Logo
আজঃ সোমবার ১৬ জুন ২০২৫
শিরোনাম

শীতে গলা ব্যথা হলে সারাবেন যেভাবে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | ৮৪২জন দেখেছেন

Image

লাইফস্টাইল ডেস্ক : শীতে কমবেশি সবাই সর্দি-কাশি ও গলা ব্যথার সমস্যায় ভোগেন। এক্ষেত্রে খাবার গিলতে এমনকি কথা বলতেও কষ্ট হয়। এ সমস্যায় ওষুধ না খেয়ে বরং ঘরোয়া উপায়ে এর সমাধান করতে পারেন। এজন্য কী করণীয় জেনে নিন-

দুধ-হলুদের মিশ্রণ
হলুদ একটি শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্টের উৎস। গুরুতর সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি আছে এই উপাদানে। গলা ব্যথা সারাতে ঘুমানোর আগে হলুদ দুধ পান করুন। একে সোনার অমৃতও বলা হয়।

স্টিম নিন
গলা ব্যথা সারাতে স্টিম বা গরম ভাঁপ নিতে পারে। স্টিমের আর্দ্র বাতাস অনুনাসিক প্যাসেজ, গলা ও ফুসফুসে আটকে থাকা আঁঠালো শ্লেষ্মা আলগা করে। ফলে মুহূর্তেই স্বস্তি মেলে।

আদা চা
আদা চা গলা ব্যথা সারানোর একটি জনপ্রিয় ও কার্যকর ঘরোয়া প্রতিকার। আদায় থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট গলা ব্যথা সারাতে দারুন কাজ করে।

গরম পানিতে গার্গল
গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে গার্গল করলেও গলার প্রদাহ কমে। দিনে অন্তত দুই থেকে তিনবার এটি অনুসরণ করতে পারেন। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করবেন না।


আরও খবর

দেশে চালু হতে যাচ্ছে ‘গুগল পে’

বৃহস্পতিবার ২৯ মে ২০২৫




গাইবান্ধায় মেলায় হিন্দি নাচ-গানের সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিককে হুমকি

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ জুন ২০২৫ | ৯২জন দেখেছেন

Image

মোঃ জিল্লুর রহমান  গাইবান্ধা প্রতিনিধি

গাইবান্ধায় হস্ত ও কুটির শিল্প মেলায় হিন্দি নাচ-গানের সংবাদ প্রকাশের  জেরে স্থাণীয় সাংবাদিককে  প্রাণ নাশের হুমকি দিয়েছেন মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সাজু আকন্দ ।  এঘটনায় ভুক্তভুগী সাংবাদিক জাহিদ খন্দকার সাঘাটা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন । জিডি নং ১০০৪  । সোমবার (২৬ মে) দুপুরে সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাদশা আলম জিডির  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,  গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া  রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন ফুটানীর বাজার পাওয়ার হাউস মাঠে  মাস ব্যাপী হস্ত  কুটির শিল্প ও পাট বস্ত্র মেলা ২০২৫ চলছে । এই সরকারি নিয়মে মেলা চলার কথা থাকলেও মেলা কতৃপক্ষ মেলাকে জমিয়ে নিতে এবং অধিক টিকেট বিক্রি করতে বিভিন্ন ক্লাবের নায়ক-নায়িকাদের দিয়ে  হিন্দি ও বাংলা গান পরিবেশন করছেন। মোটরসাইকেলসহ শতাধিক পুরস্কােরের লোভে এলাকার মানুষরা টিকিট সংগ্রহ করতে ভীর জমিয়েছে।  এতে জেলার  কয়েকটি উপজেলার আশে পাশের মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এই সংবাদ প্রকাশ করায়  বোনারপাড়া হস্ত  কুটির শিল্প ও পাট বস্ত্র মেলা কমিটির সদস্য সাজু আকন্দ 01310863398 নাম্বার থেকে   বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন বাংলা টিভির ও বগুড়া থেকে প্রকাশিক দৈনিক  প্রত্যাশা প্রতিদিন ও রংপুর থেকে প্রকাশিক দৈনিক সকালের বানী পত্রিকার সাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম ওরফে জাহিদ খন্দকারকে ফোন দিয়ে  ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও দেখা মাত্র পিটানোর হুমকি দেয় ।

এঘটনায় ভুক্তভুগী সাংবাদিক জাহিদ খন্দকার জানান, এই মেলা কমিটির সদস্য সাজু মিয়া বিএনপির পরিচয় দিয়ে আমাকে হুমকি দিয়েছে পরে পরিচয় জানতে চাই বলে আমি জামায়াত করি । আমার ফোন নাম্বার সিনিয়র সাংবাদিকদের দেখাস তারাই আমাকে চেনে । মেলার নিউজ চোদাও এটা ফুটানীর বাজার সাংবাদিকতা ছুটে যাবে । এসময় মুঠো ফোনে আমার ছোট ভাই নয়া দিগন্ত পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি  সোহাগ খন্দকারকেও হুমকি দেয় । এবং কই আছিস বোনারপাড়া আসবি না আয় বলে অশ্লিল ভাষায় ৫ মিনিট ৬৫ সেকেন্ড হুমকি দেয় । এঘটনায় আমি ও আমার পরিবার জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় আছি । প্রশাসন ও বাংলাদেশ সেনাবাহীনির সুদৃষ্টি কামনা করছি ।

বোনারপাড়া হস্ত  কুটির শিল্প ও পাট বস্ত্র মেলা পরিচালনাকারী প্রতিষ্টান ‘জে.বি ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড’ এর পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম জানান,  সাজু আকন্দ মেলা পরিচালনা কমিটির কেউ না । কমিটির পরিচয় দিয়ে সাংবাদিককে হুমকি দেয়ার জন্য মেলা কমিটির পক্ষ থেকে আমি আইনগত ভাবে ব্যবস্থা নিবো ।

সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাদশা আলম জানান, মেলার অনুমোদন আছে তবে মেলার নামে অনৈতিক কিছু মেনে নিবো না। সাংবাদিককে হুমকির ঘটনায় সাঘাটা থানায় রোববার বিকালে  সাধারণ ডায়েরী নেয়া হয়েছে । আমরা তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নিবো ।

এ বিষয়ে সাঘাটা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মোহাম্মদ  আল কামাহ তমাল জানান, সাঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ কে বিষয়টা অবগত করছি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটার আইন গত ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে।


আরও খবর



শারজায় টাইগারদের লজ্জার হার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | ১৪৮জন দেখেছেন

Image

লজ্জার ষোলোকলা পূর্ণ হলো। এক ম্যাচ হারকে অঘটন বলা যায়। কিন্তু টানা দুই ম্যাচে আইসিসির সহযোগী সদস্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে রীতিমতো নাকাল হলো বাংলাদেশ। বলেকয়ে এক ম্যাচ বাড়ানো যেন হিতে বিপরীত হলো টাইগারদের জন্য। শারজায় শেষ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ৭ উইকেট আর ৫ বল হাতে রেখে অনায়াসেই হারিয়েছে আরব আমিরাত। সিরিজ জিতেছে ২-১ ব্যবধানে। টেস্ট খেলুড়ে কোনো দলের বিপক্ষে এটিই আরব আমিরাতের প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়। অন্যদিকে পূর্ণকালীন অধিনায়ক হয়ে নিজের প্রথম সিরিজেই বিব্রতকর হার দেখলেন লিটন দাস। লক্ষ্য ছিল ১৬৩ রানের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই আঘাত হানেন শরিফুল ইসলাম। মারকুটে আরব আমিরাত অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিম বাঁহাতি পেসারের সুইংয়ে ক্যাচ দেন প্রথম স্লিপে। তানজিদ তামিমের ক্যাচ হয়ে ফেরার আগে ৬ বলে ওয়াসিম করেন ৯। তবে ১৪ রানে প্রথম উইকেট হারালেও পাওয়ার প্লেতে দারুণ ব্যাটিং করে আরব আমিরাত। ৬ ওভারে তোলে ১ উইকেটে ৫০ রান। অবশেষে অষ্টম ওভারে বল হাতে নিয়েই ব্রেক থ্রু দেন রিশাদ হোসেন। ২৩ বলে ২৯ করে বোল্ড হন মোহাম্মদ জুহাইব। এরপর জুটি গড়ে তোলার চেষ্টা করেন আলিশান শারাফু আর রাহুল চোপড়া। তাদের ২০ বলে ২১ রানের জুটি ভাঙেন তানজিম সাকিব। স্লোয়ার বাউন্সারে রাহুলকে (১৩ বলে ১৩) শামীম পাটোয়ারীর ক্যাচ বানান তিনি। তবে এরপর দলকে এগিয়ে নিয়ে যান আলিশান। রিশাদকে ছক্কা মেরে ৩৮ বলে ফিফটি পূরণ করেন তিনি। এরপর আসিফ খানকে সঙ্গে নিয়ে ম্যাচ বের করে নিয়ে আসেন আলিশান। চতুর্থ উইকেটে তারা ৫২ বলে ৯১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন। আলিশান ৪৭ বলে ৬৮ আর আসিফ ২৬ বলে ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন। এর আগে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় আরব আমিরাত। ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপদে পড়ে টাইগাররা। ৭১ রানে ৭ উইকেট, ৮৪ রানে নেই ৮ উইকেট। শঙ্কা জেগেছিল একশর আগে অলআউট হওয়ার। সেখান থেকে নাটকীয় প্রত্যাবর্তন করে বাংলাদেশ। হাসান মাহমুদকে সঙ্গে নিয়ে ৪৪ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন জাকের আলি অনিক। ৩৪ বলে ৪১ রানের মোটামুটি ঝড়ো ইনিংস খেলে আউট হন জাকের। শেষ ওভারে আরব আমিরাত অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে ঝড় তোলেন হাসান মাহমুদ ও শরিফুল ইসলাম। দু’জন মিলে ২৬ রান নেন এই ওভার থেকে। যার ফলে বাংলাদেশের স্কোর শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে সম্মানজনক ১৬২ রানে গিয়ে শেষ হয়। হাসান মাহমুদ ১৫ বলে ২৬ এবং ৭ বলে ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন শরিফুল ইসলাম। শুরুটা করেছিলেন পারভেজ হোসেন ইমন। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলটি ছিল তার নিজের মোকাবেলা করা প্রথম বল। ধ্রুব পারাশারের বলে আলিশান শরাফুর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান পারভেজ। গোল্ডেন ডাক মারেন তিনি। এরপর তানজিদ তামিম এবং লিটন দাস মিলে চেষ্টা করেন শুরুর বিপর্যয় কাটাতে। কিন্তু ১০ বলে ১৪ রান করে লিটন দাস হায়দার আলির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে গেলে বিপর্যয়ের শুরু। তানজিদ হাসান তামিম একপাশে থেকে কিছুক্ষণ একা একা লড়াই করার চেষ্টা করলেন। ১৮ বলে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন তিনি। তাওহিদ হৃদয় পুরো সিরিজেই ব্যর্থ। এই ম্যাচে তো কোনো রানই করতে পারলেন না। ২ বলে শূন্য রানে বিদায় নিলেন। ৯ বল খেলে শেখ মেহেদী হাসান আউট হন ২ রান করে। প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে তাকে সুযোগ দেয়া হয়নি। এবার সুযোগ পেলেন এবং ৫ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে আবারও ব্যর্থতার পরিচয় দিলেন। শামীম হোসেন পাটোয়ারী নিজের নামের প্রতি মোটেও সুবিচার করতে পারেননি। ১২ বলে ৯ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। রিশাদ হোসেন ব্যাট হাতে যতটা সম্ভাবনাময়ী ছিলেন, তার ছিটেফোঁটাও দেখাতে পারলেন না। ২ বল খেলে কোনো রান না করেই বিদায় নিলেন। তানজিব সাকিব খেললেন ১২ বল। ৬ রান করে ছক্কা মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন তিনি। জাকের আলি অনিক শেষ দিকে এসে কিছুটা লড়াই চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। শেষ পর্যন্ত তিনি করেন ৩৪ বলে ৪১ রান। তারপর শরিফুল আর হাসান মাহমুদের দুর্দান্ত ব্যাটিং। আরব আমিরাতের স্পিনার হায়দার আলি মাত্র ৭ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। সগির খান ও মাতিউল্লাহ খান পান ২টি করে উইকেট।


আরও খবর



ঘোড়া কোরবানি করা নিয়ে ইসলাম যা বলে

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ মে 20২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | ১৬৪জন দেখেছেন

Image

ছয় ধরনের গবাদি পশু কোরবানি করা যায়; উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা। খাওয়া হালাল এমন যে কোনো পশু কোরবানি করা যায় না। যেমন হরিণের মাংস খাওয়া হালাল হলেও হরিণ কোরবানি করা যায় না। একইভাবে ঘোড়ার মাংস খাওয়া অনেকের মতে হালাল হলেও ঘোড়া কোরবানি করা যায় না। উট, গরু ও মহিষ এ তিন পশু কোরবানিতে সর্বোচ্চ সাত জন শরিক হতে পারে। অর্থাৎ একজন, দুজন, তিনজন থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ সাতজন ব্যক্তির পক্ষ থেকে একটি পশু কোরবানি যথেষ্ট হতে পারে। সে ক্ষেত্রে সাত জন ওই পশু কেনায় সমান শরিক হবে এবং সমানভাবে গোশতও ভাগ করে নেবে। ছাগল, ভেড়া, দুম্বা এ তিন পশু একজনের পক্ষ থেকে কোরবানি করা যায়। কোরবানি করার জন্য পশুর নির্দিষ্ট বয়সসীমা পার হওয়াও জরুরি। যে কোনো বয়সের পশু দিয়ে কোরবানি করা যায় না। উট কোরবানির জন্য তা কমপক্ষে ৫ বছরের হতে হবে। গরু ও মহিষ কমপক্ষে ২ বছরের হতে হবে। ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা কমপক্ষে ১ বছরের হতে হবে। ভেড়া ও দুম্বা যদি ১ বছরের কিছু কমও হয়, কিন্তু এমন হৃষ্টপুষ্ট হয় যে, দেখতে ১ বছরের মতো মনে হয় তাহলে তা দ্বারাও কোরবানি করা জায়েজ। এ রকম ক্ষেত্রে ভেড়া ও দুম্বার বয়স কমপক্ষে ৬ মাস হতে হবে। উল্লেখ্য যে, ছাগলের বয়স ১ বছরের কম হলে কোনো অবস্থাতেই ওই ছাগল দিয়ে কোরবানি জায়েজ হবে না।


ঘোড়ার মাংস খাওয়ার বিধান কী?

ঘোড়ার মাংস হালাল এবং তা খাওয়া সাধারণভাবে জায়েজ। কিন্তু ঘোড়া যেহেতু এক সময় বাহন হিসেবে ব্যবহৃত হতো, যুদ্ধে ব্যবহৃত হতো, তাই ব্যাপকভাবে ঘোড়ার মাংস খাওয়া হলে বাহন হিসেবে বা যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য ঘোড়ার সংকট দেখা দিতে পারে এই আশঙ্কায় ইমাম আবু হানিফা (রহ.) ঘোড়ার গোশত খাওয়াকে মাকরুহ বা অপছন্দনীয় বলেছেন। কারণ খাদ্যের চেয়ে বাহন হিসেবে ঘোড়ার উপযোগিতা ও প্রয়োজনীয়তা বেশি। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে ঘোড়াকে বাহন হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَّ الۡخَیۡلَ وَ الۡبِغَالَ وَ الۡحَمِیۡرَ لِتَرۡكَبُوۡهَا وَ زِیۡنَۃً وَ یَخۡلُقُ مَا لَا تَعۡلَمُوۡنَ

তিনি ঘোড়া, খচ্চর ও গর্দভ সৃষ্টি করেছেন যাতে তোমরা ওগুলোতে আরোহণ করতে পার আর শোভা-সৌন্দর্যের জন্যও; তিনি সৃষ্টি করেন অনেক কিছু যা তোমাদের জানা নেই। (সুরা নাহল: ৮)


বর্তমান সময়ে ব্যাপকভাবে ঘোড়ার মাংস খেলে যদি বাহন হিসেবে বা যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য ঘোড়ার সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাহলে ইমাম আবু হানিফার (রহ.) মত অনুযায়ী ঘোড়ার মাংস খাওয়া মাকরুহ বা অপছন্দনীয় বিবেচিত হবে। এ ছাড়া হানাফি মাজহাবের অন্য দুই বড় ইমাম আবু ইউসুফ (রহ.) ও মুহাম্মাদ (রহ.) এবং অন্যান্য মাজহাবের ইমামগণ ঘোড়ার মাংস খাওয়াকে পুরোপুরি হালাল বলেছেন। তাদের মতের পক্ষে কিছু হাদিস পাওয়া যায়। জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) খায়বারের দিন গৃহপালিত গাধার মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ করেছিলেন এবং ঘোড়ার মাংস খাওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন। (সহিহ বুখারি: ৩৯৮২, সহিহ মুসলিম: ১৯৪১)


আসমা বিনতে আবু বকর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা আল্লাহর রাসুলের (সা.) যুগে একটি ঘোড়া জবাই করে তা খেয়েছিলাম। (সহিহ বুখারি: ৫১৯১, সহিহ মুসলিম: ১৯৪২)


জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমরা আল্লাহর রাসুলের (সা.) সঙ্গে সফর করেছিলাম। ওই সফরে আমরা ঘোড়ার মাংস খেতাম এবং তার দুধ পান করতাম। (দারাকুতনি ও বায়হাকি)


আরও খবর



পলাশবাড়ীতে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ জুন ২০২৫ | ৫৪জন দেখেছেন

Image

মোঃ জিল্লুর রহমান  গাইবান্ধা প্রতিনিধি 

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে নিজ ঘর থেকে রাসেল মিয়া (২২) ও জুঁই খাতুন (১৮) নামের নবদম্পতির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৩ জুন) সকাল সাড়ে দশটার দিকে উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের ডাকেরপাড়া গ্রাম থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।

রাসেল ডাকেরপাড়া গ্রামের জাকিরুল ইসলামের ছেলে। তিনি রাজমিস্ত্রীর সহকারী হিসেবে কাজ করতেন।

বেতকাপা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তা বলেন, প্রেমের সম্পর্কের জেরে মাস তিনেক আগে রাসেল-জুঁই দম্পতির বিয়ে হয়।

 পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে তিনি আরও বলেন, সোমবার (০২ জুন) রাতে স্বাভাবিকভাবেই খাওয়া-দাওয়া শেষে তারা নিজ ঘরে ঘুমাতে যায়। পরদিন সকাল ৭টার দিকে রাসেলের মা রাশিদা বেগম ছেলেকে ডাকাডাকি করলেও কোনো সাড়া না পেয়ে জানালার ফাঁক দিয়ে ঘরের ভেতর উঁকি দিলে দেখেন, রাসেল ও তার স্ত্রী ঘরের বাঁশের ধর্ণার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুলফিকার আলী ভুট্টু সাংবাদিকদে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে।  

রাসেল গলায় গামছা ও জুই আক্তার ওড়না দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তাদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হবে। তাৎক্ষণিকভাবে আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।



আরও খবর



গাজা যুদ্ধ: ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি, পশ্চিমা চাপ ও নেতানিয়াহুর জবাব

প্রকাশিত:বুধবার ২১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | ১১০জন দেখেছেন

Image

গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের ভয়াবহতা এবং তাতে আন্তর্জাতিক উদ্বেগের মাত্রা আরও বাড়ছে। সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের পক্ষ থেকে এমন ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে, গাজায় যুদ্ধ বন্ধ না হলে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার করা হতে পারে। একইসঙ্গে ব্রিটেন, কানাডা ও ফ্রান্সের নেতারাও সরাসরি ইসরায়েলকে নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছেন। এই প্রেক্ষাপটে টালমাটাল হয়ে উঠছে মধ্যপ্রাচ্যের কূটনৈতিক আবহাওয়া।

সোমবার (১৯ মে) ওয়াশিংটন পোস্ট এক প্রতিবেদনে জানায়, ট্রাম্প প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, “ইসরায়েল যদি গাজায় যুদ্ধ বন্ধ না করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তার পাশে থাকবে না।” প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিনিধি দলের মাধ্যমে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে এ সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।

তবে এই দাবিকে “হাস্যকর” ও “অমূলক” বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন মার্কিন প্রশাসনের এক প্রভাবশালী কর্মকর্তা। তিনি বলেন, “মতপার্থক্য থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র কখনো ইসরায়েলকে ত্যাগ করবে না।” ইসরায়েলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হাকাবিও এই বক্তব্যকে ‘অর্থহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।

এদিকে হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লিভিট জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গাজায় যুদ্ধ বন্ধের পক্ষে এবং সেখানে মানবিক বিপর্যয় এড়াতে চান। তিনি বলেন, “মানুষ সেখানে অনাহারে মরছে, ভয়ংকর মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট এর অবসান চান।”

এর আগেও গোপন আলোচনার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল থেকে ইসরায়েলি বংশোদ্ভূত মার্কিন সেনা এডান আলেকজান্ডারকে মুক্ত করে এনেছে। এই আলোচনায় ইসরায়েলকে সম্পৃক্ত না করায় বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় নেতানিয়াহু সরকারের ভেতরেও।

অন্যদিকে আন্তর্জাতিক মহল থেকেও চাপ বাড়ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গত সোমবার ব্রিটেন, কানাডা ও ফ্রান্স এক যৌথ বিবৃতিতে গাজায় চলমান সামরিক অভিযান ও ত্রাণপ্রবাহে বাধা দেওয়ায় ইসরায়েলের সমালোচনা করে। তারা সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলে, “মানবিক সহায়তা বাধাগ্রস্ত করা অগ্রহণযোগ্য এবং এটি আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘনের শামিল। প্রয়োজনে আমরা ব্যক্তিবিশেষ বা সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করব।”

এই তিন দেশ ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে এবং দ্বিরাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধানের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। তারা গাজায় দ্রুত মানবিক সহায়তা প্রবাহের দাবি জানায়।

তবে এই বক্তব্যের জবাবে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, “লন্ডন, অটোয়া ও প্যারিসের নেতারা ৭ অক্টোবর হামলার পর ইসরায়েলের আত্মরক্ষাকে উপেক্ষা করে সন্ত্রাসীদের পুরস্কৃত করছে। এভাবে তারা ভবিষ্যতের আরও রক্তপাতকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “ইসরায়েল যতক্ষণ না পূর্ণ বিজয় অর্জন করছে, ততক্ষণ যুদ্ধ চলবে। আমরা হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ এবং সব জিম্মির মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত পিছু হটব না।”

প্রসঙ্গত, ইসরায়েলের লাগাতার হামলায় গাজায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে। সেখানে খাদ্য, পানি, ওষুধ ও চিকিৎসাসেবা মারাত্মকভাবে সংকটাপন্ন। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ পর্যন্ত নিহত হয়েছে প্রায় ৫৩ হাজার মানুষ, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় গাজার সব বাসিন্দা।

এই ভয়াবহতার মধ্যেই বিশ্বজুড়ে ক্রমেই বাড়ছে ইসরায়েলের ওপর চাপ। মানবাধিকার লঙ্ঘন, যুদ্ধাপরাধ ও মানবিক সঙ্কটের দায়ে ইসরায়েলকে বিচ্ছিন্ন করার পথে হাঁটছে অনেক পশ্চিমা দেশ। আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে এই ঘটনাগুলো বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।


আরও খবর

গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ১০

বৃহস্পতিবার ০৫ জুন ২০২৫