Logo
আজঃ শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3
শিরোনাম

শ্রীলংকা পাকিস্তানের পরেই বাংলাদেশ

প্রকাশিত:সোমবার ২৩ অক্টোবর 20২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৮৪জন দেখেছেন

Image

বৈশ্বিক মন্দার প্রভাবে ডলারের বিপরীতে স্থানীয় মুদ্রার অবমূল্যায়নে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শ্রীলংকা ও পাকিস্তানের পরেই রয়েছে বাংলাদেশ। গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডলারের বিপরীতে সবচেয়ে বেশি মান কমেছে শ্রীলংকান রুপির। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানি রুপি। এর পরেই রয়েছে বাংলাদেশি মুদ্রা টাকার অবস্থান। মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মুদ্রার মান ডলারের বিপরীতে তুলনামূলকভাবে কম কমেছে। ওইসব দেশের মধ্যে জাপানের মুদ্রার মান একটু বেশি কমেছে। সৌদি আরব, ওমানসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশের মুদ্রার মান ডলারের বিপরীতে কমেনি, বরং সামান্য বেড়েছে। তবে ইউরোপের একক মুদ্রা ইউরোসহ ওই অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের মুদ্রার মান বেশ কমেছে।

আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনের ডেটাবেজে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার মানের তথ্য দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়ে যায়। এতে পণ্যের সরবরাহও বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে বাড়ে পণ্য পরিবহণ ভাড়াসহ জাহাজ ভাড়া। এতে বিভিন্ন দেশের পণ্য আমদানি ব্যয় বেড়ে যায়। এর প্রভাবে বেড়ে যায় স্থানীয় মুদ্রার বিপরীতে ডলারের দাম। ফলে একদিকে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে, অন্যদিকে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে। কিছু দেশ মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেও ডলারের দাম এখনো নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। বাংলাদেশসহ স্বল্প-আয়ের দেশগুলোয় মূল্যস্ফীতিসহ ডলারের দামে ঊর্ধ্বগতি এবং ডলারের তীব্র সংকট অব্যাহত রয়েছে।

বাংলাদশের মুদ্রা টাকার মান গত বছরের এপ্রিল পর্যন্ত স্থিতিশীল ছিল। জুলাইয়ের পর এর দাম বাড়তে থাকে। এর আগে ২০২০ সালে ডলারের বিপরীতে টাকা বরং শক্তিশালী হয়েছিল। ২০২১ সালের জুলাইয়ে প্রতি ডলারের দাম ছিল গড়ে ৮৪ টাকা ৮০ পযসা। গত সেপ্টেম্বরে তা বেড়ে হয়েছে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা। আলোচ্য সময়ে ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমেছে ৩০ দশমিক ৩১ শতাংশ। তবে রেমিট্যান্সের দাম বাড়িয়ে ১১২ টাকা ৭৫ পয়সা করা হয়েছে। ফলে টাকার মান আরও কমেছে। এছাড়া বিভিন্ন ব্যাংকে নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে ডলার কিনতে হচ্ছে। এতে ডলারের বিপরীতে টাকার মান আরও কমেছে।

অর্থনৈতিক সংকটে দেউলিয়া হওয়ার কারণে শ্রীলংকার মুদ্রা রুপির দাম ব্যাপকভাবে কমে যায়। গত বছরের জুলাইয়ে ডলারের বিপরীতে শ্রীলংকান রুপির দাম ছিল ১৯৯ টাকা ৯০ পয়সা। গত সেপ্টেম্বরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৬৩ টাকা ৩০ পয়সায়। আলোচ্য সময়ে এর মান কমেছে ৮১ দশমিক ৭৪ শতাংশ, যা এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। একই সময়ে পাকিস্তানও বেশ অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে। এতে দেশটির মুদ্রা রুপির দামে বড় ধরনের পতন ঘটে। গত বছরের জুলাইয়ে ডলারের বিপরীতে রুপির দাম ছিল ১৬২ টাকা ৫১ পয়সা। গত সেপ্টেম্বরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২৯৪ টাকা ২৯ পয়সায়। আলোচ্য সময়ে দেশটির মুদ্রার মান কমেছে ৮১ দশমিক ০৯ শতাংশ। এর পরেই কমেছে জাপানের মাদ্রা ইয়েনের দাম। তারা মুদ্রাকে প্রতিযোগিতামূলক রাখতে এর বিনিময় হার নমনীয় রেখেছে। আলোচ্য সময়ে জাপানি মুদ্রার মান কমেছে প্রায় ২২ শতাংশ।

ভারতীয় মুদ্রা রুপির মান কমেছে ১১ দশমিক ৮৭ শতাংশ। গত বছরের জুলাইয়ে প্রতি ডলারের দাম ছিল ৭৪ দশমিক ৩৯ রুপি। গত সেপ্টেম্বরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৩ দশমিক ২২ রুপি। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে মালদ্বীপ ও ভুটানের মুদ্রার মান তেমন একটা কমেনি। থাইল্যান্ডের মুদ্রা বাথের মান কমেছে সাড়ে ১১ শতাংশ। মালয়েশিয়ার মুদ্রার মান তেমন একটা কমেনি।

মধ্যপ্রাচের দেশগুলোর বেশির ভাগেরই ডলারের বিপরীতে মুদ্রার মান কমেনি। বরং সৌদি আরব ও ওমানের মুদ্রার মান বেড়েছে।

এদিকে গত এক বছরের ব্যবধানে ডলারের বিপরীতে এশীয় দেশগুলোর মধ্যে স্থানীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন বাংলাদেশে হয়েছে ১৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ। অর্থাৎ ওই হারে বাংলাদেশি মুদ্রার মান কমেছে। এর বিপরীতে বেড়েছে ডলারের দাম। গত বছরের ১ জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত এক বছরে ভিয়েতনামের মুদ্রার ২ দশমিক ৯০, ফিলিপাইনের দশমিক ৬২, ইন্দোনেশিয়ার ১ দশমিক ১৮, ভারতে ৩ দশমিক ৭৮, চীনে ৭ দশমিক ৭৯, কোম্বোডিয়ায় শূন্য দশমিক ৮৬ এবং বাংলাদেশে ১৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ অবমূল্যায়ন হয়েছে। তবে পাকিস্তান ও শ্রীলংকার মুদ্রার মান আরও বেশি কমেছে।


আরও খবর

আবারও বাড়লো সোনার দাম

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




শীর্ষে আর্জেন্টিনা, হারের হ্যাটট্রিকে ‘হেক্সায়’ ব্রাজিল

প্রকাশিত:বুধবার ২২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ২৫জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক : ঘরের মাঠেও দুর্দশা কাটল না ব্রাজিলের। টানা দুই হারের ক্ষত নিয়ে মারাকানায় ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যাশায় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল তারা। কিন্তু ঘরের মাঠের ব্যাপক সমর্থনেও বদলালো না ব্রাজিলের গল্পটা। লাল কার্ড হজমের ম্যাচে এক গোলে হারই সঙ্গী। এ নিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে হারের হ্যাটট্রিক। সেই সঙ্গে বাছাইয়ে এই প্রথমবার নিজেদের মাটিতে হারের মুখ দেখল সেলেসাওরা। 

আজ (বুধবার) মারাকানায় দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর উত্তাপ ছড়ানো ম্যাচে গোল হয়েছে একটিই। ৬৩ মিনিটে জিওভানি লো সেলসোর কর্নার থেকে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণী গোল করেন নিকোলাস ওতামেন্ডি। তাতেই নির্ধারিত হয় ব্রাজিলের টানা তৃতীয় হার। আর খেলা গড়ানোর আগে দুই পক্ষের মারামারি, এক লালকার্ড ব্রাজিলের ক্ষতটাই কেবল বাড়িয়েছে।  

মারাকানায় ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনার ম্যাচ শুরু হওয়ার সব আনুষ্ঠানিকতা শেষেই শুরু হয় প্রথম ঝামেলা। ব্রাজিলের মারাকানায় উপস্থিত আর্জেন্টিনার সমর্থকদের সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে ব্রাজিলের সমর্থকরা। দ্রুতই সেখানে ছুটে যান স্থানীয় পুলিশের সদস্যরা। ঘটনার জের ধরে আর্জেন্টিনা অধিনায়ক লিওনেল মেসি পুরো দল নিয়ে চলে যান ড্রেসিংরুমে। পরে খেলা শুরু হলেও পুরো সময়জুড়ে ছিল উত্তাপ। 

এক গোলে পিছিয়ে যাওয়ার পর শেষের সময়টা ব্রাজিলকে খেলতে হয়েছে ১০ জনের দল নিয়ে। শেষের এমন দৃশ্যে আরও খানিক অপমানও যুক্ত হয়েছে ব্রাজিলের জন্য। মাঠে হতশ্রী পারফর্ম্যান্সে ক্ষুব্ধ হয়ে ম্যাচ শেষের আগেই মাঠ ছেড়ে চলে যান ব্রাজিলের সমর্থকরা। মারাকানার মাঠে তাই ব্রাজিলের শেষটা হলো আরও বেশি তিক্ত। 

২০২৬ বিশ্বকাপের কনমেবল অঞ্চলের বাছাইয়ে টানা তিন হারে পয়েন্ট টেবিলে নামতে নামতে ছয়ে চলে গেছে ব্রাজিল। অন্য দলগুলো জয় পাওয়াতেও পিছিয়ে যাচ্ছে তারা। ৬ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে রয়েছে মেসির আর্জেন্টিনা। দুই পয়েন্ট কম নিয়ে টেবিলের দুইয়ে উরুগুয়ে। ৬ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে রয়েছে কলম্বিয়া। চার ও পাঁচ নম্বরে রয়েছে যথাক্রমে ভেনেজুয়েলা ও ইকুয়েডর। আর সমান ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ছয়ে অবস্থান করছে ব্রাজিল।

বিশ্বকাপ বাছাইয়ে যাদের জয় পাওয়া নিয়ে কখনো ভাবতেই হয়নি। সেই দলটিই কিনা এবার ধুঁকছে। দলের বড় দুই তারকা নেইমার এবং ভিনিসিয়ুসের না থাকা যেন খাদের কিনারেই ঠেলে দিয়েছে সেলেসাওদের। টানা তিন হারে ধীরে ধীরে টেবিলের নিচে নেমে যাচ্ছে ব্রাজিল। যদিও বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের আরও দুই তৃতীয়াংশ বাকি আছে, তবুও একটা প্রশ্ন উঠছে, ব্রাজিল কী বিশ্বকাপে সরাসরি কোয়ালিফাই করতে পারবে? 


আরও খবর

৩১৭ রানে অলআউট নিউজিল্যান্ড

বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩




আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে ইসরায়েলের বিচার করা উচিত

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | ২৬জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা দেড় মাস ধরে চালানো এই আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ১২ হাজার ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলি এই হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না গাজার স্কুল, মসজিদ এমনকি হাসপাতালের মতো স্থাপনাও।

এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) ইসরায়েলি সরকারের বিচার করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। এমনকি ইসরায়েলি সরকারকে জবাবদিহি করার জন্য ‘প্রচুর প্রমাণ’ রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

১৮ নভেম্বর রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলের চলমান কর্মকাণ্ডের আবারও সমালোচনা করেছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। শনিবার তিনি বলেছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) ইসরায়েল সরকারকে জবাবদিহি করার জন্য ‘প্রচুর প্রমাণ’ রয়েছে।

জার্মানিতে একদিনের সফর শেষ করে তুরস্কে ফিরে এরদোয়ান বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে ইসরায়েলি প্রশাসনের বিচারের জন্য যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। এই অপরাধের নিরপেক্ষ শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য আমরা আমাদের ক্ষমতায় থাকা সবকিছুই করব।’

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সম্পর্কে তুরস্কের এই প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘নেতানিয়াহু নিজেই একজন সর্বনাশগ্রস্ত ব্যক্তি। আমরা তার থেকে মুক্তি পেতে চলেছি। আশা করি, ইসরায়েলও তাকে বিদায় করবে এবং এতে করে বিশ্বের সমস্ত ইহুদি তার থেকে মুক্তি পাবে। বর্তমানে, তার নিজের দেশের (ইসরায়েলের) ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ নাগরিক নেতানিয়াহুর বিরোধিতা করে।’

প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, তুরস্ক গাজার নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং তা অব্যাহত রাখবে। তিনি বলেন, ‘গাজার বাসিন্দাদের সাহায্য দিতে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের খাদ্য ও পানি না দিয়ে অনাহারে রাখছে ইসরায়েল। কিন্তু আমরা হাল ছাড়ব না।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিবন্ধকতা যাই থাকুক না কেন, আমরা গাজাকে বাঁচিয়ে রাখব। সমগ্র বিশ্ব, বিশেষ করে ইসলামিক দেশগুলোর উচিত সাহায্য প্রদানের জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়া।’

এর আগে সংক্ষিপ্ত এক সফরে গত শুক্রবার জার্মানিতে গিয়েছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। তবে তুর্কি প্রেসিডেন্টের এবারের জার্মান সফরটি ছিল উত্তেজনাপূর্ণ। মধ্যপ্রাচ্যে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার যুদ্ধ নিয়ে জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজের সঙ্গে প্রকাশ্যে এরদোয়ানের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছে।

গত শুক্রবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলন করতে আসেন এরদোয়ান ও শলৎজ। সেখানে হামাস-ইসরায়েলের যুদ্ধের প্রসঙ্গ নিয়ে জার্মান চ্যান্সেলর বলেন, ‘ইসরায়েলের প্রতি আমাদের সংহতি নিয়ে কোনো ছাড় হবে না।’

ওলাফ শলৎজ এমন কথা বলার পর এরদোয়ান মন্তব্য করেন, জার্মানি ইসরায়েলের কাছে দায়বদ্ধ। কারণ তারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইহুদিদের বিরুদ্ধে হলোকাস্ট (গণহত্যা) চালিয়েছে। কিন্তু ইসরায়েলের প্রতি তুরস্কের কোনও দায় নেই। এ কারণে আমরা (তুরস্ক) প্রকাশ্যে যা খুশি তাই বলতে পারি।

এছাড়া ইসরায়েলকে ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’ হিসেবেও আখ্যা দিয়েছেন এরদোয়ান। গাজায় নির্বিচার বোমা হামলারও তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তিনি। এরদোয়ান বলেছেন, ইহুদিদের ধর্মীয়গ্রন্থ তোরাহতে শিশু ও হাসপাতালের হামলার নির্দেশনা নেই।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এছাড়া ইসরায়েলের এই বিমান হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না গাজার কোনও অবকাঠামো। তারা মসজিদ, গির্জা, স্কুল, হাসপাতাল ও বেসামরিক মানুষের বাড়ি-ঘর সব জায়গায় হামলা চালিয়ে আসছে।

ফিলিস্তিনি সরকারের মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় নিহতের সংখ্যা ইতোমধ্যেই ১২ হাজারে পৌঁছেছে। নিহত এসব ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শিশু ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের সংখ্যাই ৫ হাজারের বেশি।

এছাড়া হামলায় নিহতদের মধ্যে তিন হাজারেরও বেশি নারী রয়েছেন। ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছেন আরও ২৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।


আরও খবর



ডেঙ্গুতে আরও ৭ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১০৯৪

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | ২৬জন দেখেছেন

Image

বুধবার সকাল ৮টা থেকে বুহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত (একদিনে) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নতুন করে আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। একইসঙ্গে এই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১০৯৪ জন। নতুন এসব শনাক্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৫৩ জন, আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৪১ জন।

২৩ নভেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৪ হাজার ১২৪ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ১ হাজার ১১১ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৩ হাজার ১৩ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।

চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৫ হাজার ৭৯২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ১ লাখ ৬ হাজার ৫২৪ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ লাখ ৯৯ হাজার ২৬৮ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩ লাখ ৯১ জন। ঢাকায় ১ লাখ ৪ হাজার ৪৯৫ এবং ঢাকার বাইরে ১ লাখ ৯৫ হাজার ৫৯৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১৫৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।


আরও খবর

একদিনে ৮৭৭ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ৭

বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩




প্রাক্তনেই বাজিমাত

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৫০জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক : নির্মাণের শুরু থেকেই দর্শকদের আগ্রহের কেন্দ্রে রয়েছে সালমান-ক্যাটরিনার ‘টাইগার থ্রি’। তাছাড়া বলিউডে সাবেক এই প্রেমিক জুটির পর্দায় রসায়ন মানেই অনুরাগীদের হুমড়ি খেয়ে পড়া। অন্যদিকে বিয়ের পর থেকেই খুব একটা কাজে সরব হননি ক্যাটরিনা।

সব মিলিয়ে অনেকেই ধারণা করেছিলেন ‘টাইগার থ্রি’ দিয়ে যেমন ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বাইরে আসতে পারেন সালমান, তেমনি নিজের কামব্যাকও স্মরণীয় হতে পারে ক্যাটরিনার। এবার সেই আভাসও মিললো। এরইমধ্যে সিনেমাটির অগ্রীম টিকেটের বুকিং শুরু হয়েছে। আর সেখানেই চমকে দিয়েছেন সালমান-ক্যাট ভক্তরা।

প্রথম দিনেই প্রায় কোটি টাকার টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে! শুরুতেই দর্শকদের এমন আগ্রহে রীতিমতো নড়েচড়ে বসেছে ভারতীয় সিনেবোদ্ধারা। তাদের নতুন ধারণা ক’দিন আগেই বক্স অফিস মাত করা শাহরুখ খানের ‘পাঠান’ সিনেমাকে পেছনে ফেলতে পারে ‘টাইগার থ্রি’।

উল্লেখ্য, আগামী ১২ নভেম্বর কালীপুজো ও দীপাবলির সময়ে মুক্তি পাচ্ছে ‘টাইগার থি’। এর আগে ‘এক থা টাইগার’ এবং ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’ সিনেমার মাধ্যমে দর্শকদের মন জয় করেছেন সালমান। এবার প্রায় ৬ বছর পরে মুক্তি পেতে চলেছে এই সিনেমার তৃতীয় পর্ব।

এছাড়াও গত কয়েক বছর বিশেষ কোনো হিট সিনেমাও নেই ক্যাটরিনা-সালমানের ঝুলিতে। এদিকে খানিকটা ‘পাঠান’ সিনেমার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই সকাল ৭টা থেকে শোয়ের বন্দোবস্ত করা হচ্ছে ‘টাইগার থ্রি’র। তবে শুরুটা ভালো হলেও শেষটা কতটা ভালো হয় সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা!


আরও খবর



গাজায় গর্ভবতী নারী ও নবজাতকদের ঝুঁকি সম্পর্কে হুঁশিয়ারি জাতিসংঘের

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | ২৮জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা প্রায় দেড় মাস ধরে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ১১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই সাড়ে ৭ হাজার।

এই পরিস্থিতিতে গাজায় গর্ভবতী নারী ও নবজাতকদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয়ে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে জাতিসংঘ। এমনকি ইসরায়েলি অবরোধে সরবরাহ বন্ধ থাকা খাবার, পানি, ওষুধ, জ্বালানির ওপরই তাদের স্বাস্থ্যের বিষয়টি নির্ভর করছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খাদ্য, পানি, ওষুধ, প্রসূতি চিকিৎসা ও জ্বালানির ঘাটতির কারণে গাজায় হাজার হাজার গর্ভবতী নারী ও নবজাতকের স্বাস্থ্যের বিষয়ে আসন্ন বিপদ সম্পর্কে রোববার সতর্ক করেছে জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক কার্যালয়।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয়ের অফিস (ওসিএইচএ) বলেছে, ‘গাজায় যুদ্ধ চলছে এবং এর মধ্যেই সেখানে প্রায় ৫০ হাজার নারী গর্ভবতী অবস্থায় রয়েছেন। প্রতিদিন ১৮০ জনেরও বেশি নারী সন্তান প্রসব করছেন এবং আগামী সপ্তাহগুলোতে আরও হাজার হাজারের নারী সন্তানের জন্ম দেবেন।’

ওসিএইচএ আরও বলেছে, ‘এসব গর্ভবতী নারীর স্বাস্থ্য এবং তাদের নবজাতকের স্বাস্থ্য মূলত খাদ্য, পানি, ওষুধ, জ্বালানি এবং প্রসূতি মায়েদের চিকিৎসা সরঞ্জামের প্রবেশের ওপর নির্ভর করছে।’

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এছাড়া ইসরায়েলের এই বিমান হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না গাজার কোনও অবকাঠামো। তারা মসজিদ, গির্জা, স্কুল, হাসপাতাল ও বেসামরিক মানুষের বাড়ি-ঘর সব জায়গায় হামলা চালিয়ে আসছে।

অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় নিহতের সংখ্যা ইতোমধ্যেই ১১ হাজার ১০০ ছাড়িয়ে গেছে। নিহত এসব ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সাড়ে চার হাজারেরও বেশি শিশু। এছাড়া নিহতদের মধ্যে নারীর সংখ্যাও তিন হাজারের বেশি।

পরিস্থিতি এতোটাই খারাপ যে, গাজার দুটি বৃহত্তম হাসপাতাল- আল-শিফা এবং আল-কুদস হাসপাতাল উভয়ই বন্ধ হয়ে গেছে। ইসরায়েলি স্নাইপাররা আল-শিফা হাসপাতালের কাছে কাউকে দেখতে পেলেই তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে যাচ্ছে। হাসপাতালটির ভেতরে হাজার হাজার মানুষকে আটকে রেখেছে ইসরায়েল।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস গাজার হাসপাতালগুলোতে ‘ভয়াবহ এবং বিপজ্জনক’ পরিস্থিতি সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, হাসপাতালে হামলার ঘটনায় অপরিণত অবস্থায় জন্ম নেওয়া শিশুসহ আরও বহু রোগী ‘দুঃখজনকভাবে’ মারা যাচ্ছে।

অন্যদিকে জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালও বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।

উত্তর গাজায় অবস্থিত কামাল আদওয়ান হাসপাতালের প্রধান আহমেদ আল-কাহলুত আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, হাসপাতালের প্রধান জেনারেটরের জ্বালানি শেষ হয়ে গেছে, এতে করে হাসপাতালটির কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন তারা।


আরও খবর