Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম

রোজা ফরজ হওয়ার রহস্য ও তাৎপর্য

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৪৩২জন দেখেছেন

Image

মহান প্রভু কোরআনে কারিমে ইরশাদ করেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর, যেন তোমরা তাকওয়া (খোদাভীতি) অর্জন করতে পার। (সুরা বাকারা-১৮৩)। 

তাকওয়া অর্জন হওয়ার জন্য রোজা ফরজ করা হয়েছে। তাকওয়া আরবি শব্দ। এর ভাবার্থ হলো, খোদাভীতি, আত্মরক্ষা ইত্যাদি। শরিয়তের পরিভাষায় আল্লাহতায়ালার ভয়ভীতি নিয়ে তাঁর নির্দেশসমূহ পালন করা এবং নিষেধাজ্ঞাসমূহ থেকে বেঁচে থাকার নাম হলো, ‘তাকওয়া’। যে ব্যক্তির তাকওয়া যত বেশি আল্লাহর কাছে তার সম্মান ততই বেশি। 

আল্লাহতায়ালা ঘোষণা করেন, ‘নিশ্চয় তোমাদের মধ্যে আল্লাহর কাছে সর্বাপেক্ষা সম্মানিত ওই ব্যক্তি যে তোমাদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা তাকওয়ার অধিকারী’। (সুরা হুজরাত-১৩)। তাকওয়া এবং খোদাভীতি মানুষকে পরিশুদ্ধ করে, আলোকিত করে, সৎকাজে উৎসাহ জোগায় এবং পাপাচার বর্জন করার প্রেরণা সৃষ্টি করে। তাকওয়া অর্জনের ফলে একটি মানুষ অন্যায়-অনাচার, সুদ-ঘুষ বর্জন করতে পারে। গড়ে উঠতে পারে একটি আদর্শ ও শান্তিপূর্ণ সমাজ ব্যবস্থা। আর এই মহৎ গুণটি অর্জনের শ্রেষ্ঠ ও সহজ উপায় হলো রোজা রাখা। 

কারণ রোজা হলো নির্দিষ্ট সময়ে কিছু কাজ বর্জন করা। যে ব্যক্তি দিনের বেলায় ওই কাজগুলো বর্জন করবে সে সত্যিকারার্থে আল্লাহর ভয়েই বর্জন করবে। এভাবে তার অন্তরে আল্লাহর প্রতি অকৃত্রিম ভয়ভীতি বৃদ্ধি পাবে। এক পর্যায়ে তার অন্তরে আল্লাহর ভয়ভীতি জাগ্রত হওয়ার ফলে সে সব ধরনের অন্যায় ও পাপাচার বর্জনে অভ্যস্ত হয়ে যাবে। এ লক্ষ্য নিয়ে রমজানের রোজা আদায় করতে সক্ষম হলে সার্থক হবে আমাদের সাধনা। 

সাহাবি আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ (সা). ফরমান, যেদিন তোমাদের কেউ রোজা রাখে, তখন রোজা অবস্থায় সে যেন অশ্লীলতা, অনৈতিকতা ও ঝগড়া বিবাদে জড়িয়ে না যায়। যদি কেউ তাকে গালি দেয় অথবা হত্যা করে তখন সে বলবে আমি রোজাদার মানুষ। (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)। 

অপর হাদিসে তিনি বলেন, যে ব্যক্তি মিথ্যা বলা ও এ অনুযায়ী কর্মত্যাগ করেনি তার পানাহার বর্জন করা আল্লাহর জন্য কোনো প্রয়োজন নেই। (সহিহ বুখারি)। এই পবিত্র রমজান মাসে যাবতীয় ইবাদত-বন্দেগি যথাযথভাবে পালন করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করতে হবে। নিজেকে বিরত রাখতে হবে সব ধরনের দুর্নীতি, পাপাচার, মিথ্যা এবং অন্যায় অপকর্ম থেকে।

এ মাসের প্রতিটা মুহূর্তই সংযম সাধনায় নিবেদিত করতে হবে। বিশেষ করে কোরআন অবতরণের এই মাসে কোরআনে কারিমের বিশুদ্ধ তিলাওয়াত হলো উত্তম একটি আমল। আর দিনের বেলায় রোজা এবং রাতে তারাবির নামাজ আদায়ে বিশেষভাবে যত্নবান হতে হবে। ফেরেশতাকুল সম্রাট জিবরাইল (আ.) প্রতি বছর রমজানে মহানবী (সা.)-এর কাছে আগমন করতেন, রসুলুল্লাহ (সা.) তাকে কোরআন শুনাতেন। (সহিহ মুসলিম)

মহানবী (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে পুণ্য হিসেবে রমজানের রোজা পালন করবে তার পেছনের সব পাপ ক্ষমা করা হবে। (সহিহ বুখারি সহিহ মুসলিম)। অপর হাদিসে তিনি বলেন, যে ব্যক্তি ইমানের স্বার্থে পুণ্য হিসেবে রমজানের নামাজ (তারাবিহ) আদায় করবে তার পেছনের সব পাপ ক্ষমা করা হবে। (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)।


আরও খবর



যেভাবে এক ফোনে ব্যবহার করবেন একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ

প্রকাশিত:রবিবার ০২ ফেব্রুয়ারী 2০২5 | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৪১জন দেখেছেন

Image

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক : হোয়াটসঅ্যাপ নতুন আপডেট নিয়ে আসছে, যার ফলে এক ফোনে একাধিক অ্যাকাউন্ট চালানোর সুবিধা পাবেন ব্যবহাকারীরা। মূলত আইফোন ব্যবহারকারীদের জন্য সুবিধাটি চালু করতে চলেছে মেটা। অনেকেরই দুটি করে সিম কার্ড থাকে, বা কেউ কেউ বিভিন্ন কারণে দুটি হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টের প্রয়োজন হয়। এবার তাদের আর আলাদা আলাদা ডিভাইসে লগ ইন করতে হবে না। দুটি অ্যাকাউন্টই একটি ফোন বা একটি অ্যাপে ব্যবহার করা যাবে। আইওএস ২৫.২.১০.৭০ সংস্করণ আপডেট করলে ফিচারটি পাওয়া যাবে। তবে চিন্তা নেই, প্রতিটি হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টের জন্য নিজস্ব চ্যাট ব্যাকআপ ও সেটিংস থাকবে।

দুটি অ্যাকাউন্টে খুব সহজে চালু করা যাবে, যেমনটা ফেসবুক বা ইন্সটাগ্রামে করা যায়। ফিচারটির পরীক্ষা সফল হলে দ্রুত রোল আউট শুরু হবে। এই সুবিধা পাওয়ার জন্য অবশ্যই হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাপটি লেটেস্ট ভার্সনে আপডেট করে নিন এবং নিশ্চিত করুন যে আপনার আইফোনও যেন লেটেস্ট ভার্সনে আপ টু ডেট থাকে। এছাড়াও সম্প্রতি আরো একটি ফিচার নিয়ে আসছে হোয়াটসঅ্যাপ, যার মাধ্যমে অ্যাপে দেওয়া স্ট্যাটাস একবার ক্লিকেই ইন্সটাগ্রাম বা ফেসবুকে শেয়ার করতে পারবেন। এজন্য আলাদা করে দুই অ্যাপ চালুর প্রয়োজন পড়বে না।


আরও খবর

ভারতে সরকারি দপ্তরে নিষিদ্ধ হলো এআই

রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




নিজেদের এরিয়ায় কর্মসূচি পালনের অনুরোধ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ২২জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বুধবার গুলশানে নৌ পুলিশ হেডকোয়ার্টার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফে বললেন, অযৌক্তিক আন্দোলন ও আবদারে ধৈর্যের সীমা অতিক্রম করে ফেলেছে। রাস্তা বন্ধ না করে নিজেদের এরিয়ায় কর্মসূচি পালনের অনুরোধ করছি।

রাজধানীর উত্তরা থানায় হামলার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপদেষ্টা বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন তাদের অনেককে আমরা ধরেছি। আসল জন (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশে নেই। আমরা তাকে কোথা থেকে ধরব। যারা দেশে নেই তাদের তো পুলিশ গিয়ে ধরে আনতে পারে না। এক্ষেত্রে আমরা চেষ্টা করছি। পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে একটি চুক্তি আছে, সেভাবে তাদের আনার কাজ চলছে। 

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আসামি ১০৫ জন। সেখানে গ্রেপ্তার মাত্র ৩৫ জন। আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।


আরও খবর

প্রধান উপদেষ্টার আয়নাঘর পরিদর্শন

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

এপ্রিল হতে পারে ইউনূস-মোদি সাক্ষাৎ

মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




ইসলাম ও সংস্কৃতির সমন্বয়

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৫৫জন দেখেছেন

Image

ধর্ম ডেস্ক : ইসলাম একটি জীবনব্যবস্থার নাম। ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রের ইহকাল ও পরকালীন কল্যাণ সাধনের নির্দেশ দেয় ইসলাম। শুধু আধ্যাত্মিকতা কিংবা জড়বাদী বিশ্বাসের নাম ইসলাম নয়। তাই আলিজা আলী ইজেতবেগোভিচ তাঁর বিখ্যাত ‘ইসলাম বিটুইন ইস্ট অ্যান্ড ওয়েস্ট’ গ্রন্থে লিখেছেন, ‘ইসলাম এমন একটি নাম, যা বস্তুবাদ ও আধ্যাত্মিকতা উভয়ের ওপর প্রযোজ্য। তা মানুষের আচার-ব্যবহারের সুউচ্চ মাধ্যম। ’ (পৃষ্ঠা : ৫০) খেলাধুলা ও আনন্দ-বিনোদন মানবজীবনের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। যদি তাতে ইসলামি বিধি-নিষেধের লঙ্ঘন না হয় এবং ব্যক্তি বা সমাজের জন্য ক্ষতিকর না হয় তাহলে ইহকাল ও পরকালের জন্য কল্যাণকর এমন সব কিছুই ইসলামে অনুমোদিত। এরই দৃষ্টিকোণ থেকে দৈহিক অনুশীলনের অংশ হিসেবে খেলাধুলা খুবই প্রশংসনীয়। মহানবী (সা.) নিজেও স্ত্রী আয়েশা (রা.)-এর সঙ্গে দুবার দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন, মক্কার রুকানা বিন ইয়াজিদের সঙ্গে চারবার মল্লযুদ্ধে জিতেছেন এবং সাহাবিদের তীর নিক্ষেপে পারদর্শী হতে উৎসাহ দিয়েছেন। (তিরমিজি, হাদিস : ১৬৩৭; আবু দাউদ, হাদিস : ২৫৭৮) এমনকি তিনি ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করে বিজয়ীদের পুরস্কার দিয়েছেন এবং শিশুদের দ্রুত হাঁটার প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে উৎসাহ দিয়েছেন। শারীরিক অনুশীলনের পাশাপাশি বুদ্ধিবৃত্তিক অনুশীলনের অংশ হিসেবে বিভিন্ন বিনোদনমূলক কার্যক্রমে অংশ নিতে মহানবী (সা.) উৎসাহ দিয়েছেন। তার মানে জীবনের প্রতি ক্ষেত্রে ইসলামের প্রভাব লক্ষণীয়। এসব ক্ষেত্রে ইসলামের প্রভাব তৈরিতে পেশিশক্তির চেয়ে কোমল-শক্তি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এ পরিভাষার প্রথম প্রবক্তা মার্কিন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী জোসেফ নাই । এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেছেন, ‘বাধ্যবাধকতা বা আর্থিক লেনদের বদলে আকর্ষণ তৈরির মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করাই কোমল শক্তি। আর এ আকর্ষণ তৈরির অন্যতম উপাদান হচ্ছে মূল্যবোধ ও আচার-ব্যবহার। ’ যেমন তিনি বিশ্বব্যাপী আমেরিকান প্রভাব তৈরিতে শিল্প, নাটক, সংগীত, শিক্ষা, মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও প্রযুক্তির ব্যাপক চর্চাকে প্রধান উপকরণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। (সফট পাওয়ার : দ্য মিনস টু সাকসেস ইন ওয়ার্ল্ড ওয়ার্ল্ড পলিটিকস, পৃষ্ঠা : ১৩-৪৬)। সবার সঙ্গে সুন্দর আচার-ব্যবহার ও উন্নত মূল্যবোধ ধারণের নির্দেশনা দেয় ইসলাম। ইতিহাসে এমন অসংখ্য ঘটনা রয়েছে যে দ্বন্দ্ব-সংঘাতের কঠিন মুহূর্তে ইসলামের সুন্দর আচার-ব্যবহার দেখে অন্যরা প্রভাবিত হয়েছে। ইসলামি খিলাফতের রাজধানী বাগদাদে হামলা করে মোগলরা বিজয়ী হলেও ইসলামের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে তারা ইসলাম গ্রহণ করেছিল। টমাস আর্নল্ড (ঞযড়সধং ডধষশবৎ অৎহড়ষফ) বর্ণনা করেছেন, ‘যে সময়ে ইসলামের সমর শক্তি দুর্বল হয়ে পড়েছিল সেই সময়েও তা আধ্যাত্মিক যুদ্ধে সফল হয়েছিল। ইতিহাসে বড় বড় এমন দুটি ঘটনা আছে। একাদশ শতাব্দীতে বর্বর তুর্কি সেলজুক বাহিনী নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালায়। মুসলিম বাহিনীকে তারা পদদলিত করে পরাজিত করেছিল। ত্রয়োদশ শতাব্দীতে মোগল বাহিনীও ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ চালায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিজয়ী হলেও উভয় শক্তি পরাজিত বাহিনীর ধর্ম ও সংস্কৃতি গ্রহণ করেছিল। ’ (দ্য প্রিসিং অব ইসলাম, অ্যা হিস্টরি অব দ্য প্রপোগেশন অব দ্য মুসলিম ফেইথ, পৃষ্ঠা : ২৬) ইসলামের এই আকর্ষণ শক্তির ব্যাখ্যায় ঐতিহাসিকরা দিশাহারা। তাদের কাছে এর কোনো যথার্থ ব্যাখ্যা নেই। কারণ ইতিহাসের চিরন্তন রীতি হলো, পরাজিত শক্তি সব সময় বিজয়ীদের আচার-ব্যবহার, চালচলন, পোশাক, চলাফেরাসহ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে অনুকরণ করতে ভালোবাসে। কিন্তু ইসলামের ঐতিহাসিক কিছু ঘটনায় এর বিপরীত দৃশ্য দেখা গেছে। বিভিন্ন ঘটনায় বিজয়ীরা পরাজিতদের অনুকরণ করেছে। শুধু তা-ই নয়; বরং ধর্ম গ্রহণ করেও তারা জীবনের সব ক্ষেত্রে পরাজিতদের সব কিছু অনুসরণ করেছে। (আল-মুকাদ্দিমাহ, পৃষ্ঠা : ১৮৪) অনেক গবেষকের মতে, ইসলামের এ আকর্ষণ ও প্রভাব শুধু আধ্যাত্মিক ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ ছিল না; বরং বস্তুগত উন্নতি ও অগ্রগতিতে এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব লক্ষ্যণীয়। এ কারণে অভূতপূর্ব অগ্রগতির জন্য পশ্চিমাবিশ্ব ইসলামের কাছে ঋণী। সেই সময় যদি ইসলাম না থাকত বর্তমান বিশ্বে আধুনিক সভ্যতার কোনো প্রভাবই থাকত না। ফরাসি নৃবিজ্ঞানী রবার্ট ব্রিফল্ট (জড়নবৎঃ ইৎরভভধঁষঃ) বলেছেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, আরবদের উপস্থিতি না থাকলে আধুনিক ইউরোপীয় সভ্যতা কখনো আলোর মুখ দেখত না। তারা না থাকলে উন্নতির সব স্তর উত্তীর্ণ হওয়ার সামর্থ্য রাখে এমন ‘আত্মস্পৃহা’ পাওয়া যেত না। তাই ইউরোপের অগ্রগতির সব ক্ষেত্রেই আপনি ইসলামি সংস্কৃতির গভীর প্রভাব লক্ষ্য করবেন। ’ (দ্য মেকিং অব হিউম্যানিটি, পৃষ্ঠা : ১৯০) আলবার্ট এইচ হোরানি

এ বিষয়ে ইঙ্গিত করে বলেছেন, ‘উপাসনার যেকোনো দৃশ্যমান কাজের একটি সামাজিক দিক থাকে। মুসলিমরা একসঙ্গে মসজিদে জুমার নামাজ পড়ে। রমজানে তাদের বার্ষিক রোজা শুধু ব্যক্তির দৈহিক অনুশীলনে ভূমিকা রাখে এমন নয়; বরং এর সামাজিক ভূমিকা অনেক বড়। তা ছাড়া সাদা কাপড়ে একই সময়ে মক্কা হজ পালনের দৃশ্যও একই প্রভাব ফেলে। ইসলামের রীতি শুধু আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে বলে না; বরং মানুষের সঙ্গে সুসম্পর্ক করার নির্দেশ দেয়। তাই ইসলাম শুধু উপাসনার বিধি-নিষেধ পালনের নাম নয়; তা পারস্পরিক অধিকার ও কর্তব্য নিশ্চিতে সামাজিক সম্পর্ক তৈরির নির্দেশ দেয়। ’ (অ্যারাবিক থট বিয়ন্ড দ্য লিবারেল এইজ : টুওয়ার্ডস অ্যান ইন্টেলেকচুয়াল হিস্টরি অব নাহদা, পৃষ্ঠা : ১২-১৩)। মোটকথা ইসলাম একটি সার্বজনীন জীবনব্যবস্থার নাম। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এর প্রভাব লক্ষণীয়। এর সব বিধানে ইহকাল ও পরকালের সমন্বয় রয়েছে। তাই যুগে যুগে ইসলামের দৃশ্যমান নৈতিকতাবোধ ও শিষ্টাচারে মুগ্ধ হয়ে অসংখ্য মানুষ এর ছায়াতলে আশ্রয় নিয়েছে। তবে ইসলামের এসব দিক যথাযথভাবে ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণের দাবি রাখে। যেন মানুষ বিশুদ্ধভাবে তা যথাযথভাবে গ্রহণ করে। কারণ শক্তি থাকলেই নিজের ইচ্ছামতো তা প্রয়োগ করা যায় না; বরং এর জন্য কৌশলগত পরিকল্পনা, আকর্ষণীয় নকশা ও অভিজ্ঞ নেতৃত্ব জরুরি। পেশিশক্তির চেয়ে কোমল শক্তির জন্য সুদক্ষ ব্যাখ্যাকার ও সুপ্রস্তুত অন্তরের প্রয়োজনীয়তা আরো বেশি। অর্থাৎ কোরআন ও সুন্নাহর সঠিক ব্যাখা এবং তা যথাযথভাবে গ্রহণ করা যেমন জরুরি, তেমনি নানা উপায় ও পন্থা অবলম্বন করে অন্যের মধ্যেও এর আকর্ষণ তৈরি করা জরুরি। এ ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ আলেম-প্রাজ্ঞ ইসলামি ব্যক্তিত্বদের ভূমিকা রাখতে হবে।


সূত্র : এফএনএস


আরও খবর

ইসলাম শিক্ষকদের বিশেষ মর্যাদা দিয়েছে

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




সৌদি আরব চাইলে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে পারে: ট্রাম্প

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ জানুয়ারী 20২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৯৭জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, সৌদি আরব চাইলে এক নিমেষে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে পারে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি ও তেল রপ্তানিকারী অন্যান্য রাষ্ট্র যদি তেলের দাম কমিয়ে দেয়, তাহলে যুদ্ধ থেমে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।  

সুইজারল্যান্ডের দাভোস শহরে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনে বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এ বক্তব্য দেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, "আমি অবাক হয়েছি যে এখনও সৌদি আরবসহ ওপেকভুক্ত দেশগুলো তেলের দাম কমায়নি। এটি অনেক আগেই করা উচিত ছিল। যদি তেলের দাম কমানো হয়, তাহলে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হয়ে যাবে।"  আল জাজিরার উদ্ধৃতি দিয়ে ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এই খবর জানায়।

ট্রাম্প আরও বলেন, "খনিজ তেলের উচ্চমূল্যের কারণেই এই যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হচ্ছে। যুদ্ধ থামাতে হলে তেলের দাম কমাতে হবে। যারা এখনো এই সিদ্ধান্ত নেয়নি, তারাও অনেকাংশে দায়ী। হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে, অথচ এই সমস্যার সমাধান একেবারে আমাদের হাতের নাগালে।"  

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া, যা প্রায় তিন বছর ধরে চলমান। এই সময়ে লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং বহু মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।  

ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনি ক্ষমতায় থাকলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধান করে ফেলতেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি জানিয়েছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনা করে এই সংকট সমাধানের উদ্যোগ নেবেন।  

এর আগে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, "যদি যুদ্ধ বন্ধ না হয়, তাহলে রাশিয়া আরও কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হবে।"  

বিশ্ব রাজনীতিতে সৌদি আরব ও ওপেকভুক্ত দেশগুলোর ভূমিকা বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ। ট্রাম্পের মন্তব্যের পর আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, তেলের দাম কমানো আসলেই যুদ্ধ বন্ধ করতে পারবে কি না, সেটি নিয়ে বিতর্ক থাকলেও এই ইস্যুটি নতুন করে আলোচনায় এসেছে।


আরও খবর



ফুলবাড়ীতে ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের মাধ্যমে চারা রোপন উদ্বোধন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৩৭জন দেখেছেন

Image

দিনাজপুর থেকে : দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের আয়োজনে ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের মাধ্যমে ধানের চারা রোপনের বিষয়ে আলোচনা ও আনুষ্ঠানিক ভাবে ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের মাধ্যমে চারা রোপন উদ্বোধন করা হয়েছে।

গত (১১ ফেব্রুয়ারী) মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় উপজেলার পুটকিয়া মোড়ের ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের মাধ্যমে ধানের চারা রোপনের বিষয়ে আলোচনায় সভায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোাছাঃ রুম্মান আক্তার এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর মো. আল কামাহ তমাল। এসময় উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি অফিসার মোঃ সাহানুর রহমান,কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার সঞ্চিতা রায়,উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোছাঃ সহিরন পারভিনসহ স্থানীয় কৃষকগন উপস্থিত ছিলেন। পরে আনুষ্ঠানিক ভাবে ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের মাধ্যমে বোরো ধানের চারা রোপন উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর মো. আল কামাহ তমাল।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছাঃ রুম্মান আক্তার জানান, ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের মাধ্যমে চারা রোপন করতে প্রতি একরে ১২ কেজি ধানের বীজ লাগে । ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে রবি মৌসুমে বোরো ধান (উফশী) সমলয় বøক প্রদর্শনীর রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের মাধ্যমে এই এলাকার ৫০ জন কৃষক ৫০ একর জমিতে চারা রোপন করবেন।


আরও খবর

সিলেটের চা বাগান গুলো প্রুনিং পদ্ধতি শুরু

মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫