Logo
আজঃ শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3
শিরোনাম

রোগীদের পানাহার সম্পর্কে মহানবী (সা.)-এর উপদেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৩২জন দেখেছেন

Image

ইসলামিক ডেস্ক : অসুস্থ হলে অনেকের খাবারের চাহিদা কমে যায়। অনেক সময় আমরা তাদের জোর করে খাবার দিতে চেষ্টা করি। এটি সমীচীন নয়। উকবা ইবনু আমির (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমরা তোমাদের রোগীদের পানাহারের জন্য জোর-জবরদস্তি কোরো না।

কেননা আল্লাহ তাদের (বিশেষভাবে) খাওয়ান এবং পান করান। (তিরমিজি, হাদিস : ২০৪০, ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৪৪৪)

এই হাদিসের ব্যাখ্যা হলো, মহান আল্লাহ অসুস্থ ব্যক্তিকে ক্ষুধার যন্ত্রণা ও পিপাসার ওপর ধৈর্য ধারণ করার ক্ষমতা দান করেন।

ইবনুল কাইয়িম (রহ.) লিখেছেন, ‘রোগীর পানাহারে ইচ্ছা না থাকার পেছনে হতে পারে রোগীর শরীর তখন রোগ নির্মূল করার কাজে ব্যস্ত থাকে, অথবা তার চাহিদা শেষ হওয়া, অথবা শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা কমে যাওয়া কিংবা নিঃশেষ হয়ে যাওয়ার কারণে পানাহারের চাহিদা কমে থাকতে পারে। 

মোটকথা, কারণ যা-ই হোক, এ অবস্থায় রোগীকে খাবার খেতে বাধ্য করা কোনোভাবেই সমীচীন নয়।

আর মানুষ যখন রোগাক্রান্ত হয়, তখন মানব স্বভাব রোগের মূল উৎস চিহ্নিত করে তা প্রতিহত করার প্রতি মনোনিবেশ করে। তাই এ সময় রোগীর মধ্যে খাবার-পানীয় গ্রহণের চাহিদা বেশি থাকে না।’ (আত-তিববুন নববী, পৃষ্ঠা-১৫২)


আরও খবর



নামাজে বিশুদ্ধ কোরআন তেলাওয়াতের গুরুত্ব অপরিসীম

প্রকাশিত:বুধবার ২২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | ১৯জন দেখেছেন

Image

ইসলামিক ডেস্ক : পবিত্র কোরআন মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত অনন্য এক নিয়ামত। কোরআন তেলাওয়াতকারী মূলত আল্লাহ তায়ালার সঙ্গেই কথা বলে থাকেন। নামাজে কোরআন তেলাওয়াত অপরিহার্য বা ফরজ। সুতরাং বিশুদ্ধভাবে কোরআন তেলাওয়াত করাও অত্যাবশ্যক। কেরাত সম্পর্কীয় মাসায়েল অবগত হওয়া প্রত্যেক মুসলমানের অপরিহার্য দায়িত্ব। ফিকাহ তথা মাসয়ালার কিতাবে নামাজে বিশুদ্ধ কেরাত সম্পর্কিত মাসায়েল নিম্নরূপ বর্ণনা করা হয়েছে। ১. আরবি অক্ষরগুলো বিশুদ্ধভাবে উচ্চারণ করতে হবে। বিভিন্ন অক্ষরের উচ্চারণের পার্থক্য নিরূপণ করে যেটি যেভাবে উচ্চারণ করতে হয় ঠিক সেভাবেই উচ্চারণ করতে হবে। যথার্থ এবং বিশুদ্ধ উচ্চারণের জন্য সব সময় প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। এক্ষেত্রে ভুল পড়লে গুনাহগার হবে। এমনকি নামাজ নষ্টও হয়ে যেতে পারে।

২. ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাতে সুরা ফাতেহার পর কোরআনের যে কোনো সুরা অথবা বড় এক আয়াত বা ছোট তিনটি আয়াত পড়া ওয়াজিব। তৃতীয় ও চতুর্থ রাকাতে শুধু সুরা ফাতেহা পড়তে হবে। বিতর, সুন্নত ও নফল নামাজের সব রাকাতেই সুরা ফাতেহার সঙ্গে অন্য কোনো সুরা বা আয়াত মিলিয়ে পড়তে হবে। ৩. নামাজের রাকাতে সুরা ফাতিহা পড়ার পর অন্য কোনো সুরা বা আয়াত মিলানো ওয়াজিব। এক্ষেত্রে কেউ প্রথমে সুরা বা আয়াত পড়ার পর সুরা ফাতিহা পড়লে ওয়াজিব আদায় হবে না। ৪. ফজর, মাগরিব, এশা, জুমা ও দুই ঈদের নামাজে কেরাত উচ্চৈঃস্বরে পড়তে হবে, ইমাম ভুলে আওয়াজ না করে কিরাত পড়লে সিজদা সাহু করতে হবে। ইচ্ছাকৃত নীরবে নামাজ পড়লে নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবে।

৫. জোহর ও আসর নামাজে ইমামকে নীরবে কেরাত পড়তে হয়। একাকী বিতর নামাজ আদায়কারীর জন্য নীরবে কেরাত পড়া ওয়াজিব। ৬. ফজর, মাগরিব ও এশার নামাজ কোনো কারণবশত একাকী আদায় করলেও উচ্চৈঃস্বরে কেরাত পড়া উত্তম। ৭. জামাতের সঙ্গে ইমাম ফজর, মাগরিব ও এশার নামাজ কাজা আদায় করলেও উচ্চৈঃস্বরে কিরাত পড়া ওয়াজিব। ৮. একই সুরা প্রথম ও দ্বিতীয় রাকাতে না পড়াই উত্তম। ৯. আস্তে করে কেরাত পড়ার নামাজেও কেরাত মুখে উচ্চারণ করে পড়তে হয়। একেবারে মুখ বন্ধ করে শুধু মনে মনে পড়া জায়েজ নয়।

১০. নামাজে কেরাত শেষ হওয়ার আগেই রুকুতে ঝুঁকে গিয়ে সেখানেও কেরাত পড়তে থাকা মাকরুহ। ১১. ফরজ নামাজে ইচ্ছাকৃত কোরআনের ক্রমধারার বিপরীত কেরাত পড়াও মাকরুহ, তবে ভুলে পড়লে তা মাকরুহ হবে না। ১২. ফরজ নামাজে একই সুরার অনেক আয়াত একত্রে পড়ার পর মাঝখানে দুই আয়াতের কম ছেড়ে দিয়ে দ্বিতীয় রাকাতে সামনে থেকে পড়া মাকরুহ। এমনিভাবে দুই সুরা এভাবে পড়ে মাঝখানে তিন আয়াত সংবলিত সুরা ছেড়ে দিয়ে পরবর্তী সুরা পড়াও মাকরুহ। যেমন প্রথম রাকাতে সুরা মাউন এবং দ্বিতীয় রাকাতে সুরা কাফিরুন পড়ে মাঝখানে সুরা কাউসার ছেড়ে দেয়, তাহলে মাকরুহ হবে। এ হুকুম ফরজ নামাজের জন্য, নফল নামাজের জন্য প্রযোজ্য নয়।

১৩. ফরজ নামাজের এক রাকাতে মাঝখানে এক বা একাধিক আয়াত ছেড়ে দ্বিতীয় রাকাত পড়া মাকরুহ। নফল নামাজের ক্ষেত্রে এ হুকুম প্রযোজ্য নয়। ১৪. কোনো ব্যক্তি নতুন মুসলমান হয়ে সবেমাত্র নামাজ আরম্ভ করেছে, কিন্তু কোরআনের কোনো সুরা বা আয়াত তার মুখস্থ নেই, এমতাবস্থায় অনতিবিলম্বে সুরা বা আয়াত মুখস্থ করতে হবে। মুখস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত নামাজে শুধু সুবহানাল্লাহ অথবা আলহামদুলিল্লাহ ইত্যাদি পড়ে নামাজ আদায় করতে হবে। তবে কোরআনের সুরা বা আয়াত মুখস্থ করার ব্যাপারে অলসতা বা অবহেলা করলে গুনাহগার হবে। (ফতোয়ায়ে আলমগিরি পৃষ্ঠা ১৪৯ থেকে ১৫০)

প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদুর রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন যে ব্যক্তি কোরআন শরিফ তেলাওয়াত করবে, তার প্রতিটি অক্ষরে অজুবিহীন অবস্থায় ১০ নেকি, অজু অবস্থায় ২০ নেকি, নামাজে বসে পড়লে ২৫ নেকি এবং দাঁড়িয়ে পড়লে ৫০ নেকি প্রদান করা হবে। নামাজে বিশুদ্ধ কোরআন শরিফ তেলাওয়াত করা জরুরি। কেননা লাহনে জলি তথা মারাত্মক ভুল পড়ার দ্বারা নামাজ নষ্ট হয়ে যায় এবং লাহনে খফি তথা অসুন্দর পড়ার দ্বারা নামাজ মাকরুহ হয়ে যায়। লাহনেজলি তথা মারাত্মক ভুল যেমন: ১. ভিন্ন মাখরাজের ভুল উচ্চারণ। যদিও শুনতে কাছাকাছি মনে হয়। ২. হরকত তথা জের, জবর ও পেশের পরিবর্তন। যার দ্বারা অর্থের সম্পূর্ণ পরিবর্তন হয়ে যায়, এমনকি কুফরিও হয়ে যায়। ৩. মাদের হরফকে টেনে না পড়া। লাহনে খফি তথা অসুন্দর পড়া। যেমন: গুন্নাহ, ঈদগাম, ইজহার, ইখফা ও ক্ললকলা ইত্যাদি যথাযথ নিয়মে আদায় না করা। এর দ্বারা অর্থ ঠিক থাকে কিন্তু তিলাওয়াত অসুন্দর হয়। কেননা আল্লাহ তায়ালা বলেন, তোমরা কোরআন শরিফ বিশুদ্ধভাবে তিলাওয়াত কর। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে নামাজের ভিতরে ও বাহিরে বিশুদ্ধভাবে কোরআন শরিফ তেলাওয়াত করার তৌফিক দান করুন, আমিন। 


আরও খবর



বিশ্বজুড়ে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের সময় কমছে!

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ২৮জন দেখেছেন

Image

বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর প্রায় ৯৫ শতাংশ এখন বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সাথে যুক্ত। তবে গত বছরের তুলনায় এই হার বেড়েছে ৪ শতাংশ। যদিও সামাজিক মাধ্যমটিতে ব্যয় করা সময় আগের অনুপাতে অনেকটাই কমেছে।

গতকাল বুধবার অনলি অ্যাকাউন্টস.আইও এর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চলিত বছরের অক্টোবর পর্যন্ত সারাবিশ্বে ৫.৩ বিলিয়ন বা ৫৩০ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিল, যা বিশ্ব জনসংখ্যার ৬৫.৭ শতাংশ। অর্থাৎ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা এক বছরে বেড়েছে ১৮৯ মিলিয়ন বা ৩.৭ শতাংশ। যা গত বছর ছিল ৪.৯৫ বিলিয়ন। যার মধ্যে ৬১.৪ শতাংশ ছিল কোনো না কোনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারী।

এই পরিসংখ্যান অনুসারে বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট ব্যবহারকারী জনসংখ্যার তুলনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছরের অনুপাতে এই বছরে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪.৫ শতাংশ বেড়েছে, যেখানে নতুনভাবে যুক্ত হয়েছেন প্রায় ২১৫ মিলিয়ন।

২০১৯ সাল থেকে গড়ে ৩৫০ মিলিয়ন মানুষ প্রতি বছর বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে যোগদান করেছে। যার ফলে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীর সংখ্যা সর্বোচ্চ স্থানে পৌঁছে যায়। যদিও উল্লেখযোগ্যভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়লেও মাধ্যমটিতে ব্যয় করা সময় আগের অনুপাতে অনেকটাই কমেছে।

এক পরিসংখ্যানের তথ্য বলছে, চলিত বছরের অক্টোবর মাস পর্যন্ত, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা প্রতিদিন গড়ে ২ ঘণ্টা ২৪ মিনিট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গত বছরের তুলনায় চার মিনিট কম সময় ব্যয় করেছে। একইসময়ে, ইন্টারনেট ব্যবহার করে ব্যয় করা গড় দৈনিক সময় চার মিনিট বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে ৬ ঘণ্টা ৪১ মিনিটে।

বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মে বর্তমানে ৪.৯ বিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারী থাকলেও সামনে এই সংখ্যা আরো ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। গবেষকদের করা পরিসংখ্যান অনুসারে আগামী পাঁচ বছরে ১.১ বিলিয়নেরও বেশি মানুষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করবেন। যার ফলে এই সংখ্যা ৬ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে। সেইসঙ্গে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর হারও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে। এ বছরে যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৬৫.৭ শতাংশ ২০২৮ সালে তা বেড়ে দাঁড়াবে ৭৫ শতাংশের বেশি।


আরও খবর



শাহরুখের ‘জওয়ান’ গড়ল নতুন রেকর্ড

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৫৮জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক : শাহরুখ খানের জওয়ান নিয়ে মাতামাতি কমছে না এখনও। শুধু ২০২৩ সালের নয়, বলিউডের ছবির ইতিহাসে এমন অভাবনীয় সাফল্যের মুখ দেখেনি কোনো সিনেমা। একসময় যারা ‘জিরো’ বলেছিল শাহরুখকে, স্টারডম নিয়ে তুলেছিল প্রশ্ন, তারা এখন মুখ লুকাতে ব্যস্ত। এরইমধ্যে বিশ্বব্যাপী ১১০০ কোটির ব্যবসা করে সর্বাধিক উপার্জিত হিন্দি ছবি হিসেবে নিজের জায়গা পাকা করে নিয়েছেন কিং খান। এতকিছুর পর নতুন করে কোন রেকর্ড গড়ল এই সিনেমা।

বাণিজ্য বিশ্লেষক সুমিত কাদেল একটি পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে (সাবেক টুইটার)। সেখানে লেখেন প্রায় ৩.৯২ কোটি লোক হলে এসেছে জওয়ান দেখতে। হিন্দি সিনেমার ইতিহাসে যা সর্বোচ্চ। 

সুমিত কাদেল লেখেন, ‘প্রেক্ষাগৃহে জওয়ান দেখতে ৩.৯২ কোটি লোকের পা পড়েছে। যা হিন্দি সিনেমার ইতিহাসে সর্বোচ্চ। ওটিটি-তে মুক্তি পাওয়ার পরও জওয়ান চলছে সিনেমা হলে।’

সুমিত জওয়ানের আয়ের অঙ্ক শেয়ার করে লিখলেন, ভারতে ছবির আয় ৫৮৩.৪৫ কোটি, ডাবিং ৬০.৪৪ কোটি। ভারতে মোট আয় ৬৪৩.৮৯ কোটি। আর বিশ্বব্যাপী আয় ১১৫১.৭৩ কোটি।

আপাতত শাহরুখ খানের ভক্তরা অধীর অপেক্ষায় আছেন ডাঙ্কি মুক্তির। রাজকুমার হিরানির পরিচালনায় প্রথমবার কাজ করছেন শাহরুখ খান। আগে বেশ কয়েকবার সুযোগ এলেও, দুজনের একসঙ্গে কাজ করা হয়নি বিভিন্ন কারণে। কিং খানের জন্মদিনের দিন প্রকাশ্যে এসেছিল টিজার। ছবিতে আরও রয়েছেন তাপসী পান্নু, ভিকি কৌশল, বোমন ইরানি। ২২ ডিসেম্বর এই সিনেমার মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।  

সালমানের টাইগার ৩-তেও কথা রয়েছে শাহরুখের কেমিওর। যদিও তা নিশ্চিত নয় এখনই। তবে শাহরুখ আর সালমানকে জলদি দেখা যাবে টাইগার ভার্সেস পাঠান-এ। 


আরও খবর



নারী সাংবাদিককে জাপটে ধরে চুমু খেলেন সালমান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ২৭জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক : বেশ কিছুদিন ধরেই টাইগার ৩ নিয়ে খবরের শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছেন বলিউড ভাইজান খ্যাত অভিনেতা সালমান খান। কখনও সামনে উঠে আসছে তার ছবির বক্স অফিসের খবর, কখনও আবার সবার নজরের কেন্দ্রে তিনি। তবে ভাইজান এখন ব্যস্ত রয়েছেন নতুন ছবি নিয়ে। বিভিন্ন মহলেও প্রশংসিত হয়েছে নতুন ছবি।

ভারতীয় গণমাধ্যম টিভি-৯ এর খবরে বলা হয়, এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে ৪০০ কোটি রুপি ঘরে তুলেছে টাইগার ৩। আর ভারতের বুকে তা ২৫০ কোটির দরজায়। তবে সালমান খান ও ক্যাটরিনা কাইফের জুটির এই ছবি এখন চর্চার কেন্দ্রে জায়গা করে নিয়েছে কেবলই তাদের অ্যাকশনের জন্য।

এদিকে গোয়া ৫৪তম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দেখা গেছে বলিউড ভাইজানকে। সেখানে রেড কার্পেটে সালমান খানকে দেখা মাত্রই পাপারাৎজি থেকে শুরু করে এগিয়ে আসেন সংবাদকর্মীরাও। তবে বলিউডের এ ভাইজান একজনকে দেখে নিজেই এগিয়ে এলেন। এরপর সবার নজর ঘুরে যায় তার দিকে।

মূলত সালমান যার দিকে এগিয়ে গেলেন তিনি একজন প্রবীণ সাংবাদিক। তাকে কাছে টেনে আদর করলেন ভাইজান। জড়িয়ে ধরে তার কপালেও চুমুও এঁটে দেন তিনি।

খবরে আরও জানানো হয়, এ সাংবাদিকের সঙ্গে সালমানের পরিচয় বহুদিনের। তাই ভিড়ের মধ্যেই তাকে চিনে ফেলেন ভাইজান। মজা করে চুমুও খেতে গেলেন তিনি। সাংবাদিকের সঙ্গে সালমান খানের এই খুনসুটির ভিডিও এখন নেটপাড়ায় ভাইরাল। যার জন্য প্রশংসায় ভাসছেন ভাইজান।


আরও খবর



মালয়েশিয়ায় নির্মাণাধীন ভবন ধসে নিহত ৩ বাংলাদেশি নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | ১৩জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মালয়েশিয়ার পেনাংয়ে নির্মাণাধীন ভবন ধসে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত তিন জনই শ্রমিক। এছাড়া দুর্ঘটনার পর বেশ কয়েক জনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং এখনও চারজন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন।

ধসে পড়া এই নির্মাণাধীন ভবনের সকল শ্রমিকই বাংলাদেশি ছিলেন বলে জানানো হয়েছে। ২৮ নভেম্বর রাতে ভবন ধসে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।

২৯ নভেম্বর পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম দ্য স্ট্রেইট টাইমস এবং ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ৯.৪৫ মিনিটের দিকে মালয়েশিয়ার পেনাংয়ে নির্মাণাধীন একটি ভবন ধসে পড়ে। সেই ঘটনার পর উদ্ধার কারীরা এখনও চারজন নিখোঁজ শ্রমিকের খোঁজে ধ্বংস স্তূপের নিচে সন্ধান করছেন।

পেনাংয়ের ডেপুটি পুলিশ প্রধান মোহাম্মদ ইউসুফ জান মোহাম্মাদ বলেন, এখনও পর্যন্ত উদ্ধার কারীরা আটকে পড়া ৯ শ্রমিকের মধ্যে পাঁচ জনকে খুঁজে পেয়েছেন।

ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘ঘটনার সময় প্রায় ১২ মিটার লম্বা এবং প্রায় ১৪ টন ওজনের একটি বিম ভেঙে পড়ে এবং এই ঘটনায় আরও ১৪টি বিম ভেঙে পড়েছিল। নির্মাণাধীন এই সাইটে কাজের জন্য ১৮ জন শ্রমিক নিয়োগ করা হয়েছিল। এ সময় তারা কেউ নামাজের জন্য বের হননি।’

তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত, আমরা তিন জন নিহত ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছি – দুজন যারা ঘটনা স্থলে মারা গেছেন এবং অন্য একজন হাসপাতালে মারা গেছেন। গুরুতর আহত অন্য দুজনকে চিকিৎসার জন্য পেনাং হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, এখানে কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের সবাই ছিলেন বাংলাদেশি নাগরিক। আমরা বিশ্বাস করি, ধসে পড়া কাঠামোর নিচে আরও চারজন আটকা পড়ে আছেন।

যদিও ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে বলছে, দুর্ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন মোহাম্মদ ইউসুফ।

এদিকে পেনাং ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি ডিরেক্টর জুলফাহমি সুতাজি বলেছেন, ধসে পড়া কাঠামোর ওজন বেশি হওয়ায় উদ্ধার প্রচেষ্টা বেশ কঠিন হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ভারী কাঠামো অপসারণ করতে এবং ক্ষতি গ্রস্তদের কাছে যাওয়ার জন্য আমাদের বড় যন্ত্রপাতি দরকার।’

এর আগে ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্টের প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়, ধ্বংস স্তূপের নিচে অন্তত নয় জন শ্রমিক আটকা পড়েন। দুর্ঘটনার পর তল্লাশি ও উদ্ধার কাজ এখনও চলছে।

অন্যদিকে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের শাইক ইসমাইল আলাউদ্দীন বলেছেন, তারা এখনও দুর্ঘটনায় হতাহতদের বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য অপেক্ষা করছেন।

তিনি বলেছেন, ‘অফিশিয়ালি (আনুষ্ঠাসিক  ভাবে) কোনও তথ্য জানার আগে আমরা কোনও ধরনের বিবৃতি দিতে পারি না। আমি ঠিকাদারকে ক্ষতি গ্রস্তদের বিবরণ দিতে বলেছি। যদিও আমরা জানি, তারা বাংলাদেশ থেকে এসেছে, তবে কোনও বিবৃতি দেওয়ার আগে তাদের পরিচয় শনাক্ত করার জন্য আমাদের নথি দরকার।’


আরও খবর