Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম

রাবিতে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ | ১৩১জন দেখেছেন

Image

নিজেস্ব প্রতিনিধি:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শনিবার রাত ৮টায় মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বর থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হলগুলো প্রদক্ষিণ করে পুনরায় একই স্থানে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

এদিকে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে শিক্ষার্থীরা আগামী সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে শিক্ষকদের উদ্দেশে ‘উন্মুক্ত বিতর্ক’ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের আহবান জানান।  বিতর্কে শিক্ষকরা যদি পোষ্য কোটা নিয়ে যৌক্তিকতা দেখাতে পারেন তাহলে এই কোটা বহাল থাকবে, অন্যথায় এই কোটা বাতিল করতে হবে।

এ সময় তারা- ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘জনে জনে খবর দে, পোষ্য কোটার কবর দে’, ‘পোষ্য কোটা নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘আপস না মৃত্যু, মৃত্যু মৃত্যু’, ‘মেধাবীদের কান্না আর না, আর না’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, পোষ্য কোটার কবর দে’, ‘আপস না বিপ্লব, বিপ্লব বিপ্লব’, ‘মেধাবীদের একশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ প্রভৃতি স্লোগান দেন। 

বিক্ষোভ সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাবির সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে দেশ স্বাধীন করার পরও আমাদের সঙ্গে বাবার কোটার ক্ষমতা দেখানো হচ্ছে। স্বাধীন বাংলাদেশে কোনো প্রকার বৈষম্যমূলক পোষ্য কোটা থাকবে না। হয় স্থিতিশীল বাংলাদেশ থাকবে নয়তো পোষ্য কোটা থাকবে। পোষ্য কোটা ও স্থিতিশীল বাংলাদেশ একসঙ্গে থাকতে পারে না। জুলাই বিপ্লবের মূল লক্ষ্য ছিল কোটার যৌক্তিক সংস্কার, আমরা শুধু মুক্তিযোদ্ধা কোটা নয়, সকল প্রকার কোটার অবসান চেয়েছি। তাই এখনো পোষ্য কোটা বহাল থাকায় জুলাই বিপ্লবের চূড়ান্ত লক্ষ্য এখনো অর্জিত হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, সকল কোটা হারাম পোষ্য কোটা আমার তা হবে না। অন্য কোটা অবসান চান কিন্তু নিজেদের বেলায় কেনো নয়। পোষ্য কোটার কবর রচনা রাজশাহী থেকেই হবে। আপনারা যদি পোষ্য কোটা বহাল রাখতেই চান তবে আগামী পরশু সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্ত মঞ্চে উন্মুক্ত বিতর্কের আহবান রইলো। সেখানে আপনারা পোষ্য কোটার যৌক্তিক কারণ দেখাবেন। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স বিভাগের শিক্ষার্থী এবং ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মেহেদি হাসান মারুফ বলেন, জুলাই বিপ্লবের লক্ষ্য ছিল কোনো প্রকার কোটা থাকবে না, কিন্তু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো পোষ্য কোটা বিদ্যমান আছে। যদি রক্ত দিতে হয় রক্ত দেব তাও পোষ্য কোটা মেনে নেব না। এই পোষ্য কোটার কবর রাজশাহীতেই রচিত হবে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আল শাহরিয়ার সুমন বলেন, ১৪ নভেম্বর আমরা অনশনে বসেছিলাম ভিসি স্যার আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন তবে এখন পর্যন্ত কোনো সমাধান পাইনি। কোটা বাতিলের জন্য আমাদের ভাই জীবন দিয়েছে। কোটা প্রথা সংস্কার না হলে আমরা প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেব।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাবির সমন্বয়ক মেহেদী হাসান মুন্না বলেন, পোষ্য কোটা এক প্রকার জুলুম। এ জুলুম নিরসনে আমরা বরাবরই সোচ্চার। জুলাই অভ্যুথানে রক্তের ওপর দিয়ে আপনারা চেয়ারে বসেছেন। এখন তারাই স্ববিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন। এটাকে আপনারা সুবিধা বলছেন। শিক্ষার্থীদের ম্যান্ডেটের বাইরে দিয়ে কেউ চেয়ারে থাকতে পারবে না। পোষ্য কোটা বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও রাবি শিক্ষার্থী গোলাম কিবরিয়া মোহাম্মদ মিশকাত চৌধুরী বলেন, কোটা ইস্যু বাংলাদেশে একটা মীমাংসিত ইস্যু। নতুন করে যারা কোটাকে পুনরায় প্রতিস্থাপন করতে চাচ্ছেন তাদের উৎখাত করা হবে। হাসিনা যে পথে পালিয়েছে তারাও সে পথে পালাতে বাধ্য হবে। যেখানে শিক্ষার্থীরা পর্যাপ্ত নাম্বার পেয়েও চান্স পায় না, পোষ্য কোটায় শিক্ষার্থীরা ফেইল করেও ভালো সাবজেক্টে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। পরে অমুক ভাইয়ের ছেলে তমুক ভাইয়ের মেয়ে নামে চাকরি পেয়ে যায়। এটা তেলে মাথায় তেল দেওয়ার মত একটা বিষয়। বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কারের যে কর্মসূচি আমরা হাতে নিয়েছি সেখানে কোনো প্রকার কোটা প্রথা থাকবে না। কোনো অমেধাবী অযোগ্যরা তাদের যোগ্যতা প্রমাণ না করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে পারবে না।  এসময় বিক্ষোভ  সমাবেশে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল।

 

আরও খবর



জেনে নেই আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ ডিসেম্বর 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ | ১২০জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য দিন দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। ব্যবসায়িক লেনদেন ঠিক রাখার জন্য তাই মুদ্রা বিনিময়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু তাই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসীরা নিয়মিত পাঠাচ্ছেন বৈদেশিক মুদ্রা।


লেনদেনের সুবিধার্থে একনজরে ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার সঙ্গে বাংলাদেশি টাকার বিনিময় হার দেখে নিন-


বৈদেশিক মুদ্রার নাম

বাংলাদেশি টাকা



ইউএস ডলার

১২৮ টাকা ৬১ পয়সা


ইউরোপীয় ইউরো

১৩৪ টাকা ১২ পয়সা


ব্রিটেনের পাউন্ড

১৫৯ টাকা ২৪ পয়সা


ভারতীয় রুপি

১ টাকা ৪১ পয়সা


মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত

২৭ টাকা ৮৯ পয়সা


সিঙ্গাপুরের ডলার

৯১ টাকা ৭০ পয়সা


সৌদি রিয়াল

৩১ টাকা ৮৫ পয়সা


কানাডিয়ান ডলার

৯০ টাকা ৫০ পয়সা


অস্ট্রেলিয়ান ডলার

৮০ টাকা ২৫ পয়সা


কুয়েতি দিনার

৪১২ টাকা ৭০ পয়সা



আরও খবর



অ্যাথলেটিকো ম্যাচের আগে বার্সা শিবিরে বড় দুঃসংবাদ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ | ১১৫জন দেখেছেন

Image

খেলা ডেস্ক: সময়টা ভালো যাচ্ছে না স্প্যানিশ লা লিগার শীর্ষ দল বার্সেলোনার। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) পুঁচকে লেগানেসের বিপক্ষে হারের পর আরও বড় দুঃসংবাদ পেয়েছে কাতালান জায়ান্টরা। দলের তরুণ প্রতিভা লামিন ইয়ামাল ইনজুরিতে পড়েছেন। যার ফলে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ম্যাচে খেলতে পারবেন না তিনি যার মধ্যে রয়েছে শীর্ষস্থানীয় লা লিগা প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ম্যাচ।

 

লেগানেসের বিপক্ষে হারের সময় গোড়ালির লিগামেন্ট ইনজুরিতে আক্রান্ত হওয়ায় ১৭ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড চার সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে থাকতে পারেন। ফলে স্প্যানিশ সুপারকোপায় রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে সম্ভাব্য এল ক্লাসিকোতেও তাকে পাওয়া যাবে না।

 

লেগানেসের বিপক্ষে প্রথমার্ধে চোট পেলেও ইয়ামাল ৭৫ মিনিট পর্যন্ত খেলেছিলেন এবং পরে গাভির পরিবর্তে মাঠ ছেড়েছিলেন। এটি একই গোড়ালি যেখানে নভেম্বর মাসে রেড স্টার বেলগ্রেডের বিপক্ষে ম্যাচের পর চোট পেয়েছিলেন তিনি। সেই সময় ক্লাব এবং আন্তর্জাতিক ফুটবলে পাঁচটি ম্যাচ মিস করার পর ৩০ নভেম্বর লাস পালমাসের বিপক্ষে ফেরেন তিনি।

 

সোমবার বার্সেলোনা জানিয়েছে, ‘পরীক্ষায় দেখা গেছে, ইয়ামালের গোড়ালির লিগামেন্টে চোট রয়েছে। তার সুস্থ হতে তিন থেকে চার সপ্তাহ সময় লাগবে।’

 

ফলে, অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে শনিবারের ম্যাচে বার্সেলোনা তাকে পাচ্ছে না। লা লিগায় দুই দল সমান পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে, যদিও অ্যাথলেটিকোর একটি ম্যাচ কম খেলা রয়েছে।

 

লা লিগার শীতকালীন বিরতির পর বার্সেলোনা আগামী ৪ জানুয়ারি কোপা দেল রে-তে চতুর্থ বিভাগের দল বারবাস্ত্রোর মুখোমুখি হবে। এরপর ৮ জানুয়ারি স্প্যানিশ সুপারকোপার সেমিফাইনালে অ্যাথলেটিক ক্লাবের বিপক্ষে মাঠে নামবে বার্সা। ইনজুরির কারণে ইয়ামালের সুপারকোপায় অংশ নেওয়া অনিশ্চিত।

বার্সেলোনার পরবর্তী লা লিগা ম্যাচ ১৮ জানুয়ারির সপ্তাহে গেটাফের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত হবে, তবে এখনো তারিখ নিশ্চিত হয়নি।

হানসি ফ্লিকের অধীনে এই মৌসুমে ইয়ামাল বার্সেলোনার অন্যতম উজ্জ্বল খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২১ ম্যাচে তিনি ৬টি গোল করেছেন এবং ১১টি গোল করিয়েছেন। 

রাফিনিয়া ও রবার্ট লেভানডভস্কির সঙ্গে তার আক্রমণাত্মক জুটি বার্সেলোনার আক্রমণভাগকে শক্তিশালী করেছে।

লা লিগায় রিয়াল মাদ্রিদ ও অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের সঙ্গে তিন দিকের শিরোপা দৌড়ে টিকে থাকতে বার্সেলোনা ইয়ামালের দ্রুত

 সেরে ওঠার আশায় রয়েছে


আরও খবর



শিক্ষার্থীকে হত্যার হুমকি, প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রকাশিত:বুধবার ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ৮৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি: নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ করায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী কাজী আশফিক রাসেলকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সিন্ডিকেট সদস্য ফারুক আহমেদ তালুকদারের বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে অভিযুক্ত ব্যক্তির দুর্নীতির সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত বিচারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।


মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালিত হয়।



ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী কাজী আশফিক রাসেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং মানবাধিকারকর্মী। তার বাড়ি নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার খালিশাপাড়া গ্রামে। আর অভিযুক্ত সিন্ডিকেট সদস্য ফারুক আহমেদ তালুকদার নেত্রকোনার দুর্গাপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা। তিনি উপজেলার কাকৈরগড়া গ্রামের বাসিন্দা।


মানববন্ধন কর্মসূচিতে স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সমন্বয়ক মেহেদী সজীব বলেন, রাসেল ভাই একজন কলামিস্ট ও মানবাধিকারকর্মী। তিনি সবসময় দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে গেছেন। আওয়ামী লীগের আমলে দীর্ঘ ১৫ বছর আমরা কথা বলতে পারিনি। নতুন বাংলাদেশে কিছু সিন্ডিকেটের কারণে এখনো সেটি সম্ভব হচ্ছে না। এ ছাড়া আমরা দেখেছি কিছুদিন ধরে আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ওপর চোরাগোপ্তা হামলা চালানো হচ্ছে। পতিত ফ্যাসিস্ট আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চাচ্ছে। রাসেল ভাইয়ের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনা সারা দেশের একটি খণ্ডচিত্র। দায়িত্বরত প্রশাসনকে বলব, আপনারা এসব ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় আমাদের জীবনও হুমকির মধ্যে পড়বে।



সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও সমন্বয়ক এএফএম ফাহিম রেজা বলেন, এটি কোনো একক ঘটনা নয়। সারা দেশেরই চিত্র। সারা দেশে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের যে পুনর্বাসন হচ্ছে, তারই একটি অংশ এ ঘটনা। আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠার মতো আবারও একটি চিত্র আমরা দেখতে পাচ্ছি। ছায়া ফ্যাসিস্টরা আবার সে রকম চিত্র ফুটিয়ে তুলছে। এদের বিচার হচ্ছে না। প্রশাসন ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দিন কাটাচ্ছে। রাষ্ট্রের বিভিন্ন স্তরে যারা স্বৈরাচারকে পুনর্বাসনের দায়িত্ব নিয়েছে, তাদের সাবধান করছি। বিচারহীনতাই মব জাস্টিসকে উসকে দেয়। মব ঠেকাতে জাস্টিস প্রয়োগ করুন। এ সময় দ্রুত রাসেলকে হত্যার হুমকিদাতার বিচার দাবি করেন তিনি।


মানববন্ধন কর্মসূচিতে সঞ্চালনা করেন স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ও সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুর রহিম। এ সময় বিভিন্ন বিভাগের অর্ধশত শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।


সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ফারুক আহমেদ ২০০৩ সাল থেকে সুসং দুর্গাপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজে সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রশিক্ষণ ছাড়াই কম্পিউটার শাখার প্রভাষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৭ সালে মহিলা কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পান। নিয়োগের সময় থেকেই তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে।


গত ১০ নভেম্বর ভুক্তভোগী রাসেল সুসং দুর্গাপুর দুর্নীতি ও নিপীড়নবিরোধী ভার্সিটিয়ান মঞ্চের আহ্বায়ক হিসেবে অভিযুক্ত ফারুক আহমেদ ও তার স্ত্রী আলহাজ মফিজ উদ্দিন তালুকদার কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন্নাহারসহ সিন্ডিকেটের দুর্নীতি, অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দেন দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর। এর পরিপ্রেক্ষিতে অধ্যক্ষ ফারুক ও তার সহযোগীরা কাজী আশফিক রাসেলকে বিভিন্নভাবে প্রাণনাশের হুমকি দিতে থাকেন।



আরও খবর



ভূমিকম্প নিয়ে কোরআন-হাদিসে কী বলা হয়েছে?

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ১৮জন দেখেছেন

Image

ধর্ম ডেস্ক: পৃথিবীতে প্রাকৃতিক যত দুর্যোগ রয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর হচ্ছে ভূমিকম্প। কারণ অন্যান্য প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পূর্বাভাস পাওয়া গেলেও ভূমিক্ম্প এর ব্যতিক্রম। ভূমিকম্পের আগে কোনো পূর্বাভাস পাওয়া যায় না। ফলে এতে ব্যাপক জান-মালের ক্ষয়ক্ষতি হয়। ইসলামিক দৃষ্টিতে ভূমিকম্প মানুষের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এক ধরনের সতর্কবার্তা। এমন দুর্ঘটনার সময় মানুষের উচিত মহান আল্লাহর কাছে অতি দ্রুত তাওবা করা। তার কাছে নিরাপত্তার জন্য দোয়া করা। মহান আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করা ও তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা।


মানুষকে সতর্ক করে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘জনপদের অধিবাসীরা কি এতই নির্ভয় হয়ে গেছে যে, আমার আজাব (নিঝুম) রাত তাদের কাছে আসবে না, তারা (গভীর) ঘুমে (বিভোর হয়ে) থাকবে!’ (সুরা আরাফ: ৯৭)



বান্দার অপরাধ ক্ষমা প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘যে বিপদ-আপদই তোমাদের ওপর আসুক না কেন, তা হচ্ছে তোমাদের নিজেদের হাতের কামাই। আর আল্লাহ তোমাদের অনেক অপরাধ ক্ষমা করে দেন।’ (সুরা শুরা: ৩০)


পবিত্র কোরআনে ভূমিকম্প বিষয়ে ‘যিলযাল’ এবং ‘দাক্কা’ শব্দ দুটি ব্যবহার করা হয়েছে। ‘যিলযাল’ অর্থ হচ্ছে একটি বস্তুর নড়াচড়ায় আরেকটি বস্তু নড়ে ওঠা। ‘দাক্কা’ অর্থ হচ্ছে প্রচণ্ড কোনো শব্দ বা আওয়াজের কারণে কোনো কিছু নড়ে ওঠা বা ঝাঁকুনি খাওয়া।



ভূমিকম্প সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘এ উম্মত ভূমিকম্প, বিকৃতি এবং পাথর বর্ষণের মুখোমুখি হবে। একজন সাহাবি জিজ্ঞাসা করলেন, কখন সেটা হবে হে আল্লাহর রাসুল? তিনি বলেন, যখন গায়িকা এবং বাদ্যযন্ত্রের প্রকাশ ঘটবে এবং মদপানের সয়লাব হবে।’ (তিরমিজি: ২২১২)


অন্যত্র বলা হয়েছে, ভূমিকম্প হচ্ছে কিয়ামতের একটি অন্যতম আলামত। কিয়ামত যতই নিকটবর্তী হবে, ভূমিকম্পের পরিমাণ ততই বাড়তে থাকবে।


ভূমিকম্পের বিভীষিকা সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘হে মানব জাতি, তোমরা ভয় করো তোমাদের রবকে। নিশ্চয়ই কেয়ামত দিবসের ভূকম্পন হবে মারাত্মক ব্যাপার। যেদিন তোমরা তা প্রত্যক্ষ করবে, স্তন্যপায়ী মা তার দুগ্ধপোষ্য সন্তানের কথা ভুলে যাবে আর সব গর্ভবতীর গর্ভপাত হয়ে যাবে। মানুষকে মাতালের মতো দেখাবে, আসলে তারা নেশাগ্রস্ত নয়। বস্তুত আল্লাহর শাস্তি হবে অত্যন্ত ভয়াবহ।’ (সুরা হজ: ১-২)


ভূমিকম্পের বেশকিছু কারণ সম্পর্কে জানা যায় হাদিসের মাধ্যমে। প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, ‘যখন অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জিত হবে। কাউকে বিশ্বাস করে সম্পদ গচ্ছিত রাখলে তা আত্মসাৎ করা হবে। জাকাতকে মনে করা হবে জরিমানা হিসেবে। ধর্মীয় শিক্ষা ছাড়া বিদ্যা অর্জন করা হবে। পুরুষ তার স্ত্রীর বাধ্যগত হয়ে মায়ের সঙ্গে বিরূপ আচরণ করবে। বন্ধুকে কাছে টেনে নিয়ে বাবাকে দূরে সরিয়ে দেবে। মসজিদে শোরগোল (কথাবার্তা) হবে। সবচেয়ে দুর্বল ব্যক্তি সমাজের শাসক হবে। সে সময় তোমরা অপেক্ষা করো—রক্তিম বর্ণের ঝড়ের, ভূকম্পনের, ভূমিধসের, লিঙ্গ পরিবর্তন, পাথর বৃষ্টির এবং সুতো ছেঁড়া (তাসবিহ) দানার ন্যায় একটির পর একটি নিদর্শনগুলোর জন্য।’ (তিরমিজি: ১৪৪৭)


তাই বলা যায়, বর্তমানে যেসব ভূমিকম্প হচ্ছে, তা মহান আল্লাহর পাঠানো সতর্কবার্তার নিদর্শনগুলোর একটি। এগুলো দিয়ে তিনি বান্দাদের সাবধান করেন। মূলত এগুলো মানুষের পাপ ও অপরাধের ফল। কেননা আল্লাহ অধিকাংশ জাতিকে ভূমিকম্পের গজব দিয়ে ধ্বংস করেছেন।


আরও খবর

ডালিমসহ জান্নাতে পাওয়া যাবে যেসব ফল

শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫

বিয়ে করতে চাইলে কি রিজিক বাড়ে

বুধবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৫




সংস্কারকৃত রাস্তা কেটে কালভার্ট নির্মাণ করায় ভোগান্তিতে যাত্রীরা

প্রকাশিত:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | জন দেখেছেন

Image

জেলা প্রতিনিধি,নরসিংদীঃ নরসিংদীর মনোহরদীতে সংস্কারকৃত রাস্তা কেটে কালভার্ট নির্মাণ করায় ভোগান্তিতে পরেছেন যাত্রীরা।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,উপজেলার চালাকচর বাজার থেকে মাষ্টার বাড়ী বাজার হয়ে চরমান্দালীয়া খেয়াঘাট পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারের কাজ সবে মাত্র শেষ হয়েছে। এরই মাঝে আবার সংস্কারকৃত রাস্তাটি কেটে কয়েকটি স্থানে কালভার্ট নির্মাণ কার্যক্রম শুরু করা হয়।এতে করে ঘটতে পারে যে কোন ধরণের দুর্ঘটনা এবং বিপন্ন হতে পারে যাত্রীদের জীবন। যে কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষ ও যাত্রীরা।


এলাকাবাসী ও যাত্রীরা গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, এ ধরনের কাজ ঠিকাদারের খামখেয়ালি ছাড়া কছুই না।তাছাড়া একই কাজে দ্বিতীয়বার টেন্ডার করে নতুন কোন কাজ সংযোজন করা অর্থনৈতিক ভাবেও রাষ্ট্রের ক্ষতি হয়। ইতিপূর্বে এমন ধরণের কাজ আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়নি।


এমতাবস্থায় ভুক্তভোগী এলাকাবাসী ও যাত্রীরা দুর্ঘটনার কবল থেকে বাঁচতে এবং দুর্ভোগ লাঘবে মনোহরদী উপজেলা প্রেসক্লাবের মাধ্যমে নরসিংদী জেলা প্রশাসন,নরসিংদী স্থানীয় সরকার অধিদপ্তর,মনোহরদী উপজেলা প্রশাসন এবং মনোহরদী উপজেলা স্থানীয় সরকার অধিদপ্তর কর্মকর্তার দৃষ্টিপাত কামনা করেন।



আরও খবর