Logo
আজঃ শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3
শিরোনাম

সপ্তাহের ব্যবধানে টাকার মান কমলো ৭ টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৩৩জন দেখেছেন

Image

দেশে ডলারের তীব্র সংকট সৃষ্টি হয়েছে। লাগামহীনভাবে বাড়ছে দাম। বিপরীতে কমছে টাকার মান। নানা পদক্ষেপ নিয়েও দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে খোলা বাজারে খুচরা ডলারের দাম গিয়ে ঠেকেছে ১২৬ থেকে ১২৭ টাকায়।

চিকিৎসা, শিক্ষা বা ভ্রমণের জন্য যারা বিদেশে যাচ্ছেন তাদের নগদ প্রতি ডলার কিনতে খরচ করতে হচ্ছে ১২৭ টাকা পর্যন্ত। এক সপ্তাহ আগেও খোলা বাজারে ডলারের দাম ছিল ১২০ টাকা। আর বছরের শুরুতে দাম ছিল ১১০ টাকা। সেই হিসাবে প্রতি ডলারের বিপরীতে সপ্তাহে টাকার মান কমেছে ৭ টাকা, আর চলতি বছরে কমেছে ১৭ টাকা।

খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাংকগুলো ডলার সংকটের কারণে আমদানির দেনা শোধ করতে পারছে না। তাই সংকট মোকাবিলায় অনেক ব্যাংক বাড়তি দামে প্রবাসী আয় কিনছে। এ সুযোগে বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো হঠাৎ করে ১২ থেকে ১৪ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে রেমিট্যান্সের ডলারের দাম। ফলে অনেক ব্যাংক বাধ্য হয়ে ১২৩ থেকে ১২৪ টাকায় প্রবাসী আয় কিনেছে। এর প্রভাবে খোলা বাজারে ডলারের দামও হু হু করে বেড়েছে।

মতিঝিল দিলকুশার এলাকায় খুচরা ডলার কেনা-বেচা করেন আব্দুর রহমান। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজকেও বাজার খুব চড়া। কেউ ডলার বিক্রি করতে আসলে ১২৫ থেকে ১২৫ টাকা ৫০ পয়সা দিচ্ছি। আর কেউ কিনতে আসলে ১২৬ টাকা থেকে ১২৭ টাকায় বিক্রি করছি। বৃহস্পতিবারও ১২৬ টাকা ছিল।

কেন হঠাৎ দাম বাড়ল? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চাহিদা বাড়লে দামও বাড়ে। এখন ব্যাংক ডলার কিনছে ১২৪ থেকে ১২৫ টাকা তাহলে খোলা বাজারে তো ১২৬-১২৭ টাকা হবেই।

অফিসের কাজে দুবাই যাবেন আরমান আরিফ। নগদ ডলার কেনার জন্য বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ খবর নিচ্ছেন। তিনি বলেন, আজকে ডলার কেনার জন্য কয়েকটি ব্যাংকে খোঁজ নিলাম। কোনো ব্যাংক ডলার বিক্রি করতে চায়নি। পরে কয়েকটি মানি চেঞ্জারে ফোন দিলাম আন-অফিসিয়ালি রেট ১২৬ টাকা ৫০ পয়সা চেয়েছে। এখনও ডলার কিনতে পারিনি। দেখি দাম কমে কি না। সামনের সপ্তাহে ফ্লাইট, এর মধ্যে দাম না কমলেও কিনতে হবে।

ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, ডলারের বাজার খুবই কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। স্থিতিশীল করার জন্য আমরা সব স্টেকহোল্ডার একসঙ্গে কাজ করছি। কিছু ব্যাংক বেশি সমস্যায় আছে, তাদের এ রেট মানতে সমস্যা হচ্ছে। এজন্য সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। যেন বাজার অস্থিতিশীল না হয়।

তিনি বলেন, ডলারের ঊর্ধ্বমুখী দাম নিয়ন্ত্রণে রেমিট্যান্সের সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে প্রবাসী আয়ে ব্যাংকের নিজস্ব প্রণোদনাসহ ডলারের দর কোনোভাবেই ১১৬ টাকার বেশি দর দেওয়া যাবে না। তবে আমদানিকারকদের কাছে ব্যাংকগুলোকে ১১১ টাকায় বিক্রি করতে হবে; এর বেশি নেওয়া যাবে না। কেউ যদি এটা অমান্য করে তাহলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

ডলারের বাজার প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, গত ৬ মাস এমন সমস্যা ছিল না; ডলারের দাম ১২৪ টাকা কখনো হয়নি। বাড়তি প্রণোদনা উন্মুক্ত করায় ডলারের বাজারে বিশৃঙ্খলা হয়েছে। এখন বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তারা (এবিবি ও বাফেদা) একটা রেট নির্ধারণ করেছে। তাদের নির্ধারিত রেট বাস্তবায়নে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাহায্য চেয়েছেন। ডলার বাজার নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা করা হবে।

২০ বিলিয়নে রিজার্ভ
দেশের বাজারে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট কাটাতে রিজার্ভ থেকে নিয়মিত ডলার বিক্রি করে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি অর্থবছরে এরই মধ্যে সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলারের মতো বিক্রি করা হয়েছে। ফলে ধারাবাহিকভাবে কমছে অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর এ সূচকটি ধারাবাহিকতা কমছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এখন গ্রস রিজার্ভ ২৬ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর শর্ত অনুযায়ী বিপিএম-৬ ম্যাথোডের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবের সঙ্গে ৫.৭২ বিলিয়ন ডলারের পার্থক্য রয়েছে। অর্থাৎ বিপিএম-৬ ম্যানুয়াল অনুযায়ী, গ্রস রিজার্ভ ২০ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন। এর বাইরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, যা শুধু আইএমএফকে দেওয়া হয়। প্রকাশ করা হয় না।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেই হিসাবে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৬ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে এখন যে পরিমাণ প্রকৃত রিজার্ভ আছে, তা দিয়ে শুধু তিন মাসের আমদানি খরচ মেটানো যাবে। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ এখন শেষ প্রান্তে রয়েছে। একটি দেশের অর্থনীতির অন্যতম সূচক হল বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ।


আরও খবর

আবারও বাড়লো সোনার দাম

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




আগাম জাতের ভুট্টায় ঝুঁকছেন ভৈরবের চাষিরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | ১২জন দেখেছেন

Image

লাভের আশায় আগাম জাতের ভুট্টা চাষে ঝুঁকছেন ভৈরবের কৃষকেরা। এ বছর ভৈরব পৌরসভা ও উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে বেশি ভুট্টা চাষ হয়েছে। এ বছর উপজেলায় লক্ষ্য মাত্রা ছিল ৬৫ হেক্টর কিন্তু চাষ হয়েছে ৭০ হেক্টর জমিতে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, বাজারে আগাম জাতের ভুট্টার চাহিদা ও ভুট্টা মাড়াই সহজ হওয়ায় কৃষকেরা আবাদি ও পতিত জমিতে ভুট্টা চাষ করেছেন। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আগাম জাতের ভুট্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকেরা আগাম জাতের ৭৭২০, লাকি সেভেন, সানশাইন, ধামাকাসহ বিভিন্ন জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন।

সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার শিমুলকান্দি, আগানগর, শ্রীনগর, সাদেকপুর, মৌটুপী, ভবানীপুর, শ্রীনগর, মানিকদি, গজারিয়ার চাষিরা ভুট্টা জমিতে পানি সেচ, কীটনাশক দেওয়া ও পরিচর্যায় ব্যস্ত আছেন। এরই মধ্যে গাছে গাছে ফুল এসেছে। এছাড়া আগাম জাতের ভুট্টা বিক্রির অপেক্ষায় আছেন কৃষকেরা।

উপজেলার মেন্দিপুর গ্রামের কৃষক আল আমিন বলেন, ‘এলাকার অনেক পতিত জমিতে ৮-১০ বছর ধরে কোনো ফসল চাষ হয়নি। তাই সবাই সিদ্ধান্ত নেন পতিত জমিতে আগাম জাতের ভুট্টা চাষ করার। সে অনুযায়ী যার যার জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়। এ বছর আমি ১০০ শতাংশ জমিতে চাষ করেছি। এতে প্রায় ২৫-৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখন যদি বাজারে ন্যায্য দাম পাওয়া যায় তাহলে ১ লাখ টাকার মতো ভুট্টা বিক্রি করতে পারবো।’

কৃষক বলেন, ‘আমাদের হাওরের জমিতে গরু চড়তো। এসব জমিতে এ বছর আগাম জাতের ভুট্টা চাষ করেছি। আমি ৩ বিঘা জমিতে চাষ করেছি। এতে খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকার মতো। জমিতে যে ফলন এসেছে, আশা করি লাখ টাকার ওপরে বিক্রি করতে পারবো।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আকলিমা বেগম বলেন, ‘এ বছর ৭০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের ভুট্টা চাষ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ। প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌর সভার বিভিন্ন এলাকায় চাষ করা হয়েছে। ভুট্টা চাষে কৃষককে আগ্রাহী করতে বিনা মূল্যে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা চাষিদের পরামর্শ দিচ্ছেন। আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে মাড়াই সহজ হওয়ায় ভুট্টা চাষে আগ্রহ বাড়ছে।’


আরও খবর



অনুমতি দেওয়ার দেড় মাস পর দেশে এলো ভারতীয় ডিম

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৬৩জন দেখেছেন

Image

আমদানির অনুমতি দেওয়ার দেড় মাস পর প্রথম চালানে দেশে এসেছে ৬১ হাজার ৯৫০ পিস ভারতীয় ডিম। ভারত থেকে আমদানি করা ডিমের চালানটি বেনাপোল বন্দর দিয়ে একটি ট্রাকে রোববার সন্ধ্যায় দেশে প্রবেশ করে। বিডিএস কর্পোরেশন নামে একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ডিমগুলো এনেছে।

দেশে দফায় দফায় দাম বেড়ে রেকর্ড ১৭০ টাকায় পৌঁছে ডিমের ডজন। সরকারের তদারক ব্যবস্থা জোরদার করার পরও নিয়ন্ত্রণে আসেনি বাজার। এমন পরিস্থিতিতে গত ১৮ সেপ্টেম্বর প্রথম দফায় চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়।

এরপর আরও দুই দফায় ছয় কোটি করে ১২ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তিন দফায় মোট ১৬টি প্রতিষ্ঠানকে ১৬ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিলেও আমদানি করেছে মাত্র একটি প্রতিষ্ঠান। আমদানির পরিমাণও খুবই কম।

জানা গেছে, এসব ডিমের আমদানিমূল্য ধরা হয়েছে ২৯৮৮ ইউএস ডলার, যা বাংলাদেশি অর্থে ৩ লাখ ২৮ হাজার ৭০০ টাকা। প্রতি পিস ডিম ভারতে ক্রয়মূল্য দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ৩০ পয়সা। ট্রাক ভাড়াসহ অন্যান্য খরচ মিলিয়ে খোলাবাজারে এসব ডিম প্রতি পিস ১০ টাকার মধ্যে বিক্রি সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। মোট ১০টি প্রতিষ্ঠানকে ১০ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

বেনাপোল স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রেজাউল করিম জানান, ভারত থেকে আমদানি করা ডিমের চালানটি বন্দর থেকে দ্রুত ছাড়করণে সহযোগিতা করছে কর্তৃপক্ষ।


আরও খবর

আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম

শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩




এখনো সামান্থাকে ভুলতে পারছেন না নাগা চৈতন্য

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১১জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক : দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক নাগা চৈতন্য ও অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু চার বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনেছিলেন ২০২১ সালে। এর মধ্যে গত কয়েক বছর ধরে সামান্থার ব্যক্তিগত জীবনে অনেক ঝড় বয়ে গেছে। 

তবু সব সামলে পেশাদার অভিনেত্রী হিসাবে নিজের জীবনের অন্যতম সেরা সময় উপভোগ করেন এই নায়িকা। কয়েক বছর আগে দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি থেকে বলিউডে পা রেখেছেন তিনি। ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’ সিরিজে বলিউডে হাতেখড়ির পরে মার্ভেল খ্যাত রুশো ব্রাদার্সের আন্তর্জাতিক সিরিজ ‘সিটাডেল’-এর ভারতীয় সংস্করণেও কাজ করেছেন তিনি। 

মাঝে ‘শকুন্তলা’ ও ‘কুশি’র মতো ছবি গুলো মুক্তি পেয়েছে তার। ব্যক্তিগত জীবনে যাই হোক না কেন, কর্ম জীবনে সাফল্যেই পেয়েছেন অভিনেত্রী। তবে এই দুবছরে বার বার নাগা-সামান্থার অনুরাগীরা ভেবেছেন ফের এক হবেন তারা। 

এদিকে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ভারতীয় ওয়েব সিরিজ নিয়ে প্রশ্ন করতেই নাগা নাম নেন সামান্থার। নাগাকে প্রশ্ন করা হয় কোন ভারতীয় সিরিজ দেখে বাকরুদ্ধ হয়ে যান তিনি। এক মুহূর্ত দেরি না করেই অভিনেতা বলেন ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’। 

এই সিরিজের দ্বিতীয় ভাগে রাজ লক্ষ্মী শেখরনের চরিত্রে অভিনয় করেন সামান্থা। প্রশংসিত হয়েছে তার অভিনয়। 

তার এমন উত্তরের পর অনেকের কৌতুহল তবে কি ভাঙা সম্পর্ক ফের জোড়া লাগার সম্ভাবনা রয়েছে! তবে এই আলোচনার মধ্যেও আরেকটি গুঞ্জন রয়েছে- অভিনেত্রী শোভিতা ধুলিপালার সঙ্গে নাকি নতুন করে সম্পর্কে জড়িয়েছেন নাগা। যদিও এ নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেননি নাগা।


আরও খবর



হার্টে ব্লক ছাড়াও এনজিনা

প্রকাশিত:বুধবার ২২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ২৭জন দেখেছেন

Image

যে কোনো কারণে হৃৎপিণ্ডে রক্ত প্রবাহের ঘাটতি দেখা দেওয়াকে ইসকেমিয়া বা রক্ত প্রবাহের স্বল্পতা বলা হয় এবং এরূপ অসুস্থতাকে ইসকেমিক হার্ট ডিজিজ বলে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হৃৎপিণ্ডের রক্তনালিতে ব্লক (প্রতিবন্ধকতা) থাকার ফলে ইসকেমিক হার্ট ডিজিজ হয়ে থাকে। তবে হৃৎপিণ্ডের রক্তনালি স্বাভাবিক থাকার পরও বেশ কিছু কারণে ইসকেমিক হার্ট ডিজিজ হতে পারে। উভয় ক্ষেত্রেই একই ধরনের উপসর্গ দেখা দিয়ে থাকে, ফলে কেউ কেউ এ ধরনের রোগীকে হার্ট ব্লক আছে বলে ধরে চিকিৎসা প্রদান করতে থাকেন। রোগী যদি বয়স্ক ব্যক্তি হন তবে দুই ধরনের অবস্থা একই রোগীতে বিদ্যমান থাকতে পারে।

লক্ষণসমূহ : পরিশ্রমে বুকের ব্যথা অনুভূত হওয়া এবং বিশ্রাম গ্রহণে অতিদ্রুত ব্যথা নিরাময় হওয়া। প্রায় সময়ই ব্যথা তীব্র মাত্রায় হয়ে থাকে এবং ব্যথা বুকের চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে বিশেষ করে গলা, চোয়াল, হাত, পেটের উপরিভাগে ও পিঠে। অনেকের বুক ব্যথার সঙ্গে সঙ্গে শ্বাসকষ্ট বা নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসার মতো অনুভূতি, কারও কারও এর সঙ্গে সঙ্গে বুক ধড়ফড় করতে পারে। বুকে ব্যথার মতো শ্বাসকষ্ট ও বুক ধড়ফড় করাও বিশ্রাম গ্রহণে দ্রুত নিরাময় হয়ে যায়। কখনো কখনো বুক ব্যথা অনুভূত না হয়ে শুধু শ্বাসকষ্ট ও বুকে ধড়ফড় বা যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে যারা দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসে ভুগছেন অথবা যাদের বয়স ৭০ বছর বা তার ঊর্ধ্বে।

এসব লক্ষণকে সাধারণভাবে প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। দিনকে দিন রোগীর অবস্থা জটিল আকার ধারণ করতে থাকে এবং এ অবস্থায় রোগীর আরও বেশ কিছু লক্ষণ পরিলক্ষিত হতে থাকে। যেমন- শারীরিক যোগ্যতা কমতে থাকা, অল্প পরিশ্রমেই প্রাথমিক লক্ষণসমূহ পরিলক্ষিত হওয়া, হালকা কাশি হওয়া, পেটে প্রচুর গ্যাস উৎপন্ন হওয়া, পেট ফেঁপে থাকা, পেট ভরাভরা ভাব অনুভূত হওয়া, বদহজমের মতো হওয়া, রাতে কাশি হওয়া ও শ্বাস বন্ধ হওয়ার অনুভূতি হওয়া, হাত-পা-মুখ ফোলাফোলা ভাব ধরা বা ফুলে যাওয়া, চোখে অন্ধকার দেখা, মাথা হালকা অনুভূত হওয়া বা মাথা ঘোরা অনুভূত হওয়া, খাদ্য গ্রহণে অনীহা, শারীরিক ওজন কমে যাওয়া বা বেড়ে যাওয়া, ঘন ঘন সর্দি কাশিতে আক্রান্ত হওয়া। পেটের উপরিভাগে ফুলা ও ব্যথা অনুভূত হওয়া।

ইসকেমিক বুকের ব্যথাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এনজিনা বলা হয়। শতকরা ৬০ ভাগ রোগীর হার্ট ব্লককে এনজিনার প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বাকি ৪০ ভাগ রোগীর এনজিনার প্রধান কারণ হার্ট ব্লক বা রক্তনালির রক্ত প্রবাহের প্রতিবন্ধকতা নয়। এ ধরনের রোগী উচ্চরক্তচাপ, এওরটিক ভাল্ব ডিজিজ, হাইপারট্রফিক কার্ডিওমায়োপ্যাথি, থাইরয়েড হরমোনের আধিক্য, মাইক্রোভাসকুলার এনজিনা, রক্তশূন্যতা, অপুষ্টিজনিত হৃদরোগ, থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি জনিত অসুস্থতা, মানসিক অস্থিরতা, প্রচণ্ড মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তাগ্রস্ততা, নেশাগ্রস্ততা ও ভয়ভীতি ইত্যাদি। তবে অনেক রোগীর দেহে এসব একাধিক কারণ বিদ্যমান থাকতে পারে। কারও দেহে যত বেশি সংখ্যক কারণ উপস্থিত থাকে তার রোগের তীব্রতাও তত বেশি। অনেক সময় এসব কারণের সঙ্গে হার্ট ব্লকও থাকতে পারে তবে এসব ক্ষেত্রে এনজিনার মূল কারণ হার্ট ব্লক নয় বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তিদের বেলায়।

এ ধরনের অসুস্থতার জন্য কদাচিৎ এনজিওগ্রাম করার প্রয়োজন হতে পারে। প্রায় ক্ষেত্রেই এনজিওগ্রামে তেমন গুরুত্বপূর্ণ ব্লক পাওয়া যায় না। প্রায় সব ক্ষেত্রে ইসিজি, কালার ডপলার ইকোকার্ডিওগ্রাম, বুকের এক্স-রে, রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা নির্ণয়, রক্তে সুগার, থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা, থেলিয়াম স্কেনিং, ইটিটি/টিএমটি, স্ট্রেস ইকোকার্ডিওগ্রামের প্রয়োজন হয়ে থাকে। এসব রোগের চিকিৎসা নির্ভর করে প্রকৃত কারণ নির্ণয় করে রোগ শনাক্তকরণের ওপর। তবে তার সঙ্গে স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ভাবে নিরাপদ মাত্রায় কায়িকশ্রমের অনুশীলন করা এবং জীবনধারা পরিবর্তন করে উন্নতি লাভ সম্ভব। তাই এসব বিষয়ে সচেতন হতে হবে। প্রতিকার নয় প্রতিরোধ সর্বদা উত্তম।


আরও খবর

একদিনে ৮৭৭ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ৭

বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩




প্রথম দিনে কত আয় করল টাইগার থ্রি

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | ৪৬জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক : বক্স অফিসে চলছে ‘টাইগার থ্রির’ দাপট। ছবিটি ঘিরে সিনেমা পাড়ায় উত্তেজনা তুঙ্গে। গতকাল ১২ নভেম্বর ভারতজুড়ে দীপাবলি উদযাপনেইর মাঝেই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে সালমান খানের নতুন  এ সিনেমা।

দীপাবলির দিনেও প্রেক্ষাগৃহে প্রথম শো ছিল ভোর ৬টায়। ভাইজানের ছবি নিয়ে তখনও উন্মাদনার পারদ তুঙ্গে। ইন্ডাস্ট্রির ট্রেড অ্যানালিস্টদের একাংশ শঙ্কা প্রকাশ করেছিল, এদিন সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে পূজা হবে। কম লোকই প্রেক্ষাগৃহে আসবে।

তবে মুক্তির দিন ভোর থেকেই ভিড় উপচে পড়তে থাকে প্রেক্ষাগৃহে। ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া মেলে দর্শকের থেকেও।

এরপরই একাধিক ইন্ডাস্ট্রি ট্রেড অ্যানালিস্ট জানায় সালমান খানের এই ছবিটি প্রথম দিনে ৪০ কোটি টাকার মতো আয় করতে পারবে।

ট্রেড অ্যানালিস্ট ও ফিল্ম সমালোচক তরণ আদর্শ একটি পোস্ট করে জাতীয় মাল্টিপ্লেক্স চেনগুলোতে কত আয় হয়েছে মোটামুটি একটি হিসাব দিয়েছেন, যার মধ্যে পিভিআর, আইনক্স, সিনেপলিস আছে।

এদিন দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এই চেনগুলো থেকে ১০.৮৫ কোটি টাকা আয় হয়।

যদিও প্রথম দিনের ব্যবসার নিরিখে টাইগার-৩ এখনও শাহরুখ খানের পাঠান বা জওয়ান-এর ধারেকাছে পৌঁছায়নি। যেগুলো প্রথম দিনেই যথাক্রমে ৫৭ কোটি ও ৭৫ কোটি টাকা আয় করেছিল।


আরও খবর