Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম

‘শুল্ক ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি অর্থনীতির জন্য আত্মঘাতী’

প্রকাশিত:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৭৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি: বৈশ্বিক ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা, আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় অর্থনীতির বিদ্যমান এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যে শতাধিক পণ্যের ওপর ভ্যাট বৃদ্ধিসহ বেশকিছু পণ্যের কর হার বৃদ্ধি এবং শিল্পে গ্যাসের মূল্য দ্বিগুণের বেশি বাড়ানোর উদ্যোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বলে মনে করেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদ।


শনিবার (১১ জানুয়ারি) ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি দেশের সমসাময়িক অর্থনীতির বিভিন্ন দিক উপস্থাপনকালে এ অভিমত ব্যক্ত করেন।



তিনি বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে একটি সংকটময় মুহূর্ত ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এর মূল কারণ হলো- সীমিত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, আমদানি খরচ বৃদ্ধি, উচ্চ জ্বালানি ব্যয়, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ঋণ পেতে প্রতিবন্ধকতাসহ উচ্চ সুদহার।


সংবাদ সম্মেলনে ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ অর্থনীতির ১১টি বিষয়বস্তুর ওপর বিস্তারিত চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি ২০২৫ সালে ডিসিসিআইর কর্মপরিকল্পনার ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।


এ সময় তিনি জানান, বৈশ্বিক ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা, আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় অর্থনীতিতে এর প্রভাব, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, আমদানি খরচ বৃদ্ধি, উচ্চ জ্বালানি ব্যয় ও নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি প্রাপ্তির অনিশ্চয়তা, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ঋণ প্রাপ্তিতে বাধা ও সুদের উচ্চহার, উচ্চ শুল্ক হার, ভ্যাট হার বৃদ্ধি এবং সর্বোপরি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি প্রভৃতি কারণে দেশের বেসরকারি খাত এমনিতেই বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে।


তিনি জানান, এ বছর ঢাকা চেম্বার সুদের হার কমানো, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখার ওপর অধিক হারে গুরুত্বারোপ করবে।


তিনি বলেন, সিএসএমই খাতে ঋণ প্রাপ্তি হলেও তা কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় নয়, এটি বাড়াতে হবে এবং এ খাতের উদ্যোক্তারা যেন সহজ শর্তে ও স্বল্প সুদে ঋণ পায়, তা নিশ্চিতকরণের কোনো বিকল্প নেই। কারণ, আমাদের এসএমই খাত সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে থাকে।


অন্তর্বর্তী সরকার গৃহীত সংস্কারের উদ্যোগের বিষয়ে তাসকীন আহমেদ বলেন, সরকার দ্রুত এ সংস্কার কার্যক্রম লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সম্পন্ন করবে, বেসরকারি খাতের পক্ষ থেকে এটি আমরা প্রত্যাশা করছি।


তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ৫টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে যদি সরকার প্রয়োজনীয় অবকাঠামোসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়, তাহলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আরও আশাবাদী হবেন এবং বিনিয়োগ কার্যক্রম সম্প্রসারিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে।


নীতির ধারাবাহিকতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দীর্ঘমেয়াদি সহায়ক কর কাঠামো প্রাপ্তি সাপেক্ষে উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে উৎসাহিত হন, সেক্ষেত্রে হঠাৎ মাঝপথে কর কিংবা শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত উদ্যোক্তাদের মাঝে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে- যা মোটেই কাম্য নয়। ফলে স্থানীয় বিনিয়োগের পাশাপাশি বৈদেশিক বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হয়, যা মোটেই কাম্য নয়।


এলডিসি উত্তরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে আমরা অর্থনৈতিকভাবে মোটামুটি সঠিক পথেই অগ্রসর হচ্ছিলাম তবে কোভিড মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা, স্থানীয় রাজনৈতিক অস্থিরতা পরবর্তী পট-পরিবর্তনসহ আর্থিক খাতে তারল্য সংকটের ফলে এলডিসি উত্তরণ মোকাবিলার প্রস্তুতি বেশ বাধাগ্রস্ত হয়েছে।


তিনি বলেন, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আমরা কতটা প্রস্তুত তা নির্ধারণে সরকারি-বেসরকারি ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের মাঝে বিশদ আলোচনার ভিত্তিতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যেতে পারে। বিষয়টি যদি পেছানোর প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়, তবে দেশের সার্বিক অর্থনীতির কথা বিবেচনায় নিয়ে সরকার এলডিসি উত্তরণে আরও কিছুটা সময় নিতে পারে এবং এ লক্ষ্যে সবার সম্মিলিত সিদ্ধান্তের কোনো বিকল্প নেই। তবে মনে রাখতে হবে, ২০২৬ সালে আমাদের এলডিসি উত্তরণ হলে এর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের পক্ষ থেকে বেসরকারি খাতকে সার্বিক সহযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে।


এমনিতেই আমাদের জিডিপিতে করের অবদান বেশ কম। এরূপ পরিস্থিতিতে বিদ্যমান অর্থনৈতিক চাপ মোকাবিলায় সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছতা সাধনের কোনো বিকল্প নেই বলে ডিসিসিআই সভাপতি মত প্রকাশ করেন এবং সরকারকে এ ব্যাপারে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানান। সেইসঙ্গে অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ না করা এবং এডিপি বাস্তবায়নে স্বচ্ছতার পাশাপাশি সময়মতো প্রকল্প সমাপ্তিতে নজরদারি বাড়ানোর ওপর জোরারোপ করেন। সংবাদ সম্মেলনে ডিসিসিআইর ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী এবং সহসভাপতি মো. সালিম সোলায়মানসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর

৬ দফায় কত বাড়ল স্বর্ণের দাম?

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




নড়াইলে ক্লাইমেট স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৩৪জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: জেলায় ৩ দিনব্যাপী ক্লাইমেট স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১টায় সদর  উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রধান অতিথি হিসেবে কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জেলার উপ-পরিচালক মো. জসীম উদ্দীনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সঞ্চিতা বিশ্বাস। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. রোকনুজ্জামান।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা সৌমিত্র সরকার, উপজেলাকৃষি সম্প্রসারণ অফিসার সৌরভ দেবনাথ, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিএম জাহিদ শাকিলসহ উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষাণ-কৃষাণীরা।

কৃষি প্রযুক্তি মেলায় রিলে পদ্ধতিতে ফসল চাষ, আন্তঃফসল,ফসল আইলে লতানো সবজি চাষ, বস্তায় সবজি ও আদা চাষ, নিরাপদ সবজি চাষ, মাটির স্বাস্থ্য রক্ষা,পলিমালচ, বালাইনাশক প্রভৃতি স্টল প্রদর্শন করা হয়েছে। মেলা উদ্বোধনের আগে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি র‌্যালি বের হয়ে সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়।


আরও খবর

সিলেটের চা বাগান গুলো প্রুনিং পদ্ধতি শুরু

মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




বোয়ালমারী থেকে বিস্ফোরক মামলায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ২০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি : ফরিদপুরের বোয়ালমারী থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের জেলা শাখার সাবেক সদস্য সাইদুল ইসলাম সোহরাবকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) তাকে ফরিদপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার রাতে পাশ্ববর্তী আলফাডাঙ্গা থানার একটি বিস্ফোরক মামলায় সোহরাবকে তার বোয়ালমারীস্থ বাড়ির সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোহরাব হোসেন নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ফরিদপুর জেলা শাখার সাবেক সদস্য ও বোয়ালমারী উপজেলা শাখার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক। তিনি বোয়ালমারী উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের গুনবহা গ্রামের মো. রুস্তুম শেখের ছেলে।

থানা ও এলাকা সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের গত ১৬ জানুয়ারি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও শিক্ষকসহ আওয়ামী লীগের ১৭০ নেতাকর্মীর নামে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে স্থানীয় বিএনপির সমর্থক দিনমজুর লাভলু সর্দার বাদি হয়ে আলফাডাঙ্গা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার অজ্ঞাতনামা আসামিও করা হয়। ওই বিস্ফোরক মামলার অজ্ঞাতনামা সন্দেহ ভাজন আসামী হিসেবে সোহরাবকে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তাকে বোয়ালমারী থানা থেকে আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশের কাছে ওইদিন রাতেই হস্তান্তর করা হয়। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আসামীকে ফরিদপুর আদালতে পাঠিয়েছে আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ। 

বোয়ালমারী থানার ওসি মোহাম্মদ গোলাম রসুল বলেন, আলফাডাঙ্গায় বিস্ফোরক মামলার সন্দেহজনক আসামী হিসেবে সোহরাবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের পর আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে আলফাডাঙ্গা থানার ওসি হারুন অর রশিদ বলেন, আলফাডাঙ্গা থানার বিস্ফোরক মামলার সন্দেহমূলক আসামী হিসেবে সোহরাবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে বোয়ালমারী থানা পুলিশের সহযোগিতায় গুনবহা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে আলফাডাঙ্গায় নিয়ে আসা হয়। বুধবার তাকে ফরিদপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে। 


আরও খবর



গাজায় ফিরেছে ২ লাখ বাস্তচ্যুত ফিলিস্তিনি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৪৮জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরাইল নেটজারিম করিডোরের মধ্য দিয়ে রুট খুলে দেয়ার পর মাত্র দুই ঘন্টায় ২ লাখ বাস্তচ্যুত ফিলিস্তিনি উত্তর গাজায় ফিরেছেন। তাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা ১৫ মাসের যুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো প্রিয়জনদের কাছে ফিরেছেন।

ড্রোন ফুটেজে দেখা গেছে, অসংখ্য ফিলিস্তিনি কোলে সন্তান, কাঁধে ব্যাগপত্র নিয়ে উপকূলীয় পথ ধরে উত্তর দিকে হেঁটে রওনা হয়েছেন। কিন্তু যারা গাড়িতে রওনা হয়েছেন তাদের বিভিন্ন চেক পোস্টে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।

গাজার এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা এএফপি’র সঙ্গে কথা বলার সময় জানিয়েছেন, ক্রসিং খোলার মাত্র দুই ঘন্টার মধ্যে ২ লাখের ও বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষ হেঁটে হেঁটে উত্তর গাজায় ফিরেছেন। পশ্চিম তীরের রামাল্লা থেকে এএফপি এই খবর জানিয়েছে।

ফিরে এসে বেশির ভাগ ফিলিস্তিনি বাড়ি ঘরের ধ্বংসস্তুপ ছাড়া আর কিছুই পাননি। তারপর ও ফিরে আসার আনন্দ ছিল চোখে মুখে। কাঁধে বেশ কয়েকটি ব্যাগ ঝুলিয়ে উত্তর গাজায় ফেরা আহমেদ নামে এক বাস্তুচ্যুত তরুণ বলেছেন, ‘আমরা আমাদের পরিবারের সাথে দেখা করতে চাই। আমি আমার মা এবং বাবাকে দেখতে চাই। আমরা ১৫ মাস ধরে তাদের দেখিনি।’ 

আহমেদ (১৯) আরো বলেছেন, ‘আমি দেড় বছর ধরে আমার পরিবারের সাথে দেখা করিনি। আমি আমার বাবা-মায়ের কাছে যাওয়ার জন্য তিন দিন ধরে অপেক্ষা করছি। আমরা ক্লান্ত। আমরা গাজায় যেতে চাই। আমরা আর কোথাও যেতে চাইনা।’

গত ২৫ জানুয়ারি শনিবার ফিলিস্তিনিদের উত্তরে ফিরে আসার কথা ছিল, কিন্তু ইসরাইলি জিম্মি আরবেল ইয়াহুদকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে তারা আটকে পড়েন।  এর আগে ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ফিলিস্তিনিদের স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে হেঁটে আল-রশিদ স্ট্রিট এবং সকাল ৯টা থেকে যানবাহনে সালাহ আল-দিন স্ট্রিট পার হতে হবে।

গত ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী হামাস যোদ্ধাদের আকস্মিক হামলার পর গাজায় যুদ্ধ শুর করে ইসরাইল। দীর্ঘ দেড় বছরের যুদ্ধে ইসরাইলি হামলায় ৪৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়। যাদের বেশির ভাগই ছিল নারী ও শিশু। অবশেষে গত ১৯ জানুয়ারি রোববার ইসরাইল-হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়। জাতিসংঘের হিসেবে গাজা যুদ্ধে প্রায় ১৭ হাজার শিশু প্রাণ হারিয়েছে।


আরও খবর



সুন্দরবনে অভয়ারণ্যে মাছ ধরার অভিযোগে ০৫ জেলে আটক

প্রকাশিত:সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৪২জন দেখেছেন

Image

মোঃ কামরুল ইসলাম টিটু : পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেজের দুধমুখী খাল এলাকার অভয়ারণ্যে মাছ ধরার অভিযোগে ৫ জেলে কে আটক করেছে বনরক্ষীরা। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫টি বেহেন্দী জাল ও একটি টলার জব্ধ করে বন রক্ষীরা। ৯ই ফেব্রুয়ারী বিকালে পূর্ব সুন্দরবনে দুধমুখী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

কটকা অভয়ান্যে ক্ষেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা মোঃ হাবিবুর রহমান জানান, দুধমুখি অভয়ারণ্যে খালে গোপনে মাছ ধরছে এমন গোপনে সংবাদে তার নের্তৃতে বন রক্ষীদের একটি দল দুধমুখি খাল একালায় অভিযান চলায়।

এ সময় তারা ৫ জেলে কে আটক করে, আটকৃত জেলেরা হলো। পিরোজপুর জেলার রহিতা গ্রামের মিরাজ (৪০), হানিফ মুন্সী (৫০), আলামিন(৩৮), আনিছ(৪৫) ও রফিক (৫০)। এ সময় বনক্ষীরা জেলেদের ব্যবহৃত ৫টি বেহেন্দী জাল ও একটি টলার জব্ধ করে। জেলেদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করে ১০ ফেব্রুয়ারী দুপুরে বাগেরহাট কোর্ট হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। এ ব্যপারে জেলেরা অভিযোগ করে বলেন সুন্দরবনে অভয়ান্যে বিভিন্ন খালে অসাধু বন কর্মকতার্ ও বন রক্ষীরা গোন প্রতি ৫থেকে ১০ হাজার টাকা উৎকোচ এর বিনিময় মাছ ধরতে অনুমতি দেয়। কিন্তু যখন কোন জেলেরা উৎকোচ দিতে অস্বীকার করে তখনি তাদের উপরে বিভিন্ন অযুহাতে নির্যাতন ও সিআর মামলা করেন বন রক্ষীরা ।

এ বিষয় জানতে চাইলে পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেজের এসিএফ রানা দেব বলেন জেলেরা যখন অপরাধে জড়িয়ে পড়ে তখন তারা বন বিভাগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অযুহাত তুলেন। তবে এ ব্যপারে জেলেরা সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ দায়ের করলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



প্রযুক্তি বিশ্বের মাথা ব্যথার নতুন কারণ ডিপসিক এআই

প্রকাশিত:শনিবার ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৪৬জন দেখেছেন

Image

তথ্য প্রযুক্তি ডেস্ক : কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিশ্বে আলোচনায় এসেছে চীনা প্রতিষ্ঠান ‘ডিপসিক’। কয়েকদিনেই নতুন এই এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রযুক্তিপ্রেমীদের মনে জায়গা করে নিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক জায়ান্ট গুলো কাছে যা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। ২০২৩ সালে চীনের হ্যাংঝো শহর থেকে যাত্রা শুরু করা ‘ডিপসিক’-এর কারণে ধস নেমেছে মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো শেয়ারবাজারে। যার প্রধান কারণ ব্যাপক জনপ্রিয়তা। প্রথম দিকে ছোট পরিসরে কাজ শুরু করলেও ২০২৪ সালে এর নতুন মডেল ‘আর-ওয়ান’ উন্মুত্ত করা হয়। কম সময়েই যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং চীনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছেছে এই এআই অ্যাপ। ডিপসিকের সাফল্যের পেছনে রয়েছে যেসব কারণ রয়েছে-

ফ্রি পরিষেবা: যেখানে চ্যাটজিপিটি বা অন্যান্য এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট ব্যবহার করতে নির্দিষ্ট ফি দিতে হয়, সেখানে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডিপসিকের পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে। সহজ ব্যবহার: সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য এর ইন্টারফেস অনেক সহজ।

উন্নত পারফরম্যান্স: ইউজারদের মতে, এই এআই মানুষের চিন্তাভাবনার সঙ্গে আরও বেশি মিল রেখে উত্তর দিতে পারে।দ্রুতগতির প্রযুক্তি: প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থাগুলোর তুলনায় এটি দ্রুত এবং কার্যকরভাবে কাজ করতে পারে।

এদিকে ডিপসিকের জনপ্রিয়তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, চীনা সংস্থার তৈরি ডিপসিক আমাদের প্রযুক্তি বাজারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের টেক জায়ান্টদের এখন ঘুম থেকে জেগে উঠতে হবে এবং প্রযুক্তির উন্নয়নে আরও বেশি মনোযোগ দিতে হবে।


আরও খবর

ভারতে সরকারি দপ্তরে নিষিদ্ধ হলো এআই

রবিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫