Logo
আজঃ শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
শিরোনাম
সিলেটে মধ্যরাতে হামলার শিকার ‘আত্মগোপনে থাকা’ আওয়ামী লীগ নেতা মিসবাহ জামিনে মুক্তি পেলেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৯ কর্মকর্তা অন্তর্বর্তী সরকার সংবাদপত্রে বিন্দুমাত্র হস্তক্ষেপ করেনি : প্রেস সচিব আইনি ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছেন দক্ষিণ ভারতীয় সুপারস্টার আল্লু অর্জুন ৩১ রানের ইনিংসে ৩ মাইলফলকে বাবর আজম অভিশংসন ভোটের মুখে পড়তে যাচ্ছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট জবাই করে হত্যা মামলার পলাতক আসামী গ্রেফতার। জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্র মামলায় দণ্ডিত বিএনপি নেতা মিজানুরের জামিন একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ার মারা গেছেন মিয়ানমারে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী শহর থেকে শত শত সৈন্যসহ জেনারেল আটক

অর্ধশতাধিক মামলার পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩১ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৩০জন দেখেছেন

Image

শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানা এলাকায় চাঞ্চল্যকর সজিব মুন্সি হত্যা মামলাসহ অর্ধশতাধিক মামলার পলাতক আসামী বিলাসপুর ইউপি চেয়ারম্যান কুখ্যাত সন্ত্রাসী কুদ্দুস বেপারী ওরফে বোমা কুদ্দুস (৫৩) ও তার প্রধান সহযোগী ফারুক (২৯)কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানধীন বিলাসপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কুদ্দুস বেপারী ওরফে বোমা কুদ্দুস উক্ত এলাকায় আধিপত্য ও দলা-দলিকে কেন্দ্র করে পূর্ব সত্রæতার জের ধরে কুদ্দুসের নেতৃত্বে কুদ্দুসসহ তার শতাধিক সহযোগীদের নিয়ে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে একই এলাকায় বসবাসকারী ভিকটিম মোঃ সজিব মুন্সিকে হত্যার উদ্দেশ্যে গত ২৬/০৩/২০২৪ খ্রিঃ তারিখ সজিবের বাড়ীতে গিয়ে তাকে না পেয়ে সজিবের বাড়ীতে ভাংচুর করে চলে আসে। পরদিন গত ২৭/০৩/২০২৪ খ্রিঃ তারিখ সজিব বিলাশপুর বাজার জামে মসজিদ হতে তারাবির নামাজ পড়ে বাড়ী ফেরার পথে জাজিরা থানাধীন বিলাসপুর ইউনিয়নের মিয়াচান মুন্সী কান্দি গ্রামের ভাঙ্গী ব্রিজের পাশে রাস্তার উপর পৌঁছামাত্র পূর্ব হতে ওৎ পেতে থাকা কুদ্দুস সহ তার আনুমানিক ৮০-৯০ জন সহযোগীরা মিলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র (রাম দা, চাইনিজ কুড়াল, লোহার রড, ককটেল বোমা, লাঠি-সোটা ইত্যাদিসহ) সজ্জিত হয়ে সজিবের উপর অতর্কিত আক্রমন করে। মারধরের একপর্যায়ে সজিবের ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে কুদ্দুস সহ অন্যান্য আসামীরা উক্ত স্থানে একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। উক্ত ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন ভিকটিম সজিবকে গুরুতর ও রক্তাক্ত আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক সজিবের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সজিবকে উক্ত হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে গত ০২/০৪/২০২৪ খ্রিঃ তারিখ সকাল আনুমানিক ০৭:৪৫ ঘটিকায় সজিব উক্ত হাসপাতালে চিবিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। উক্ত ঘটনায় মৃত ভিকটিম সজিবের ভাই সুমন মুন্সি বাদী হয়ে শরীয়তপুরের জাজিরা থানায় চাঞ্চল্যকর সজিব মুন্সিকে নৃশংসভাবে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হত্যাকান্ডে সরাসরি জড়িত কুদ্দুস সহ ৬৫ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরো ২০/২৫ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

 মামলা রুজুর পর গত ২২/০৪/২০২৪ খ্রিঃ তারিখ আসামী কুদ্দুস উক্ত হত্যা মামলা হতে হাই কোর্ট থেকে জামিন লাভ করে। পরবর্তীতে গত ২৫/০৪/২০২৪ খ্রিঃ তারিখ দুপুর আনুমানিক ০২:০০ ঘটিকায় আসামী কুদ্দুস তার শতাধিক সহযোগীদের নিয়ে ককটেল বোমাসহ দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মৃত সজিবের প্রতিবেশী একই এলাকার বাসিন্দা দ্বীন ইসলাম (৩২) এর বাড়ীতে গিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ করে ত্রাস সৃষ্টি করে দ্বীন ইসলাসহ তার পরিবারের ৬-৮ জন সদস্যদের বেধড়ক মারধর করে। অতঃপর দ্বীন ইসলামের বাড়ী ও তার ভাইয়ের বাড়ীতে ব্যাপক ভংচুর করে বিভিন্ন মালামাল এবং গরু ও ছাগল লুটসহ বাড়ীর আশপাশের একাধিক গাছপালা কেটে প্রাণ নাশের হুমকি প্রদর্শন করে পুনরায় ককটেল বিস্ফোরণের মাধ্যমে ত্রাস সৃষ্টি করে উক্ত স্থান হতে চলে যায়। উক্ত ঘটনার পর ভিকটিম দ্বীন ইসলাম জাজিরা থানায় আসামী কুদ্দুস সহ ৭৬ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরো ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। 

বিষয়টি জানতে পেরে র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল হত্যা মামলাসহ উল্লেখিত মামলায় পলাতক সকল আসামীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি ও তৎপরতা বৃদ্ধি করে।

এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ৩০/১০/২০২৪ খ্রিঃ তারিখ বিকাল আনুমানিক ১৬:০০ ঘটিকা হতে ১৬:৩০ ঘটিকা পর্যন্ত র‌্যাব-১০ এর উক্ত আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তা  ডিএমপি ঢাকার পল্টন থানাধীন শান্তিনগর এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানাধীন বিলাশপুর এলাকায় চাঞ্চল্যকর ও বহুল আলোচিত সবিজ মুন্সি হত্যা মামলাসহ উল্লেখিত মামলার এজাহারনামীয় পলাতক প্রধান আসামী বিলাসপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কুদ্দুস বেপারী ওরফে বোমা কুদ্দুস (৫৩) ও তার প্রধান সহযোগী ও ড্রাইভার মোঃ ফারুক (২৯) কে গ্রেফতার করে।

প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামী কুখ্যাত সন্ত্রাসী বোমা কুদ্দুস তার নেতৃত্বে তার সহযোগীদের মাধ্যমে উক্ত এলাকায় চুরি, ছিনতাই, সম্পদ লুট, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, জমি দখল, মাদক ব্যবসা, মাদক সেবন ও হত্যাসহ বিভিন্ন প্রকার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করত। এছাড়াও গ্রেফতারকৃত কুদ্দুসের বিরুদ্ধে শরীয়তপুরের জাজিরা থানাসহ বিভিন্ন থানায় হত্যা মামলাসহ ৪১টি মামলা এবং গ্রেফতারকৃত ফারুকের বিরুদ্ধে জাজিরা থানায় হত্যা মামলাসহ ২০টি মামলা রয়েছে।গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



মাদারীপুরের শিবচরে বাবার হাতে কলেজ পড়ুয়া মেয়ে খুন

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭১জন দেখেছেন

Image

নিজেস্ব প্রতিনিধি: মাদারীপুরে শিবচরে পারিবারিক কলহের জেরে বাবার হাতে এক কলেজ পড়ুয়া মেয়ে খুন হয়েছে।

রোববার সকাল আটটার সময় উপজেলার যাদুয়ারচর এলাকার গোমস্তাকান্দি গ্রামে এ ঘটে। নিহত ওই কলেজ ছাত্রীর গোমস্তাকান্দি গ্রামের ফরহাদ গোমস্তার মেয়ে।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, শিবচর উপজেলার বহেরাতলা উত্তর ইউনিয়নের জাদুয়ারচর গ্রামের ফরহাদ গোমস্তা ও তার স্ত্রী নাজমা বেগমের সাথে তাদের  কলেজ পড়য়া মেয়ে আইরিন আক্তার মুক্তিকে (১৭) নিয়ে স্বামী-স্ত্রী দুজনের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়।

এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ফরহাদ গোমস্তা তার পাশে থাকা মেয়ের মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এতে মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পেয়ে মুহূর্তের মধ্যে ওই ছাত্রী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।

নিহত ওই কলেজ ছাত্রী শিবচরের  বহরমগঞ্জ কলেজের এইচএসসি  প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
আইরিন আক্তার মুক্তি হত্যার ঘটনাটি নিশ্চিত করেছে শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুক্তার হোসেন।

তিনি জানান, হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর ২৫০ বেড হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে।

 


আরও খবর



সংস্কারের জন্য ৩-৪ মাসের বেশি সময়ের প্রয়োজন দেখে না বিএনপি

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি : সংস্কারের জন্য তিন বা চার মাসের বেশি সময়ের প্রয়োজন দেখে না বিএনপি। দলের গঠিত সংবিধান সংস্কার কমিটির সদস্যরা মনে করেন- নতুন করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা করা সময়ের অপচয়। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিএনপির গুলশান অফিসে সংবাদ সম্মেলনে তারা একথা বলেন।

এ সময় নেতারা বলেন- যাদের নেতৃত্বে নির্বাচনী প্রক্রিয়া কলঙ্কিত হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্হা নেয়া এবং অভিযুক্তদের আগামীতে কোন নির্বাচনী কাজে আর যুক্ত না করার সুপারিশ করা হয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা না করে বরং হালনাগাদের পরামর্শ তাদের।

এ সময় সংবিধানে আরপিও সংশোধন, সীমানা নির্ধারণ, নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ভূমিকা, এনআইডির ক্ষমতা ইসিতে অপর্ণসহ নির্বাচন সংক্রান্ত ১৭টি সুপারিশ তুলে ধরেন তারা। যারা দীর্ঘদিন ভোট দিতে পারেনি তাদেরকে একটি সুষ্ঠু পরিবেশের মাধ্যমে কেন্দ্রে নিতে চায় বলেও জানান বিএনপি নেতারা।


আরও খবর



৩৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে গেম ও অ্যাপ কাজেই এল না

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৯১জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: আলাদা তিনটি কর্মসূচি নেয়ার পর আবার ৩৩০ কোটি টাকার মোবাইল গেম ও অ্যাপ্লিকেশন উন্নয়ন এবং দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রকল্প নিয়েছিল ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ। তবে ওই প্রকল্পের আওতায় তৈরি বেশির ভাগ গেম ও অ্যাপ কোনো কাজে আসছে না।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ঘুরেফিরে নিজেদের লোকদের কাজ দিতে এসব প্রকল্প নেয়া হয়েছিল। এ প্রকল্পের মোট অর্থের ১৭ শতাংশের বেশি শেখ পরিবারের নামে সিনেমা ও গেম তৈরিতে ব্যয় হয়েছে। ২০১৬ সালের জুলাইয়ে ‘মোবাইল গেম ও অ্যাপ্লিকেশনের দক্ষতা উন্নয়ন’ শীর্ষক এ প্রকল্প নেয়া হয়। তিন দফায় মেয়াদ বেড়ে এ প্রকল্পে ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩৩০ কোটি টাকা। চলতি ডিসেম্বরে যা শেষ হবে।

প্রকল্প সূত্র জানায়, প্রকল্পটির পিসিআর প্রতিবেদন তৈরি হচ্ছে। প্রকল্পে প্রশিক্ষণ বাবদ ১৩৫ কোটি টাকার বেশি ব্যয় ধরা হয়েছে। অ্যাপ ও গেম তৈরিতে ব্যয় হয় ১৬৪ কোটি টাকা। প্রকল্পের আওতায় দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৮টি গেমিং ও অ্যাপস ল্যাব করা হয়েছে।

কাছের লোকদের জন্যই প্রকল্প

ডিজিকন টেকনোলজিসের সঙ্গে যৌথভাবে মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট অ্যান্ড কমিউনিকেশনস লিমিটেড (এমসিসি) সবচেয়ে বেশি কাজ পেয়েছে। প্রকল্পে এই দুই কোম্পানি ৩০ কোটি ৪৪ লাখ টাকার কাজ পায়।

খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অভিযোগ, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় এমসিসি অনেক কাজ পেয়েছে। এমসিসিকে পরে এনডিই ইনফ্রাটেক কিনে নেয়।

এমসিসির প্রধান নির্বাহী ও এনডিই ইনফ্রাটেকের পরিচালক মো. আশরাফ খান দাবি করেন, সম্পর্ক নয়, তিনি প্রতিযোগিতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে কাজ পেয়েছেন। ডিজিকন টেকনোলজিসের প্রধান ওয়াহেদ শরীফ ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের বন্ধু বলে প্রচলিত রয়েছে। আইসিটি খাতে তার একচেটিয়া প্রভাব ছিল। সরকার পতনের আগেই তিনি বিদেশে চলে গেলেও প্রতিষ্ঠান সচল রয়েছে।

ওয়াহেদ শরীফ দাবি করেন, নিয়ম মেনেই তার প্রতিষ্ঠান কাজ পেয়েছে। মোবাইল গেম প্রকল্পে বেশি কাজ পাওয়া অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে- প্রাইম টেক সল্যুশন, ইজি টেকনোলজি ও স্পিনঅফ স্টুডিও।

তথ্যপ্রযুক্তি খাত–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, নাটোরের স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মাসরুল আলম (মিলন) আইসিটি বিভাগে কমিশন–বাণিজ্য করতেন। শেষ দিকে এসে তিনি নিজেই কোম্পানি খোলেন। অভিজ্ঞতা না থাকায় তিনি প্রাইমটেক, স্পিনঅফসহ অন্যদের সঙ্গে কাজ করতেন।

অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রাইমটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা রাশেদুল আলম বলেন, মাসরুল নিজের অভিজ্ঞতার জন্য তাদের সঙ্গে কাজ করেছেন। প্রায় একই কথা বলেন স্পিনঅফের প্রতিষ্ঠাতা এ এস এম আসাদুজ্জামান। মাসরুলের মোবাইলফোন বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আবার পলকের ঘনিষ্ঠ মফিজুর রহমান ইজি টেকনোলজির ব্যবস্থাপনা পরিচালক। আইসিটি বিভাগসহ পলকের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পরিচালনার একচেটিয়া কাজ করত ইজি টেকনোলজির সহযোগী প্রতিষ্ঠান ঢাকা লাইভ। সরকার পতনের পর প্রতিষ্ঠানটি লাপাত্তা হয়ে গেছে।

বিডিজবসের প্রধান নির্বাহী ফাহিম মাশরুর বলেন, কাছের কিছু ব্যক্তির জন্য প্রকল্পটি নেয়া হয়েছিল। এটা অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প ছিল।

অ্যাপ ও গেমের অবস্থা

গুগল প্লে স্টোরে এ প্রকল্পের নামে ১৫০টি অ্যাপ পাওয়া যায়। বেশির ভাগ অ্যাপের ডাউনলোডের পরিমাণ ১টি, ১০টি, ৫০টি ও ১০০টি করে। সর্বোচ্চ ৫০ হাজার করে ডাউনলোড হয়েছে ডিজিটাল শিশু শিক্ষা ও মুজিব ১০০ অ্যাপ।

করোনা মহামারিকালে ২০২০ সালে এ প্রকল্পে প্রায় ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘লাইভ করোনা টেস্ট’ নামে প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে, যার কোনো অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া যায়নি।

শেখ পরিবারকে নিয়ে ৫০ কোটি ব্যয়

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার ছেলে-মেয়েকে নিয়ে বানানো বিভিন্ন অ্যাপ ও গেমের পেছনে প্রকল্পের মোট বরাদ্দের সাড়ে ১৭ শতাংশ ব্যয় করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের ২৩টি উক্তি নিয়ে থ্রি–ডি হলোগ্রাম তৈরি হয়েছে এ প্রকল্পের টাকায়। এতে ব্যয় হয় প্রায় ২১ কোটি টাকা।

প্রকল্পের প্রকিউরমেন্টের ৬৪টি কাজের তালিকা পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৯টি বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও শেখ রাসেলকে নিয়ে বানানো অ্যানিমেশন ও গেম তৈরি। এতে চ্যাটবট, অভিধান, অ্যাপ ও অ্যানিমেশন সিনেমা রয়েছে।

২০২২ সালে শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘হাসিনা অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’ নামে একটি গেমিং প্ল্যাটফর্মের উদ্বোধন করা হয়। সব মিলিয়ে এসব কাজে ৫০ কোটি টাকার বেশি ব্যয় করা হয়।

প্রকল্পে আট বছরে যত পরিচালক

মোবাইল গেম ও অ্যাপ্লিকেশন প্রকল্পের পরিচালক হিসেবে ১১ জন কাজ করেছেন। তাদের মধ্যে তিনজন এক থেকে দুই বছরের বেশি সময় কাজ করেছেন। ৫ জন ১ মাস থেকে সর্বোচ্চ ৯ মাস কাজ করেছেন। বাকি তিনজন এক মাসও কাজ করতে পারেননি। একজন ১৩ দিনও কাজ করেছেন।

আইসিটি বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, এ প্রকল্পে প্রচুর তদবির ও সুপারিশ আসত। তাই কেউ থাকতে পারতেন না।

প্রকল্পের পরিচালক হিসেবে কাজ করা এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তাকে সরানোর জন্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ জনপ্রশাসনে ডিও লেটার দিয়েছিলেন।

এ প্রকল্প প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক বি এম মইনুল হোসেন বলেন, এ প্রকল্পের ধারণা ও উদ্দেশ্য ভালো ছিল। কিন্তু বাস্তবায়নে সমস্যা ছিল। বাংলাদেশকে তুলে ধরে, বিশ্বমানের এমন অন্তত একটি গেম হলেও প্রকল্পটিকে সফল বলা যেত। কিন্তু তা হয়নি।


আরও খবর



রাবিতে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭৪জন দেখেছেন

Image

নিজেস্ব প্রতিনিধি:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শনিবার রাত ৮টায় মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বর থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হলগুলো প্রদক্ষিণ করে পুনরায় একই স্থানে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

এদিকে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে শিক্ষার্থীরা আগামী সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে শিক্ষকদের উদ্দেশে ‘উন্মুক্ত বিতর্ক’ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের আহবান জানান।  বিতর্কে শিক্ষকরা যদি পোষ্য কোটা নিয়ে যৌক্তিকতা দেখাতে পারেন তাহলে এই কোটা বহাল থাকবে, অন্যথায় এই কোটা বাতিল করতে হবে।

এ সময় তারা- ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘জনে জনে খবর দে, পোষ্য কোটার কবর দে’, ‘পোষ্য কোটা নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘আপস না মৃত্যু, মৃত্যু মৃত্যু’, ‘মেধাবীদের কান্না আর না, আর না’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, পোষ্য কোটার কবর দে’, ‘আপস না বিপ্লব, বিপ্লব বিপ্লব’, ‘মেধাবীদের একশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ প্রভৃতি স্লোগান দেন। 

বিক্ষোভ সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাবির সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে দেশ স্বাধীন করার পরও আমাদের সঙ্গে বাবার কোটার ক্ষমতা দেখানো হচ্ছে। স্বাধীন বাংলাদেশে কোনো প্রকার বৈষম্যমূলক পোষ্য কোটা থাকবে না। হয় স্থিতিশীল বাংলাদেশ থাকবে নয়তো পোষ্য কোটা থাকবে। পোষ্য কোটা ও স্থিতিশীল বাংলাদেশ একসঙ্গে থাকতে পারে না। জুলাই বিপ্লবের মূল লক্ষ্য ছিল কোটার যৌক্তিক সংস্কার, আমরা শুধু মুক্তিযোদ্ধা কোটা নয়, সকল প্রকার কোটার অবসান চেয়েছি। তাই এখনো পোষ্য কোটা বহাল থাকায় জুলাই বিপ্লবের চূড়ান্ত লক্ষ্য এখনো অর্জিত হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, সকল কোটা হারাম পোষ্য কোটা আমার তা হবে না। অন্য কোটা অবসান চান কিন্তু নিজেদের বেলায় কেনো নয়। পোষ্য কোটার কবর রচনা রাজশাহী থেকেই হবে। আপনারা যদি পোষ্য কোটা বহাল রাখতেই চান তবে আগামী পরশু সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্ত মঞ্চে উন্মুক্ত বিতর্কের আহবান রইলো। সেখানে আপনারা পোষ্য কোটার যৌক্তিক কারণ দেখাবেন। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স বিভাগের শিক্ষার্থী এবং ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মেহেদি হাসান মারুফ বলেন, জুলাই বিপ্লবের লক্ষ্য ছিল কোনো প্রকার কোটা থাকবে না, কিন্তু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো পোষ্য কোটা বিদ্যমান আছে। যদি রক্ত দিতে হয় রক্ত দেব তাও পোষ্য কোটা মেনে নেব না। এই পোষ্য কোটার কবর রাজশাহীতেই রচিত হবে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আল শাহরিয়ার সুমন বলেন, ১৪ নভেম্বর আমরা অনশনে বসেছিলাম ভিসি স্যার আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন তবে এখন পর্যন্ত কোনো সমাধান পাইনি। কোটা বাতিলের জন্য আমাদের ভাই জীবন দিয়েছে। কোটা প্রথা সংস্কার না হলে আমরা প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেব।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাবির সমন্বয়ক মেহেদী হাসান মুন্না বলেন, পোষ্য কোটা এক প্রকার জুলুম। এ জুলুম নিরসনে আমরা বরাবরই সোচ্চার। জুলাই অভ্যুথানে রক্তের ওপর দিয়ে আপনারা চেয়ারে বসেছেন। এখন তারাই স্ববিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন। এটাকে আপনারা সুবিধা বলছেন। শিক্ষার্থীদের ম্যান্ডেটের বাইরে দিয়ে কেউ চেয়ারে থাকতে পারবে না। পোষ্য কোটা বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও রাবি শিক্ষার্থী গোলাম কিবরিয়া মোহাম্মদ মিশকাত চৌধুরী বলেন, কোটা ইস্যু বাংলাদেশে একটা মীমাংসিত ইস্যু। নতুন করে যারা কোটাকে পুনরায় প্রতিস্থাপন করতে চাচ্ছেন তাদের উৎখাত করা হবে। হাসিনা যে পথে পালিয়েছে তারাও সে পথে পালাতে বাধ্য হবে। যেখানে শিক্ষার্থীরা পর্যাপ্ত নাম্বার পেয়েও চান্স পায় না, পোষ্য কোটায় শিক্ষার্থীরা ফেইল করেও ভালো সাবজেক্টে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। পরে অমুক ভাইয়ের ছেলে তমুক ভাইয়ের মেয়ে নামে চাকরি পেয়ে যায়। এটা তেলে মাথায় তেল দেওয়ার মত একটা বিষয়। বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কারের যে কর্মসূচি আমরা হাতে নিয়েছি সেখানে কোনো প্রকার কোটা প্রথা থাকবে না। কোনো অমেধাবী অযোগ্যরা তাদের যোগ্যতা প্রমাণ না করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে পারবে না।  এসময় বিক্ষোভ  সমাবেশে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল।

 

আরও খবর

চুয়েটের ১১ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪




অন্তর্বর্তী সরকার সংবাদপত্রে বিন্দুমাত্র হস্তক্ষেপ করেনি : প্রেস সচিব

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৩২জন দেখেছেন

Image

নিজেস্ব প্রতিনিধি: অন্তর্বর্তী সরকার কোনো সাংবাদিক বা সংবাদপত্রে বিন্দুমাত্র হস্তক্ষেপ করেনি এবং করবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।


শফিকুল আলম বলেন, আমরা এক ইঞ্চিও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আটকাবো না। আমাদের সরকারের উদ্দেশ্যই হচ্ছে মুক্ত গণমাধ্যম, মুক্ত সাংবাদিকতা।


অন্তর্বর্তী সরকার স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী জানিয়ে তিনি বলেন, গত চার মাসে আমরা কাউকে মানা করিনি। আপনারা আমাদের ভুলত্রুটি দেখিয়ে দিন, ধরিয়ে দিন। ক্ষমতায় থাকলে অনেক কিছু বোঝা যায় না। তাই আপনারা দায়িত্ব নিয়ে ভুল ধরিয়ে দিন।


তিনি বলেন, ইতোমধ্যে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন কাজ শুরু করেছে। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তী সরকার গণমাধ্যমকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চায়।


প্রেস সচিব বলেন, গণমাধ্যম মালিকরা যেন সাংবাদিকদের মুখ বন্ধ করতে না পরে এ বিষয়েও তারা কাজ করতে চান। মালিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের বেতন না দিতে পারলে মালিকদের বলবো প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেন।


আরও খবর

শনিবার থেকে শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা

বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪