Logo
আজঃ শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3
শিরোনাম

নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল

প্রকাশিত:সোমবার ২৩ অক্টোবর 20২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ১০৩জন দেখেছেন

Image

 নভেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন এক নির্বাচন কমিশনার।

সোমবার (২৩ অক্টোবর) ইসি ভবনে তিনি এসব কথা বলেন।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে তিনি বলেন, সবাই নির্বাচন চায়, জনগণ নির্বাচন চায়। নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে তফসিল। ডিসেম্বরের শেষ অথবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোট হবে।

ভোটের পরিবেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভোটের পরিবেশ ভালো আছে। আমি কোনো সমস্যা দেখি না। মানুষ জানতে চায় কবে ভোট হবে।

জানা গেছে, নভেম্বরে তফশিল ঘোষণার লক্ষ্য নিয়ে আগামী ১ নভেম্বর গুরুত্বপূর্ণ একটি বৈঠক করবে ইসি। এতে পররাষ্ট্র, তথ্য, শিক্ষা ও প্রতিরক্ষাসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। বৈঠকে নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে ‘চূড়ান্ত’ আলোচনা হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে ওইদিন বেলা ১১টায় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে।

অন্যদিকে, সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় করণীয় ঠিক করতে আগামী ৩০ অক্টোবর আরেকটি বৈঠক করবে ইসি। বৈঠকে সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, পুলিশের আইজি, র‌্যাব , বিজিবি, আনসার ও ভিডিপি, কোস্টগার্ড, এনএসআই ও ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক, এসবির অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত চিঠি সংশ্লিষ্টদের পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে।


আরও খবর



দীপিকার প্রেমজীবন নিয়ে কটাক্ষের জবাব দিলেন অক্ষয়ের স্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | ২৮জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক : ২০১৮ সালে ইতালিতে গাঁটছড়া বেঁধেছেন বলিউড তারকা দীপিকা পাড়ুকোন ও রণবীর সিং। বিয়ের আগে বছর ছয়েক প্রেম তাদের। ২০১২ সালে সঞ্জয় লীলা ভন্সালীর ‘গোলিয়োঁ কি রাসলীলা রাম-লীলা’ ছবিতে কাজ করার সময় একে অপরের কাছাকাছি আসেন দীপিকা ও রণবীর। ওই ছবির সেটেই তাদের প্রেমের সূত্রপাত। 

শোনা যায়, ছবির সেটে নাকি রণবীরের কোলেও বসতে দেখা যেত দীপিকাকে। যদিও তখন জনসমক্ষে নিজেদের সম্পর্কের কথা স্বীকার করেননি রণবীর বা দীপিকা কেউই। তবে চলতি বছরের ‘কফি উইথ করন’-এর কফি আড্ডায় এসে রণবীর জানান, ২০১৫ সালেই নাকি দীপিকার সামনে বিয়ের প্রশ্ন রেখেছিলেন তিনি। সেই সময় থেকেই নাকি গোপনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন দীপিকা ও রণবীর।

তবে দীপিকা জানান, রণবীরের সঙ্গে অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়ার আগেও নাকি একাধিক পুরুষের সঙ্গে মেলামেশা করেছেন তিনি। দীপিকার এই মন্তব্যেই সমালোচনার ঝড় ওঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পাতায়। রণবীরের সঙ্গে নাকি আসলে প্রতারণা করেছেন তিনি, রায় দেন নেটাগরিকদের একাংশ। এবার সেই বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন অক্ষয় কুমারের স্ত্রী অভিনেত্রী ও লেখিকা টুইঙ্কেল খান্না।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পাতায় তিনি লেখেন, “আপনি যদি দোকানে একটা সোফা কিনতে যান, আপনি তো বেশ কয়েকটা সোফায় বসে দেখবেন কোনটা আপনার পক্ষে সবচেয়ে বেশি উপযুক্ত! কিন্তু সেই সোফায় আপনি যার সঙ্গে বসবেন, তাকে নির্বাচনের ক্ষেত্রে বাছবিচার করার নাকি প্রয়োজন নেই!”

টুইঙ্কেল আরও লেখেন, “দীপিকার সিদ্ধান্ত থেকে অন্তত এই শিক্ষা নেওয়া উচিত যে, দেখেশুনে জীবনসঙ্গী নির্বাচন করলে রাজপুত্রের বেশে ব্যাঙকে বিয়ে করার হাত থেকে বেঁচে যাবেন!”

টুইঙ্কেলের ওই পোস্ট থেকেই স্পষ্ট, দীপিকার যুক্তির প্রতি পূর্ণ সমর্থন আছে তার।

কফি আড্ডায় এসে দীপিকা জানান, রণবীরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ার গোড়ার দিকে নাকি একে অপরের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হননি তারা। বরং সেই সময় অন্যান্যদের সঙ্গেও মাঝেমধ্যে ডেটে গিয়েছেন তিনি। তবে এ কথা বলার পরেও দীপিকা এ-ও স্বীকার করেন যে, মনে মনে নাকি তিনি রণবীরকেই নিজের সঙ্গী হিসেবে মেনে নিয়েছিলেন। ‘কফি উইথ করন’-এর ওই পর্ব প্রকাশ্যে আসার পরেই দীপিকার চরিত্র নিয়ে শুরু হয় কাটাছেঁড়া। নিন্দার ঝড় বয়ে যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পাতায়।


আরও খবর



বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিজিটাল প্রশাসন ব্যবস্থা চালুর পরামর্শ ইউজিসির

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ২৮জন দেখেছেন

Image

২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ডিজিটাল প্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি)। ২০ নভেম্বর ইউজিসির ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ই-গর্ভন্যান্স ও উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবন শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ পরামর্শ দেন সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন।

ইউজিসি’র ইনোভেশন টিম দিনব্যাপী এ কর্মশালার আয়োজন করে। কমিশনের গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক ড. ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডিন প্রফেসর ড. হাফিজ মো. হাসান বাবু।

প্রফেসর সাজ্জাদ হোসেন বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিজিটাল প্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। পেপারলেস অফিস প্রতিষ্ঠা এবং সব ধরনের লেনদেন ইলেকট্রনিক মাধ্যমে করতে হবে। তাহলে কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা যাবে। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতি দমন এবং দ্রুততার সঙ্গে উচ্চশিক্ষা সেবা নিশ্চিত করা যাবে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং বাজার উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। আধুনিক বিজ্ঞান, তথ্য ও প্রযুক্তি বান্ধব সমাজ তৈরিতে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে গবেষণা ও উদ্ভাবনে গুরুত্ব দিতে হবে। স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তরে বিশেষ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

ইউজিসি’র ইনোভেশন টিমের সদস্য এবং গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. শাহীন সিরাজ অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন ইউজিনি’র ই-গর্ভন্যান্স ও উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের ফোকাল পয়েন্ট ও সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার দ্বিজেন্দ্র চন্দ্র দাস। কর্মশালায় কমিশনের অতিরিক্ত পরিচালক, উপপরিচালক ও সমমান পর্যায়ের ৩৯ জন কর্মকর্তা অংশ নেন।


আরও খবর



সোলার প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে কর্মশালা

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | ৩৭জন দেখেছেন

Image

বাংলাদেশের সোলার প্রযুক্তি খাতকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে একটি কর্মশালার আয়োজন করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট ইনস্টলার বা সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনকারীদের জন্য এ কর্মশালার আয়োজন করে হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া। এতে ৭০ জনেরও বেশি ইঞ্জিনিয়ার, সোলার ইনভার্টার ইনস্টলার ও টেকনিশিয়ান অংশগ্রহণ করেন। রাজধানী ঢাকার হুয়াওয়ে বাংলাদেশ একাডেমিতে সম্প্রতি এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

‘হুয়াওয়ে বাংলাদেশ ইনস্টলার ওয়ার্কশপ ২০২৩’ শীর্ষক এ কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা অন-গ্রিড ও অফ-গ্রিড সোলার সিস্টেমের সর্বশেষ অগ্রগতি সম্পর্কে জানার সুযোগ পেয়েছেন। তারা সর্বোত্তম কার্যকারিতা ও নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করার জন্য সর্বোত্তম ইনস্টলেশন অনুশীলনের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ নির্দেশনা পান।

হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া ডিজিটাল পাওয়ার বিজনেস বিভাগের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লিয়াং উইক্সিং (জ্যাক) বলেন, বাংলাদেশে শক্তির সহজলভ্যতা, স্থায়িত্ব ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি নতুন যুগের সূচনা করতে সৌরশক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সৌরবিদ্যুৎ জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর দেশের নির্ভরতা হ্রাস করছে, পরিবেশগত অবক্ষয় কমাচ্ছে এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টায় অবদান রাখছে। এই ধরনের কর্মশালা আমাদের সৌর প্রযুক্তিতে নতুন মাইলফলক অর্জন করতে সহায়তা করে।

হুয়াওয়ের ইপিসি সহযোগী প্রতিষ্ঠান সোলার ইপিসি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের টেকনিক্যাল সল্যুশন ম্যানেজার মুহাম্মদ নাজিবুল আহামেদ বলেন, ‘হুয়াওয়ে বাংলাদেশ ইন্সটলার ওয়ার্কশপ ২০২৩- একটি অনুকরণীয় উদ্যোগ। বিশেষজ্ঞ সেশন, হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ এবং অনন্য নেটওয়ার্কিং সুযোগ তৈরির ক্ষেত্রে এই ওয়ার্কশপের এজেন্ডাটি অত্যন্ত সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই কর্মশালা শুধু অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদেরই উপকার করছে না বরং বাংলাদেশের সৌর শক্তি খাতের বৃদ্ধি ও উন্নয়নেও অবদান রাখছে।’

‘হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া ডিজিটাল পাওয়ার’ সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমে পাওয়া সুযোগ-সুবিধাগুলোরর ওপর ভিত্তি করে এর সর্বাধিক ব্যবহারের উপায়সমূহ নিয়ে কাজ করছে। এ পর্যন্ত, কোম্পানিটি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সোলার প্ল্যান্টে স্ট্রিং ইনভার্টার সল্যুশন স্থাপন করেছে এবং বাংলাদেশে ৫০ মেগাওয়াট (এসি), ৩০ মেগাওয়াট (এসি) ক্ষমতাসম্পন্ন কিছু সোলার ইন্ডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্রোডিউসার (আইপিপি) প্রকল্পসহ বেশ কয়েকটি রুফটপ প্রকল্পে কাজ করেছে। সিএন্ডআই (কমার্শিয়াল অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল) খাতের জন্য হুয়াওয়ে ৩.০০ মেগাওয়াট, ২.৪৮ মেগাওয়াট, ২.৪০ মেগাওয়াট, ২.৩৯ মেগাওয়াট ও ২.১০ মেগাওয়াট এসি ক্যাপাসিটির প্রকল্প সম্পন্ন করেছে। হুয়াওয়ে মোট ১০৫ মেগাওয়াট এরও বেশি সক্ষমতার বিভিন্ন রুফটপ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে, যেগুলো স্থাপনা পর্যায়ে রয়েছে। এবং খুব দ্রুত এগুলো গ্রিডে যুক্ত করা হবে। দেশকে ডিজিটাল শক্তির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছে। এই রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করতে অন্যান্য সহযোগীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।


আরও খবর



এক ইনিংসে যত রেকর্ড গড়লেন ম্যাক্সওয়েল

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | ৫৬জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক : রেকর্ডবুক তোলপাড় করা একটি ম্যাচ দেখলো ক্রিকেট বিশ্ব। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম আগে থেকেই শচীন টেন্ডুলকারের ঘরের মাঠ বলে খ্যাত। সেই ভেন্যুতে দাঁড়িয়ে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রানতাড়ার (২৯১) রেকর্ড গড়লেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও প্যাট কামিন্সরা। চলতি বিশ্বকাপেই রানতাড়ায় খুব বেশি সফল হওয়ার রেকর্ড নেই। যদিও এই আসরে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রানতাড়ার রেকর্ড গড়েছিল পাকিস্তান। সে তুলনায় আগে ব্যাট করা দলগুলোকেই বেশি জিততে দেখা গেছে।

বিশ্বকাপের ৩৯তম ম্যাচে গতকাল (মঙ্গলবার) আফগানিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া দুদলই সেমিফাইনাল নিশ্চিতের লড়াইয়ে নেমেছিল। সে দৌড়ে ম্যাচের প্রায় অধিকাংশজুড়ে হাশমতউল্লাহ শহিদীর দল দাপট দেখালেও শেষ হাসিটা হেসেছেন কামিন্সরা। অথচ মাত্র ৯১ রানেই তারা ৭ উইকেট হারিয়ে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল।

সেখান থেকে ম্যাক্সওয়েল ও কামিন্স যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন সেটি ছিল অবিশ্বাস্য। এমন দিনে রেকর্ডের খাতা এলোমেলো হয়ে যাবে সেটাই স্বাভাবিক। সেরকমই কিছু রেকর্ড দেখে নেওয়া যাক—

৭ উইকেট হারানোর পর ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রানতাড়ার রেকর্ড
ক্রিকেট ইতিহাসে দলের চরম বিপর্যয় শুরুর পরও টেল এন্ডারদের সঙ্গে গড়া জুটিতে জয়ের রেকর্ড আগেও অনেক আছে। বিশেষত দলীয় সংগ্রহ ১০০ ছোঁয়ার আগেই ৭ উইকেট হারিয়েও জয়ের ঘটনা আছে ১২ বার। তবে সর্বোচ্চ রানতাড়ার রেকর্ড এদিন গড়েছে অস্ট্রেলিয়া। ৯১ রানেই তারা ৭ উইকেট হারানোর পর আর কোনো ব্যাটারকে না হারিয়েই তারা ২৯১ রান পেরিয়েছে।

এর আগে ২০১৫ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের সঙ্গে এমন নজির দেখিয়েছে অজি ইতিহাসের সাক্ষী আফগানিস্তান। স্কটিশদের ২১১ রান তাড়ায় তারা মাত্র ৯৭ রানে ৭ উইকেট হারিয়েছিল। আফগানরা শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি জিতে নেয় ১ উইকেটে।

সপ্তম উইকেট বা তার নিচে সর্বোচ্চ রানের জুটি
এতদিন পর্যন্ত ওয়ানডেতে সপ্তম উইকেটে সর্বোচ্চ জুটি ছিল ইংল্যান্ডের জস বাটলার ও আদিল রশিদের যৌথভাবে করা ১৭৭ রানের। সেই রেকর্ড ভেঙে গতকাল অস্টম উইকেটে এসে ম্যাক্সওয়েল-কামিন্স ২০২ রানের জুটি গড়লেন। যা সপ্তম বা তার নিচের লোয়ার অর্ডার জুটিতে সর্বোচ্চ। এই রেকর্ডে তৃতীয় স্থানে আছেন দুই বাংলাদেশি ক্রিকেটার আফিফ হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজ। ২০২২ সালে এই দুজনের জুটিতে সপ্তম উইকেটে বাংলাদেশ ১৭৪ রানের জুটি পেয়েছিল। এছাড়া চলতি বছরেই ভারতের মাটিতে ১৬২ রানের জুটি গড়েছিলেন দুই নিউজিল্যান্ড ব্যাটার মাইকেল ব্রেসওয়েল ও মিচেল স্যান্টনার।

এর আগে অষ্টম উইকেটে ২০০৬ সালে কেপটাউনে ভারতের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার অ্যান্ড্রু হল ও জাস্টিন কেম্প সর্বোচ্চ ১৩৮ রানের জুটি বেধেছিলেন।

ওডিআই রানতাড়ায় প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি, ছয় নম্বর ও অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ
ওয়ানডেতে রানতাড়ায় এতদিন পর্যন্ত কোনো ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড ছিল না। গতকাল ১২৮ বলে ম্যাক্সওয়েল সেই কীর্তি গড়েছেন। এতদিন পর্যন্ত রানতাড়ায় সবচেয়ে বেশি রান ছিল পাকিস্তানের ফখর জামানের। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৯৩ রান করেছিলেন। ২০১১ সালে শেন ওয়াটসন অপরাজিত ১৮৫ রান করেছিলেন বাংলাদেশের বিপক্ষে। ২০০৫ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এবং ২০১২ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে বিরাট কোহলি সমান ১৮৩ রান করেন।

এছাড়া ফরম্যাটটিতে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে এদিন ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানও করেন ম্যাক্সওয়েল। শেন ওয়াটসনের করা ১৮৫ ছিল এতদিন পর্যন্ত কোনো অজি ব্যাটারের সর্বোচ্চ রান। বিশ্বকাপ ইতিহাসে ম্যাক্সওয়েলের ২০১ তৃতীয় সর্বোচ্চ। এর ওপরে আছে ২০১৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের মার্টিন গাপটিলের ২৩৭* ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইলের ২১৫।

এছাড়া ওয়ানডেতে ছয় বা এর নিচে ব্যাটে নেমে সর্বোচ্চ রানও করেছেন অজি ব্যাটার। আগের সর্বোচ্চ রান ছিল কপিল দেবের ১৭৫*, ১৯৮৩ বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।

বিশ্বকাপে দ্রুততম ডাবল সেঞ্চুরি, ওয়ানডেতে দ্বিতীয়
ম্যাক্সওয়েলের গতকালের দ্বিশতক ওয়ানডে বিশ্বকাপে সবচেয়ে দ্রুততম। এই কীর্তি গড়তে গতকাল আফগানদের বিপক্ষে ১২৮ বল খেলেছেন। তবে ওয়ানডেতে সবচেয়ে দ্রুততম দ্বিশতকের রেকর্ড ভারতীয় ব্যাটার ইশান কিষাণের। তিনি বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০২২ সালে ১২৬ বলে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন। ফরম্যাট বিবেচনায় তার পরই অবস্থান ম্যাক্সওয়েলের। এর আগে ২০১৫ বিশ্বকাপে ক্রিস গেইল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৩৪ বলে ডাবল ম্যাজিক ফিগার পূর্ণ করেছিলেন।

ছক্কার রেকর্ড
দ্বিশতক পূর্ণ করতে গতকাল এই অজি ব্যাটার ১০টি ছক্কা মেরেছিলেন। বিশ্বকাপে যা অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ। আগের রেকর্ডটি ৯ ছক্কার, এবারের বিশ্বকাপেই পাকিস্তানের বিপক্ষে এক ম্যাচেই যা গড়েছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ।

বিশ্বকাপের এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ছয় মারার রেকর্ডে ম্যাক্সওয়েলের সামনে আছেন চারজন। ইয়ন মরগান ২০১৯ সালে আফগানদের বিপক্ষে এক ইনিংসে ১৭টি ছয় মেরেছিলেন। ২০১৫ আসরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ক্রিস গেইল মেরেছিলেন ১৬টি ছয়। একই আসরে নিউজিল্যান্ডের মার্টিন গাপটিল ওয়েস্ট উইন্ডিজের বিপক্ষে ১১টি এবং চলতি আসরে কিউইদের বিপক্ষে সমান ১১টি ছয় মারেন পাকিস্তানের ফখর জামান।


আরও খবর

৩১৭ রানে অলআউট নিউজিল্যান্ড

বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩




ইমো অ্যাকাউন্টে ব্যক্তিগত তথ্য যেভাবে নিরাপদ রাখবেন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৭জন দেখেছেন

Image

স্মার্টফোন বা কম্পিউটারের মাধ্যমে ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের সময় আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যক্তিগত অনেক তথ্য উন্মুক্ত হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। ইন্টারনেট আমাদের জীবনকে সহজ করলেও ইন্টারনেটের অসাবধান ব্যবহারে ব্যক্তিগত তথ্য চুরি ও ফাঁসের ঝুঁকি থেকে যায়।

ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা রক্ষার লক্ষ্যে এ বছর ইমো নিয়ে এসেছে কয়েকটি উদ্ভাবনী সিকিউরিটি ফিচার। বার্তা আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের নিশ্চিন্ত রাখতেই ইমোর এই প্রচেষ্টা।

ডিসঅ্যাপিয়ারিং মেসেজ
একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর ব্যক্তিগত মেসেজগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে ফেলে ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা রক্ষা করে এই ফিচারটি। ডিসঅ্যাপিয়ারিং মেসেজ ফিচারটি চালু থাকলে মেসেজ আদান-প্রদানের পর একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্তই মেসেজগুলো দেখা যায়, যা ব্যবহারকারীরা নিজেদের সুবিধামতো নির্ধারণ করতে পারবেন। এতে করে তথ্য ফাঁস হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে আসে।

সিক্রেটচ্যাট
সিক্রেটচ্যাট চালু থাকলে চ্যাট উইন্ডো থেকে বের হয়ে যাওয়া মাত্রই সম্পূর্ণ উইন্ডো মুছে যায়। প্রাতিষ্ঠানিক ও আর্থিক তথ্যের সুরক্ষার ক্ষেত্রে এই ফিচার হতে পারে অত্যন্ত কার্যকর।

টাইম মেশিন
নিজেদের ব্যক্তিগত তথ্যের ওপর সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সহায়তা করে এ ফিচার, যার মাধ্যমে সময় নির্বিশেষে যেকোন কথোপকথন চ্যাট হিস্ট্রি থেকে ডিলিট করা যায়। ফলে নিজেদের ব্যক্তিগত তথ্য থাকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে।

ব্লক স্ক্রিনশট ফর কলস
তথ্য ফাঁসের পেছনে একটি মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে অযাচিত স্ক্রিনশট। তাই ইমো চালু করেছে ব্লক স্ক্রিনশট ফর কল, যার মাধ্যমে আপনি যে কাউকে ভিডিও কল চলাকালীন স্ক্রিনশট নেয়া থেকে বিরত রাখতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে এ ফিচারের মাধ্যমে নিজের ব্যক্তিগত তথ্যসমূহ সুরক্ষিত করা যায় খুব সহজেই।

ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট
অপরিচিত ব্যবহারকারীদের থেকে অযাচিত মেসেজগুলোর ক্ষেত্রে সুরক্ষা প্রদান করে ফিচার। ‘ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট’ ব্যবহার করে আপনি যোগাযোগ স্থাপন না হওয়া পর্যন্ত অপরিচিত বা অনাকাঙ্ক্ষিত মানুষদেরকে দূরে রেখে নিজের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখতে পারবেন। কার সাথে যোগাযোগ রাখবেন এবং কার সাথে রাখবেন না, সেই সিদ্ধান্ত থাকবে আপনার হাতে।

সিম কার্ড বাইন্ডিং
সিম কার্ড বাইন্ডিং ফিচারটির মাধ্যমে ইমো ব্যবহারকারীদের নিজস্ব ফোনের সিম কার্ডের সাথে ইমো অ্যাকাউন্টটি আবদ্ধ থাকে। এতে করে শুধুমাত্র সিম কার্ড সংলগ্ন ডিভাইসটিতেই অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করা যায়। যেহেতু অন্যান্য ডিভাইসে অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করা যায় না, সেহেতু হ্যাকিংয়ের সুযোগও কমে আসে। এমন একটি ফিচার বিশ্বে প্রথমবারের মত চালু করেছে ইমো।


আরও খবর