Logo
আজঃ শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
শিরোনাম
সিলেটে মধ্যরাতে হামলার শিকার ‘আত্মগোপনে থাকা’ আওয়ামী লীগ নেতা মিসবাহ জামিনে মুক্তি পেলেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৯ কর্মকর্তা অন্তর্বর্তী সরকার সংবাদপত্রে বিন্দুমাত্র হস্তক্ষেপ করেনি : প্রেস সচিব আইনি ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছেন দক্ষিণ ভারতীয় সুপারস্টার আল্লু অর্জুন ৩১ রানের ইনিংসে ৩ মাইলফলকে বাবর আজম অভিশংসন ভোটের মুখে পড়তে যাচ্ছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট জবাই করে হত্যা মামলার পলাতক আসামী গ্রেফতার। জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্র মামলায় দণ্ডিত বিএনপি নেতা মিজানুরের জামিন একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ার মারা গেছেন মিয়ানমারে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী শহর থেকে শত শত সৈন্যসহ জেনারেল আটক

শো-রুম খুলে দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২৬৭জন দেখেছেন

Image

23 ডেস্ক :

ফেসবুক লাইভে এসে পণ্য বিক্রির সময় নানা বিতর্তিক প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ও মন্তব্য করে আলোচিত-সমালোচিত উদ্যোক্তা রোবাইয়াত ফাতিমা তনির মালিকানাধীন ‘সানভীস বাই তনি’র গুলশানের শো-রুম খুলে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে শো-রুমে পাকিস্তানি ড্রেস বিক্রি করা যাবে নাআজ সোমবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে তনির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. খালেকুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ ও আনিচ উল মাওয়া।

এর আগে গত ৬ জুন ‘সানভীস বাই তনি’র গুলশানের শো-রুম সিলগালা করা কেন অবৈধ হবে না, এই মর্মে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়। একইসঙ্গে এ বিষয়ে আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়। তার আগে ২৭ মে ‘সানভীস বাই তনি’র গুশনারের শো-রুম সিলগালা করা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

এর আগে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক ‘সানভীস বাই তনি’র গুলশানের শো-রুম সিলগালার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন রোবাইয়াত ফাতেমা তনি।

গত ১৪ মে ‘সানভীস বাই তনি’র গুলশান শাখায় অভিযান চালায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। পরে প্রতারণার অভিযোগে শো-রুমটি বন্ধ করে দেয় তারা। ‘সানবীস বাই তনি’র বিরুদ্ধে অভিযোগ, দেশে তৈরি পোশাক পাকিস্তানি বলে বেশি দামে বিক্রি করত প্রতিষ্ঠানটি।

ওই অভিযানের নেতৃত্ব দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল। পরে ভোক্তা অধিকার ও জব্বার মন্ডলের বিরুদ্ধে হয়রানি, মানহানি এবং ব্যবসা বন্ধ করে দিতে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলেন রোবাইয়াত ফাতিমা তনি, করেন হাইকোর্টে রিট। বলে আদেশ দিয়েছেন আদালত।  


আরও খবর



সিলেটে মধ্যরাতে হামলার শিকার ‘আত্মগোপনে থাকা’ আওয়ামী লীগ নেতা মিসবাহ

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৩০জন দেখেছেন

Image

নিজেস্ব প্রতিনিধি: আওয়ামী লীগের তিনবারের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ মধ্যরাতে হামলার শিকার হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে তাঁকে সিলেট নগরের সাগরদিঘিরপার এলাকা থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন হাসপাতালে নিয়ে যান। সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, হাসপাতাল সূত্রে পুলিশ হামলার বিষয়টি জানতে পেরেছে। পুলিশ বিষয়টি জানার আগেই মিসবাহ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে চলে যান। তবে কোথায় ও কীভাবে এ ঘটনা ঘটেছে, তা বিস্তারিত জানতে অনুসন্ধান চলছে। আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে মিসবাহ উদ্দিন আত্মগোপনে আছেন। জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার অভিযোগে সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও হয়। তাই পুলিশের চোখ এড়িয়ে রাতের বেলা তিনি মাঝেমধ্যে আত্মগোপনে থাকা বাসাটি থেকে বেরোতেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে মিসবাহ উদ্দিন একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় সিলেট নগরের সুবিদবাজার এলাকায় যাওয়ার পথে একদল দুর্বৃত্ত তাঁর পথ রোধে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় নগরের সাগরদিঘিরপার এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। ভোররাত চারটার দিকে তাঁকে নগরের সোবহানীঘাট এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। মিসবাহ উদ্দিনের এক নিকটাত্মীয় নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে (মিসবাহ উদ্দিন) আঘাত করেছে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। রাতেই তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। পরে গতকাল শুক্রবার দুপুরের দিকে তাঁকে হাসপাতাল থেকে নিরাপদে নিয়ে আসা হয়েছে। এখন তিনি শঙ্কামুক্ত। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে মিসবাহ উদ্দিন এখন কোথায় ও কী অবস্থায় আছেন, তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। এ ছাড়া কারা তাঁর ওপর হামলা করেছে, তা-ও জানা যায়নি। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য তাঁর স্ত্রী, ভাই, মেয়ে ও ভাগনের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তাঁরা সাড়া দেননি। যোগাযোগ করলে সিলেট মহানগরের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক প্রথম আলোকে বলেন, বিভিন্ন সাংবাদিকদের সূত্রে হামলার বিষয়ে খবর পেয়েছেন তিনি। লিখিতভাবেও কেউ অভিযোগ করেননি। তবে পুলিশ ঘটনার আদ্যোপান্ত জানতে চেষ্টা করছে। মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এ ছাড়া সিলেট জেলা জজ কোর্টে তিনি সরকারি কৌঁসুলির দায়িত্বও পালন করেন।

আওয়ামী লীগের তিনবারের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ মধ্যরাতে হামলার শিকার হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে তাঁকে সিলেট নগরের সাগরদিঘিরপার এলাকা থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন হাসপাতালে নিয়ে যান।


সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, হাসপাতাল সূত্রে পুলিশ হামলার বিষয়টি জানতে পেরেছে। পুলিশ বিষয়টি জানার আগেই মিসবাহ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে চলে যান। তবে কোথায় ও কীভাবে এ ঘটনা ঘটেছে, তা বিস্তারিত জানতে অনুসন্ধান চলছে।



আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে মিসবাহ উদ্দিন আত্মগোপনে আছেন। জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার অভিযোগে সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও হয়। তাই পুলিশের চোখ এড়িয়ে রাতের বেলা তিনি মাঝেমধ্যে আত্মগোপনে থাকা বাসাটি থেকে বেরোতেন।


বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে মিসবাহ উদ্দিন একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় সিলেট নগরের সুবিদবাজার এলাকায় যাওয়ার পথে একদল দুর্বৃত্ত তাঁর পথ রোধে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় নগরের সাগরদিঘিরপার এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। ভোররাত চারটার দিকে তাঁকে নগরের সোবহানীঘাট এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।


মিসবাহ উদ্দিনের এক নিকটাত্মীয় নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে (মিসবাহ উদ্দিন) আঘাত করেছে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। রাতেই তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। পরে গতকাল শুক্রবার দুপুরের দিকে তাঁকে হাসপাতাল থেকে নিরাপদে নিয়ে আসা হয়েছে। এখন তিনি শঙ্কামুক্ত।


হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে মিসবাহ উদ্দিন এখন কোথায় ও কী অবস্থায় আছেন, তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। এ ছাড়া কারা তাঁর ওপর হামলা করেছে, তা-ও জানা যায়নি। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য তাঁর স্ত্রী, ভাই, মেয়ে ও ভাগনের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তাঁরা সাড়া দেননি।


যোগাযোগ করলে সিলেট মহানগরের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক প্রথম আলোকে বলেন, বিভিন্ন সাংবাদিকদের সূত্রে হামলার বিষয়ে খবর পেয়েছেন তিনি। লিখিতভাবেও কেউ অভিযোগ করেননি। তবে পুলিশ ঘটনার আদ্যোপান্ত জানতে চেষ্টা করছে।


মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এ ছাড়া সিলেট জেলা জজ কোর্টে তিনি সরকারি কৌঁসুলির দায়িত্বও পালন করেন।










আরও খবর

আজ বিকেলে যৌথসভা ডেকেছে বিএনপি

বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪




সেনাদের ধর্ষণে কারাগারেই জন্ম নিয়েছে অসংখ্য শিশু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৫৯জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক : সিরিয়ার সেদনায়া কারাগারে বর্বরতার আরেক ইতিহাস যেন রচিত হয়েছে। প্রতিটি সেলে বন্দি করে রাখা হয়েছে নারীদের। কুখ্যাত বন্দিশালার এই অংশে এসে বিস্ময়ের চরমে বিদ্রোহীরা। শত শত বন্দি নারীকে মুক্ত করেছে বিদ্রোহীরা। অনেক নারী বন্দিই যেন বিশ্বাস করতে পারছিলেন না বন্দিদশা থেকে মুক্তির ঘটনা।

আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং মানবাধিকার সংস্থা বলছে, সেদনায়াসহ এসব কারাগারে ১০ বছরের বেশি সময় ধরে বন্দি থাকা নারীদেরও পাওয়া গেছে। এমনকি কিশোরী অবস্থায় আটকের পর বন্দি করা হয়েছে অনেকেকেই।

বন্দি নারীদের ওপর ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধরনের যৌন নিপীড়ন চালাতো আসাদ সেনারা। বিদ্রোহীরা এসব নারী বন্দিদের মুক্তি দেয়ার সময় অনেক শিশুকেও দেখা যায়। পিতৃ-পরিচয়হীন এসব শিশু জন্মের পর থেকেই বন্দি জীবন পার করে আসছিল মায়ের সাথেই।

কারাবন্দি এসব নারীদের ছিল না কোনো নাম। কয়েদি নাম্বার ধরেই ডাকা হতো তাদের। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বলছে, সিরিয়ার বিভিন্ন কারাগারে বন্দি থাকা ১ লাখ ৩৭ হাজারের বেশি মানুষ মুক্তি পেয়েছেন।


আরও খবর



অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘদিন পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০

প্রকাশিত:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৬৭জন দেখেছেন

Image

নিজেস্ব প্রতিনিধি: অদ্য ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ তারিখ দুপুর আনুমানিক ১৪:১০ ঘটিকায় র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন শুভাঢ্যা এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে।

উক্ত অভিযানে দক্ষিণ কেরানাীগঞ্জ থানার মামলা নং-৩০(১২)২১, বিঃ ট্রাই-৪৫/২২, ধারা-১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯-এ; অস্ত্র মামলায় বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘদিন ধরে পলাতক আসামী মোঃ মাসুম @ চুল্লু মাসুম (৩৫), পিতা-মোঃ মৃত অলিল মিয়া, সাং-খেজুরবাগ কবরস্থান, থানা-দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, জেলা-ঢাকা’কে গ্রেফাতার করে ।

 প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, গ্রেফতারকৃত আসামি উক্ত মামলার ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি বলে স্বীকার করেছে। সে বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক রায় ঘোষনার পর থেকে ঢাকার কেরণীগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিজের নাম পরিচয় গোপন করে এবং বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে আত্মগোপন করে ছিল।

 গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।


আরও খবর



হাদিসে যে কারণে শীতকাল গুরুত্বপূর্ণ

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৯জন দেখেছেন

Image

ধর্ম ডেস্ক: গ্রীষ্মের প্রখর রোদ আর বর্ষায় ঝড় তুফানের আতঙ্ক শেষে যখন কুয়াশার মিহি চাদরে মোড়ানো শীতের আগমন ঘটে,তখন স্বাভাবিক ভাবে-ই প্রকৃতি প্রেমী মানুষের মন উৎফুল্ল হয়ে উঠে। শীতের টাটকা সবজি, খেজুরের রস আরো বাহারি পিঠার স্বাদ কার না প্রিয়!এই ঋতুর বর্ণনা দিতে গিয়ে পবিত্র আল্লাহ তা’য়ালা কুরআনে গ্রীষ্মের পাশাপাশি শীতের কথাও উল্লেখ করে বলেছেন, ‘তাদের (কুরাইশ বংশের লোকদের) অভ্যাস ছিল শীত ও গ্রীষ্মকালীন ভ্রমণ।’ (সূরা আল-কুরাইশ, আয়াত নং-০২)।

সবচেয়ে বড় কথা হলো- এই শীতের মৌসুম ইসলামে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এর কারণ হলো, এ সময়ে ইবাদতের সুযোগ বেশি থাকে। তাই শীতকালকে মুমিনের বসন্তকাল হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন প্রিয় নবীজি। (মুসনাদে আহমদ: ১১৬৫৬) প্রিয় নবীজি শীতকালকে মুমিনের বসন্তকাল এমনিতে-ই আখ্যা দেননি। এর পেছেনে রয়েছে বিশেষ কারণ । হাদিস শরিফে রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘শীতের রাত দীর্ঘ হওয়ায় মুমিন রাত্রিকালীন নফল নামাজ আদায় করতে পারে এবং দিন ছোট হওয়ায় রোজা রাখতে পারে।’ (বায়হাকি: ৩৯৪০) এ সম্পর্কে প্রখ্যাত সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলতেন, ‘শীতকালকে স্বাগতম। কেননা তা বরকত বয়ে আনে। রাতগুলো দীর্ঘ হয়।

ফলে তা ‘কিয়ামুল লাইলের জন্য (রাতের তাহাজ্জুদ নামাজ) সহায়ক এবং দিন ছোট হওয়ায় রোজা রাখতে সহজ।’ (আল-মাকাসিদুল হাসানা: ২৫০) গ্রীষ্মকালে প্রখর রোদের তাপের পাশাপাশি দিন রাতের তুলনায় দীর্ঘ হওয়ায় মুমিন বান্দাদের রোজা রাখতে কষ্ট হয়। অপরপক্ষে শীতকালে দিনের বেলায় সূর্যের প্রখরতাও কম থাকে এবং দিনের সময় ও হয় কম। তাই রোজা রাখার জন্য কষ্ট্ও হয় কম। তাই শীতকাল রোজাদারদের জন্য রহমত স্বরূপ। ইবনে রজব হাম্বলি (রহ.) বলেন, শীতকাল মুমিনদের বসন্ত। কারণ, এ সময়ে মুমিন আল্লাহর আনুগত্যের বাগানগুলোতে আনন্দ-উল্লসিত হয়। ইবাদত-বন্দেগির চারণভূমিতে বিচরণ করে। সহজ-ছোট আমলগুলোর কানন-বীথিতে পরিভ্রমণ করে। (লাতায়িফুল মাআরিফ ফিমা লিল মাওয়াসিমি মিনাল ওজায়িফ, পৃষ্ঠা-৩২৬) আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগিতে মগ্ন হওয়ার দারুণ সুযোগ শীতকাল।

শীতের কষ্ট সহ্য করার কারণে এ সময়ে ইবাদতের সওয়াবও বেশি। তাছাড়া শীতার্ত মানুষের সেবা করার মাধ্যমে জান্নাত লাভের দারুণ সুযোগ লাভ হয় শীতকালে। রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে মুমিন অন্য বিবস্ত্র মুমিনকে কাপড় পরিয়ে দিল, মহান আল্লাহ ওই ব্যক্তিকে জান্নাতের সবুজ কাপড় পরিয়ে দেবেন।’ (তিরমিজি: ২৪৪৯) আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে শীতকালে বেশি বেশি ইবাদত বন্দেগি করার ও শীতার্ত মানুষের পাশে দাড়ানোর তাওফিক দান করুন। আমিন।


আরও খবর

শীতকালীন ইবাদতের গুরুত্ব

বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪




জাতীয় স্নাতক গণিত অলিম্পিয়াডে রংপুর অঞ্চলের সেরা দশে হাবিপ্রবির ৩ জন

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২৮জন দেখেছেন

Image

নিজেস্ব পতিনিধি: ১৫তম জাতীয় স্নাতক (অনার্স) গণিত অলিম্পিয়াডের রংপুর অঞ্চলের আঞ্চলিক বাছাইপর্বে সেরা দশে স্থান পেয়েছেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) তিন শিক্ষার্থী।


বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) গণিত বিভাগের আয়োজনে শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত রংপুর অঞ্চলের এ বাছাইপর্বের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় বেরোবির একাডেমিক ভবন-২ এ। হাবিপ্রবির তিনজন ছাড়াও সেরা দশে স্থান পেয়েছেন বেরোবির ৫ জন এবং সৈয়দপুরের বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (বাউস্ট) ৩ শিক্ষার্থী।


প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেন বাউস্টের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আদিত্য বণিক। দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন বেরোবির সঞ্জীব কুমার দেব শর্মা এবং ৩য় স্থান অধিকার করেন বাউস্টের সিএসই বিভাগের নূর এ আলম।


হাবিপ্রবি থেকে যথাক্রমে সপ্তম এবং নবম স্থান অধিকার করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী কাবির আবদুল্লাহ ও রত্না ঘোষ দিশা এবং দশম স্থান অধিকার করেন গণিত বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু বকর সিদ্দিক।


অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেরোবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী বলেন, গণিত হচ্ছে মাদার অব সায়েন্স। শুধু বিজ্ঞান নয়, অর্থনীতি ও ব্যবসার ভাষাও গণিত। গণিতের ব্যবহার দেশে-বিদেশে বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় অনেক সাফল্য নিয়ে আসতে পেরেছে। এ সময় গণিত অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা গবেষণা ও একাডেমিক কার্যক্রমেও সাফল্যের স্বাক্ষর ধরে রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।


হাবিপ্রবি শিক্ষার্থী কাবির আবদুল্লাহ অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, যে কোনো জয়ই সামনের দিকে যাওয়ার প্রেরণা দেয়। অনেক বাধা-বিপত্তিকে উপেক্ষা করে হাবিপ্রবির গণিত বিভাগ এগিয়ে যাচ্ছে আপন গতিতে। অলিম্পিয়াডের পাশাপাশি বিদেশে স্কলারশিপ এবং গবেষণায় মেধার স্বাক্ষর রাখছে হাবিপ্রবির গণিত বিভাগ। এমন অগ্রযাত্রার অংশীদার হয়ে সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচন করবে হাবিপ্রবির গণিত বিভাগ এমন আশাবাদ ব্যক্ত করছি।


এবারের প্রতিযোগিতায় বেরোবি, হাবিপ্রবি, বাউস্ট, কারমাইকেল কলেজ, রংপুর সরকারি কলেজ এবং নীলফামারী সরকারি কলেজের মোট ১৫৫ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। প্রতিটি অঞ্চল থেকে ১০ জন করে নির্বাচিত শিক্ষার্থী নিয়ে পরবর্তীতে এ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।


উল্লেখ্য, ২০০৯ সাল থেকে এএফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে এবং বাংলাদেশ গণিত সমিতির উদ্যোগে দেশব্যাপী স্নাতক পর্যায়ে গণিত অলিম্পিয়াড নিয়মিতভাবে আয়োজন করা হচ্ছে।


আরও খবর

চুয়েটের ১১ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪