Logo
আজঃ শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3
শিরোনাম

অবরোধে দেশের ক্ষতি উল্লেখ করে যে বার্তা দিলেন সজীব ওয়াজেদ জয়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৫৬জন দেখেছেন

Image

বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা বিরোধী জোট ২৮ অক্টোবর থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত একদফা দাবিতে হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে। এতে দেশের অর্থনীতির আনুমানিক সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলারের বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আইসিটিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

বুধবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক স্ট্যাটাসে এ মন্তব্য করেন জয়। 

ওই পোস্টে জয় লেখেন, ২৮ অক্টোবর থেকে ৬ নভেম্বর বিএনপি-জামায়াতে ইসলামী ও তাদের সহযোগীরা মোট ৬ দিনের অবরোধ-হরতাল পালন করেছে। শুধু এই ছয় দিনে অর্থনীতির আনুমানিক ক্ষতি ৩ দশমিক ৫ বিলিয়নের বেশি।

হরতাল-অবরোধে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, দিনমজুর এবং এসএমই খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সরবরাহ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে, যা ইতোমধ্যে সংকটজনক অর্থনৈতিক সময়ে আমদানিকারক এবং রপ্তানিকারক উভয়কেই ক্ষতিগ্রস্ত করছে। শিশু ও যুবকদের শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

জয় তার পোস্টে লেখেন, প্রধানত বাস ও ট্রাকগুলোকে লক্ষ্য করে অন্তত ১১০টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। বিএনপি ও তাদের সহযোগীরা হামলার জন্য দুষ্কৃতকারীদের ৩ হাজার করে টাকা দিচ্ছে। এসব ঝুঁকির কারণে পরিবহণ ভাড়া আকাশচুম্বী হয়ে যাচ্ছে। ফলে পরিবহণ খাতের দুর্দশা জীবনযাত্রার সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলছে।


আরও খবর

হঠাৎ ডিবি কার্যালয়ে শামীম ওসমান

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




আওয়ামী লীগ সরকার জনবান্ধব: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | ৪৭জন দেখেছেন

Image

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনবান্ধব সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ দেশের মাটি ও মানুষের জন্য কাজ করে চলেছে। তাই আগামী নির্বাচনেআওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে হবে। কেননা দেশ ও জনগণের উন্নয়নে আওয়ামী লীগের বিকল্প নেই।

শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সিলেট মহানগরের আখালিয়াস্থ কালীবাড়ীতে সরকারের দেশব্যাপী উন্নয়ন-কর্মযজ্ঞ প্রচার ও আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আয়োজিত উঠানবৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। 

কালীবাড়ি মন্দির কমিটির সভাপতি যিশুপদ পালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নবনির্বাচিত সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বক্তব্যে আরও বলেন, অগ্নি-সন্ত্রাস, জ্বালাও-পোড়াও করে সরকার বদলানো যাবে না। একমাত্র নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমেই সরকার বদল হবে। আমরা বিরোধী দলকে সম্মান করি। আমাদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকবে তবে রাষ্ট্র ক্ষমতার লোভে দেশের শান্তি সম্পদ নষ্ট করে, সাংবাদিক-পুলিশ পিটিয়ে, বিচারপতির বাসভবন, হাসপাতালে হামলা করে রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়া যায় না। বিএনপি-জামায়ত সন্ত্রাসী দল। তাদের হাতে দেশ রাষ্ট্র জনগণ নিরাপদ নয়।

উঠান বৈঠকের শুরুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেলহত্যা দিবসে শহীদ জাতীয় চার নেতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। 

উঠানবৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সহধর্মিণী সেলিনা মোমেন, সিসিক কাউন্সিলর ইলিয়াছুর রহমান ইলিয়াস, আওয়ামী লীগ নেতা সুদীপ দেব, সাব্বির খান, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মকবুল হোসেন খান, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ নেতা ড. মিছবাউর রহমান, মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলেনা আহমেদ, ছাত্রলীগের সভাপতি কিশোয়ার জাহান সৌরভ, সিসিকের মহিলা কাউন্সিলর রেবেকা বেগম ও জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি এজাজুল ইসলাম এজাজ।


আরও খবর

হঠাৎ ডিবি কার্যালয়ে শামীম ওসমান

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




বেসরকারি খাতে বিদেশি ঋণ কমছেই

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৪৬জন দেখেছেন

Image

গত জানুয়ারি থেকে প্রতি মাসে বেসরকারি খাতে স্বল্পমেয়াদি বিদেশি ঋণ কমছে। কারণ পুরোনো ঋণ পরিশোধের পরিমাণ নতুন ঋণের তুলনায় বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, গত সেপ্টেম্বরে স্বল্পমেয়াদী বিদেশি ঋণ ৩ দশমিক ১৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৪৩ কোটি ডলার। গত আগস্টে তা ছিল ১২ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন ডলার। স্বল্পমেয়াদী ঋণ তিন থেকে নয় মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হয় এবং তা বিদেশ থেকে নেওয়া বেসরকারি খাতের মোট ঋণের ৬৩ দশমিক ৫ শতাংশ।

কিন্তু ডলারের কম মজুত, টাকার অবমূল্যায়ন ও বৈশ্বিক সুদের উচ্চহারের কারণে উদ্যোক্তারা এই ধরনের ঋণ এড়িয়ে চলছেন। গত জানুয়ারির শুরুতে বেসরকারি খাতে স্বল্পমেয়াদী বিদেশি ঋণের পরিমাণ ছিল ১৬ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার। এরপর তা কমে হয়েছে ২৪ দশমিক ২৯ শতাংশ। গত ৯ মাসে উদ্যোক্তারা ১৯ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়েছেন এবং মূল অর্থ ও সুদ বাবদ ২৩ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার শোধ করেছেন। নতুন ঋণের তুলনায় ঋণ পরিশোধের উচ্চহার জানুয়ারি থেকে চলমান আছে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, টাকার ব্যাপক অবমূল্যায়নের কারণে বেসরকারি খাত ডলারে ঋণ নিতে আগ্রহী নয়। কয়েক বছর আগে বিদেশি ঋণের সুদের হার ছিল দুই শতাংশ। এখন উদ্যোক্তারা ১০ শতাংশ দিতে রাজি হলেও ডলারে ঋণ পাচ্ছেন না।

২০২১ সালে বেসরকারি খাত বিদেশি ঋণদাতাদের কাছ থেকে স্বল্পমেয়াদে ৩৩ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার ঋণ পেয়েছে। গত বছর ৩৭ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার নতুন ঋণের বিপরীতে ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ছিল ৩৬ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন ঋণের তুলনায় বেশি পরিমাণে ঋণ পরিশোধ দেশের রিজার্ভ কমিয়ে দিচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত ১ নভেম্বর দেশের মোট রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন ডলার। গত ২৫ অক্টোবর তা ছিল ২০ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলার। আইএমএফের তথ্য অনুসারে, ২০২১ সালের আগস্টে দেশের রিজার্ভ ছিল প্রায় ৪০ দশমিক সাত বিলিয়ন ডলার ও ২০২১-২২ সালের শেষে তা ছিল ৩৩ দশমিক চার বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা গেছে, গত জুনে শুরু হওয়া চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে ব্যালেন্স অব পেমেন্টের আর্থিক হিসাবের ঘাটতি ছিল ৯ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার। এর বিপরীতে, আগের বছরের একই সময়ে এটি ৮৩৯ মিলিয়ন ডলার উদ্বৃত্ত ছিল।

রিজার্ভের পতন ঠেকাতে আমদানি সীমিত করার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্যোগের পর চলতি অর্থবছরের জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশের আমদানি কমেছে ২২ দশমিক ৪৭ শতাংশ। গত ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা ছিল ১৫ দশমিক ৮১ শতাংশ।


আরও খবর

আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম

শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩




খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হয়েই কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করেন : শেখ হাসিনা

প্রকাশিত:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৩৯জন দেখেছেন

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত আমরা ক্ষমতায় ছিলাম। ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক করব সেই পরিকল্পনা নিয়েছিলাম।’

‘প্রায় দশ হাজারের মতো ক্লিনিক আমরা নির্মাণ করি, এর মধ্যে ৪০০০ চালু করি। এক বছরের মধ্যে এর সাফল্য প্রায় ৭০ ভাগ। মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে। কারণ, বিনা পয়সায় সেখানো ওষুধ দেওয়া হয়। দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, ২০০১ সালের অক্টোবরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারেনি। তখন বিএনপি ক্ষমতায় আসে। প্রধানমন্ত্রী হন খালেদা জিয়া, সঙ্গে সঙ্গে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়। স্বাস্থ্যসেবা থেকে মানুষকে বঞ্চিত করে। এটাই হচ্ছে আমাদের দুর্ভাগ্য।’

আজ রবিবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে দ্বিতীয় জাতীয় কুষ্ঠ সম্মেলন-২০২৩ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘২১ বছর পর আমরা সরকার গঠন করি, জনগণের সেবার সুযোগ পাই। তখন থেকে আমাদের প্রচেষ্টা এদেশের মানুষকে বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া, এটা জাতির পিতাই শুরু করেছিলেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে যাতে প্রাইভেট হাসপাতাল গড়ে ওঠে, তার জন্য প্রাইভেট হাসপাতালের সব যন্ত্রপাতির ওপর ট্যাক্স, বিশেষ করে শিশুদের চিকিৎসার জন্য ট্যাক্স একেবারে শূন্য করে দেই। বেসরকারি উদ্যোক্তা যাতে সৃষ্টি হয় সেজন্য তাদের উৎসাহিত করি। তাদের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা আমরা করে দেই। যার জন্য সারা বাংলাদেশে প্রাইভেট হাসপাতাল গড়ে উঠেছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য সারাটা জীবন আমার বাবা সংগ্রাম করেছিলেন। সে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীন জাতি হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে পারছি। তার সেই স্বপ্নপূরণই আমার একমাত্র লক্ষ্য।’

তিনি বলেন, ‘কুষ্ঠ রোগ নির্মূল  করা যে সম্ভব এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আমাদের জ্ঞান অভিজ্ঞতা আমরা সঞ্চয় করব। আমরা যে কী কী কাজ করেছি সেগুলো প্রচারে সুযোগ পাচ্ছি। প্রথমবার যখন আমরা সরকারে আসি তখন স্বাস্থ্য সেবার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নিই।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘৯৬ সালের সরকারে এসে বাংলাদেশের প্রথম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করি। সেই সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের রোগের চিকিৎসার জন্য দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে বিভিন্ন ইনস্টিটিউট আমরা প্রতিষ্ঠা করার পদক্ষেপ গ্রহণ করি।’


আরও খবর



নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে পাকিস্তান

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৭৪জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক : বিশ্বকাপে নিজেদের সপ্তম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামছে পাকিস্তান। শনিবার (৪ নভেম্বর) ব্যাঙ্গালুরের এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম।

জয় দিয়ে বিশ্বকাপ দারুণ শুরু করেছিল নিউজিল্যান্ড। এরপর টানা তিন হারে কিছুটা অস্বস্তিতে রয়েছে কিউরা। এই ম্যাচ দিয়ে জয় জয়ের ধারায় ফিরতে মরিয়া তারা। ইনজুরি কাটিয়ে এই ম্যাচে দলে ফিরেছেন নিয়মিত অধিনায়ক কেন উইলিয়ামস। এই ম্যাচে তিন পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামছে নিউজিল্যান্ড। ম্যাট হেনরি পরিবর্তে একাদশে জায়গা পেয়েছেন ইশ শোধি।

অপরদিকে, টানা দুই জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করেছিল পাকিস্তান। এরপর তারা চার হার। কিন্তু বাংলাদেশের বিপক্ষে ৭ উইকেটে জিতে কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছে বাবার আজমের দল। তবে সেমিফাইনালের লড়াইয়ের টিকে থাকতে এই ম্যাচে জয় ছাড়া কিছু ভাবছে না পাকিস্তান। এই ম্যাচে এক পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামছে পাকিস্তান। উসামা মীরের পরিবর্তে একাদশে জায়গা পেয়েছে হাসান আলী।

নিউজিল্যান্ডের একাদশ: ডেভন কনওয়ে, রাচিন রবীন্দ্র, কেন উইলিয়ামস(অধিনায়ক) , ড্যারিল মিচেল, গ্লেন ফিলিপস, টম ল্যাথাম , মার্ক চ্যাপম্যান, মিচেল স্যান্টনার, টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্ট ও ইশ শোধি।

পাকিস্তান একাদশ: আবদুল্লাহ শফিক, ফকর জামান, বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান, সৌদ শাকিল, ইফতিখার আহমেদ, আঘা সালমান, হাসান আলী, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, শাহীন শাহ আফ্রিদি ও হারিস রউফ।


আরও খবর

৩১৭ রানে অলআউট নিউজিল্যান্ড

বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩




লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহর অর্থ ও শর্ত

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ২৭জন দেখেছেন

Image

ইসলামিক ডেস্ক : সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হলো ঈমান। ঈমানের বিপরীত কুফর। ঈমান সত্য, কুফর মিথ্যা। ঈমান আলো, কুফর অন্ধকার।

ঈমানই জীবন, কুফর মৃত্যুতুল্য। ঈমান সরল পথ, আর কুফর ভ্রষ্টতার পথ। ঈমানের কালেমা ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’। এ কালেমার জন্য সৃষ্টিজগতের সৃষ্টি।

এ কালেমার জন্য মানুষ কাফির ও মুমিন—দুই ভাগে বিভক্ত। কেউ সৌভাগ্যবান—তারা জান্নাতি। আর কেউ হতভাগা—তারা জাহান্নামি।

এ কালেমার বাণী প্রচারের জন্য মহান আল্লাহ যুগে যুগে অসংখ্য নবী-রাসুল প্রেরণ করেছেন।

মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমার আগে আমি যত রাসুল প্রেরণ করেছি, তাদের সবার ওপর আমার এই মর্মে নির্দেশ ছিল যে আমি ছাড়া আর কোনো ইলাহ (উপাস্য) নেই। সুতরাং তোমরা আমারই ইবাদত করো।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত : ২৫)

‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র অর্থ হলো, আল্লাহ ছাড়া কোনো (সত্য) মাবুদ (উপাস্য) নেই। আল্লাহ ছাড়া কোনো বস্তু বা সত্তার ইলাহ হওয়ার যোগ্যতা নেই। ইবাদতের একমাত্র উপযুক্ত মহান আল্লাহ।

মহান আল্লাহ পৃথিবীর প্রকৃত মালিক। আকাশ ও পৃথিবী তিনি নিজ ক্ষমতাবলে সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টির ওপর তাঁর একচ্ছত্র মালিকানা, কর্তৃত্ব ও নিরঙ্কুশ ক্ষমতা। আর তা অবিভাজ্য ও অংশীদারহীন। সুতরাং তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘তিনিই (আল্লাহ) সেই সত্তা, যিনি আকাশ ও পৃথিবীর ইলাহ (উপাস্য)।’ (সুরা জুখরুফ, আয়াত : ৮৪)

‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র দুই রুকন বা স্তম্ভ। অর্থাৎ এই বাক্যের মধ্যে ইতিবাচক ও নেতিবাচক—দুই ধরনের অর্থ আছে :

১. ‘না’ সূচক : আর তা হলো, ‘লা-ইলাহা’।‘লা’ মানে না বা নেই।‘ইলাহ’ মানে মাবুদ (উপাস্য/ইবাদতের উপযুক্ত)। অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোনো (সত্য) ইলাহ নেই।

প্রত্যেক পূজনীয় বস্তুকে ‘ইলাহ’ বলা হয়। ইমাম রাগেব ইসফাহানি (রহ.) লিখেছেন, কারো কারো মতে, আল্লাহ শব্দের মূল হলো ‘ইলাহ’। আর আরবের লোকেরা ‘ইলাহ’ শব্দ মাবুদ (যার ইবাদত করা হয়) অর্থে ব্যবহার করে। (আল-মুফরাতাদ ফি গারিবিল কোরআন, পৃষ্ঠা ৩১, ইলাহ)

সুতরাং ‘লা-ইলাহা’ মানে ইবাদত ও উপাসনায় আল্লাহর কোনো শরিক নেই।‘লা-ইলাহা’ অংশীদারত্বের সব প্রকারকে সম্পূর্ণরূপে বাতিল করে দেয়। আল্লাহ ছাড়া যাদের ইবাদত করা হয়, সবগুলো বর্জন করা অপরিহার্য করে দেয় ‘লা-ইলাহা’। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর এটা এ জন্য যে নিশ্চয়ই আল্লাহই সত্য এবং তার পরিবর্তে তারা যা ডাকে, অবশ্যই তা বাতিল। আর নিশ্চয়ই তিনিই তো সমুচ্চ, সুমহান।’ (সুরা হজ, আয়াত : ৬২)

২. ‘হ্যাঁ’ সূচক : আর তা হলো ‘ইল্লাল্লাহ’।‘ইল্লা’ মানে ছাড়া, ব্যতীত। ‘ইল্লাল্লাহ’ মানে আল্লাহ ছাড়া (আর কোনো ইলাহ নেই)।

সুতরাং এই কালেমার ‘না’ সূচক ‘লা-ইলাহা’ এবং ‘হ্যাঁ’ সূচক ‘ইল্লাল্লাহ’ দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা দেয়—একমাত্র ইলাহ মহান আল্লাহ।

তাই ‘ইল্লাল্লাহ’ বান্দার ইবাদতকে শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য সাব্যস্ত করে। ইবাদতের যোগ্য একমাত্র আল্লাহ—তা অপরিহার্য করে দেয়। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আর তোমাদের ইলাহ এক ইলাহ’। তিনি ছাড়া অন্য কোনো ইলাহ নেই। তিনি অতি দয়াময়, পরম দয়ালু। (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৬৩)

এই পবিত্র কালেমায় যথাযথ বিশ্বাসী হতে হলে সাতটি শর্ত পূরণ করতে হবে। এসব শর্ত কোরআন-হাদিস থেকে গৃহীত।

শর্তগুলো হলো : ১. ‘ইলম’ অর্থাৎ (কালেমার অর্থ ও দাবি) জানা। ২. ‘ইয়াকিন’ তথা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করা। ৩. ‘ইখলাস’ অর্থাৎ একনিষ্ঠ ও বিশুদ্ধ হওয়া। ৪. ‘সিদক’ তথা সত্যায়ন করা। ৫. ‘মাহাব্বাহ’ তথা ভালোবাসা। ৬. ‘ইনকিয়াদ’ তথা নিঃশর্ত আনুগত্য প্রদর্শন করা। ৭. ‘কবুল’ তথা শর্তহীনভাবে গ্রহণ করা।

শর্তগুলোর সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা

প্রথম শর্ত : এ কালেমার ‘না’ বাচক এবং ‘হ্যাঁ’ বাচক দুটি অংশের অর্থ সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান থাকা জরুরি।

দ্বিতীয় শর্ত : ইয়াকিন বা দৃঢ় প্রত্যয়। অর্থাৎ এ কালেমার মাধ্যমে যে কথার স্বীকৃতি দেওয়া হয়, তাতে বিন্দু পরিমাণ সন্দেহ থাকতে পারবে না।

তৃতীয় শর্ত : ইখলাস বা নিষ্ঠা। অর্থাৎ অংশীদারত্বমুক্ত হয়ে বিশুদ্ধচিত্তে কালেমার দাবি মেনে নেওয়া। এই শর্ত ব্যক্তিকে শিরক ও রিয়া থেকে মুক্ত রাখবে।

চতুর্থ শর্ত : এই কালেমা পাঠকারীকে সত্যের পরাকাষ্ঠা হতে হবে। অর্থাৎ একই সঙ্গে মুখে ও অন্তরে এই কালেমায় বিশ্বাসী হতে হবে। এই শর্ত তাকে মুনাফিকি আচরণ থেকে বিরত রাখবে।

পঞ্চম শর্ত : ভালোবাসা। এই কালেমাকে হৃদয় দিয়ে গ্রহণ, ধারণ ও লালন করতে হবে এবং মনেপ্রাণে ভালোবাসতে হবে।

ষষ্ঠ শর্ত : আনুগত্য করা। এই কালেমার শর্ত ও দাবি হলো, পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ করা। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য ইসলামী শরিয়তের যাবতীয় আদেশ-নিষেধ মেনে চলা।

সপ্তম শর্ত : আন্তরিকভাবে এ কালেমা কবুল করা। দ্বিনের কোনো কাজ প্রত্যাখ্যান ও বর্জন থেকে নিজেকে বিরত রাখা। (ফাতহুল মাজিদ, শায়খ আবদুর রহমান বিন হাসান, পৃষ্ঠা ৯১)

কোনো কোনো আলেম উল্লিখিত সাতটি শর্তের সঙ্গে অষ্টম শর্ত যোগ করেছেন, আর তা হচ্ছে, তাগুতের সঙ্গে কুফরি করা। অর্থাৎ আল্লাহর প্রতি ঈমান এবং তাগুতের প্রতি কুফরি।

তাগুত হলো, ওই সব বাতিল উপাস্য, আল্লাহকে ছাড়া যাদের উপাসনা করা হয়।

তাগুত শব্দের অর্থ সীমা লঙ্ঘনকারী, দুষ্কৃতির মূল বস্তু, যা মানুষকে বিভ্রান্ত করে। শয়তান, কল্পিত উপাস্য, যাবতীয় বিভ্রান্তিকর উপায়-উপকরণ তাগুতের অন্তর্ভুক্ত। [আল-কোরআনুল করিম, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, টীকা নম্বর : ১৭৭ (অবলম্বনে)]

সুতরাং কালেমা পাঠকারী এগুলো বর্জন করবে—এটাই স্বাভাবিক। মহান আল্লাহ বলেন, ‘...সুতরাং যে ব্যক্তি তাগুত অস্বীকার করে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে, অবশ্যই সে মজবুত হাতল আঁকড়ে ধরে, যা কখনো ভাঙবে না। আল্লাহ সর্বশ্রোতা, প্রজ্ঞাময়।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৫৬)


আরও খবর