Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ : শ্বাসরুদ্ধকর দুর্দান্ত ম্যাচে শেষ হাসি ভারতের

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ | ৩৪১জন দেখেছেন

Image

23 ডেস্ক:

              টার্গেট ছিল মাত্র ১২০ রানের। তাই অনেকে মনে করেছিল অনায়াসেই জয় পাবে পাকিস্তান। তবে ভারতীয় বোলারদের আঁটসাঁট বোলিংয়ে এই অল্প রানের মধ্যে পাকিস্তানকে আটকে দিয়েছে রোহিত শর্মার দল।

দুর্দান্ত এক ম্যাচে পাকিস্তানকে ৬ রানে হারিয়ে চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে ভারত।

রোববার (৯ জুন) নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠান পাক অধিনায়ক বাবর আজম। ব্যাট করতে নেমে পাক পেসারদের বোলিং তোপে ১৯ ওভারে মাত্র ১১৯ রানে গুটিয়ে যায় ভারত।

দলের পক্ষে রিশভ পন্থ করেন সর্বোচ্চ ৩১ বলে ৪২ রান। এছাড়া অক্ষর প্যাটেল করেন ১৮ বলে ২০ রান। পাকিস্তানের পক্ষে নাসিম শাহ ও হ্যারিস রউফ নেন ৩টি করে উইকেট। এছাড়া আমির নিয়েছেন ২টি উইকেট।

১২০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে সাবধানী শুরু করেন দুই পাক ওপেনার। বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। তবে দলীয় ২৬ রানে ১০ বলে ১৩ রান করে আউট হন বাবর।

পাক অধিনায়কের বিদায়ের পর ক্রিজে আসা উসমানকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন। ধীরগতিতে রানের চাকা সচল রাখে এই দুই ব্যাটার। তবে দলীয় ৫৭ রানে উসমানকে আউট করে ভারতকে ম্যাচে ফেরার স্বপ্ন দেখান অক্ষর প্যাটেল। ১৫ বলে ১৩ রান করে সাজঘরে ফিরে যান উসমান।

এরপর ২৯ রানের মধ্যে পাকিস্তানের তিন উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ফেরে ভারত। ফকর জামান ৮ বলে ১৩, রিজওয়ান ৪৪ বলে ৩১ ও শাদাব খান ৭ বলে ৪ রান করে আউট হন।

এরপর ইফতিখার আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই চলিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন ইমাদ ওয়াসিম। তবে দলীয় ১০২ রানে ৯ বলে ৫ রান করে আউট হন ইফতিখার।

শেষ দিকে ভারতীয় বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান করতে সক্ষম হয় পাকিস্তান। ৬ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ভারত। ভারতের পক্ষে জসপ্রীত বুমরাহ ৩টি ও হার্দিক পান্ডিয়া নেন ২টি উইকেট।


আরও খবর



ব্যবসায়ীদের আতঙ্ক ও উদ্বেগ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ৩০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশে শিল্প খাতের সুদিন যেন ফিরছেই না। দিন যতই যাচ্ছে ততই কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়ছেন শিল্পোদ্যোক্তারা। দীর্ঘদিন ধরে ডলার সংকট, সুদের উচ্চহার এবং শ্রমিক অসন্তোষসহ বিভিন্ন কারণে ব্যবসা করতে হিমশিম খাচ্ছেন। অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে শিল্পমালিকরা কঠিন সময় পার করছেন। ব্যবসা ধরে রাখতে যখন ব্যবসায়ীরা মরিয়া ঠিক তখনই ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’র মতো শিল্পে গ্যাসের দাম নতুন করে ১৫২ শতাংশ বা আড়াই গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।


শিল্পমালিকরা বহুদিন থেকেই অভিযোগ জানিয়ে আসছেন, তাঁরা বাড়তি দাম দিয়েও কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস পাচ্ছেন না। এ অবস্থায় নতুন করে আবারও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে ব্যবসায়ীরা উদ্বেগ ও আতঙ্কের মধ্যে আছেন। অনেকে ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার চিন্তাও করছেন। কেউ কেউ বলছেন, শিল্প স্থাপন করে বিপদে পড়ার চেয়ে ট্রেডিং ব্যবসা অনেক ভালো। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জ্বালানি খাতে এত উচ্চমূল্যে নতুন শিল্পোদ্যোক্তারা বাজারে রপ্তানি করতে পারবেন কি না তা দেখার বিষয়। এটা নতুনদের জন্য চ্যালেঞ্জ।


শিল্পোদ্যোক্তারা গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, যে মাত্রায় শিল্পে এবার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে তা বেশ বড়। এর ফলে মূল্যস্ফীতির যে চাপ তা আরও বাড়বে। শিল্প খাতে কোনো উদ্যোক্তা নতুন করে গ্যাস সংযোগ নিয়ে কারখানা স্থাপনের কথা চিন্তা করবেন না। এ অবস্থায় শিল্প টিকিয়ে রাখার প্রশ্নই আসে না। নতুন উদ্যোক্তারা কোনোভাবে প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকতে পারবেন না। এতে অবশ্যই শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করার প্রস্তাব যদি বাস্তবায়ন করা হয় তাহলে এর মাধ্যমে নীতিনির্ধারকরা এই বার্তা দেবেন যে, বাংলাদেশে আগামীতে তাঁরা আর ম্যানুফ্যাকচারিং খাত চাচ্ছেন না।


গত বছরের আগস্টের পর রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে দেশজুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা, অস্থিতিশীল বাজার, সুদহার বৃদ্ধি, ঋণপত্র খোলার জটিলতা, ডলার সংকট এবং শ্রমিক অসন্তোষের কারণে দেশের অসংখ্য কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। যেসব কারখানা এখনো লড়াই করে টিকে আছে সেগুলোও ধুঁকে ধুঁকে চলছে। ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন বহু শিল্পমালিক। এ অবস্থায় নতুন করে শিল্পে গ্যাসের দাম আড়াই গুণ বৃদ্ধির প্রস্তাব দেশীয় শিল্প খাতের জন্য ‘অশনিসংকেত’ বলে এ খাত সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। মূলত নতুন করে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করা হলে ভারী শিল্প সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।


এর পাশাপাশি ক্ষুদ্র শিল্পগুলোও ক্ষতির মুখে পড়বে। এ ধরনের এসব শিল্পে বিনিয়োগকারীরা বড় ধরনের বিনিয়োগ করেন। এ শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হলে বিনিয়োগকারীদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। আর শিল্পকারখানা বন্ধ হলে চাকরি হারাবেন বহু শ্রমিক ও শিল্প খাতসংশ্লিষ্ট মানুষ। শিল্পে নতুন বিনিয়োগ আসবে না, হবে না নতুন কর্মসংস্থান। বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও নিরুৎসাহিত হবেন। এর প্রভাব পড়বে রপ্তানি শিল্পে। সব মিলিয়ে শিল্পের প্রসার বাধাগ্রস্ত হবে।


ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও শিল্পোদ্যোক্তারা এখন পর্যন্ত তা পাননি। এজন্য অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। এখন যদি নতুন করে আবার গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করা হয় তাহলে গ্যাসনির্ভর কারখানাগুলো বন্ধ করে দিতে হবে। ব্যাংক ঋণ এখন সাড়ে ১৪ থেকে ১৬ শতাংশ হয়েছে। গ্যাসের দাম আবার বাড়ালে শিল্প খাত ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে যাবে। শিল্প খাতের লাখ লাখ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়বেন।


সরকারের জ্বালানি বিভাগ এরই মধ্যে শিল্পে গ্যাসের নতুন দাম বৃদ্ধির জন্য নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। প্রস্তাবটি চূড়ান্ত করার জন্য এখন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি) রয়েছে। প্রস্তাব অনুযায়ী নতুন কারখানার জন্য গ্যাসের দাম হবে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এনএনজি) আমদানি ব্যয়ের সমান। এতে নতুন কারখানাগুলোকে বর্তমান দরের চেয়ে আড়াই গুণ বেশি দামে গ্যাস কিনতে হবে। এমনকি পুরনো শিল্পকারখানাগুলোতে লোড বাড়াতে চাইলেও উদ্যোক্তাদের গুনতে হবে আড়াই গুণ বেশি মূল্য।


বর্তমানে শিল্পকারখানার গ্রাহকদের প্রতি ঘনমিটার গ্যাস কিনতে ৩০ টাকা এবং ক্যাপটিভ পাওয়ারে (শিল্পে ব্যবহৃত নিজস্ব বিদ্যুৎ) ৩০ টাকা ৭৫ পয়সা দিতে হয়। সম্প্রতি বিইআরসিতে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা)-এর পাঠানো প্রস্তাবে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ৭৫ টাকা ৭২ পয়সা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে নতুন সংযোগের ক্ষেত্রে পুরো গ্যাস বিল হবে নতুন দামে। তবে প্রস্তাবে পুরনো শিল্পোদ্যোক্তারা কিছুটা ছাড় পাবেন।


বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমরা মনে করি না প্রতি ঘনমিটারে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা দাম দিয়ে দেশে কেউ শিল্পায়ন করবে বা গ্যাস ব্যবহার করবে। এর আগে সরকার ১২ টাকা থেকে ৩০ টাকা করেছিল এবং ক্যাপটিভে সাড়ে ৩১ টাকা করেছে। এটি ছিল অস্বাভাবিক বৃদ্ধি। সে সময় কথা ছিল আমাদের নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ করা হবে। কিন্তু আমরা কখনোই সেটি পাইনি। বরং গ্যাসের দাম বৃদ্ধির পর থেকে এটি খারাপের দিকে গেছে। নতুন যে পলিসি সরকার করতে যাচ্ছে এতটুকু বলতে পারি যে, আমাদের খাতে কোনো উদ্যোক্তা নতুন করে গ্যাস সংযোগ নিয়ে কারখানা স্থাপনের কথা চিন্তা করবে না। আমাদের এখন যে ৩০/৩১ টাকা গ্যাস বিল দিতে হয় এটিই আমাদের দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে এই দাম ৭০/৭৫ টাকা হলে শিল্প টিকিয়ে রাখার প্রশ্নই আসে না।


এতে অবশ্যই শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, গ্যাসের দাম স্বল্পমূল্য হওয়ার কারণেই বাংলাদেশের ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টর গড়ে উঠেছিল। অন্য দেশের সঙ্গে তুলনা করলে আমাদের শিল্পকারখানার অবকাঠোতেই ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বিনিয়োগ চলে যায়। ব্যাংক ঋণও খুব বেশি। এমনিতেই এখানে জ্বালানির মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারের থেকে বেশি। এর মধ্যে গ্যাসের সরবরাহ নেই। যেসব কারখানা এখন আছে সেগুলোর টিকে থাকাই খুব কষ্টের। এ কারখানাগুলো বিশাল ঝুঁকির মধ্যে আছে। এজন্য বেসরকারি খাতে ক্রেডিট গ্রোথ দিনকে দিন ডাউন হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় নতুন করে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত, বিশেষ করে নতুন সংযোগ যারা নেবে তাদের ৭৫ টাকা পড়ে যাবে। আর পুরনো যারা লোড বৃদ্ধি করবে তাদের ৫০ শতাংশ বাড়বে।


এর অর্থ হচ্ছে সরকারকে যারা শিল্পে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির পরামর্শ দিয়েছে তাদের উদ্দেশ্য শিল্পকারখানা যাতে আর উন্নতি না করে। একই সঙ্গে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে পলিসি মেকাররা এ বার্তা দিয়ে দেবেন যে, বাংলাদেশে আগামীতে ম্যানুফ্যাকচারিং খাত আর চাচ্ছেন না। বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমইএ) সভাপতি ও মুন্নু সিরামিকস ইন্ডাস্ট্রিজের ভাইস চেয়ারম্যান মইনুল ইসলাম গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সিরামিকস খাতে গ্যাস অন্যতম একটি উপাদান। এর দাম আরও বাড়ানো হলে এ খাতে আমি আর কোনো ভবিষ্যৎ দেখি না।


বিইআরসির সদস্য (গ্যাস) মো. মিজানুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমরা শিল্পে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির জন্য প্রস্তাব পেয়েছি। এ নিয়ে বৈঠক হয়েছে। তবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সময় লাগবে। এ নিয়ে টেকনিক্যাল কমিটিসহ বিতরণ কমিটিগুলোর সঙ্গে বৈঠক হবে, শুনানি হবে। এর মধ্যে বিতরণ কোম্পানিগুলো থেকে প্রস্তাবও আসতে হবে।


পেট্রোবাংলার হিসাবে, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে গত অক্টোবর পর্যন্ত শিল্পে অনুমোদিত লোডের চেয়ে ১৪ কোটি ৭৮ লাখ ঘনমিটার গ্যাস বাড়তি ব্যবহার করা হয়েছে। আর ক্যাপটিভে ৫ কোটি ৭৬ লাখ ঘনমিটার গ্যাস বাড়তি ব্যবহার করা হয়েছে। আর প্রস্তাব অনুসারে পুরনো কারখানায় বাড়তি এমন ব্যবহারের ক্ষেত্রে গ্যাসের বিল হবে নতুন দামে। পেট্রোবাংলা দেশীয় কূপের পাশাপাশি এলএনজি আমদানি করেও জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ করে। দেশীয় কূপ থেকে পাওয়া প্রতি ঘনমিটারে তাদের গড়ে খরচ হয় ৬ টাকা ৭ পয়সা। কিন্তু এলএনজি আমদানি করতে খরচ হচ্ছে ৭৫ টাকার বেশি। এতে লোকসানে আছে সংস্থাটি। অন্তর্বর্তী সরকার এ ভর্তুকি দিতে রাজি নয়। তাই এখন এলএনজি আমদানির খরচ পুরোটাই শিল্পের ওপর চাপাতে চাইছে পেট্রোবাংলা।


বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ৭৫ টাকা করে গ্যাস কিনে ৩০ টাকায় দেওয়া সম্ভব নয়। আর পুরনো শিল্প গ্রাহকদের ওপর এটি কার্যকর হবে না। আমাদের এরই মধ্যে ২০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। এটি আর বাড়াতে চাই না। আমরা শিল্পে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছি। বিইআরসি কর্তৃপক্ষ এটি যাচাইবাছাই করে তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।


বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, যে মাত্রায় শিল্পে এবার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে তা বেশ বড়। এতে গ্যাসনির্ভর কারখানাগুলো যেমন গার্মেন্ট কারখানা, তাদের উৎপাদন খরচের ১০ শতাংশ পর্যন্ত গ্যাসের খরচে যায়। নতুন এ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তা যদি কোনো পরিবর্তন ছাড়া বাস্তবায়ন করা হয় তাহলে উৎপাদন খরচের ওপর অবশ্যই ধাক্কা আসবে। এর ফলে মূল্যস্ফীতির যে চাপ তা আরও বাড়বে। এটি অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। পেট্রোবাংলার বিরুদ্ধে গ্যাসের লিকেজ থেকে শুরু করে অনেক অভিযোগ আছে। অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগও দেওয়া হয়। এর বিল তো সরকার পাচ্ছে না। এসব জায়গায় তাদের জবাবদিহিতাও প্রয়োজন।


জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ম. তামিম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ানো নিশ্চিতভাবে গ্যাসভিত্তিক নতুন শিল্পোদ্যোক্তাদের অন্তরায় হবে। নতুন উদ্যোক্তারা কোনোভাবে প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকতে পারবে না। কারণ তাদের খরচ বেশি। এটা বাজারে বিরাট পার্থক্য তৈরি করবে। বর্তমানে শিল্পকারখানাগুলো যারা অতিরিক্ত গ্যাস ব্যবহার করবে তাদেরও নতুন মূল্যে টাকা দিতে হবে। তার মানে দাম বাড়ানোর প্রভাব পুরনোদের ওপরও পড়বে। আর নতুন সংযোগ নেওয়া শিল্পগুলোর ওপর অবশ্যই প্রভাব পড়বে। জ্বালানি খাতে এত উচ্চমূল্যে নতুন শিল্পোদ্যোক্তারা বাজারে রপ্তানি করতে পারবেন কি না তা দেখার বিষয়। এটা নতুনদের জন্য চ্যালেঞ্জ।


এর আগে ২০২৩ সালের ১৮ জানুয়ারি নির্বাহী আদেশে শিল্পে গ্যাসের দাম বাড়িয়ে তিন গুণ করা হয়। প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম বৃহৎ শিল্পে ১১ টাকা ৯৮ পয়সা এবং ক্ষুদ্র শিল্পে ১০ টাকা ৭৮ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়। ক্যাপটিভে প্রতি ইউনিটে ১৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছিল। এরপর ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ক্যাপটিভে প্রতি ইউনিটের দাম ৩০ টাকা ৭৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়।


আরও খবর



শ্রীপুরে মিথ্যা অপবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:শনিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ৯৭জন দেখেছেন

Image

গাজীপুর প্রতনিধি: শ্রমিক নেতা মিজানুর রহমান মন্ডলের ছবি এডিট করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মিথ্যা অপবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল ৫ টার দিকে গাজীপুরের শ্রীপুর প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।


মিজানুর রহমান মন্ডল শ্রীপুর পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড শ্রমিক দলের সভাপতি এবং তার পরিবারের সবাই বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমার রাজনৈতিক বয়স হলো ২৫ বছর। রাজনৈতিক জীবনে ৩৩ মামলা হয়েছে। আর জেলে গেছি ৪ বার।

তিনি বলেন, আওয়ামিলীগ নেতা বাদল মন্ডল দীর্ঘ দিন আওয়ামিলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। ক্ষমাতাসীন আওয়ামীলীগের পতনের পর বিএনপিতে আসতে বেপরোয়া হয়ে গেছে।  


বিগত আওয়ামীলীগ রাজনীতির বছরগুলোতে সাবেক সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন সবুজের কর্মী হয়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন বাদল মন্ডল। চাঁদাবাজি সহ - জমি দখল সবকিছুই তিনি করেছেন। বিএনপি'র নেতাকর্মীদের উপর বিভিন্ন মামলা হামলা অত্যাচর করেছেন বাদল মন্ডল।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি করেন, গত ১৫ বছর বাড়িতে ঘুমাইতে পারিনি। বাদল মন্ডল কে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া হোক। দলের সকল সিনিয়র নেতা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সুবিচারের দাবী করেন মিজানুর রহমান মন্ডল।



আরও খবর



শিবচরে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসার অবহেলায় শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৫ | ৫৪জন দেখেছেন

Image

কাজল খান মাদারীপুর  প্রতিনিধি: মাদারীপু‌র জেলায় শিবচ‌রে গণ-উন্নয়ন সমবায় হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সিজা‌রের সময় এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে স্বজনদের অভিযোগ।

 চিকিৎসক ও নার্সদের অবহেলা ও অসাবধানতায় শিশুটির মৃত্যু হয়েছে বলে দাবী স্বজনদের।


শিবচ‌র থানা রো‌ডে অব‌স্থিত গন-উন্নয়‌ন সমবায় হসপিটাল এন্ড ডায়াগন‌স্টিক সেন্টা‌রে বৃহস্প‌তিবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘ‌টে। ওই ঘটনার জে‌রে নবজাত‌কের মর‌দেহ নি‌য়ে বৃহস্প‌তিবার রা‌তে  উত্তে‌জিত জনতা হাসপাতা‌লে কর্মকর্তা ও কর্মচারী‌দের প্রায় ১ঘন্টা অবরুদ্ধ ক‌রে রা‌খে।প‌রে পু‌লিশ এসে প‌রি‌স্থি‌তি নিয়ন্ত্রনে আনে।


স্বজনরা জানান, বৃহস্প‌তিবার দুুুপু‌রে উপ‌জেলার কুতুবপুরের মুন্সীর বাজার এলাকার বা‌সিন্দা বাহাদুর মাদবরের অন্তস্বত্বা স্ত্রী শিউলি আক্তারকে গন-উন্নয়‌ন সমবায় হসপিটাল এন্ড ডায়াগন‌স্টিক সেন্টা‌রে সিজা‌রের জন্য অপারেশন থি‌য়েটা‌রে নেয়া হয়। সিজা‌রে‌র পর নবজাতক শিশু‌টি কিছুক্ষন সুস্থ্য থাক‌লেও ধী‌রে ধী‌রে নি‌স্তেজ হ‌তে থা‌কে তার শরীর। ডাক্তার‌কে জানা‌লে তারা দ্রুত পদ‌ক্ষেপ না নি‌য়ে অব‌হেলা ক‌রে। অবস্থা মারাত্মক হ‌লে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ‌কে জানা‌লে তারা ওই অবস্থায় ঢাকায় প্রেরন ক‌রে। 

স্বজন‌দের দাবী, অব‌হেলা না ক‌রে দ্রুত ব্যবস্থা নি‌লে নবজাত‌কের এই অবস্থা হ‌তো না। 

মৃত ওই নবজাতক ডাঃ আঞ্জুমান আরা’র ত্বত্তাবধা‌নে ছি‌লো বলে জানান নবজাতকের স্বজনরা।

নবজাত‌কের বাবা বাহাদুর মাদবর ব‌লেন, হাসপাতা‌ল কর্তৃপক্ষ ও চি‌কিৎস‌কের অব‌হেলায় আমার সন্তান মারা গে‌ছে। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই। 


এ বিষয়ে জানতে চাইলে গনউন্নয়ন সমবায় হাসপাতা‌লের ব‌্যবস্থাপক ও পরিচালকের মোবাইলে ফোন দি‌লে ফোন রি‌সিভ ক‌রে‌নি।


শিবচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মোকতার হোসেন বলেন,‘নবজাতকের মৃত্যু ঘটনায় থানায় কোন অভিযোগ এখন পর্যন্ত হয়নি,যদি কোন মামলা দিতে চায় নবজাতকের স্বজনরা তবে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’



আরও খবর



এক ছাত্রীকেই মেধা তালিকায় রাখা হয়েছে তিনবার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ৯৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি: গত ১৭ ডিসেম্বর স্কুলে ভর্তিতে ডিজিটাল লটারি হয়। লটারির ফল নিয়ে একের পর এক অভিযোগ উঠছে। ফল প্রকাশের পর থেকেই গাইবান্ধায় বালিকা বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য একজন ছেলেকে নির্বাচিত করা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে। এবার মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বনশ্রী শাখায় এক ছাত্রীকে তিনবার মেধাতালিকায় রাখার তথ্য পাওয়া গেছে। এ নিয়ে অভিভাবক ও শিক্ষকরা ভর্তির লটারিতে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন।


ডিজিটাল লটারিতে দ্বৈবচয়ন পদ্ধতিতে সফটওয়্যারের মাধ্যমে ফলাফল তৈরি করা হয়। প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বনশ্রী শাখার দ্বিতীয় শ্রেণিতে মর্নিং শিফটে ইংলিশ ভার্সনে রুবাইতা বিনতে রুবেল নামে এক শিক্ষার্থীকে মেধাতালিকায় দুবার রাখা হয়েছে। তাছাড়া একই শ্রেণির বাংলা ভার্সনের মর্নিং শিফটেও ওই শিক্ষার্থী মেধাতালিকায় রয়েছে।


ফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, দ্বিতীয় শ্রেণির বাংলা ভার্সনে মর্নিং শিফটে রুবাইতা সাধারণ কোটায় ৯৬তম হয়েছে। একই শ্রেণিতে ইংলিশ ভার্সনের মর্নিং শিফটে সে সাধারণ কোটায় ১৫ ও ১৯তম স্থানে রয়েছে। তার বাবার নাম মো. রুবেল ও মায়ের নাম সুলতানা জাকের।


সব জায়গায় তার একই ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। বাবা-মায়ের নামও একই। তবে তিন জায়গায় তিনটি ভিন্ন মোবাইল নম্বর রয়েছে। জন্মনিবন্ধনের নম্বরও ভিন্ন।


ওই শিক্ষার্থীর নামের পাশে থাকা ভিন্ন ভিন্ন তিনটি মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হলে একটি বন্ধ পাওয়া যায়। বাকি দুটি নম্বরে কল দেওয়া হলে রিসিভ করেন একই ব্যক্তি (মো. রুবেল)। তিনি রুবাইতা নামে ওই ছাত্রীর বাবা।


এ বিষয়ে রুবাইতার বাবা মো. রুবেল বলেন, ‘আমরা দুই শিফটে দুটি আবেদন করেছিলাম। সেটার নিয়ম আছে। কিন্তু ইংলিশ ভার্সনে কেন দুবার নাম এসেছে, তা আমি জানি না।’


তিন জায়গায় তিনটি জন্মনিবন্ধন নম্বর কেন ব্যবহার করা হয়েছে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমি জানি না। আমার ভাই হয়তো আরেকটা ভিন্ন নম্বর দিয়ে আবেদন করতে পারে। আমরা কোনো অনিয়মের আশ্রয় নিইনি। আমার মেয়ে সব কাগজপত্র স্কুলে জমা দিয়েছে। ভর্তি হবে।’


তবে ওই ছাত্রীর অভিভাবকরা স্কুলে কাগজপত্র জমা দিয়ে এলেও তা অনুমোদন করেননি শিক্ষকরা। রুবাইতা যে ইংলিশ ভার্সনে দুইবার মেধাতালিকায় এসেছে, সেই ভার্সনের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা কাগজপত্র জমা নিয়েছি। তবে সেটি অনুমোদন করিনি। এটা সন্দেহজনক হওয়ায় তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।’


এক স্কুলে তিনবার নাম আসা আদৌ সম্ভব কি না, জানতে চাইলে এ সহকারী প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘এটা প্রাথমিকভাবে স্পষ্ট যে, প্রতারণার আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। ভিন্ন ভিন্ন জন্মনিবন্ধন সার্টিফিকেট বানিয়ে একাধিক আবেদন করা হয়েছে। এটা যদি সত্য হয়ে থাকে, তাহলে এটা খুব খারাপ ও গর্হিত কাজ।’


মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মাধ্যমিক বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘লটারির পুরো প্রক্রিয়াটি সফটওয়্যারে করা হয়। এখানে অনিয়মের সুযোগ নেই। তবে কিছু ত্রুটি হতে পারে। সেটা আমরা জানতে পারলে ব্যবস্থা নেব।’


গাইবান্ধায় বালিকা বিদ্যালয়ে ছেলের নাম আসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। হয়তো ভুল করে ওই শিক্ষার্থীর আবেদন করার সময় জেন্ডার অপশনে ছাত্র ক্লিক করা হয়েছে। আর কেউ যদি ভিন্ন ভিন্ন জন্মনিবন্ধন বানিয়ে একাধিক আবেদন করেন, সেক্ষেত্রে স্কুলে ভর্তির সময় ধরা পড়ে যাবে। তাকে বাদ দেওয়া হবে।’


অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. জিয়াউল কবির দুলু বলেন, ‘লটারি প্রক্রিয়াটি সরকারের ভালো উদ্যোগ। এ উদ্যোগকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে একটি চক্র তৎপর। সেখানে শিক্ষকরাও জড়িয়ে পড়েছেন। তারা অভিভাবকদের নানা কু-পরামর্শ দিয়ে অনিয়মে উদ্বুদ্ধ করেন। সেজন্য আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে যেসব অনিয়ম পাওয়া যাবে, তাতে কারা জড়িত তা চিহ্নিত করতে হবে। শিক্ষক-অভিভাবক যারাই জড়িত থাকুক, কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।’


আরও খবর



বিপিএলের পর্দা উঠছে সোমবার

প্রকাশিত:রবিবার ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ৭৬জন দেখেছেন

Image

খেলা ডেস্ক: একই পঞ্জিকাবর্ষে দুই বিপিএল! সর্বশেষ ২০২৪ সালের আসর শুরু হয়েছিল চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি। ফাইনাল হয়েছিল ১ মার্চ। ২০২৫ সালের আসরও শুরু হচ্ছে ২০২৪ সালেই।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্দা উঠবে একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট বিপিএলের ১১তম আসরের। অর্থাৎ ইতিহাসের সাক্ষী জুলাই বিপ্লবের বছরের দুটি দিন পাচ্ছে ২০২৫ বিপিএল।

 

উদ্বোধনী ম্যাচে মাঠে নামবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল ও দুর্বার রাজশাহী। দুপুর দেড়টায় শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে ম্যাচটি। প্রথম দিনে হবে দুটি ম্যাচ। উদ্বোধনী দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের মুখোমুখি হবে ঢাকা ক্যাপিটালস। এই ম্যাচ শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়।

 

এবারের বিপিএলে ৭ দলের অংশগ্রহণে ৪৬ ম্যাচ খেলা হবে। ডাবল রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে হবে গ্রপ পর্বের খেলা। অর্থাৎ প্রথম পর্বে প্রত্যেক দল একই দলের মুখোমুখি হবে দুবার।

গ্রুপ পর্বের খেলা শেষে পয়েন্ট টেবিলের সেরা ৪ দল খেলবে প্লে-অফ। এই পর্বে হবে ৩টি ম্যাচ; কোয়ালিফায়ার-১, ইলিমিনেটর ও কোয়ালিফায়ার-২।

 

টেবিলের সেরা দুটি দল খেলবে কোয়ালিফায়ার-১। এই ম্যাচে যে দল জিতবে তারা সরাসরি চলে যাবে ফাইনালে।

আর টেবিলের তৃতীয় ও চতুর্থ দল খেলবে ইলিমিনেটর। এই ম্যাচে যে দল হারবে তাদেরকে বিদায় নিতে হবে টুর্নামেন্ট থেকে। জয়ী দল ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে কোয়ালিয়ার- ১ এ হেরে যাওয়া দলের। আগের বাক্যে উল্লেখিত দল দুটির মধ্যকার কোয়ালিফায়ার-২ এ যে দল জিতবে দ্বিতীয় দল হিসেবে তারাই যাবে ফাইনালে।

ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ৭ ফেব্রুয়ারি শেরে বাংলায়।


আরও খবর