Logo
আজঃ শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3
শিরোনাম

সারাদেশে র‍্যাবের ৪৬০ টহল দল, ২৩৫ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৩১জন দেখেছেন

Image

বিএনপি-জামায়াতসহ সমমনা দলগুলোর ডাকা ৪৮ ঘণ্টা হরতালের প্রথম দিন আজ রোববার (১৯ নভেম্বর) আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সারা দেশে র‍্যাবের ৪৬০টি টহল দল এবং ২৩৫ প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন রয়েছে।  

আজ রোববার সকালে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান ও বিজিবির জনসংযোগ শাখার কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম পৃথক বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

র‍্যাব কর্মকর্তা আ ন ম ইমরান খান বলেন, ‘রাজধানীতে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের (র‍্যাব) ১৬০টি টহল দলসহ সারা দেশে ৪৬০টি টইল দল মোতায়েন রয়েছে।’

এদিকে বিজিবির জনসংযোগ শাখার কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঢাকা ও আশপাশের জেলায় ২৮ প্লাটুনসহ সারা দেশে ২৩৫ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।’


আরও খবর



ভোলায় আমনের ধানের বাম্পার ফলন সম্ভাবনা

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৩৯জন দেখেছেন

Image

জেলায় চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৬৮ হেক্টর বেশি জমিতে আমনের আবাদ সম্পন্ন হয়েছে। জেলার ৭ উপজেলায় আমনের মোট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১ লাখ ৭৫ হাজার ৫৬৮ হেক্টর জমিতে। বিপরীতে আবাদ হয়েছে ১ লাখ ৭৫ হাজার ৯৩৬ হেক্টর। মাঠে বর্তমানে ফসলের অবস্থাও বেশ ভালো রয়েছে। ফসল কর্তনও শুরু করেছে কৃষকরা। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলনের কথা জানান সংশ্লিষ্টরা।

জেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, নির্ধারিত জমি থেকে ৫ লাখ ১৫ হাজার ৪৯৩ মে:টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এতে হেক্টরপ্রতি চাল পাওয়া যাবে ২ দশমিক ৯৩ মে:টন। এছাড়া সরকারিভাবে জেলার ১১ হাজার কৃষককে ১ বিঘা জমির অনুকূলে উন্নত জাতের বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে কৃষকরা ফসল কাটা শুরু করেছেন। আগামী মাসের প্রথম দিকের মধ্যে শতভাগ জমির ফসল কাটা হয়ে যাবে বলে কৃষি অফিস জানায়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ সহকারী উদ্বিদ সংরক্ষণ অফিসার মো: হুমায়ুন কবির বাসস’কে বলেন, জেলায় মোট আমন আবাদের মধ্যে সদর উপজেলায় হয়েছে ২৩ হাজার ৮০০ হেক্টর, দৌলতখানে ১৪ হাজার ৪২০, বোরহানউদ্দিনে ১৮ হাজার ১৫০, তজুমদ্দিনে ১১ হাজার ৮৬০, লালমোহনে ২৩ হাজার ৬০০, চরফ্যাশনে ৭১ হাজার ৮০৬ ও মনপুরায় ১২ হাজার ৩০০ হেক্টর জমি রয়েছে। এছাড়া জেলায় এবার বিভিন্ন প্রকল্পের অওতায় প্রায় ১ হাজার প্রদর্শনীর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

সদর উপজেলার রাজাপুর উনিয়নের কৃষক ফরাজ হোসেন, রুস্তম আলী ও লোকমান সুলতান বলেন, তারা ৫ একর জমিতে আমন ধানের চাষ করেছেন। এবছর বড় কোন প্রাকৃতিক বিপর্যয় না হওয়ায় তাদের ফসলের মাঠ ভালো রয়েছে। কৃষি অফিস থেকে পাচ্ছেন সব ধরনের পরামর্শ সেবা। বর্তমানে ধান কাটার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান তারা। অপর কৃষক আনোয়ার হোসেন ও সিদ্দিকুল্লা বলেন, এখন আর ধান কাটার জন্য শ্রমিক খুঁজতে হয়না। মেশিনের মাধ্যমে স্বল্প টাকা ও সময়ে অনেক বেশি ধান কাটা হয় বলে জানান।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো: হাসান ওয়ারিসুল কবীর বাসস’কে বলেন, জেলায় এবছর আমনের ব্যাপক আবাদ হয়েছে। রোগ-বালাই’র তেমন প্রভাব ছিলোনা। আমাদের মাঠ পর্যায়ের কৃষি অফিসাররা কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন। ব্রী-ধান ৫২,৪০, ৪৪, ৭১, স্বর্ণাসহ বেশ কিছু জাতের আবাদ হচ্ছে ভোলায়। তবে এর মধ্যে ব্রী-ধান ৭১ বেশ সম্ভাবনাময় একটি জাত। কৃষদেরও বেশ পছন্দ এ জাতটির। এটি আগাম কাটা যায়।

তিনি আরো বলেন, জেলায় প্রায় সোয়া ৩ লাখ কৃষক আমন চাষের সাথে যুক্ত রয়েছেন। আমরা তাদের বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছি। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে জেলায় আমনের বাম্পার ফলনের কথা জানান জেলার প্রধান এ কৃষি কর্মকর্তা।


আরও খবর



বিদ্যুৎ ও পানির ভর্তুকি থেকে সরে আসতে বললেন প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৩০জন দেখেছেন

Image

বিদ্যুৎ ও পানির ভর্তুকি থেকে সরে আসার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আয় অনুযায়ী ফি নির্ধারণ করতেও নির্দেশনা দিয়েছেন সরকার প্রধান।

বৃহস্পতিবার (০৯ নভেম্বর) শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভা শেষে এ তথ্য জানান পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। সভায় সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিকল্পনা সচিব সত্যজিৎ কর্মকারসহ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ৪৪টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৩৯ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে জিওবি ৩০ হাজার ১২৩ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক ঋণ থেকে পাওয়া যাবে ৭৬৮ কোটি টাকা।

পরিকল্পনামন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে বলেন, রাজধানীতে উঁচু ভবন নির্মাণে সতর্ক থাকতে একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী অনুশাসন দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, উঁচু ভবনের কারণে বিমান চলাচলে যেন এয়ার ফানেল তৈরি না হয়। এছাড়া, মহাসড়কের সংস্কারের জন্য টোল আদায় করে তহবিল গঠনেরও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর। পাশাপাশি রাস্তার পাশে জলাধার রাখতে হবে।

একনেকে অনুমোদন পাওয়া প্রকল্পগুলো হচ্ছে
ঢাকার শেরেবাংলা নগর প্রশাসনিক এলাকায় বহুতল সরকারি অফিস ভবন নির্মাণ প্রকল্প। ঢাকাস্থ তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য ১২৩টি ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্প। চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুন:খনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর অর্থনৈতিক অঞ্চলের সঙ্গে লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী ও ফেনী জেলার সংযোগকারী সড়ক যথাযথ মানে উন্নীতকরণ প্রকল্প। ইলিয়টগঞ্জ-মুরাদনগর-রামচন্দ্রপুর-বাঞ্ছারামপুর জেলা মহাসড়কটি যথাযথ মানে ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্প। রাজউক পূর্বাচল ৩০০ ফুট মহাসড়ক হতে মাদানী এভিনিউ সিলেট মহাসড়ক পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণ (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প।

সাতক্ষীরা-সখিপুর-কালীগঞ্জ মহাসড়ক এবং কালীগঞ্জ-শ্যামনগর-ভেটখালী মহাসড়ক যথাযথ মানে উন্নীতকরণ প্রকল্প। চার লেনে উন্নীত ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়ক (এন-১) (দাউদকান্দি-চট্টগ্রাম অংশ) এর চার বছরের জন্য পারফরম্যান্স-বেইজড অপারেশন ও দৃঢ়করণ (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প। ভাঙ্গা-যশোর-বেনাপোল মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীতকরণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ও ইউটিলিটি স্থানান্তর প্রকল্প। গাবতলী সিটি পল্লীতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ক্লিনারবাসীদের জন্য বহুতল বিশিষ্ট আবাসিক ভবন নির্মাণ (তৃতীয় সংশোধিত) প্রকল্প। ঢাকা পানি সরবরাহ নেটওয়ার্ক উন্নয়ন (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প। বর্ধিত ঢাকা পানি সরবরাহ রেজিলিয়েন্স প্রকল্প। ঢাকা স্যানিটেশন উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প।

বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বিভিন্ন রাস্তা উন্নয়ন, জলাবদ্ধতা নিরসন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন প্রকল্প। বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প। ঢাকাস্থ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের অধিকতর উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প। রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (আরএমইউ) স্থাপন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প। মুগদা মেডিকেল কলেজের প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ এবং আনুষঙ্গিক সুবিধা সম্প্রসারণ প্রকল্প। সাপোর্টিং ইপ্লিমেন্টেশন অব দ্যা মাদার অ্যান্ড চাইল্ড বেনিফিট প্রোগ্রাম প্রকল্প। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ, উন্নয়ন এবং আনুষঙ্গিক কাজ বাস্তবায়ন প্রকল্প। আইসিটি শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম জোরদারকরণের জন্য নেকটারের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম প্রকল্প। উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ (তৃতীয় সংশোধিত) প্রকল্প। ইমপ্রুভমেন্ট অব আরবান পাবলিক হেলথ প্রিভেনটিভ সার্ভিসেস প্রজেক্ট। যমুনা নদী টেকসই ব্যবস্থাপনা প্রকল্প-১ দুর্যোগ ঝুঁকি অর্থায়ন (কম্পোনেন্ট ৩) প্রকল্প। মহেশখালী অর্থনৈতিক অঞ্চল-৩ এর গ্যাস, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প। যশোর রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা প্রকল্প।

সুগন্ধা নদীর ভাঙন হতে ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলা ও নলছিটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা রক্ষা প্রকল্প। সমগ্র দেশে শহর ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ (দ্বিতীয় পর্ব) প্রকল্প। প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প। আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার নির্মাণ (তৃতীয় সংশোধিত) প্রকল্প। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, মৌলভীবাজার (প্রথম পর্যায়) প্রকল্প। মেহেরপুর সদরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন ও দেশের মধ্য পশ্চিমাঞ্চলের পরিবেশ-প্রতিবেশ উপযোগী গবেষণা কার্যক্রম জোরদারকরণ প্রকল্প। বঙ্গবন্ধু পিয়েরে এলিয়ট ট্রুডো কৃষি প্রযুক্তি কেন্দ্র স্থাপন এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণায় সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্প। পার্বত্য চট্টগ্রাম পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প। মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও রাজবাড়ী জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প।


আরও খবর

আবারও বাড়লো সোনার দাম

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




পাকিস্তানে বিষাক্ত ধোঁয়াশা, অসুস্থ হয়ে পড়ছেন হাজার মানুষ

প্রকাশিত:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৪৯জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় শহর লাহোরে বিষাক্ত ধোঁয়াশায় হাজার হাজার মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। জনস্বাস্থ্যের দিক বিবেচনায় সেখানের বেশ কয়েকটি শহরের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

শনিবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর লাহোরে এ দূষণ বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। লাহোরসহ তিনটি শহরে বেশ কিছু কার্যক্রম সীমিত করা হয়েছে। এসব শহরের স্কুল, কলেজ, অফিস, শপিংমল এবং পার্ক আগামী রবিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে পাঞ্জাব প্রাদেশিক সরকার।

গত কয়েকদিন ধরে লাহোরের বায়ুমানের সূচক (বাতাসে সূক্ষ্ম কণার মাত্রা একিউআই) ৪০০ এর কাছাকাছি চলে গেছে, যা গুরুতর বায়ুদূষণ হিসেবে বিবেচিত। কারণ, ১০০ বা তার নিচে একিউআই মাত্রাকে সাধারণত সন্তোষজনক বলে মনে করা হয়।  

লাহোরের কয়েকজন বাসিন্দা বলেছেন, প্রায়শই তাদের এ অঞ্চলের বাতাস বিষাক্ত হয়ে ওঠে। এটি সম্প্রতি ঘন ঘন ঘটছে। যা তাদের স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য দৈনন্দিন কাজকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

ভারতের রাজধানী দিল্লিতে বায়ু দূষণ উদ্বেগজনক মাত্রায় বাড়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ১০ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ৭ নভেম্বর ভারতীয় রাজধানীতে বায়ুর মানের সূচক ৩০০-তে পৌঁছেছিল।


আরও খবর



মহামারিতে রূপ নিচ্ছে ডায়াবেটিস, ভুগছে ১ কোটি ৩১ লাখ মানুষ

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | ৪৭জন দেখেছেন

Image

দেশে দিন দিন বাড়ছে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা, রূপ নিচ্ছে নতুন এক মহামারিতে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে দেশে প্রায় ১ কোটি ৩১ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসে ভুগছেন এবং সারা বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম। এমনকি আগামী চার বছরে এই সংখ্যা দ্বিগুণ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই অবস্থায় ধূমপান, তামাক নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ক্ষতিকর ফাস্ট ফুডের লোভনীয় বিজ্ঞাপন বন্ধেরও দাবি জানিয়েছেন তারা।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর শাহবাগে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এ কথা বলেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যেভাবে ডায়াবেটিসের রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, এতে বলাই যায় যে, শিগগিরই রোগটি মহামারি আকারে রূপ নিচ্ছে। বর্তমানে দেশে ডায়াবেটিসের যেই সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত আছে, আগামী চার বছরে এই সংখ্যা দ্বিগুণ হতে পারে। সে হিসেবে দেশের চারটি অসংক্রামক রোগের মধ্যে অন্যতম এই ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা ২০২৫ সালের মধ্যে দেড় কোটি ছাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের।

বক্তারা বলেন, ধূমপানে আসক্তদের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। অন্যদিকে ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগী যদি তামাক ব্যবহার করে তার ঝুঁকি পাঁচগুণ বেড়ে যাবে। বিশেষ করে যারা তরুণ বয়সে ধূমপান করে তারা পরবর্তীতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। এছাড়া তামাক জাতীয় সামগ্রী ও ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। তাই জর্দা, গুল এসব থেকে দূরে থাকতে হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশের ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি ডা. একে আজাদ খান বলেন, ফাস্ট ফুড ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বৃদ্ধি করছে। ফাস্ট ফুডের লোভনীয় বিজ্ঞাপন দেওয়া উচিত না। উন্নত দেশে স্কুল-কলেজের আশেপাশে বা বিজ্ঞাপনে ফাস্ট ফুডের বিজ্ঞাপন দেওয়া নিষেধ। সেখানে বাংলাদেশে স্কুল-কলেজ থেকে শুরু করে সব জায়গায় ফাস্ট ফুড থাকে। এছাড়া প্রত্যেকটি খাবারের গায়ে উপাদান সম্পর্কে লেখা থাকতে হবে। এতে মানুষ সচেতন থাকবে তার জন্য কোনটা ক্ষতিকর।

তিনি বলেন, গ্রামের চেয়ে শহরে ডায়াবেটিস রোগী বেশি। কিন্তু প্রি-ডায়াবেটিস গ্রামে বেশি। তাদেরকে যদি শহরে আনা হয় আর আরামে থাকে তাহলেই তাদের ডায়াবেটিস হবে। ৪০ বছর বয়স থেকে ডায়াবেটিস চেকআপ করা উচিত। আর যাদের ঝুঁকি বেশি তাদের ৩০ বছর থেকে চেকআপ করা প্রয়োজন।

বাংলাদেশ অ্যান্ডোক্রাইন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের ডায়াবেটিসপ্রবণ দেশ এবং বাস্তব পরিস্থিতি এর চেয়েও গুরুতর। বর্তমানে শহর ও গ্রামে প্রায় সমানভাবে বেড়ে চলেছে ডায়াবেটিসের রোগী। তাই গুরুতর অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে এখনই এটি প্রতিরোধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ এখন সময়ের দাবি।

তিনি বলেন, নগরায়ণের ফলে হাঁটার সুযোগ কমে গেছে, খেলার জায়গা নেই। তাই ফুটপাতগুলোকে অন্তত সুন্দর করতে হবে। যাতে সেখানে হলেও মানুষ চলাচল করতে পারে।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অ্যান্ডোক্রাইন সোসাইটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বারডেম হাসপাতালের পরিচালক (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. মো. ফারুক পাঠান, সোসাইটির সভাপতি (নির্বাচিত) ও ইউনাইটেড হাসপাতালের অ্যান্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান, সহ-সভাপতি ও বারডেম হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফারিয়া আফসানাসহ আরও অনেকে।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘ডায়াবেটিসের ঝুঁকি জানুন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন’।


আরও খবর

একদিনে ৮৭৭ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ৭

বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩




আল্লাহ বিশ্ব জাহানের একমাত্র সৃষ্টিকর্তা

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৬৬জন দেখেছেন

Image

ইসলমিক ডেস্ক : এ দুনিয়ায় যা কিছু আছে এগুলোর কোনোটিই নিজে নিজে পয়দা হয়নি। সবকিছুরই একজন স্রষ্টা আছেন। সেই স্রষ্টা হলেন মহান রব্বুল আলামিন। তিনিই বিশ্বজাহানের একমাত্র সৃষ্টিকর্তা।

সৃষ্টির সেরা : সব সৃষ্টির মাঝে মানুষ হচ্ছে সবচেয়ে সুন্দর, সর্বাপেক্ষা জ্ঞানী ও বুদ্ধিমান এবং সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ মর্যাদার অধিকারী। মানুষকে এ শ্রেষ্ঠত্বদানের কথা উল্লেখ করে পবিত্র কোরআনে আল্লাহপাক ইরশাদ করেন : ‘নিশ্চয়ই আমি আদম সন্তানকে মর্যাদা দান করেছি, আমি তাদের স্থলে ও জলে চলাচলের বাহন দান করেছি; তাদের উত্তম জীবনোপকরণ প্রদান করেছি এবং তাদের অনেক সৃষ্টবস্তুর ওপর শ্রেষ্ঠত্বদান করেছি। (বনি ইসরাইল : ৭০)।

সৃষ্টিকুলের পরিমাণ অসংখ্য-অগণিত : অনেকে বলেন, আল্লাহতায়ালা সর্বমোট ১৮ হাজার মাখলুকাত সৃষ্টি করেছেন। অথচ সৃষ্টিকুলের মোট সংখ্যা কারও জানা নেই। বরং সৃষ্টিকুল হচ্ছে অসংখ্য, অগণিত। সুবৃহৎ কলেবরে সুদীর্ঘ ৩০ খণ্ডে সমাপ্ত এক অসাধারণ তাফসির গ্রন্থের লেখক প্রখ্যাত মুফাসসির আল্লামা তানতাভি (রহ.) স্বীয় তাফসির গ্রন্থের ভূমিকায় লিখেছেন; লোকেরা বলে যে, আল্লাহতায়ালা সর্বমোট ১৮ হাজার মাখলুকাত সৃষ্টি করেছেন। লোকদের এ কথা শুনে আমি আল্লাহর বিভিন্ন সৃষ্টি সংখ্যা গুনতে শুরু করলাম। এক এক করে গুনতে গুনতে ১০ লাখ পর্যন্ত পৌঁছেছি। কিন্তু তাতেও গণনা শেষ হয়নি। গণনার বাইরে আরও অসংখ্য মাখলুক রয়ে গেছে। যাই হোক, জল ও স্থলভাগের সব সৃষ্টির মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হচ্ছে মানুষ। আল্লাহ মানুষকে সবকিছুর ওপর শ্রেষ্ঠত্বদান করেছেন। সবকিছু সৃষ্টির চেয়ে মানুষকে সর্বাপেক্ষা সুন্দর হিসেবে সৃষ্টি প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা বলেন, আমি মানুষকে সুন্দরতম অবয়বে সৃষ্টি করেছি। (সুরা তীন : ৪)।

মানুষকে সর্বশেষে সৃষ্টি করার রহস্য : আল্লাহতায়ালা সবকিছু সৃষ্টির চেয়ে মানুষকে সর্বাধিক সুন্দর করে বানিয়েছেন। সবকিছু সৃষ্টি করার পর সর্বশেষে মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। কেননা অন্যান্য সৃষ্টিকে বানানো আল্লাহর মূল লক্ষ্য ছিল না বরং মানুষকে সৃষ্টি করাই ছিল আল্লাহর মূল লক্ষ্য। তাই মানবজাতি হচ্ছে আল্লাহতায়ালার মূল লক্ষ্যবস্তু। ওয়াজ মাহফিলে যেরূপ বক্তা এবং শ্রোতার আগমনের আগেই সভাস্থলে বিছানা বিছানো হয়, লাইটিং করা হয় এবং মাইকের ব্যবস্থা করা হয়, যাতে শ্রোতারা পাক-পবিত্র পরিবেশে বসে বক্তার মুখে কোরআন-হাদিসের কথা শুনতে পারে। যথাযথভাবে দীনি আলোচনা করা ও তা শ্রবণ করার সুবিধার্থে বক্তা এবং শ্রোতাদের সভাস্থলে উপস্থিত হওয়ার আগেই উপরোল্লিখিত আনুষঙ্গিক কাজগুলো করে রাখতে হয় এবং সভা শেষে বক্তা ও শ্রোতারা যখন সভাস্থল ছেড়ে নিজ নিজ গন্তব্যে চলে যান তখন সেই বিছানাপত্র উঠিয়ে ফেলা হয়, লাইট খুলে ফেলা হয় এবং মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। তদ্রুপ আশরাফুল মাখলুকাত মানুষকে সৃষ্টি করার আগেই তাদের বসবাসের জন্য এ পৃথিবীকে সৃষ্টি করা হয়েছে। মানুষের জন্যই চাঁদ, সূর্য গ্রহ-নক্ষত্র, পাহাড়-পর্বত, নদী-সাগর, আগুন পানি এবং আলো-বাতাস প্রভৃতি সৃষ্টি করা হয়েছে। মানুষের কল্যাণার্থে আনুষঙ্গিক সবকিছুকে সৃষ্টি করার পর আল্লাহপাক মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। চন্দ্র-সূর্যের নমুনা রূপে মানুষকে দুটি চক্ষুদান করেছেন। এ চন্দ্র-সূর্য না থাকলে শুধু চোখ দ্বারা দেখা আমাদের পক্ষে সম্ভব হতো না। আবার এক এক করে পৃথিবীর সব মানুষ যখন এ পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবে তখনো সেই ওয়াজ মাহফিলের ন্যায় সব সৃষ্টিকুল ধ্বংস হয়ে যাবে। সারকথা এ আসমান-জমিন, গ্রহ-নক্ষত্র, আগুন-পানি, আলো-বাতাস ও মাটি ইত্যাদি সবকিছুকে আল্লাহতায়ালা মানুষের জন্য সৃষ্টি করেছেন। আর মানুষকে সৃষ্টি করেছেন একমাত্র আল্লাহর ইবাদতের জন্য। অতএব মানুষ হচ্ছে আল্লাহর মূল সৃষ্টি ও প্রধান লক্ষ্যবস্তু। আর সৃষ্টিকুল হচ্ছে আনুষঙ্গিক গৌণমাত্র।

মানুষের অকৃতজ্ঞতা : সৃষ্টির সেরা হওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে আমরা কোনো দিন কোনো দরখাস্ত করিনি। কোনো প্রকার আবেদন-নিবেদন এবং দরখাস্ত ছাড়াই আল্লাহতায়ালা আমাদের তাঁর সব ধরনের নেয়ামত দান করেছেন। তিনি আমাদের বসবাসের জন্য উপযোগী বাসস্থানের ব্যবস্থা করেছেন, আমাদের রক্ষণাবেক্ষণ ও সব ধরনের রিজিকের ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, মানুষের প্রতি আল্লাহতায়ালা এ সীমাহীন অনুগ্রহ প্রদর্শন করা সত্ত্বেও তারা আল্লাহর সবচেয়ে বেশি নাশুকরী করছে। অন্য কোনো সৃষ্টি এভাবে আল্লাহর নাশুকরী করে না।

বাকশক্তি আল্লাহর দান : আল্লাহতায়ালা মানুষকে অসংখ্য নেয়ামত দান করেছেন। সুস্থ-সবল ও সুঠাম শরীর দান করেছেন। কিন্তু এতদসত্ত্বেও সে যদি কথা বলতে না পারত, তাহলে দুঃখের সীমা থাকত না।

তাই আল্লাহতায়ালা তাকে বাকশক্তি দান করেছেন, কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়া সত্ত্বেও কেউ যদি কথা বলতে না পারে, তবে তার মতো দুঃখী মানুষ দুনিয়ায় আর কেউ নেই। আমাদের আশপাশের বোবা মানুষগুলো কথা বলতে না পেরে কতইনা কষ্ট করে।

এ বাকশক্তি কোনো দোকানে বিক্রি হয় না। টাকা-পয়সায় কিনতে পাওয়া যায় না। পৃথিবীর সব মানুষ মিলেও কাউকে বাকশক্তি দান করতে পারবে না। এটা একমাত্র আল্লাহতায়ালার দান; মানুষের প্রতি আল্লাহর অসীম অনুগ্রহের অন্যতম।


আরও খবর