাই অভিভাবকের উচিত সঠিক নিয়মে খাবার দেওয়া। খাবার শেষ করতে পারলে পুরস্কার পাবে- শিশুকে কখনো এ ধরনের কথা বলবেন না। তাহলে ওরা ধরে নেবে যে খাবার খাওয়া একটি কষ্টের কাজ যা শেষ করতে পারলে পুরস্কার পাওয়া যায়। বরং খাবার খাওয়াকে প্রতিদিনের সাধারণ অভ্যাস হিসেবেই গড়ে তুলুন। এমনকী শিশুর জন্মদিনেও অনেক পদের আয়োজন করার প্রয়োজন নেই। এর বদলে তাকে এই বিশেষ দিন উপলক্ষে পছন্দের কিছু কিনে দিন, ঘুরতে নিয়ে যান। আবার শাস্তি হিসাবে কখনোই শিশুর খাবার বন্ধ করা ঠিক না। এতে শিশু মনে কষ্ট পাবে এবং দুর্বল হয়েও পরবে। তবে অস্বাস্থ্যকর খাবারও দেয়া চলবে না। তাদেরকে বুঝাতে হবে কোনটি তাদের জন্য ঠিক। শিশুদেরকে খুশি রাখতে মাঝে-মধ্যে তাদের জন্য ভালো খাবার রান্না করা উচিত । এতে তাদের মনও ভালো থাকবে এবং তারা খুশিও হবে। মূলত যখন তারা কোনো ভালো কিছু করবে তখন তাদের উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে এটি করতে পারেন। কিন্তু কোন খারাপ কাজ করলে শাস্তি না দিয়ে অবশ্যই বোঝাতে হবে।

৩. শিশুর ক্ষুধা নষ্ট হতে দেবেন না
অনেকেরই খাওয়ার সময় চলাফেরা করার অভ্যাস রয়েছে যার ফলে ক্ষুধা নষ্ট হয়ে যায়। বিশেষ করে শিশুরা নানা অজুহাতে এই কাজটি করে থাকে। কিন্তু তাতে আরও ক্ষতি হয়ে যায়। তাই এই কাজ তাদের করতে দেয়া যাবে না। সঠিক সময়ে খাবার দিলে শিশুরা যেকোনো খাবারই খুশি হয়ে খেয়ে নেয়। এতে তাদের খালি পেটেও বেশিক্ষণ থাকতে হয় না। পরবর্তী খাবারের জন্যও তারা উৎসাহিত থাকে। অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার জন্য ক্ষুধাকে অজুহাত হতে দেয়া যাবে না। শিশুর ক্ষুধা নিবারণে হালকা নাস্তা খাওয়ার অভ্যাস হতে দেয়া যাবে না।

৪. পারিবারিক কার্যকলাপের একটি অংশ
টিভি দেখার সময় শিশুকে খাওয়ানোর অভ্যাস করা উচিত নয়। তাতে সে পরিবারের সঙ্গে খাবার খাওয়ার আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়। শিশুরা পরিবারের সবার সঙ্গে খাবার খেলে তাদের সঙ্গে মধুর সম্পর্ক গড়ে উঠবে। সবার সঙ্গে খাবার খেলে শিশুরা গল্প করতে পারবে এবং পরিবারের সবার প্রতি টানও কাজ করবে। সবার জন্যে অবশ্যই একই রকমের খাবারের ব্যবস্থা করা উচিত, তাতে সবাই মিলেমিশে খাওয়াদাওয়া করা শিখবে। খাবারের সময়টি পারিবারিক কাজের অন্তর্ভুক্ত। তাই এই সময় বাকি যেকোনো কাজ থেকে দূরে থাকা উচিত।

৫. চেষ্টা করুন, আবার চেষ্টা করুন
যেসব শিশু খাবার বেছে খায় তদেরকে সুন্দর করে খাবারে পরিবেশন করতে হবে। যাতে খাবারগুলো তাদের কাছে সুস্বাদু লাগে এবং খুশি হয়ে খায়। বাচ্চারা যখন কোন খাবার পছন্দ না করে তখন তারা ভিন্ন খাবারের বায়না ধরে, তখন অভিবাবকরা শুধু বোঝায় যে খাবারগুলো স্বাস্থ্যসম্মত। শিশু কোনো খাবার খেতে না চাইলে তাকে জোর করা উচিত নয়। বরং বোঝাতে হবে যে এটি তাদের জন্য উপকারী।


আরও খবর

শুষ্ক ত্বকের যত্নে মধু

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩

শীতে লালশাক কেন খাবেন?

সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩




রাশিয়ার পর এবার অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি থেকে সরে গেল ন্যাটো

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৫৩জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়ার সঙ্গে স্বাক্ষরিত অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক একটি চুক্তি স্থগিত করেছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো। রাশিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে ন্যাটোর সঙ্গে ইউরোপে প্রচলিত অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক চুক্তি বা সিএফই থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর এই পদক্ষেপ নিলো ন্যাটো।

ক্রেমলিন বলেছে, স্নায়ু যুদ্ধের সময় সই হওয়া ওই চুক্তি অনেকটা অকেজো হয়ে পড়েছিল এবং এটি এখন বাস্তবতা বিবর্জিত হয়ে গেছে। ১৯৯০ সালে শীতল যুদ্ধের একেবারে শেষদিকে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে ন্যাটো জোটের ‘ট্রিটি অন কনভেনশনাল আর্মড ফোর্সেস ইন ইউরোপ’ বা সিএফই চুক্তি সই হয়েছিল। চুক্তিতে ইউরোপে মোতায়েন ট্যাংক, সাঁজোয়া যান, কামান, হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমানের সংখ্যা সীমিত রাখার কথা বলা হয়েছে।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি সিএফই থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে বলেছে, সিএফই শেষ পর্যন্ত ইতিহাসে রূপান্তরিত হলো। রাশিয়া এই চুক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য ২০০৭ সালে প্রাথমিক পদক্ষেপ নিয়েছিল।

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, প্রকৃতপক্ষে এই চুক্তি কিছু ক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রেখেছে ঠিকই, তবে এটিকে বৃহত্তর পরিসরে ন্যাটো জোট উপেক্ষা করেছে। ফলে এই চুক্তি রাশিয়ার স্বার্থ রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে।

একই দিন ন্যাটো এক বিবৃতি প্রকাশ করে মস্কোর এ সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, রাশিয়ার এ পদক্ষেপে ইউরো-আটলান্টিক অঞ্চলের নিরাপত্তাকে পদ্ধতিগতভাব অবজ্ঞা করা হয়েছে। 

বিবৃতিতে বলা হয়, রাশিয়া সিএফই থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর ন্যাটোর পক্ষ থেকে এটি মেনে চলার কোনো অর্থ হয় না কারণ, তা ‘অস্থিতিশীল’ পরিস্থিতি তৈরি হবে। সূত্র: ন্যাটো, রয়টার্স 


আরও খবর