Logo
আজঃ সোমবার ১৬ জুন ২০২৫
শিরোনাম

পাকিস্তানের বিপক্ষে বড়ো ব্যবধানে জয় পেলো ভারত

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | ১২৪জন দেখেছেন

Image

জয় পেতে কেবল ১০৬ রান দরকার ছিল ভারতের। হারমানপ্রীত কৌরদের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনের জন্য এই লক্ষ্যটা তেমন সমস্যা হওয়ার কথা ছিল না। তবে সেটা তাড়া করতেই ১৯ ওভার পর্যন্ত খেলতে হলো ভারতকে। বোলিংয়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করলেও ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে পাকিস্তানকে। নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে ভারত। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই দারুণ কামব্যাক করেছে হারমানপ্রীতরা। পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়ে টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নিয়েছে ভারতীয় নারীরা। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে রোববার প্রথমে ব্যাটিং করে ভারতকে ১০৬ রানের লক্ষ্য দেয় পাকিস্তান। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৮ ওভার ৫ বলে লক্ষ্যে পৌঁছায় ভারত।


আরও খবর



প্রথমবার এসি কেনার সময় যেসব বিষয়গুলো লক্ষ রাখতে হবে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ | ৯৯জন দেখেছেন

Image

গ্রীষ্মের দাবদাহে এসি আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। অনেকে আবার নতুন এসি কিনতে চাচ্ছেন। এসি ব্যবহারের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা হচ্ছে বিদ্যুৎ খরচ। তবে সঠিকভাবে এসি ব্যবহারে খুব বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয় না। যারা নতুন এসি কিনবেন তারা বেশ কিছু বিষয় খেয়াল রাখুন। এতে খুব ভালো মানের এসি যেমন কিনতে পারবেন। তেমনি আপনার জন্য যেটা প্রয়োজন সেটাই কিনতে সুবিধা হবে। আসুন কোন বিষয়গুলো নজর রাখবেন দেখে নিন-

 সাইজ বা এসির মাপ বাছাই করুন প্রথমেই। আসলে এসির সাইজ নির্ভর করবে আমাদের ঘরের মাপের উপরেই। ছোট্ট ঘরের জন্য একটা ১ টন এসিই যথেষ্ট। আর বড় ঘরের জন্য আদর্শ হলো ১.৫ টন থেকে ২ টন এসি।

 ঘর ছোট্ট আকৃতির হলে উনন্ডো এসিই যথেষ্ট। আর এটি ইনস্টল করাও বেশ সহজ। কিন্তু বড় ঘরের জন্য আদর্শ হল স্পিল্ট এসি। আর এর থেকে আওয়াজও তেমন বেরোয় না।

এসি কেনার সময় এর স্টার রেটিং দেখে নেওয়া জরুরি। কারণ ৫-স্টার রেটিং এসি বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে। আর দীর্ঘ সময়ের জন্য তা বিদ্যুতের বিলের বোঝাও অনেকাংশে কমিয়ে দেয়।

 নিজের বাজেট অনুযায়ী এসির দাম ধার্য করা উচিত। এর পাশাপাশি ইনস্টলেশন এবং রক্ষণাবেক্ষণের খরচের বিষয়টাও মাথায় রাখতে হবে। আর এসি কেনার জন্য সব সময় অফারের জন্য অপেক্ষা করে যাওয়া উচিত। কারণ উৎসবের মরশুমে এসির উপর প্রচুর ডিসকাউন্ট বা ছাড় পাওয়া যায়।

 ভালো ব্র্যান্ডের এসি কিনতে হবে। যা ভালো ওয়ারেন্টি এবং ভালো পরিষেবা প্রদান করতে পারে। ভবিষ্যতে এই বিষয়টিই নানা রকম সমস্যা থেকে বাঁচিয়ে দিতে পারে।

 বর্তমানে প্রায় সব এসিতেই একাধিক অ্যাডভান্সড ফিচার দেখা দেয়। এর মধ্যে অন্যতম হলো ওয়াই-ফাই কানেক্টিভিটি, অটো ক্লিন এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ফিল্টার ইত্যাদি। নিজের প্রয়োজন বা চাহিদা অনুযায়ী ফিচার বেছে নিতে হবে।

 এসি কেনার ক্ষেত্রে সবার আগে অনলাইন রিভিউ এবং রেটিং দেখে নেওয়া আবশ্যক। এতে প্রোডাক্টের গুণমান এবং পারফরম্যান্স নিয়ে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।


আরও খবর

দেশে চালু হতে যাচ্ছে ‘গুগল পে’

বৃহস্পতিবার ২৯ মে ২০২৫




ঢাকা জেলার দোহারে গণধর্ষণ মামলার আসামী র‌্যাব-১০ কর্তৃক গ্রেফতার।

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ | জন দেখেছেন

Image

 ভিকটিম তার খালাতো বোন এর সাথে ঢাকা জেলার দোহার থানাধীন জয়পাড়া কালেমা চত্বর হোটেলে রাতের খাবার খেতে যায়। এরপর তারা বাড়ি ফেরার পথে পথিমধ্যে জয়পাড়া কলেজে পৌছালে আসামী সিফাত হোসেন @ মনি (২২)’সহ অপরাপর আসামীগণ ভিকটিম ও তার খালাতো বোনকে ডাক দিয়ে তাদেরকে জুস খেতে দেয়। পরবর্তীতে আসামীগণ তাদেরকে বাড়িতে পৌছে দেওয়ার কথা বলে দুই মোটরসাইকেলে দুইজনকে উঠাইয়া ভিকটিমদের বাসার দিকে নিয়ে যায়। আসামীগণ ভিকটিমদেরকে তাদের বাড়ির সামনে না নামিয়ে দ্রæত মোটরসাইকেল যোগে অন্যত্র চলে যাওয়ার সময় ভিকটিমের খালাতো বোন মোটরসাইকেল থেকে লাফ দিয়ে নেমে পড়ে। ভিকটিমের খালাতো বোনের কাছ থেকে ভিকটিমের বাবা নাঈম হোসেন (৩৮) ঘটনার বিস্তারিত শুনতে পেরে ভিকটিমকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। একপর্যায়ে গত ১৫/০৫/২০২৫ তারিখ রাত অনুমান ০২.০০ ঘটিকায় ভিকটিম বাড়িতে ফিরে আসে। ভিকটিমের নিকট হতে তার বাবা জানতে পারে যে, আসামী সিফাত হোসেন @ মনিসহ অপরাপর আসামীরা ভিকটিমকে ঢাকা জেলার দোহার থানাধীন খাড়াকান্দা পালবাড়ী ব্রীজ এলাকায় নিয়ে গিয়ে গত ১৪/০৫/২০২৫ তারিখ অনুমান ২২.৩০ ঘটিকা হতে গত ১৫/০৫/২০২৫ তারিখ রাত অনুমান ০১.৩০ ঘটিকা পর্যন্ত আসামীরা ভিকটিমকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক পালাক্রমে গণধর্ষণ করে ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা ঢাকা জেলার দোহার থানায় একটি গণধর্ষণ মামলা রুজু করেন। যার মামলা নং- ১৪, তারিখ- ১৬/০৫/২০২৫ খ্রি., ধারা- ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধিত/২০২০) এর ৯(৩)। উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গণধর্ষণে জড়িত আসামীদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে অধিনায়ক, র‌্যাব-১০, ঢাকা বরাবর একটি অধিযাচনপত্র প্রেরণ করেন। উক্ত অধিযাচনপত্রের ভিত্তিতে র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল উল্লেখিত আসামীদেরকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।

এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ১৫/০৬/২০২৫ তারিখ দুপুর আনুমান ১২.০০ ঘটিকায় র‌্যাব-১০ এর উক্ত আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় রাজধানীর বংশাল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উল্লেখিত গণধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় আসামী সিফাত হোসেন @ মনি (২২), পিতা- খোকা মিয়া, সাং- উত্তর জয়পাড়া, থানা- দোহার, জেলা- ঢাকা’কে গ্রেফতার করে।  

গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।



আরও খবর



গাইবান্ধায় আদিবাসী-বাঙালি যুব মিলনমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসবক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি নয় আদিবাসী পরিচয়ের স্বীকৃতি চাই

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ | ১১০জন দেখেছেন

Image

মোঃ জিল্লুর রহমান গাইবান্ধা প্রতিনিধি

সাঁওতালসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ভাষা-সংস্কৃতি সংরক্ষণ, বিকাশ, অধিকার ও বৈচির্ত্য রক্ষায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি নয় আদিবাসী পরিচয়ের স্বীকৃতি দাবি করেছেন সাঁওতালসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর যুব নারী-পুরুষ। তারা বলেছেন, আদিবাসী সমপর্কে জনসাধারণের মধ্যে বিভ্রানি- রয়েছে। জনসাধারণ আদিবাসী এবং দলিত কারা তা জানে না। তাদের নিজস্ব রীতিনীতি, মূল্যবোধ, খাদ্যাভ্যাস, সামাজিক কার্যকলাপ, চিকিৎসা ব্যবস্থা, বিবাহ ব্যবস্থা এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড রয়েছে। ‌‌‌‌‌আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে রক্ষায় বাঙালি জনগোষ্ঠীকে আরও সংবেদনশীল হতে হবে। 

শনিবার গাইবান্ধা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আদিবাসী-বাঙালি যুব মিলনমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসবে তারা এসব কথা বলেন। উৎসবের স্লোগান ছিল, অধিকার, জীবিকা ও সংস্কৃতি রক্ষায় আদিবাসী-বাঙালি যুব মিলি একতায়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ফ্রি প্রেস আনলিমিটেড ও আটিকেল নাইনটিন এর সহযোগিতায় বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা অবলম্বন এই উৎসবের আয়োজন করে। ইয়ুথ লিডার ললিতা কিস্কুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন অবলম্বনের নির্বাহী পরিচালক প্রবীর চক্রবর্তী। 

আলোচনায় অংশ নেন গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী, সমাজসেবা অধিদপ্তর গাইবান্ধার উপ-পরিচালক মো. ফজলুল হক, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মাহফুজার রহমান, উদীচী জেলা সভাপতি অধ্যাপক জহুরুল কাইয়ুম, গাইবান্ধা প্রেসক্লাব সভাপতি অমিতাভ দাশ হিমুন, এনজিও বিষয়ক কনসালটেন্ট সালমা পারভীন, ইয়ুথ লিডার স্মরণিকা মার্ডি প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শিরিন আকতার। আলোচকরা বলেন, বহু সংস্কৃতি, বহু ভাষা আর বহু জাতির সম্মিলনে বাংলাদেশ একটি জাতি- বৈচির্ত্যের দেশ। এ দেশের পাহাড় থেকে সমতলে ৫০টি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী বাস করে- যাদের রয়েছে স্বতন্ত্র ভাষা ও নিজস্ব সংস্কৃতি। তারা সংখ্যায় প্রায় ৪০ লক্ষাধিক, যা মূল বাঙালি জনগোষ্ঠীর প্রায় ২ ভাগ। এদেশের বৈচিত্রময় বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতির সঙ্গে সংখ্যাগুরু বাঙালিদের পরিচয় নেই বললেই চলে। মূলধারার জনগোষ্ঠীর অবহেলা এবং রাষ্ট্রীয় উদ্যোগের অভাবে আদিবাসীদের ভাষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি আজ প্রায় বিপন্ন। কিছু কিছু এর মধ্যেই হয়ে গেছে বিলুপ্ত। এই বিপন্ন সংস্কৃতি উদ্ধার এবং বিকাশে প্রয়োজনে এ আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এর আগে সকাল ১০টায় ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ের জন্য বিভিন্ন দাবি সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুন হাতে তিন শতাধিক সাঁওতালসহ অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর যুব নারী-পুরুষ তাঁদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকে শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। জেলা শিল্পকলা একাডেমি থেকে শোভাযাত্রাটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবারও শিল্পকলা একাডেমিতে এসে শেষ হয়। সকাল ১১টায় শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন অতিথিবৃন্দ। এরপর আলোচনা সভা শেষে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর শিল্পীরা একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।

অবলম্বনের নির্বাহী পরিচালক প্রবীর চক্রবর্তী জানান, অবলম্বন গত ১৫ বছর ধরে গাইবান্ধা জেলার ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। এসব জাতিগোষ্ঠীর মানুষ মূলধারার উন্নয়ন থেকে বিচ্ছিন্ন এবং তারা প্রান্তিকতার শেষ সীমায় বাস করেন। অবলম্বন তাদের জীবিকা, অধিকার এবং মূলধারার উন্নয়নের সাথে সমপৃক্ত করে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীগুলোর সংস্কৃতি সংরক্ষণ করতে চায়।


আরও খবর



দেশে চালু হতে যাচ্ছে ‘গুগল পে’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ | ৬৩জন দেখেছেন

Image


অবশেষে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হতে যাচ্ছে গুগলের ডিজিটাল পেমেন্ট সেবা ‘গুগল পে’। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো থেকে জানা গেছে, আগামী এক মাসের মধ্যেই দেশের ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থায় এ সেবার কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। প্রাথমিক পর্যায়ে সিটি ব্যাংকের গ্রাহকরা তাদের ভিসা ও মাস্টারকার্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায়) গুগল ওয়ালেটের সঙ্গে যুক্ত করতে পারবেন এবং যেকোনো এনএফসি (নিয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন)-সাপোর্টেড টার্মিনালে অ্যান্ড্রয়েড ফোনের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারবেন। তবে ধাপে ধাপে দেশের অন্যান্য ব্যাংকও এই সেবায় যুক্ত হবে। সিটি ব্যাংক ও গুগল একসাথে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব নিয়েছে। চালু হলে ব্যবহারকারীরা কনট্যাক্টলেস পয়েন্ট অফ সেল (পিওএস) টার্মিনালে সহজেই ‘ট্যাপ অ্যান্ড পে’ পেমেন্ট করতে পারবেন, যা তাদের কেনাকাটাকে করবে আরও দ্রুত, নিরাপদ ও আধুনিক। ডিজিটাল ওয়ালেট সেবাগুলো সাধারণত স্পর্শকাতর আর্থিক তথ্য ও লেনদেন পরিচালনা করে, তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রের মতে, গুগল ওয়ালেট ব্যবহারকারীর তথ্য সংরক্ষণ করবে না। তাই অ্যাপ চালুর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সরাসরি অনুমোদনের প্রয়োজন নেই। ব্যবহারকারীরা শুধু নিজেদের ব্যাংক কার্ড অ্যাপে যুক্ত করবেন, আর সব লেনদেন তাদের নিজ নিজ ব্যাংকের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে। তবে, ডিজিটাল ওয়ালেটের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন ব্যাংকগুলোকে সেবা চালুর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানাতে হবে। গুগল ওয়ালেট সাধারণত ব্যবহারকারীদের কেনাকাটা, অনলাইন পেমেন্ট বা ‘পিয়ার-টু-পিয়ার’ (ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি) ট্রান্সফারের মতো লেনদেনে কোনো চার্জ করে না, যদি তারা নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা ডেবিট কার্ড ব্যবহার করেন। তবে কার্ডধারীর ব্যাংক তাদের নিজস্ব নীতিমালা, কার্ডের ধরণ এবং লেনদেনের প্রকৃতির ওপর ভিত্তি করে ফি ধার্য করতে পারে। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, যদি গুগল কোনো কারণে এই স্থানীয় লেনদেনটি আন্তর্জাতিক সার্ভারের মাধ্যমে প্রক্রিয়াকরণ করে, তখন হয়ত ফি লাগতে পারে।


আরও খবর



ঘোড়া কোরবানি করা নিয়ে ইসলাম যা বলে

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ মে 20২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | ১৬৩জন দেখেছেন

Image

ছয় ধরনের গবাদি পশু কোরবানি করা যায়; উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা। খাওয়া হালাল এমন যে কোনো পশু কোরবানি করা যায় না। যেমন হরিণের মাংস খাওয়া হালাল হলেও হরিণ কোরবানি করা যায় না। একইভাবে ঘোড়ার মাংস খাওয়া অনেকের মতে হালাল হলেও ঘোড়া কোরবানি করা যায় না। উট, গরু ও মহিষ এ তিন পশু কোরবানিতে সর্বোচ্চ সাত জন শরিক হতে পারে। অর্থাৎ একজন, দুজন, তিনজন থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ সাতজন ব্যক্তির পক্ষ থেকে একটি পশু কোরবানি যথেষ্ট হতে পারে। সে ক্ষেত্রে সাত জন ওই পশু কেনায় সমান শরিক হবে এবং সমানভাবে গোশতও ভাগ করে নেবে। ছাগল, ভেড়া, দুম্বা এ তিন পশু একজনের পক্ষ থেকে কোরবানি করা যায়। কোরবানি করার জন্য পশুর নির্দিষ্ট বয়সসীমা পার হওয়াও জরুরি। যে কোনো বয়সের পশু দিয়ে কোরবানি করা যায় না। উট কোরবানির জন্য তা কমপক্ষে ৫ বছরের হতে হবে। গরু ও মহিষ কমপক্ষে ২ বছরের হতে হবে। ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা কমপক্ষে ১ বছরের হতে হবে। ভেড়া ও দুম্বা যদি ১ বছরের কিছু কমও হয়, কিন্তু এমন হৃষ্টপুষ্ট হয় যে, দেখতে ১ বছরের মতো মনে হয় তাহলে তা দ্বারাও কোরবানি করা জায়েজ। এ রকম ক্ষেত্রে ভেড়া ও দুম্বার বয়স কমপক্ষে ৬ মাস হতে হবে। উল্লেখ্য যে, ছাগলের বয়স ১ বছরের কম হলে কোনো অবস্থাতেই ওই ছাগল দিয়ে কোরবানি জায়েজ হবে না।


ঘোড়ার মাংস খাওয়ার বিধান কী?

ঘোড়ার মাংস হালাল এবং তা খাওয়া সাধারণভাবে জায়েজ। কিন্তু ঘোড়া যেহেতু এক সময় বাহন হিসেবে ব্যবহৃত হতো, যুদ্ধে ব্যবহৃত হতো, তাই ব্যাপকভাবে ঘোড়ার মাংস খাওয়া হলে বাহন হিসেবে বা যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য ঘোড়ার সংকট দেখা দিতে পারে এই আশঙ্কায় ইমাম আবু হানিফা (রহ.) ঘোড়ার গোশত খাওয়াকে মাকরুহ বা অপছন্দনীয় বলেছেন। কারণ খাদ্যের চেয়ে বাহন হিসেবে ঘোড়ার উপযোগিতা ও প্রয়োজনীয়তা বেশি। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে ঘোড়াকে বাহন হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَّ الۡخَیۡلَ وَ الۡبِغَالَ وَ الۡحَمِیۡرَ لِتَرۡكَبُوۡهَا وَ زِیۡنَۃً وَ یَخۡلُقُ مَا لَا تَعۡلَمُوۡنَ

তিনি ঘোড়া, খচ্চর ও গর্দভ সৃষ্টি করেছেন যাতে তোমরা ওগুলোতে আরোহণ করতে পার আর শোভা-সৌন্দর্যের জন্যও; তিনি সৃষ্টি করেন অনেক কিছু যা তোমাদের জানা নেই। (সুরা নাহল: ৮)


বর্তমান সময়ে ব্যাপকভাবে ঘোড়ার মাংস খেলে যদি বাহন হিসেবে বা যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য ঘোড়ার সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাহলে ইমাম আবু হানিফার (রহ.) মত অনুযায়ী ঘোড়ার মাংস খাওয়া মাকরুহ বা অপছন্দনীয় বিবেচিত হবে। এ ছাড়া হানাফি মাজহাবের অন্য দুই বড় ইমাম আবু ইউসুফ (রহ.) ও মুহাম্মাদ (রহ.) এবং অন্যান্য মাজহাবের ইমামগণ ঘোড়ার মাংস খাওয়াকে পুরোপুরি হালাল বলেছেন। তাদের মতের পক্ষে কিছু হাদিস পাওয়া যায়। জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) খায়বারের দিন গৃহপালিত গাধার মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ করেছিলেন এবং ঘোড়ার মাংস খাওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন। (সহিহ বুখারি: ৩৯৮২, সহিহ মুসলিম: ১৯৪১)


আসমা বিনতে আবু বকর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা আল্লাহর রাসুলের (সা.) যুগে একটি ঘোড়া জবাই করে তা খেয়েছিলাম। (সহিহ বুখারি: ৫১৯১, সহিহ মুসলিম: ১৯৪২)


জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমরা আল্লাহর রাসুলের (সা.) সঙ্গে সফর করেছিলাম। ওই সফরে আমরা ঘোড়ার মাংস খেতাম এবং তার দুধ পান করতাম। (দারাকুতনি ও বায়হাকি)


আরও খবর