Logo
আজঃ শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3
শিরোনাম

সাগরে নিম্নচাপ, বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৩৩জন দেখেছেন

Image

পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। বৃষ্টি অথবা ভারি বৃষ্টিসহ উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে ঝড়ো হাওয়া। এ কারণে দেশের চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।

বুধবার মধ্যরাতে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক। 

বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বুধবার মধ্যরাতে নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। নিম্নচাপটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোতে ও ঘনীভূত হতে পারে।

তবে এখন পর্যন্ত নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা কম বলে জানিয়েছেন তিনি।

নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালা সৃষ্টি হয়ে চলেছে। সাগর উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে থাকা মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হতে পারে। এর প্রভাবে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এ সময় সারা দেশে এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমতে পারে।

এছাড়া বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে— খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টি হতে পারে।


আরও খবর



প্রথমবারের মতো হামাসের সঙ্গে সমঝোতায় যেতে রাজি ইসরায়েল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ২৫জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গত দেড় মাস ধরে চলা যুদ্ধে এই প্রথমবারের মতো ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে সমঝোতায় যেতে রাজি হয়েছে ইসরায়েল।

ইসরায়েল ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল কান এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মূলত হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্ত করতেই ইসরায়েলের শাসকগোষ্ঠী এই সমঝোতায় আসতে আগ্রহী।

চ্যানেলটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাস যদি তার হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্তি দেয়, তাহলে ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদেরও ছেড়ে দেবে মধ্যপ্রাচ্যের ইহুদি অধ্যুষিত ভূখণ্ডটির সরকার। এখন অপেক্ষা কেবল হামাসের জবাবের।

জিম্মিদের মুক্ত করতে হামাসের সঙ্গে একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর ব্যাপারটি ইসরায়েল যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে দাবি করে নিজেদের প্রতিবেদনে কান জানিয়েছে, ‘বল এখন হামাসের কোর্টে। হামাস যদি ইতিবাচক সাড়া দেয়, সেক্ষেত্রে সহজেই একটি সমঝোতা হতে পারে।’

এর আগে একই দিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকেও এই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন কিরবি জানিয়েছিলেন, গাজায় ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্র তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

‘দু’পক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতার একটি পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। আমরা আশা করছি এটি হবে। তবে এখনও অনেক কাজ বাকি রয়ে গেছে,’ হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন কিরবি।

গত ৭ অক্টোবর ভোরে ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত বেড়া ভেঙে ইসরায়েলে প্রবেশ করে নির্বিচারে সামরিক-বেসামরিক লোকজনকে হত্যা করে তারা। সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জনকে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, এই জিম্মিদের মধ্যে ইসরায়েলিদের সংখ্যা ১০৪ জন। বাকি ১৩৮ জনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, আর্জেন্টিনা, রাশিয়া ও ইউক্রেনের নাগরিকরা রয়েছেন।

যুদ্ধের শুরুর দিকে হামাসের সামরিক শাখা আল কাসেম ব্রিগেড জানিয়েছিল, তাদের জিম্মায় প্রায় ২৫০ জন ইসরায়েলি রয়েছে। তবে পরে হামাস ঘোষণা করে, ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলার কারণে নিহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন জিম্মি।


আরও খবর



মিথ্যা সাক্ষী দেওয়া কবিরা গুনাহ

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | ৫১জন দেখেছেন

Image

মহান রব্বুল আলামিন কোরআনুল কারিমের সুরাতুল ফুরকানে একজন খাঁটি মুমিনের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করেছেন, যারা কখনো মিথ্যা সাক্ষী দেন না। আল্লাহতায়ালা অন্যত্র বলেছেন, তোমরা মিথ্যা থেকে আত্মসংবরণ কর। সূরা হজ। 

আমাদের প্রিয়নবী হজরত রসুলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, মিথ্যা সাক্ষ্য দান শিরকের সমান, (আবু দাউদ, তিরমিজি, ইবনেমাজা, তাবারানি)। অপর হাদিসে রসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, কেয়ামতের দিন মিথ্যা সাক্ষ্যদাতার জন্য জাহান্নামের ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত নিজের পা নাড়াতেও পারবে না। (ইবনে মাজাহ)। 

অপর হাদিসে প্রিয়নবী ইরশাদ করেন, নিশ্চয়ই সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় এবং মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে দেয়। কেননা সত্যের গন্তব্য হলো আলো এবং মিথ্যার গন্তব্য হলো অন্ধকার। 

এ প্রসঙ্গে একটি ঘটনা উল্লেখযোগ্য যে, বড়পীর হজরত আবদুল কাদির জিলানী (রহ.) বাল্যকালে যখন তিনি লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে নিজ এলাকা থেকে বাইরে গমন করেন, তখন তাঁর মা ছোট্ট বালকের পকেটের ভিতরে সেলাই করে কিছু দিনার রেখেছিলেন এবং বলে দিলেন, প্রয়োজনে এগুলো বের করবে।আর বিশেষভাবে তাকে উপদেশ দিয়েছিলেন, বাছা যতই বিপদে পড় না কেন, কখনো মিথ্যা কথা বলবে না, পথিমধ্যে কাফেলাটি ডাকাতের কবলে পড়লে মুসাফিরদের সব মাল-সামানা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। অবশেষে বালক আবদুল কাদির জিলানীকে জিজ্ঞেস করল, বালক তোমার কাছে কি কিছু আছে, তিনি বললেন- হ্যাঁ, নিশ্চয়ই আছে, আমার কাছে ছয়টি দিনার আছে, ডাকাতরা বলল, তা কোথায়? তিনি বললেন আমার পাঞ্জাবির আস্তিনের ভিতরে আমার মা সেলাই করে দিয়েছেন। ডাকাতরা চেক করে দেখল হ্যাঁ বাস্তবেই আছে। জিজ্ঞেস করল, বালক তুমি কেন সত্য কথা বললে, মিথ্যা কথা বললে তোমার টাকাটা বেঁচে যেত। তিনি বললেন, না মিথ্যা কথা বলব না। কেননা আমার মা নিষেধ করেছেন এবং মিথ্যা বলা মহাপাপ। 

অতঃপর ডাকাত সরদার এই বালকের সত্যবাদিতা দেখে এবং মায়ের আদেশ পালনে অবিচলতা দেখে বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে গেল এবং নিজের দুর্বৃত্তপূর্ণ নোংরা জীবনের প্রতি অনুশোচনা এলো, কারণ তার মাও নিষেধ করেছিলেন এ জঘন্য অপরাধ না করার জন্য। অতঃপর সে অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহতায়ালার কাছে তওবা করল এবং খাঁটি মুসলমান হয়ে গেল। 

মূলত কোরআন ও হাদিসের আলোকে মিথ্যা সাক্ষ্যদাতা চারটি বড় গুনাহে লিপ্ত হয়ে নিজেও ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং অপরকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে। প্রথমত, দুনিয়ার লোভে পড়ে অপরের ক্ষতি করার জন্য মনগড়া মিথ্যা অপবাদ দেয়। দ্বিতীয়ত, সে অন্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়ে তার ওপর জুলুম করে। তৃতীয়ত, সে যার পক্ষে সাক্ষ্য দেয় তার ওপরেও জুলুম করে, কেননা সে তার জন্য হারাম সম্পদ ভোগে সহায়তা করে দেয়। ফলে তার জন্য জাহান্নাম অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে। চতুর্থত, আল্লাহর বিধান সমাজের সুষ্ঠু সুবিচার থেকে মজলুমকে বঞ্চিত ও ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়। 

এ মর্মে সহিহ বুখারি, মুসলিম, ও তিরমিজিতে বর্ণনায় রয়েছে, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- আমি কি তোমাদের জঘন্যতম কবিরা গুনাহ কী কী বলব না? সাহাবাগণ আরজ করলেন ইয়া রসুলুল্লাহ অবশ্যই বলবেন। তিনি বললেন : তাহলে শোন, তা হচ্ছে আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করা, মাতা-পিতাকে কষ্ট দেওয়া, আর সাবধান মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া, সাবধান মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া।’


আরও খবর



টিকটক ও ডিআইএমএফএফ'র উদ্যোগে চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রতিযোগিতা

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | ৪৭জন দেখেছেন

Image

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক : টিকটক এবং ঢাকা আন্তর্জাতিক মোবাইল চলচ্চিত্র উৎসব (ডিআইএমএফএফ) এর পার্টনারশিপের মাধ্যমে শুরু হতে যাচ্ছে চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রতিযোগিতা। যেখানে চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম টিকটক চালু করেছে এর নতুন ক্যাম্পেইন  #ক্রিয়েটঅনটিকটক। এই প্রতিযোগিতাটির আয়োজনে রয়েছে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব)।

মূলত মোবাইল ডিভাইস থেকে সরাসরি স্বল্প দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র নির্মাণ করার জন্য এমন ভিন্নধর্মী প্রতিযোগিতার আয়োজন। যার মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণে সুযোগ পাবে কনটেন্ট ক্রিয়েটররা। ১ নভেম্বর থেকে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত #ক্রিয়েটঅনটিকটক ক্যাম্পেইনটি চলমান থাকবে। গল্প (স্টোরি), চিত্রনাট্য (স্ক্রিপ্ট) এবং সম্পাদনা (এডিটিং) — মোট এই তিনটি বিভাগে অংশগ্রহণকারীরা তাদের কাজ তুলে ধরার সুযোগ পাবে। এই প্রতিযোগিতায় জমা দেওয়া শীর্ষ ৪০টি ভিডিও মূল্যায়ন করা হবে। এতে বিচারক হিসেবে থাকবে নির্বাচিত পেশাদার বিচারকদের একটি প্যানেল। 

সেরা ভিডিওটির জন্য ভোট দিতে টিকটক প্ল্যাটফর্মে থাকবে এক্সক্লুসিভ ভোটিং অপশন। এছাড়া ডিআইএমএফএফ এবং সিনেপ্লেক্সের টিকটক প্রোফাইলে প্রদর্শন করা হবে শর্টলিস্ট করা ভিডিওগুলো।

টিকটকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের হেড অব কনটেন্ট অপারেশন পূজা দত্ত বলেন, টিকটকে, আমরা বিশ্বাস করি সৃজনশীলতার শক্তিতে। সৃষ্টিশীল কাজে প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারে আমরা বিশ্বাসী। ডিআইএমএফএফ এবং ইউল্যাবের সহযোগিতায় #ক্রিয়েটঅনটিকটক উদ্যোগটি সেটিরই প্রমাণ। গল্প বলার ক্ষেত্রে আমরা একসাথে একটি নতুন পথ তৈরি করতে পেরেছি যেখানে নির্মাতারা তাদের ভাবনাগুলো তুলে ধরতে পারবে।

ডিআইএমএফএফ এর উপদেষ্টা, সৈয়দা সাদিয়া মেহজাবিন বলেন, মোবাইল ফিল্ম নির্মাণ শুধুমাত্র একটি প্রবণতা নয়; এটি গল্প বলার ক্ষেত্রে একটি সর্বজনীন উপায়। #ক্রিয়েটঅনটিকটক উদ্যোগের মাধ্যমে টিকটকের সাথে আমাদের পার্টনারশিপ পরবর্তী প্রজন্মের চলচ্চিত্র নির্মাতাদের জন্য একটি জায়গা করে দিবে। একাডেমিক এবং ডিজিটাল জগতের মধ্যে আমরা সেতুবন্ধন করতে চাই। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অসংখ্য গল্প তুলে ধরতে পেরে আমরা আনন্দিত।


আরও খবর



গাজায় বোমা হামলা বন্ধ না হলে আঞ্চলিক যুদ্ধের হুঁশিয়ারি হিজবুল্লাহর

প্রকাশিত:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | ৩৫জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা বন্ধ না হলে মধ্যপ্রাচ্যে বৃহত্তর যুদ্ধের ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সেকেন্ড ইন কমান্ড শেখ নাঈম কাসেম।

তিনি বিবিসিকে বলেন, 'এই অঞ্চলে অত্যন্ত গুরুতর ও ভীষণ বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে এবং এর পরিণতি কেউ আটকাতে পারবে না।’

গাজায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তরফে সম্প্রতি জানানো হয়, সেখানে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এরকম একটা সময়েই বৈরুতে একটি সাক্ষাৎকারে হিজবুল্লাহর উপপ্রধান ওই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

গত ৭ই অক্টোবর হামাসের হামলায় ১,৪০০ মানুষের মৃত্যু হয়, যাঁদের মধ্যে ১,০০০ বেসামরিক নাগরিক ছিলেন। হামাসের ওই হামলার জবাবেই ইসরায়েলও পাল্টা হামলা চালায়।

হিজবুল্লাহর ওই নেতা বলেন, ‘বিপদটা সত্যিই আসতে চলেছে। কারণ ইসরায়েল বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে আগ্রাসন বাড়াচ্ছে এবং বেশি সংখ্যায় নারী ও শিশুদের হত্যা করছে।’ তার কথায়, ‘এই অঞ্চলে আরও বিপদ ডেকে না এনে কি এই পরিস্থিতি চলতে পারে? আমার মনে হয় না।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইসরায়েলের হামলা বাড়লে এই অঞ্চলের যুদ্ধের ঝুঁকিও বাড়বে।

প্রত্যেক বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যুর জবাব দেবে হিজবুল্লাহ
গাজায় যুদ্ধের প্রেক্ষিতে এখনও পর্যন্ত হিজবুল্লাহ শুধুমাত্র হুঁশিয়ারির মাত্রাই বাড়িয়েছে আর সতর্কভাবে তাদের প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে। রবিবার লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি হামলায় এক নারী ও তিন শিশুর মৃত্যুর পর হেজবুল্লাহ প্রথমবার গ্রাড রকেট ব্যবহার করে যাতে এক ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়।

হিজবুল্লাহর নেতা হাসান নাসরাল্লাহ হুমকি দিয়ে বলেছেন, লেবাননে প্রত্যেক বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যুর জবাব সীমান্তের ওপারেও দেওয়া হবে। তবে এখনো তিনি ইসরায়েলকে সর্বাত্মক যুদ্ধের হুমকি দেননি। ‘সমস্ত বিকল্প পথই খোলা রয়েছে।’ এ কথায় জোর দিয়ে জঙ্গি গোষ্ঠীটি মূলত সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে আন্তঃসীমান্ত আক্রমণের মধ্যেই নিজেদের প্রতিক্রিয়া সীমাবদ্ধ রেখেছে।

তাদের ৬০ জনেরও বেশি যোদ্ধা নিহত হয়েছেন, কিন্তু তাদের জায়গা নেওয়ার মতো যুদ্ধের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হিজবুল্লাহ-র আরও বহু সমর্থক আছে। বৈরুতে এমন এক যোদ্ধাকে এই সপ্তাহে কবর দেওয়া হয়েছে, যাঁর পরিবারের সদস্যরা কয়েক প্রজন্ম ধরে হেজবুল্লাহর হয়ে লড়াই করে এসেছে। শুধু তাই নয়, তিনি তাঁর পরিবারের পঞ্চম সদস্য যিনি ওই গোষ্ঠীর হয়ে প্রাণ দিয়েছেন।


আরও খবর



বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিজিটাল প্রশাসন ব্যবস্থা চালুর পরামর্শ ইউজিসির

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ২৮জন দেখেছেন

Image

২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ডিজিটাল প্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি)। ২০ নভেম্বর ইউজিসির ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ই-গর্ভন্যান্স ও উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবন শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ পরামর্শ দেন সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন।

ইউজিসি’র ইনোভেশন টিম দিনব্যাপী এ কর্মশালার আয়োজন করে। কমিশনের গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক ড. ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডিন প্রফেসর ড. হাফিজ মো. হাসান বাবু।

প্রফেসর সাজ্জাদ হোসেন বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিজিটাল প্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। পেপারলেস অফিস প্রতিষ্ঠা এবং সব ধরনের লেনদেন ইলেকট্রনিক মাধ্যমে করতে হবে। তাহলে কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা যাবে। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতি দমন এবং দ্রুততার সঙ্গে উচ্চশিক্ষা সেবা নিশ্চিত করা যাবে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং বাজার উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। আধুনিক বিজ্ঞান, তথ্য ও প্রযুক্তি বান্ধব সমাজ তৈরিতে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে গবেষণা ও উদ্ভাবনে গুরুত্ব দিতে হবে। স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তরে বিশেষ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

ইউজিসি’র ইনোভেশন টিমের সদস্য এবং গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. শাহীন সিরাজ অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন ইউজিনি’র ই-গর্ভন্যান্স ও উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের ফোকাল পয়েন্ট ও সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার দ্বিজেন্দ্র চন্দ্র দাস। কর্মশালায় কমিশনের অতিরিক্ত পরিচালক, উপপরিচালক ও সমমান পর্যায়ের ৩৯ জন কর্মকর্তা অংশ নেন।


আরও খবর