Logo
আজঃ শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3
শিরোনাম

রাজনৈতিক সহিংস কর্মকাণ্ডে দেশের অর্থনীতি ঝুঁকিতে পড়ছে

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৩৮জন দেখেছেন

Image

বিরাজমান বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, অর্থনীতিবিদ এবং এফবিসিসিআইয়ের সাবেক নেতৃবৃন্দকে নিয়ে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন এফবিসিসিআই। গতকাল মঙ্গলবার এফবিসিসিআইয়ের গুলশান কার্যালয়ে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় চলমান রাজনৈতিক সহিংসতা, ডলার-সংকট, মূল্যস্ফীতি, বিলাসী পণ্যের আমদানি নিয়ন্ত্রণ, ব্যাংক ঋণ, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতকরণ, এলসিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, বিগত কয়েক বছর যাবত্ দেশে অত্যন্ত স্থিতিশীল রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিবেশ বিরাজ করছে যা ব্যবসা, বাণিজ্য ও অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু সম্প্রতি রাজনৈতিক দলগুলোর সহিংস কর্মকাণ্ডের ফলে দেশের ব্যবসা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ঝুঁকিতে পড়ছে। একই সঙ্গে, তৈরি পোশাক খাতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে।

দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা জাতীয় অর্থনীতিকে শঙ্কার দিকে ঠেলে দিচ্ছে উল্লেখ করে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বিদ্যমান পরিস্থিতি দেশের সাপ্লাই চেইনকে ভীষণভাবে বিঘ্নিত করছে—যার প্রভাব পণ্যের উত্পাদন, বাজার মূল্য এবং রপ্তানি ও সেবা খাতের ওপরও পড়ছে। এ সময় রাজনৈতিক দলগুলোকে জাতীয় অর্থনীতির স্বার্থে সব ধরনের সহিংস কর্মকাণ্ড পরিহারের আমন্ত্রণ জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।

তৈরি পোশাক খাতে শ্রমিক ও কর্মচারীদের চাহিদা অনুযায়ী মজুরি কমিশন গঠন এবং শ্রমিক-মালিক উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে মজুরি পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে—যা ইতিবাচক পদক্ষেপ। তা সত্ত্বেও তৈরি পোশাক খাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। প্রকৃত শ্রমিকরা কোনোভাবেই ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত হতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ডলার-সংকট সমাধান এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংককে আরো কার্যকরী ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি। পাশাপাশি শিল্পকারখানায় উত্পাদন ব্যবস্থা অব্যাহত রাখতে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতিও আহ্বান জানান তিনি।

এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ বর্তমান সহিংস রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সারা দেশের সব চেম্বার, অ্যাসোসিয়েশনকে সঙ্গে নিয়ে ব্যবসায়ী সংহতি সমাবেশ আয়োজনের জন্য এফবিসিসিআইকে পরামর্শ দেন। এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম অর্থনীতির এই সংকটের মুহূর্তে রাজনৈতিক সহিংস কর্মসূচি থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। পাশাপাশি সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তাব্যক্তিদের বিতর্কিত মন্তব্য থেকে বিরত থাকার আহ্বানও জানান তিনি। অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্যাংক, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, এনবিআর, কৃষি মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের মধ্যে সমন্বয় আরো জোরদার করতে এফবিসিসিআইকে কমিটি গঠনের পরামর্শ দেন তিনি। এছাড়াও বিদ্যমান সহিংস কর্মসূচির বিরুদ্ধে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য এফবিসিসিআইকে আহ্বান জানান তিনি।

সভায় এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ডলারের ওপর চাপ কমাতে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের আরো সচেতন ভূমিকা পালন করতে হবে। প্রয়োজনে আগামী ছয় মাস থেকে এক বছর সময়ে অপ্রয়োজনীয় ও বিলাসী পণ্য আমদানির হার আরো কমিয়ে আনতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। অর্থনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে কাটছাঁটের কোনো বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সম্প্রতি তৈরি পোশাক খাতে সৃষ্ট সহিংস ঘটনায় বহিরাগতরা জড়িত উল্লেখ করে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, প্রকৃত শ্রমিকরা কখনো নিজ কারখানায় আগুন দিতে পারে না। উদ্দেশ্যমূলকভাবে তৈরি পোশাক খাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।


আরও খবর

আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম

শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩




সিলেট টেস্টে ১৫০ রানে জিতল বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক : সিলেট টেস্টে নিউজিল্যান্ডকে ১৫০ রানে হারাল বাংলাদেশ। শেষ দিনে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৩ উইকেট। প্রথম সেশনেই নাঈম আর তাইজুল এই তিনটি উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করে। ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরষ্কার হাতে উঠে তাইজুলের হাতে। 

গতকাল বাংলাদেশের দেওয়া ৩৩২ রানের টার্গেটে সেই লক্ষ্য ব্যাট করতে নেমে শুরতেই চাপে পড়ে কিউইরা। তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণিতে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে চাপ সামাল দিতে ব্যর্থ হয় নিউজিল্যান্ড। ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান সংগ্রহ করে চতুর্থ দিন শেষ করেছিল সফরকারীরা।

নিউজিল্যান্ডের লড়াইয়ের শেষ আশা হয়ে ছিল ৪৪ রানে অপরাজিত ড্যারিল মিচেল। সকালে মিচেল তার টেস্ট ক্যারিয়ারের ৯ম ফিফটি তুলে নেয়। ১২০ বলে ৫৮ রান করে নাঈম হাসানের বলে সুইপ করতে গিয়ে তাইজুলের হাতে ধরা পরেন এই ব্যাটার। এরপর মাঠে এসে পাল্টা আক্রমন করে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক টিম সাউদি। তাইজুলের বলে আউট হওয়ার আগে আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ে ২ ছক্বা ও ১ চারে ২৪ বলে ৩৪ রান করেন সাউদি। 

শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হন অনেকক্ষণ ধরে প্রতিরোধ গড়ে রাখা ইশ সোধি। তিনি ৯১ বলে ২২ রান করে তাইজুলের শিকার হন। ১৮১ রানে শেষ হয়  নিউজিল্যান্ড এর দ্বিতীয় ইনিংস।

ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এ নিয়ে ৭ম টেস্ট খেলল বাংলাদেশ। ৩ হার ও ৩ ড্রয়ের পর ঘরের মাঠে কিউইদের বিপক্ষে এই প্রথম টেস্ট জিতল বাংলাদেশ। আর তাতে দারুণ অবদান বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের। নিউজিল্যান্ডের দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট ১০ উইকেট নিলেন তিনি। সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজের পর বাংলাদেশের তৃতীয় বোলার হিসেবে টেস্টে দ্বিতীয় বারের মতো এক ম্যাচে ১০ উইকেট নিলেন তাইজুল। ২০১৮ সালে টেস্টে প্রথম বারের মতো তাইজুল ১০ উইকেট নিয়েছিলেন এই সিলেটেই! নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ১০৯ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন তাইজুল। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৫ রানে নিলেন ৬ উইকেট।

সিলেট টেস্ট জয়ে ব্যাটসম্যানদের কথাও বলতে হবে। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে ৮৬ রানের গুরুত্বপূর্ণ এক ইনিংস খেলেন ওপেনার মাহমুদুল হাসান। দ্বিতীয় ইনিংসে হাল ধরেছিলেন তিন ব্যাটসম্যান—অধিনায়ক নাজমুল হোসেন (১০৫), মুশফিকুর রহিম (৬৭) ও মেহেদী হাসান মিরাজ (৫০)।


আরও খবর

৩১৭ রানে অলআউট নিউজিল্যান্ড

বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩




শামিকে বিয়ের জন্য প্রস্তুত অভিনেত্রী পায়েল ঘোষ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | ৩৮জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক : বিশ্বকাপে উড়ছে ভারত। সেইসঙ্গে বল হাতে দারুণ ছন্দে আছেন পেসার মোহাম্মদ শামি। বিশেষ করে শেষ চারটি ম্যাচে এই পেসারের আগুনেই পুড়েছে বিপক্ষ দলগুলো। যেখানে শামি তুলে নিয়েছেন ১৬টি উইকেট। 

ভারতীয় ক্রিকেটারের এই দারুণ পারফরম্যান্সের সুবাদে বলিউড থেকে বিয়ের প্রস্তাব পাঠালেন এক অভিনেত্রী। যার নাম পায়েল ঘোষ। নিছক মজা করে হলেও, অভিনেত্রী জানিয়েছেন- শামিকে বিয়ে করতে প্রস্তুত তিনি।

মজা করেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের মনের কথা প্রকাশ করে পায়েল লিখেছেন, ‘শামি তুমি তোমার ইংরেজিটা শুধরে নাও। আমি তোমায় বিয়ে করার জন্য প্রস্তুত।’ 

স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর বর্তমানে সিঙ্গেল জীবনই পার করছেন শামি। নায়িকার এমন প্রস্তাবের জবাবেও কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি তিনি। তবে পুরো বিষয়টি ভক্তরা বেশ উপভোগ করেছেন। দু’জনকে জড়িয়ে বিভিন্ন মন্তব্যও মেতেছেন। 

প্রসঙ্গত, কলকাতার মেয়ে পায়েল ইতোমধ্যেই বলিউডে পা রেখেছেন। কাজ করেছেন একাধিক ছবিতেও। এর মধ্যে ‘মিস্টার রাস্কেল’, ‘প্যাটেল কি পঞ্জাবি শাদি’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।


আরও খবর



নির্ধারিত সময়ে রিটার্ন না দিলেই ভোগান্তি ও জরিমানা

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | ৫২জন দেখেছেন

Image

২০২২-২০২৩ অর্থবছর থেকে ই-টিআইএন’র স্থলে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার রশিদ (প্রাপ্তি স্বীকার বা জমা স্লিপ) বা ট্যাক্স সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক করা হয়। অন্তত ৪০ ধরনের সেবায় আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করায় করদাতাকে নির্ধারিত ৩০ নভেম্বরের মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিলের পরামর্শ দিচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

কারণ এরপরই রিটার্ন দাখিল করলেই জরিমানাসহ ৬ ধরনের সেবা থেকে বঞ্চিত হবেন করদাতারা। একই সঙ্গে নতুন আয়কর আইন-২০২৩ অনুসারে এ বিষয়ে জরুরি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

এনবিআরের কর্মকর্তারা বলছে, কোম্পানি ব্যতীত সব করদাতার জন্য ৩০শে নভেম্বর ‘কর দিবস’ যা রিটার্ন দাখিলের শেষ দিন এবং বিদ্যমান আইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় বৃদ্ধি করার কোনো সুযোগ নেই।

এ বিষয়ে একজন আয়কর আইনজীবী জানান, প্রতিবছর আমাদের অনেক করদাতা ৩০ নভেম্বরের পরে রিটার্ন দাখিল করার জন্য আসে। তাদের ধারণা ছিল সময় বৃদ্ধির আবেদন করে রিটার্ন দাখিল করলেই সমাধান। কিন্তু নতুন আইনে অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের পরে সময় বৃদ্ধির আবেদনের সুযোগ রাখা হয়নি। তাকে রিটার্ন দাখিল করতে হলে জরিমানা ও কর অব্যাহতির সুবিধা বাদ দিয়ে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে।


আরও খবর

আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম

শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩




অবরোধের নামে বিএনপির উদ্দেশ্য গাড়ি পোড়ানো : তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৫১জন দেখেছেন

Image

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ২৮ তারিখে সমাবেশের নামে বিএনপি পুলিশ হত্যা করেছে, ৩২ জন সাংবাদিককে আহত করেছে। যারা এগুলোর মূলহোতা, তাদের কাউকেই রেহাই দেওয়া হবে না। আমরা জানি তাদের কীভাবে মোকাবিলা করতে হবে। এখন তারা কর্মসূচি ঘোষণা করছে অনলাইনের মাধ্যমে এবং সেই কর্মসূচির মূল হচ্ছে অবরোধের নামে গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানো, মানুষের ওপর আক্রমণ করা। এরা দেশ জাতি সমাজের শত্রু। এজন্যই তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। শেষ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত এই গ্রেপ্তার অব্যাহত থাকবে।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে ‘ব্রিগেড ৭১’ আয়োজিত ‘ধর্মান্ধ ও স্বাধীনতাবিরোধী দলগুলোর রাজনৈতিক এবং আমাদের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আন্দোলনের নামে বিএনপির নেতাকর্মীরা গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করছে। এটা কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি হতে পারে না, তারা সন্ত্রাসী হয়ে গেছে। এটা রাষ্ট্রের ওপর আঘাত, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। এদের প্রতিহত করতে হবে। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাসীদের নির্মূলে আমরা বদ্ধপরিকর।

বিএনপির রাজনীতিকে অপরাধনীতি মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন বিএনপি সারা দেশে সন্ত্রাসের তাণ্ডব শুরু করেছে। ইসরায়েল বাহিনী যে কায়দায় গাজায় হাসপাতালে আক্রমণ চালিয়েছে একই কায়দায় পুলিশ হাসপাতালে আক্রমণ চালানো হয়েছে। রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সে হামলা চালিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরা কী মানুষ? এরা কী রাজনৈতিক কর্মী? এদের নেতারা কী রাজনৈতিক দলের নেতা? তারা (বিএনপি) হিংস্র হায়নার চেয়েও খারাপ। তাদের বিরুদ্ধে জনগণকে লড়তে হবে। ১৯৭১ সালে যেভাবে পাড়ায় পাড়ায় প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়েছে তেমনিভাবে এখন তাদেরও প্রতিরোধ করতে হবে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, অভ্যুদয়ের পর থেকেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। বিদেশি শক্তির সঙ্গে মিলে এরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। দেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরিয়ে নিতে তাদের অপচেষ্টা কিছুটা সফল হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধারণ করে আওয়ামী লীগ ২১ বছর এদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে। ১৯৯৬ সালে নির্বাচিত হয়ে আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ফিরিয়ে আনার কাজে অনেকেটাই অগ্রসর হয়েছিলাম। ২০০১ সালে আবারও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি আন্তর্জাতিক শক্তির সঙ্গে আঁতাত করে ক্ষমতায় আসে। দেশ আবার পিছিয়ে পড়ে।

তিনি বলেন, ২০০৮ সালে জনগণের ভোটে ভূমিধস বিজয়ের মধ্যে দিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। সেই থেকে দেশ আজ পর্যন্ত দেশ উন্নয়নের ধারার এগিয়ে চলছে। আন্তর্জাতিক সম্মেলনগুলোতে বিশ্বনেতারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করেছে। আজ মানব উন্নয়ন, অর্থনীতি এবং স্বাস্থ্য সূচকে আমরা পাকিস্তানকে অতিক্রম করেছি। ২০২১ সালে জিডিপি পার ক্যাপিটা ইনকামে ভারতকেও পেছনে ফেলেছি। পাকিস্তানের শাসকরা এখন বাংলাদেশে উন্নয়ন দেখে দীর্ঘ শ্বাস ফেলে।

ব্রিগেড ৭১-এর সদস্য সচিব ব্যারিস্টার সৌমিত্র সরদারের সঞ্চালনায় সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি (অব.) শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক (বীর মুক্তিযোদ্ধা), লে. কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির (বীর প্রতীক), সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকোট আব্দুন নূর দুলাল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, ব্রিগেড ৭১-এর যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মহিউদ্দিন প্রমুখ।


আরও খবর

হঠাৎ ডিবি কার্যালয়ে শামীম ওসমান

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




নারীদের যেসব গুণে আকৃষ্ট হয় পুরুষেরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৬৭জন দেখেছেন

Image

সত্যিকার প্রেমিকরা কিন্তু সঙ্গীর সৌন্দর্য নয় বরং গুণ দেখে সম্পর্কে জড়ান। প্রায় প্রতিটি পুরুষই তার জীবনসঙ্গীর মধ্যে কয়েকটি গুণ খোঁজেন। এসব গুণ দেখেই পুরুষেরা আকৃষ্ট হন। জেনে নিন পুরুষেরা আকৃষ্ট হয় নারীর কোন কোন গুণে।

শুধু রূপে নয় গুণের কদর রয়েছে নারীর। পুরুষরা সাধারণত কম বুদ্ধির নারীকে কম পছন্দ করেন। কোনো পুরুষ যদি কোনো নারীর সঙ্গে বাকি জীবন কাটানোর পরিকল্পনা করেন। তবে তিনি অবশ্যই এই ব্যাপারটি লক্ষ্য করবেন। তাই বুদ্ধিমত্তা শুধু যে গুণ, তা কিন্তু নয়। পুরুষকে আকর্ষিত করার অস্ত্রও বটে। জীবনসঙ্গীকে সব পুরুষরাই বুদ্ধিমতী হিসেবে দেখতে চান। বাকি জীবন যার সঙ্গে কাটানোর পরিকল্পনা করছেন, তিনি যদি বুদ্ধিমতী হন তাহলে জীবনের যেকোনো পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।

একজন নারীর প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার আরো একটি বড় কারণ তার উচ্চ আত্মমর্যাদা। এ ধরনের নারীর প্রতি ছেলেরা বেশি আকৃষ্ট হয়। একজন আত্মবিশ্বাসী মেয়ে স্বাধীনতা বজায় রাখে এবং জীবনের যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারেন। এমনকি সঙ্গী তার ওপর দীর্ঘ সময়ের জন্য নির্ভর করতে পারেন এবং সুরক্ষিত বোধ করেন। উচ্চ আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন নারীর প্রতি পুরুষরা আকর্ষণ বোধ করেন। একজন আত্মবিশ্বাসী নারী স্বাধীন ও জীবনের যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারেন। সবসময় যে পুরুষ সঙ্গীর ওপরই নারী নির্ভর করবেন তা কিন্তু নয়, পুরুষরাও চান সঙ্গীর ওপর নির্ভরশীল হতে এবং নিরাপদ বোধ করতে।

একসঙ্গে থাকতে হলে দুজন মানুষকেই হতে হবে ফ্যাশন সচেতন। তবে আপনার এই দিকটি পুরুষকে আকৃষ্ট করবে বেশি। অবশ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে দুইজনেরই ফ্যাশনের বিষয়ে সচেতন থাকা গুরুত্বপূর্ণ। তবে এই বিষয়টি পুরুষদের চেয়ে নারীদের ক্ষেত্রে বেশি প্রযোজ্য। এতে করে একজন ফ্যাশন সচেতন নারী আরো বেশি আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। যদিও ফ্যাশন কোনো সম্পর্কে বাধ্যতামূলক বিষয় নয়। তবে নারীর স্টাইলবোধ দেখেও অনেক পুরুষরা তার প্রতি টান অনুভব করেন।

হাস্যরস বোধহীন ব্যক্তি বিরক্তিকর, পুরুষ হোক বা নারী। অনেক পুরুষেরা রসবোধ ভালো এমন নারীর প্রতি আকর্ষণবোধ করেন। বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে কৌতুক করতে পারেন। তারা তাদের রসিকতা দিয়ে একটি জমায়েতকে জীবন্ত করে তুলতে পারেন। হাসিখুশি নারীর প্রতি পুরুষরা সহজেই আকর্ষণ বোধ করেন। অনুভূতিহীন যে কেউই বিরক্তিকর হয়ে থাকেন। পুরুষ হোক বা নারী সবসময় হাসিখুশি থাকলে মন ভালো থাকে। তাই পুরুষরা হাসিখুশি নারীদের প্রতি মুগ্ধ হন।

ক্যারিয়ারের সফলতা যদিও অনেকেই এই ব্যাপারটি অকপটে স্বীকার করতে চান না। তবে ক্যারিয়ারে সফল নারী পুরুষদের কাছে বেশ আকর্ষণীয়। আর্থিকভাবে সুরক্ষিত ও পেশাগতভাবে সফল নারীরা পুরুষদের কাছে বেশি আবেদনময়ী। এটি তাদের সন্তুষ্টি প্রদান করে যে তাদের সঙ্গী শুধুমাত্র অর্থের প্রয়োজনে তার কাছে থাকছে না। নারী তার ক্যারিয়ারে কতটা সফল, সেটিও মুগ্ধতা ছড়ায়! যদিও পুরুষরা তা জানান দেন না। তবে ক্যারিয়ারে সফল নারীদের প্রতি পুরুষরা সম্মান ও ভালোবাসা বোধ করেন। এমন সঙ্গী পেলে পুরুষরা আর্থিকভাবেও নিরাপদ বোধ করেন।

যেসব নারীদের অভিযোগ করার অভ্যাস কম থাকে, তাদের প্রতি পুরুষরা বেশি আকৃষ্ট হন। এছাড়াও সবসময় ঝগড়া করা, অল্পতে কান্না করা, বারবার ফোন করে বিরক্ত করা এমন স্বভাবের নারীদেরকে পুরুষরা পছন্দ করেন না।

সহজেই অন্যের সঙ্গে মিশতে পারা নারীর প্রতি পুরুষরা আকৃষ্ট হন। এ ধরনের নারীদের মধ্যে কোনো অহংকার থাকে না। তারা সবাইকে আপন করে নিতে জানেন।

যারা ভুল না ধরে বরং হাসিমুখে যে কোনো পরিস্থিতিতে পাশে থাকতে জানেন, এমন নারীর প্রতি মুগ্ধ হন পুরুষরা। অন্যদিকে যে নারীরা সবসময় ভুল ধরেন এবং দোষারোপ করেন তাদের প্রতি পুরুষরা আগ্রহ হারায়।

যে নারী স্বার্থপরের মতো শুধু নিজের ভালোটাই চিন্তা করেন, তাদের প্রতি পুরুষরা আগ্রহ হারায়। অন্যদিকে যে নারী সবার ভালো-মন্দ নিয়েই ভাবেন তাদের প্রতি পুরুষরা মুগ্ধ হন।

সমাজ-রাজনীতি ও অর্থনীতির বিষয়েই যে নারীরা কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তাদের প্রতিও পুরুষরা আকৃষ্ট হন। এমন নারীরা বেশ বুদ্ধিমতী এবং জ্ঞানী হয়ে থাকেন। বাস্তব জীবনমুখী হয়ে থাকেন তারা।


আরও খবর

শুষ্ক ত্বকের যত্নে মধু

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩

শীতে লালশাক কেন খাবেন?

সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩