Logo
আজঃ শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
শিরোনাম
সিলেটে মধ্যরাতে হামলার শিকার ‘আত্মগোপনে থাকা’ আওয়ামী লীগ নেতা মিসবাহ জামিনে মুক্তি পেলেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৯ কর্মকর্তা অন্তর্বর্তী সরকার সংবাদপত্রে বিন্দুমাত্র হস্তক্ষেপ করেনি : প্রেস সচিব আইনি ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছেন দক্ষিণ ভারতীয় সুপারস্টার আল্লু অর্জুন ৩১ রানের ইনিংসে ৩ মাইলফলকে বাবর আজম অভিশংসন ভোটের মুখে পড়তে যাচ্ছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট জবাই করে হত্যা মামলার পলাতক আসামী গ্রেফতার। জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্র মামলায় দণ্ডিত বিএনপি নেতা মিজানুরের জামিন একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ার মারা গেছেন মিয়ানমারে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী শহর থেকে শত শত সৈন্যসহ জেনারেল আটক

পুঁজিবাজারে দরপতন

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২২১জন দেখেছেন

Image

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার ( ৮নভেম্বর) দেশের পুঁজিবাজারে দরপতন হয়েছে। দিনভর সূচক ওঠানামা শেষে এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক কমেছে ২ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।

সূচকের পাশাপাশি কমেছে লেনদেন ও অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম। ফলে সোম, মঙ্গল ও বুধবার টানা তিনদিন নেতিবাচক ধারায় পুঁজিবাজারে লেনদেন হলো।

ডিএসইর তথ্য মতে, আজ ডিএসইতে ৩০২টি প্রতিষ্ঠানের ১২ কোটি ৩ লাখ ৫১ হাজার ৮৪৪টি শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ডের হাতবদল হয়েছে। তাতে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫১৬ কোটি ২ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৫৪৫ কোটি ৭৫ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। অর্থাৎ দিনের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে।

ডিএসইতে ৪৫টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ১০২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫৫টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ২ দশমিক ৮৮ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২৭৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রধান সূচকের পাশাপাশি অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস শরীয়াহ সূচক দশমিক ৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৬১ পয়েন্টে এবং ডিএস ৩০ সূচক ১ দশমিক ৪৪পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১২৯ পয়েন্টে।

ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল ফুয়াং ফুডের শেয়ার। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল এপেক্স ফুটওয়ারের শেয়ার। তৃতীয় অবস্থানে ছিল বিচ হ্যাচারি লিমিটেডের শেয়ার।

এরপরের তালিকায় রয়েছে খুলনা পাওয়ার প্যাকেজিং অ্যান্ড প্রিন্টিং, এমারেল অয়েল, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল, আরডি ফুড, মনোস্পল পেপার, ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ মিউচুয়াল ফান্ড এবং খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ার।

সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৫৮৮ পয়েন্টে। সিএসইতে ১৪৯টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৩টির, কমেছে ৬০টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে৫৬টির।

দিন শেষে সিএসইতে ৫ কোটি৫৪ লাখ ৯ হাজার ৮৩৩টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১০ কোটি ৮০ লাখ ৪ হাজার ৯৩৭ টাকার শেয়ার।


আরও খবর



৩১ রানের ইনিংসে ৩ মাইলফলকে বাবর আজম

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৩২জন দেখেছেন

Image

খেলা ডেস্ক: সেঞ্চুরিয়নে গতকাল রাতে পাকিস্তানকে দ্বিতীয় ম্যাচে ৭ উইকেটে হারিয়ে টি–টোয়েন্টি সিরিজ ২–০ ব্যবধানে নিজেদের করে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। পাকিস্তানের ২০৬ রান তাড়া করতে নেমে ৩ বল হাতে রেখে জিতেছে হাইনরিখ ক্লাসেনের দল। এ ম্যাচে ২০ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলে বেশ কিছু রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন পাকিস্তানি তারকা বাবর আজম।

ভারত–পাকিস্তান সমঝোতা, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হাইব্রিড মডেলেই

ম্যাচটি খেলতে নামার আগে তিন সংস্করণ মিলিয়ে বাবরের মোট রান ছিল ১৩,৯৯৮। চতুর্থ ওভারের চতুর্থ বলে মোহাম্মদ রিজওয়ান আউট হওয়ার পর ক্রিজে এসে প্রথম বলেই চার মেরে পঞ্চম পাকিস্তানি হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৪ হাজার রানের মাইলফলকের দেখা পান বাবর।


ইনজামাম–উল–হক, ইউনিস খান, মোহাম্মদ ইউসুফ ও জাভেদ মিঁয়াদাদ এর আগে মাইলফলকটি টপকেছেন। ৩৩৮ ইনিংসে বাবরের রান ১৪,০২৯। ৫৫১ ইনিংসে ২০,৫৮০ রান নিয়ে পাকিস্তানের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রানসংখ্যায় সবার ওপরে ইনজামাম। ইউনিস ৪৯১ ইনিংসে ১৭,৭৯০ রান নিয়ে দ্বিতীয়। ৪৩২ ইনিংসে ১৭,৩০০ রান নিয়ে তৃতীয় ইউসুফ এবং চতুর্থ মিঁয়াদাদের সংগ্রহ ৪০৭ ইনিংসে ১৬,২১৩ রান।


সেঞ্চুরি করে ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেন রিজা হেনড্রিকস। সেঞ্চুরির পর তাঁর উদ্‌যাপন এএফপি

এই ইনিংস দিয়ে স্বীকৃত টি–টোয়েন্টিতেও একটি রেকর্ড গড়েছেন বাবর। এই সংস্করণে দ্রুততম ১১ হাজার রানের রেকর্ড এখন তাঁর। ২৯৮ ইনিংসে বাবরের রানসংখ্যা এখন ১১,০২০। 


এই পথে বাবর ভেঙেছেন ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি ক্রিস গেইলের রেকর্ড। মাইলফলকটিতে পৌঁছাতে গেইলের লেগেছিল ৩১৪ ইনিংস। অর্থাৎ প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ৩০০-এর কম ইনিংস খেলে ১১ হাজার রানের দেখাও পেলেন বাবর।


ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম এই সংস্করণে দ্রুততম ৭, ৯ ও ১০ হাজার রানের রেকর্ডও তাঁর।


তবে স্বীকৃত টি–টোয়েন্টিতে বাবরের চেয়ে বেশি রান করা পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান কিন্তু আছেন। তিনি আবার অলরাউন্ডার। ঠিকই ধরেছেন। ৪২ বছর বয়সী শোয়েব মালিক। বাবরের জন্মের (১৫ অক্টোবর, ১৯৯৪) ঠিক ৫ বছর পরই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত (১৫ অক্টোবর, ১৯৯৯) শোয়েব এই সংস্করণে ৫০৫ ইনিংসে ১৩,৪১৫ রান করেছেন। ক্রিস গেইলের পরই (৪৫৫ ইনিংসে ১৪,৫৬২) এ সংস্করণে রানে দ্বিতীয় শোয়েব।


শুধু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৪ হাজার এবং স্বীকৃত টি–টোয়েন্টিতে ১১ হাজার রানই নয়, বাবর কাল আরও একটি হাজারের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। ৩১ রানের ইনিংসের পথে ছুঁয়েছেন পেশাদার ক্রিকেটে ২৬ হাজার রানের ঘর। বাবরের তিন মাইলফলকের ম্যাচে পাকিস্তানের হয়ে সবচেয়ে বড় ইনিংসটি খেলেছেন অবশ্য সাইম আইয়ুব। 


৫ ছক্কা ও ১১ চারে ৫৭ বলে ৯৮ রানে অপরাজিত ছিলেন এই ওপেনার। শেষ দিকে ইরফান খানের ১৬ বলে ৩০ রান পাকিস্তানকে দুই শ পার হওয়ার রাস্তা তৈরি করে দেয়। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা ভেবে রেখেছিলেন অন্য কিছু। বিশেষ করে ওপেনার রিজা হেনড্রিকস।


১০ ছক্কা ও ৭ চারে ৬৩ বলে ১১৭ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে প্রথম টি–টোয়েন্টি সেঞ্চুরিও তুলে নেন এই ডানহাতি। ৩৮ বলে ৬৬ রানের অপরাজিত ইনিংসে মাঠে থেকে জয় নিশ্চিত করেন রাসি ফন ডার ডুসেন। জোহানেসবার্গে আজ রাত ১০টায় সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ।


সংক্ষিপ্ত স্কোর:


পাকিস্তান: ২০ ওভারে ২০৬/৫ (সাইম ৯৮*, বাবর ৩১, ইরফান ৩০, রিজওয়ান ১১, আব্বাস ১১*; দাইয়ান ২/২১, বার্টম্যান ২/৫১, লিন্ডা ১/২৮)।


দক্ষিণ আফ্রিকা: ১৯.৩ ওভারে ২১০/৩ (হেনড্রিকস ১১৭, ডুসেন ৬৬*, ব্রিটৎজকে ১২, ক্লাসেন ৮*; জাহানদাদ ২/৪০, আব্বাস ১/৪৬, আবরার ০/২৯, হারিস ০/৫৭)।


ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৭ উইকেটে জয়ী।


সিরিজ: তিন ম্যাচ সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকা ২–০ তে এগিয়ে।


ম্যাচসেরা: রিজা হেনড্রিকস (দক্ষিণ আফ্রিকা)।



আরও খবর



রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলে ৮৭ শতাংশ শিক্ষার্থীই পোষ্য কোটায় ভর্তি

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৯৮জন দেখেছেন

Image

রাবি প্রতিনিধি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তিতে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে পোষ্য কোটার যৌক্তিকতা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও একটি ‘রিভিউ কমিটি’ গঠন করেছেন। তবে স্নাতক পর্যায়ে পোষ্য কোটা ভর্তির তুলনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজে পোষ্য কোটায় ভর্তির হার আরও বেশি। স্নাতক পর্যায়ে ভর্তি প্রক্রিয়ায় কোটা শতকরা ৪ শতাংশ থাকলেও স্কুল পর্যায়ে ভর্তিতে এই কোটার হার ৮৭ শতাংশ।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে এখানে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের পড়াশোনার জন্য। ক্যান্টনমেন্ট স্কুলগুলোতে যেমন সেখানকার নিযুক্ত কর্মকর্তাদের সন্তানরাই লেখাপড়া করতে পারেন। সেই একই উদ্দেশ্যে এটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। তবুও বাইরের কিছু শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পান। যদিও সেটা খুবই নগণ্য। তবে বর্তমান ছাত্রনেতারা বলছেন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পোষ্য কোটা রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই।

গত ২০ নভেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলের ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রথম শ্রেণির ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, মোট ১২০টি আসন সংখ্যার মধ্যে অভ্যন্তরীণ ১০৫ এবং বহিরাগত ১৫ টি। বিজ্ঞপ্তিতে অভ্যন্তরীণ হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক/কর্মচারী/সহায়ক/সাধারণ কর্মচারী/নিয়মিত মাস্টাররোল কর্মচারী ও ডাইনিং কর্মচারীর সন্তানদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়। অন্যদিকে নিয়মিত শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী নয়, তাদেরকে প্রতিপাল্য বহিরাগত হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।

পোষ্য কোটার যৌক্তিকতা নেই জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারীজ বিভাগের অধ্যাপক দেলোয়ার হোসাইন বলেন, গত জুলাই-আগস্টে আমাদের হাজারো শহিদের রক্তের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে, এই শহিদদের একটাই দাবি ছিল কোটা প্রথা নিপাত যাক। আমি একজন বিবেকবান মানুষ হিসেবে এই কোটা আর দেখতে চাই না। সবাই ক্লাসে একই মেধাতে ক্লাস করবে। দুইটা ভিন্ন মেধার শিক্ষার্থী একই ক্লাস বুঝতে পারেন না। যে শিক্ষার্থী কোটায় ভর্তি হয়, তার সঙ্গে মেধায় ভর্তি শিক্ষার্থীর জ্ঞানের পার্থক্য থাকে। ওই প্রেক্ষাপট থেকে বর্তমানে কোটা রাখার কোনো যৌক্তিকতা থাকতে পারে না।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, আমি মনে করি অবশ্যই এটা বৈষম্য। ছাত্র জনতার জুলাই বিপ্লবের পরে সব জায়গায় মেধার ভিত্তিতে সুযোগ পাবে এটাই আমরা দেখতে চাই। একজন দিন মজুরের ছেলে যেভাবে মেধার ভিত্তিতে চান্স পায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীর সন্তানও যেন সেভাবেই সুযোগ-সুবিধাটা পায় এটাই আমাদের চাওয়া।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলের অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে এখানে শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীদের সন্তানদের পড়াশোনার জন্য। ১৯৬৬ সাল থেকে পোষ্য কোটার জন্য আলাদা আলাদা বরাদ্দ রাখার বিষয়ে নীতিমালা রয়েছে। সেই অনুযায়ী পোষ্য কোটা নিয়েই ভর্তি চলছে।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, এই স্কুলটি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল এখানকার যারা শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন, তাদের সন্তানরা পড়ালেখা করবে।


আরও খবর

চুয়েটের ১১ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪




চিন্ময়ের গ্রেফতারে দিল্লি থেকে সব জায়গায় কান্নার রোল পড়ে গেছে : রিজভী

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৮৮জন দেখেছেন

Image

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা রক্তপিপাসু নীতির ওপর ভিত্তি করে ক্ষমতা আঁকড়ে রেখেছিলেন। আর শেখ হাসিনাকে দিয়ে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করত ভারত। সেই স্বার্থের জন্যই তারা এখন শেখ হাসিনার জন্য কুমিরের কান্না কানছে।

আজ শনিবার বেলা ১২টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে আহতদের দেখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

উপস্থিত সাংবাদিকদের রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে গিয়ে কিভাবে নিজ দেশের ছাত্র, শ্রমিক, রিকশাচালক থেকে শুরু করে অসংখ্য মানুষের রক্ত পান করেছেন, তা এসব আহত রোগীদের দেখলে বোঝা যায়। এদের দেখলে হৃদয়টা কেঁদে ওঠে। শরীর শিউরে ওঠে।

‘সেই পলাতক প্রধানমন্ত্রীকে যারা আশ্রয় দিয়েছে, সেখান থেকে যারা বিভিন্ন অপপ্রচার করছে, তাদের উদ্দেশে বলতে চাই যে বাংলাদেশে এসে আন্দোলনে আহত এইসব ছাত্র-জনতাকে দেখুন। কী ধরনের ভয়াবহ নির্মম পাশবিকতা চালিয়েছে হাসিনা সরকার! কারো মুখ নষ্ট হয়ে গেছে। কারো দুই হাত উড়ে গেছে। কারো দুই পা কেটে ফেলা হয়েছে। কারো চোখের কর্নিয়া নষ্ট হয়ে গেছে। জীবন যেন তাদের কাছে এখন অভিশাপ।’

 

রিজভী বলেন, ‘বাংলাদেশে নাকি দিনরাত হিন্দুদের ঘরবাড়ি পোড়ানো হচ্ছে, মানুষদের পুড়িয়ে মারা হচ্ছে, এই ধরনের অপতথ্য ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু প্রযুক্তির এই যুগে তারা সফল হতে পারছে না। ভারতকে মনে করতাম সেখানে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা হতো, যেই ভারতকে জ্ঞানীগুণী দেশ বলে জানতাম, এখন মনে হচ্ছে সেই দেশে হিংস্র ঘাতক এবং রক্ত পিপাসু মানুষেরা বাস করে। তারা হাসিনাকে দিয়ে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতেন। সেই স্বার্থের জন্যই তারা এখন শেখ হাসিনার জন্য কুমিরের কান্না কানছে।’

 

তিনি বলেন, আগরতলায় বাংলাদেশের পতাকা ছিড়েছে। আমাদের দেশে লোকদের গায়ে হাত তুলেছে। ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী, এটি একটি ভয়ঙ্কর আন্তর্জাতিক গুরুতর অপরাধ। কিন্তু তারা একবারও চিন্তা করেনি শেখ হাসিনা নিজ দেশের মানুষের ওপর কী নিষ্ঠুরতা চালিয়েছে! কী হিংস্র আচরণ করেছে! আহত এইসব ছাত্র-জনতাকে দেখলে মনে হয়, কোনো হরর সিনেমার দৃশ্য! শেখ হাসিনা এইরকম কর্মকাণ্ড করে গেছে! আজ তার জন্য এত মায়াকান্না! তার জন্য আজ সীমান্তে সীমান্তে ভারতীয় লোকজন এসে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে বিক্ষোভ করবে বলে বলছে।

তিনি আরো বলেন, চিন্ময় তার অপকর্মের কারণে ইসকন থেকে বহিস্কৃত হয়েছেন। তার অপরাধের কারণে সরকার তাকে গ্রেফতার করেছে। তার জন্য মনে হচ্ছে, দিল্লি থেকে সব জায়গায় কান্নার রোল পড়ে গেছে। এভাবে চলতে পারে না। বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র। সর্বভৌম রাষ্ট্র। রক্তের দামে কেনা বাংলাদেশ। কেউ এই দেশকে ভয় দেখিয়ে মাথানত করাতে পারবে না। চোখ রাঙিয়ে নতজানু করতে পারবে না।

রিজভী বলেন, যারা আমার ভাইদের হত্যা করেছে, হাত কেটে দিয়েছে, মুখ উড়িয়ে দিয়েছে তাদের বিচার বাংলাদেশে হতেই হবে। যারা নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রত্যেকের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। যারা তাকে রক্ষার চেষ্টা করবে, তারা স্বাধীনতার বিরোধী। সার্বভৌমত্বের বিরোধী। জনগণের বিরোধী।


আরও খবর

শনিবার থেকে শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা

বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪




যাদের মৃত্যুর সময় কালেমা নসিব হয়

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৮৯জন দেখেছেন

Image

ধর্ম ডেস্ক : মৃত্যুর সময় ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ (আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের উপযুক্ত কেউ নেই এবং মুহাম্মদ সা. আল্লাহর রাসুল) এই সাক্ষ্য-বাক্য পাঠ করার বিশেষ গুরুত্ব আছে। পাপের মার্জনা ও ক্ষমা লাভে এর ভূমিকা অপরিসীম। কেননা মৃত্যুর সময় এই কালেমা তারই ভাগ্যে জোটে যে তাতে বিশ্বাস করে এবং তার মর্ম অনুধাবন করে।

প্রকৃতপক্ষে যে ব্যক্তি এই পবিত্র বাক্য পাঠ করে এবং তার মর্ম অনুধাবন করে তার প্রবৃত্তিগুলো মরে যায়, সংশয়পূর্ণ অন্তর নম্র হয়, অবাধ্যতার পর তা অনুগত হয়, প্রত্যাখ্যান করার পর স্বীকার করে, উদ্ধতার পর বিনয়ী হয়, দুনিয়া ও এর অনর্থক বিষয়ের মোহ অন্তর থেকে দূর হয়। কালেমায় বিশ্বাসীরা মহাবিশ্বের স্রষ্টা, মুনিব ও প্রতিপালকের সামনে সিজদাবনত হয়, তাকে সাক্ষী রেখে সত্যকে জীবনে ধারণ করে। বিনিময়ে তারা আল্লাহর দয়া, ক্ষমা ও অনুগ্রহ কামনা করে। সে শিরক ও বাতিলের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে। তার অন্তরে যে দ্বিধা, দ্বন্দ্ব ও সংশয়ের সঙ্গে প্রতিনিয়ত সংঘাত চলত তা দূর হয়ে যায়। সে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছার ব্যাপারে দৃঢ় প্রত্যয়ী হয়। এর মাধ্যমে বান্দা পুরোপুরি আল্লাহমুখী হয়। তার চিন্তা, অন্তর ও আত্মাও আল্লাহমুখী হয়ে যায়। ফলে তার ভেতর ও বাহির উভয়ই আল্লাহর আনুগত্য স্বীকার করে নেয়। তার ভেতর ও বাহিরের মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকে না। বান্দা যখন নিষ্ঠার সঙ্গে কালেমা পাঠ করে তখন অন্তরের নিষ্ঠার কারণে গাইরুল্লাহর (আল্লাহ ছাড়া বাকি সব) সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়। ফলে সে গাইরুল্লাহর প্রতি ভ্রুক্ষেপ করে না।

দুনিয়া তার অন্তর থেকে পুরোপুরি অন্তর থেকে বের হয়ে যায়, বরং বান্দার তার পার্থিব জীবনকে আল্লাহর পায়ে সমর্পণ করে। প্রবৃত্তিকে পুরোপুরি অবদমিত করে এবং অন্তর পূর্ণ করে পরকালের ভাবনায়। ফলে পরকালই হয় তার লক্ষ্য এবং দুনিয়াকে পেছনে ফেলে আখিরাত পানেই সে এগিয়ে যায়। তার পুরো জীবনের নির্যাস হয়ে কালেমা উচ্চারিত হয় তার মুখে। এই পবিত্র কালেমা তাকে পাপমুক্ত করে এবং তার প্রভুর সম্মুখে আনন্দময় অবস্থায় উপস্থিত করে। এটা সে লাভ করে, কেননা সে সত্য সাক্ষ্য নিয়ে আল্লাহর দরবারে উপস্থিত হয়েছে। তার ভেতরটা বাহিরের, প্রকাশ্যটা অপ্রকাশ্যের অনুকূল। যদি সুস্থতার দিনগুলোতে এমন নিষ্ঠাপূর্ণ সাক্ষ্য মানুষের জীবনে পাওয়া যায়, সে দুনিয়া ও ঘরসংসারের মোহ ত্যাগ করে, মানুষকে ছেড়ে আল্লাহর দিকে ধাবিত হয় এবং তাকেই সব কিছুই বিপরীতে ভালোবাসে, তবেই মৃত্যুর সময় ব্যক্তির কালেমা নসিব হয়। কিন্তু বহু মানুষ এই কালেমা কেবল মুখেই উচ্চারণ করে। অথচ তাদের অন্তর কুপ্রবৃত্তি, পৃথিবী ও তার উপকরণের ভালোবাসায় পূর্ণ; তার মন ভরপুর থাকে গাইরুল্লাহ ও তা অর্জনের আকাঙ্ক্ষা। তার দায়িত্ব হলো দুনিয়ার মোহ ত্যাগ করা যেভাবে মৃত্যুর সময় সে সব ছেড়ে যায়। তবেই সে পশুর জীবন থেকে মুক্তি পাবে। মুক্তির পথে চলতে পারবে।


আরও খবর

শীতকালীন ইবাদতের গুরুত্ব

বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪




বাজারে হঠাৎ কেন উধাও বোতলজাত সয়াবিন....

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭৬জন দেখেছেন

Image

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বাজার থেকে বোতলজাত সয়াবিন তেল রীতিমতো উধাও হয়ে গেছে। বিশেষ করে, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এক থেকে দুই লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল নেই বললেই চলে। বাজারের একাধিক দোকানে ঘুরেও মিলছে না তেল। আবার কোনো দোকানে দুই-একটি বোতলজাত সয়াবিন পেলেও দাম রাখা হচ্ছে বেশি। 

রাজধানীর কাওরান বাজার, মহাখালী, শান্তিনগর ও তুরাগ এলাকার নতুন বাজারে খোঁজ নিয়ে এ তথ্য জানা গেছে। বাজারের খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের দাবি, গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ভোজ্য তেল পরিশোধন কোম্পানিগুলো বোতলজাত সয়াবিন তেল সরবরাহ করছে না। যতোটুকু আসছে তা চাহিদার তুলনায় খুবই কম। রমজানকে সামনে রেখে কোম্পানিগুলো এখন থেকেই বাজারে সরবরাহ কমিয়ে বোতলজাত সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ানোর পায়তারা করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

দেশের বাজারে ভোজ্য তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে দুই দফায় আমদানি শুল্ক কর কমিয়েছে সরকার। এতে প্রতি কেজি অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেলে শুল্ককর কমেছে ১০ থেকে ১১ টাকা। কিন্তু বাজারে এর ইতিবাচক কোনো প্রভাব পড়েনি। শুল্ককর কমানোর ফলে ভোজ্য তেলের আমদানি বাড়ার কথা, উল্টো আমদানি আরো কমেছে।

আমদানিকারকদের দাবি, বর্তমানে বিশ্ববাজারে ভোজ্য তেলের দাম বাড়তি। এ অবস্থায় তারা ভোজ্য তেলের দর সমন্বয়ের দাবি জানিয়েছেন।

এ নিয়ে ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা ক্যাব এর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বর্তমানে বাজারে যে তেল বিক্রি হচ্ছে তাতো আগেই আমদানি করা। সেক্ষেত্রে ভোক্তাদের জিম্মি করে ভোজ্য তেলের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করা হচ্ছে বলে তারা অভিযোগ করেন।


আরও খবর

আপেলের আমদানি বাড়লেও কমেছে মাছ, আনার, কমলার

বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪