Logo
আজঃ শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
শিরোনাম
সিলেটে মধ্যরাতে হামলার শিকার ‘আত্মগোপনে থাকা’ আওয়ামী লীগ নেতা মিসবাহ জামিনে মুক্তি পেলেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৯ কর্মকর্তা অন্তর্বর্তী সরকার সংবাদপত্রে বিন্দুমাত্র হস্তক্ষেপ করেনি : প্রেস সচিব আইনি ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছেন দক্ষিণ ভারতীয় সুপারস্টার আল্লু অর্জুন ৩১ রানের ইনিংসে ৩ মাইলফলকে বাবর আজম অভিশংসন ভোটের মুখে পড়তে যাচ্ছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট জবাই করে হত্যা মামলার পলাতক আসামী গ্রেফতার। জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্র মামলায় দণ্ডিত বিএনপি নেতা মিজানুরের জামিন একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ার মারা গেছেন মিয়ানমারে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী শহর থেকে শত শত সৈন্যসহ জেনারেল আটক

রোগীদের পানাহার সম্পর্কে মহানবী (সা.)-এর উপদেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৬৩জন দেখেছেন

Image

ইসলামিক ডেস্ক : অসুস্থ হলে অনেকের খাবারের চাহিদা কমে যায়। অনেক সময় আমরা তাদের জোর করে খাবার দিতে চেষ্টা করি। এটি সমীচীন নয়। উকবা ইবনু আমির (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমরা তোমাদের রোগীদের পানাহারের জন্য জোর-জবরদস্তি কোরো না।

কেননা আল্লাহ তাদের (বিশেষভাবে) খাওয়ান এবং পান করান। (তিরমিজি, হাদিস : ২০৪০, ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৪৪৪)

এই হাদিসের ব্যাখ্যা হলো, মহান আল্লাহ অসুস্থ ব্যক্তিকে ক্ষুধার যন্ত্রণা ও পিপাসার ওপর ধৈর্য ধারণ করার ক্ষমতা দান করেন।

ইবনুল কাইয়িম (রহ.) লিখেছেন, ‘রোগীর পানাহারে ইচ্ছা না থাকার পেছনে হতে পারে রোগীর শরীর তখন রোগ নির্মূল করার কাজে ব্যস্ত থাকে, অথবা তার চাহিদা শেষ হওয়া, অথবা শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা কমে যাওয়া কিংবা নিঃশেষ হয়ে যাওয়ার কারণে পানাহারের চাহিদা কমে থাকতে পারে। 

মোটকথা, কারণ যা-ই হোক, এ অবস্থায় রোগীকে খাবার খেতে বাধ্য করা কোনোভাবেই সমীচীন নয়।

আর মানুষ যখন রোগাক্রান্ত হয়, তখন মানব স্বভাব রোগের মূল উৎস চিহ্নিত করে তা প্রতিহত করার প্রতি মনোনিবেশ করে। তাই এ সময় রোগীর মধ্যে খাবার-পানীয় গ্রহণের চাহিদা বেশি থাকে না।’ (আত-তিববুন নববী, পৃষ্ঠা-১৫২)


আরও খবর

চুয়েটের ১১ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪




চিন্ময়ের গ্রেফতারে দিল্লি থেকে সব জায়গায় কান্নার রোল পড়ে গেছে : রিজভী

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৮৮জন দেখেছেন

Image

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা রক্তপিপাসু নীতির ওপর ভিত্তি করে ক্ষমতা আঁকড়ে রেখেছিলেন। আর শেখ হাসিনাকে দিয়ে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করত ভারত। সেই স্বার্থের জন্যই তারা এখন শেখ হাসিনার জন্য কুমিরের কান্না কানছে।

আজ শনিবার বেলা ১২টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে আহতদের দেখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

উপস্থিত সাংবাদিকদের রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে গিয়ে কিভাবে নিজ দেশের ছাত্র, শ্রমিক, রিকশাচালক থেকে শুরু করে অসংখ্য মানুষের রক্ত পান করেছেন, তা এসব আহত রোগীদের দেখলে বোঝা যায়। এদের দেখলে হৃদয়টা কেঁদে ওঠে। শরীর শিউরে ওঠে।

‘সেই পলাতক প্রধানমন্ত্রীকে যারা আশ্রয় দিয়েছে, সেখান থেকে যারা বিভিন্ন অপপ্রচার করছে, তাদের উদ্দেশে বলতে চাই যে বাংলাদেশে এসে আন্দোলনে আহত এইসব ছাত্র-জনতাকে দেখুন। কী ধরনের ভয়াবহ নির্মম পাশবিকতা চালিয়েছে হাসিনা সরকার! কারো মুখ নষ্ট হয়ে গেছে। কারো দুই হাত উড়ে গেছে। কারো দুই পা কেটে ফেলা হয়েছে। কারো চোখের কর্নিয়া নষ্ট হয়ে গেছে। জীবন যেন তাদের কাছে এখন অভিশাপ।’

 

রিজভী বলেন, ‘বাংলাদেশে নাকি দিনরাত হিন্দুদের ঘরবাড়ি পোড়ানো হচ্ছে, মানুষদের পুড়িয়ে মারা হচ্ছে, এই ধরনের অপতথ্য ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু প্রযুক্তির এই যুগে তারা সফল হতে পারছে না। ভারতকে মনে করতাম সেখানে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা হতো, যেই ভারতকে জ্ঞানীগুণী দেশ বলে জানতাম, এখন মনে হচ্ছে সেই দেশে হিংস্র ঘাতক এবং রক্ত পিপাসু মানুষেরা বাস করে। তারা হাসিনাকে দিয়ে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতেন। সেই স্বার্থের জন্যই তারা এখন শেখ হাসিনার জন্য কুমিরের কান্না কানছে।’

 

তিনি বলেন, আগরতলায় বাংলাদেশের পতাকা ছিড়েছে। আমাদের দেশে লোকদের গায়ে হাত তুলেছে। ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী, এটি একটি ভয়ঙ্কর আন্তর্জাতিক গুরুতর অপরাধ। কিন্তু তারা একবারও চিন্তা করেনি শেখ হাসিনা নিজ দেশের মানুষের ওপর কী নিষ্ঠুরতা চালিয়েছে! কী হিংস্র আচরণ করেছে! আহত এইসব ছাত্র-জনতাকে দেখলে মনে হয়, কোনো হরর সিনেমার দৃশ্য! শেখ হাসিনা এইরকম কর্মকাণ্ড করে গেছে! আজ তার জন্য এত মায়াকান্না! তার জন্য আজ সীমান্তে সীমান্তে ভারতীয় লোকজন এসে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে বিক্ষোভ করবে বলে বলছে।

তিনি আরো বলেন, চিন্ময় তার অপকর্মের কারণে ইসকন থেকে বহিস্কৃত হয়েছেন। তার অপরাধের কারণে সরকার তাকে গ্রেফতার করেছে। তার জন্য মনে হচ্ছে, দিল্লি থেকে সব জায়গায় কান্নার রোল পড়ে গেছে। এভাবে চলতে পারে না। বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র। সর্বভৌম রাষ্ট্র। রক্তের দামে কেনা বাংলাদেশ। কেউ এই দেশকে ভয় দেখিয়ে মাথানত করাতে পারবে না। চোখ রাঙিয়ে নতজানু করতে পারবে না।

রিজভী বলেন, যারা আমার ভাইদের হত্যা করেছে, হাত কেটে দিয়েছে, মুখ উড়িয়ে দিয়েছে তাদের বিচার বাংলাদেশে হতেই হবে। যারা নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রত্যেকের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। যারা তাকে রক্ষার চেষ্টা করবে, তারা স্বাধীনতার বিরোধী। সার্বভৌমত্বের বিরোধী। জনগণের বিরোধী।


আরও খবর

শনিবার থেকে শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা

বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪




৩১ রানের ইনিংসে ৩ মাইলফলকে বাবর আজম

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৩২জন দেখেছেন

Image

খেলা ডেস্ক: সেঞ্চুরিয়নে গতকাল রাতে পাকিস্তানকে দ্বিতীয় ম্যাচে ৭ উইকেটে হারিয়ে টি–টোয়েন্টি সিরিজ ২–০ ব্যবধানে নিজেদের করে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। পাকিস্তানের ২০৬ রান তাড়া করতে নেমে ৩ বল হাতে রেখে জিতেছে হাইনরিখ ক্লাসেনের দল। এ ম্যাচে ২০ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলে বেশ কিছু রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন পাকিস্তানি তারকা বাবর আজম।

ভারত–পাকিস্তান সমঝোতা, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হাইব্রিড মডেলেই

ম্যাচটি খেলতে নামার আগে তিন সংস্করণ মিলিয়ে বাবরের মোট রান ছিল ১৩,৯৯৮। চতুর্থ ওভারের চতুর্থ বলে মোহাম্মদ রিজওয়ান আউট হওয়ার পর ক্রিজে এসে প্রথম বলেই চার মেরে পঞ্চম পাকিস্তানি হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৪ হাজার রানের মাইলফলকের দেখা পান বাবর।


ইনজামাম–উল–হক, ইউনিস খান, মোহাম্মদ ইউসুফ ও জাভেদ মিঁয়াদাদ এর আগে মাইলফলকটি টপকেছেন। ৩৩৮ ইনিংসে বাবরের রান ১৪,০২৯। ৫৫১ ইনিংসে ২০,৫৮০ রান নিয়ে পাকিস্তানের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রানসংখ্যায় সবার ওপরে ইনজামাম। ইউনিস ৪৯১ ইনিংসে ১৭,৭৯০ রান নিয়ে দ্বিতীয়। ৪৩২ ইনিংসে ১৭,৩০০ রান নিয়ে তৃতীয় ইউসুফ এবং চতুর্থ মিঁয়াদাদের সংগ্রহ ৪০৭ ইনিংসে ১৬,২১৩ রান।


সেঞ্চুরি করে ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেন রিজা হেনড্রিকস। সেঞ্চুরির পর তাঁর উদ্‌যাপন এএফপি

এই ইনিংস দিয়ে স্বীকৃত টি–টোয়েন্টিতেও একটি রেকর্ড গড়েছেন বাবর। এই সংস্করণে দ্রুততম ১১ হাজার রানের রেকর্ড এখন তাঁর। ২৯৮ ইনিংসে বাবরের রানসংখ্যা এখন ১১,০২০। 


এই পথে বাবর ভেঙেছেন ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি ক্রিস গেইলের রেকর্ড। মাইলফলকটিতে পৌঁছাতে গেইলের লেগেছিল ৩১৪ ইনিংস। অর্থাৎ প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ৩০০-এর কম ইনিংস খেলে ১১ হাজার রানের দেখাও পেলেন বাবর।


ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম এই সংস্করণে দ্রুততম ৭, ৯ ও ১০ হাজার রানের রেকর্ডও তাঁর।


তবে স্বীকৃত টি–টোয়েন্টিতে বাবরের চেয়ে বেশি রান করা পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান কিন্তু আছেন। তিনি আবার অলরাউন্ডার। ঠিকই ধরেছেন। ৪২ বছর বয়সী শোয়েব মালিক। বাবরের জন্মের (১৫ অক্টোবর, ১৯৯৪) ঠিক ৫ বছর পরই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত (১৫ অক্টোবর, ১৯৯৯) শোয়েব এই সংস্করণে ৫০৫ ইনিংসে ১৩,৪১৫ রান করেছেন। ক্রিস গেইলের পরই (৪৫৫ ইনিংসে ১৪,৫৬২) এ সংস্করণে রানে দ্বিতীয় শোয়েব।


শুধু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৪ হাজার এবং স্বীকৃত টি–টোয়েন্টিতে ১১ হাজার রানই নয়, বাবর কাল আরও একটি হাজারের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। ৩১ রানের ইনিংসের পথে ছুঁয়েছেন পেশাদার ক্রিকেটে ২৬ হাজার রানের ঘর। বাবরের তিন মাইলফলকের ম্যাচে পাকিস্তানের হয়ে সবচেয়ে বড় ইনিংসটি খেলেছেন অবশ্য সাইম আইয়ুব। 


৫ ছক্কা ও ১১ চারে ৫৭ বলে ৯৮ রানে অপরাজিত ছিলেন এই ওপেনার। শেষ দিকে ইরফান খানের ১৬ বলে ৩০ রান পাকিস্তানকে দুই শ পার হওয়ার রাস্তা তৈরি করে দেয়। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা ভেবে রেখেছিলেন অন্য কিছু। বিশেষ করে ওপেনার রিজা হেনড্রিকস।


১০ ছক্কা ও ৭ চারে ৬৩ বলে ১১৭ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে প্রথম টি–টোয়েন্টি সেঞ্চুরিও তুলে নেন এই ডানহাতি। ৩৮ বলে ৬৬ রানের অপরাজিত ইনিংসে মাঠে থেকে জয় নিশ্চিত করেন রাসি ফন ডার ডুসেন। জোহানেসবার্গে আজ রাত ১০টায় সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ।


সংক্ষিপ্ত স্কোর:


পাকিস্তান: ২০ ওভারে ২০৬/৫ (সাইম ৯৮*, বাবর ৩১, ইরফান ৩০, রিজওয়ান ১১, আব্বাস ১১*; দাইয়ান ২/২১, বার্টম্যান ২/৫১, লিন্ডা ১/২৮)।


দক্ষিণ আফ্রিকা: ১৯.৩ ওভারে ২১০/৩ (হেনড্রিকস ১১৭, ডুসেন ৬৬*, ব্রিটৎজকে ১২, ক্লাসেন ৮*; জাহানদাদ ২/৪০, আব্বাস ১/৪৬, আবরার ০/২৯, হারিস ০/৫৭)।


ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৭ উইকেটে জয়ী।


সিরিজ: তিন ম্যাচ সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকা ২–০ তে এগিয়ে।


ম্যাচসেরা: রিজা হেনড্রিকস (দক্ষিণ আফ্রিকা)।



আরও খবর



শেষ যুগে যেভাবে চলতে বলেছেন নবীজি (সা.)

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭৯জন দেখেছেন

Image

ধর্ম ডেস্ক: সময় যত কেয়ামতের দিকে ঘনিয়ে যাবে, ততই ফিতনা বেড়ে যাবে। ঈমান ও ইসলামের ওপর টিকে থাকা তখন সবার পক্ষে সহজ হবে না। এমন কঠিন সময়ে হাদিসের নির্দেশনা হলো- নিজেকে নেক আমলে ব্যস্ত রাখা এবং একান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাইরের পরিবেশে না যাওয়া। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, অচিরেই এমন ফিতনার আত্মপ্রকাশ হবে, বসে থাকা ব্যক্তি দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তি থেকে উত্তম হবে। আর দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তি চলমান ব্যক্তি থেকে উত্তম হবে। আর চলমান ব্যক্তি দ্রুতগামী ব্যক্তি থেকে ভালো থাকবে। (মুসলিম : ৭১৩৯)

অন্য হাদিসে এসেছে, ‘ফিতনার সময় ঈমানদারের করণীয় হলো- সর্বদা চুপ থাকা। এত পরিমাণ চুপ থাকা, যার কারণে কোনো ফিতনা তাকে আকৃষ্ট করতে না পারে। (আল ফিতান : ৭৩৫)। হাদিসে আরো বর্ণিত হয়েছে, যে ব্যক্তি ফিতনার দিকে তাকাবে, ফিতনা তাকে ঘিরে ধরবে। তখন কেউ যদি কোনো আশ্রয়ের জায়গা কিংবা নিরাপদ জায়গা পায়, তাহলে সে যেন আত্মরক্ষা করে। (বোখারি : ৭০৮১)

এ ছাড়া আল্লাহর কাছে অধিক পরিমাণে দোয়া করা উচিত। হুজাইফা (রা.) বলেছেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, মানুষের ওপর এমন একটা যুগ আসবে যখন কেউ রক্ষা পাবে না, সে ছাড়া যে দোয়া করছে, ডুবন্ত মানুষের দোয়ার মতো। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা : ৩৬৪৪৭)

অর্থাৎ নদীতে ডুবে যাওয়া ব্যক্তি যেভাবে বাঁচার আকুতি নিয়ে দোয়া করতে থাকে, সেভাবে দোয়া করা। পাশাপাশি নিজের নজরের হেফাজত করা। ফিতনার বিষয় সম্পর্কে জানতেও বের না হওয়া। ফিতনার দিকে দৃষ্টি বা উঁকি না দেওয়া। সবসময় সৎ কাজ আঁকড়ে ধরা, অসৎ কাজ পরিহার করা, সর্বসাধারণকে এড়িয়ে মুত্তাকিদের সঙ্গে চলাফেরা করা এবং পাপাচারীদের সঙ্গ ত্যাগ করা ফিতনাকালীন গুরুত্বপূর্ণ আমল।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যখন ফিতনা তীব্র আকার ধারণ করবে, তখন তোমরা সৎ কাজকে মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরবে এবং অসৎ কাজ হতে বিরত থাকবে। তোমাদের মাঝে বিশেষ লোক যারা রয়েছে, তাদের প্রতি মনোনিবেশ করবে এবং সর্বসাধারণকে এড়িয়ে চলবে। (আল ফিতান : ৭২১)

হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী, ফিতনার যুগে কেউ যদি জান্নাতের উপযুক্ত হতে চায়, তার জন্য বিশেষ তিনটি করণীয় রয়েছে। হজরত উকবা ইবনে আমির (রা.) বলেন, একদা আমি রাসুলুল্লাহর (সা.) সঙ্গে সাক্ষাৎ করলাম এবং বললাম, সেসময় নাজাতের উপায় কী? তিনি বললেন, নিজের জিহ্বা আয়ত্তে রাখবে, নিজের ঘরে পড়ে থাকবে এবং নিজের পাপের জন্য রোদন করবে। (মিশকাত : ৪৮৩৭)

সর্বযুগের অন্যতম বড় ফিতনা হচ্ছে নারীর ফিতনা। আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, কোনো নারীর ওপর তোমার দৃষ্টি পড়লে তার প্রতি বারবার দৃষ্টিপাত করো না; বরং দৃষ্টি অতিসত্বর ফিরিয়ে নিও। কারণ তোমার জন্য প্রথমবার ক্ষমা, দ্বিতীয়বার নয়। (মুসনাদে আহমদ : ১৩৬৯)। নবীজি (সা.) আরো বলেছেন, পুরুষের জন্য নারী জাতি অপেক্ষা অধিক ক্ষতিকর কোনো ফিত?না আমি রেখে যাইনি। (বোখারি : ৫০৯৬)

এ উম্মতের আরো একটি বড় ফিতনা হচ্ছে- ধন-সম্পদের ফিতনা, যা আল্লাহর আনুগত্য থেকে মানুষকে গাফেল রাখে। হজরত কাব ইবনে ইয়াজ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, প্রত্যেক উম্মতের জন্য কোনো না কোনো ফিতনা ছিল। আর আমার উম্মতের ফিতনা হলো ধন-সম্পদ। (তিরমিজি : ২৩৩৬)

ফিতনার যুগে গুরুত্বপূর্ণ অবলম্বন হচ্ছে কোরআন-সুন্নাহ আঁকড়ে ধরা, যা না থাকলে যেকোনো সময় ফিতনা গ্রাস করে ফেলতে পারে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, নিশ্চয় আমি তোমাদের মাঝে এমন বস্তু রেখে যাচ্ছি, তোমরা যদি তা আঁকড়ে ধরে থাকো, তবে কখনই পথভ্রষ্ট হবে না। আর তা হলো আল্লাহর কিতাব ও নবীর সুন্নত।’ (আত-তারগিব ওয়াত তাহরিব : ৪০)

দুনিয়াবি শাস্তি থেকে বাঁচতে করণীয় : পাপ সবসময় বর্জনীয়। পাপের চূড়ান্ত শাস্তি আখেরাতে হলেও অনেক সময় দুনিয়াতেও আল্লাহতায়ালা শাস্তি দিয়ে থাকেন। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) বলেছেন, কোনো জাতির মধ্যে আত্মসাৎ বৃদ্ধি পেলে সে জাতির লোকদের অন্তরে ভয়ের সঞ্চার করা হয়। কোনো জাতির মধ্যে ব্যভিচার ছড়িয়ে পড়লে সেখানে মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পায়। কোনো সম্প্রদায়ের লোকরা পরিমাপ ও ওজনে কম দিলে তাদের রিজিক সংকুচিত করা হয়। কোনো জাতির লোকরা অন্যায়ভাবে বিচার-ফয়সালা করলে তাদের মধ্যে রক্তপাত বিস্তৃতি লাভ করে। কোনো জাতি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করলে আল্লাহ তাদের ওপর শত্রুদল চাপিয়ে দেন।’ (মুয়াত্তা মালেক : ১৩২৩)

আল্লাহর দেওয়া দুনিয়াবি শাস্তির ধরন নানারকম হয়ে থাকে। কারো অসুস্থতার মাধ্যমে, কাউকে অসহায়ত্বের মাধ্যমে, কারো আবার ঈমান হরণের মাধ্যমে। গুনাহের প্রথম শাস্তি হলো মানসিক অস্থিরতা। এরপর নানা আপদে পতিত হতে হয় পাপিকে।

প্রথম শাস্তি মানসিক অশান্তি বড় এক আপদ। এই আপদ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হলো তওবা ও নেক আমল। এ ছাড়া প্রশান্তির কোনো উপায় নেই। এ মহা নেয়ামত আল্লাহতায়ালা তার রাসুলকে দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, আমি কি আপনার অন্তর প্রশান্ত করিনি? (সুরা ইনশিরাহ : ১)

আল্লাহতায়ালা মুসলিম উম্মাহকে কঠিন ফিতনার দিনে ঈমান ঠিক রাখার তাওফিক দান করুন। দুনিয়াবি শাস্তি থেকে বাঁচতে হাদিসের নির্দেশনা যথাযথ আমল করারও তাওফিক দিন। আমিন।


আরও খবর

শীতকালীন ইবাদতের গুরুত্ব

বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪




যাদের মৃত্যুর সময় কালেমা নসিব হয়

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৮৯জন দেখেছেন

Image

ধর্ম ডেস্ক : মৃত্যুর সময় ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ (আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের উপযুক্ত কেউ নেই এবং মুহাম্মদ সা. আল্লাহর রাসুল) এই সাক্ষ্য-বাক্য পাঠ করার বিশেষ গুরুত্ব আছে। পাপের মার্জনা ও ক্ষমা লাভে এর ভূমিকা অপরিসীম। কেননা মৃত্যুর সময় এই কালেমা তারই ভাগ্যে জোটে যে তাতে বিশ্বাস করে এবং তার মর্ম অনুধাবন করে।

প্রকৃতপক্ষে যে ব্যক্তি এই পবিত্র বাক্য পাঠ করে এবং তার মর্ম অনুধাবন করে তার প্রবৃত্তিগুলো মরে যায়, সংশয়পূর্ণ অন্তর নম্র হয়, অবাধ্যতার পর তা অনুগত হয়, প্রত্যাখ্যান করার পর স্বীকার করে, উদ্ধতার পর বিনয়ী হয়, দুনিয়া ও এর অনর্থক বিষয়ের মোহ অন্তর থেকে দূর হয়। কালেমায় বিশ্বাসীরা মহাবিশ্বের স্রষ্টা, মুনিব ও প্রতিপালকের সামনে সিজদাবনত হয়, তাকে সাক্ষী রেখে সত্যকে জীবনে ধারণ করে। বিনিময়ে তারা আল্লাহর দয়া, ক্ষমা ও অনুগ্রহ কামনা করে। সে শিরক ও বাতিলের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে। তার অন্তরে যে দ্বিধা, দ্বন্দ্ব ও সংশয়ের সঙ্গে প্রতিনিয়ত সংঘাত চলত তা দূর হয়ে যায়। সে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছার ব্যাপারে দৃঢ় প্রত্যয়ী হয়। এর মাধ্যমে বান্দা পুরোপুরি আল্লাহমুখী হয়। তার চিন্তা, অন্তর ও আত্মাও আল্লাহমুখী হয়ে যায়। ফলে তার ভেতর ও বাহির উভয়ই আল্লাহর আনুগত্য স্বীকার করে নেয়। তার ভেতর ও বাহিরের মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকে না। বান্দা যখন নিষ্ঠার সঙ্গে কালেমা পাঠ করে তখন অন্তরের নিষ্ঠার কারণে গাইরুল্লাহর (আল্লাহ ছাড়া বাকি সব) সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়। ফলে সে গাইরুল্লাহর প্রতি ভ্রুক্ষেপ করে না।

দুনিয়া তার অন্তর থেকে পুরোপুরি অন্তর থেকে বের হয়ে যায়, বরং বান্দার তার পার্থিব জীবনকে আল্লাহর পায়ে সমর্পণ করে। প্রবৃত্তিকে পুরোপুরি অবদমিত করে এবং অন্তর পূর্ণ করে পরকালের ভাবনায়। ফলে পরকালই হয় তার লক্ষ্য এবং দুনিয়াকে পেছনে ফেলে আখিরাত পানেই সে এগিয়ে যায়। তার পুরো জীবনের নির্যাস হয়ে কালেমা উচ্চারিত হয় তার মুখে। এই পবিত্র কালেমা তাকে পাপমুক্ত করে এবং তার প্রভুর সম্মুখে আনন্দময় অবস্থায় উপস্থিত করে। এটা সে লাভ করে, কেননা সে সত্য সাক্ষ্য নিয়ে আল্লাহর দরবারে উপস্থিত হয়েছে। তার ভেতরটা বাহিরের, প্রকাশ্যটা অপ্রকাশ্যের অনুকূল। যদি সুস্থতার দিনগুলোতে এমন নিষ্ঠাপূর্ণ সাক্ষ্য মানুষের জীবনে পাওয়া যায়, সে দুনিয়া ও ঘরসংসারের মোহ ত্যাগ করে, মানুষকে ছেড়ে আল্লাহর দিকে ধাবিত হয় এবং তাকেই সব কিছুই বিপরীতে ভালোবাসে, তবেই মৃত্যুর সময় ব্যক্তির কালেমা নসিব হয়। কিন্তু বহু মানুষ এই কালেমা কেবল মুখেই উচ্চারণ করে। অথচ তাদের অন্তর কুপ্রবৃত্তি, পৃথিবী ও তার উপকরণের ভালোবাসায় পূর্ণ; তার মন ভরপুর থাকে গাইরুল্লাহ ও তা অর্জনের আকাঙ্ক্ষা। তার দায়িত্ব হলো দুনিয়ার মোহ ত্যাগ করা যেভাবে মৃত্যুর সময় সে সব ছেড়ে যায়। তবেই সে পশুর জীবন থেকে মুক্তি পাবে। মুক্তির পথে চলতে পারবে।


আরও খবর

শীতকালীন ইবাদতের গুরুত্ব

বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪




রাজবাড়ীতে ২৬ কেজি গাঁজাসহ কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৫১জন দেখেছেন

Image

রাজবাড়ী প্রতিনিধি: র‌্যাব-১০, সিপিসি-৩ ফরিদপুর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ ঘাট থানাধীন দৌলতদিয়া ইউনিয়নের সাইনবোর্ড এলাকায় কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী বিপুল পরিমান অবৈধ মাদক মজুদ করে রেখেছে।

উক্ত সংবাদ প্রাপ্তির পর র‌্যাব-১০, সিপিসি-৩ ফরিদপুর ক্যাম্পের উক্ত আভিযানিক দল অদ্য ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ তারিখ দুপুর আনুমানিক ১৩:২০ ঘটিকায় উল্লেখিত এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে আনুমানিক ৭,৮০,০০০/- (সাত লক্ষ আশি হাজার) টাকা মূল্যমানের ২৬ (ছাব্বিশ) কেজি গাঁজাসহ ০১ জন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীর নাম ১। মোঃ ইউসুফ আলী (৩২), পিতা- মৃত ওয়াস কুরনী, সাং-ইটভাটা পাড়া, ডাকঘরঃ বদরগঞ্জ, থানা- চুয়াডাঙ্গা সদর, জেলা- চুয়াডাঙ্গা বলে জানা যায়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামী পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। সে বেশ কিছুদিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা হতে অবৈধ পন্থায় গাঁজাসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে রাজাবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করে আসছিল।

গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি মাদক মামলা রুজু করতঃ সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।


আরও খবর