Logo
আজঃ শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3
শিরোনাম

মাটির ওপরে-নিচে থাকা হামাসের সকল সদস্য মারা যাবে: নেতানিয়াহু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৬ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৮৯জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে স্থল অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এমন তথ্যই জানিয়েছেন। তবে সেই অভিযান কখন পরিচালনা করা হবে, সেটি জানাতে অস্বীকার করেছেন তিনি।

এছাড়া গাজা ভূখণ্ডে ‘হাজার হাজার’ সন্ত্রাসীকে হত্যার দাবি করেছেন তিনি। তার দাবি, এটা ‘কেবল শুরু’। এমনকি মাটির ওপরে-নিচে ও গাজার ভেতরে-বাইরে থাকা হামাসের সকল সদস্যকে হত্যার হুমকিও দেন নেতানিয়াহু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় স্থল আক্রমণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং চলমান যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর হামাসের নজিরবিহীন হামলার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করা হবে বলে বুধবার জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

এদিন এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমরা গাজায় স্থল আক্রমণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। তবে কখন সেই আক্রমণ হবে সেটির আরও বিশদ বিবরণ না দিয়ে বিষয়টি যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার মাধ্যমে নির্ধারিত হবে জানিয়েছেন নেতানিয়াহু। ইয়েদিওথ আহরনোথ সংবাদপত্র এই তথ্য সামনে এনেছে।

নেতানিয়াহু দাবি করেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে হাজার হাজার সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছি এবং এটি কেবল শুরু। একইসঙ্গে আমরা স্থল আক্রমণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। তবে সেটি কখন হবে, কিভাবে বা কত সেনা তাতে অংশ নেবে সে সম্পর্কে আমি বিস্তারিত বলব না। আমরা যে বিভিন্ন হিসাব-নিকাশ করছি তাও আমি বিস্তারিত বলব না। এসব বিষয়ে জনসাধারণ বেশির ভাগই জানেন না, এবং এগুলো এভাবেই হওয়া উচিত।’

তিনি বলেন, অভিযানের দুটি লক্ষ্য রয়েছে: ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের সক্ষমতা ধ্বংস করা এবং বন্দিদের মুক্ত করার জন্য সম্ভাব্য সবকিছু করা। ইসরায়েলি এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মাটির ওপরে ও নিচে এবং গাজার ভেতরে এবং বাইরে থাকা হামাসের সকল সদস্য মারা যাবে।’

প্রসঙ্গত, মুসলিমদের তৃতীয় পবিত্র ধর্মীয় স্থান আল-আকসা মসজিদের পবিত্রতা লঙ্ঘন এবং অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের অত্যাচারের জবাব দিতে গত ৭ অক্টোবর ‘অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড’ নামে একটি অভিযান চালায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। হামাসের এই অভিযানে কার্যত হতবাক হয়ে পড়ে ইসরায়েল।

হামাসের এই হামলায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৪০০ ইসরায়েলি। নিহতদের মধ্যে ২৮৬ জন সেনাসদস্য রয়েছে বলে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়েছে। হামাসের হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৪ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি। এছাড়া আরও দুই শতাধিক মানুষকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে গেছে হামাস।

হামাসের হাতে আটক বিপুল এসব বন্দির মধ্যে ইসরায়েলি-আমেরিকান দ্বৈত নাগরিকও রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু নিজেও গাজায় আটক সব বন্দির নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন।

বুধবার তিনি বলেন, গত ৭ অক্টোবরের সামরিক ও গোয়েন্দা ব্যর্থতার বিষয়ে যে কেলেঙ্কারি হয়েছে তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করা হবে। তার দাবি, ‘সবাইকে উত্তর দিতে হবে। আমাকেও। কিন্তু এসব হবে যুদ্ধের পরই।’

নেতানিয়াহু অবশ্য এর আগে হামাসের হামলার পূর্বাভাস এবং প্রতিরোধে ব্যর্থতার দায়ভার গ্রহণ করা থেকে বিরত ছিলেন। গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে নেতানিয়াহু বলেন, ‘এখন কেবল একটি লক্ষ্যের জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সময়: আর সেটি হচ্ছে বিজয়ের দিকে এগিয়ে যাওয়া’।


আরও খবর



পেটের মেদ কমাবে আদা ও তুলসি পাতা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ২৩জন দেখেছেন

Image

আমরা প্রায় সবাই জীবনের কোনো না কোনো সময়ে ওজন কমানোর চেষ্টা করি, বিভিন্ন টিপস এবং কৌশল নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করি। যদিও কিছু হ্যাক বিস্ময়করভাবে কাজ করে, তবে বেশিরভাগই ইতিবাচক ফল নিয়ে আসে না। ওজন কমানোর একটি নিয়ম যা ধারাবাহিকভাবে প্রভাবিত করে তা হলো ডিটক্স ওয়াটার। তুলসি, আদা এবং মধু দিয়ে তৈরি ডিটক্স ওয়াটার আপনার পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করবে।

তুলসি পাতা ওজন কমাতে সাহায্য করে
ডিকে পাবলিশিং হাউসের ‌‘হিলিং ফুডস’ বই অনুসারে, তুলসিতে ইউজেনল নামক একটি এসেন্সিয়াল অয়েল রয়েছে, যা জয়েন্ট এবং পাচনতন্ত্রের ওপর প্রদাহ বিরোধী প্রভাব ফেলে। তুলসি পাতা একটি হালকা মূত্রবর্ধক হিসাবে কাজ করে এবং এটি স্বাস্থ্যকর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যা ফ্রি র‌্যাডিক্যাল ক্ষতি থেকে শরীরকে রক্ষা করে।

ডাঃ শিখা শর্মা তার বই ‘১০১টি ওজন কমানোর টিপস’-এ উল্লেখ করেছেন, সকালে পানির সঙ্গে পাঁচ থেকে ছয়টি তুলসি পাতা খেলে তা শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে এবং মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। এটি ক্যালোরি পোড়াতে এবং প্রাকৃতিকভাবে টক্সিন দূর করতে শরীরকে সাহায্য করে।

আদা কীভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করে
আদার মধ্যে জিঞ্জেরল নামক একটি যৌগ রয়েছে। ‘হিলিং ফুডস’ বইতে উল্লেখ করা হয়েছে, এই যৌগ হজম এনজাইম উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে সামগ্রিক হজমশক্তি বাড়ায়। ফলস্বরূপ পেট ফাঁপা কমায় এবং হজমের কার্যকারিতা উন্নত করে শরীরের অতিরিক্ত চর্বি দূর করতে সহায়তা করে।

তুলসি-আদার ডিটক্স ওয়াটার কীভাবে তৈরি করবেন
রেসিপিটি সহজ। পাঁচ থেকে ছয়টি তাজা তুলসি পাতা এবং এক ইঞ্চি টুকরা আদা নিন। এগুলো এক গ্লাস পানিতে যোগ করুন এবং যতক্ষণ না এটি অর্ধেক কমে যায় ততক্ষণ সেদ্ধ করুন। ফুটানোর পরে পানি ছেঁকে নিন এবং সকালে খালি পেটে পান করুন। অতিরিক্ত স্বাদের জন্য এতে সামান্য মধুও যোগ করতে পারেন।

ওজন কমানোর যাত্রা সহজ করতে তুলসি-আদার ডিটক্স ওয়াটার আপনার সকালের একটি অংশ করুন। এই ডিটক্স ওয়াটার আপনার দৈনন্দিন রুটিনে যোগ করলে পরিবর্তনটা নিজেই বুঝতে পারবেন।সর্বদা মনে রাখবেন যে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জনের জন্য সংযম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সময় নিয়ে লেগে থাকুন। এতে ওজন কমানোর কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সহজ হবে।


আরও খবর

শুষ্ক ত্বকের যত্নে মধু

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩

শীতে লালশাক কেন খাবেন?

সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩




আবারও বাড়লো সোনার দাম

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ১৫জন দেখেছেন

Image

সোনার দাম আবারও বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়া‌নো হয়েছে। এর ফলে এ ক্যাটাগরির সোনার নতুন মূল্য হবে ১ লাখ ৯ হাজার ৮৭৫ টাকা (প্রতি ভরি)। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দাম। এর আগে সোনার রেকর্ড দাম ছিল ১ লাখ ৮ হাজার ১২৫ টাকা।  

২৯ নভেম্বর বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। ৩০ নভেম্বর থেকে নতুন দাম কার্যকর করা হবে।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ৯ হাজার ৮৭৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ৪ হাজার ৮৫৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৮৯ হাজার ৯২৯ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ৭৪ হাজার ৯৪১ টাকা।

সোনার দাম বাড়ানো হ‌লেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটের রুপার দাম (ভ‌রি) ১ হাজার ৭১৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ১ হাজার ৬৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ১৪০০ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১০৫০ টাকা।

এর আগে, দাম বাড়িয়ে গত ২৬ নভেম্বর সবশেষ সোনার মূল্য নির্ধারণ করেছিল বাজুস। যা ২৭ নভেম্বর থেকে কার্যকর হয়। আজকে পর্যন্ত ওই দাম অনুযায়ী ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা বিক্রি হয় ১ লাখ ৮ হাজার ১২৫ টাকায়। আর ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা বিক্রি হয় ১ লাখ ৩ হাজার ২২৬ টাকায়, ১৮ ক্যারেটের ৮৮ হাজার ৪৭১ টাকায় ও সনাতন পদ্ধতির সোনা বিক্রি হয় ৭৩ হাজার ৭১৮ টাকায়।

তারও আগে ১৮ নভেম্বর সোনার দাম বাড়ায় বাজুস, যা ১৯ নভেম্বর থেকে কার্যকর হয়। ওই সময় ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ছিল এক লাখ ৬ হাজার ৩৭৬ টাকা। এছাড়া, ২১ ক্যারেটের সোনার দাম ছিল ১ লাখ ১ হাজার ৫৩৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের সোনার দাম ছিল ৮৭ হাজার ১৩ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ছিল ৭২ হাজার ৫৫০ টাকা।


আরও খবর



ঋতু বদলে ঘরের নতুন সাজ

প্রকাশিত:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | ৫১জন দেখেছেন

Image

শীত আসার শুরুতেই প্রকৃতি যেন আলাদা এক চাদরে ঢাকা পড়তে থাকে। আর এসময় বাইরের হিম আঘাত থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে ঘরে আপনজনের সাথে কিছু সময় কাটাতে খুব বেশি সুখকর মনে হয়। কিন্তু এই মুহূর্তগুলো আরও বেশি উপভোগ্য হয় যখন পুরনো ঘর-বাড়িকে বদলে নিয়ে শীতের জন্য নতুনভাবে নতুন-সাজে সাজানো যায়। কারণ এই সাজানো ঘরই শীতের আমেজকে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তোলে।

এছাড়া দীর্ঘদিন একই সাজের ঘর, একই রঙের ফার্নিচার, পর্দা দেখতে দেখতে চোখে ও মনে একধরনের একঘেয়েমি চলে আসতেই পারে, আর তাই ঘরের সাজে একটু পরিবর্তন হলে মন্দ লাগেনা। এতে শীতকালীন আলসেমির মধ্যেও যেমন নতুন একটা পরিবেশ পাওয়া যায় তেমনি নতুন উদ্যমে কাজ করার স্পৃহাও জাগে। 

ঘরের আসবাবপত্রগুলোকে ঠিকঠাক নিয়মে না সাজাতে পারলে রুচি-বোধের ক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠা স্বাভাবিক। শীত আবহে অনেক দিন পর ঘরকে নতুন ভাবে সাজাতে ইন্টেরিয়র ডিজাইনার ইপন শামসুল কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। সে অনুযায়ী-ঘরকে নতুন ভাবে সাজাতে হলে প্রথমেই যে বিষয়কে মাথায় রাখা জরুরি সেটি হচ্ছে রঙ। শীতে যদিও আমাদের দেশে তুষার পড়ে না তবে এসময় সূর্যের আলোর প্রভাব কম থাকে। আর জন্যেই সাদা ও অন্যান্য উজ্জ্বল গোত্রের রঙকে বেছে নেওয়া যেতে পারে যেমন ধুসর, হালকা বাদামি, হালকা গোলাপি ধরনের রঙ। 

রঙ বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বেডরুমের দেয়াল হালকা নীলে রাঙানো যায়। ডাইনিং স্পেসটা ছোট হলে দেয়ালের একটা পার্ট লাল বা অন্য কোন ডার্ক রঙ ব্যবহার করা যায়। অন্যদিকে শিশুদের ঘরেও মাঝে মধ্যে পরিবর্তন দরকার। ছেলে শিশু হলে তার ঘরটি নীল, সবুজ রঙে আর মেয়ে শিশু হলে গোলাপি রঙে সাজালে মন্দ হয় না। 

রঙ বাছাইয়ের সঙ্গে সঙ্গে রুম এর অবস্থানকে সঠিক ভাবে নির্ধারণ করা জরুরি। এক্ষেত্রেও খেয়াল রাখতে হবে যেন রুম গুলোর অবস্থান বারান্দা বা ব্যালকনির পাশে। যার ফলে সকাল বেলার মৃদু শীতল বাতাস দিনের শুরুতেই এক দারুণ সজীবতার অনুভূতি জোগাবে।

বেডরুমের সজ্জায় যদি বেডের পেছনের দেয়ালকে হালকা টেক্সচার পেইন্ট করলে একটা প্রশান্তি অনুভব হবে যে কারো। এছাড়া বেডশিট, বালিশ, কুশন, কম্বল গুলোর রঙও যদি কাছাকাছি একই ধরনের হয় তাহলে দৃষ্টিনন্দন লাগবে। বেডের সাথেই একটা কাঠের ছোট কফি টেবিল রাখতে পারেন। তাছাড়া বারান্দায় একটা ইজি চেয়ারে বসে শীতল বাতাস দারুণ উপভোগ্য হতে পারে। 

শীত মৌসুমে ঘরের মেঝে সাজানোর অন্যতম প্রধান উপাদান হলো কার্পেট এবং ম্যাট। এর রঙ, সাইজ ভেদে সঠিক ব্যবহার নিঃসন্দেহে ঘরটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে সাহায্য করবে। কার্পেট শুধু মেঝেতে নয়, দেয়ালেও যদি ব্যাবহার করা হয় তাহলে দেয়ালকে দিতে পারে একটি চোখ ধাঁধানো রূপ। তবে অনেক সময় খারাপ তন্তুর তৈরি কার্পেট বা ম্যাট ঘরে থাকলে শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে। তাই এক্ষেত্রে কাশমিরি ম্যাটকে প্রধান্য দেওয়াই ভালো।

এছাড়া চেয়ার অথবা সোফায় আর্টিফিসিয়াল পশম দিয়ে তৈরি ছোটবড় কুশন ব্যবহার করা যেতে। এটি যথেষ্ট উষ্ণতর ও আরামদায়ক। তাছাড়া ফ্ল্যানেল ও ভেলভেটের তৈরি হালকা ওজনের ছোট কম্বলও ব্যবহার করা যেতে পারে যেকোনো জায়গায়।

শীতের রাতে ঘরের বিভিন্ন যায়গায় নানারকমের মোমবাতির ব্যবহার ঘরকে হালকা আলোকময় উষ্ণ রাখবে। এছাড়া আমাদের যেহেতু এখনো ফায়ারপ্লেসের ব্যবহার তেমন ভাবে শুরু হয়নি তাই শীতের শুরুতে ঘরের একটি জায়গায় রুম হিটার রাখার ব্যবস্থা করাই উত্তম।

তবে ঘরকে নতুনভাবে সাজাতে গেলে প্রত্যেকের সাধ ও সাধ্য দুইদিকই বিবেচনায় রাখতে হবে। সবাই চাইলেই চট করে পুরনো সব কিছুকে পাল্টে নতুন করে ক্রয় করা সম্ভব নাই হতে পারে। সেদিক বিচারে শুধুমাত্র ঘরের পর্দা বা বিছানার চাদরে ব্লক করে নতুনত্ব আনা যেতে পারে। এতে সাধ্যমত ঘরের সৌন্দর্য যেমন বাড়বে তেমনি খরচও কম হবে।


আরও খবর

শুষ্ক ত্বকের যত্নে মধু

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩

শীতে লালশাক কেন খাবেন?

সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩




কেন প্রয়োজন?

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | ২০জন দেখেছেন

Image

শরীরের সঙ্গে অনিয়ম করলে বডি ডিটক্সিফিকেশনের প্রয়োজন হয়। অনিয়ম মানে অনিয়ন্ত্রিত খাওয়া-দাওয়া করা থেকে শুরু করে পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া বোঝায়। সঠিকভাবে নিয়ম মেনে না চললে শরীরের যত্নের প্রয়োজন হয়। এর মানে হলো শরীর ডিটক্সিফিকেশন করতে হয়। বডি ডিটক্সিফিকেশন করার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি সঠিক পরিমাণে পানি খাওয়া। শরীরে ডিহাইড্রেটেড হতে না দেওয়া। তাহলে শরীরে জমে থাকা দূষিত পদার্থ বেরিয়ে আসবে। এছাড়াও ঠিকমতো পানি খেলে চুল এবং ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। হজমশক্তিতেও সমস্যা দেখা যাবে না, প্রদাহজনিত সমস্যা কমে যাবে।

বডি ডিটক্সের জন্য কী খাবেন

সবুজ শাক-সবজি : এই ধরনের শাক-সবজি ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এই উপকরণ শরীর থেকে সব ধরনের টক্সিন অর্থাৎ দূষিত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে। এছাড়াও সবুজ শাক-সবজি আমাদের শরীরে ভিটামিন এবং খনিজের যোগান দেয়। সার্বিকভাবে আমাদের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে। অনেকসময় শাক জাতীয় সবুজ সবজি হজম করতে একটু অসুবিধা হতে পারে। তাই একবারে অনেকটা পরিমাণে শাক না খাওয়াই ভালো।

লেবু পানি: সামান্য গরম পানির মধ্যে লেবুর রস এবং মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এই পানীয় হজমের সমস্যা দূর করে। শরীরের ভিতর থেকে যাবতীয় টক্সিন বা দূষিত পদার্থ বের করে আনে। এর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে এই পানীয়। হালকা গরম পানিতে লেবুর রস আর মধু মিশিয়ে খেতে পারলে আপনার ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকলে সেটাও দূর করে এই পানীয়।

হলুদ : অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপকরণ থাকে হলুদের মধ্যে। হালকা গরম দুধের মধ্যে কিছুটা হলুদ মিশিয়ে খেতে পারলে অনেক উপকার পাবেন। এতে প্রদাহজনিত সমস্যা দূর হবে, হজমশক্তি ভালো থাকবে। কাঁচা হলুদ খেতে পারলেও অনেক উপকার পাওয়া যায়।

আদা : হজমক্ষমতা ভাল করার পাশাপাশি আদা আমাদের শরীরের ডিটক্সিফিকেশনেও সাহায্য করে। চায়ের সঙ্গে কিংবা গরম পানির মধ্যে আদার রস মিশিয়ে খেতে পারেন। শরীরে ভালোভাবে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া চালু রাখতেও আদা সাহায্য করে। এছাড়াও শীতের দিনে গলা ব্যথা, কাশি, সর্দি ইত্যাদি কমাতেও আদার রস কাজে লাগে।

বিট : শীতের পরিচিত সবজি বিট। সবজি হিসেবে, কিংবা সালাদে বা রস করেও বিট খেতে পারে। লিভারের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এবং শরীরের সার্বিকভাবে ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে বিট। ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসে ভরপুর এই সবজি শরীরে আয়রনের মাত্রাও সঠিকভাবে বজায় রাখতে সাহায্য করে। এই সবজি শরীর থেকে দূর করে যাবতীয় টক্সিন বা দূষিত পদার্থ।

গ্রিন টি : বিপাকক্রিয়া বাড়ানোর পাশাপাশি শরীরের অভ্যন্তর থেকে টক্সিন বের করে আনাও গ্রিন টি- এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ। শরীর হাইড্রেটেড রাখতে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে গ্রিন টি। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রিন টি খাওয়া উচিত নয়।


আরও খবর

শুষ্ক ত্বকের যত্নে মধু

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩

শীতে লালশাক কেন খাবেন?

সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩




গার্মেন্টসের নিরাপত্তায় ৪৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৫১জন দেখেছেন

Image

ঢাকা ও এর আশপাশ এলাকায় পোশাক কারখানার নিরাপত্তায় ৪৮ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে।

এ ছাড়া চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও বিভিন্ন দলের ডাকা অবরোধের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত সংখ্যক বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) সকালে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান,  পোশাক কারখানার নিরাপত্তা জোরদারে ঢাকা ও আশপাশের জেলায় ৪৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়াও সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত সংখ্যক বিজিবি মোতায়েন রয়েছে।


আরও খবর