Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম

অন্তর্বর্তী সরকার সংবাদপত্রে বিন্দুমাত্র হস্তক্ষেপ করেনি : প্রেস সচিব

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ | ১৪৫জন দেখেছেন

Image

নিজেস্ব প্রতিনিধি: অন্তর্বর্তী সরকার কোনো সাংবাদিক বা সংবাদপত্রে বিন্দুমাত্র হস্তক্ষেপ করেনি এবং করবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।


শফিকুল আলম বলেন, আমরা এক ইঞ্চিও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আটকাবো না। আমাদের সরকারের উদ্দেশ্যই হচ্ছে মুক্ত গণমাধ্যম, মুক্ত সাংবাদিকতা।


অন্তর্বর্তী সরকার স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী জানিয়ে তিনি বলেন, গত চার মাসে আমরা কাউকে মানা করিনি। আপনারা আমাদের ভুলত্রুটি দেখিয়ে দিন, ধরিয়ে দিন। ক্ষমতায় থাকলে অনেক কিছু বোঝা যায় না। তাই আপনারা দায়িত্ব নিয়ে ভুল ধরিয়ে দিন।


তিনি বলেন, ইতোমধ্যে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন কাজ শুরু করেছে। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তী সরকার গণমাধ্যমকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চায়।


প্রেস সচিব বলেন, গণমাধ্যম মালিকরা যেন সাংবাদিকদের মুখ বন্ধ করতে না পরে এ বিষয়েও তারা কাজ করতে চান। মালিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের বেতন না দিতে পারলে মালিকদের বলবো প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেন।


আরও খবর



পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এমডি ও পিডিকে অপসারন সহ ৯ দফা দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ১৬জন দেখেছেন

Image

পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্লান্ট ম্যানেজারের অপসারণ সহ ৯ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে ভূমি অধিগ্রহনে ক্ষতিগ্রস্থরা। রবিবার দুপুর বারোটায় কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য রবিউল আউয়াল অন্তর,  বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাহবুবুল আলম নাঈম ও বিলকিস বেগম সহ আরো অনেকে।

বক্তারা, তাদের দাবি মানা না হলে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান ফটকে অবস্থান কর্মসূচি সহ আরো কঠোর কর্মসূচি পালনের হুশিয়ারি দেন।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নে ১ হাজার একর জমির উপর নির্মান করা হয় পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র। ভূমি অধিগ্রহনের সময় ক্ষতিগ্রস্থদের বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হওয়ায় তারা দীর্ঘদিন ধরে এসব কর্মসূচি পালন করে আসছে।


আরও খবর



মোবাইল রিচার্জে ১০০ টাকার মধ্যে ৫৬ টাকাই ভ্যাট

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ৫৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি: ফের খরচ বাড়ছে মোবাইলে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারে। এবার এই সেবার ওপর ৩ শতাংশ সম্পূরক কর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যা সরকারের পক্ষ থেকে অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে। যেকোনো সময় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে মোবাইল ফোন সেবায় সম্পূরক শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছিল। সেটি এখন আরও বাড়িয়ে ২৩ শতাংশ করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।


সে অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত মোবাইলে ১০০ টাকার রিচার্জ করলে সম্পূরক শুল্ক, ভ্যাট ও সারচার্জ দিতে হয় ২৮ দশমিক ১ টাকা, রেভেনিউ শেয়ার ও মিনিমাম ট্যাক্স দিতে হয় ৬ দশমিক ১ টাকা, পরোক্ষ কর দিতে হয় ২০ দশমিক ৪ টাকা।

অর্থাৎ, গ্রাহক ১০০ টাকা রিচার্জ করলে সবমিলিয়ে কর দিতেন ৫৪ দশমিক ৬ টাকা।


অন্তর্বর্তী সরকার সম্পূরক শুল্ক আরও ৩ শতাংশ বাড়ালে কর দিতে হবে ৫৬ দশমিক ৩ টাকা। যার মধ্যে সম্পূরক শুল্ক, ভ্যাট ও সারচার্জ কাটবে ২৯ দশমিক ৮ টাকা। রেভিনিউ শেয়ার ও মিনিমাম ট্যাক্স কাটবে ৬ দশমিক ১ টাকা, পরোক্ষ কর কাটবে ২০ দশমিক ৪ টাকা।

অর্থাৎ, সামনে থেকে গ্রাহক ১০০ টাকা রিচার্জ করলে সবমিলিয়ে কর দিতে হবে ৫৬ দশমিক ৩ টাকা।

ফলে এখন গ্রাহক ১০০ টাকায় ব্যবহার করতে পারবেন মূলত মাত্র ৪৩ টাকা ৭০ পয়সা।

এদিকে, মোবাইলে ফোন সেবায় দফায় দফায় খরচ বাড়ায় ইন্টারনেট গ্রাহক কমছে। তাছাড়া অনেকে ডাটা ব্যবহারের খরচে কাটছাঁট করছেন। এতে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তিতে এগিয়ে যাওয়ার বদলে উল্টোপথে হাঁটছে দেশের মানুষ।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী—গত নভেম্বর মাসে মুঠোফোনের গ্রাহক ছিল ১৮ কোটি ৮৭ লাখ, যা গত জুনের চেয়ে ৭৩ লাখ কম। অন্যদিকে জুনের চেয়ে মুঠোফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৯৭ লাখ কমে ১৩ কোটি ২৮ লাখে নেমেছে।

ভয়েস কল এবং ইন্টারনেট ডাটায় নতুন করে কর বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে বৈষম্যমূলক আচরণ বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. মহিউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, এনবিআরের ওপর ফ্যাসিবাদ সরকারের আত্মা ভর করেছে। সেজন্যই নতুন করে গ্রাহকদের ওপর অনৈতিকভাবে সম্পূরক শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছে। আমরা মনে করি এ ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত একমাত্র তারাই নিতে পারে যাদের ওপর বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের ছায়া রয়েছে। ইন্টারনেট পরিষেবায় আমরা বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় তলানিতে আছি কিন্তু ভ্যাটের ক্ষেত্রে বিশ্বের সর্বোচ্চ স্থানে। যেখানে দেশের এখনো ৪৮ শতাংশ জনগণ ইন্টারনেট সেবার বাইরে আছে সেখানে নতুন করে এই উচ্চ কর নাগরিকদের ইন্টারনেট সেবা থেকে বিমুখ করবে। এমন সিদ্ধান্ত নতুন করে বৈষম্য সৃষ্টি করবে।

জনগণের পকেট কাটার জন্য এমন সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক এবং অগ্রহণযোগ্য উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা প্রাণ দিয়েছিল জবাবদিহিতামূলক গণতন্ত্র ও সেবামূলক রাষ্ট্র গঠন করার জন্য। কিন্তু বর্তমান সরকার এবং এনবিআর সামাজিক দায়বদ্ধতার বিষয়টি ভুলে গিয়ে রাষ্ট্রের অর্থ যোগানোর জন্য জনগণের পকেট কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা হঠকারী, অযৌক্তিক এবং ফ্যাসিবাদী আচরণের অংশ। এমন সিদ্ধান্ত থেকে তাদের সরে আসতে হবে।

: ফের খরচ বাড়ছে মোবাইলে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারে। এবার এই সেবার ওপর ৩ শতাংশ সম্পূরক কর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যা সরকারের পক্ষ থেকে অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে। যেকোনো সময় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে মোবাইল ফোন সেবায় সম্পূরক শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছিল। সেটি এখন আরও বাড়িয়ে ২৩ শতাংশ করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।


সে অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত মোবাইলে ১০০ টাকার রিচার্জ করলে সম্পূরক শুল্ক, ভ্যাট ও সারচার্জ দিতে হয় ২৮ দশমিক ১ টাকা, রেভেনিউ শেয়ার ও মিনিমাম ট্যাক্স দিতে হয় ৬ দশমিক ১ টাকা, পরোক্ষ কর দিতে হয় ২০ দশমিক ৪ টাকা।

অর্থাৎ, গ্রাহক ১০০ টাকা রিচার্জ করলে সবমিলিয়ে কর দিতেন ৫৪ দশমিক ৬ টাকা।


অন্তর্বর্তী সরকার সম্পূরক শুল্ক আরও ৩ শতাংশ বাড়ালে কর দিতে হবে ৫৬ দশমিক ৩ টাকা। যার মধ্যে সম্পূরক শুল্ক, ভ্যাট ও সারচার্জ কাটবে ২৯ দশমিক ৮ টাকা। রেভিনিউ শেয়ার ও মিনিমাম ট্যাক্স কাটবে ৬ দশমিক ১ টাকা, পরোক্ষ কর কাটবে ২০ দশমিক ৪ টাকা।

অর্থাৎ, সামনে থেকে গ্রাহক ১০০ টাকা রিচার্জ করলে সবমিলিয়ে কর দিতে হবে ৫৬ দশমিক ৩ টাকা।

ফলে এখন গ্রাহক ১০০ টাকায় ব্যবহার করতে পারবেন মূলত মাত্র ৪৩ টাকা ৭০ পয়সা।

এদিকে, মোবাইলে ফোন সেবায় দফায় দফায় খরচ বাড়ায় ইন্টারনেট গ্রাহক কমছে। তাছাড়া অনেকে ডাটা ব্যবহারের খরচে কাটছাঁট করছেন। এতে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তিতে এগিয়ে যাওয়ার বদলে উল্টোপথে হাঁটছে দেশের মানুষ।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী—গত নভেম্বর মাসে মুঠোফোনের গ্রাহক ছিল ১৮ কোটি ৮৭ লাখ, যা গত জুনের চেয়ে ৭৩ লাখ কম। অন্যদিকে জুনের চেয়ে মুঠোফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৯৭ লাখ কমে ১৩ কোটি ২৮ লাখে নেমেছে।

ভয়েস কল এবং ইন্টারনেট ডাটায় নতুন করে কর বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে বৈষম্যমূলক আচরণ বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. মহিউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, এনবিআরের ওপর ফ্যাসিবাদ সরকারের আত্মা ভর করেছে। সেজন্যই নতুন করে গ্রাহকদের ওপর অনৈতিকভাবে সম্পূরক শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছে। আমরা মনে করি এ ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত একমাত্র তারাই নিতে পারে যাদের ওপর বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের ছায়া রয়েছে। ইন্টারনেট পরিষেবায় আমরা বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় তলানিতে আছি কিন্তু ভ্যাটের ক্ষেত্রে বিশ্বের সর্বোচ্চ স্থানে। যেখানে দেশের এখনো ৪৮ শতাংশ জনগণ ইন্টারনেট সেবার বাইরে আছে সেখানে নতুন করে এই উচ্চ কর নাগরিকদের ইন্টারনেট সেবা থেকে বিমুখ করবে। এমন সিদ্ধান্ত নতুন করে বৈষম্য সৃষ্টি করবে।

জনগণের পকেট কাটার জন্য এমন সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক এবং অগ্রহণযোগ্য উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা প্রাণ দিয়েছিল জবাবদিহিতামূলক গণতন্ত্র ও সেবামূলক রাষ্ট্র গঠন করার জন্য। কিন্তু বর্তমান সরকার এবং এনবিআর সামাজিক দায়বদ্ধতার বিষয়টি ভুলে গিয়ে রাষ্ট্রের অর্থ যোগানোর জন্য জনগণের পকেট কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা হঠকারী, অযৌক্তিক এবং ফ্যাসিবাদী আচরণের অংশ। এমন সিদ্ধান্ত থেকে তাদের সরে আসতে হবে।


আরও খবর



মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপির পৃথক পৃথক কর্মসূচি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ১২৮জন দেখেছেন

Image

পটুয়াখালী প্রতিনিধি: মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তা বাদী ছাত্রদল পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা শাখার উদ্যেগে  র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  সোমবার বেলা ১১টায় উপজেলার মানিক মিয়া চত্ত্বর থেকে একটি র‍্যালী বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিন শেষে সদর ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় এসে শেষ হয়। পরে উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিদ্দিক আহম্মেদ মোল্লার সভাপতিত্বে ও দশমিনা সরকারি আব্দুর রশিদ তালুকদার ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবুল বাশার এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিতি ছিলেন-উপজেলা বিএনপির  সহ সভাপতি রুহুল আমিন মোল্লা, আমিন হাওলাদার, সদস্য ও সাবেক চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন আকন সহ নবীন দলের নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।

এদিকে, উপজেলা বিএনপি নানা কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে র‍্যালী ও পথ সভা করেছেন।  এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল আলীম তালুকদার, সাধারন সম্পাদক শাহ আলম শানু, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফকরুজ্জামান বাদল, সাংগঠনিক সম্পাদক বেল্লাল হোসেন মৃধা, যুব দলের আহবায়ক এ্যাডভোকেট এনামুল হক রতন ও সদস্য সচিব শামীম খান সহ বিএনপির সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রমুখ।


আরও খবর



৫০ বছর পর প্রকাশ্যে মেজর ডালিম, শেখ মুজিবকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ | ৪৩জন দেখেছেন

Image

ডিজিটাল ডেস্ক:  প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের লাইভ টকশোতে কথা বলেছেন দীর্ঘদিন আড়ালে থাকা বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর শরিফুল হক ডালিম (বীর বিক্রম)। তিনি শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে খুনে জড়িত অভিযোগে অভিযুক্ত। লাইভে ৫০ বছরের সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন মেজর ডালিম।

রোববার (৫ জানুয়ারি) রাতে ‘বিশেষ লাইভে যুক্ত আছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর ডালিম (বীর বিক্রম)’ শিরোনামের লাইভে যুক্ত হন সাবেক এই সামরিক কর্মকর্তা। ইলিয়াসের নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত টকশোটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়।


টকশোতে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ৭৫ এর ১৫ আগস্টের নেপথ্যের ইতিহাস তুলে ধরেন বিদেশে নির্বাসিত আলোচিত এই সাবেক সামরিক কর্মকর্তা।

টকশোর শুরুতে মেজর ডালিম বলেন, দেশবাসীকে বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের ছাত্র-জনতাকে, যারা আংশিক বিজয় অর্জন করেছেন, তাদের লাল শুভেচ্ছা জানাই। বিপ্লব একটি সমাজ যেকোনো রাষ্ট্রে একটি চলমান প্রক্রিয়া। সেই অর্থে তাদের বিজয় এখনও পুরোপুরি অর্জিত হয়নি। তার জন্য আরও সময় প্রয়োজন।


২৪’এর গণঅভ্যুত্থানের নেপথ্যের নায়ক ছাত্র-জনতাকে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, সম্প্রসারণবাদী-হিন্দুত্ববাদী ভারত যার কবজায় আমরা প্রায় চলে গিয়েছি। সেই অবস্থান থেকে সেই ৭১’এর মতো আরেকটা স্বাধীনতা অর্জন করতে হবে। তা না হলে বিপ্লব ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে।

 

৭৫ এর হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের কারণ জানতে চাইলে তিনি বিস্তারিত ইতিহাস তুলে ধরেন।

মেজর ডালিম বলেন, খুবই স্পর্শকাতর প্রশ্ন। নিজের বাদ্য নিজে বাজানো যায় না। প্রথম কথা, ১৫ই আগস্ট কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা না। এটার সূত্রপাত হয় মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন অবস্থায়। আমরা বুঝতে পেরেছিলাম বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধটা কাদের ইন্টারেস্টে হচ্ছে? এটা কি আমাদের ইন্টারেস্টের জন্য হচ্ছে যে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করবো। নাকি অন্য কোনো উদ্দেশ্য কাজ করবো।

এই বীর বিক্রম বলেন, যখন সাতদফাতে চুক্তি করে নজরুল ইসলাম, তাজ উদ্দিনকে পারমিশন দেওয়া হলো একটা প্রভিশনাল গভমেন্ট গঠন করার। সাতটা ক্লজ পড়ে সাইন করার পর নজরুল ইসলাম ফিট হয়ে পড়ে গিয়েছিলেন যে, আমরা ক্রমান্বয়ে ভারতের একটা করদরাজ্য-অঙ্গরাজ্যে পরিণত হব।

তিনি বলেন, ‘শেখ মুজিব তার জুলুমের মাত্রা এতোটাই তীব্র করেছিল স্বৈরাচারী আচরণের মতো যে, তখন মানুষ রবের কাছে মুক্তি চাচ্ছিল তার জুলুমের অবসানের জন্য।’

মেজর ডালিম বলেন, ‘মুজিব তো মারা যায়নি, মুজিব একটি সেনা অভ্যুত্থানে নিহত হয়েছেন। সেনা অভ্যুত্থান তো আর আর খালি হাতে মার্বেল খেলা না। ওখানে দুই পক্ষ থেকেই গোলাগুলি হয় এবং হতাহত হয় দুইপক্ষেই। যেমন মুজিবের পক্ষের কিছু লোক মারা গেল সেভাবে সেনাঅভ্যুত্থানকারী বিপ্লবীদের পক্ষ থেকেও কিছু লোক প্রাণ হারায়। এটাই বাস্তবতা। কিন্তু বিপ্লবীরা বিজয়ী হয়ে গেল, তারা ক্ষমতা নিজের হাতে নিয়ে নিলো।’

তিনি বলেন, ‘মুজিবের মৃত্যুর খবর জানার পর আর বাকশালের পতনের খবর জানার পর শহর বন্দর গ্রামের লাখ লাখ মানুষ আনন্দ মিছিল বের করলো। যে সমস্ত রাজনৈতিক নেতা বা দলগুলো আন্ডারগ্রাউন্ড ছিল তারাও জনসমর্থন নিয়ে রাস্তায় চলে আসে। এভাবেই জনস্বীকৃতি পেয়েছিল ১৫ আগস্টের বৈপ্লবিক সামরিক অভ্যুত্থান।’

২৪ এর বিপ্লবীদের উদ্দেশ্যে মেজর ডালিম বলেন, ‘বর্তমান প্রজন্মের বিল্পবীদের, ছাত্র-জনতার বিপ্লবী কর্মকর্ড যদি কোনো রকম অবদান রাখতে পারি, আমাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা, যোগাযোগ থেকে…তাহলে আমরা সেটা করতে প্রস্তুত। পিছপা হবো না, ইনশাআল্লাহ। আমরা তাদেরকে শ্রদ্ধা, সালাম এবং বিপ্লবী সালাম, সাথে মন থেকে দোয়া করছি তাদের বিপ্লব যাতে ব্যর্থ না হয়। তারা যাতে বিজয় অর্জন করে সুখী সমৃদ্ধ শক্তিশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলো তাদের দুর্জ্যেয় ঘাঁটি হিসেবে গড়ে তুলতে পারে।’

জাতীয় সঙ্গীত ইস্যুতে মেজর বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের না হয়ে কাজী নজরুল ইসলাম বা অন্যান্য স্বনামধন্য দেশীয় কবিদের গান হতে পারত। ভিনদেশী একজন কবির গানকে জাতীয় সঙ্গীত বানানোকে পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল বলে মন্তব্য করেন তিনি।


আরও খবর



একটা নির্বাচন কিংবা ভোটের জন্য এত মানুষ জীবন দেয়নি: আসিফ মাহমুদ

প্রকাশিত:বুধবার ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৫ | ৯৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি: শুধু একটা নির্বাচন কিংবা ভোটের জন্য এত এত মানুষ জীবন দেয়নি বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। আজ বুধবার সকালে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পরিষদ হলরুমে অসহায় ও দুস্থ মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।


উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘এই গণ-অভ্যুত্থানের যে এক দফা ছিল, তা হলো স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতন ও ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ বলতে আমরা স্পষ্টভাবে বুঝি, বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ফ্যাসিজমের মধ্য দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস অবস্থায় রেখে যাওয়া হয়েছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করা হয়েছে। সেই জায়গা থেকে, এক দফা বাস্তবায়নের জায়গা থেকে আমরা মনে করি, সংস্কারের কার্যক্রম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুধু একটা নির্বাচন কিংবা ভোটের জন্য এত এত মানুষ জীবন দেয়নি। আমরা ধারণা করছি, ২ সহস্রাধিক মানুষ শহীদ ও ২০ হাজারের বেশি আহত।’


শহীদ পরিবার ও আহত ব্যক্তিরাও সংস্কারের কথা বলছেন মন্তব্য করে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘এই সরকারের ক্লিয়ার ম্যান্ডেট হচ্ছে, আমরা সংস্কার কার্যক্রমগুলো করব। আপনারা জানেন, আমাদের কমিশনগুলোর তিন মাসের মতো সময় হয়ে যাচ্ছে; তারা প্রস্তাবনা দেবে। তারপর যারা স্টেকহোল্ডার আছে, তাদের সঙ্গে কথা বলে সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে একটা নির্বাচনের দিকে যাব।’


আন্দোলনে ঠাকুরগাঁওয়ের আহত ব্যক্তিরা সরকারি সহযোগিতা পাচ্ছেন না বলে জানানো হলে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘ঠাকুরগাঁওয়ের আহত কয়েকজনের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। যারা এখানে প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছে, তাদের সঙ্গেও কথা হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার ব্যাপারে আরও কীভাবে সহযোগিতা করা যায়, বিষয়টি কেন্দ্রীয়ভাবে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের যাঁরা দেখেন, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগের ব্যবস্থা করেছি। আশা করি, সামনের দিনে আর এই সমস্যাগুলো থাকবে না।’


উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, ‘জনগণ যেভাবে চায়, আমরা সেভাবে বাংলাদেশকে গড়তে চাই। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান যেন জনবান্ধব হয়ে কাজ করতে পারে, সেভাবেই গড়ে দিয়ে যেতে চাই।’


এ সময় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) ঠাকুরগাঁও কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মামুন বিশ্বাস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সরদার মোস্তফা শাহিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লিজা বেগম, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ কুমার দেবনাথ প্রমুখ বক্তব্য দেন।



আরও খবর

স্বস্তি ও উদ্বেগ দুটোই বিএনপিতে

শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫