Logo
আজঃ শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3
শিরোনাম

ওদের অসহায় দেখে গলাটা বুজে আসে

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৩০জন দেখেছেন

Image

ফিলিস্তিনের ছবি দেখছি অনলাইনে, খবরের কাগজ ও টেলিভিশনের পর্দায়। বোমা ফেলা হচ্ছে নিরীহ মানুষজনের ওপর। আক্রমণ চলছে হাসপাতালেও। একটি ছবিতে দেখেছিলাম পরিবারের সবাই মারা পড়েছেন, আর সবার লাশের সামনে বসে আছেন বেঁচে যাওয়া একজন মাত্র মানুষ। এ পর্যন্ত ১১ হাজার হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন। এর মধ্যে শিশু মারা গেছে ৪ হাজারের বেশি।

এসব দেখেশুনে মনটা ভেঙে যায়। আবার মনটাকে সরিয়ে কাজে নেমে পড়ি। নতুন মুক্তি পাওয়া ছবির প্রচারে যাচ্ছি, যোগ দিচ্ছি পুরস্কারের অনুষ্ঠানে, গোয়া চলচ্চিত্র উৎসবে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এর জন্য মনে অপরাধ–অপরাধও লাগে। আমার বা আমাদের জীবন তো চলছে, কিন্তু ওদের জীবন তো প্রতিটা মুহূর্তে মৃত্যুর মুখোমুখি। তাদের অসহায়তা দেখে গলাটা বুজে আসে।

এই হত্যাকাণ্ড থামুক। শিশুরা খেলা করুক রোদেলা মাঠে, খেজুর গাছের নিচে। নিজের দেশে দেশছাড়া এই মানুষগুলো নিজেদের ঘরে ফিরুক। ওদের বাঁচানোর জন্য পৃথিবীর বড় বড় মানুষেরা কি এক হতে পারেন না? এটা কি খুব বড় প্রত্যাশা?


আরও খবর



এখনো সামান্থাকে ভুলতে পারছেন না নাগা চৈতন্য

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১১জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক : দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক নাগা চৈতন্য ও অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু চার বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনেছিলেন ২০২১ সালে। এর মধ্যে গত কয়েক বছর ধরে সামান্থার ব্যক্তিগত জীবনে অনেক ঝড় বয়ে গেছে। 

তবু সব সামলে পেশাদার অভিনেত্রী হিসাবে নিজের জীবনের অন্যতম সেরা সময় উপভোগ করেন এই নায়িকা। কয়েক বছর আগে দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি থেকে বলিউডে পা রেখেছেন তিনি। ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’ সিরিজে বলিউডে হাতেখড়ির পরে মার্ভেল খ্যাত রুশো ব্রাদার্সের আন্তর্জাতিক সিরিজ ‘সিটাডেল’-এর ভারতীয় সংস্করণেও কাজ করেছেন তিনি। 

মাঝে ‘শকুন্তলা’ ও ‘কুশি’র মতো ছবি গুলো মুক্তি পেয়েছে তার। ব্যক্তিগত জীবনে যাই হোক না কেন, কর্ম জীবনে সাফল্যেই পেয়েছেন অভিনেত্রী। তবে এই দুবছরে বার বার নাগা-সামান্থার অনুরাগীরা ভেবেছেন ফের এক হবেন তারা। 

এদিকে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ভারতীয় ওয়েব সিরিজ নিয়ে প্রশ্ন করতেই নাগা নাম নেন সামান্থার। নাগাকে প্রশ্ন করা হয় কোন ভারতীয় সিরিজ দেখে বাকরুদ্ধ হয়ে যান তিনি। এক মুহূর্ত দেরি না করেই অভিনেতা বলেন ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’। 

এই সিরিজের দ্বিতীয় ভাগে রাজ লক্ষ্মী শেখরনের চরিত্রে অভিনয় করেন সামান্থা। প্রশংসিত হয়েছে তার অভিনয়। 

তার এমন উত্তরের পর অনেকের কৌতুহল তবে কি ভাঙা সম্পর্ক ফের জোড়া লাগার সম্ভাবনা রয়েছে! তবে এই আলোচনার মধ্যেও আরেকটি গুঞ্জন রয়েছে- অভিনেত্রী শোভিতা ধুলিপালার সঙ্গে নাকি নতুন করে সম্পর্কে জড়িয়েছেন নাগা। যদিও এ নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেননি নাগা।


আরও খবর



আহত-অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা অনুদানের আবেদন শুরু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৩২জন দেখেছেন

Image

প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে অনুদানের আবেদন শুরু হয়েছে। ষষ্ঠ থেকে স্নাতক ও সমমান শ্রেণিতে অধ্যয়নরত দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত চিকিৎসাধীন অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা এ অনুদানের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসের আবেদন চলবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট। এতে সই করেন ট্রাস্টের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন সোহাগ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ষষ্ঠ থেকে স্নাতক ও সমমান শ্রেণিতে অধ্যয়নরত দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত চিকিৎসাধীন অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট কর্তৃক ‘দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত শিক্ষার্থীদের এককালীন আর্থিক অনুদান প্রদান নির্দেশিকা, ২০২০’ অনুসরণপূর্বক এককালীন চিকিৎসা অনুদান দেওয়া হয়।

দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থী প্রতি ২ মাস অন্তর বর্ণিত লিংক ব্যবহার করে অনলাইনে আবেদন দাখিল করতে পারেন। একজন দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত শিক্ষার্থী তার চিকিৎসা মেয়াদে একবার মাত্র চিকিৎসা অনুদানের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

এতে আরও বলা হয়েছে, ই-চিকিৎসা অনুদান ব্যবহার নির্দেশিকা অনুসরণপূর্বক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করে ষষ্ঠ থেকে স্নাতক ও সমমান শ্রেণির দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীদের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের নভেম্বর-ডিসেম্বর প্রান্তের আবেদন আগামী ৩১ ডিসেম্বর-২০২৩ তারিখ পর্যন্ত সিস্টেম ব্যবহার করে অনলাইনে করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।


আরও খবর



ভারতীয় শিবিরে ফাইনালের আগে অন্যরকম দুশ্চিন্তা

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ২৭জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক : সময়ের হিসেবে আর একদিনের অপেক্ষা। এরপরই আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে শুরু হবে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনাল। প্রায় দেড়মাসের ক্রিকেট যজ্ঞের পর্দা নামবে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার এই প্রেস্টিজিয়াস ম্যাচ দিয়ে। দুই দলই এখন অবস্থান করছে আহমেদাবাদ শহরে। সেখানেই চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি। 

ফাইনালের দুদিন আগেই পিচ পরীক্ষা করে দেখেছেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। বৃহস্পতিবার কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার দ্বিতীয় সেমিফাইনাল চলাকালেই ফাইনালের ভেন্যুতে পৌঁছে গেছে টিম ইন্ডিয়া। শুক্রবার মাঠেও নেমে পড়েছেন স্বাগতিকরা। 

তবে শেষ সময়ে এসে ভারত শিবিরে দেখা দিতে পারে অন্যরকম এক অস্বস্তি। সেটাও নিজেদের দলে কোন ইনজুরি বা প্রতিপক্ষ বিবেচনায় না। এই অস্বস্তি আম্পায়ার কেন্দ্রিক। ফাইনালে অনফিল্ডে থাকবেন, ইংল্যান্ডের দুই অভিজ্ঞ আম্পায়ার রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ ও রিচার্ড কেটেলবরো। 

সেমিফাইনালে দায়িত্ব পালন করা আরও দুজন দায়িত্ব পেয়েছেন ফাইনালে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জোয়েল উইলসন প্রথম সেমিফাইনালে টিভি আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন। এবার এই আম্পায়ার আহমেদাবাদের ফাইনালেও ম্যাচ পরিচালনায় থাকবেন টিভি আম্পায়ার হিসেবে। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে থার্ড আম্পায়ারের ভূমিকায় ছিলেন ক্রিস গ্যাফানি। নিউজিল্যান্ডের এই বিশেষজ্ঞ ১৯ নভেম্বর ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার ফাইনালে উপস্থিত হবেন চতুর্থ আম্পায়ার হয়ে।

তবে ভারতের সমস্যা এই রিচার্ড কেটেলবোরোকে নিয়ে। রোহিত শর্মাদের জন্য আনলাকি হিসেবে বিবেচনা করা হয় কেটেলবোরোকে। নক আউটে টিম ইন্ডিয়ার যেসব ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এর প্রত্যেকটিতেই হেরেছে ভারত।

২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ছাড়া সবকটি ম্যাচেই আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেছেন কেটেলবোরো। এর মধ্যে ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনাল, ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপ সেমি ফাইনাল, ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সেমি ফাইনাল ও ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফাইনালেও আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন এই ক্যাটেলবোরো।

এরপর ২০১৯ বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালে ভারত-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচেও আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এর বাইরে ২০২১ ও ২০২৩ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতের হেরে যাওয়া দুটি ম্যাচেই থার্ড আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন কেটেলবোরো। স্বাভাবিকভাবেই তাই রিচার্ড কেটেলবোরো কেন্দ্রিক আলোচনা বেশ জোরেশোরে শুরু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। 

এছাড়া মহাগুরুত্বপূর্ণ এই ফাইনালে ম্যাচ রেফারির দায়িত্ব সামলাবেন অ্যান্ডি পাইক্রফট। জিম্বাবুয়ের পাইক্রফট প্রথম সেমিফাইনালেও ছিলেন ম্যাচ রেফারির ভূমিকায়। ২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালের ম্যাচ অফিসিয়ালদের কেউই এবারের বিশ্বকাপে থাকছেন না।


আরও খবর

৩১৭ রানে অলআউট নিউজিল্যান্ড

বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩




ঋতু বদলে ঘরের নতুন সাজ

প্রকাশিত:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | ৫১জন দেখেছেন

Image

শীত আসার শুরুতেই প্রকৃতি যেন আলাদা এক চাদরে ঢাকা পড়তে থাকে। আর এসময় বাইরের হিম আঘাত থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে ঘরে আপনজনের সাথে কিছু সময় কাটাতে খুব বেশি সুখকর মনে হয়। কিন্তু এই মুহূর্তগুলো আরও বেশি উপভোগ্য হয় যখন পুরনো ঘর-বাড়িকে বদলে নিয়ে শীতের জন্য নতুনভাবে নতুন-সাজে সাজানো যায়। কারণ এই সাজানো ঘরই শীতের আমেজকে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তোলে।

এছাড়া দীর্ঘদিন একই সাজের ঘর, একই রঙের ফার্নিচার, পর্দা দেখতে দেখতে চোখে ও মনে একধরনের একঘেয়েমি চলে আসতেই পারে, আর তাই ঘরের সাজে একটু পরিবর্তন হলে মন্দ লাগেনা। এতে শীতকালীন আলসেমির মধ্যেও যেমন নতুন একটা পরিবেশ পাওয়া যায় তেমনি নতুন উদ্যমে কাজ করার স্পৃহাও জাগে। 

ঘরের আসবাবপত্রগুলোকে ঠিকঠাক নিয়মে না সাজাতে পারলে রুচি-বোধের ক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠা স্বাভাবিক। শীত আবহে অনেক দিন পর ঘরকে নতুন ভাবে সাজাতে ইন্টেরিয়র ডিজাইনার ইপন শামসুল কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। সে অনুযায়ী-ঘরকে নতুন ভাবে সাজাতে হলে প্রথমেই যে বিষয়কে মাথায় রাখা জরুরি সেটি হচ্ছে রঙ। শীতে যদিও আমাদের দেশে তুষার পড়ে না তবে এসময় সূর্যের আলোর প্রভাব কম থাকে। আর জন্যেই সাদা ও অন্যান্য উজ্জ্বল গোত্রের রঙকে বেছে নেওয়া যেতে পারে যেমন ধুসর, হালকা বাদামি, হালকা গোলাপি ধরনের রঙ। 

রঙ বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বেডরুমের দেয়াল হালকা নীলে রাঙানো যায়। ডাইনিং স্পেসটা ছোট হলে দেয়ালের একটা পার্ট লাল বা অন্য কোন ডার্ক রঙ ব্যবহার করা যায়। অন্যদিকে শিশুদের ঘরেও মাঝে মধ্যে পরিবর্তন দরকার। ছেলে শিশু হলে তার ঘরটি নীল, সবুজ রঙে আর মেয়ে শিশু হলে গোলাপি রঙে সাজালে মন্দ হয় না। 

রঙ বাছাইয়ের সঙ্গে সঙ্গে রুম এর অবস্থানকে সঠিক ভাবে নির্ধারণ করা জরুরি। এক্ষেত্রেও খেয়াল রাখতে হবে যেন রুম গুলোর অবস্থান বারান্দা বা ব্যালকনির পাশে। যার ফলে সকাল বেলার মৃদু শীতল বাতাস দিনের শুরুতেই এক দারুণ সজীবতার অনুভূতি জোগাবে।

বেডরুমের সজ্জায় যদি বেডের পেছনের দেয়ালকে হালকা টেক্সচার পেইন্ট করলে একটা প্রশান্তি অনুভব হবে যে কারো। এছাড়া বেডশিট, বালিশ, কুশন, কম্বল গুলোর রঙও যদি কাছাকাছি একই ধরনের হয় তাহলে দৃষ্টিনন্দন লাগবে। বেডের সাথেই একটা কাঠের ছোট কফি টেবিল রাখতে পারেন। তাছাড়া বারান্দায় একটা ইজি চেয়ারে বসে শীতল বাতাস দারুণ উপভোগ্য হতে পারে। 

শীত মৌসুমে ঘরের মেঝে সাজানোর অন্যতম প্রধান উপাদান হলো কার্পেট এবং ম্যাট। এর রঙ, সাইজ ভেদে সঠিক ব্যবহার নিঃসন্দেহে ঘরটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে সাহায্য করবে। কার্পেট শুধু মেঝেতে নয়, দেয়ালেও যদি ব্যাবহার করা হয় তাহলে দেয়ালকে দিতে পারে একটি চোখ ধাঁধানো রূপ। তবে অনেক সময় খারাপ তন্তুর তৈরি কার্পেট বা ম্যাট ঘরে থাকলে শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে। তাই এক্ষেত্রে কাশমিরি ম্যাটকে প্রধান্য দেওয়াই ভালো।

এছাড়া চেয়ার অথবা সোফায় আর্টিফিসিয়াল পশম দিয়ে তৈরি ছোটবড় কুশন ব্যবহার করা যেতে। এটি যথেষ্ট উষ্ণতর ও আরামদায়ক। তাছাড়া ফ্ল্যানেল ও ভেলভেটের তৈরি হালকা ওজনের ছোট কম্বলও ব্যবহার করা যেতে পারে যেকোনো জায়গায়।

শীতের রাতে ঘরের বিভিন্ন যায়গায় নানারকমের মোমবাতির ব্যবহার ঘরকে হালকা আলোকময় উষ্ণ রাখবে। এছাড়া আমাদের যেহেতু এখনো ফায়ারপ্লেসের ব্যবহার তেমন ভাবে শুরু হয়নি তাই শীতের শুরুতে ঘরের একটি জায়গায় রুম হিটার রাখার ব্যবস্থা করাই উত্তম।

তবে ঘরকে নতুনভাবে সাজাতে গেলে প্রত্যেকের সাধ ও সাধ্য দুইদিকই বিবেচনায় রাখতে হবে। সবাই চাইলেই চট করে পুরনো সব কিছুকে পাল্টে নতুন করে ক্রয় করা সম্ভব নাই হতে পারে। সেদিক বিচারে শুধুমাত্র ঘরের পর্দা বা বিছানার চাদরে ব্লক করে নতুনত্ব আনা যেতে পারে। এতে সাধ্যমত ঘরের সৌন্দর্য যেমন বাড়বে তেমনি খরচও কম হবে।


আরও খবর

শুষ্ক ত্বকের যত্নে মধু

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩

শীতে লালশাক কেন খাবেন?

সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩




সর্বোত্তম সদকা সম্পর্কে মহানবী (সা.) যা বলেছেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | জন দেখেছেন

Image

ইসলাসিক ডেস্ক : সৃষ্টিগতভাবে মানুষ ধনী-গরিব দুটি শ্রেণিতে বিভক্ত। ধনীদের ব্যাপারে আল্লাহ বলেছেন, ‘তাদের ধন-সম্পদে প্রার্থী ও বঞ্চিতদের হক রয়েছে।’ (সুরা : জারিআত, আয়াত : ১৯)

সুতরাং ব্যক্তি যত সম্পদশালীই হোক না, সম্পদ তার একার নয়; তার সম্পদে অসহায় মানুষেরও অংশ আছে।

সদকা কাকে বলে?

আরবি সদকাহ শব্দের অর্থ দান-খয়রাত ও জাকাত।

আর পরিভাষায় সদকা বলা হয় ‘প্রয়োজনের অতিরিক্ত যে সম্পদ আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে অসহায় ও দীন-দুঃখীদের জন্য ব্যয় করা হয় তাকে সদকা ও খয়রাত বলে। (সংক্ষিপ্ত মাআরেফুল কোরআন, পৃষ্ঠা ১৪২)

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তুমি (আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে) যা কিছু ব্যয় করো তা-ই সদকা। এমনকি তুমি তোমার স্ত্রীর মুখে যে নলাটি তুলে দাও সেটাও। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৩৫৪)

কোরআন-হাদিসে সদকা

কোরআনের বহু স্থানে আল্লাহ তাআলা সদকার নির্দেশ দিয়েছেন।

যেমন আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনরা! আমি তোমাদের যে রিজিক দিয়েছি তা থেকে ব্যয় করো। সেদিনের পূর্বে, যে দিন থাকবে না ক্রয়-বিক্রয়, বন্ধুবান্ধব এবং কোনো সুপারিশ। (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২৫৪)

রাসুল (সা.) বলেন, তোমরা জাহান্নাম থেকে বাঁচো। একটি খেজুর সদকা করে হলেও। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৪১৭)

উত্তম সদকা কোনটি

রাসুল (সা.)-কে সাহাবিরা জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমরা কী সদকা করব? জবাবে আল্লাহ আয়াত নাজিল করলেন, ‘হে নবী! বলে দিন, যা (তোমাদের প্রয়োজনের) অতিরিক্ত থাকে।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২১৯)

হাকিম ইবনে হিজাম (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) বলেছেন, সর্বোত্তম সদকা হলো, যা নিজের সচ্ছলতা বজায় রেখে করা হয়। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১০৩৪)

তবে দান করার সময় অবশ্যই উত্তম বস্তু গুলোকে প্রাধান্য দিতে হবে। কেননা আল্লাহ বলেছেন, ‘হে মুমিনরা! তোমরা স্বীয় উপার্জন থেকে এবং আমি তোমাদের জন্য ভূমি থেকে উৎপন্ন করি, তা থেকে উৎকৃষ্ট বস্তু ব্যয় করো। নিকৃষ্ট বস্তু ব্যয়ের ইচ্ছা কোরো না।

কেননা তোমরা তা কখনোই গ্রহণ করবে না। তবে যদি তোমরা চোখ বন্ধ করে নাও; তাহলে জেনে রেখো–আল্লাহ অভাবমুক্ত, প্রশংসিত।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২৬৭)

এ আয়াত থেকে বোঝা যায়, সদকা করতে হবে উৎকৃষ্ট ও সেরা বস্তু। নিকৃষ্ট বস্তু সদকা করা যথাবিধি নয়।

উত্তম দানে সাহাবিদের প্রতিযোগিতা

পবিত্র কোরআনে উত্তম বস্তু দান করার নির্দেশ দিলে সাহাবিদের মধ্যে নিজের সর্বোত্তম সম্পদ দানের প্রতিযোগিতা তৈরি হয়। আনাস বিন মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, সে সময়ে মদিনার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ছিলেন আবু তালহা (রা.)। মসজিদ-ই-নববীর কাছে তাঁর একটি বাগান ছিল। নাম ‘বারিহা’। স্বীয় বিষয়-সম্পত্তির মধ্যে এ বাগানটি ছিল তাঁর সবচেয়ে প্রিয়। রাসুল (সা.) প্রায়ই যেতেন সে বাগানে। বাগানে অবস্থিত কূপ থেকে মিষ্টি পানি পান করতেন। কোরআনে উত্তম বস্তু দানের নির্দেশ দিলে তিনি নবীজি (সা.)-এর দরবারে এসে বললেন, আল্লাহর রাসুল! আমি আমার সবচেয়ে প্রিয় সম্পদ বাহিরা আল্লাহর পথে সদকা করে দিলাম। নবীজি তাঁকে বাহ! বাহ! দিলেন। এবং বললেন, তোমার এই বাগান তুমি তোমার স্বজনদের মধ্যে বণ্টন করে দাও। রাসুলের নির্দেশানুযায়ী তিনি সে বাগান আত্মীয়-স্বজন ও তাঁর চাচাতো ভাইদের মধ্যে বণ্টন করে দিলেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৪৬১)

মাআরেফুল কোরআনে আরেকটি ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে। উল্লিখিত নির্দেশ আসার পর জায়েদ বিন হারেসা (রা.) দেখলেন, বাহনের ঘোড়া তাঁর সবচেয়ে প্রিয় সম্পদ। তিনি তা নিয়েই উপস্থিত হলেন নবীজির দরবারে। নবীজি খুশি মনে তা গ্রহণ করলেন এবং ঘোড়াটি জায়েদ (রা.)-এর ছেলে উসামাকে দিয়ে দিলেন। নিজের সম্পদ নিজের ঘরে ফিরে যেতে দেখে তিনি মনঃক্ষুণ্ণ।

নবীজি (সা.) তাঁকে কাছে ডেকে সান্ত্বনা দিয়ে বললেন, মনঃক্ষুণ্ণ হয়ো না জায়েদ! তোমার সদকা কবুল হয়েছে। (সংক্ষিপ্ত মাআরেফুল কোরআন, পৃষ্ঠা ১৮৬)


আরও খবর

তাওবার গুরুত্ব

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩