Logo
আজঃ শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3
শিরোনাম

শাকিব খান-সোনাল চৌহান কেমিস্ট্রি ‘জাস্ট লুকিং লাইক আ ওয়াও’!

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৩৫জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক : শাকিব খানকে জড়িয়ে ধরে ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করেছেন বলিউড অভিনেত্রী সোনাল চৌহান। ছবিটি সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ‘দরদ’ সিনেমায় শাকিব-সোনালের কেমিস্ট্রি যে দারুণভাবে জমে উঠেছে, তা রোম্যান্টিক মুডের ওই ছবিটি দেখেই অনুমান করা যাচ্ছে। এই জুটির ছবিটি দেখে মুগ্ধ ভক্তরাও। ছবিটি দেখার পর এই জুটিকে তারা বলছেন, ‘জাস্ট লুকিং লাইক আ ওয়াও’!

সোনালের ইনস্টাগ্রাম পোস্ট দেখলে এমন অনেক মন্তব্য চোখে পড়বে যেখানে অনুসারীরা জানাচ্ছেন, এই জুটির রোমান্স দেখার অপেক্ষায় মুখিয়ে আছেন তারা। সোনালের পোস্ট করা ছবিটিতে ভালোবাসার ইমোজি দিয়ে ভরিয়ে দিচ্ছেন অনুসারীরা।

জানা গেছে, জাহিদ আকবরের লেখা বালামের গাওয়া একটি গানের শুটিং দৃশ্য এটি। রণবীর কাপুর ও আলিয়া ভাটের ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ সিনেমার ‘কেশারিয়া’ গানের শুটিং যেখানে হয়েছে, একই লোকেশনে শাকিব-সোনালের রোম্যান্টিক গানটির দৃশ্যধারণ সম্পন্ন হয়েছে।

গত অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকে ‘দরদ’ সিনেমার টানা শুটিং চলেছে। এরপর ১৭ নভেম্বর সিনেমাটির শুটিং শেষ হয়। এটি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ থেকে নির্মিত প্রথম সর্বভারতীয় সিনেমা। শাকিবের বিপরীতে অভিনয় করছেন বলিউড অভিনেত্রী সোনাল চৌহান। বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ ও মুম্বাইয়ের যৌথ প্রয়োজনায় এতে অভিনয়ে থাকছেন দুই দেশের পরিচিত শিল্পীরা।

এই সিনেমায় শাকিব খানের নায়িকা সোনাল চৌহান যিনি ইমরান হাসমি, প্রভাস, অমিতাভ বচ্চনসহ তামিল, তেলুগুর নামকরা অভিনেতাদের সঙ্গে অভিনয় করেছেন। ‘দরদ’ সাইকো থ্রিলার রোম্যান্টিক ধাঁচের সিনেমা। আগামী বছর ভালোবাসা দিবসে এটি বাংলাদেশ ও ভারতসহ ২০টির বেশি দেশে একযোগে মুক্তি পাবে।

সিনেমাটির পরিচালক অনন্য মামুন জানান, যেহেতু প্যান ইন্ডিয়ান সিনেমা ‘দরদ’, তাই বাংলার পাশাপাশি হিন্দি, তামিল, তেলেগু ও মালায়ালাম ভাষায় ডাবিং করে মুক্তি দেওয়া হবে।


আরও খবর



‘এই হত্যাকাণ্ড থামুক, শিশুরা খেলা করুক রোদেলা মাঠে’

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৩৬জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক : ‘এই হত্যাকাণ্ড থামুক। শিশুরা খেলা করুক রোদেলা মাঠে, খেজুর গাছের নিচে। নিজের দেশে দেশছাড়া এই মানুষগুলো নিজেদের ঘরে ফিরুক। ওদের বাঁচানোর জন্য পৃথিবীর বড় বড় মানুষেরা কি এক হতে পারেন না? এটা কি খুব বড় প্রত্যাশা?’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই এভাবেই নিজের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান।

ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর এই নৃশংসতায় অনেকটা মুষড়ে পড়েছেন এই অভিনেত্রী। তাইত এই নৃশংসতা বন্ধে বিশ্বনেতাদের এগিয়ে আহবান জানান তিনি।

ক্যারিয়ারে ভালো সময় কাটাচ্ছেন অভিনেত্রী। কয়েকদিন আগেই পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। তার আগে ওপার বাংলায় একে একে দুইটি হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন। এছাড়া আগামীকাল যোগ দিবেন গোয়া চলচ্চিত্র উৎসবে। এতকিছুর মাঝেও তার মন কাঁদে ফিলিস্তিনের শিশুদের জন্য।

আজ (১৯ নভেম্বর) ফেসবুকে তিনি লেখেন, ‘ফিলিস্তিনের ছবি দেখছি অনলাইনে, খবরের কাগজে, টেলিভিশনের পর্দায়। বোমা ফেলা হচ্ছে নিরীহ মানুষজনের ওপর। আক্রমণ চলছে হাসপাতালেও। একটি ছবিতে দেখেছিলাম পরিবারের সবাই মারা পড়েছেন, আর সবার লাশের সামনে বসে আছেন বেঁচে যাওয়া একজন মাত্র মানুষ।’

তিনি আরও লেখেন, ‘এসব দেখেশুনে মনটা ভেঙে যায়। আবার মনটাকে সরিয়ে কাজে নেমে পড়ি। নতুন মুক্তি পাওয়া ছবির প্রচারে যাচ্ছি, যোগ দিচ্ছি পুরস্কারের অনুষ্ঠানে, গোয়া চলচ্চিত্র উৎসবে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এর জন্য মনে অপরাধ–অপরাধও লাগে। আমার বা আমাদের জীবন তো চলছে, কিন্তু ওদের জীবন তো প্রতিটা মুহূর্তে মৃত্যুর মুখোমুখি। তাদের অসহায়তা দেখে গলাটা বুঁজে আসে।’

আজ গোয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়লেন জয়া আহসান। ২০ নভেম্বর উদ্বোধন হতে যাওয়া এই উৎসবে অংশগ্রহন করেছে জয়ার পাঁচটি সিনেমা। ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত চলা এই উৎসবে প্রিমিয়ার হচ্ছে জয়ার প্রথম হিন্দি সিনেমা ‘কড়ক সিং’ এবং প্রথম ইরানি ছবি ‘ফেরেশতে’। এর বাইরে বিভিন্ন বিভাগে লড়াই করবে জয়াভিনীত টলিউডি সিনেমা কৌশিক গাঙ্গুলির ‘অর্ধাঙ্গিনী’, সুমন মুখোপাধ্যায়ের ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’ আর সায়ন্তন মুখোপাধ্যায়ের ‘ঝরা পালক’।


আরও খবর



সাংবাদিককে হত্যার হুমকি ভূমিদস্যু ওসমান ও ইমরানের বিরুদ্বে,থানায় ডায়েরি

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৪৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জের ওসমান গনি ও তার ছেলে ইমরান নামটা গুণবাচক মনে হলেও কাজ উলটো। ওসমান গণির কাজই হল মানুষের সাথে প্রতারণা, ভূমিদস্যুতা, জবরদখল, জাল দলিল তৈরি, বায়না করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া। এমন অসংখ্য ভুক্তভোগীর মাজে ডেমরার দুই বোন রিনা বেগম ও শাহিনুর ইসলাম।

ভুক্তভোগ রিনা বেগম মরণব্যাদী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়লেও ভূমিদস্য ওসমানের মন গলেনি এক সুতাও। অন্য ভুক্তভোগী ছোট বোন শাহিনুর ইসলাম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির স্বপক্ষে একজন মাদকবিরোধী যোদ্ধা তিনি মাদক প্রতিরোধ ও কল্যাণ সোসাইটির কেন্দ্রীয় কমিটির মহিলা সম্পাদিকা ও দৈনিক আমাদের কন্ঠের রিপোর্টার।

ভুক্তভোগী দুই বোন বলেন ওসমান ২০১২ সালে আমাদের কাছ থেকে কয়েক দফায় নগদ ৪৭ লক্ষ টাকা সহ সর্বমোট নিরানব্বই লক্ষ টাকা হাওলাত নেয় দুই মাসের জন্য। দুই মাসের জন্য নিয়ে ওসমান প্রতারণা করে আজ ১১ বছর পার করে দেয়। টাকা হাওলাত হলেও টাকাগুলো আত্মসাৎ করার জন্য দশ কাঠা জমি লিখে দেন আমাদের দুই বোনের নামে।

আবার সেই জমি ২০১৭ সালে গুলিস্তানের সন্ত্রাসী কালা বাচ্চুর অফিসে ডেকে নিয়ে পিস্তল ঠেকিয়ে লিখে নেন ওসমান। জমিটি যেদিন লিখে নেন সেদিন ওসমান চার লক্ষ টাকা দিয়ে বলে দ্রুত বাড়ি চলে যাও বাকি টাকা আমি নিয়ে আসতেছি বাড়াবাড়ি করলে বুঝোই তো কি হইতে পারে।

ভুক্তভোগী দুই বোনের ঘটনাটি হুবহু ১৮ই সেপ্টেম্বর ২০২২ ও ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ জাতীয় দৈনিক আমাদের কন্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত হলে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমান ওসমান ও ইমরানকে ধরার জন্য একাধিকবার অভিযান চালায়। পুলিশের অভিযান থেকে বাঁচতে ভুক্তভোগী রিনা ও শাহিনুরের হাত পাও ধরে এক মাস সময় নিয়ে আবারো নতুন প্রতারণা করে।

তৎকালীন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমান আপ্রাণ চেষ্টা করেও ভূমি দস্য ওসমানের কাছ থেকে অস্ত্রটি উদ্ধার করতে পারেনি।সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ব্যর্থ হলেও থেমে নাই রিনা ও শাহিনুর ইসলাম। সর্বশেষ ২-১১-২৩ তারিখে ভুক্তভোগীরা ডেমরা থানা হাজির হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন ওসমানের ও ইমরানের বিরুদ্ধে।

যার তদন্ত কর্মকর্তা ডেমরা থানার এসআই তৌহিদুল ইসলাম ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত ওসমান গনিকে থানায় ডেকে আনলে ওসমান গনি তার ছেলে ইমরান এক চাচাতো ভাই এবং একজন সিআইডি ইন্সপেক্টর ও এশিয়ান টিভির প্রতিনিধি ফারুককে থানায় ডেকে এনে বিষয়টি সুরাহা করার চেষ্টা করেন।

এই সময় ডেমরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সেলিম নিজামী উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগের বাদী ভুক্তভোগী রিনা ও শাহিনুর ইসলাম বিবাদী ওসমান এবং উপস্থিত সকলের সম্মুখে ওসমান গনি ও তার ছেলে ইমরান ৬০ দিনের ভিতরে নগদ ২০ লক্ষ টাকা ফেরত দিবেন মর্মে সমঝোতা হয়। এই সময় অভিযুক্ত ওসমানের ও তার ছেলে ইমরানের পুরো দায় দায়িত্ব নেন সিআইডি অফিসার।

এই ২০ লক্ষ টাকার প্রথম দুই লক্ষ টাকা গত ২৩-১১-২৩ তারিখে ডেমরা থানায় হাজির হয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও প্রতারক ও ভূমি দস্য ওসমান ও তার ছেলে কথিত সাংবাদিক ও ডেমরা প্রেসক্লাব থেকে বহিষ্কৃত নজরুল ইসলাম বাবুকে সাথে নিয়ে অভিযোগের বাঁদিকে চিটাগাং রোড গিয়ে টাকা আনার জন্য বারবার চাপ প্রয়োগ করেন।

ভুক্তভোগী বিষয়টি ডেমরা থানার অফিসার ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম ও তদন্ত কর্মকর্তা এস আই তহিদুল ইসলামকে অবগত করলে তাদেরকে যেতে নিষেধ করেন। ভুক্তভোগী বলেন আমাদেরকে একবার পিস্তল ঠেকিয়ে জোরপূর্বক জাগা লিখে নিয়েছে কৌশলে টাকাগুলো আত্মসাৎ করেছে এখন টাকাগুলো আমরা যাতে না নিতে পারি এইজন্য ওসমান ও তার ছেলে ইমরান কৌশলে আমাদেরকে গুম করার জন্য চিটাগাং রোড ডেকেছে।

ভুক্তভোগীরা আরও বলেন আমরা তো আইনের কাছে গিয়েছি আপনারা আসেন থানায় এসে উপস্থিত সকলের সামনে টাকাগুলো বুঝিয়ে দেন ওসমান ও তার ছেলে তার প্রতি উত্তরে বলেন আমরা থানায় যাব না পুলিশ এবং সাংবাদিক খারাপ লোক তাদেরকে আমরা মানি না। ভুক্তভোগী শাহিনুর ও রিনা বেগম বলেন ওসমান ও তার ছেলে এতটা দুর্ধর্ষ তারা পুলিশকে মানে না আইন মানে না সাংবাদিক মানে না এইজন্য এখন আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি যেকোনো সময় টাকাগুলো মেরে দেওয়ার জন্য আমাদেরকে গুম খুনের মত জঘন্য কাজ করতে পারে।

ঘটনার বিষয়ে উপস্থিত ডেমরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এবং মাদক প্রতিরোধ ও কল্যাণ সোসাইটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ সেলিম নিজামী ন্যায্য হক কথা বলার কারণে অভিযুক্ত ওসমান গনি ও তার ছেলে ইমরান শেখ এর ব্যবহৃত মোবাইল নং ০১৬৭১ ৫০৮৫১৮ নাম্বার থেকে ফোন করে সেলিম নিজামীকে হত্যার হুমকি দেন।

হুমকির বিষয়ে সেলিম নিজামী ডেমরা থানায় হাজির হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন যাহার নং ১১৯৪/-- ২৫/ ১১/ ২০০৩ সেলিম নিজামীকে হত্যার হুমকি বিষয়ে মুফাস্বল সাংবাদিক ফোরাম, এফবি জেও, আর জে এপ, যাত্রাবাড়ী সাংবাদিক ক্লাব, শ্যামপুর প্রেসক্লাব, ডেমরা প্রেসক্লাব, পতুল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটি, কুমিল্লা প্রেস ক্লাব, সাংবাদিক ইউনিয়ন, ফটো জানা লিস্ট ফোরাম সহ একাধিক সাংবাদিক সংগঠন তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

এবং হুমকি দাতা ওসমান ও ইমরানকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। হুমকির বিষয়ে ভুক্তভোগী সেলিম নিজামী ডেমরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন এবং তাদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে হুমকি দাতাদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করে।


আরও খবর



ক্ষমা চাইলেন ছবির নির্মাতারা, এখনো চুপ এ আর রহমান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | ৩৩জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক : ‘পিপ্পা’ ছবিতে বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ‘কারার ওই লৌহ কপাট’ গানের সুর বিকৃতির অভিযোগ উঠেছে সুরকার এ আর রহমানের বিরুদ্ধে। এরপরই এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ শুরু হয়। কড়া সমালোচনার মুখে অবশেষে ক্ষমা চাইলেন ছবিটির নির্মাতারা। আনন্দবাজার

গত শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে রাজা কৃষ্ণ মেনন পরিচালিত ছবি ‘পিপ্পা’। এই ছবিতে কাজী নজরুল ইসলামের ‘কারার ওই লৌহ কপাট’ গানটিতে সুর বিকৃতি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশে একযোগে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ। ছবির সংগীত পরিচালক এ আর রহমান।

বিগত কয়েক দিনে বাংলার সাংস্কৃতিক জগতের বিশিষ্টরা বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। কিন্তু গত রোববার পর্যন্ত ছবির নির্মাতা বা রহমান কারো পক্ষ থেকেই কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে সোমবার বিকালে এই বিতর্ককে মাথায় রেখে বিবৃতি দিলেন ‘পিপ্পা’ ছবির অন্যতম প্রযোজক সিদ্ধার্থ রয় কপূর (রয় কপূর ফিল্মস)।

এই প্রসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘এই গানকে ঘিরে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেখানে প্রযোজক, পরিচালক এবং সংগীত পরিচালক হিসেবে আমরা নজরুল পরিবারের থেকে প্রয়োজনীয় স্বত্ব নেওয়ার পরই শিল্পের খাতিরে গানটিকে তৈরি করেছি।’

নির্মাতারা লিখেছেন, ‘নজরুল ইসলাম ও তার সৃষ্টির প্রতি আমাদের মনে গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে।’ এরই সঙ্গে নজরুলের পুত্রবধূ কল্যাণী কাজী এবং তার পুত্র কাজী অনির্বাণের থেকে যাবতীয় নিয়ম মেনে যে এই গানের স্বত্ব নেওয়া হয়েছিল, সে কথাও ঐ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

উল্লেখযোগ্য বিষয়, এর আগে নজরুল পরিবারের তরফে আনন্দবাজার অনলাইনকে অনির্বাণ জানান যে, গানের কথা ব্যবহার করা হলেও সুর বদলানো যাবে না, এই মর্মেই তারা নির্মাতাদের স্বত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু বিবৃতিতে রয় কপূর ফিল্মস জানিয়েছে, ‘গানটির ঐতিহাসিক তাত্পর্যকে শ্রদ্ধা জানানোই আমাদের উদ্দেশ্য ছিল। গানের কথা ব্যবহার ও সুরের পরিবর্তন চুক্তি অনুযায়ী করা হয়েছে।’ সবশেষে ঐ বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘আমরা মূল গানটিকে ঘিরে শ্রোতাদের আবেগকে সম্মান করি। শিল্প যেহেতু ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গির ওপর নির্ভরশীল, সেখানে আমাদের পদক্ষেপ যদি কারো আবেগে আঘাত করে থাকে, তার জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।’


আরও খবর



শিশুর বেছে বেছে খাবার খাওয়ার অভ্যাস দূর করবেন যেভাবে

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৩৯জন দেখেছেন

Image

সাধারণত অভিভাবকরা মনে করেন যে শিশুরা সব ধরনের খাবার নাও খেতে পারে। প্রি-প্যাকেজড কিড-সাইজ স্ন্যাকস যেমন চিকেন নাগেটস, স্যান্ডউইচ শিশুদের পছন্দের খাবার। কিন্তু মায়েরা সচরাচর এমন খাবার শিশুদের খেতে দিতে চান না যদি শিশুটি জোর না করে। শিশুর জন্য অভিভাবকরা যে ধরণের খাবার তৈরি এবং পরিবেশন করে সেটি পরিবর্তন করা দরকার। কিন্তু বাবা-মা চাইলেই তাদের দুশ্চিন্তা দূর করতে পারে যদি তারা কিছু নিয়ম মেনে চলে। আসুন জেনে নিই সেই নিয়মগুলো-

১. খাবারকে না বলা চলবে না
বাসায় শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্কদের কোনো খাবার নিয়ে অভিযোগ করার সুযোগ রাখবেন না। এর মানে তাদের সব খাবারই খেতে হবে তেমনও নয়। কিন্তু খাবারকে না বলা চলবে না। সব খাবার শরীরে পুষ্টি জোগায়। শিশুদেরকে এটি বোঝানো উচিত। প্রত্যেক খাবারেরই নিজস্ব গুণ আছে। যারা অনেক কষ্ট করে রান্না করে শিশুরা খাবার না খেলে তারাও মনে কষ্ট পায়। ক্ষুধার্ত না থাকলে কাউকে খাবারের জন্য জোর করা উচিত নয়। খাবারের টেবিলে অবশ্যই খুশি মনে বসতে হবে। তাতে খাদ্য পরিপাক ভালোভাবে হয় এবং ভালো ঘুমও হয়। যেকোনো খাবার নিয়ে বলা উচিত না যে এটা ভালো না। এতে শিশু পরবর্তীতে ওই খাবার আর খেতে চায় না।

২. খাবার খাওয়াকে স্বাভাবিক অভ্যাস হিসেবে গড়ে তুলুন
শিশুরা খাবার খায় শরীরে পুষ্টি জোগাতে। তাই অভিভাবকের উচিত সঠিক নিয়মে খাবার দেওয়া। খাবার শেষ করতে পারলে পুরস্কার পাবে- শিশুকে কখনো এ ধরনের কথা বলবেন না। তাহলে ওরা ধরে নেবে যে খাবার খাওয়া একটি কষ্টের কাজ যা শেষ করতে পারলে পুরস্কার পাওয়া যায়। বরং খাবার খাওয়াকে প্রতিদিনের সাধারণ অভ্যাস হিসেবেই গড়ে তুলুন। এমনকী শিশুর জন্মদিনেও অনেক পদের আয়োজন করার প্রয়োজন নেই। এর বদলে তাকে এই বিশেষ দিন উপলক্ষে পছন্দের কিছু কিনে দিন, ঘুরতে নিয়ে যান। আবার শাস্তি হিসাবে কখনোই শিশুর খাবার বন্ধ করা ঠিক না। এতে শিশু মনে কষ্ট পাবে এবং দুর্বল হয়েও পরবে। তবে অস্বাস্থ্যকর খাবারও দেয়া চলবে না। তাদেরকে বুঝাতে হবে কোনটি তাদের জন্য ঠিক। শিশুদেরকে খুশি রাখতে মাঝে-মধ্যে তাদের জন্য ভালো খাবার রান্না করা উচিত । এতে তাদের মনও ভালো থাকবে এবং তারা খুশিও হবে। মূলত যখন তারা কোনো ভালো কিছু করবে তখন তাদের উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে এটি করতে পারেন। কিন্তু কোন খারাপ কাজ করলে শাস্তি না দিয়ে অবশ্যই বোঝাতে হবে।

৩. শিশুর ক্ষুধা নষ্ট হতে দেবেন না
অনেকেরই খাওয়ার সময় চলাফেরা করার অভ্যাস রয়েছে যার ফলে ক্ষুধা নষ্ট হয়ে যায়। বিশেষ করে শিশুরা নানা অজুহাতে এই কাজটি করে থাকে। কিন্তু তাতে আরও ক্ষতি হয়ে যায়। তাই এই কাজ তাদের করতে দেয়া যাবে না। সঠিক সময়ে খাবার দিলে শিশুরা যেকোনো খাবারই খুশি হয়ে খেয়ে নেয়। এতে তাদের খালি পেটেও বেশিক্ষণ থাকতে হয় না। পরবর্তী খাবারের জন্যও তারা উৎসাহিত থাকে। অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার জন্য ক্ষুধাকে অজুহাত হতে দেয়া যাবে না। শিশুর ক্ষুধা নিবারণে হালকা নাস্তা খাওয়ার অভ্যাস হতে দেয়া যাবে না।

৪. পারিবারিক কার্যকলাপের একটি অংশ
টিভি দেখার সময় শিশুকে খাওয়ানোর অভ্যাস করা উচিত নয়। তাতে সে পরিবারের সঙ্গে খাবার খাওয়ার আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়। শিশুরা পরিবারের সবার সঙ্গে খাবার খেলে তাদের সঙ্গে মধুর সম্পর্ক গড়ে উঠবে। সবার সঙ্গে খাবার খেলে শিশুরা গল্প করতে পারবে এবং পরিবারের সবার প্রতি টানও কাজ করবে। সবার জন্যে অবশ্যই একই রকমের খাবারের ব্যবস্থা করা উচিত, তাতে সবাই মিলেমিশে খাওয়াদাওয়া করা শিখবে। খাবারের সময়টি পারিবারিক কাজের অন্তর্ভুক্ত। তাই এই সময় বাকি যেকোনো কাজ থেকে দূরে থাকা উচিত।

৫. চেষ্টা করুন, আবার চেষ্টা করুন
যেসব শিশু খাবার বেছে খায় তদেরকে সুন্দর করে খাবারে পরিবেশন করতে হবে। যাতে খাবারগুলো তাদের কাছে সুস্বাদু লাগে এবং খুশি হয়ে খায়। বাচ্চারা যখন কোন খাবার পছন্দ না করে তখন তারা ভিন্ন খাবারের বায়না ধরে, তখন অভিবাবকরা শুধু বোঝায় যে খাবারগুলো স্বাস্থ্যসম্মত। শিশু কোনো খাবার খেতে না চাইলে তাকে জোর করা উচিত নয়। বরং বোঝাতে হবে যে এটি তাদের জন্য উপকারী।


আরও খবর

শুষ্ক ত্বকের যত্নে মধু

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩

শীতে লালশাক কেন খাবেন?

সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩




উত্তর চীনে প্রবল তুষারপাত, মঙ্গোলিয়ায় মৃত ৮

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৬২জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রবল তুষারপাতে বিপর্যস্ত চীনের হেলিয়ংজিয়াং প্রদেশ। পাশাপাশি মঙ্গোলিয়ায় তুষারপাতের ফলে মৃত আটজন পশুপালক।

হেলিয়ংজিয়াংয়ের রাজধানী হারবিনে প্রাথমিক স্কুল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বহু ট্রেন ও প্লেন শিডিউল বাতিল করা হয়েছে। প্রায় সব প্রধান সড়ক বন্ধ। এই প্রদেশের বিশাল এলাকা বরফের তলায় চলে গেছে।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে মানুষকে বলা হয়েছে, তারা যেন জরুরি কারণ ছাড়া বাইরে না আসেন বা অন্য জায়গায় যাওয়ার চেষ্টা না করেন।

হারবিন বিপর্যস্ত
হারবিনে প্রায় অর্ধকোটি মানুষ বসবাস করেন। টিভি ফুটেজে দেখা গেছে, সেই শহরে ট্রাক ও গাড়ির বিশাল সংযোগ রয়েছে।

বহু বিমান ও কয়েকশ ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। সংবাদপত্র চায়না ডেইলির খবরে বলা হয়েছে, ২৪ হাজার মানুষ রাস্তা থেকে বরফ পরিষ্কারের কাজ করছেন।

জিয়ামুসি শহরে একটি জিমের একটা অংশ ভেঙে পড়ে। সেখানে তিনজন আটকে পড়েছেন। তবে অতিরিক্ত বরফ পড়ার জন্য নাকি অন্য কোনো কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে তা স্পষ্ট হয়নি।

মঙ্গোলিয়ায় মৃত ৮
মঙ্গোলিয়াতেও প্রবল বরফ পড়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেখানে ছয়জন নারী, একজন পুরুষ ও একটি ১২ বছর বয়সী শিশুর মৃত্যু হয়। তারা তাদের পশুর সন্ধানে বাইরে গেছিলেন।


আরও খবর