Logo
আজঃ শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3
শিরোনাম

তাসকিন-সাকিবের ভাগ্য নির্ধারণ আজ

প্রকাশিত:সোমবার ২৩ অক্টোবর 20২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৭৩জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক : প্রত্যাশিত শুরুর পর টানা হার। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ পর্বটা এখন পর্যন্ত খুব একটা সুখকর নয়। চার ম্যাচে মাত্র ১টি জয়। রানরেটের কল্যাণে কোনভাবে টিকে আছে সেরাদের লড়াইয়ে। প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের অসুস্থতার খবর বেড়িয়েছে। আবার অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের সঙ্গে কোচিং প্যানেলের দূরত্ব বেড়ে যাওয়ার কথাও এসেছে। সবমিলিয়ে ভারতে মাঠ বা মাঠের বাইরের পরিস্থিতি কোনোটিই টাইগারদের পক্ষে নেই।

এরসঙ্গে যুক্ত হয়েছে চোট সমস্যা। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই কাঁধের চোটে পড়েছিলেন তাসকিন। চোট মূলত আগের, তবে ব্যাথা বেড়েছিল সেই ম্যাচে। বিশ্বকাপের প্রথম তিন ম্যাচে তাই কোটার দশ ওভার পূরণ করতেই পারেননি তাসকিন। আর সাকিব বাঁ পায়ের উরুর চোটে আক্রান্ত হয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে। দুজনেই মিস করেছেন ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে। 

অবশ্য টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনের কথায় কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তরা। তার বক্তব্য অনুযায়ী, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে পরের ম্যাচে সাকিব খেলতে পারেন। এমনকি তিনি জানান টাইগার অধিনায়ক ভারত ম্যাচও খেলতে চেয়েছিল। তবে বড় দূর্ঘটনার কথা চিন্তা করে তাকে খেলায়নি টিম ম্যানেজমেন্ট।

এক গণমাধ্যমকে সুজন বলেন, ‘সাকিব আগের ম্যাচেও খেলতে চেয়েছিল। মাঠে প্রস্তুত হয়ে গিয়েছিল সে। আশা করি, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলতে পারবে। ও তো খেলতেই চায়, আমরা খেলতে দিই না। কারণ বড় কিছু হয়ে গেলে বাকি ম্যাচগুলোতে পাওয়া যাবে না।’ 

কাঁধের চোটে ভুগছেন তাসকিন আহমেদ। যে কারণে ভারত ম্যাচে খেলা হয়নি এই পেসারেরও। আগামী ম্যাচে তাসকিন-সাকিবের খেলার সম্ভাবনা নিয়ে জানতে চাওয়া হলে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেন, ‘ফিজিও তো বলছে প্রতিদিন পরীক্ষা করা হচ্ছে। কাল (আজ) একটা মূল্যায়ন রিপোর্ট দেবে। তার ওপর ভিত্তি করে বাকি সিদ্ধান্ত।’


আরও খবর

৩১৭ রানে অলআউট নিউজিল্যান্ড

বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩




হঠাৎ ডিবি কার্যালয়ে শামীম ওসমান

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | ১২জন দেখেছেন

Image

রাজধানীর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কার্যালয়ে এসেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান।

২৯ নভেম্বর দুপুরে তিনি ডিবি কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করেন বলে ডিবির একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

জানা যায়, অপরিচিত নম্বর থেকে কল করে শামীম ওসমানকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। তবে ডিবিতে তিনি কী কারণে এসেছেন এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি।

গত ২০ নভেম্বর বিকেলে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পঞ্চবটী এলাকায় থানা আওয়ামী লীগের শান্তি মিছিলে অংশ নিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছিলেন, ‘গতকাল রাতে একটা অপরিচিত নম্বর থেকে আমাকে ফোন করে বলেছে, তোর মৃত্যু সামনে চলে আসছে।’

হত্যার হুমকির বিষয়ে শামীম ওসমান সেদিন বলেছিলেন, ‘কাদের মৃত্যুর ভয় দেখান? মৃত্যুর ভয় আমাদের দেখাবেন না। ১৬ জুন নারায়ণগঞ্জে ২০ জন মানুষ বোমা বিস্ফোরণে মারা গেছে। আমি সেদিন বেঁচে গেছি। আমি মনে করি, আমি সেদিনই মারা গেছি। মৃত্যুর ভয় তাদের দেখাবেন যারা অসৎ পথে চলে। যারা আমাদের হুমকি-ধামকি দেয়, তাদের বলতে চাই আমরা কারও করুণা ভিক্ষায় স্বাধীনতা পাইনি। এটি পেতে অনেক ত্যাগ করতে হয়েছে। আমাদের পূর্ব পুরুষরা লড়াই করে এ দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। তাদের পরবর্তী প্রজন্ম আমাদের মৃত্যুর ভয় দেখান? আমরা যারা পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পরে রাজনীতি করতে আসছি, আমরা তৈরি হয়েছি মৃত্যুকে মারার জন্য। সেই মৃত্যুর ভয় আমাদের দেখাবেন না।’

প্রসঙ্গত, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন থেকে আবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন।


আরও খবর



আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়ার বিপক্ষে দল ঘোষণা ব্রাজিলের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | ৫৩জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক : কাতার বিশ্বকাপের পর থেকেই সময়টা ভালো কাটছে না ব্রাজিলের। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ড্রয়ের পর উরুগুয়ের বিপক্ষে ২-০ গোলে হারতে হয়েছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। এবার চলতি মাসে কলম্বিয়া ও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার বিপক্ষে মাঠে নামতে যাচ্ছে সেলেসাওরা। কিন্তু তাদের বড় দুশ্চিন্তার নাম ফুটবলারদের চোট। যার প্রভাব দেখা গেল ঘোষিত স্কোয়াডেও।

সোমবার (৬ নভেম্বর) রাতে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে কলম্বিয়া ও আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচের জন্য ২৪ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে ব্রাজিলের কোচ ফার্নান্দো দিনিজ। ইনজুরির কারণে নেইমার ও ক্যাসেমিরো না থাকলেও দলে আছে বেশ কিছু চমক। প্রথমবারের মতো দলে ডাক পেয়েছেন পাঁচ ফুটবলার। তারা হচ্ছেন, ডগলাস লুইস, পেপে, জোয়াও পেদ্রো, এন্দ্রিক ও পাওলিনিয়ো।

হাঁটুর লিগামেন্ট ছিড়ে যাওয়ার সাত মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে নেইমার জুনিয়রকে। তাই লম্বা সময় তাকে মাঠের বাইরে থাকতে হবে। নেইমারের পর চোটের মিছিলে কাসেমিরো। গত ২ নভেম্বর নিউক্যাসল ইউনাইটেডের কাছে হেরে লিগ কাপ থেকে বিদায় নিয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এদিনই চোট পেয়ে কাসেমিরো ছিটকে গেছেন অনির্দিষ্টকালীন সময়ের জন্য।

আগামী ১৬ নভেম্বর কলম্বিয়ার ঘরের মাঠে আর ২২ নভেম্বর আর্জেন্টিনার বিপক্ষে মারকানা স্টেডিয়ামে খেলবে ব্রাজিল। বড় দুই তারকাকে ছাড়া এ দুটি ম্যাচ কতটা কঠিন হবে সেটা আঁচ করতে পারছেন ব্রাজিল কোচ দিনিজ।

তিনি বলেন, ‘দুটো ম্যাচই কঠিন। আর্জেন্টিনা গত বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন। তাদের দলে ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড় (লিওনেল মেসি) এবং অন্যান্য সেরা খেলোয়াড়রা আছে। কয়েক যুগ ধরে কলম্বিয়াও বিশ্ব ফুটবলে নিজেদের শক্তিমত্তা দেখাচ্ছে। তাদের খেলোয়াড়রা ইউরোপের সেরা লিগগুলোতে খেলে। তাছাড়া তাদের দেশে গিয়ে খেলাটা বেশ কঠিন হবে।’

বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এখন পর্যন্ত ৪ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট ব্রাজিলের। সমান ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আর্জেন্টিনা।

ব্রাজিল স্কোয়াড:

গোলরক্ষক: অ্যালিসন বেকার, এডার্সন ও লুকাস পেরি
ডিফেন্ডার: ব্রেমার, গ্যাব্রিয়েল ম্যাগালেস,মার্কুইনস, নিনো, এমার্সন, রেনান রোদি ও কার্লোস আগুস্তো
মিডফিল্ডার: আন্দ্রে, ব্রুনো গিমারেস, ডগলাস লুইজ, জোয়েলিন্টন, রাফায়েল ভেইগা ও রদ্রিগো
ফরোয়ার্ড: এনড্রিক, গ্যাব্রিয়েল জেসুস, গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেল্লি, ভিনিসিউস জুনিয়র, জোয়াও পেদ্রো, পলিনিও, পেপে ও রাফিনিয়া।


আরও খবর

৩১৭ রানে অলআউট নিউজিল্যান্ড

বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩




নামাজে বিশুদ্ধ কোরআন তেলাওয়াতের গুরুত্ব অপরিসীম

প্রকাশিত:বুধবার ২২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | ১৯জন দেখেছেন

Image

ইসলামিক ডেস্ক : পবিত্র কোরআন মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত অনন্য এক নিয়ামত। কোরআন তেলাওয়াতকারী মূলত আল্লাহ তায়ালার সঙ্গেই কথা বলে থাকেন। নামাজে কোরআন তেলাওয়াত অপরিহার্য বা ফরজ। সুতরাং বিশুদ্ধভাবে কোরআন তেলাওয়াত করাও অত্যাবশ্যক। কেরাত সম্পর্কীয় মাসায়েল অবগত হওয়া প্রত্যেক মুসলমানের অপরিহার্য দায়িত্ব। ফিকাহ তথা মাসয়ালার কিতাবে নামাজে বিশুদ্ধ কেরাত সম্পর্কিত মাসায়েল নিম্নরূপ বর্ণনা করা হয়েছে। ১. আরবি অক্ষরগুলো বিশুদ্ধভাবে উচ্চারণ করতে হবে। বিভিন্ন অক্ষরের উচ্চারণের পার্থক্য নিরূপণ করে যেটি যেভাবে উচ্চারণ করতে হয় ঠিক সেভাবেই উচ্চারণ করতে হবে। যথার্থ এবং বিশুদ্ধ উচ্চারণের জন্য সব সময় প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। এক্ষেত্রে ভুল পড়লে গুনাহগার হবে। এমনকি নামাজ নষ্টও হয়ে যেতে পারে।

২. ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাতে সুরা ফাতেহার পর কোরআনের যে কোনো সুরা অথবা বড় এক আয়াত বা ছোট তিনটি আয়াত পড়া ওয়াজিব। তৃতীয় ও চতুর্থ রাকাতে শুধু সুরা ফাতেহা পড়তে হবে। বিতর, সুন্নত ও নফল নামাজের সব রাকাতেই সুরা ফাতেহার সঙ্গে অন্য কোনো সুরা বা আয়াত মিলিয়ে পড়তে হবে। ৩. নামাজের রাকাতে সুরা ফাতিহা পড়ার পর অন্য কোনো সুরা বা আয়াত মিলানো ওয়াজিব। এক্ষেত্রে কেউ প্রথমে সুরা বা আয়াত পড়ার পর সুরা ফাতিহা পড়লে ওয়াজিব আদায় হবে না। ৪. ফজর, মাগরিব, এশা, জুমা ও দুই ঈদের নামাজে কেরাত উচ্চৈঃস্বরে পড়তে হবে, ইমাম ভুলে আওয়াজ না করে কিরাত পড়লে সিজদা সাহু করতে হবে। ইচ্ছাকৃত নীরবে নামাজ পড়লে নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবে।

৫. জোহর ও আসর নামাজে ইমামকে নীরবে কেরাত পড়তে হয়। একাকী বিতর নামাজ আদায়কারীর জন্য নীরবে কেরাত পড়া ওয়াজিব। ৬. ফজর, মাগরিব ও এশার নামাজ কোনো কারণবশত একাকী আদায় করলেও উচ্চৈঃস্বরে কেরাত পড়া উত্তম। ৭. জামাতের সঙ্গে ইমাম ফজর, মাগরিব ও এশার নামাজ কাজা আদায় করলেও উচ্চৈঃস্বরে কিরাত পড়া ওয়াজিব। ৮. একই সুরা প্রথম ও দ্বিতীয় রাকাতে না পড়াই উত্তম। ৯. আস্তে করে কেরাত পড়ার নামাজেও কেরাত মুখে উচ্চারণ করে পড়তে হয়। একেবারে মুখ বন্ধ করে শুধু মনে মনে পড়া জায়েজ নয়।

১০. নামাজে কেরাত শেষ হওয়ার আগেই রুকুতে ঝুঁকে গিয়ে সেখানেও কেরাত পড়তে থাকা মাকরুহ। ১১. ফরজ নামাজে ইচ্ছাকৃত কোরআনের ক্রমধারার বিপরীত কেরাত পড়াও মাকরুহ, তবে ভুলে পড়লে তা মাকরুহ হবে না। ১২. ফরজ নামাজে একই সুরার অনেক আয়াত একত্রে পড়ার পর মাঝখানে দুই আয়াতের কম ছেড়ে দিয়ে দ্বিতীয় রাকাতে সামনে থেকে পড়া মাকরুহ। এমনিভাবে দুই সুরা এভাবে পড়ে মাঝখানে তিন আয়াত সংবলিত সুরা ছেড়ে দিয়ে পরবর্তী সুরা পড়াও মাকরুহ। যেমন প্রথম রাকাতে সুরা মাউন এবং দ্বিতীয় রাকাতে সুরা কাফিরুন পড়ে মাঝখানে সুরা কাউসার ছেড়ে দেয়, তাহলে মাকরুহ হবে। এ হুকুম ফরজ নামাজের জন্য, নফল নামাজের জন্য প্রযোজ্য নয়।

১৩. ফরজ নামাজের এক রাকাতে মাঝখানে এক বা একাধিক আয়াত ছেড়ে দ্বিতীয় রাকাত পড়া মাকরুহ। নফল নামাজের ক্ষেত্রে এ হুকুম প্রযোজ্য নয়। ১৪. কোনো ব্যক্তি নতুন মুসলমান হয়ে সবেমাত্র নামাজ আরম্ভ করেছে, কিন্তু কোরআনের কোনো সুরা বা আয়াত তার মুখস্থ নেই, এমতাবস্থায় অনতিবিলম্বে সুরা বা আয়াত মুখস্থ করতে হবে। মুখস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত নামাজে শুধু সুবহানাল্লাহ অথবা আলহামদুলিল্লাহ ইত্যাদি পড়ে নামাজ আদায় করতে হবে। তবে কোরআনের সুরা বা আয়াত মুখস্থ করার ব্যাপারে অলসতা বা অবহেলা করলে গুনাহগার হবে। (ফতোয়ায়ে আলমগিরি পৃষ্ঠা ১৪৯ থেকে ১৫০)

প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদুর রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন যে ব্যক্তি কোরআন শরিফ তেলাওয়াত করবে, তার প্রতিটি অক্ষরে অজুবিহীন অবস্থায় ১০ নেকি, অজু অবস্থায় ২০ নেকি, নামাজে বসে পড়লে ২৫ নেকি এবং দাঁড়িয়ে পড়লে ৫০ নেকি প্রদান করা হবে। নামাজে বিশুদ্ধ কোরআন শরিফ তেলাওয়াত করা জরুরি। কেননা লাহনে জলি তথা মারাত্মক ভুল পড়ার দ্বারা নামাজ নষ্ট হয়ে যায় এবং লাহনে খফি তথা অসুন্দর পড়ার দ্বারা নামাজ মাকরুহ হয়ে যায়। লাহনেজলি তথা মারাত্মক ভুল যেমন: ১. ভিন্ন মাখরাজের ভুল উচ্চারণ। যদিও শুনতে কাছাকাছি মনে হয়। ২. হরকত তথা জের, জবর ও পেশের পরিবর্তন। যার দ্বারা অর্থের সম্পূর্ণ পরিবর্তন হয়ে যায়, এমনকি কুফরিও হয়ে যায়। ৩. মাদের হরফকে টেনে না পড়া। লাহনে খফি তথা অসুন্দর পড়া। যেমন: গুন্নাহ, ঈদগাম, ইজহার, ইখফা ও ক্ললকলা ইত্যাদি যথাযথ নিয়মে আদায় না করা। এর দ্বারা অর্থ ঠিক থাকে কিন্তু তিলাওয়াত অসুন্দর হয়। কেননা আল্লাহ তায়ালা বলেন, তোমরা কোরআন শরিফ বিশুদ্ধভাবে তিলাওয়াত কর। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে নামাজের ভিতরে ও বাহিরে বিশুদ্ধভাবে কোরআন শরিফ তেলাওয়াত করার তৌফিক দান করুন, আমিন। 


আরও খবর



১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে স্কুলে স্কুলে ভর্তি

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ১৪জন দেখেছেন

Image

২০২৪ সালের জন্য প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সরকারি-বেসরকারি স্কুল ভর্তিতে ডিজিটাল লটারিতে নির্বাচিতরা ২৯ নভেম্বর থেকে ভর্তি হতে পারছেন।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) বলছে, স্কুল গুলোকে পাঁচ দিনের মধ্যে মেধা তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের ভর্তি শেষ করতে হবে। এরপর প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি করাতে হবে চার দিনের মধ্যে। আর দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি করাতে স্কুল গুলো সময় পাবে তিন দিন। তবে এই তিন তালিকার শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য স্কুল গুলোর শেষ সময় ১৪ ডিসেম্বর।

এ বিষয়ে মাউশি পরিচালক (বিদ্যালয়) বেলাল হোসাইন বলেন, মেধাতালিকার পাশাপাশি প্রথম ও দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকা প্রকাশ করেছি। স্কুল গুলো বুধবার থেকে ভর্তি শুরু করতে পারবে। ভর্তি শেষ করতে সময় পাবে পাঁচ দিন। এরপর অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি শুরু। কোনো ভাবেই ১৪ ডিসেম্বরের পরে ভর্তি করানো যাবে না।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে লটারি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এদিন দুপুর ২টার দিকে লটারির ফল আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ করা হয়।

ভর্তির জন্য যেসব কাগজপত্র লাগবে
নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র যাচাই কালীন শিক্ষার্থীর জন্মসনদের মূল কপি, জন্মসনদের অনলাইন কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অনলাইনে যাচাই করতে হবে)। পিতামাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) মূল কপি ভালো করে দেখতে হবে।

যেসব কারণে বাদ পড়বেন নির্বাচিতরা
ভর্তির সময়ে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে যাচাই করার নির্দেশনা দিয়েছে মাউশি। কেউ যদি মিথ্যা তথ্য দিয়ে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে থাকলে (যাচাই সাপেক্ষে) তাকে ভর্তি করা যাবে না।

কোটার ক্ষেত্রে যেসব নিয়ম প্রযোজ্য
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ জারি করা ভর্তি নীতিমালায় যে সব কোটা সংরক্ষিত রয়েছে, ভর্তির সময়ে ওইসব কোটায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কোটা সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র যথাযথ ভাবে যাচাই করতে হবে। শুধু বীর মুক্তিযোদ্ধা কোটা ছাড়া অন্য কোটায় শূন্য আসন পূরণ না হলে সাধারণ নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে অপেক্ষমাণ তালিকার ক্রমানুসারে শূন্য আসন পূরণ করতে হবে। কোনো ভাবেই আসন শূন্য রাখা যাবে না।

মাউশির নির্দেশনা অনুসরণ না করে বিধিবহির্ভূত ভাবে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি করা হলে এবং পরে তা প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান দায়ী থাকবেন বলেও নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়।


আরও খবর



জিম্মিদের মুক্তিতে যে প্রস্তাব দিলো হামাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৩৯জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরায়েলি বাহিনী যদি তাদের অভিযানে ৫ দিন বিরতি দিতে রাজি হয়, তাহলে নিজেদের হাতে থাকা জিম্মিদের মধ্যে ৭০ জনকে মুক্তি দেবে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাস। গোষ্ঠীটির সামরিক শাখা আল কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবেইদা এই তথ্য জানিয়েছেন।

সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে এক অডিও বার্তায় উবেইদা বলেন, ‘কাতারি ভাইদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে যদি শত্রুরা ৫ দিনের যুদ্ধবিরতি দেয়— সেক্ষেত্রে ৭০ জন ইসরায়েলিকে আমরা মুক্তি দেবো।’

‘বিরতি বলতে আমরা সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি বুঝিয়েছি; আর এই বিরতির সময় অবশ্যই গাজা উপত্যকার সব এলাকায় ত্রাণ মানবিক সহায়তা প্রদান করতে হবে।’

বস্তুত আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি কিংবা মানবিক বিরতি আহ্বানের বিষয়টি গত দু’সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে আলোচনায় ‍ছিল। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, জিম্মিদের মুক্তি না দিলে গাজা উপত্যকায় কোনো মানবিক বিরতি ঘোষণা করবে না প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। অন্যদিকে হামাস বলে আসছিল, বিরতি ঘোষণা না করা হলে জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া সম্ভব নয়।

গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। এদিন ভোরের দিকে সীমান্ত বেড়া ভেঙে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রবেশ করে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে শত শত মানুষকে হত্যার পাশাপাশি ২৪২ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিকদের ধরে নিয়ে যায় যোদ্ধারা।

এই হামলার জবাবে ওই দিন থেকেই গাজা উপত্যকায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। উপত্যকার বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় গাজা ও মিসরের সীমান্তপথ রাফাহ ক্রসিং, যা গাজা উপত্যকার বাসিন্দাদের কাছে ‘লাইফলাইন’ নামে পরিচিত।

গত ৩৭ দিন ধরে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর টানা বোমা বর্ষণে কার্যত ধ্বংস্তুপে পরিণত হয়েছে মাত্র ৩৬৫ কিলোমিটার আয়তনের ভূখণ্ড গাজা। উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী, ইসরায়েলি অভিযানে গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১১ হাজার।

যুদ্ধের শুরু থেকেই মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করছে কাতার। হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতারাও কাতারে বসবাস করেন।

গত অক্টোবরের শেষ দিকে ৭-৮ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। এক্ষেত্রেও কাতারের প্রভাব ছিল।


আরও খবর