Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম

শেয়ারবাজারে টানা পতনে দিশেহারা বিনিয়োগকারীরা

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ | ১২১জন দেখেছেন

Image

অর্থনীতি ডেস্ক : দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) পতনে দিয়েহারা হয়েপড়েছে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা। এ নিয়ে টানা ৬ কর্মদিবস শেয়ারবাজারে পতন হলো। বৃহস্পতিবার  ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে  ১৯৮ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে, বেড়েছে ১০৫ টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তীত রয়েছে ৯১ কোম্পানির শেয়ারদর। তবে বুধবারের চেয়ে এদিন লেনদেন সামান্য বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স’ ১৯ দশমিক ০৬ পয়েন্ট কমেছে। বর্তমানে সূচকটি অবস্থান করছে ৫ হাজার ১০৫ পয়েন্টে।

এছাড়া, ডিএসইর অপর সূচক ডিএসইএস০২ দশমিক ০৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৪০ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ সূচক ০৭ দশমিক ৫২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৮১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আজ ডিএসইতে ৩৫১ কোটি ৫৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছে ৩০৪ কোটি ২৩ লাখ টাকা।

আজ ডিএসইতে মোট ৩৯৪ টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১০৫টি কোম্পানির, বিপরীতে ১৯৮ কোম্পানির দর কমেছে। পাশাপাশি ৯১ টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দর ছিলো অপরিবর্তিত।


আরও খবর



এইচএমপিভি ভাইরাসের সংক্রমণ এবার মালয়েশিয়ায়

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ | ৪৫জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: করোনা মহামারির পর এবার চীনে নতুন এক ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভি ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের ভিড় হাসপাতাল গুলোতে দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে এই ভাইরাসের প্রভাব বেশি দেখা যাচ্ছে। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে জনসাধারণকে মাস্ক ব্যবহার এবং বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার পরামর্শ দিয়েছে মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।


এদিকে চীনের পর মালয়েশিয়াতেও এই ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে সচেতনতা অবলম্বনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনোমিক টাইমস। 

 

ভাইরাসটিকে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভি নামে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই ভাইরাসের কারণে সাধারণত ঠাণ্ডা জ্বরের মতো উপসর্গ দেখা দেয়। শীতের মৌসুমে ভাইরাসটি বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে। বর্তমানে চীনের বিভিন্ন প্রদেশে এর দ্রুত বিস্তার নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। 

 

চীনের স্বাস্থ্য বিভাগ কিছুদিন আগে ফ্লু-জাতীয় রোগের হার বৃদ্ধি নিয়ে সতর্ক করেছিল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দেয়ায় অনেকেই তথ্য গোপনের আশঙ্কা করছেন। 

 

সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে তা আরও বড় সংকট তৈরি করতে পারে বলে আশঙ্কা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।

 

এইচএমপিভি কী এবং কেন এটি চীনে উদ্বেগ সৃষ্টি করছে?



সিডিসির তথ্যানুসারে, এইচএমপিভি একটি শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাস, যা ওপরের এবং নীচের শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায়। এটি সব বয়সের ব্যক্তিদের প্রভাবিত করে। তবে শিশু, বয়স্ক এবং যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের জন্য ভাইরাসটি সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ।

 

এইচএমপিভি ২০০১ সালে প্রথম সনাক্ত করা হয়। 

 

এইচএমপিভির উপসর্গগুলো কী?


এইচএমপিভির উপসর্গগুলো ফ্লু এবং অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের মতোই। সাধারণ উপসর্গের মধ্যে রয়েছে কাশি, জ্বর, নাক বন্ধ হওয়া এবং শ্বাসকষ্ট। গুরুতর ক্ষেত্রে, ভাইরাস ব্রঙ্কাইটিস বা নিউমোনিয়ার মতো জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।

 

এইচএমপিভির ইনকিউবেশন পিরিয়ড বা উন্মেষপর্ব সাধারণত তিন থেকে ছয় দিনের মধ্যে হয়। তবে সংক্রমণের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে লক্ষণগুলো বিভিন্ন সময়কালের জন্য স্থায়ী হয়।

 

কীভাবে ছড়ায়?



এইচএমপিভি অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাসের মতোই ছড়ায়। যার মধ্যে রয়েছে-


১. কাশি এবং হাঁচি থেকে নিঃসরণ।


২. হাত মেলানো বা স্পর্শ করা।


৩. সংক্রমিত স্থান স্পর্শ করা এবং তারপর মুখ, নাক বা চোখ হাত দিয়ে স্পর্শ করা।


আরও খবর



প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০২৫ সালের ছুটির তালিকা প্রকাশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৫ | ৭৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর জন্য ২০২৫ সালের ছুটির তালিকা প্রকাশ হয়েছে। নতুন তালিকা অনুযায়ী, সাপ্তাহিক ছুটি ছাড়াও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নতুন বছরে ছুটি থাকছে ৭৬ দিন।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. মিরাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রকাশিত তালিকায় দেওয়া দীর্ঘ ছুটিগুলো হলো- ২ মার্চ থেকে পবিত্র রমজানের ছুটি শুরু হবে। রমজান, ঈদুল ফিতর, জুমাতুল বিদা এবং স্বাধীনতা দিবসসহ একাধিক ছুটি মিলিয়ে এ সময় টানা ২৮ দিন বন্ধ থাকবে স্কুল। দীর্ঘ এ ছুটির পর ৮ এপ্রিল থেকে পুনরায় ক্লাস শুরু হবে।

ঈদুল আজহা এবং গ্রীষ্মকালীন অবকাশেও টানা ১৪ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে। ৩ জুন থেকে শুরু হয়ে এই ছুটি চলবে ২২ জুন পর্যন্ত।

এবার দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৭ দিন ছুটি নির্ধারণ করা হয়েছে। লক্ষ্মীপূজা ও ফাতেহা-ই-ইয়াজদহমসহ বেশ কয়েকটি ধর্মীয় ছুটি এ সময় অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

এ ছাড়াও প্রতি বছরের মতো এবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানের হাতে তিনদিন সংরক্ষিত ছুটি রাখা হয়েছে। যখন প্রয়োজন এ ছুটিগুলো প্রতিষ্ঠানপ্রধান দিতে পারবেন। এ ছাড়া বিভিন্ন জাতীয়, আন্তর্জাতিক দিবস ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে নিয়ম মেনে ছুটি থাকবে।


আরও খবর



বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে জায়গা হচ্ছে না সাকিবের

প্রকাশিত:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ২৩জন দেখেছেন

Image

খেলা ডেস্ক: বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল আগামী ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিতব্য আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য তাদের স্কোয়াড আইসিসির কাছে পাঠাবে রোববার (১২ জানুয়ারি)। সেই দলে বাংলাদেশের সাপেক অধিনায়ক ও বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের জায়গা হবে কিনা তা নিয়ে চলছে গুঞ্জন। তবে বিশ্বস্ত সূত্রে কালবেলা জানতে পেরেছে যে সাবেক এই অধিনায়ককে এই স্কোয়াডে রাখা হচ্ছে না।



সাকিব আল হাসান, যিনি দীর্ঘদিন ধরে দলের অন্যতম স্তম্ভ হিসেবে ভূমিকা পালন করেছেন, নানা কারণে কিছুদিন ধরেই খবরের শিরোনাম হয়েছেন। সম্প্রতি ত্রুটিপূর্ণ বোলিং অ্যাকশনের কারণে আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেটে বোলিং নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয়েছেন। ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) তার বোলিং অ্যাকশনকে ত্রুটিপূর্ণ হিসেবে শনাক্ত করে নিষিদ্ধ করেছে, যা আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও প্রযোজ্য হয়েছে। এছাড়াও দ্বিতীয়বার অ্যাকশন সংশোধনীর পরীক্ষা দিয়েও ফেল করেছেন তিনি।



এছাড়া, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী সরকারের সাথে সাকিবের সম্পৃক্ততা তাকে করেছে বিতর্কিত। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই তিনি আর দেশে আসেননি। ফলে তার ফিটনেস ও মানসিক অবস্থা সম্পর্কে নির্বাচকরা জানেন না, যা তার নির্বাচন প্রক্রিয়ায় প্রভাব রেখেছে।



বিসিবি আনুষ্ঠানিকভাবে স্কোয়াড ঘোষণা না করা পর্যন্ত এই তথ্য নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। তবে, সাকিবের অনুপস্থিতি দলের কৌশল ও ভারসাম্যে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। তার অলরাউন্ড দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা দলের জন্য অমূল্য ছিল।



বিসিবি আগামীকাল আইসিসির কাছে দল পাঠালেও গণমাধ্যম দল সম্পর্কে জানতে পারবে আরো পরে।


আরও খবর



সংবিধান প্রতিস্থাপন ও আ.লীগকে অপ্রাসঙ্গিক করা নিয়ে আলোচনা

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ৬৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি: জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষ বর্তমান সংবিধানের বিপরীতে অবস্থান নিয়েছে বলে মনে করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তারা বাহাত্তরের সংবিধানকে ‘মুজিববাদী সংবিধান’ হিসেবেও উল্লেখ করেছে। এই ‘মুজিববাদী সংবিধান’ কীভাবে গণমানুষের আকাঙ্ক্ষাকে বিনষ্ট করেছে এবং ঠিক কীভাবে এর রিপ্লেসমেন্ট (প্রতিস্থাপন) করা হবে, সেটি ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে’ স্পষ্ট করা হবে বলে জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।


৩১ ডিসেম্বর (আগামীকাল মঙ্গলবার) বেলা তিনটায় ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ দেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এই ঘোষণা সামনে রেখে গতকাল রোববার দুপুরে ঢাকার বাংলামোটরে নিজেদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে তারা। সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলেছেন, ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের’ মাধ্যমে বাহাত্তরের মুজিববাদী সংবিধানের ‘কবর’ রচিত হবে। পাশাপাশি এই ঘোষণাপত্রে ‘নাৎসিবাদী আওয়ামী লীগকে’ বাংলাদেশে অপ্রাসঙ্গিক ঘোষণা করা হবে—এমনটি প্রত্যাশা করছেন তাঁরা।



সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রটি ৫ আগস্টেই হওয়া উচিত ছিল। এটি না হওয়ার কারণে গণমাধ্যম, ‘বুদ্ধিজীবীপাড়া’সহ সব জায়গায় ফ্যাসিবাদের পক্ষের শক্তিগুলো ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে এবং এর লেজিটিমেসিকে (বৈধতা) প্রশ্ন করছে। তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে মুজিববাদী সংবিধানের বিপরীতে মানুষ যে অবস্থান নিয়েছে, তার একটি লিগ্যাল ডকুমেন্টেশন (আইনগতভাবে নথিবদ্ধ রাখা) থাকা উচিত। চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থান ঘিরে তৈরি হওয়া গণ–আকাঙ্ক্ষা এবং বাহাত্তরের সংবিধানের বিপরীতে গিয়ে মানুষের রাস্তায় নামার প্রাতিষ্ঠানিক ও দালিলিক স্বীকৃতি ঘোষণা করার জন্য ৩১ ডিসেম্বর বেলা তিনটায় ছাত্র-জনতার উপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে সেই ঘোষণাপত্র দেওয়া হবে।


হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা চাই বাহাত্তরের সংবিধান, মুজিববাদী চেতনা ও আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে মানুষের দাঁড়ানোকে স্বীকৃতি দেওয়া হোক। আমরা চাই মুজিববাদী সংবিধানকে কবরস্থ ঘোষণা করা হবে। যে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে এক দফার (শেখ হাসিনার পতন ও ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ) ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, ঠিক সেই জায়গা থেকে বাহাত্তরের মুজিববাদী সংবিধানের কবর রচিত হবে। আমরা প্রত্যাশা রাখছি, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে নাৎসিবাদী আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশে অপ্রাসঙ্গিক ঘোষণা করা হবে। পাশাপাশি ঘোষণাপত্রে আমরা বিচার নিশ্চিতের ইশতেহার দেখতে চাই।’


পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘বাহাত্তরের সংবিধানের মূলনীতিগুলোর মাধ্যমে ভারতীয় আগ্রাসনের “ইনস্টলমেন্ট” (স্থাপন করা) হয়েছে। ঘোষণাপত্রে স্পষ্ট করা হবে, মুজিববাদী সংবিধান কীভাবে গণমানুষের আকাঙ্ক্ষাকে বিনষ্ট করেছে এবং ঠিক কীভাবে আমরা এটার রিপ্লেসমেন্ট করতে চাই।’


জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ ঘোষণা করার কোনো বিষয় আছে কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘সেকেন্ড রিপাবলিক (দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র) আইনগত বিষয়। সেকেন্ড রিপাবলিকের বিষয়ে আমরা এখন যাচ্ছি না।’


এ সময় হাসনাতের পাশে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেন, ‘আমরা জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র ঘোষণা করব। সেটা সংবিধানে যুক্ত করে সেকেন্ড রিপাবলিক করার দায়িত্ব সরকারের।’


ঘোষণাপত্রের খসড়া ইতিমধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী সব দলের কাছে ঘোষণাপত্রের খসড়া পাঠানো হয়েছে।


সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও বর্তমানে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমও। তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রটি সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের একটি লিখিত দলিল হিসেবে থাকবে। যে দলিল বিগত ব্যবস্থাগুলোকে বাতিল করে প্রত্যাশিত নতুন ব্যবস্থা বাস্তবায়নের পথ দেখাবে। ভবিষ্যতে ভোটের মাধ্যমে যাঁরা বাংলাদেশের মানুষের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও এটি একটি নির্দেশিকা হিসেবে থাকবে।


সারজিস বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত অনুযায়ী ঘোষণাপত্রটি সংশোধন, পরিমার্জন ও পরিবর্ধন করা হচ্ছে।


৫ আগস্টের পুনর্মঞ্চায়নের পরিকল্পনা

৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মানুষ যেভাবে রাজপথে নেমে এসেছিল, ৩১ ডিসেম্বর সেই ঘটনার একটা পুনর্মঞ্চায়ন করতে চায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ৩১ ডিসেম্বরের কর্মসূচিতে যত বেশি সংখ্যক মানুষের সমাগম করতে চায় তারা। সেই লক্ষ্যে সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতা–কর্মী ও সদস্যদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতৃস্থানীয়রা গত শনিবার সন্ধ্যার পর হঠাৎ করে ফেসবুকে ৩১ ডিসেম্বরের কর্মসূচি নিয়ে পোস্ট দেওয়ার পর থেকে নানা আলোচনা শুরু হয়। বিষয়টি রাজনৈতিক অঙ্গণে কৌতূহলের জন্ম দেয়। ফেসবুকে অনেকে এমন প্রশ্নও করেন, এই উদ্যোগের (জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র) মধ্য দিয়ে বর্তমান সংবিধান স্থগিত বা বাতিলের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে কি না। কারও কারও প্রশ্ন ছিল, এই ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার প্রেক্ষাপট তৈরি করা হচ্ছে কি না। কেউ কেউ উল্লেখ করেন, এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে হয়তো বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বিপ্লবী সরকারে রূপ নিতে যাচ্ছে।


বিষয়টি নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এসব আশঙ্কা বা ধারণার কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই। শহীদ মিনারে বড় জমায়েতের মাধ্যমে তাঁরা এই বার্তা সব পর্যায়ে পৌঁছাতে চান যে অভ্যুত্থানের শক্তি এখনো ঐক্যবদ্ধ। তাঁরা মনে করেন, এর মাধ্যমে তাঁদের জনপ্রিয়তা বাড়বে এবং নতুন রাজনৈতিক দল গঠনে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।


নেতারা জানান, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র আরও আগে ঘোষণার পরিকল্পনা থাকলেও নানা কারণে তা করা সম্ভব হয়নি। ২০২৪ সাল পার হয়ে গেলে এর প্রতীকী তাৎপর্য কমে যাবে। এ বছরের মধ্যেই ঘোষণাপত্র মানুষের সামনে নিয়ে আসা এবং নতুন করে আলোড়ন তৈরি করার জন্যই বছরের শেষ দিনটি বেছে নেওয়া হয়েছে। ঘোষণাপত্রে কোনো দাবিদাওয়ার বিষয় থাকবে না। এতে মূলত অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট, আকাঙ্ক্ষা ও আগামীর প্রত্যাশিত বাংলাদেশের একটি চিত্র থাকবে।


আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি এবং আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জোটে থাকা দলগুলো বাদে বাকি সব দলের নেতাদের ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের এই কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে বলে জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা। তবে তাঁরা বলছেন, মঞ্চে রাজনৈতিক কোনো দলের নেতারা থাকবেন না। মঞ্চে থাকবেন জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহত ব্যক্তিরা। তাঁদের সঙ্গে থাকবেন গত ৩ আগস্ট ঘোষিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৫৮ সদস্যের সমন্বয়ক টিমের সদস্যরা। এ ছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের একাধিক উপদেষ্টাও অনুষ্ঠানে থাকতে পারেন।


‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ দেওয়া হবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে। আর এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে তাদের সহযোগিতা করছে জাতীয় নাগরিক কমিটি।


জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন গতকাল সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, ইংরেজি ও বাংলা ভাষায় লেখা পৃথক দুটি ঘোষণাপত্র শহীদ মিনারে পাঠ করা হবে।



‘বিএনপি নেতার প্রতিক্রিয়া’

সংবিধান নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর মন্তব্যের প্রেক্ষাপটে গতকাল দুপুরে ঢাকায় দলের এক অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘শহীদের রক্তের ওপর দিয়ে লেখা যে সংবিধান, সেই সংবিধানকে যখন কবর দেওয়ার কথা বলা হয়, তখন কিন্তু আমাদের কষ্ট লাগে।’


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘অনুরোধ করব, বিষয়গুলো বোঝার চেষ্টা করবেন। ভুল বুঝবেন না। কবর দিয়ে ফেলব, মেরে ফেলব, কেটে ফেলব—এ সমস্ত কথা ভালো কথা নয়। এ ধরনের কথা ফ্যাসিবাদের মুখ থেকে আসে।’


‘সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক নেই’

জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে গতকাল এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মো. শফিকুল আলম। তিনি বলেন, এটিকে সরকার ‘প্রাইভেট ইনিশিয়েটিভ’ (বেসরকারি উদ্যোগ) হিসেবেই দেখতে চায়।


গতকাল বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা এটিকে প্রাইভেট ইনিশিয়েটিভ হিসেবেই দেখছি। সরকারের সঙ্গে এর কোনো সম্পৃক্ততা নেই। যাঁরা এটিকে সাপোর্ট করছেন, এটা প্রাইভেট ইনিশিয়েটিভকে সাপোর্ট করছেন।’


এই ঘোষণাপত্রের বিষয়ে ব্রিফিংয়ে উপপ্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, ‘এটি আসলে যাঁরা ঘোষণা দেবেন, তাঁরাই ভালো বলতে পারবেন। তাঁরা কী ঘোষণা দেবেন, এ বিষয়ে সরকার আসলে তেমন অবগত নয়।’



আরও খবর



রোজার বিয়ে হওয়ায় ভেঙে পড়েছে মা, করছে কান্নাকাটি: প্রাক্তন প্রেমিক ফায়েজ

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | ১৮জন দেখেছেন

Image

ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন বছরের শুরুতেই বিয়ে করেছেন জনপ্রিয় গায়ক অভিনেতা তাহসান খান। গত শনিবার সন্ধ্যায় মেকওভার আর্টিস্ট রোজা আহমেদের গলায় মালা দিয়েছেন তিনি। পারিবারিক আয়োজনেই সম্পন্ন হয়েছে তাহসান-রোজার বিয়ে।


বিয়ে সম্পন্ন হলেও বিনোদন অঙ্গন থেকে শুরু করে নেট পাড়ায় তাহসান ও রোজার বিয়ে নিয়ে আলোচনা এখনো তুঙ্গে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চোখ রাখলেই এ উন্মাদনার প্রমাণ মিলছে। গায়ক তাহসান ও রোজা আহমেদের বিয়ের ছবি ঘুরছে হাজারো পোস্টে।

 

সোমবার (৬ জানুয়ারি) তাহসানের বিয়ের খবর নিশ্চিত হওয়ার পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুঞ্জন ওঠে, ফায়েজ বেলাল নামে এক যুবককে ধোঁকা দিয়ে নাকি তাহসানের সঙ্গে সংসার পেতেছেন রোজা আহমেদ। ফায়েজ দাবি করেন, রোজার সঙ্গে নাকি দুই বছরের প্রেম ছিল তার। এরপর তা নিয়ে তৈরি হয় নানা ধোঁয়াশা। তাহসানের স্ত্রী রোজা আহমেদের পরই আলোচনায় আসেন তার কথিত প্রাক্তন প্রেমিক ফায়েজ বেলাল।

 

সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে তাহসান-রোজার বিয়ে প্রসঙ্গে কথা বলেছেন রোজার প্রাক্তন প্রেমিক ফায়েজ বেলাল। সেখানে রোজা আহমেদের নাম মুখে না নিলেও পরোক্ষভাবে কথিত প্রাক্তনকে নিয়ে নানান কথা বলেন তিনি। সাক্ষাৎকারে ফায়েজ এও দাবি করেন, রোজার বিয়ে হওয়ায় ফায়েজের মা কান্নাকাটি করছেন!

ফায়েজের কথায়, ‘আমার কারও ওপর অভিমান নেই। আমি তাদের দুজনকেই অসংখ্য শুভকামনা জানাই। ওর বিয়ের খবরে (রোজা আহমেদ) খবরে আমার মা সবচেয়ে বেশি ভেঙে পড়েছে, মানে আমার থেকেও বেশি। তিনি আমাকে আজকে এই সাক্ষাৎকারে আসতে দিতে চায়নি।’

ফায়েজ বলেন, ‘তখন আমার মা আমাকে খাইয়ে দিচ্ছেন আর সে সময় তার চোখে পানি দেখছি। জিজ্ঞাসা করলাম কাঁদছেন কেন, তখন আম্মু উত্তর দিলেন ‘এরকম তো অনেককেই খাইয়ে দিয়েছি’। আমি তার নাম বলতে চাই না, তখন আমিও মা কে ধরে কান্না করে দেই।’

উল্লেখ্য, ফায়েজ বেলাল পেশায় একজন ব্যবসায়ী সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েনসার। তার বাবার নাম সেলিম শিকদার ও মায়ের নাম ফজিলাতুন্নেসা। তিনি বর্তমানে ঢাকার খিলখেতে বসবাস করেন।


আরও খবর

কখনও ভাবিনি আমি বাঁচব : প্রীতি জিনতা

রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫