Logo
আজঃ শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3
শিরোনাম

মানসিক চাপ কমাবে যেসব খাবার

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৩০জন দেখেছেন

Image

আমাদের শরীরের ওপর আমরা যা খাচ্ছি তার প্রভাব পরে। কিন্তু জানেন কী খাদ্যাভ্যাসের প্রভাব আমাদের মনের ওপরেও পরে? প্রতিদিন বিভিন্ন কারণে আমাদের অনেক মানসিক চাপ ও স্ট্রেসের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। স্ট্রেসের কারণ রক্তচাপসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। তাই মানসিক চাপ মুক্ত থাকা অনেক বেশি প্রয়োজন।

অনেকে অতিরিক্ত চাপে থাকলে অস্বাস্থ্যকর খাবার খান। এছাড়া অনেকের চা, কফির মতো ক্যাফেইন যুক্ত খাবারের প্রবণতাও বেড়ে যায়। তবে এইসব খাবার সাময়িকভাবে ভালো লাগা তৈরি করলেও দীর্ঘ স্থায়ীভাবে অস্বাস্থ্যকর খাবার বিষণ্ণতা, উদ্বেগ ও স্ট্রেসের মতো সমস্যার বাড়িয়ে দেয়। তাই মানসিক চাপ কমাতে প্রয়োজন সঠিক খাদ্যাভ্যাস।

অতিরিক্ত মানসিক চাপে থাকলে দেহে ফ্রি র‍্যাডিকেল তৈরি হয় যা ক্যান্সারের মতো অনেক জটিল রোগের সৃষ্টি করতে পারে। মানসিক চাপের ধকল নিতে শরীরের অতিরিক্ত ক্যালরি খরচ করতে হয় ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে ওজন কমে যায়। স্ট্রেসের ফলে অনেকে অতিক্ত খারিবার গ্রহণ করে আবার অনেকে খাবারের অনিয়ম করে। দুটোই শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। গবেষণায় দেখা গেছে, দুশ্চিন্তা কিংবা মানসিক চাপে থাকলে শরীরের ম্যাগনেসিয়ামের মাত্রা কমে যায়।

তাই মানসিক চাপে থাকলে শরীরের ম্যাগনেসিয়াম ব্যালেন্স করতে ম্যাগনেসিয়াম যুক্ত খাবার খেতে হবে। ম্যাগনেসিয়ামের অভাব হলে অস্টিওপোরেসিসের সমস্যা হতে পারে। হাড় দুর্বল ও ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে প্রবল। তাছাড়া ম্যাগনেসিয়ামের অভাব হলে মন খারাপ ও বিষন্নতা বেড়ে যায়। অতিরিক্ত ঘাটতি হলে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। তাই চাপমুক্ত থাকার জন্য খেতে পারেন কাঠবাদাম। এতে প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। কাঠবাদাম যখন তখন অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রবণতাকে কমিয়ে দেয়। এছাড়া সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে।

অনেক সময় অতিরিক্ত চাপে রক্তে সুগারের পরিমাণ কমে আসে তখন খেজুর কিংবা কিশমিস খেতে পারেন। এতে রয়েছে প্রাকৃতিক সুগার যা শরীরের খুব বেশি ক্ষতি করে না। তবে ডায়বেটিস থাকলেও প্রাকৃতিক সুগারও বুঝে খেতে হবে। প্রতিদিনের খাবারের প্রোটিন থাকা অনেক বেশি জরুরি। কিন্তু মানসিক চাপে থাকলে প্রোটিনের উৎস হিসেবে মাছ রাখুন। মাছ স্ট্রেস্ট হরমোনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তৈলাক্ত মাছে বিদ্যমান ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যা উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে। ঢেঁড়সের নাম শুনলে অনেকেই নাক ছিটকাতে পারে কিন্তু ঢেঁড়স আমাদের শরীরে ডোপামিন রিলিজের পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে। ডোপামিনের ওপরই আমাদের মানসিক অবস্থা নির্ভর করে, এটি আমাদের সুখের ও ভালোলাগার অনুভূতি দেয়। 

এমন একটি খাবার আমাদের মানসিক চাপ কমাতে পারে যার নাম শুনলে অনেকেই খুশি হবেন তা হলো ডার্ক চকলেট। এটি আমাদের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। চেষ্টা করতে হবে প্রতিদিন ২০ গ্রাম ডার্ক চকলেট খেতে। কথায় আছে প্রতিদিন একটি আপেল খেলে ডাক্তার থেকে দূরে থাকা যায়। আপেল যে শুধু আমাদের শরীর ভালো রাখে তা নয়। আস্ত একটি আপেল খেলে আমাদের মনের চাপও কমে আসে। এছাড়া গাজর খাওয়া যেতে পারে। খাবারের তালিকায় রাখুন কমলা লেবু। মন খারাপ থাকলে কমলা লেবু খেলে মূহুর্তেই আপনার মন প্রফুল্ল হতে পারে।

মানসিক চাপে থাকলে ক্ষুধা বেড়ে যেতে পারে ও জাঙ্ক ফুড এর প্রতি আকর্ষণ বেড়ে যেতে পারে। জাঙ্ক ফুড খাওয়ার প্রবণতা কমাতে খেতে পারেন মিষ্টি আলু। মিষ্টি আলু খেতেও মজাদার ও  এর ফলে অনেক অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়িয়ে যাওয়া যায়। প্রতিদিন একটি কলা খান, কলা বিষণ্ণতা কমায় ও মন ভালো রাখে।

মানসিক চাপে থাকলে ভাজাপোড়া ও অস্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি নির্ভরশীল না হয়ে নিজের খাদ্যাভ্যাসের স্বাস্থ্যসম্মত খাবার যোগ করুন। আমাদের অজান্তেই অস্বাস্থ্যকর ও অতিরিক্ত তেল জাতীয় খাবার আমাদের মানসিক চাপকে অনেক বেশি বাড়িয়ে দেয়। শরীরকে সুস্থ রাখার মতোই মানসিক ভাবে অসুস্থ থাকতে প্রয়োজন রুটিন মাফিক জীবন। সঠিক খাদ্য অভ্যাসের পাশাপাশি প্রতিদিন নিয়ম মেনে ব্যায়ামও কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটির অভ্যাস করতে হবে।


আরও খবর

শুষ্ক ত্বকের যত্নে মধু

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩

শীতে লালশাক কেন খাবেন?

সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩




তোদের জ্বলবে, আমার তাতেই চলবে: শবনম বুবলী

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৪৩জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক : সম্প্রতি গান বাংলা চ্যানেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কৌশিক হোসেন তাপসের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জনে বিতর্কের মুখে পড়েছেন ঢালিউড অভিনেত্রী শবনম বুবলী। এতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বুবলীকে কটাক্ষ করে পোস্টও করেছিলেন অভিনেত্রী পরীমণি। এছাড়া অপু বিশ্বাসও বিভিন্ন আকার ইঙ্গিতে দিচ্ছেন খোঁচা। এবার সামাজিক মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে সরব হলেন বুবলী। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ ফুরফুরে মেজাজে নাচের ভঙ্গিমায় একটি ভিডিও পোস্ট করেন বুবলী। ওয়াইন কালার লেহেঙ্গায় নায়িকার চোখে-মুখে ছিল ব্যাপক উচ্ছ্বাস। পাশাপাশি ব্যাকগ্রাউন্ডে চলছিল একটি গান। আর এই গানের মাধ্যমেই সমালোচকদের কটাক্ষের জবাব দেন বুবলী।

ওই ভিডিওতে চলছিল নেটদুনিয়ার ভাইরাল গান ‘তোদের জ্বলবে, আমার তাতেই চলবে’র কিছু অংশ। যেখানে শোনা যায়, হ্যা, আমায় দেখে জ্বলছে যারা চাইছি তাদের বলতে। পিএনপিসি না করে তুই তোর চরকায় তেল দে। যাদের ভাবি বড্ড কাছের, আমার আপনজন, তারাই আবার করছে কাঠি। সামনে প্রিয়জন যতই করিস হিংসা তোরা, আমি বড়োই বেপরোয়া ভয়ডর নেই। যে যা বলুক, বলবে। তোদের জ্বলবে, আমার তাতেই চলবে'।

বুবলী ওই ভিডিওটি পোস্ট করার পর কমেন্টবক্সেও ভক্তরা জানান, নিন্দুকদের এই গান দিয়ে জবাব দিলেন অভিনেত্রী। সঙ্গে এটাও বোঝালেন, তাকে নিয়ে নিন্দুকেরা যতোই কটাক্ষ করুক, বুবলী আছেন তার মতো করেই। সমালোচকদেরকে নিয়ে তার কোনো মাথা ব্যথাই নেই। এমনকি কাউকে তিনি ভয়ও পান না।


আরও খবর



গাজার আল-শিফা হাসপাতালে অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৪৯জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অবরুদ্ধ গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফায় ঢুকে পড়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ভিত্তিহীন গোয়েন্দা সূত্রে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, ‘ওয়াশিংটনের কাছে তথ্য রয়েছে হামাস আল-শিফাসহ গাজার হাসপাতালগুলোতে অবস্থান করছে।’

এ কথা বলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শুরু হয়েছে অভিযান।

গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল শিফায় ট্যাংক ও বুল্ডোজার নিয়ে ঢুকেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। হাসপাতালটিতে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সদস্যরা লুকিয়ে আছেন ও সেখান থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন বলে আগে থেকেই অভিযোগ জানিয়ে আসছিল ইসরায়েল। তবে ফিলিস্তিন এ অভিযোগ সবসময়ই অস্বীকার করেছে। তারা বলছে, ইসরায়েলকে আরও উসকে দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।

ইসরায়েল বলছে, এ অভিযান ‘প্রয়োজন’ ছিল।

অন্যদিকে গাজার সব হাসপাতাল পরিদর্শনের জন্য জাতিসংঘের প্রতি একটি আন্তর্জাতিক কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়েছে হামাস। আবার আল-শিফা হাসপাতালের কর্মচারী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, ‘হামাস হাসপাতালকে ব্যবহার করছে না। হাসপাতালের নিচে কোনো ঘাঁটি নেই। শুধু শুধু হাসপাতালগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল।’

এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হাসপাতালে অভিযানের পেছনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দায়ী বলে অভিযোগ করেছে হামাস। তারা মনে করছে, বাইডেন এ বিষয়ে ইসরায়েলকে ইন্ধন দিচ্ছে।

তবে ইসরায়েলের দাবি, আল শিফা হাসপাতালের নিচে হামাসের ভূগর্ভস্থ ঘাঁটি রয়েছে। তারা বেসামরিকদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। তবে এই দাবি অস্বীকার করেছে হামাস।


আরও খবর



শীতে লালশাক কেন খাবেন?

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৮জন দেখেছেন

Image

শীতের হাওয়া বইতে শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সবুজ শাক-সবজির আধিক্য দেখা যায়, যা আমাদের মৌসুমী খাদ্যের প্রধান উপাদান হয়ে ওঠে। সরিষা শাক এবং পালং শাক সাধারণত বেশি খাওয়া হয়। মেথি এবং বথুয়া শাকও খাওয়া হয়। এই সবুজ শাকগুলোর অনেক উপকারিতা রয়েছে। তবে শুধু সবুজ শাক নয়, লাল রঙের শাক লালশাকেও আছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। শীতের সময়ে সবুজ শাকের পাশাপাশি পাতে থাকুক লালশাকও।

লালশাক

লালশাকে ভিটামিন এ এবং সি, ফাইবার, ফোলেট, আয়রন এবং ক্যালসিয়ামসহ অনেক পুষ্টি থাকে। যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারিতা নিয়ে আসে। নিয়মিত লালশাক খেলে তো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। শীতকালীন ডায়েটে লালশাক রাখার উপকারিতা চলুন জেনে নেওয়া যাক-

১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
লালশাকে প্রচুর প্রোটিন এবং ভিটামিন সি রয়েছে। যা শীতের মাসগুলোতে সক্রিয়ভাবে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। এটি মৌসুমী রোগের বিরুদ্ধে কার্যকর ঢাল হিসেবে কাজ করে। তাই শীতের সময়ে লালশাক খেতে হবে নিয়মিত।

২. হজমক্ষমতা বাড়ায়
যারা হজমের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য একটি উপকারী খাবার হতে পারে লালশাক। কারণ লালশাকের উচ্চ ফাইবার উপাদান পাচনতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে কাজ করে, এটি কোষ্ঠকাঠিন্য এবং গ্যাস সংক্রান্ত সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।

৩. চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
ভিটামিন এ স্বাস্থ্যকর চোখ বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য। লালশাকে প্রচুর ভিটামিন এ রয়েছে। নিয়মিত এই শাক খেলে তা চোখের বিভিন্ন সমস্যা প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। তাই চোখ ভালো রাখতে এই শাক পাতে রাখতে হবে।

৪. রক্ত বিশুদ্ধ করে
লালশাক রক্ত পরিশোধনকারী বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। এই শাক আপনার শীতকালীন খাদ্যতালিকায় যোগ করলে তা স্বাস্থ্যকর ত্বক এবং বিশুদ্ধ রক্ত তৈরিতে অবদান রাখে। বুঝতেই পারছেন, লাল রঙের এই শাক আপনার জন্য কতটা প্রয়োজনীয়?

৫. হিমোগ্লোবিনের মাত্রা উন্নত করে
লৌহ সমৃদ্ধ লালশাক রক্তস্বল্পতার রোগীদের জন্য উপকারী একটি খাবার। নিয়মিত লালশাক খেলে তা হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে, এটি রক্তের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে। তাই হিমোগ্লোবিনের মাত্রা উন্নত করার জন্য নিয়মিত লালশাক খেতে হবে।

৬. ক্ষুধা বৃদ্ধি করে
খাবারে অরুচি হলে তা আপনার স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলবে। তাই এমন খাবার খেতে হবে যা ক্ষুধা বাড়াতে কাজ করে। তেমনই একটি খাবার হলো লালশাক। এই শাক আপনার ক্ষুধা বৃদ্ধিতে কাজ করবে। তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে লালশাক রাখতে হবে খাবারের তালিকায়।


আরও খবর

শুষ্ক ত্বকের যত্নে মধু

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩

পেটের মেদ কমাবে আদা ও তুলসি পাতা

বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩




এইচএসসি ও সমমানে পাসের হার ৭৮.৬৪ শতাংশ

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | ১২জন দেখেছেন

Image

চলতি বছরের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে গড় পাসের হার ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ। ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের গত বছরের চেয়ে এবার পাসের হার কমেছে ৭ দশমিক ৩১ শতাংশ। গত বছর পাসের গড় হার ছিল ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

২৬ নভেম্বর বেলা ১১টায় ওয়েবসাইট ও স্ব-স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফল প্রকাশ করা হয়। এর আগে সকাল ১০টায় এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলের সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেওয়া হয়।

দুপুর ২টায় সংবাদ সম্মেলনে ফলের সার্বিক বিষয় তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, পাসের হারেও এগিয়ে ছাত্রীরা। ছাত্রীদের পাসের হার ৮০ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ছাত্রদের পাসের হার ৭৬ দশমিক ৭৬ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯২ হাজার ৩৬৫ শিক্ষার্থী । গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ১ লাখ ৭৬ হাজার ২৮২ জন।

ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৮০ দশমিক ৬৫ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৭৩ দশমিক ৮১ শতাংশ, কুমিল্লায় পাসের হার ৭৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ, রাজশাহীতে ৭৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ, সিলেট বোর্ডে ৭১ দশমিক ৬২ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭০ দশমিক ৪৪ শতাংশ, ময়মনসিংহে ৭০.৪৪ শতাংশ ও যশোরে ৬৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ বলে জানা গেছে।

গত ১৭ আগস্ট শুরু হয়েছিল এ বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এ বছর দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেন ১৩ লাখ ৪৪ হাজার ৩৪২ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ৮৮ হাজার ৮৮৭ জন এবং ছাত্রী ৬ লাখ ৭০ হাজার ৪৫৫ জন। সারাদেশে মোট কেন্দ্র সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৬৫৮টি এবং মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৯ হাজার ১৬৯টি। এর আগে ২০২২ সালে সব বোর্ড মিলিয়ে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১২ লাখ ৩ হাজার ৪০৭ জন। সেই হিসাবে এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে এক লাখ ৫৫ হাজার ৯৩৫ জন ।

যেভাবে জানা যাবে ফল
বেলা ১১টায় পর স্ব স্ব কলেজ ও শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটে একযোগে পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এবার শিক্ষার্থীরা কলেজে না গিয়ে ঘরে বসেই ফল দেখতে পারবে। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফল জানতে শিক্ষার্থীকে প্রথমে এ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।

সেখানে থাকা ফলাফল অপশনে ক্লিক করে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে সাবমিট করলেই শিক্ষার্থী তার রেজাল্ট শিট দেখতে পারবে। ঢাকা বোর্ডের ওয়েবসাইটে রেজাল্ট ক্লিক করে প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন এন্ট্রি করে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে।

এছাড়া এসএমএসের মাধ্যমে ফল পেতে মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে ইংরেজি অক্ষরে এইচএসসি (HSC) লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে আবার স্পেস দিয়ে পাসের বছর লিখতে হবে। এরপর ১৬২২২ নম্বরে সেন্ড করতে হবে। ফিরতি ম্যাসেজে ফল পাওয়া যাবে।

ঢাকা বোর্ডের একজন পরীক্ষার্থীকে HSC DHA 123456 2023 লিখে পাঠাতে হবে 16222 নম্বরে। সঙ্গে সঙ্গেই ফিরতি এসএমএসে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।

মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে শিক্ষা বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২৩ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে (যেমন HSC Dha 123456 2022 send to 16222)। ফিরতি এসএমএসেই ফল পাওয়া যাবে।

আলিমের ফল পেতে ALIM লিখে স্পেস দিয়ে Mad লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২৩ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। কারিগরি বোর্ডের ক্ষেত্রে HSC লিখে স্পেস দিয়ে Tec লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২৩ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠালে ফিরতি এসএমএসে ফল জানানো হবে।


আরও খবর



আজ শেষ হচ্ছে স্কুল ভর্তির আবেদন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | ৩৫জন দেখেছেন

Image

প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল ভর্তির জন্য আবেদনপত্র নেওয়া শেষ হচ্ছে মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর)। দেশের সব সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির আবেদন বিকেল ৫টায় শেষ হচ্ছে। গত ২৪ অক্টোবর অনলাইনে আবেদন শুরু হয়। এ বছর আবেদন ফি ১১০ টাকা। ভর্তিচ্ছুরা সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয় পছন্দক্রমে রাখতে পারছে।

এর আগে টেকনিক্যাল কারণে এক দফায় আবেদনের সময় দুইদিন বাড়ানো হলেও এ সময় আর বাড়ছে না বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) ‌

মাউশি জানিয়েছে, দেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণি ও আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে দ্বিতীয় থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। কোনো শ্রেণির কোনো শাখাতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না।

‘জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০’ অনুযায়ী প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর বয়স ৬ বছরের বেশি হতে হবে। পরবর্তী শ্রেণিতে বয়স নির্ধারণের বিষয়টি প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে প্রযোজ্য হবে।

শিক্ষার্থীর বয়স নির্ধারণের জন্য ভর্তির আবেদন ফরমের সঙ্গে অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের বয়স নির্ধারণে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া যাবে।

শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য অনলাইন আবেদন ও লটারির তারিখ নির্ধারণ করবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর কারিগরি সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান আবেদন ও ডিজিটাল লটারির যাবতীয় তথ্য ঢাকা মহানগরের ভর্তি কমিটির কাছে জমা দেবে। এরপর মাউশির তত্ত্বাবধানে ঢাকা মহানগরের ভর্তি কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে লটারির কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।

সারাদেশের ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অনলাইনে প্রাপ্ত আবেদনের ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ নীতিমালা অনুযায়ী শ্রেণিভিত্তিক শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে। ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত প্রথম লটারির সমসংখ্যক শিক্ষার্থী নিয়ে প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকা নির্বাচন করতে হবে। পরে প্রয়োজন হলে লটারির মাধ্যমে দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকা প্রস্তুত করতে হবে।


আরও খবর