Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম

টানা ব্যর্থতায় আত্মবিশ্বাস হারাচ্ছেন পেপ গার্দিওলা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ | ১১৩জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক: ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটির খারাপ সময় যেন কাটছেই না। তুরিনে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে জুভেন্টাসের বিপক্ষে ২-০ গোলের হারে দলের ম্যানেজার পেপ গার্দিওলা নিজের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশয়ে পড়েছেন। দলের সাম্প্রতিক বাজে ফর্ম—শেষ ১০ ম্যাচে সাতটি হার গার্দিওলাকে ভাবিয়ে তুলেছে।


জুভেন্টাসের হয়ে দুসান ভ্লাহোভিচ ও ওয়েস্টন ম্যাককেনির গোল সিটির বিপর্যয়কে আরও গভীর করেছে। আগামী মাসে প্যারিসে পিএসজির বিপক্ষে ম্যাচে হারলে সিটির গ্রুপ পর্ব থেকেই বাদ পড়ার সমূহ সম্ভাবনা তৈরি হবে।



হারের পর গার্দিওলা বলেন, ‘অবশ্যই আমি নিজেকে প্রশ্ন করছি। ভালো বা খারাপ মুহূর্তে আমি স্থির থাকার চেষ্টা করি। দলের জন্য সর্বোচ্চটা করার চেষ্টা করি।’


তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ড্রেসিং রুমে স্থিতিশীলতা আছে। জিতলে আমরা খুশি, হারলে হতাশ। কিন্তু আমাদের কি এখন দুঃখ প্রকাশ করা উচিত? না, আমাদের উন্নতির চেষ্টা করতে হবে।’


টানা ব্যর্থতায় আত্মবিশ্বাস হারাচ্ছেন পেপ গার্দিওলা

এবার গার্দিওলাকে মরিনহোর খোঁচা

গার্দিওলার মতে, এটি তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ নয়। তিনি বলেন, ‘আমার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল বার্সেলোনার প্রথম দিকের মৌসুমগুলোতে ফল আনতে পারা। জীবন এমনই, খারাপ সময় আসে। তবে আমি লড়াই চালিয়ে যাব।’

সিটির মিডফিল্ডার ইলকাই গুনদোয়ান মনে করেন, দলের আত্মবিশ্বাসের অভাব তাদের খারাপ ফর্মের কারণ। তার ভাষায়, ‘এটি মানসিক সমস্যাও বটে।’ তবে গার্দিওলা গুনদোয়ানের এই মূল্যায়নকে অস্বীকার করেছেন।


গার্দিওলা বলেন, ‘আমি ইলকাইয়ের সঙ্গে একমত নই। এই সময়ের বেশিরভাগ ম্যাচে আমরা ভালো খেলেছি। আমাদের আক্রমণ ছিল আক্রমণাত্মক, তবে শেষ মুহূর্তে গোলের সুযোগ কাজে লাগাতে পারিনি।’


গার্দিওলা আত্মবিশ্বাসী যে, পিএসজির বিপক্ষে ড্র করলেই সিটির পরের রাউন্ডে ওঠা নিশ্চিত হবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের এক পয়েন্ট বা তিন পয়েন্ট দরকার। প্যারিসে জয়ের চেষ্টা করব, এরপর ঘরের মাঠে শেষ ম্যাচ রয়েছে।’


এখন সিটির সামনে কঠিন পরীক্ষা নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে। রোকবার ইতিহাদ স্টেডিয়ামে এই ম্যাচে গার্দিওলার দল ঘুরে দাঁড়াতে পারে কি না, সেটাই দেখার বিষয়।


আরও খবর



১০ জেলার ওপর দিয়ে বইছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ

প্রকাশিত:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ২৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশের ১০টি জেলার ওপর দিয়ে যে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বইছে সেটি আগামী ২৪ ঘণ্টা অব্যাহত থাকবে।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাতে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের পশ্চিমাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। আর এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

একই সঙ্গে আগামী ৭২ ঘণ্টায় (৩ দিন) অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

এ ছাড়া আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মৌলভীবাজার ও গোপালগঞ্জ জেলাসমূহের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু এলাকায় অব্যাহত থাকতে পারে। তবে এই সময়ের মধ্যে সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের পশ্চিম ও উত্তর পশ্চিম অঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্য জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে বলেও জানানো হয়েছে।


আরও খবর



চট্টগ্রামে রড-সিমেন্ট ব্যবসায়ীদের মিলনমেলা

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৫ | ৮০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন চট্টগ্রাম জেলা সিমেন্ট ডিলার অ্যান্ড মার্চেন্টস গ্রুপের দুই দিনব্যাপী বার্ষিক মিলনমেলা-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। পর্যটন নগরী কক্সবাজারে উৎসবমুখর পরিবেশে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।


এতে চট্টগ্রাম অঞ্চলের তিন শতাধিক রড ও সিমেন্ট ব্যবসায়ী এবং তাদের পরিবারের সদস্য ও উৎপাদক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা এই বর্ণাঢ্য আয়োজনে যোগ দেন।


বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) হোটেল সি ওয়ার্ল্ডে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি এবং জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর কবির।


সংগঠনের সভাপতি লায়ন মোহাম্মদ হাকিম আলীর সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব লায়ন মোহাম্মদ ইব্রাহিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মেট্রোসেম সিমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী পরিচালক শংকর কুমার রায়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মিলনমেলা কমিটির আহ্বায়ক আবুল কাশেম তালুকদার, যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলী আকবর, সদস্য সচিব এম. জাহাঙ্গীর চৌধুরী জিকু।


মিলনমেলায় বক্তারা বলেন, রড ও সিমেন্ট খাত সরাসরি দেশের উন্নয়নের সঙ্গে জড়িত। তাই দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে এই দুটি উপকরণের গুণগত মান বজায়ে কোনো ছাড় দেওয়া যাবে না। শুধু উৎপাদন আর বিপণন ব্যবস্থা ঠিক থাকলেই চলবে না, ভোক্তাদেরও ভালো জিনিস বেছে নিতে সচেতন করতে হবে।


উদ্বোধনী পর্ব শেষে ছিল বিভিন্ন সিমেন্ট ও স্টিল কোম্পানির কর্মকর্তাদের সম্মাননা স্মারক ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা এবং খেলাধুলার পুরস্কার বিতরণ। এ ছাড়া মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।


আরও খবর



নির্বাচন নিয়ে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চায় বিএনপি ও অন্যান্য দল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ১১৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যকে ভোটের সময়ের ব্যাপারে একটা ধারণা বা ইঙ্গিত হিসেবে দেখছে বিএনপিসহ বিভিন্ন দল। তারা বলেছে, প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে নির্বাচনের তারিখের ব্যাপারে সুস্পষ্ট কোনো রোডম্যাপ নেই। প্রয়োজনীয় সংস্কার ও নির্বাচনের সময়ের প্রশ্নে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চায় তারা।


সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ দাবির প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গতকাল সোমবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নির্বাচনের সময় নিয়ে কথা বললেন। দেশের অন্যতম প্রধান দল বিএনপি প্রধান উপদেষ্টার এই বক্তব্যকে সাধুবাদ জানিয়েছে। কিন্তু দলটির নেতারা বলেছেন, সংস্কারে কতটা সময় প্রয়োজন বা ঠিক কবে নির্বাচন হবে, সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো বক্তব্য নেই।


বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের সময় সম্পর্কে একটা ধারণা দিয়েছেন মাত্র। কিন্তু তাতে সুস্পষ্ট কোনো রোডম্যাপ নেই। তিনি আরও বলেন, ‘প্রয়োজনীয় কোন কোন ক্ষেত্রে সংস্কার করা হবে, সে জন্য কতটা সময় প্রয়োজন, তা প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে স্পষ্ট নয়। আমরা আশা করি, তিনি সংস্কারের সময় ও নির্বাচনের সময় সুনির্দিষ্ট করে একটি রোডম্যাপ দেবেন।’



প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গতকাল ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মহান বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গতকাল ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মহান বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেনছবি: পিআইডি

দলটির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য মির্জা আব্বাস নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যকে সাধুবাদ জানালেও দ্রুততম সময়ে নির্বাচনের দাবির কথা আবারও মনে করিয়ে দিয়ে রোডম্যাপ চেয়েছেন।



বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দল ও জোটগুলোও বলেছে, প্রধান উপদেষ্টার এই বক্তব্যে শুধু ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি প্রথম আলোকে বলেন, নির্বাচনের সময় নিয়ে এখন যে ইঙ্গিত পাওয়া গেল, সেটা দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা তৈরিতে সহায়ক হবে। তবে এখন অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দেওয়া হলে, তা স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে আরও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।



বিএনপির আরেক মিত্র ১২–দলীয় জোটের নেতারা মনে করেন, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের চার মাস পার হওয়ার পর সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে নির্বাচনের সময় নিয়ে বক্তব্য এল। কিন্তু তাতে সংস্কারের সময় বা নির্বাচনের তারিখ বলা হয়নি। এই জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, এখন দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা প্রয়োজন। দলগুলোও তা দাবি করে আসছে। কিন্তু নির্বাচনের জন্য সম্ভাব্য এক বা দেড় বছরের কথা এসেছে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে। শাহাদাত হোসেন এ–ও বলেন, তাঁরাসহ অনেক দল ২০২৫ সালে জুনের মধ্যে নির্বাচন চায়। তাঁরা মনে করেন, সংস্কার করবে রাজনৈতিক সরকার।


বামপন্থী দলগুলোও নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারেনি। এই দলগুলো সংস্কার এবং নির্বাচনের দিনক্ষণ দিয়ে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চায়। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের সময় নিয়ে একটা ধারণা দিয়েছেন, সেটা একটা সুখবর বটে। তিনি মনে করেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে ২০২৫ সালের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের একটি রোডম্যাপ তৈরি করা সম্ভব।


কোনো কোনো ইসলামি দলের প্রতিক্রিয়াতেও একই ধরনের অবস্থান প্রকাশ পেয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ প্রথম আলোকে বলেন, সংস্কার ও নির্বাচনের সময় নিয়ে একটি রোডম্যাপ আশা করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু সুনির্দিষ্ট কোনো বক্তব্য তাঁরা পেলেন না। জামায়াতের এই নেতা বলেন, ভোটের একটা সম্ভাব্য সময়ের ইঙ্গিত দেওয়া হলো, সেটাও বলা হলো ভোটার তালিকা তৈরির শর্তে।


প্রধান উপদেষ্টা একটা ধারণা দিয়েছেন, নির্বাচন নিয়ে সুস্পষ্ট রোডম্যাপ আশা করে বিএনপি: সালাহ উদ্দিন আহমদ

নির্বাচনের ইঙ্গিত দেওয়ার ক্ষেত্রেও অন্তর্বর্তী সরকারের সংশয় প্রকাশ পেয়েছে মনে করে ইসলামী আন্দোলন। দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান বলেন, ইসলামী আন্দোলনসহ অনেক দল সংস্কার শেষ করার পর নির্বাচন চায়। সেখানে মাঝপথে নির্বাচন করা হলে সংস্কার আর হবে না। রাজনৈতিক সরকার সংস্কার করবে না বলে দলটি মনে করে। আর সে কারণে ইসলামী আন্দোলন সংস্কারের আগে নির্বাচনের ইঙ্গিত দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের সংশয় দেখছে।


রোডম্যাপ প্রশ্নে দলগুলো এখন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের সঙ্গে সংলাপ আশা করছে। তারা বলছে, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। এরপর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করে রোডম্যাপ তৈরি করা হলে সব সন্দেহ–সংশয় দূর হবে।


আরও খবর

স্বস্তি ও উদ্বেগ দুটোই বিএনপিতে

শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫




জনপ্রিয় হয়ে ওঠায় দেশে বাড়ছে ছাদকৃষি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৫ | ৩৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি: তিহাসিকভাবে ব্যাবিলনের ঝুলন্ত উদ্যানের অস্তিত্ব না মিললেও ধারণা করা হয়, বিভিন্ন ছাদ ও বারান্দার সমন্বয়ে তৈরি ছিল সেটি৷ তবে ইতিহাসে ইরাকের মোসুল শহরের কাছেই আরেক ঝুলন্ত উদ্যানের নিদর্শন পাওয়া যায়৷

ঘনবসতিপূর্ণ শহর ঢাকা৷ ঢাকামুখী মানুষের স্রোত প্রতিদিন বাড়ছে৷ নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ৷ ফলে দিন দিন বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠেছে শহরটি৷ থাকার জায়গা সংকীর্ণ হয়ে যাচ্ছে৷ বাড়ির ছাদের চিলেকোঠাও বসবাসের জায়গা হয়ে উঠেছে৷ বসতি বাড়ার সাথে সাথে এখানকার পরিবেশ দিন দিন প্রতিকূলে যাচ্ছে মানুষের৷ প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে নগরবাসীর জীবন৷ বৃদ্ধি পাচ্ছে তাপমাত্রা৷ শহরের প্রায় ৬০ শতাংশ জায়গা দখল করে আছে ফাঁকা ছাদ, যা তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে বেশ সহায়ক৷ এমন পরিস্থিতিতে ঢাকাকে বসবাসের উপযোগী করতে হলে গাছ লাগানোর কোনো বিকল্প নেই৷ যেহেতু সমতলে গাছ লাগানোর জায়গা তেমন নেই, সেহেতু বাড়ির ছাদে কিংবা ব্যালকনিতে সুষ্ঠুভাবে বাগান করা হলে তাপমাত্রা অনেকাংশেই কমানো সম্ভব বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা৷

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি শহরের সব ছাদে পরিকল্পিতভাবে বাগান করা হয়, তাহলে তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমানো সম্ভব৷ ঢাকা শহরের প্রায় ৭০ শতাংশ আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকা, যা এই নগরীর তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে অনেকাংশে দায়ী৷

এক সমীক্ষায় দেখা যায়, ঢাকা শহরের প্রায় ৬০ শতাংশ জায়গায় কংক্রিটের কাঠামো আছে, যা মূলত শহরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করছে৷ অধিক জনসংখ্যা, অতিরিক্ত নগরায়ন, যানবাহন, জলাধার ও গাছপালা কমে যাওয়ার কারণে ঢাকার পরিবেশ দূষণ বিশ্বের অন্যান্য বড় শহরের তুলনায় অনেক বেশি৷ ১৯৮৯ সালে ঢাকা শহরের গাছপালার পরিমাণ ছিল ২৬ দশমিক ৬৮ শতাংশ, যা ধীরে ধীরে কমে ১৯৯৯ ও ২০০৯ সালে যথাক্রমে ১৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ ও ৮ দশমিক ৫৩ শতাংশে নেমে এসেছে৷ অন্যদিকে ১৯৮৯ সালে ঢাকা শহরের বাৎসরিক গড় তাপমাত্রা ছিল ১৮ থেকে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ২০০৯ সালে বেড়ে হয়েছে ২৪ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷

ঢাকায় মাটির অস্তিত্ব দিন দিন কমে আসছে৷ হারিয়ে যাচ্ছে খোলামেলা জায়গা৷ আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনে ছেয়ে গেছে শহর৷ ইট-কাঠের বদলে দ্রুতই বৃদ্ধি পাচ্ছে ইস্পাতের কাঠামো ও কাচে মোড়ানো বহুতল ভবন৷ কাচে মোড়ানো দরজা-জানালায় ও বাণিজ্যিক ভবনের টেকসই স্থাপনার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে হালকা, কিন্তু শক্তিশালী ধাতব পাত, ফাইবার ও গ্লাস৷ এতে তাপমাত্রা আরো বাড়ছে, কারণ, সূর্য থেকে তাপ ও আলো ধাতব ও কাচের কাঠামোর একটিতে পড়ে অপরটিতে প্রতিফলিত হয়৷ বারংবার প্রতিফলনের কারণে কিছু নির্দিষ্ট এলাকার তাপমাত্রা আশপাশের এলাকার তুলনায় সামান্য বেড়ে যায় এবং শহরজুড়ে তৈরি হয় অসংখ্য হিট আইল্যান্ড বা তাপ দ্বীপ৷

 

তবে এসব ভবনের ছাদে কিংবা এর কাঠামোতে বাগান করা গেলে বাগানের গাছ এ তাপ শুষে নেয় এবং গাছের দেহ থেকে যে পানি জলীয়বাষ্প আকারে প্রস্বেদন প্রক্রিয়ায় বেরিয়ে যায়, তা সেই স্থানের তাপমাত্রা কয়েক ডিগ্রি কমিয়ে আনে৷ অসংখ্য ছাদবাগান বা শহুরে গাছপালা এ প্রক্রিয়ায় শহরের উচ্চ তাপমাত্রাকে কমিয়ে আনে৷

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এ এফ এম জামাল উদ্দিন মনে করেন, ঢাকা শহরের চেয়ে গাজীপুরের তাপমাত্রা স্থানভেদে প্রায় ২ থেকে ৪ ডিগ্রি কম৷ রাস্তার পাশে বা ছাদের বাগানে বৃক্ষজাতীয় উদ্ভিদের সংখ্যা পর্যাপ্ত পরিমাণে বাড়ানো হলে তাপমাত্রা প্রায় দুই ডিগ্রি কমানো সম্ভব, যা বিশ্বের তাপমাত্রা কমানোর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অবদান রাখবে৷

ঢাকায় গাছপালা কম থাকায় অক্সিজেনের উৎপাদন কম এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বাড়ছে৷ এমন পরিস্থিতিতে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গাছ লাগানোর কোনো বিকল্প নেই৷

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ বলছিলেন, শহর অঞ্চলে ব্যাপকভাবে ছাদবাগান প্রকল্প সম্প্রসারণ করা সম্ভব হলে তা কার্বন-ডাই-অক্সাইডসহ বেশকিছু ক্ষতিকর উপাদানের মাত্রা কমিয়ে দূষণ কমাবে এবং পরিবেশের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করবে৷

অন্যদিকে গাছপালা গ্রীষ্মকালে তাপ গ্রহণ করে এবং শীতকালে তাপ বর্জন করে পরিবেশের তাপমাত্রার ভারসাম্য রক্ষায় ভূমিকা পালন করে৷ বেশি বেশি গাছ রোপণ করলে তা মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর জীবন ধারণের জন্য অপরিহার্য উপাদান অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়ায়৷ তাই সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, ছাদবাগান শুধু শখ থেকে নয়, পরিবেশের প্রয়োজনে বাগান করতে হবে৷ বিশেষ করে ঢাকা শহরের জন্য৷ এতে একদিকে যেমন পরিবেশ নির্মল থাকবে, অন্যদিকে পারিবারিক ফুল, ফল ও শাকসবজির চাহিদা মিটিয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখারও সুযোগ রয়েছে৷

ঢাকায় আগে ছাদবাগানের গুরুত্ব কম ছিল৷ তবে এখন প্রয়োজনের তাগিদে মানুষ ছাদবাগানের দিকে ঝুঁকছে৷ একটা সময় বাড়ির ছাদে কিংবা ব্যালকনিতে গাছ লাগানো শখ মনে করতেন অনেকে৷ শহরের অভিজাত এলাকাগুলোতে বাড়ির ছাদে, বাসার ব্যালকনিতে ফুল, ফলের গাছ দেখা যেতো৷ তবে খুশির খবর হলো, এখন ঢাকার আবাসিক কিংবা বাণিজ্যিক ভবনগুলোতে গাছ দেখা যাচ্ছে৷ দিন দিন এর পরিমাণ বাড়ছে৷ ছাদবাগান করতে উৎসাহিত করছে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান৷ বাড়ির মালিকদের ছাদবাগানে উৎসাহিত করতে ১০ শতাংশ হোল্ডিং ট্যাক্স ছাড় দিচ্ছে সরকার৷ যেসব বাড়ির মালিক ছাদে, বারান্দায়, বাসার সামনে বাগান করবেন তাঁরাই এ সুযোগ পাবেন৷ আর এ সুযোগ পেতে অনেকেই এখন ছাদে বাগান করছেন৷

অন্যদিকে প্রতিবছর ঢাকায় বৃক্ষ মেলার আয়োজন করা হয়৷ বৃক্ষপ্রেমীরা মেলায় আসেন, পছন্দের গাছ কেনেন৷ কয়েক লাখ চারা গাছ বেচাকেনা হয় এখানে৷ এর বেশিরভাগই স্থান পায় রাজধানীর বিভিন্ন বাড়ির ছাদ, ব্যালকনি কিংবা বাসার সামনের খোলা জায়গায়৷ এসব চিত্রই বলে দেয়, রাজধানীতে মানুষের মধ্যে গাছ লাগানোর আগ্রহ বেড়েছে৷ প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ বলছিলেন, ঢাকায় এখন ৬০ ভাগ বাড়ির ছাদে বাগান করা হয়েছে৷ আশার কথা হচ্ছে, রাজধানীর শতভাগ মানুষ এখন ছাদবাগানের বিষয়ে অবহিত৷

যাঁদের ছাদ নেই, ভাড়া বাসায় থাকেন, তাঁরাও কিন্তু বসে নেই৷ বাসার ভিতরে, দরজার সামনে, সিঁড়ির গোড়ায় কিংবা ব্যালকনি থাকলে সেখানে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগাচ্ছেন তাঁরা৷ ফুলের গাছের পাশাপাশি নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন প্রজাতির শাকসবজির চারা লাগানোর প্রতি মানুষের আগ্রহ বেশি৷ কারণ, মানুষ মনে করে, তাজা শাকসবজি খেতে চাইলে এর কোনো বিকল্প নেই৷ বাজারের শাকসবজি, ফলের প্রতি তাঁদের আস্থা কম৷


রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ফুটপাথের পাশে বেসরকারি নার্সারি রয়েছে৷ কর্মব্যস্ত মানুষ কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পথে এসব নার্সারি থেকে গাছ কিনছেন৷ সঠিক পরিচর্যার অভাবে অনেক সময় গাছ মরে যায়৷ তবে এখন এর পরিমাণ কমে গেছে৷ আগে মানুষ গাছ পরিচর্যার নিয়ম-কানুন জানতেন না৷ নার্সারিগুলোতে গাছের পাশাপাশি গাছ পরিচর্যার নানা উপকরণ, সার-কীটনাশক, বিভিন্ন নির্দেশনার বইও পাওয়া যায়৷

ছাদবাগানের সুনির্দিষ্ট মডেল এদেশে এখনও পর্যন্ত গড়ে ওঠেনি৷ পাকা বাড়ির খালি ছাদে অথবা ব্যালকনিতে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে ফুল, ফল, শাকসবজির বাগান গড়ে তোলাকে ছাদবাগান মনে করছেন সবাই৷ বাড়ির মালিক তাঁর পছন্দমতো আপন ভঙ্গিমায় সাজিয়ে তোলেন তাঁদের ছাদকে৷ তবে এলোমেলো ও অপরিকল্পিত ছাদবাগান কেবল সময়, অর্থ অপচয়ই করায় না, সেই সাথে ভবনেরও নানা ক্ষতি করে৷ তাই কিছু মৌলিক বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রেখে ছাদবাগান গড়ে তোলা প্রয়োজন৷ শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ব বিদ্যালয়ের এগ্রিকালচারাল বোটানি বিভাগের ছাদে বাগানের একটি নতুন মডেল তৈরি করা হয়েছে, যার নাম ‘নিবিড় ছাদবাগান'৷ সেখানে বাগানের মোট ক্ষেত্রফলের সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ রাস্তা, ১০ শতাংশ বসার জায়গা, ৪০ শতাংশ শাক-সবজি, ১০ শতাংশ ফুল ও শোভাবর্ধক গাছ, ২০ শতাংশ ফল, মসলা ও ওষুধি এবং ৫ শতাংশ অন্যান্য গাছের জন্য বিবেচনায় রেখে বাগানের মডেল প্রস্তুত করা হয়েছে৷ এ মডেলের বৈশিষ্ট্য অধিক জীববৈচিত্র্য, দৃশ্যত খুবই আকর্ষণীয়, বিনোদন ও খাদ্য উৎপাদনের জায়গা হিসেবে ব্যবহারযোগ্য৷

বাগানটি সম্পর্কে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এগ্রিকালচারাল বোটানি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহবুব ইসলাম বলেন, ‘‘বহির্বিশ্বের মানুষ অনেক আগে থেকেই ছাদে বাগান করে আসছে৷ বর্তমানে বাংলাদেশে, বিশেষ করে ঢাকায় অপরিকল্পিতভাবে অল্পসংখ্যক ছাদবাগান করা হলেও তা ব্যাপকতা লাভ করতে পারেনি৷ এজন্য আমাদের সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে৷ ছাদে বাগান করে শহরে গাছপালা বর্ধনের মাধ্যমে জীবের জন্য নিরাপদ পরিবেশ বজায় রাখা সম্ভব৷''


আরও খবর



শাহীন আফ্রিদি কি পুরো বিপিএল খেলবেন?

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ৬৯জন দেখেছেন

Image

খেলা ডেস্ক: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল এবার আরও শক্তিশালী স্কোয়াড গড়েছে। দেশি তারকাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে একাধিক বিদেশি খেলোয়াড়। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন পাকিস্তানের পেস তারকা শাহীন শাহ আফ্রিদি। তবে, বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তদের প্রশ্ন আফ্রিদি কি পুরো আসর খেলবেন? উত্তর অবশ্য ভক্তদের হতাশ করবে।



দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ এড়িয়ে বিপিএল খেলার সিদ্ধান্তের কারণে পাকিস্তানের ক্রিকেটে শাহীনকে ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) মূলত ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের কারণেই তাকে টেস্ট সিরিজে বিশ্রাম দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। তবে, শাহীন সেই সময়ে বিপিএল খেলতে আসায় দেশটিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।


পাকিস্তানের একটি সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, শাহীনকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বিপিএলে খেলার জন্য এনওসি দেওয়া হয়েছে। এই সময়ে বরিশালের পাঁচটি ম্যাচ খেলা হবে। ৯ জানুয়ারির পর বরিশালের পরবর্তী ম্যাচ রয়েছে ১৬ জানুয়ারি। ফলে, সিলেট পর্ব শেষে শাহীন খেলবেন কিনা, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।



তামিমের কারণেই বিপিএলে এসেছেন শাহীন আফ্রিদি

পাকিস্তানের নির্বাচক প্যানেল শাহীনের এই সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের জন্য প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার নির্দেশ সত্ত্বেও তিনি অংশ নেননি। বিষয়টি নির্বাচকদের কাছে অবাধ্য আচরণ বলে মনে হয়েছে। তবে, একই ম্যাচে বাবর আজমও খেলেননি, যদিও তিনি টেস্ট স্কোয়াডে রয়েছেন।


১৫ জানুয়ারির পর শাহীনের এনওসির মেয়াদ বাড়ানো হবে কিনা, তা সময়ই বলে দেবে। তবে আপাতত ফরচুন বরিশাল এই বিশ্বমানের পেসারের কাছ থেকে সর্বোচ্চ পারফরম্যান্স আশা করছে।


আরও খবর