Logo
আজঃ বুধবার ০৯ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম
ট্রাম্প এখনো কূটনৈতিক সমাধানে আগ্রহী : হোয়াইট হাউস জুলাই বিপ্লবে স্কাউট সদস্যের আত্মাহুতি, এ নজির বিশ্বে আর নেই: প্রধান উপদেষ্টা বিসিবি সভাপতি রাজশাহী অঞ্চলে প্রিমিয়ার লিগ চালুর কথা বললেন সিএস ও কমিটির পক্ষ থেকে সি এস ও লিড ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত ইরানে মার্কিন হামলায় জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্বেগ বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নৌবাহিনী প্রযুক্তিনির্ভর ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে ভূমিকা রাখছে : সেনাপ্রধান অবকাশ শেষে রোববার থেকে নিয়মিত বিচারিক কার্যক্রম ফিরছে সুপ্রিম কোর্ট হলি আর্টিজান হামলা : মৃত্যুদণ্ড থেকে সাত আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ডের যুক্তি পূর্ণাঙ্গ রায়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। ওমান উপসাগরে দুটি তেল ট্যাঙ্কারের মধ্যে সংঘর্ষে

সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স বাড়ছে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৯ জুলাই ২০২৫ | ১৬৪জন দেখেছেন

Image

চাকরিপ্রত্যাশীর জন্য আসছে সুখবর। চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ছে। পাশাপাশি বাড়ানো হচ্ছে অবসরে যাওয়ার সময়ও। এ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কাজ চলছে। 

আজ (বৃহস্পতিবার) দৈনিক সমকালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স বাড়ছে— শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে— চাকরির বয়সসীমা বাড়াতে এ বিষয়ক বিধি-বিধান কোথায়, কী সংশোধনের প্রয়োজন হবে– তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিভিন্ন মহল থেকে চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স যথাক্রমে ৩৫ ও ৬৫ নির্ধারণ করার দাবি উঠলেও মানুষের গড় আয়ু বিবেচনায় নিয়ে বয়সসীমা চূড়ান্ত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে চাকরিতে আবেদনের বয়স দুই বছর বাড়িয়ে ৩২ এবং অবসরের বয়স তিন বছর বাড়িয়ে ৬২ নির্ধারণ করা হতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

রাষ্ট্র সংস্কারে সরকার যে ছয়টি কমিশন গঠন করেছে, এর মধ্যে জনপ্রশাসন সংস্কারের জন্য গঠিত কমিশনের প্রধান হয়েছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী। এই কমিশনও বয়সসীমার বিষয়টি নিয়ে কাজ করবে। এখন সরকারি চাকরিতে প্রবেশে ৩০ আর অবসরের জন্য ৫৯ বছর বয়সসীমা নির্ধারণ করা আছে।

এ ব্যাপারে সরকার-সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়ে সরকার এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে সরকার জনপ্রশাসন সংস্কারের লক্ষ্যে একটি কমিশন গঠন করেছে। চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স বাড়াতে সুপারিশ করবে কিনা, তা এ কমিশনের এখতিয়ারভুক্ত। মূল বিষয়টি হলো, জনগণকে সুশাসন কীভাবে দেওয়া যায়, তা নিশ্চিত করা। এ ক্ষেত্রে এ কমিশন যদি মনে করে, সরকারি চাকরিতে ঢোকার বয়স ও অবসরের সীমা বাড়ানো প্রয়োজন, তারা সরকারকে সুপারিশ দেবে।

বয়সসীমা বাড়ানোর পক্ষে যুক্তি কী— তাও তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে। চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক মো. শরিফুল হাসান শুভ সমকালকে বলেন, দেশের জাতীয় যুবনীতিতে ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সীদের যুবক বলা হলেও ৩০ বছর হলেই তাদের সরকারি চাকরিতে আবেদনের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। তিনি বলেন, ২৭ থেকে ৩০ বছরে উন্নীত করা হয়, যখন বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল মাত্র ৫৭ বছর। বর্তমানে দেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়ে ৭৩ বছর হলেও চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বাড়ানো হয়নি।  





আরও খবর



ধোনী, আমলা ও স্মিথের সাথে আইসিসির হল অব ফেমে সানা মির

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৮ জুলাই ২০২৫ | ৫৫জন দেখেছেন

Image

ভারতের মাহেন্দ্র সিং ধোনী, দক্ষিণ আফ্রিকার হাশিম আমলা ও গ্র্যায়েম স্মিথসহ আরো সাত ক্রিকেটার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের হল অব ফেমে জায়গা করে নিয়েছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন পাকিস্তান নারী দলের অধিনায়ক সানা মির।

এই তালিকায় আরো রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান ম্যাথু হেইডেন, নিউজিল্যান্ডের ড্যানিয়েল ভেট্টরি ও ইংল্যান্ডের সারা টেইলর। নারী ক্রিকেটে অবদানের জন্য সানা মির ও সারা টেইলরকে স্বীকৃতি দিয়েছে আইসিসি। 

পাকিস্তানের প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে আইসিসি হল অব ফেমে জায়গা করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন সানা মির। ২০০৫ সালে অভিষেকের পর পাকিস্তানের হয়ে ১২০টি ওয়ানডে এবং ১০৬টি টি২০ খেলেছেন। এর মধ্যে ৭২টি ওয়ানডে এবং ৬৫টি টি২০ ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেছেন।

২০১০ ও ২০১৪ সালে এশিয়ান গেমসে পাকিস্তানের স্বর্ণপদক জয়ে অধিনায়ক ছিলেন সানা মির। নিয়েছেন ১৫১ উইকেট। ২০১৮ সালে ওয়ানডে বোলারদের র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থানেও ছিলেন সানা মীর।

ভারতের সাবেক অধিনায়ক ধোনি ২০০৭ সালে প্রথম টি২০ বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক। ২০১১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ উপহার দেন ভারতকে। দুই বছর পর ২০১৩ সালে তার নেতৃত্বে ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয় করে। তিনি একমাত্র অধিনায়ক যার অধীনে ভারত আইসিসির তিনটি সাদা বলের ট্রফিই জিতেছে। তার অধীনে ভারত টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষেও উঠেছিল।

প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটার হিসেবে আমলা টেস্টে ত্রিপল সেঞ্চুরি করেছিলেন। ২০১২ সালে ওভালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি ৩১১ রান সংগ্রহ করেছিলেন। 

সব ফরম্যাট মিলিয়ে তিনি ৫৫টির বেশি আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি করেছেন। গ্রায়েম স্মিথ ১০৯টি টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার নেতৃত্ব দেন, যার মধ্যে ৫৩টি জয় পেয়েছেন। একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে ১০০টিরও বেশি টেস্টে অধিনায়কত্ব করেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ১৫০টি ওয়ানডেতেও অধিনায়ক ছিলেন গ্রায়েম স্মিথ, যা তাদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

সারাহ টেইলর ছিলেন ইংল্যান্ড নারী দলের ২০০৯ সালের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম কান্ডারি। তিনি ২০১৭ সালে ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালে ৪৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। অসাধারণ উইকেটকিপিংয়ের জন্য খ্যাত টেইলর সব ফরম্যাটে মিলিয়ে ২৩২টি ডিসমিসাল করেছেন।


আরও খবর



পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারে বাংলাদেশকে সহায়তা করছে যুক্তরাজ্য: গভর্নর

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৮ জুলাই ২০২৫ | ৫৯জন দেখেছেন

Image

 বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর আজ বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের দ্বারা পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারে বাংলাদেশকে সর্বাত্মক সহায়তা করছে যুক্তরাজ্য।

তিনি বলেন, ‘পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারের জন্য যুক্তরাজ্যের সাথে নিবিড় আলোচনা করছে সরকার। তারা নথিপত্র তৈরিতেও আমাদের সহায়তা করছে।’

প্রধান উপদেষ্টার প্রতিনিধি দলের অংশ হিসেবে ১০ জুন থেকে ১৩ জুন লন্ডন সফরের পর তার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মনসুর বলেন, যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশের কাছ থেকে পারস্পরিক আইনি সহায়তার অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ।

তিনি আরো বলেন, ‘এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে পাচারকারীদের সম্পত্তি এবং লুট করা অর্থ সম্পর্কে তথ্য হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ। তথ্যের ভিত্তিতে বিদেশী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেয়।’

সম্প্রতি, যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদের যুক্তরাজ্যে ১৭০ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের সম্পত্তি জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছে। গত মাসে বেক্সিমকো গ্রুপের শায়ান রহমান এবং শাহরিয়ার রহমানের ৯০ মিলিয়ন পাউন্ডের সম্পদ জব্দ করা হয়।

মনসুর বলেন, ‘আমরা অন্যান্য দেশের সাথেও আলোচনা করছি। আশা করছি একটি ভালো পরিমাণ অর্থ উদ্ধার করা যেতে পারে।’

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মামলা-মোকদ্দমায় দক্ষ আইনি সংস্থাগুলো সম্পদ পুনরুদ্ধারের জন্য ৫০ মিলিয়ন থেকে ১০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। মামলার তহবিলদাতা হলেন একজন তৃতীয় পক্ষ যা মামলার সাথে সম্পর্কিত আইনি খরচ মেটাতে মামলা থেকে সম্ভাব্য অর্থ পুনরুদ্ধারের একটি অংশের বিনিময়ে মামলাকারীকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, বাংলাদেশ এই উদ্যোগের অংশ হিসাবে একটি তহবিল গঠনের কথা বিবেচনা করবে, পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী আইনি সংস্থাগুলো থেকে অর্থ সংগ্রহ করবে।

তিনি আরো বলেন, ‘তারা (আইনি সংস্থাগুলো) উদ্ধারকৃত অর্থের ১৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ পাবে। তবে কি পরিমাণ অর্থ উদ্ধার হবে তার ভিত্তিতে এটি চূড়ান্ত হবে। 


আরও খবর



প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠক রাজনৈতিক সংকট কাটাতে টার্নিং পয়েন্ট : মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ০৯ জুলাই ২০২৫ | ৫৫জন দেখেছেন

Image

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যুক্তরাজ্য সফররত প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক হবে। এই বৈঠকটি রাজনৈতিক সংকট কাটাতে টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে বলেও উল্লেখ করছেন তিনি।

আজ রাজধানীর গুলশানে বিএনপি’র চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মহাসচিব বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তিনি (ড. ইউনূস) যে হোটেলে উঠেছেন সেখানেই বৈঠক হবে।’

আগামী ১৩ জুন শুক্রবার লন্ডনের স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টার মধ্যে বৈঠকটি হবে।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক যে সংকটগুলো রয়েছে, সেগুলোয় এই বৈঠক ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে বলে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, বর্তমানে যে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বা অবস্থান, তাতে এটা একটা বড় ইভেন্ট। গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট। এটার গুরুত্ব অনেক বেশি। নিঃসন্দেহে রাজনৈতিক সংকট কাটাতে এটা একটা বড় টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে।’

প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠক প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এটা (বৈঠক) আমরা বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই যখন থেকে প্রধান উপদেষ্টা লন্ডনে যাবেন সিদ্ধান্ত হয়েছে তখন থেকেই মোটামুটি একটু আলোচনা হচ্ছিল যে, সেখানে যেহেতু আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আছেন সেখানে একটা সাক্ষাৎ হতে পারে। 

এটা একটা সম্ভাবনা তখন থেকেই শুরু হয়েছিল। এখন এটা পরিপর্ক্ক হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘গতকাল সোমবার রাতে আমাদের স্ট্যাডিং কমিটির মিটিংও হয়েছে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিটিংয়ে সভাপতিত্ব করেছেন। তারেক রহমানকে ফরমালি দাওয়াত করা হয়েছে মিটিংয়ের জন্যে। ১৩ তারিখ ৯টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত (লন্ডন স্থানীয় সময়) প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে এই সময়টা দেয়া হয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই মিটিংয়ের জন্য আমাদের স্ট্যান্ডিং কমিটির পক্ষ থেকে স্বাগত জানানো হয়েছে।

আমরা প্রত্যাশা করছি যে, এটা বাংলাদেশের যে রাজনৈতিক সংকট কাটাতে পজেটিভ ভূমিকা রাখতে পারে।’

অনুষ্ঠেয় বৈঠকটিকে এই সময়ের বড় ‘পলিটিক্যাল ইভেন্ট’ হিসেবে অভিহিত করে মির্জা ফখরুল বলেন, অনেক সুযোগও তৈরি হতে পারে এই বৈঠকে। অনেক সমস্যার সমাধান হতে পারে। অনেক কিছু সহজ হয়ে যেতে পারে। নতুন ডাইমেনশন তৈরি হতে পারে এই বৈঠকে। নতুন একটা দিগন্তের উন্মোচন হতে পারে।

তিনি বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস তিনি দেখা করবেন আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যিনি দল চালাচ্ছেন এতোদিন ধরে। যিনি রাজনীতিতে প্রধান কেন্দ্র বিন্দু হয়ে আছেন বাংলাদেশে এবং ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্যেও একটা প্রধান ভূমিকা পালন করেছেন। 

তার সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ হওয়াটা আমি বড় ইভেন্ট বলে মনে করি। ‘ইটস এ মেজর পলিটিক্যাল ইভেন্ট।’

তিনি বলেন,  আমার মনে হয় যে, এই সময়ের মধ্যে সবচাইতে ইম্পরটেন্ট ইভেন্ট, এই মিটিংয়ে গুরুত্ব অনেক বেশি। আমি মনে করি জাতীয়ভাবে এবং আন্তর্জাতিকভাবেও এটা গুরুত্ব অনেক বেশি।

মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য বলেছেন, ‘আপনাদের পত্র-পত্রিকায় সাংবাদিকদের মধ্যে বহু আলোচনা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চলছে। এর মধ্যে এই মিটিংটা হলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যেতে পারে এবং অনেক কিছু সহজ হয়ে যেতে পারে। নতুন ডাইমেনশন সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক। এখন এটা নির্ভর করবে আমাদের নেতৃবৃন্দের (মুহাম্মদ ইউনুস-তারেক রহমান) উপরে তারা কিভাবে সেই সম্ভাবনার দিকে নিয়ে যাবেন। আমরা আমাদের দলের তরফ থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে সম্পূর্ণ অথোরিটি দিয়েছি তার, সাফল্য প্রার্থনা করেছি।’

বৈঠকের স্থান কোথায় জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ লন্ডনে যে হোটেলটিতে (হোটেল ডোরচেস্টার) উনি প্রধান উপদেষ্টা আছেন সেটাতেই ভেন্যু। ওখানেই তার সঙ্গে ‘ইংল্যান্ডের হাউজ অব কমন্সের ডেপুটি লিডার অব দি হাউজ’ দেখা করবেন তারেক রহমান সাহেবের বৈঠকের পরে। এরপরে অন্যান্য নেতা যারা আছেন তারা ওখানেই দেখা করবেন। 


আরও খবর



গাইবান্ধায় পান ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৮ জুলাই ২০২৫ | ৪২জন দেখেছেন

Image

মোঃ জিল্লুর রহমান গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাইহাট এলাকায় কৃষি ব্যাংক সংলগ্ন একটি বাগান থেকে আব্দুল খালেক মিয়া (৩৫) নামে এক পান ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুবৃর্ত্তরা। শুক্রবার সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আব্দুল খালেক মিয়া উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, আব্দুল খালেক দীর্ঘদিন ধরে পান ব্যবসা করেন। সকালে গাইবান্ধা-নাকাইহাট ভাইয়া গোবিন্দগঞ্জ সড়কের পাশের বাগানে তার গলা কাটা মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের স্বজনরা জানান, প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার হাটে যান আব্দুল খালেক। কিন্তু গভীর রাতেও বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজতে থাকেন। পরে শুক্রবার সকালে নাকাইহাট বাজারের পাশের বাগানে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
নিহতের বড় ভাই আলম মিয়া বলেন, আব্দুল খালেক শারীরিক প্রতিবন্ধী ও সরল প্রকৃতির ছিলেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনা করেন তিনি।
এব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি রংপুর থেকে ক্রাইম টিম বিষয়টি নিয়ে কাজ করবে। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।


আরও খবর



প্রায় ৬০ কোটি টাকার টোল আদায় ঈদের ছুটিতে পদ্মা ও যমুনা সেতুতে

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৮ জুলাই ২০২৫ | ৫৪জন দেখেছেন

Image

ঈদের ছুটিতে পদ্মা ও যমুনা সেতুতে প্রায় ৫৯ কোটি ৭৭ লাখ ২৯ হাজার ৫০ টাকার টোল আদায় করা হয়েছে।

সেতু বিভাগের সচিব এম আব্দুর রউফ জানান, ঈদুল আজহার ছুটিতে পদ্মা ও যমুনা সেতু পারাপারের ক্ষেত্রে সর্বাধিক যানবাহন দেখা গেছে।

তিনি বলেন, সেতু পারাপারের সময় কমানোর লক্ষ্যে সেতুগুলোতে ইলেকট্রনিক টোল সংগ্রহ (ইটিসি) পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।

সচিব বলেন, আমরা ছয়টি সংস্থার সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছি, যাতে যানবাহনগুলো অ্যাপের মাধ্যমে টোল পরিশোধ করে দ্রুত সেতু পার হতে পারে।

সূত্র জানায়, ৫ জুন পদ্মা ও যমুনা সেতু তাদের সর্বোচ্চ দৈনিক টোল সংগ্রহ ও যানবাহন পারাপারের রেকর্ড করেছে।

এই ঈদের ছুটিতে দেশের বৃহৎ সেতু দুটি থেকে বিপুল পরিমাণ টোল আদায় করা হয়েছে।

পদ্মা বহুমুখী সেতু কর্তৃপক্ষ ৫ জুন সর্বোচ্চ ৫ কোটি ৪৩ লাখ ২৮ হাজার টাকার টোল আদায় করেছে। 
একই দিনে যমুনা সেতু থেকে ৪ কোটি ১০ লাখ ৮০ হাজার ৯৫০ টাকার টোল আদায় করা হয়েছে।

৫ জুন, যমুনা সেতু দিয়ে ৬৪ হাজার ২৮৩টি যানবাহন এবং পদ্মা সেতু দিয়ে ৫২ হাজার ৪৮৭টি যানবাহন অতিক্রম করে।


আরও খবর