Logo
আজঃ শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3
শিরোনাম

পর্তুগালে ‘অনৈতিক’ অভিবাসন প্রত্যাশীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৮ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ১৬৫জন দেখেছেন

Image

পর্তুগালে নিয়মিত হওয়ার আবেদন চালু করার পর অনেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করে আশ্রয় আবেদন বা লেখাপড়া করেছেন। কিন্তু বর্তমানে ইইউ সেন্ট্রাল ডাটা সিকিউরিটি সিস্টেমের মাধ্যমে আবেদনকারীর তথ্য যাচাই শুরু করার কারণে যারা অনৈতিকভাবে পর্তুগাল ছেড়ে গেছেন তাদের প্রসেস বাতিল বা বিভিন্ন বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করছে পর্তুগিজ ফরেনার্স অ্যান্ড বর্ডার সার্ভিস (এসইএফ)।

এখানে উল্লেখ্য, একজন প্রফেশনাল বা কর্মজীবী হিসেবে পর্তুগালে নিয়মিত হওয়ার আবেদন করা হলে এখানে তাকে চাকরি বা ব্যবসা চালিয়ে যেতে হবে এবং একই সঙ্গে আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি পর্তুগালের সীমানা ছেড়ে যেতে পারবেন না। যদি এর ব্যতিক্রম হয় তাহলে তার প্রসেস বাতিল হয়ে যাবে, যা আইন দ্বারা সংজ্ঞায়িত।

পর্তুগালে নিয়মিত হওয়ার আশায় এখানে প্রসেস চালু করে বেশি আয়ের জন্য ইউরোপের অন্য দেশে অবস্থান করছেন তবে বর্তমানে পর্তুগিজ ফরেনার্স অ্যান্ড বর্ডার সার্ভিস (এসইএফ) ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভিসা এবং অভিবাসন সংক্রান্ত তথ্য ভান্ডারের নিরাপত্তা ব্যবস্থার থ্রি পিলার খ্যাত ভিসা ইনফরমেশন সিস্টেম (ভিআইএস), সেনজেন ইনফরমেশন সিস্টেম (এসআইএস), ইউরোপিয়ান ডাকটাইলসকপি (ইউরোডাক) কার্যকর করার কারণে অভিবাসীরা পর্তুগালে ফিরতে শুরু করেছেন।

তবে এদের হঠাৎ করে দলে দলে ফেরা পর্তুগালের বাসস্থান এবং কর্মক্ষেত্রে সংকটের সৃষ্টি করেছে। অর্থাৎ হাজার হাজার অধিবাসী একই সঙ্গে পর্তুগালে প্রবেশ করছেন ফলে একটি কৃত্রিম সংকট তৈরি হচ্ছে, তাছাড়া পর্তুগাল ছেড়ে অন্য দেশে বসবাস করার কারণে পর্তুগিজ ভাষায় তাদের দক্ষতা না থাকার কারণে চাকরি বা যথাযথ কর্মসংস্থান পেতে অসুবিধা হচ্ছে।

বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পর্তুগিজ অভিবাসন কর্তৃপক্ষ বা সেফ তাদের পর্তুগালে নিয়মিত কাজ না করা বা অন্য যে দেশে অবস্থান করছিলেন সে দেশে তার আঙ্গুলের ছাপ শনাক্ত হওয়ার কারণে তাদের ফিরিয়ে দিচ্ছেন বা প্রসেসটি অনুসন্ধানের জন্য সময় চেয়েছেন। একই সঙ্গে আবেদনকারীকে কারণ দর্শাতে বলেছেন। কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্তের কারণে অনেক প্রবাসীদের পর্তুগালে নিয়মিত হওয়ার বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

উল্লেখ্য, পর্তুগাল অভিবাসীবান্ধব দেশ, প্রতি বছরই দেশটিতে অভিবাসীদের সংখ্যা বাড়ছে। কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী দেশটিতে গত ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রায় ৭ লাখ ৫৭ হাজারেরও বেশি অভিবাসী বসবাস করছেন। যেখানে দেশটির মোট জনসংখ্যা এক কোটির কিছু বেশি।


আরও খবর



হার্টে ব্লক ছাড়াও এনজিনা

প্রকাশিত:বুধবার ২২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ২৭জন দেখেছেন

Image

যে কোনো কারণে হৃৎপিণ্ডে রক্ত প্রবাহের ঘাটতি দেখা দেওয়াকে ইসকেমিয়া বা রক্ত প্রবাহের স্বল্পতা বলা হয় এবং এরূপ অসুস্থতাকে ইসকেমিক হার্ট ডিজিজ বলে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হৃৎপিণ্ডের রক্তনালিতে ব্লক (প্রতিবন্ধকতা) থাকার ফলে ইসকেমিক হার্ট ডিজিজ হয়ে থাকে। তবে হৃৎপিণ্ডের রক্তনালি স্বাভাবিক থাকার পরও বেশ কিছু কারণে ইসকেমিক হার্ট ডিজিজ হতে পারে। উভয় ক্ষেত্রেই একই ধরনের উপসর্গ দেখা দিয়ে থাকে, ফলে কেউ কেউ এ ধরনের রোগীকে হার্ট ব্লক আছে বলে ধরে চিকিৎসা প্রদান করতে থাকেন। রোগী যদি বয়স্ক ব্যক্তি হন তবে দুই ধরনের অবস্থা একই রোগীতে বিদ্যমান থাকতে পারে।

লক্ষণসমূহ : পরিশ্রমে বুকের ব্যথা অনুভূত হওয়া এবং বিশ্রাম গ্রহণে অতিদ্রুত ব্যথা নিরাময় হওয়া। প্রায় সময়ই ব্যথা তীব্র মাত্রায় হয়ে থাকে এবং ব্যথা বুকের চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে বিশেষ করে গলা, চোয়াল, হাত, পেটের উপরিভাগে ও পিঠে। অনেকের বুক ব্যথার সঙ্গে সঙ্গে শ্বাসকষ্ট বা নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসার মতো অনুভূতি, কারও কারও এর সঙ্গে সঙ্গে বুক ধড়ফড় করতে পারে। বুকে ব্যথার মতো শ্বাসকষ্ট ও বুক ধড়ফড় করাও বিশ্রাম গ্রহণে দ্রুত নিরাময় হয়ে যায়। কখনো কখনো বুক ব্যথা অনুভূত না হয়ে শুধু শ্বাসকষ্ট ও বুকে ধড়ফড় বা যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে যারা দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসে ভুগছেন অথবা যাদের বয়স ৭০ বছর বা তার ঊর্ধ্বে।

এসব লক্ষণকে সাধারণভাবে প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। দিনকে দিন রোগীর অবস্থা জটিল আকার ধারণ করতে থাকে এবং এ অবস্থায় রোগীর আরও বেশ কিছু লক্ষণ পরিলক্ষিত হতে থাকে। যেমন- শারীরিক যোগ্যতা কমতে থাকা, অল্প পরিশ্রমেই প্রাথমিক লক্ষণসমূহ পরিলক্ষিত হওয়া, হালকা কাশি হওয়া, পেটে প্রচুর গ্যাস উৎপন্ন হওয়া, পেট ফেঁপে থাকা, পেট ভরাভরা ভাব অনুভূত হওয়া, বদহজমের মতো হওয়া, রাতে কাশি হওয়া ও শ্বাস বন্ধ হওয়ার অনুভূতি হওয়া, হাত-পা-মুখ ফোলাফোলা ভাব ধরা বা ফুলে যাওয়া, চোখে অন্ধকার দেখা, মাথা হালকা অনুভূত হওয়া বা মাথা ঘোরা অনুভূত হওয়া, খাদ্য গ্রহণে অনীহা, শারীরিক ওজন কমে যাওয়া বা বেড়ে যাওয়া, ঘন ঘন সর্দি কাশিতে আক্রান্ত হওয়া। পেটের উপরিভাগে ফুলা ও ব্যথা অনুভূত হওয়া।

ইসকেমিক বুকের ব্যথাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এনজিনা বলা হয়। শতকরা ৬০ ভাগ রোগীর হার্ট ব্লককে এনজিনার প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বাকি ৪০ ভাগ রোগীর এনজিনার প্রধান কারণ হার্ট ব্লক বা রক্তনালির রক্ত প্রবাহের প্রতিবন্ধকতা নয়। এ ধরনের রোগী উচ্চরক্তচাপ, এওরটিক ভাল্ব ডিজিজ, হাইপারট্রফিক কার্ডিওমায়োপ্যাথি, থাইরয়েড হরমোনের আধিক্য, মাইক্রোভাসকুলার এনজিনা, রক্তশূন্যতা, অপুষ্টিজনিত হৃদরোগ, থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি জনিত অসুস্থতা, মানসিক অস্থিরতা, প্রচণ্ড মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তাগ্রস্ততা, নেশাগ্রস্ততা ও ভয়ভীতি ইত্যাদি। তবে অনেক রোগীর দেহে এসব একাধিক কারণ বিদ্যমান থাকতে পারে। কারও দেহে যত বেশি সংখ্যক কারণ উপস্থিত থাকে তার রোগের তীব্রতাও তত বেশি। অনেক সময় এসব কারণের সঙ্গে হার্ট ব্লকও থাকতে পারে তবে এসব ক্ষেত্রে এনজিনার মূল কারণ হার্ট ব্লক নয় বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তিদের বেলায়।

এ ধরনের অসুস্থতার জন্য কদাচিৎ এনজিওগ্রাম করার প্রয়োজন হতে পারে। প্রায় ক্ষেত্রেই এনজিওগ্রামে তেমন গুরুত্বপূর্ণ ব্লক পাওয়া যায় না। প্রায় সব ক্ষেত্রে ইসিজি, কালার ডপলার ইকোকার্ডিওগ্রাম, বুকের এক্স-রে, রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা নির্ণয়, রক্তে সুগার, থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা, থেলিয়াম স্কেনিং, ইটিটি/টিএমটি, স্ট্রেস ইকোকার্ডিওগ্রামের প্রয়োজন হয়ে থাকে। এসব রোগের চিকিৎসা নির্ভর করে প্রকৃত কারণ নির্ণয় করে রোগ শনাক্তকরণের ওপর। তবে তার সঙ্গে স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ভাবে নিরাপদ মাত্রায় কায়িকশ্রমের অনুশীলন করা এবং জীবনধারা পরিবর্তন করে উন্নতি লাভ সম্ভব। তাই এসব বিষয়ে সচেতন হতে হবে। প্রতিকার নয় প্রতিরোধ সর্বদা উত্তম।


আরও খবর

একদিনে ৮৭৭ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ৭

বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩




বেশি হারে দক্ষ মানবসম্পদ নিতে সৌদির প্রতি ঢাকা চেম্বার সভাপতির আহ্বান

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | ৫৩জন দেখেছেন

Image

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং আল মদিনা আল মনোয়ারা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি-এর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আলোচনা সভা হয়েছে। সম্প্রতি মদিনা চেম্বারের কার্যালয়ে এ সভা অুনষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তারের নেতৃত্বে ৬১সদস্যবিশিষ্ট বেসরকারিখাতের সর্ববৃহৎ বাণিজ্য প্রতিনিধি দলটি সৌদি আরব সফর করছে।

সভায় ডিসিসিআই সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার বলেন, দীর্ঘ দিন যাবত বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি বিভিন্ন খাতে সৌদি আরবে নিয়োজিত আছেন এবং বাংলাদেশের মোট রেমিট্যান্সের প্রায় ৩০ শতাংশই সৌদি আরব হতে আসে। 

তিনি বলেন, ‘সৌদি ভিশন ২০৩০’-এর আওতায় সৌদি সরকার বহুমুখী উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ হতে বিশেষ করে লজিস্টিক, অবকাঠামো, তথ্য-প্রযুক্তি ও আউটোর্সিং প্রভৃতি খাতে আরো বেশি হারে দক্ষ মানবসম্পদ নেওয়ার জন্য মদিনা চেম্বারের উদ্যোক্তাদসহ সৌদি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’ সেই সাথে তিনি জানান, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা, পর্যটনসহ অন্যান্য সামাজিক সেবা খাতে সৌদি উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ করতে পারেন। 

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে নানাবিধ প্রণোদনা ও নীতি সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। যেগুলোর সুবিধা গ্রহণ করে সৌদি ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে পারে। 

তিনি আরো উল্লেখ করেন, ২০২৬ সালে বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য বাজার সম্প্রসারণ খুবই জরুরি। এমতাবস্থায় সৌদি আরবের বাজারে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানিতে এগিয়ে আসার জন্য বাংলাদেশ উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

মদিনা চেম্বারের সহ-সভাপতি ড. খালিদ আব্দুল কাদের দাখাল বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, নীতি সহায়তা ও উন্নত সেবা প্রদানের মতো বেশকিছু অগ্রাধিকারমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। 

তিনি আশা প্রকাশ করেন, দুই দেশের ব্যবসায়িক কার্যক্রম আরো বৃদ্ধিতে তার চেম্বার কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণে সচেষ্ট হবে। তিনি জানান, সৌদি আরবের মোট জিডিপিতে মদিনার অবদান প্রায় ৭% এবং এখানে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ কার্যক্রম সম্প্রসারণের সুযোগ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

এমতাবস্থায় তিনি বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, সিরামিক, পর্যটন, এগ্রোপ্রসেসিং, তৈরি পোশাক প্রভৃতি খাতে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান। সেই সাথে তিনি দুই দেশের উদ্যোক্তাদের মধ্যকার যোগাযোগ আরো বৃদ্ধির ওপর জোরারোপ করেন। 

ঢাকা চেম্বারে ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এস এম গোলাম ফারুক আলগমীর (আরমান), সহ-সভাপতি মো. জুনায়েদ ইবনে আলী, পরিচালনা পর্ষদের সদস্যসহ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর

আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম

শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩




ইউক্রেনে আরও ৩ হাজার চেচেন সেনা পাঠানোর ঘোষণা রমজান কাদিরভের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১০জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেন যুদ্ধে রুশ বাহিনীর পক্ষে নতুন আরও ৩ হাজার যোদ্ধা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন রাশিয়ার কাস্পিয়ান অঞ্চলের প্রদেশ চেচনিয়ার প্রেসিডেন্ট রমজান কাদিরভ। সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টেলিগ্রামে এই ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের অত্যন্ত আস্থাভাজন এই নেতা সোমবার এক টেলিগ্রাম পোস্টে বলেন, ‘এই যোদ্ধাদের সবাই অত্যন্ত লড়াকু মানসিক তার লক্ষ্য অর্জনের প্রতি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। প্রত্যেকেই সেরা সামরিক সরঞ্জাম ও আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত। ইউক্রেনে গঠিত নতুন ইউনিটে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও রাশিয়ান ন্যাশনাল গার্ড ফোর্সের অধীনে তারা যুদ্ধ করবে।’

গত মে মাসে এক ঘোষণায় ‘পুতিনের পদাতিক’ নামে পরিচিত কাদিরভ বলেছিলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত রুশ বাহিনীতে মোট ২৬ হাজার চেচেন সেনা পাঠানো হয়েছে। এই সেনাদের মধ্যে প্রশিক্ষিত সেনা সদস্যদের সংখ্যা ১৪ হাজার এবং স্বেচ্ছাসেবী সেনা রয়েছেন ১২ হাজার।

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ বাহিনী ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর পর রমজান কাদিরভের নির্দেশে যেমন হাজার হাজার চেচেন যোদ্ধা যোদ দিয়েছেন রুশ বাহিনীর পক্ষে, তেমনি কাদিরভ বিরোধী বিভিন্ন সশস্ত্র চেচেন গোষ্ঠী ইউক্রেনীয় বাহিনীর পক্ষে লড়াইয়ে নেমেছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে ভাড়াটে যোদ্ধাবাহিনী ওয়াগনার গ্রুপ। গত ২৩ জুন রুশ বাহিনী ও রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের আগ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি ‘অপারেশনে’ রীতিমতো নেতৃত্ব দিয়েছে ওয়াগনার যোদ্ধারা।

নভেম্বরের শুরুর দিকে কাদিরভ জানিয়ে ছিলেন, ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিন নিহত হওয়ার পর বাহিনীর যোদ্ধাদের একটি অংশ চেচেন বাহিনীতে যোগ দিয়েছেন। গত ২৪ আগস্ট এক বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন।


আরও খবর



সাগরে লঘুচাপ, তিন বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | ৩৪জন দেখেছেন

Image

দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের লঘুচাপটি ঘণীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরো ঘণীভূত হতে পারে। ফলে দেশের তিন বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় সকালে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে এবং এটি ঘণিভূত হয়ে সুষ্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরো ঘণিভূত হয়ে পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। ঢাকায় উত্তর/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকবে ৬-১২ কিলোমিটার।

বৃহস্পতিবারের (১৬ নভেম্বর) পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকংশ জায়গায় এবং সিলেট, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

এছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে।

শুক্রবারের (১৭নভেম্বর) পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকংশ জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা ১-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। বর্ধিত  পাঁচ দিনের আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।


আরও খবর



ফেসবুকে রিল তৈরির নতুন সুবিধা চালু

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | ৪৯জন দেখেছেন

Image

রিল তৈরি আরও সহজ করতে ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন ফিচার নিয়ে এলো ফেসবুক। যার মাধ্যমে রিলসের পারফরমেন্স তুলনা করা যাবে।

এবি টেস্টিং নামের এই ফিচার কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের বিভিন্ন ক্যাপশন ও থাম্বনেইলের ছবি নিয়ে যাচাই-বাছাই করতে দেবে। ফলে কোনো ভিডিও দর্শকের কাছে বেশি পৌঁছাবে তা সহজেই বুঝা যাবে।

এদিকে মেটা ভবিষ্যতে বিভিন্ন ক্যাপশন এবং থাম্বনেইলের অপশন তৈরি করতে ব্যবহারকারীদের সাহায্য করার জন্য জেনারেটিভ এআই নিয়ে কাজ করছে।

এই ফিচার কিভাবে কাজ করবে -
ক্রিয়েটাররা এখন তাদের মোবাইল ডিভাইসে রিলস কম্পোজারের মধ্যে বিভিন্ন কন্টেন্ট থেকে রিল তৈরি করতে পারবেন। পুরোনো ভিডিও পোস্ট এবং লাইভ স্ট্রিম থেকেও এই সুবিধা পাওয়া যাবে। এছাড়া রিলস তৈরি করার সময় চারটি আলাদা ক্যাপশন ও থাম্বনেইল যুক্ত করা যাবে। ফলে কোন ক্যাপশন বা থাম্বনেইলে ভিডিও ভিউ বেশি হয় তা পরীক্ষা করা যাবে।

ক্রিয়েটাররা যেন সহজেই কনটেন্ট পারফরম্যান্সের ফলাফল বুঝতে পারে এজন্য মেটা প্রফেশনাল ড্যাশবোর্ডে একটি কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট টুল যোগ করেছে। যা ক্রিয়েটারদের সব পোস্ট, রিল এবং ভিডিও এক জায়গায় দেখতে সহজ করবে। ২৮ দিনের রিপোর্টের পরিবর্তে পুরো ৯০ দিনের পারফরম্যান্স রিপোর্ট দেখতে পারবে ক্রিয়েটররা।

সংবাদমাধ্যম ভার্জ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এটি একটি সাধারণ মার্কেটিং কৌশল। যার মাধ্যমে দেখা হবে কীভাবে প্রচার করলে ব্যবহারকারীর অংশগ্রহণ তুলনামূলক বেশি হবে। যেমন- একটি রিলসে ভিন্ন ভিন্ন হেডলাইন দিয়ে দেখা হবে, কোনটি ব্যবহারকারীরা বেশি পছন্দ করছেন।


আরও খবর