Logo
আজঃ শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3
শিরোনাম

শিশুর বেছে বেছে খাবার খাওয়ার অভ্যাস দূর করবেন যেভাবে

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৩৯জন দেখেছেন

Image

সাধারণত অভিভাবকরা মনে করেন যে শিশুরা সব ধরনের খাবার নাও খেতে পারে। প্রি-প্যাকেজড কিড-সাইজ স্ন্যাকস যেমন চিকেন নাগেটস, স্যান্ডউইচ শিশুদের পছন্দের খাবার। কিন্তু মায়েরা সচরাচর এমন খাবার শিশুদের খেতে দিতে চান না যদি শিশুটি জোর না করে। শিশুর জন্য অভিভাবকরা যে ধরণের খাবার তৈরি এবং পরিবেশন করে সেটি পরিবর্তন করা দরকার। কিন্তু বাবা-মা চাইলেই তাদের দুশ্চিন্তা দূর করতে পারে যদি তারা কিছু নিয়ম মেনে চলে। আসুন জেনে নিই সেই নিয়মগুলো-

১. খাবারকে না বলা চলবে না
বাসায় শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্কদের কোনো খাবার নিয়ে অভিযোগ করার সুযোগ রাখবেন না। এর মানে তাদের সব খাবারই খেতে হবে তেমনও নয়। কিন্তু খাবারকে না বলা চলবে না। সব খাবার শরীরে পুষ্টি জোগায়। শিশুদেরকে এটি বোঝানো উচিত। প্রত্যেক খাবারেরই নিজস্ব গুণ আছে। যারা অনেক কষ্ট করে রান্না করে শিশুরা খাবার না খেলে তারাও মনে কষ্ট পায়। ক্ষুধার্ত না থাকলে কাউকে খাবারের জন্য জোর করা উচিত নয়। খাবারের টেবিলে অবশ্যই খুশি মনে বসতে হবে। তাতে খাদ্য পরিপাক ভালোভাবে হয় এবং ভালো ঘুমও হয়। যেকোনো খাবার নিয়ে বলা উচিত না যে এটা ভালো না। এতে শিশু পরবর্তীতে ওই খাবার আর খেতে চায় না।

২. খাবার খাওয়াকে স্বাভাবিক অভ্যাস হিসেবে গড়ে তুলুন
শিশুরা খাবার খায় শরীরে পুষ্টি জোগাতে। তাই অভিভাবকের উচিত সঠিক নিয়মে খাবার দেওয়া। খাবার শেষ করতে পারলে পুরস্কার পাবে- শিশুকে কখনো এ ধরনের কথা বলবেন না। তাহলে ওরা ধরে নেবে যে খাবার খাওয়া একটি কষ্টের কাজ যা শেষ করতে পারলে পুরস্কার পাওয়া যায়। বরং খাবার খাওয়াকে প্রতিদিনের সাধারণ অভ্যাস হিসেবেই গড়ে তুলুন। এমনকী শিশুর জন্মদিনেও অনেক পদের আয়োজন করার প্রয়োজন নেই। এর বদলে তাকে এই বিশেষ দিন উপলক্ষে পছন্দের কিছু কিনে দিন, ঘুরতে নিয়ে যান। আবার শাস্তি হিসাবে কখনোই শিশুর খাবার বন্ধ করা ঠিক না। এতে শিশু মনে কষ্ট পাবে এবং দুর্বল হয়েও পরবে। তবে অস্বাস্থ্যকর খাবারও দেয়া চলবে না। তাদেরকে বুঝাতে হবে কোনটি তাদের জন্য ঠিক। শিশুদেরকে খুশি রাখতে মাঝে-মধ্যে তাদের জন্য ভালো খাবার রান্না করা উচিত । এতে তাদের মনও ভালো থাকবে এবং তারা খুশিও হবে। মূলত যখন তারা কোনো ভালো কিছু করবে তখন তাদের উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে এটি করতে পারেন। কিন্তু কোন খারাপ কাজ করলে শাস্তি না দিয়ে অবশ্যই বোঝাতে হবে।

৩. শিশুর ক্ষুধা নষ্ট হতে দেবেন না
অনেকেরই খাওয়ার সময় চলাফেরা করার অভ্যাস রয়েছে যার ফলে ক্ষুধা নষ্ট হয়ে যায়। বিশেষ করে শিশুরা নানা অজুহাতে এই কাজটি করে থাকে। কিন্তু তাতে আরও ক্ষতি হয়ে যায়। তাই এই কাজ তাদের করতে দেয়া যাবে না। সঠিক সময়ে খাবার দিলে শিশুরা যেকোনো খাবারই খুশি হয়ে খেয়ে নেয়। এতে তাদের খালি পেটেও বেশিক্ষণ থাকতে হয় না। পরবর্তী খাবারের জন্যও তারা উৎসাহিত থাকে। অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার জন্য ক্ষুধাকে অজুহাত হতে দেয়া যাবে না। শিশুর ক্ষুধা নিবারণে হালকা নাস্তা খাওয়ার অভ্যাস হতে দেয়া যাবে না।

৪. পারিবারিক কার্যকলাপের একটি অংশ
টিভি দেখার সময় শিশুকে খাওয়ানোর অভ্যাস করা উচিত নয়। তাতে সে পরিবারের সঙ্গে খাবার খাওয়ার আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়। শিশুরা পরিবারের সবার সঙ্গে খাবার খেলে তাদের সঙ্গে মধুর সম্পর্ক গড়ে উঠবে। সবার সঙ্গে খাবার খেলে শিশুরা গল্প করতে পারবে এবং পরিবারের সবার প্রতি টানও কাজ করবে। সবার জন্যে অবশ্যই একই রকমের খাবারের ব্যবস্থা করা উচিত, তাতে সবাই মিলেমিশে খাওয়াদাওয়া করা শিখবে। খাবারের সময়টি পারিবারিক কাজের অন্তর্ভুক্ত। তাই এই সময় বাকি যেকোনো কাজ থেকে দূরে থাকা উচিত।

৫. চেষ্টা করুন, আবার চেষ্টা করুন
যেসব শিশু খাবার বেছে খায় তদেরকে সুন্দর করে খাবারে পরিবেশন করতে হবে। যাতে খাবারগুলো তাদের কাছে সুস্বাদু লাগে এবং খুশি হয়ে খায়। বাচ্চারা যখন কোন খাবার পছন্দ না করে তখন তারা ভিন্ন খাবারের বায়না ধরে, তখন অভিবাবকরা শুধু বোঝায় যে খাবারগুলো স্বাস্থ্যসম্মত। শিশু কোনো খাবার খেতে না চাইলে তাকে জোর করা উচিত নয়। বরং বোঝাতে হবে যে এটি তাদের জন্য উপকারী।


আরও খবর

শুষ্ক ত্বকের যত্নে মধু

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩

শীতে লালশাক কেন খাবেন?

সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩




ষষ্ঠ-সপ্তম শ্রেণিতে বৃহস্পতিবার থেকে মূল্যায়ন পরীক্ষা শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৫৭জন দেখেছেন

Image

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে নতুন শিক্ষাক্রমে ষষ্ঠ সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন। এই দুই শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের অংশ হিসেবে কোনো লিখিত পরীক্ষা নিতে পারবে না সরকারি-বেসরকারি স্কুলগুলো।

মূল্যায়ন টুলস ও নির্দেশনা অনুসরণ করে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করতে হবে। এ বিষয়টি মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তা এবং সরকারি-বেসরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে জানিয়ে আদেশ জারি করছে মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।

নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নে লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল কিছু স্কুল। বিষয়টি শিক্ষা প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি নির্দেশনা দিয়েছেন, কোনো লিখিত পরীক্ষা না নেওয়ার জন্য আদেশ জারি করতে। সে অনুযায়ী আদেশ জারির প্রস্তুতি চলছে।

জানতে চাইলে অধিদপ্তরের মাধ্যমিক উইংয়ের পরিচালক বেলার হোসাইন বলেন, ষষ্ঠ-সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন কীভাবে হবে তার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আরও কিছু নির্দেশনা যাবে। তবে কোনো লিখিত পরীক্ষা নেওয়া যাবে না। মূল্যায়ন টুলস ও নির্দেশনা অনুসারে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করতে হবে। বিষয়টি সব শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রধান শিক্ষকদের জানিয়ে আদেশ জারি করা হচ্ছে।

গত ৬ নভেম্বর এ দুই শ্রেণির ১৩টি বিষয়ের বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়নের টুলস ও নির্দেশনা প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।

অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এসএম জিয়াউল হায়দার হেনরী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১ অনুযায়ী সামষ্টিক মূল্যায়নের অংশ হিসেবে ১৩টি বিষয়ের বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়নের জন্য বিষয়ভিত্তিক মূল্যায়ন টুলস্ ও নির্দেশনা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক প্রস্তুত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সূত্রোক্ত (২) নম্বর পত্র মোতাবেক এ সংক্রান্ত নির্দেশনা মাঠ পর্যায়ে প্রেরণ করা হয়েছে।


আরও খবর



মাধ্যমিকে ভর্তি : দুপুরের পর এসএমএস যাবে মনোনিত শিক্ষার্থীর কাছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | ১২জন দেখেছেন

Image

দেশের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলোতে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী বাছাই করতে ডিজিটাল লটারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনায় এই লটারি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন‌ শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।‌

লটারির এই অনুষ্ঠানটি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ফেসবুক পেজ এবং টেলিভিশন চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, ১ম থেকে নবম শ্রেণির পর্যন্ত যারা মনোনীত হয়েছেন তারা দুপুর ২টার‌ পর এসএমএসে মাধ্যমে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।

মাউশি জানায়, ভর্তির জন্য আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছিল ২৪ অক্টোবর। প্রথমে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত সময় থাকলেও পরে তা বাড়িয়ে ১৮ নভেম্বর করা হয়। এবার কেন্দ্রীয় লটারির অধীনে আসা দেশের সরকারি-বেসরকারি ৩ হাজার ৮৪৬টি বিদ্যালয়ে আসন আছে ১১ লাখ ২২ হাজার ৯৪টি। তবে আবেদন পড়েছে ৮ লাখ ৭৩ হাজার ৭৯২টি। এর মধ্যে ৬৫৮টি সরকারি বিদ্যালয়ে আছে ১ লাখ ১৮ হাজার ১০১ আসন।

আবেদন পড়েছে ৫ লাখ ৬৩ হাজার ১৩টি। অন্যদিকে ৩ হাজার ১৮৮টি বেসরকারি বিদ্যালয়ের ১০ লাখ ৩ হাজার ৯৯৩টি আসনের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ৩ লাখ ১০ হাজার ৭৭৯ টি। অর্থাৎ বেসরকারি বিদ্যালয়ে আবেদন কারী সবাই ভর্তি হলেও প্রায় সাত লাখ আসন খালি থাকবে।

আগে কেবল প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির কাজটি হতো লটারির মাধ্যমে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে ২০২১ শিক্ষাবর্ষে বিদ্যালয় গুলোয় সব শ্রেণিতেই লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। এর পর থেকে একই প্রক্রিয়ায় ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী বাছাই করা হচ্ছে।


আরও খবর



শামিকে বিয়ের জন্য প্রস্তুত অভিনেত্রী পায়েল ঘোষ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৩৯জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক : বিশ্বকাপে উড়ছে ভারত। সেইসঙ্গে বল হাতে দারুণ ছন্দে আছেন পেসার মোহাম্মদ শামি। বিশেষ করে শেষ চারটি ম্যাচে এই পেসারের আগুনেই পুড়েছে বিপক্ষ দলগুলো। যেখানে শামি তুলে নিয়েছেন ১৬টি উইকেট। 

ভারতীয় ক্রিকেটারের এই দারুণ পারফরম্যান্সের সুবাদে বলিউড থেকে বিয়ের প্রস্তাব পাঠালেন এক অভিনেত্রী। যার নাম পায়েল ঘোষ। নিছক মজা করে হলেও, অভিনেত্রী জানিয়েছেন- শামিকে বিয়ে করতে প্রস্তুত তিনি।

মজা করেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের মনের কথা প্রকাশ করে পায়েল লিখেছেন, ‘শামি তুমি তোমার ইংরেজিটা শুধরে নাও। আমি তোমায় বিয়ে করার জন্য প্রস্তুত।’ 

স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর বর্তমানে সিঙ্গেল জীবনই পার করছেন শামি। নায়িকার এমন প্রস্তাবের জবাবেও কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি তিনি। তবে পুরো বিষয়টি ভক্তরা বেশ উপভোগ করেছেন। দু’জনকে জড়িয়ে বিভিন্ন মন্তব্যও মেতেছেন। 

প্রসঙ্গত, কলকাতার মেয়ে পায়েল ইতোমধ্যেই বলিউডে পা রেখেছেন। কাজ করেছেন একাধিক ছবিতেও। এর মধ্যে ‘মিস্টার রাস্কেল’, ‘প্যাটেল কি পঞ্জাবি শাদি’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।


আরও খবর



ব্রি ধান-৭৬ ধান চাষের আশার আলো দেখছে কৃষক

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | ৪৬জন দেখেছেন

Image

বালাদেশ ধান গবেষণা ইনষ্টিটিউট (ব্রি) উদ্ভাবিত লবণ-জোয়ার-ভাটা সহিষ্ণু উচ্চ ফলনশীল ব্রি ধান-৭৬ চাষে আশার আলো দেখছেন কৃষক। নিচু জমিতে এ ধান চাষ করে কৃষক বিঘা প্রতি ১২ থেকে ১৪ মণ পর্যন্ত ফলন পেয়েছেন। গোপালগঞ্জ জেলার স্থানীয়  জাবরা, জৈনা, ময়নামতি ধান ও বাগেরহাট জেলার স্থানীয় জাত মন্ডেশ্বরের পরিবর্তে কৃষক ব্রি ধান-৭৬ আবাদ করে তিনগুনেরও বেশি ফলন পেয়েছেন। তাই এ জাত ছড়িয়ে দিতে পারলে আমন মৌসুমে দক্ষিণাঞ্চলের নিচু জমিতে ধানের উৎপাদন অন্তত ৩ গুণ বৃদ্ধি পাবে। এ অঞ্চল খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। 

ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়  গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট ও নড়াইল জেলার ধানের উৎপাদন বৃদ্ধিতে কাজ করছে। 

প্রতিষ্ঠানটি সূত্রে জানা গছে, চলতি আমন মৌমুমে গোপালগঞ্জ ও বাগেরহাট জেলায় বিনামূল্যে ১ হাজার ২৭০ কেজি ব্রি ধান-৭৬ বীজ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। বীজ দিয়ে গোপালগঞ্জ সদর , টুঙ্গিপাড়া, বাগেরহাট জেলার মংলা, রামপাল, মোড়লগঞ্জ ও শরনখোলার কৃষক ২৫৪টি প্রদর্শনী প্লটে ব্রিধান-৭৬ এর আবাদ করেন। ৩৩ শতাংশের বিঘায় এ ধান ১২ থেকে ১৪ মন পর্যন্ত ফলন দিয়েছে। স্থানীয় জাত জাবরা, জৈনা, ময়নামতি ও মন্ডেশ্বর বিঘায় ৪ থেকে ৫ মন ফলন দিয়ে থাকে।

গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ডুমরিয়া গ্রামের কৃষক আহমেদ আলী (৬৫) বলেন, নিচু জমিতে স্থানীয় জাত জাবরা, জৈনা, ময়নামতি চাষ করতাম। এতে বিঘা প্রতি ৪/৫ মণ ফলন পেতাম। কিন্তু এ বছর ব্রিধান-৭৬ আবাদ করে বিঘা প্রতি ১৩ মণ ফলন পেয়েছি। লবন-জোয়ার-ভাটা সহিষ্ণু উচ্চ ফলনশীল ব্রিধান-৭৬ চাষে আশার আলো দেখছি। আমাদের এলাকার চাষীরা এত ফলন দেখে আগামী বছর ব্রিধান-৭৬ চাষ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের  গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সৃজন চন্দ্র দাস বলেন, বীজ তলায় ব্রিধান-৭৬ এর চারা ৩০ দিনেই ৬০ সেন্টিমিটারের চেয়েও বড় হয়। লবনাক্ত নিচু জমিতে এ ধানের চারা রোপণ করে দিতে হয়। জোয়ারভাটা সহিষ্ণু এ জাতের ধান ১৪০ দিনেই স্থানীয় জাতের তুলনায় ৩ গুনেরও বেশি ফলন দেয়। দক্ষিণাঞ্চলে এ ধানের জাত ছড়িয়ে দিতে আমরা কাজ করছি। দক্ষিণাঞ্চলে এ ধানের জাত ছড়িয়ে দিয়ে আমরা খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সক্ষম হব। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির উপ-পরিচালক আঃ কাদের সরদার বলেন, নিচু জমিতে ব্রি ধান-৭৬ এর বাম্পার ফলন হয়েছে। এ জাত দক্ষিণাঞ্চলের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের হাতছানি দিচ্ছে। ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)বীজ সরবরাহ করলে আমরা এ জাত ছড়িয়ে দেব।

ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান ও সিনিয়র সাইন্টিফিক অফিসার ড. মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বলেন, লবণ-জোয়ার-ভাটা সহিষ্ণু উচ্চ ফলনশীল ব্রিধান-৭৬ কৃষক র্পায়ে জনপ্রিয় করতে আমরা বীজ উৎপাদন বাড়াব । কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে এটি ছড়িয়ে দিয়ে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা আমরা নিশ্চিত করব ইনশাল্লাহ।


আরও খবর



ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে যেসব কারণে

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | ১১জন দেখেছেন

Image

যেকোনো বয়সে যে কারোরই ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে। এক টানা বেশিক্ষণ ল্যাপটপে কাজ বা দীর্ঘক্ষণ মোবাইল দেখাও এ ব্যথার কারণ হতে পারে। ভারী জিনিস তোলার সময়ে অসাবধানতায় ঘাড়ে চোট পেলেও ব্যথা হতে পারে। প্রথম অবস্থায় অগ্রাহ্য করলে ভোগান্তির মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। তাই ফেলে না রেখে ঘাড়ে ব্যথা কেন হচ্ছে, আগে তার উৎস খুঁজে বার করা প্রয়োজন।

হঠাৎ করে একদিনে বাড়ির সমস্ত কাজ করলেও ঘাড়ের পেশির ওপর চাপ পড়তে পারে। বিরতি না নিয়ে একটানা অনেক ক্ষণ গাড়ি চালালেও কিন্তু ঘাড়ের পেশির উপর চাপ পড়ে। 

যোগাসন, জিমে গিয়ে ভুল শরীরচর্চা কিংবা শোয়ার ভুলেও ঘাড়ে চোট লাগতে পারে। যা থেকে ঘাড়ের ব্যথা দীর্ঘায়িত হয়। দীর্ঘ দিন একই ভাবে কাঁধে ভারী ব্যাগের বোঝা নিলেও কিন্তু ঘাড়ের পেশিতে চোট লাগতে পারে।

এবড়ো খেবড়ো রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়ে হঠাৎ ঝাঁকুনিতে বা দুর্ঘটনায় ঘাড়ে চোট লেগে থাকলে, সেই ব্যথাই ঘুরে ফিরে আসতে পারে বার বার। সেই দিকেও খেয়াল রাখা জরুরি।

বাতের নাম শুনলে প্রথম হাঁটু, কোমরের কথাই মাথায় আসে। তবে ঘাড়ের ভার্টিব্রাল অস্থিসন্ধিতেও কিন্তু আর্থ্রাইটিস হতে পারে। সে ক্ষেত্রেও ঘাড়ে কষ্ট হয়।

মানসিক চাপের সঙ্গে মাথা এবং ঘাড়ের সম্পর্ক রয়েছে। চিকিৎসকেরা বলেন, উদ্বেগ, মানসিক চাপ, অবসাদের মতো ঘটনাও কিন্তু ঘাড়ের পেশির উপর চাপ ফেলে। রক্তচাপ বেড়ে গেলেও কাঁধে, ঘাড়ে কষ্ট হতে পারে। তাই মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলে ঘাড়ের যন্ত্রণা দীর্ঘায়িত হয়।


আরও খবর

একদিনে ৮৭৭ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ৭

বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩