Logo
আজঃ শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3
শিরোনাম

মুসলমানদের কাছে ফিলিস্তিন কেন এত গুরুত্বপূর্ণ

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৯৩জন দেখেছেন

Image

ইসলামিক ডেস্ক : বাইতুল মুকাদ্দাস বা মসজিদে আকসা। এটি মুসলমানদের প্রথম কেবলা। ফিলিস্তিনের জেরুজালেমে অবস্থিত এ মসজিদে মেরাজের রাতে রাসূল (সা.) সব নবী-রাসূলের ইমামতি করেন। 

হাদিস শরিফে রয়েছে, ‘কাবা শরিফ তথা মসজিদুল হারামে নামাজে এক লাখ গুণ সওয়াব, মদিনা শরিফে মসজিদে নববীতে নামাজে ৫০ হাজার গুণ সওয়াব, বাইতুল মুকাদ্দাসে নামাজে ২৫ হাজার গুণ সওয়াব’ (ইবনে মাজাহ)। 

ফিলিস্তিনের ভূমি অসংখ্য নবী-রাসূলের স্মৃতিবিজড়িত, এর আশপাশে অনেক নবী-রাসূলের সমাধি রয়েছে। এটি দীর্ঘকালের ওহি অবতরণস্থল, ইসলামের কেন্দ্র এবং ইসলামি সংস্কৃতির চারণভূমি। মুসলমানদের পবিত্র এ ভূমি ভাঙা-গড়ার সর্বশেষ পর্বে এখন ইহুদিদের দখলদারির করাল গ্রাসে আক্রান্ত।

৬৪৮ সালে আমিরুল মুমিনিন হজরত উমর (রা.)-এর খেলাফতকালে মুসলমানরা ফিলিস্তিন জয় করেন। ১০৯৬ সালে খ্রিস্টানরা তা পুনর্দখল করে নেয়। ১১৮৭ সালে সিপাহশালার সুলতান সালাহউদ্দীন আইয়ুবী আবার জেরুজালেম শহর জয় করেন।  এরপর থেকে খ্রিষ্টান ও ইহুদি চক্র ফিলিস্তিনে ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র করতে থাকে। এ অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য ইহুদিরা তৎকালীন তুরস্কের শাসক সুলতান আবদুল হামিদের কাছে ফিলিস্তিনে বসতির অনুমতি চায়; সুলতান অনুমতি দেননি। 

১৯১৭ সালে ইংরেজরা ফিলিস্তিনে অনুপ্রবেশ করে এবং ১৯২০ খ্রিষ্টাব্দে পূর্ণ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে; এর অল্প সময়ের মধ্যে ইহুদিরা ফিলিস্তিনে স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপন করে।  ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদীরা অন্যায়ভাবে মুসলমানদের ফিলিস্তিন ভূমিকে মুসলমান ও ইহুদিদের মধ্যে ভাগ করে দেয়। ফলে ১৯৪৮ সালের ১৫ মে বেলফোর ঘোষণার মাধ্যমে জায়নবাদী অবৈধ ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়। 

১৯৬৭ সালে অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল ‘মসজিদুল আকসা’ জবরদখল করে। তারপর ক্রমশ মুসলমানদের প্রতি ইহুদিদের জুলুম-নির্যাতন ও অত্যাচারের মাত্রা আরও বাড়তে থাকে, যা আজও চলছে। এরপর থেকে মুসলিম জনগণ স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করে। সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জনগণ ফিলিস্তিনের মুসলিমদের এ প্রতিরোধ আন্দোলন সমর্থন করছেন। 

মুসলিমদের সব দল, উপদল, মাজহাব— এ ব্যাপারে একমত যে, ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে বায়তুল মুকাদ্দাস, মসজিদে আকসা এবং সমগ্র ফিলিস্তিনের মর্যাদা ও মাহাত্ম্য অনেক উচ্চ।  এর সংরক্ষণ, পবিত্রতা রক্ষা করা শুধু ফিলিস্তিনিদের নয়; বরং সব মুসলিমের ওপর ওয়াজিব। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে ফিলিস্তিনের অসংখ্য ফজিলত বর্ণিত হয়েছে জেরুজালেম হলো ইসরা বা রাসুলুল্লাহর (সা.) রাত্রিকালীন ভ্রমণের সর্বশেষ জমিন। এখানে তিনি সকল নবীর নামাজের ইমামতি করেন। তার পর তিনি এখান থেকে ঊর্ধ্ব আকাশে ভ্রমণ করেন। 

আল্লাহ বলেন, পবিত্র ও মহিমাময় তিনি, যিনি তার বান্দাকে রাত্রে ভ্রমণ করিয়েছিলেন আল-মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত, যার পরিবেশ আমি করেছিলাম বরকতময়, তাকে আমার নিদর্শন দেখানোর জন্য; তিনিই সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।’ (সুরা বনি ইসরাইল, আয়াত-১)

মসজিদুল আকসা, ফিলিস্তিন হলো মুসলিমদের প্রথম কিবলা। যার দিকে মুখ করে রাসুলুল্লাহ (সা.) ও সাহাবিরা ১০ বছর নামাজ আদায় করেছেন।  মহান আল্লাহ বলেন, ‘তুমি যেখান থেকে বাহির হওনা কেন মসজিদুল হারামের দিকে মুখ ফিরাও এবং তোমরা যেখানেই থাকো না কেন ওর দিকে মুখ ফিরাবে।’( সুরা বাকারা, আয়াত-১৫০) 

সহিহ বুখারিও মুসলিমে হজরত আবু সাইদ খুদুরি (রা.) হতে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তিনটি মসজিদ ব্যতীত অন্য কোনো (জায়গা ইবাদাতের) উদ্দেশ্যে ভ্রমণে বের হওয়া যাবে না- মসজিদুল হারাম, মসজিদুল আকসা এবং আমার এই মসজিদ। (হাদিস, ৭০৭)

হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) হজরত বারা ইবনে আজিব (রা.) কে সাতটি জিনিসের আদেশ দিয়েছেন। এরই মধ্যে অন্যতম মজলুমকে সহায়তা করা (বোখারি)। তিনি যখন মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.) কে গভর্নর হিসাবে ইয়েমেনে পাঠান, তখন তাকে দিকনির্দেশনা দিয়ে বলেন, ‘মজলুমের ফরিয়াদকে ভয় করবে। কেননা তার ফরিয়াদ এবং আল্লাহর মধ্যে কোনো পর্দা থাকে না’ (বোখারি)। 

ইসরাইল-ফিলিস্তিন সম্পর্ককে বাংলাদেশ জালিম-মজলুমের সম্পর্ক হিসাবেই দেখে। ফলে বাংলাদেশ সব সময় মজলুম ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়িয়েছে। ফিলিস্তিনিদের মুসলিম ভাই হিসাবে আখ্যা দিয়েছে।

সূরা আনআমে আল্লাহতায়ালা বলেছেন, ‘জালিমরা কখনো সফলকাম হয় না।’ এ আয়াত পড়ে বিশ্ব মুসলিমও আশায় বুক বাঁধে ইসরাইলের এ জুলুমের একদিন অবসান হবে। আল আকসাকে ঘিরে আবার জেগে উঠবে নিরাপদ প্রাণের স্পন্দন। অসংখ্য নবী-রাসূলের পদধন্য এ ভূমি আবার খলখলিয়ে উঠবে আনন্দে।


আরও খবর



বেশি হারে দক্ষ মানবসম্পদ নিতে সৌদির প্রতি ঢাকা চেম্বার সভাপতির আহ্বান

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৫৪জন দেখেছেন

Image

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং আল মদিনা আল মনোয়ারা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি-এর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আলোচনা সভা হয়েছে। সম্প্রতি মদিনা চেম্বারের কার্যালয়ে এ সভা অুনষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তারের নেতৃত্বে ৬১সদস্যবিশিষ্ট বেসরকারিখাতের সর্ববৃহৎ বাণিজ্য প্রতিনিধি দলটি সৌদি আরব সফর করছে।

সভায় ডিসিসিআই সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার বলেন, দীর্ঘ দিন যাবত বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি বিভিন্ন খাতে সৌদি আরবে নিয়োজিত আছেন এবং বাংলাদেশের মোট রেমিট্যান্সের প্রায় ৩০ শতাংশই সৌদি আরব হতে আসে। 

তিনি বলেন, ‘সৌদি ভিশন ২০৩০’-এর আওতায় সৌদি সরকার বহুমুখী উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ হতে বিশেষ করে লজিস্টিক, অবকাঠামো, তথ্য-প্রযুক্তি ও আউটোর্সিং প্রভৃতি খাতে আরো বেশি হারে দক্ষ মানবসম্পদ নেওয়ার জন্য মদিনা চেম্বারের উদ্যোক্তাদসহ সৌদি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’ সেই সাথে তিনি জানান, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা, পর্যটনসহ অন্যান্য সামাজিক সেবা খাতে সৌদি উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ করতে পারেন। 

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে নানাবিধ প্রণোদনা ও নীতি সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। যেগুলোর সুবিধা গ্রহণ করে সৌদি ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে পারে। 

তিনি আরো উল্লেখ করেন, ২০২৬ সালে বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য বাজার সম্প্রসারণ খুবই জরুরি। এমতাবস্থায় সৌদি আরবের বাজারে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানিতে এগিয়ে আসার জন্য বাংলাদেশ উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

মদিনা চেম্বারের সহ-সভাপতি ড. খালিদ আব্দুল কাদের দাখাল বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, নীতি সহায়তা ও উন্নত সেবা প্রদানের মতো বেশকিছু অগ্রাধিকারমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। 

তিনি আশা প্রকাশ করেন, দুই দেশের ব্যবসায়িক কার্যক্রম আরো বৃদ্ধিতে তার চেম্বার কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণে সচেষ্ট হবে। তিনি জানান, সৌদি আরবের মোট জিডিপিতে মদিনার অবদান প্রায় ৭% এবং এখানে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ কার্যক্রম সম্প্রসারণের সুযোগ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

এমতাবস্থায় তিনি বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, সিরামিক, পর্যটন, এগ্রোপ্রসেসিং, তৈরি পোশাক প্রভৃতি খাতে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান। সেই সাথে তিনি দুই দেশের উদ্যোক্তাদের মধ্যকার যোগাযোগ আরো বৃদ্ধির ওপর জোরারোপ করেন। 

ঢাকা চেম্বারে ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এস এম গোলাম ফারুক আলগমীর (আরমান), সহ-সভাপতি মো. জুনায়েদ ইবনে আলী, পরিচালনা পর্ষদের সদস্যসহ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর

আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম

শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩




ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে যেসব খাবার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৩৫জন দেখেছেন

Image

শরীরে অগ্ন্যাশয় যদি যথার্থ ইনসুলিন তৈরি করতে না পারে অথবা শরীরে ইনসুলিনের সঠিক কাজ ব্যাহত হয়, তাহলে তাকে ডায়াবেটিস বলা হয়। এ রোগে আক্রান্তদের ঘন ঘন প্রস্রাব হয়, অধিক তৃষ্ণার্ত অনুভব করে এবং বারবার মুখ শুকিয়ে যায়। আক্রান্তরা অতিশয় দুর্বলতা, সার্বক্ষণিক ক্ষুধা, স্বল্পসময়ে দেহের ওজন হ্রাস, চোখে ঝাপসা দেখাসহ নানা সমস্যায় ভোগে। আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনে ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়ক কয়েকটি খাবার নিয়ে আলোচনা করা হলো।

সবুজ চা : সবুজ চা মানুষের শরীরে ইনসুলিনের মতো কাজ করে; ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে।

ওয়াইল্ড স্যামন : ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য অন্যতম একটি ঔষধী খাদ্য ওয়াইল্ড স্যামন। এতে উচ্চমাত্রায় ওমেগা-৩ রয়েছে। ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি বড় উৎস এটি। ডায়াবেটিসের পাশাপাশি কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁঁকিও কমায় ওয়াইল্ড স্যামন।

মাছ : গবেষণায় দেখা যায় মাছের ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি গ্লুকোজের ঘনত্ব কমিয়ে ডায়াবেটিস রোগের ঝুঁকি হ্রাসে সহায়তা করে। এতে চর্বিহীন প্রোটিন রয়েছে।

টক দই : টক দই একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য। এতে চিনির পরিমাণ খুব কম। এটি রক্তে চিনির পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। দুপুরের খাবারের সঙ্গে বা বিকালের নাশতায় স্যান্ডউইচের সঙ্গে টক দই খাওয়া যায়। এটি ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে।

ডিমের সাদা অংশ : ডিম পেশি গঠনকারী খাদ্য। এতে উচ্চমানের প্রোটিন রয়েছে। ডিমের সাদা অংশে উচ্চমানের চর্বিহীন প্রোটিন ও কম মাত্রায় কার্বোহাইড্রেট রয়েছে যা দুই ধরনের ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে।

লেবু : লেবু ও লেবুজাতীয় ফল ডায়াবেটিস প্রতিরোধে কাজ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরে ভিটামিন ‌‘সি’র অভাবে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি রয়েছে। তবে লেবুজাতীয় ফল খেলে ভিটামিন সি’র অভাব পূরণ হয়। জাম্বুরা, কমলা, লেবু ও লাইমস ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ইনসুলিনের মতো কাজ করে।

সবুজ শাকসবজি : সবুজ শাকসবজি দুই ধরনের ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমায়। পালং শাক, শালগম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, লেটুসপাতা ইত্যাদি খাবারে ক্যালরি ও কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কম। গবেষণায় বলা হয়, সবুজ শাকসবজি খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ১৪ শতাংশ পর্যন্ত কমে।


আরও খবর

একদিনে ৮৭৭ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ৭

বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩




আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ে দোয়া কবুল হয়

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | ৩৩জন দেখেছেন

Image

ইসলমিক ডেস্ক :  হাদিস শরিফে আজান ও ইকামতের মধ্যে দোয়া করার প্রতি তাগিদ দেওয়া হয়েছে। এ সময় দোয়া করলে তা কবুল হয়। রাসুল (সা.) বলেন, আজান ও ইকামতের মাঝে দোয়া প্রত্যাখ্যাত হয় না।

(আবু দাউদ, হাদিস : ৫৩৪)

আজান ও ইকামতের মধ্যে দোয়া কবুলের বিষয়ে মহানবী (সা.) আরো বলেন, আজান ও ইকামতের মাঝে দোয়া কবুল হয়, সুতরাং তোমরা দোয়া করো।

(সহিহুল জামে, হাদিস : ৩৪০৫)

যদি আলাদাভাবে দোয়া করা না যায়, তাহলে অন্তত আজানের দোয়া পাঠ করতে ভুল করবে না। জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি আজান শুনে নিম্নোক্ত দোয়া পড়বে, কিয়ামতের দিন সে আমার শাফাআতের অধিকারী হবে। (বুখারি : ৬১৪)

দোয়াটি হলো : আল্লাহুম্মা রব্বা হাজিহিদ-দাওয়াতিত-তাম্মাহ, ওয়াস-সালাতিল কায়িমা আতি মুহাম্মদানিল ওয়াসিলাতি ওয়াল-ফাদিলাহ ওয়াবআসহু মাকামাম-মাহমুদা-নিলজি ওয়াদতাহ।

অর্থ : হে আল্লাহ, (আপনিই) এই পরিপূর্ণ আহ্বান ও প্রতিষ্ঠিত সালাতের মালিক, মুহাম্মদ (সা.)-কে ওয়াসিলা ও সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী করুন এবং তাঁকে সেই সম্মানিত স্থানে অধিষ্ঠিত করুন, যার অঙ্গীকার আপনি করেছেন।


আরও খবর



শিক্ষক নিয়োগের সেই পরিপত্রে সংশোধন আসছে

প্রকাশিত:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৩৯জন দেখেছেন

Image

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক নিয়োগের দায়িত্ব বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষকে (এনটিআরসিএ) দিয়ে পরিপত্র জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ পরিপত্রটি সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সে লক্ষ্যে আগামী ২১ নভেম্বর (মঙ্গলবার) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সভা ডাকা হয়েছে। 

রোববার (১২ নভেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ সুহেল মাহমুদের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

জানা গেছে, এ সভায় অংশ নিতে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের দুইজন অতিরিক্ত সচিব, এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এবং মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঢাকা বোর্ড, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং ঢাকা অঞ্চলের উপ-পরিচালককে বলা হয়েছে।

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা গ্রহণ ও প্রত্যয়ন বিধিমালা ২০০৬ সংশোধনের পর ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর জারি করা ওই পরিপত্রে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক নিয়োগে প্রার্থী বাছাইয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এনটিআরসিএকে। ওই পরিপত্রে শিক্ষক নিয়োগের অনুসরণীয় পদ্ধতিও নির্ধারণ করা হয়েছিল। 

ওই পরিপত্র অনুসারে প্রতি বছর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষক নিয়োগযোগ্য পদে চাহিদা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। যা জেলা শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে প্রতি বছর ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এনটিআরসিএতে পাঠানোর নির্দেশনা ছিল। প্রতি বছর প্রার্থী বাছাইয়ের পরীক্ষা (নিবন্ধন পরীক্ষা) গ্রহণ করে জাতীয়, বিভাগ, জেলা, উপজেলা ও থানাওয়ারী মেধাক্রম প্রণয়ন করে ফল ঘোষণার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিলো এনটিআরসিএকে।

ওই পরিপত্রে বলা হয়েছিল, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিয়োগের জন্য প্রার্থী নির্বাচনের সময় উপজেলা মেধাতালিকায় অগ্রাধিকার পাবে। উপজেলায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে জেলা মেধাতালিকা এবং তাও না পাওয়া গেলে বিভাগীয় মেধাতালিকা ও সর্বশেষ জাতীয় মেধাতালিকা অনুসরণের নির্দেশনা ছিল।


আরও খবর



আল্লাহ তাঁর বিশেষ বান্দাদের ইহকাল ও পরকালীন জীবনে সুসংবাদ দিয়েছেন

প্রকাশিত:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | ৩৫জন দেখেছেন

Image

ইসলামিক ডেস্ক : মানুষ নানা কারণে মানসিকভাবে ভয় ও দুশ্চিন্তায় ভোগে। পবিত্র কোরআনে একাধিকবার মুমিনদের নির্ভয় ও দুশ্চিন্তামুক্তির সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তাঁর বিশেষ বান্দাদের ইহকাল ও পরকালীন জীবনে এই সুসংবাদ দিয়েছেন। নিম্নে তাদের সম্পর্কে আলোকপাত করা হলো :

১. আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও তাঁর নির্দেশনা পালন মানুষকে দুশ্চিন্তামুক্ত রাখে। কারণ বিশ্বাস ইহকাল ও পরকালীন মুক্তির মূলভিত্তি। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা আমার হেদায়াত অনুসরণ করবে তাদের কোনো ভয় নেই এবং তারা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হবে না।’
(সুরা: বাকারা, আয়াত : ৩৮)

২. আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসের পাশাপাশি ভালো কাজের মাধ্যমে মানুষ নির্ভয় জীবন যাপন করে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা আল্লাহ ও আখিরাতের ওপর বিশ্বাস করে এবং ভালো কাজ করে তাদের রবের কাছে তাদের জন্য মহাপ্রতিদান রয়েছে এবং তারা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হবে না।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ৬২)

৩. ইসলাম পালনের পাশাপাশি নিপুণভাবে কাজ করলে মহা প্রতিদান রয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘অবশ্যই, কেউ আল্লাহর কাছে পুরোপুরি আত্মসমর্পণ করলে এবং ভালো কাজ করলে তার প্রতিদান তার রবের কাছে রয়েছে, তাদের কোনো ভয় নেই এবং তারা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হবে না।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১১২)

৪. গরিব-দুঃখীদের জন্য খরচের মাধ্যমে ভয় ও দুশ্চিন্তামুক্ত থাকা যায়। তবে দান করে কাউকে কষ্ট দেওয়া বা খোঁটা দেওয়া যাবে না। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা আল্লাহর পথে তাদের সম্পদ ব্যয় করে, অতঃপর যা ব্যয় করে তার কথা বলে বেড়ায় না এবং কষ্ট দেয় না, তাদের কোনো ভয় নেই এবং তারা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হবে না।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৬২)

৫. সব সময় ও সব স্থানে অকাতরে দানকারীর জন্য সুসংবাদ রয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা তাদের সম্পদ রাত ও দিনে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে তাদের জন্য তাদের রবের কাছে প্রতিদান রয়েছে, তাদের কোনো ভয় নেই এবং তারা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হবে না।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৭৪)

অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা ঈমান আনবে, ভালো কাজ করবে, নামাজ প্রতিষ্ঠা করবে, জাকাত দেবে তাদের জন্য তাদের রবের কাছে প্রতিদান রয়েছে, তাদের কোনো ভয় নেই এবং তারা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হবে না।’ (সুরা: বাকারা, আয়াত : ২৭৭)

৬. যারা আল্লাহর পথে দ্বিনের সাহায্যে জীবন বিলিয়ে দেবে তাদের জন্য সুসংবাদ রয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা আল্লাহর পথে মারা যায় তাদের তোমরা মৃত মনে কোরো না, বরং তারা জীবিত এবং তারা তাদের রবের কাছে রিজিক লাভ করে। আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদের যা দিয়েছেন তারা তাতে আনন্দিত এবং তাদের পেছনে যারা এখনো তাদের সঙ্গে মিলিত হয়নি তাদের জন্য আনন্দ প্রকাশ করে। কারণ তাদের কোনো ভয় নেই এবং তারা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হবে না।’ (সুরা: আলে ইমরান, আয়াত : ১৬৯-১৭০)

৭. নবী-রাসুলদের নির্দেশিত পথে যারা সমাজের সংস্কার করবে তাদের জন্যও দুশ্চিন্তামুক্ত জীবনের কথা বলা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যে ঈমান আনবে এবং সংশোধন করবে তাদের কোনো ভয় নেই এবং তারা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হবে না।’ (সুরা : আনআম, আয়াত : ৪৮)

অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, ‘যে তাকওয়া তথা আল্লাহভীরুতা অর্জন করবে এবং সংশোধন করবে তাদের কোনো ভয় নেই এবং তারা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হবে না।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ৩৫)

৮. শর্তহীন ভালোবাসা ও আনুগত্যের মাধ্যমে যারা আল্লাহর সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তুলেছে তাদের উদ্দেশে মহান আল্লাহ বলেন, ‘শোনো, নিশ্চয়ই আল্লাহর বন্ধুদের কোনো ভয় নেই এবং তারা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হবে না।’
(সুরা : ইউনুস, আয়াত : ৬২)

৯. যারা আল্লাহর ওপর বিশ্বাস রাখবে এবং এর ওপর অবিচল থাকবে তাদের জন্য বিশেষ সুসংবাদ আছে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই যারা বলবে, আমাদের রব আল্লাহ, অতঃপর এর ওপর অটল থাকবে তাদের কোনো ভয় নেই এবং তারা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হবে না।’


আরও খবর