Logo
আজঃ বুধবার ০৯ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম
ট্রাম্প এখনো কূটনৈতিক সমাধানে আগ্রহী : হোয়াইট হাউস জুলাই বিপ্লবে স্কাউট সদস্যের আত্মাহুতি, এ নজির বিশ্বে আর নেই: প্রধান উপদেষ্টা বিসিবি সভাপতি রাজশাহী অঞ্চলে প্রিমিয়ার লিগ চালুর কথা বললেন সিএস ও কমিটির পক্ষ থেকে সি এস ও লিড ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত ইরানে মার্কিন হামলায় জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্বেগ বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নৌবাহিনী প্রযুক্তিনির্ভর ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে ভূমিকা রাখছে : সেনাপ্রধান অবকাশ শেষে রোববার থেকে নিয়মিত বিচারিক কার্যক্রম ফিরছে সুপ্রিম কোর্ট হলি আর্টিজান হামলা : মৃত্যুদণ্ড থেকে সাত আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ডের যুক্তি পূর্ণাঙ্গ রায়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। ওমান উপসাগরে দুটি তেল ট্যাঙ্কারের মধ্যে সংঘর্ষে

শিক্ষক সংকটের কারণে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ০৯ জুলাই ২০২৫ | ৮৮জন দেখেছেন

Image

আল মামুন : গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী গিমাডাঙ্গা টুঙ্গিপাড়া (জিটি) সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট প্রকট হয়ে উঠেছে। বর্তমানে বিদ্যালয়টি মাত্র ৯ জন শিক্ষক নিয়ে কোনোমতে চলছে, যার ফলে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষক সংকটের কারণে বিদ্যালয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের পাঠদান করা সম্ভব হচ্ছেনা।
জানা গেছে, বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ গণিত, জীববিজ্ঞান, ভূগোল, ইসলাম শিক্ষা এবং কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের শিক্ষক নেই। এছাড়াও দপ্তরি, নাইট গার্ড, অফিস সহকারী, ল্যাব সহকারী এবং কম্পিউটার শিক্ষকের অভাব রয়েছে। এই সংকটের কারণে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে এবং তারা যথাযথভাবে শিক্ষা পাচ্ছে না।
গিমাডাঙ্গা টুঙ্গিপাড়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, এভাবে শিক্ষকদের সংকটের মধ্যে পাঠদান চালানো তাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা জানান, ছাত্র-ছাত্রীরা বিভিন্ন বিষয়ের উপর যথাযথ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যদি শিক্ষক সংকট দ্রুত সমাধান না করা হয়, তবে বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান আরও হ্রাস পাবে এবং ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের ফলাফলও নেতিবাচক হতে পারে।এদিকে, বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষকও বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরে বলেন, যত দ্রুত সম্ভব নতুন শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে, নাহলে শিক্ষার কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হবে না।


আরও খবর



অবকাশ শেষে রোববার থেকে নিয়মিত বিচারিক কার্যক্রম ফিরছে সুপ্রিম কোর্ট

প্রকাশিত:শনিবার ২১ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৮ জুলাই ২০২৫ | ৫২জন দেখেছেন

Image

 গত ৩ জুন থেকে ২১ জুন, শনিবার পর্যন্ত ঈদুল আজহার ছুটি, সাপ্তাহিক ছুটি ও অবকাশের কারণে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে নিয়মিত বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধ ছিল।

রোববার থেকে নিয়মিত বিচারিক কার্যক্রমে ফিরছে সর্বোচ্চ আদালত। ইতোমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকাজ পরিচালনার জন্য সুনির্দিষ্ট বিচারিক এখতিয়ার দিয়ে ৪৯টি বেঞ্চ গঠন করেছেন প্রধান বিচারপতি।

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নির্দেশে গঠিত বেঞ্চসমূহ সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে ২৮টি দ্বৈত বেঞ্চ এবং ২১টি একক বেঞ্চের বিচারিক এখতিয়ার উল্লেখ করা হয়েছে।

অবকাশের মাঝে হাইকোর্টের ভ্যাকেশন বেঞ্চ ও আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে নির্ধারিত দিনে বিচারকাজ চলেছে।


আরও খবর



প্রায় ৬০ কোটি টাকার টোল আদায় ঈদের ছুটিতে পদ্মা ও যমুনা সেতুতে

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ০৯ জুলাই ২০২৫ | ৫৫জন দেখেছেন

Image

ঈদের ছুটিতে পদ্মা ও যমুনা সেতুতে প্রায় ৫৯ কোটি ৭৭ লাখ ২৯ হাজার ৫০ টাকার টোল আদায় করা হয়েছে।

সেতু বিভাগের সচিব এম আব্দুর রউফ জানান, ঈদুল আজহার ছুটিতে পদ্মা ও যমুনা সেতু পারাপারের ক্ষেত্রে সর্বাধিক যানবাহন দেখা গেছে।

তিনি বলেন, সেতু পারাপারের সময় কমানোর লক্ষ্যে সেতুগুলোতে ইলেকট্রনিক টোল সংগ্রহ (ইটিসি) পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।

সচিব বলেন, আমরা ছয়টি সংস্থার সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছি, যাতে যানবাহনগুলো অ্যাপের মাধ্যমে টোল পরিশোধ করে দ্রুত সেতু পার হতে পারে।

সূত্র জানায়, ৫ জুন পদ্মা ও যমুনা সেতু তাদের সর্বোচ্চ দৈনিক টোল সংগ্রহ ও যানবাহন পারাপারের রেকর্ড করেছে।

এই ঈদের ছুটিতে দেশের বৃহৎ সেতু দুটি থেকে বিপুল পরিমাণ টোল আদায় করা হয়েছে।

পদ্মা বহুমুখী সেতু কর্তৃপক্ষ ৫ জুন সর্বোচ্চ ৫ কোটি ৪৩ লাখ ২৮ হাজার টাকার টোল আদায় করেছে। 
একই দিনে যমুনা সেতু থেকে ৪ কোটি ১০ লাখ ৮০ হাজার ৯৫০ টাকার টোল আদায় করা হয়েছে।

৫ জুন, যমুনা সেতু দিয়ে ৬৪ হাজার ২৮৩টি যানবাহন এবং পদ্মা সেতু দিয়ে ৫২ হাজার ৪৮৭টি যানবাহন অতিক্রম করে।


আরও খবর



মানিকগঞ্জে তিল উৎপাদন বেড়েছে

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৮ জুলাই ২০২৫ | ৭০জন দেখেছেন

Image

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) জানিয়েছে, তিলের ভালো ফলনের সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় জেলার সাতটি উপজেলায় চাষিদের মধ্যে তিল চাষে আগ্রহ বেড়েছে। কৃষকের আগ্রহে নির্ধারিত লক্ষ্যের চেয়ে বেশি জমিতে তিল চাষ হয়েছে। চলতি মৌসুমে জমিতে তিলের পর্যাপ্ত ফলন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ডিএই সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে ৩,৯৭১ হেক্টর জমিতে তিল চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল এবং তিল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩,৮২৬ টন। তবে জেলায়  মোট ৪,০৯৭ হেক্টর জমিতে তিল চাষ করা হয়েছে, যা নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২৬ হেক্টর বেশি।

ডিএই মানিকগঞ্জের উপপরিচালক ড. রোবিয়া নূর আহমেদ বাসসকে বলেন, গত কয়েক বছর ধরে তিলের ভালো উৎপাদন এবং এর ন্যায্য মূল্য কৃষকদের তিল চাষে উৎসাহিত করেছে। উপরন্তু এ বছর জেলায় অনুকূল আবহাওয়া বিরাজ করায় তিলের চাষ নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।

তিনি বলেন, জেলার হরিরামপুর, শিবালয় এবং দৌলতপুর উপজেলার বালুকাময় চরাঞ্চল দীর্ঘদিন ধরে অনুর্বর ও অকর্ষিত ছিল। সেই জমিগুলির বেশিরভাগই এখন তিল চাষের আওতায় আনা হচ্ছে।

হরিরামপুর এবং দৌলতপুর উপজেলার কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, অনুর্বর ও পতিত জমিতে তিলের ফলন ভাল হয়। এর চাষ পদ্ধতি ও ফসল তোলাও খুব সহজ। এজন্যই চরাঞ্চলের কৃষকরা তিল চাষ করতে আগ্রহী হয়েছে। 

ড. রোবিয়া নূর বলেন, জেলার জমি, বিশেষ করে হরিরামপুর, শিবালয় এবং দৌলতপুর উপজেলার বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল তিল চাষের জন্য উপযুক্ত এবং কৃষকরা তাদের উৎপাদনের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন। এই কারণে জেলায় তিলের চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।


আরও খবর



দশ বছরে চামড়ায় সর্বোচ্চ দাম বাণিজ্যে উপদেষ্টা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ০৯ জুলাই ২০২৫ | ৩৫জন দেখেছেন

Image

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন মঙ্গলবার নাটোরের চকবৈদ্যনাথ এলাকায় চামড়া আড়ৎ পরিদর্শনকালে বললেন, “গত ১০ বছরের তুলনায় এবার কোরবানির চামড়া সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হয়েছে। আগামী বছর আরও দাম বাড়বে বলে আমরা আশা করছি। এজন্য সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। আমাদের অর্থনীতির প্রসারের জন্য বাণিজ্য সম্প্রসারণে মনোযোগ দিতে হবে।”

শেখ বশিরউদ্দিন আরও যোগ করে বলেন, “আমাদের দেশে এবছর লবণের উৎপাদন অনেক বেশি হয়েছে। সরকার সাড়ে ৭ লাখ মণ লবণ কিনেছে। সেজন্য লবণ চাষীদেরও একটা উপায় হয়েছে। বর্তমান বাজার দর ১ হাজার টাকা মণ। তাতেও চাষী বাঁচবে না। সরকারকে সবসময় সামগ্রিকভাবে চিন্তা করতে হয়। শিল্প মন্ত্রণালয় সাড়ে ৭ লাখ মণ লবণ কিনেছে মাদ্রাসায় বিনামূল্যে দেওয়ার জন্য। এর ফলে বাজারে একটা সুষম কাঠামো তৈরি হয়েছে। তাদেরও কিছু ভুল রয়েছে। সেই ভুল থেকেই তারা জানতে ও শিখতে চান। অনেক মাদ্রাসা বিনামূল্যে লবণ পেয়েও কাঁচা চামড়া ও লবণ আলাদা করে বিক্রি করেছে।”

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “সরকার লবণ দিয়ে চামড়া সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে, যাতে চামড়া নষ্ট না হয় এবং ব্যবসায়ীরা ভালো দাম পান। বাজারে একদিনে প্রচুর সরবরাহ হলে দামে কিছুটা প্রভাব পড়ে। তবে সংরক্ষণ করে ধীরে ধীরে বিক্রি করলে আরও ভালো দাম পাওয়া সম্ভব। সরকার বিসিকের মাধ্যমে ট্যানারি মালিকদের তিন ধরনের লবণের নমুনা দিয়েছে। তারা পরীক্ষার পর উপযুক্ত লবণ নির্ধারণ করেছেন। কেউ কেউ লবণের দাম বাড়ার কথা বলছেন, কিন্তু আমাদের লবণচাষীদের কথাও চিন্তা করতে হবে।”

‘আমরা অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবসা চাই। শুধু একটি বা দুটি দেশের সঙ্গে নয়, বরং ভারত, চীন, পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে বাণিজ্য করতে চাই। একইভাবে বৈশ্বিক বাজার থেকেও পণ্য আমদানি করব’-যোগ করেন এ উপদেষ্টা।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাটোরের পুলিশ সুপার আমজাদ হোসাইন, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহাবুর রহমানসহ পুলিশ কর্মকর্তারা।


আরও খবর



হলি আর্টিজান হামলা : মৃত্যুদণ্ড থেকে সাত আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ডের যুক্তি পূর্ণাঙ্গ রায়ে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৮ জুলাই ২০২৫ | ৬১জন দেখেছেন

Image

 নয় বছর আগে রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে সংঘটিত হামলা মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাত আসামিকে কেন আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ২২৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়ে হাইকোর্ট বলেছেন, ‘ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থাকলেও এই সাত আপিলকারী ষড়যন্ত্র ও ঘটনায় সহায়তা করেছেন, যা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। ষড়যন্ত্র ও ঘটনায় (জঙ্গি হামলা) সহায়তার কারণে তারা সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর ৬(১)(ক)(আ) ধারায় বর্ণিত অপরাধে দোষী। তবে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল সংশ্লিষ্ট ধারা-উপধারার সঠিক ব্যাখ্যা না করেই আপিলকারীদের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন, যা সঠিক ও গ্রহণযোগ্য নয়। ফলে উক্ত রায়টি হস্তক্ষেপযোগ্য।’

এই মামলার সাক্ষ্যপ্রমাণ, আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি এবং উভয় পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তি পর্যালোচনার ভিত্তিতে রায়ে বলা হয়েছে, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর ৬(১)(ক)(অ)(আ) ধারায় আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে মর্মে গণ্য করে বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে তাদের একই আইনের ৬(২)(আ) ধারায় আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হল। তবে হত্যাকাণ্ডের নির্মমতা, নৃশংসতা, ঘটনার সময় জঙ্গিদের সামগ্রিক নিষ্ঠুর আচরণ এবং এ ঘটনায় বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আমরা মনে করি, আসামিদের প্রত্যেককে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হলে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে।’

এছাড়া হাইকোর্ট তার রায়ে আরো বলেন, ‘বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ রদ ও রহিত করে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৬(২)(আ) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তাঁদের প্রত্যেককে (সাত আসামি) আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হল।’

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গিরা দেশি-বিদেশি অতিথিদের জিম্মি করে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে ২২ জনকে। নিহতদের মধ্যে নয়জন ইতালীয়, সাতজন জাপানি, একজন ভারতীয় এবং তিনজন বাংলাদেশি নাগরিক। জিম্মিদের মুক্ত করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের বোমা হামলায় পুলিশের দুই কর্মকর্তাও প্রাণ হারান।

এ ঘটনায় করা মামলার বিচার শেষে ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ‘নব্য জেএমবি’র সাত সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন।

এরপর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্স এবং আপিল শুনানি শুরু হয় হাইকোর্টে। শুনানি শেষে ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ বিচারিক আদালতের রায় সংশোধন করে সাত আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড প্রদান করেন।

হাইকোর্টে আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া সাত আসামি হলেন, রাকিবুল হাসান ওরফে রিগ্যান, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে র‌্যাশ, হাদিসুর রহমান, আবদুস সবুর খান ওরফে সোহেল মাহফুজ, মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন ও শরিফুল ইসলাম খালেদ।


আরও খবর