Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম

বছরে ক্ষতি প্রায় ৫৭ হাজার কোটি টাকা সাইবার অপরাধীদের হাত থেকে রক্ষা পেতে

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ | ৩১১জন দেখেছেন

Image

23 ডেস্ক :

সাইবার অপরাধীদের ভয়ে দিনকে দিন তটস্থ হয়ে পড়ছে দেশবাসী। এসব অপরাধীর হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না মন্ত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার না করেও সাইবার অপরাধের শিকার হচ্ছেন অনেকেই।

প্রযুক্তি উন্নত হওয়ায় ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে পড়ছে সাইবার অপরাধ। আপত্তিকর অ্যাকাউন্ট ও পেজ বন্ধ করার পাশাপাশি তদারকিতেও তেমন সুফল আসছে না। সাইবার হামলাসহ নানা ইস্যুতে বছরে ক্ষতি হয় প্রায় সাড়ে ৫৭ হাজার কোটি টাকা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বশীল এবং বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাইবার অপরাধীদের হাত থেকে রক্ষা পেতে ব্যক্তিগত সচেতনতার বিকল্প নেই।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের একটি পেজ থেকে ‘ম্যাজিক ডায়া টি’ নামে একটি বিজ্ঞাপন হইচই ফেলে দিয়েছে। বিজ্ঞাপনে দেশের খ্যাতিমান পোড়া রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেনের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। প্রচারিত বিজ্ঞাপনে ডা. সামন্ত লালের ছবি এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যেন ‘ম্যাজিক ডায়া টি’ পান করলে ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে তিনি পরামর্শ দিচ্ছেন। এমনকি নিয়মিত এই চা পান করলে চিরতরে ডায়াবেটিস ভালো হয়ে যাবে বলে প্রচারিত বিজ্ঞাপনে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে।এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে ডা. সামন্ত লাল সেন নিজের অসহায়ত্ব প্রকাশ করে যায়যায়দিনকে বলেন, আমি সাইবার অপরাধীদের যন্ত্রণায় আর পারছি না। ‘আমার কোনো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নেই। আমি ফেসবুক ব্যবহার করি না। অথচ এর আগেও আমার ছবি ব্যবহার করে ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতারক চক্র ও সাইবার অপরাধীরা নানা বিজ্ঞাপন প্রচার করেছে। যার সত্যিকারের কোনো ভিত্তি নেই। এর আগে মাথায় চুল গজানোর বিজ্ঞাপন প্রচারের দায়ে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে  ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।তিনি আরও বলেন, সবশেষ আমার ছবি ব্যবহার করে চায়ের বিজ্ঞাপনের বিষয়টিও আমার নজরে এসেছে। আমি তাৎক্ষণিকভাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা দিয়েছি। একই সঙ্গে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান, ন্যাশনাল টেলিকম মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘অপরাধীদের গ্রেপ্তার করলেই কিন্তু সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। কারণ আমি মনে করি অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে। যা আমার সামাজিক মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করছে। কারণ যারা ইন্টারনেট বা সাইবার অপরাধীদের সম্পর্কে তেমন জানেন না, তারা হয়তো না বুঝেই আমাকে ভুল বুঝছেন। এটি সত্যিই আমাকে মানসিকভাবে পীড়া দিচ্ছে। আমি নানাভাবে চেষ্টা করেও সাইবার অপরাধী বা কুচক্রী মহলের হাত থেকে আমার নিজের সম্মানকে শতভাগ রক্ষা করতে পারছি না। আমি যেহেতু সরকারের একজন মন্ত্রী, স্বাভাবিক কারণেই এতে সরকারের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন হচ্ছে। দেশবাসী যেন এমন প্রতারণার ফাঁদে পা না দেন এবং বিশ্বাস না করেন, আমি দেশবাসীকে সেই অনুরোধ করছি’।

সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত নানা বিষয়ে এনটিএমসির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহ্সানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি যায়যায়দিনকে বলেন, প্রযুক্তি এখন নিত্য ব্যবহার্য জিনিসে পরিণত হয়েছে। যত নতুন নতুন প্রযুক্তি আসছে, তত নতুন নতুন অপরাধ সংঘটিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। সাইবার অপরাধ বা হামলা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। একমাত্র সচেতনতাই পারে আপনারে সাইবার সংক্রান্ত অপরাধ থেকে মুক্ত রাখতে।

তিনি বলেন, ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের শতভাগ সতর্ক থাকতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করতে হবে অত্যন্ত সাবধানতার সঙ্গে। বিশেষ করে কোনো লোভনীয় বিজ্ঞাপন দেখেই বিশ্বাস করা যাবে না। এমনকি বিজ্ঞাপনে যেসব বিশিষ্ট ব্যক্তি বা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা কর্মকর্তা বা ব্যক্তিদের ছবি ব্যববহার করা হয়, তাদের সম্পর্কে ন্যূনতম ধারণা বা বিশ্বাস রাখা উচিত। কারণ একজন খ্যাতিমান ব্যক্তি বা রাষ্ট্রের এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ কোনো ব্যক্তি কোনোভাবেই এমন একটি জিনিসের বা পণ্যের বিজ্ঞাপন দিতে পারেন না, সর্বপ্রথম এটি বিশ্বাস করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা অপরিচিত লিঙ্ক আসে। না জেনে, না বুঝে এসব লিঙ্কে টাচ বা ক্লিক করা উচিত না। কারণ এতে ওই ব্যক্তির ব্যক্তিগত বা অন্য কোনো তথ্য চুরি হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করে অপপ্রচার, গুজব রটানো, লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে মানুষকে প্রতারিত করাসহ প্রযুক্তি খাতের নানা অপরাধ নিয়ে বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে কাজ চলছে। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সাইট, পেজ, অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। তারপরও সাইবার অপরাধীরা থেমে নেই। সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সম্মিলিতভাবে কাজ চলছে। আশা করা হচ্ছে, স্বল্প সময়ের মধ্যেই হয়তো সাইবার সংক্রান্ত নানা অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাইবার বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ১৪৮টি অ্যাকাউন্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে মুছে ফেলেছে। তারপরও সাইবার অপরাধীদের দাপট কমেনি। উল্টো দেশে ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে পড়ছে সাইবার অপরাধ। তদারকি করেও তেমন কোনো সুফল মিলছে না। দেশে কত ধরনের সাইবার অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে, কি পরিমাণ সাইবার অপরাধের ঘটনা ঘটেছে, কতগুলোর অপরাধের ঘটনায় অভিযোগ হয়েছে বা অপরাধীর সংখ্যা কত তার সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। মূলত প্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে, অপরাধের ধরনও তত উন্নত হচ্ছে। যে কারণে অপরাধীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কোনোভাবেই পেরে ওঠা যাচ্ছে না। প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধীদেরও শতভাগ আইনের আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে না।

সূত্রটি বলছে, বছরে গড়ে ছোট-বড় ৯০ হাজার সাইবার হামলার ঘটনা ঘটে। এসব হামলাসহ সাইবারকেন্দ্রিক নানা ইস্যুতে বছরে ক্ষতি হয় গড়ে প্রায় সাড়ে ৫৭ হাজার কোটি টাকা। বিশ্বে মোবাইল গ্রাহকের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের অবস্থান দশম। দেশে ১৯ কোটি মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। আর ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৩ কোটি। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সাইবার অপরাধ।

সূত্রটি জানিয়েছে, সবচেয়ে বেশি সাইবার অপরাধের ঘটনা ঘটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে পূঁজি করে। অনেকেই আছেন যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করেন কিন্তু ফেসবুক, ইনসট্রাগ্রাম, ম্যাজেঞ্জার, ইমো, ইউটিউব বা ভাইভার ব্যবহার করেন না। শুধু যোগাযোগ রাখার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। তারাও রয়েছেন ঝুঁকিতে। এক কথায় প্রযুক্তি ব্যবহার করলে ঝুঁকি থেকে কোনোভাবেই মুক্ত থাকার সুযোগ নেই। তবে সাইবার অপরাধীদের একটি গতানুগতিক ধারা আছে, যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বেশি ব্যবহৃত হয়, সাইবার অপরাধীরা সেই মাধ্যমেই সাধারণত বেশি অপরাধ সংঘটিত করে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাইবার বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ঝুঁকিমুক্ত থাকার একমাত্র উপায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার না করা। যেটি বর্তমান সমাজে কোনোভাবেই সম্ভব নয়। যে কারণে দিনকে দিন বাড়ছে সাইবার অপরাধীদের দাপট। ইমেইল আইডি, ফেসবুক আইডি, মোবাইল ব্যাংকিং থেকে শুরু করে এমন কোনো প্রযুক্তি নেই, যেটি হ্যাক বা যে মাধ্যম থেকে তথ্য চুরি বা প্রতারণার সম্ভাবনা নেই। এক কথায় যেসব ক্ষেত্রে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহৃত হবে, সেখানে সাইবার হামলার বা সাইবারকেন্দ্রিক অপরাধ সংঘটিত হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। কোনোভাবেই প্রযুক্তি খাতকে শতভাগ নিরাপদ করা সম্ভব হচ্ছে না।

সরকারের সাইবার নিরাপত্তা-সংক্রান্ত প্রকল্প কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম (সার্ট) সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের অক্টোবর থেকে হালনাগাদ সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে মাত্র ৫টি ম্যালওয়ারের মাধ্যমে সাইবার অপরাধীরা ৬ হাজার ৫২১ বার আক্রমণ করেছে। যদিও সাইবার অপরাধীরা তেমন সফল হতে পারেননি। ব্যক্তিগত পর্যায়ে নারীরা সবচেয়ে বেশি সাইবার বোলিং বা হামলা বা প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। সাইবারকেন্দ্রিক প্রতারণার শিকার হওয়াদের মধ্যে নারীর সংখ্যাই শতকরা ৪৭ ভাগ। বাকি সাইবার অপরাধের ঘটনা ঘটছে ব্যাংক, বীমা, মন্ত্রী, এমপি, স্থানীয় পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি, শিশু, কিশোরসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানিক পর্যায়ে।

প্রযুক্তিগত নানা অপরাধের বিষয়ে সিআইডির সাইবার বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. রেজাউল মাসুদ যায়যায়দিনকে বলেন, নিয়মিতভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সাইবার মনিটরিং করা হচ্ছে। ঈদকে সামনে রেখে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধŸগতিসহ নানা ইস্যুতে কাজ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিটি ইউনিটে স্থাপিত হয়েছে একটি করে ক্লোজ মনিটরিং সেল। সেলগুলো বিটিআরসি ও এনটিএমসিসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, সাইবার আইনে পরিবর্তন আনায় এ ধরনের অপরাধে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। তদন্তে পাওয়া তথ্য জানানো হয় বিটিআরসিকে। বিটিআরসি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রকৃত কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে থাকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তরফ থেকে যেসব মাধ্যম বা পেজ বা অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে অপরাধ বা প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড সংঘটিত হয়, সেগুলোর তালিকা দেয় বিটিআরসিকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তরফ থেকে যে পরিমাণ সাইট বন্ধ করার প্রস্তাব করা হয় তার শতকরা ২০ শতাংশ বন্ধ হয়। বাকিগুলো নানা কারণে বন্ধ হয় না।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কাজ করা অক্টাগ্রাম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রযুক্তিবিদ হাসান শাহরিয়ার ফাহিম যায়যায়দিনকে বলেন, সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন সম্মিলিত কৌশল। এজন্য প্রযুক্তির সঙ্গে জড়িত সবাইকে এক প্লাটফর্মে আসতে হবে। বিশেষ করে মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোকে আরও স্বচ্ছতার সঙ্গে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। কারণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে নানা ধরনের অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তি থেকে শুরু করে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ সাইবার অপরাধীদের টার্গেটে পরিণত হয়েছে। এটি সত্যিই খুবই ভয়াবহ ব্যাপার। এখনই উচিত সমন্বিত কৌশলপত্র তৈরি করে মাঠে নামা। অন্যথায় সাইবার অপরাধীদের অপরাধের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।


আরও খবর



ইসলামপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার বিক্ষোভ সমাবেশ

প্রকাশিত:রবিবার ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ | ৮৫জন দেখেছেন

Image

জামালপুর সংবাদদাতা: জামালপুরের ইসলামপুরে ভুয়া সমন্বয়কদের চাঁদাবাজি, মামলা বাণিজ্য ও ছাত্রলীগের অপতৎপরতার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতা।

২২ ডিসেম্বর দুপুরে বিক্ষোভ মিছিলটি ইসলামপুর সরকারী কলেজ থেকে বের হয়ে শহরের বটতলা চত্তরে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান সানিম, সাইম খান, সাব্বির খান লোহানী প্রমুখ।

বক্তারা, গোয়ালের চর ইউনিয়নে ছাত্রলীগের মিছিল,ভুয়া সমন্বয়কদের চাঁদাবাজি ও সাধারণ জনগনকে হয়রানি বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান।


আরও খবর



গজারিয়ায় নারী উদ্যোক্তাদের উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালার প্রশিক্ষণার্থীদের ভাতা চেকের অর্থ আত্মসাতের চেষ্টা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ | ১৮জন দেখেছেন

Image

গজারিয়া উপজেলা প্রতিনিধি: গজারিয়ায় নারী উদ্যোক্তাদের উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালা ও প্রশিক্ষণ ভাতার চেক আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে লিপি নামে এক নারীর বিরুদ্ধে। সে ভবেরচর ইউনিয়নের কালীতলা ব্রিজ সংলগ্ন মাসুদ মিয়ার স্ত্রী বলে জানা গেছে। সে জাতীয় মহিলা সংস্থা হতে বিজনেস ম্যানেজমেন্ট এর প্রশিক্ষণার্থী ছিল ।


অভিযোগের ভিত্তিতে ভুক্তভোগীদের নিকট থেকে জানা যায় গত

মঙ্গলবার (৬ জানুয়ারী) বেলা ২ টায় মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা অডিটোরিয়ামে তৃণমূল পর্যায়ে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে নারী উদ্যোক্তাদের বিকাশ সাধনে উদ্ধুদ্ধকরণ কর্মশালা ও প্রশিক্ষণ ভাতা বিতরণ করা হয়।


অনুষ্ঠানে উপজেলা জাতীয় মহিলা সংস্থার বিভিন্ন ট্রেডের প্রশিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী সহ প্রায় তিনশ প্রশিক্ষাণার্থী উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় মহিলা সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত এ প্রশিক্ষণে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের বিউটিফিকেশন, ক্যাটারিং, ফ্যাশন ডিজাইন, ইন্টেরিয়র ডিজাইন এন্ড ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ৩য় ও ৪র্থ্ এবং বিজনেস ম্যানেজমেন্ট এন্ড ই-কমার্স ট্রেডের ৫ম,৬ষ্ট ও ৭ম, ৮ম ব্যাচের ৩০০ প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে ৩০ লক্ষ  টাকার প্রশিক্ষণ ভাতার চেক বিতরণ করা হয়।      প্রশিক্ষণার্থীদের প্রায৪০/৮০দিনের প্রতিদিন দেড় শ’ টাকা সম্মানী হারে প্রত্যেককে ছয় হাজার থেকে বারো হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়।


ভুক্তভোগী শাহিনুর আক্তার ফ্যাশন ডিজাইন, রাজিয়া সুলতানা ও রাবেয়া আক্তার ক্যাটারিং ট্রেড থেকে প্রশিক্ষণার্থী হিসাবে ভাতার চেক গ্রহণ করেন। ভুক্তভোগীরা   গণমাধ্যম কর্মীদের জানান  শ্রীনগর, চরপাথালিয়া, লক্ষ্মীপুরা কয়েকটি গ্রামে প্রশিক্ষণার্থীদের বাড়িতে গিয়ে প্রায় ৫০ জনের নিকট হতে ভাতার চেক নিয়ে নেন লিপি আক্তার। এবং বলে তোমরা তো প্রশিক্ষণ গ্রহণ করো নাই এই টাকা হতে দুই থেকে তিন হাজার টাকা পাবা বাকি টাকা অফিসের চারজনকে দিতে হবে নতুবা এই টাকা সরকারের ঘরে ফেরত যাবে।

এই কথা বলার পর প্রশিক্ষনারতীরা সেই ভাতার চেক লিপি আক্তারের নিকট তুলে দেন। লিপি আক্তার বলেন দুয়েক দিনের মধ্যে তোমাদের টাকা আমি পৌঁছে দেব। সময় পার হওয়ার পর ভুক্তভোগীরা লিপির সাথে যোগাযোগ করলে টাকা ফেরত না পাওয়ায়  অনিয়মের বিষয়টি প্রকাশ পায়।



আরও খবর



মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে কার্টারের বড় সাফল্য-ব্যর্থতা কী

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৫ | ৫৭জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: জিমি কার্টার ১৯৭৭ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এই মেয়াদকালে তাঁর সাফল্যের মধ্যে অন্যতম ছিল ক্যাম্প ডেভিড শান্তি চুক্তি।

অবশ্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে কার্টারকে ঘিরে যথেষ্ট বিতর্কও ছিল। বিশেষ করে মার্কিন ভোটাররা তাঁকে একজন দুর্বল প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখেছিলেন। এ কারণে এক মেয়াদ শেষে তাঁকে হোয়াইট হাউস ছাড়তে হয়।


কার্টারের কর্মজীবনের যে উত্তরাধিকার, তা মূলত তাঁর হোয়াইট হাউস ছাড়ার পরের সময়ে প্রতিষ্ঠিত হয়।


স্থানীয় সময় গতকাল রোববার বিকেলে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের বাড়িতে কার্টার মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ১০০ বছর।

কার্টার প্রথম কোনো সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যিনি শতবর্ষে পা রেখেছিলেন। গত অক্টোবরে তিনি তাঁর ১০০তম জন্মদিন উদ্‌যাপন করেন।

কার্টারের প্রয়াণে তাঁর জীবনের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা তুলে ধরেছে বার্তা সংস্থা এএফপি।


পানামা খাল

মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে কার্টার তাঁর মেয়াদের প্রথম বছরে একটি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণে পদক্ষেপ নেন। তিনি পানামা খালের ব্যবস্থাপনা পানামার কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

গত শতকের শুরুর দিকে এই খাল খনন করা হয়। শুরু থেকে খালটি মার্কিন সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে ছিল।


১৯৭৭ সালের ৭ সেপ্টেম্বর কার্টার ও পানামার জাতীয়তাবাদী নেতা ওমর তোরিজোস পানামা খাল চুক্তি সই করেন। চুক্তির শর্ত মেনে ১৯৯৯ সালে পানামার কাছে খালটির নিয়ন্ত্রণ আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করে যুক্তরাষ্ট্র।

চুক্তি সইয়ের সময় কার্টার বলেছিলেন, বিশ্বের দেশগুলোর সঙ্গে চুক্তির কেন্দ্রে থাকা উচিত ন্যায্যতা, বলপ্রয়োগ নয়।

এই পদক্ষেপের জন্য কার্টারকে নিজ দেশে উপহাসের শিকার হতে হয়েছিল। তবে ইতিহাস অবশ্য এই চুক্তিকে কূটনীতির একটি নিপুণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখে আসছে।

কার্টারের মৃত্যুতে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পানামার বর্তমান প্রেসিডেন্ট হোসে রাউল মুলিনো বলেছেন, সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট পানামাকে নিজ দেশের পূর্ণ সার্বভৌমত্ব অর্জনে সহায়তা করেছিলেন।


রাজনীতিতে নৈতিকতা

কার্টার হোয়াইট হাউসে এসে তাঁর পূর্বসূরিদের চর্চা করা ‘অনৈতিক রাজনৈতিক’ বিষয় থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে উদ্যোগী হয়েছিলেন। তিনি মানবাধিকারকে তাঁর প্রশাসনে গুরুত্বের কেন্দ্রে রেখেছিলেন।

১৯৭৮ সালে মার্কিন নেভাল একাডেমিতে একটি বক্তব্য দিয়েছিলেন কার্টার। বক্তব্যে তিনি বলেছিলেন, ‘আমাদের প্রধান লক্ষ্য হলো এমন একটি বিশ্ব গঠনে সহায়তা করা, যা অর্থনৈতিক মঙ্গল, সামাজিক ন্যায়বিচার, রাজনৈতিক আত্মনিয়ন্ত্রণ ও মৌলিক মানবাধিকারের জন্য সর্বত্র মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতি আরও দ্রুত সাড়া দেয়।’

কার্টার ১৯৭৭ সালে নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের আন্তর্জাতিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন।


ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি

১৯৭৮ সালের সেপ্টেম্বরে কার্টার তৎকালীন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী মেনাচেম বেগিন ও মিসরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাতকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্প ডেভিডে আমন্ত্রণ জানান।

মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফেরাতে কার্টারের মধ্যস্থতায় ১৩ দিনের গোপন আলোচনার পর দুটি চুক্তি সই হয়। কার্টারকে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করার সময় এই চুক্তিকে (ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি) একটি কূটনৈতিক বিজয় হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছিল।



ইরান জিম্মি সংকট


১৯৭৯ সালের নভেম্বরে ইরান জিম্মি সংকটের সূত্রপাত হয়। ১৯৮১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত তা চলে।

ইরানের রাজধানী তেহরানে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসে ৫০ জনের বেশি আমেরিকানকে ৪৪৪ দিন জিম্মি করে রাখা হয়েছিল।


কার্টারের জন্য এই সংকট ছিল ‘অগ্নিপরীক্ষা’।


জিম্মি সংকটের অবসানে ১৯৮০ সালের এপ্রিলে একটি ব্যর্থ সামরিক অভিযান চালানও হয়। আর এই ব্যর্থতা একই বছরের শেষ দিকে কার্টারের পুনর্নির্বাচনের সম্ভাবনা শেষ করে দেয়।


আরও খবর



মধুখালীতে পেঁয়াজের চারা রোপণে ব্যস্ত কৃষক শ্রমিক

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ | ২৪জন দেখেছেন

Image

সজীব মোল্লা (মধুখালী প্রতিনিধি):  মধুখালীতে চলতি মৌসুমে পেঁয়াজ চাষে ব্যন্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। পেঁয়াজের দাম ভালো পাওয়ার আশায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পেঁয়াজ চাষে ঝুঁকেছে চাষিরা। তবে দেশীয় পেয়াজের চেয়ে হাইব্রিড জাতের কিং পেঁয়াজ বেশি লাগানো হচ্ছে।


চাষিরা বলছেন অল্প খরচে ভালো ফলন হওয়ায় এই হাইব্রিড জাতের কিং পেঁয়াজ লাগানো হচ্ছে। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা যায়, কৃষকরা তীব্র শীত উপেক্ষা করে পেঁয়াজের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। পেঁয়াজের খেত পরিচর্যায় ব্যস্ত তারা। স্থানীয় কৃষকরা জানান, ভোরে থেকে সারা দিন ধরে পেঁয়াজ ক্ষেত পস্তুত করতে হয়। জমি চাষ দেওয়ার পর জৈব ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ করে পেঁয়াজের চারা রোপনের উপযুক্ত করা হয়। ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ফসলি জমিতে দলবেঁধে পেঁয়াজের চারা রোপণে ব্যন্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। পেঁয়াজের চারা রোপণের জমিতে একসঙ্গে প্রায় ২০ থেকে ৩০ জন কৃষক পেঁয়াজের চারা রোপণ করে থাকেন।


উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ব্যাসদী গ্রামের কৃষক মোঃ রাসেল আহমেদ বলেন, এ বছর দেড় একর জমিতে পেঁয়াজ লাগাচ্ছি। স্থানীয় শ্রমিক ঠিকমতো না পাওয়ায় পাশের উপজেলা বোয়ালমারী থেকে মিনি ট্রাকে শ্রমিক এনে পেঁয়াজ লাগাচ্ছি। ফলন ও দাম ভাল পেলে আমারা লাভবান হব। একই ইউনিয়নের হাটঘাটা গ্রামের মোস্তফা কামাল বলেন ১লক্ষ টাকার পেঁয়াজের চারা করেছিলাম।চারা ভাল না হলেও দুই  একর  জমিতে পেঁয়াজের চারা রোপণ করেছি । আশা করছি  ফলন ভাল হলে লাভবান হবো। 


কামালদিয়া ইউনিয়নের কৃষক মোঃ শহিদুল বলেন,পেঁয়াজ চাষে এখন খরচ অনেক বেশি। পেঁয়াজ বীজের দাম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। যদি ভালো দাম না পায় তাহলে লোকসান গুনতে হবে। চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার থেকে বেশি জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। উপজেলার পেঁয়াজ চাষিরা এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ক্ষেত পরিচর্যায়। পেঁয়াজ রোপনে জনপ্রতি ৫০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা করে মজুরি দেয়া হচ্ছে। আগামী ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যেই পেঁয়াজ রোপণ সম্পন্ন হবে। মধুখালী উপজেলার কৃষি অফিসার মোঃ মাহাবুব ইলাহী বলেন,পেঁয়াজ চাষে কৃষকদের প্রয়োজনীয় প্রণোদনা প্রদান এবং প্রযুক্তির ব্যবহার ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দিলে পেঁয়াজ চাষে কৃষকরা লাভবান হবেন। এ বছর পেঁয়াজের আবাদ ৩ হাজার ৫শ হেক্টর ধরা হয়েছে। যা গত বছরে ছিল ৩ হাজার ৪৫০ হেক্টর। পেঁয়াজ আবাদের লক্ষমাত্রা এ বছর ছাড়িয়ে যাবে বলেও আশা করছেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত হলে পেঁয়াজ চাষে আরও অনেকে আগ্রহী হবেন বলে মনে করছেন কৃষকরা।


আরও খবর



কলাপাড়ায় তারুন্যের কারুপন্য ও কৃষি পন্য মেলার উদ্বোধন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ | ২২জন দেখেছেন

Image

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:  এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই প্রতিবাদ্য বিষয় নিয়ে কলাপাড়ায় তারুন্যের কারুপন্য ও কৃষি পন্যের মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে এগারোটায় উপজেলা প্রশাসন মাঠে উপজেলা প্রশাসনের উদ্দোগে ২০ দিন ব্যাপি এ মেলার আয়োজনে করা হয়। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম ও কলাপাড়া সেনা ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার কবির হোসেন, কলাপাড়া সহকারী কমিশনার ভ‚মি কৌশিক আহমেদ,  প্রেসক্লাব সভাপতি হুমায়ুন কবির, কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান চুন্নু, পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক মুছা তাওহীদ নান্নু মুন্সি সহ উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মী ও গনমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 

মেলায় শতাধিক কারুপন্যের স্টল বসেছে। এছাড়া উপজেলার কৃষকদের উৎপাদিত বাছাকৃত কৃষিপন্য, ফসল উৎপাদন, সংরক্ষন, মাড়াই ও ঝাড়াই প্রযুক্তির প্রদর্শন করা হয়। 

মাসব্যাপী এ উৎসবে বৌছি, নৌকা বাইচ, দাড়িয়াবন্ধা, কানামাছি, কুত কুত, হাড়িভাঙ্গা, দড়ি টানাটানি ও মার্বেল খেলা সহ গ্রামীন খেলার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। 

বিভিন্ন কর্মসূচিতে তরুনদের স¤পৃক্ত করতে ও তাদের আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যেই এ আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজক কমিটি।

উদ্ধোধণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, কলাপাড়ায় প্রথমবারের মতো এ উৎসবে বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ আধুনিক সকল পণ্যের সমাহার থাকবে এ মেলায়।



আরও খবর