তিন মামলায় আটকে যাচ্ছেন মিল্টন খন্দকার
বায়ুদূষণ বন্ধে ৭ দিনের মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ
রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫
১০ জেলার ওপর দিয়ে বইছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ
শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫
নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার: ইসিকে দায়বদ্ধ করার কথা ভাবছে কমিশন
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাংবিধানিকভাবে জাতীয় সংসদ ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। মূলত ইসির নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে মাঠে রিটার্নিং কর্মকর্তারা সংসদীয় আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠানের কাজটি করে থাকেন। রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ নির্বাচন পরিচালনায় যুক্ত কর্মকর্তা এবং প্রার্থী বা তাঁদের সমর্থকেরা কোনো ধরনের অপরাধে জড়ালে জাতীয় নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) এবং
নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন ও সংশ্লিষ্ট বিধিতে নানা ধরনের শাস্তির বিধান আছে। ইসির কাছে তাঁরা দায়বদ্ধ। তবে ইসি নিজেই যদি কোনো অপরাধে সম্পৃক্ত হয়, তাহলে কী হবে, সে সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু নেই।
বিদ্যমান সংবিধানে নির্বাচন কমিশনারদের অপসারণ করার বিধান আছে। সংবিধানে বলা আছে, সুপ্রিম কোর্টের বিচারক যে পদ্ধতি ও কারণে অপসারিত হতে পারেন, একই পদ্ধতি ও কারণ ছাড়া কোনো নির্বাচন কমিশনার অপসারিত হবেন না। এখন সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে তাঁদের অপসারণ করার সুযোগ আছে। একসময় এই ক্ষমতা ছিল সংসদের হাতে।
নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন সূত্র জানায়, অতীতের সর্বশেষ তিনটি জাতীয় নির্বাচনের অভিজ্ঞতা থেকে তাঁরা মনে করছে, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হলেও ইসিকে দায়বদ্ধ করার সুস্পষ্ট জায়গা থাকা উচিত। ২০১৪ সালের একতরফা একাদশ সংসদ নির্বাচন, ২০১৮ সালের ‘রাতের ভোট’ এবং সর্বশেষ চলতি বছরের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত পাতানো নির্বাচন অনুষ্ঠানে ওই সময়ের তিনটি নির্বাচন কমিশনের দায় ছিল। তাঁরা মূলত সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান করার শপথ নিয়েছিলেন। কিন্তু বিতর্কিত নির্বাচন করে তাঁরা সে শপথ ভঙ্গ করেছেন। এর মধ্যে কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশনের বিরুদ্ধে জাতীয় নির্বাচনে গুরুতর অসদাচরণ এবং আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ এনে তা তদন্তে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের দাবিতে রাষ্ট্রপতিকে দুই দফা চিঠি দিয়েছিলেন দেশের বিশিষ্টজনেরা। কিন্তু বিতর্কিত তিনটি নির্বাচন পরিচালনাকারী কোনো কমিশনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
গত ৩ অক্টোবর নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কারের জন্য সুপারিশ দিতে বদিউল আলমের নেতৃত্বে সংস্কার কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। সুপারিশ তৈরির জন্য অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময়, ডিজিটাল মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মতামত নেওয়া এবং রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে লিখিত প্রস্তাব নিয়েছে কমিশন।
‘কেউ দায়বদ্ধতার ঊর্ধ্বে নন’
সংস্কার কমিশন মনে করছে, নির্বাচনী অপরাধের জন্য নির্বাচন কমিশনারদের দায়বদ্ধ করার জন্য আরপিওতে এ–সংক্রান্ত বিধান যুক্ত করা হতে পারে; যাতে নির্বাচন কমিশনারদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠলে তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। এর পদ্ধতি ও প্রক্রিয়া কী হতে পারে, তা নিয়ে সংস্কার কমিশন চিন্তাভাবনা করছে। এখনো সেটি চূড়ান্ত হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, গণতান্ত্রিক দেশে কেউ দায়বদ্ধতার ঊর্ধ্বে নন। সাংবিধানিকভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা সংবিধান সমুন্নত রাখবেন। তাঁরা যদি শপথ ভঙ্গ করেন, তাহলে তাঁদেরও দায়বদ্ধ করা উচিত।
গত ৩ অক্টোবর নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কারের জন্য সুপারিশ দিতে বদিউল আলমের নেতৃত্বে সংস্কার কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। সুপারিশ তৈরির জন্য অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময়, ডিজিটাল মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মতামত নেওয়া এবং রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে লিখিত প্রস্তাব নিয়েছে কমিশন। পাশাপাশি নিজেরা নির্বাচনসংক্রান্ত সব আইন-বিধি পর্যালোচনা করেছে। এখন প্রতিবেদন তৈরির কাজ চলছে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সরকারের কাছে এই কমিশনের প্রতিবেদন দেওয়ার কথা আছে। তবে এখন পর্যন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত হয়নি।
প্রস্তাব দেখে প্রতিক্রিয়া
ইসিকে দায়বদ্ধ করা নিয়ে সংস্কার কমিশনের চিন্তার বিষয়ে এখনই কোনো প্রতিক্রিয়া জানাতে চায় না বিএনপি। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, সংস্কার কমিশন তাদের প্রস্তাব দেওয়ার পর সেটি দেখে মন্তব্য করা সমীচীন হবে।
তবে নির্বাচন কমিশনকে জবাবদিহি ও দায়বদ্ধ করার একটি ব্যবস্থা থাকা দরকার বলে মনে করেন গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ভুয়া, প্রতারণামূলক, ভোটাধিকার হরণের নির্বাচন করে নির্বাচন কমিশনগুলো পার পেয়ে গেছে। ভবিষ্যতে যাতে ভুয়া নির্বাচন করে পার পেতে না পারে, সে জন্য ইসির দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহির ব্যবস্থা রাখা উচিত। তাঁরা এ ধরনের ব্যবস্থাকে সমর্থন করবেন।
ক্ষমতা বাড়ানোর চিন্তাও আছে
ইসিকে দায়বদ্ধ করার পাশাপাশি সাংবিধানিক এই সংস্থার ক্ষমতা বাড়ানোরও প্রস্তাব করার কথা ভাবা হচ্ছে। সংস্কার কমিশন মনে করছে, বর্তমানে ইসির যে ক্ষমতা দেওয়া আছে, তার যথাযথ প্রয়োগ করতে পারলে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সেটা যথেষ্ট। তবে আরপিওতে কিছু বিষয় আরও স্পষ্ট করা হবে। আরপিওতে যেসব ক্ষমতার কথা বলা আছে, তার বাইরে ইসির ‘অন্তর্নিহিত ক্ষমতা’ আছে বলে উচ্চ আদালতের দুটি রায়ে বলা আছে। এই অন্তর্নিহিত ক্ষমতার বিষয়টি আইনে যুক্ত করার প্রস্তাব করা হতে পারে। কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশনের আমলে আরপিওতে সংশোধনী এনে ভোট বন্ধে ইসির ক্ষমতা খর্ব করা হয়। যেভাবে সংশোধনী আনা হয়, তাতে ইসি শুধু ভোটের দিন নির্বাচন বন্ধ ঘোষণা করতে পারবে। আগে যেভাবে ছিল তাতে তফসিল ঘোষণার পর থেকে যেকোনো সময় পরিবেশ অনুকূল মনে না করলে ভোট বন্ধ ঘোষণার এখতিয়ার ইসির ছিল। এখন আবার আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়ার প্রস্তাব করার কথা ভাবা হচ্ছে।
এ ছাড়া নির্বাচনী কিছু অপরাধের অভিযোগে এখন নির্বাচনের ছয় মাসের মধ্যে মামলা করার কথা আইনে বলা আছে। এখানে সংশোধনী প্রস্তাব করা হচ্ছে। এই ছয় মাসের সময়সীমাটা আরও বাড়ানো বা তুলে দেওয়া হতে পারে।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও অন্তর্বর্তী সরকারের নৌপরিবহন এবং শ্রম কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ইসিকে দায়বদ্ধ করার জায়গা যে একেবারে নেই, তা নয়। ইসি সাংবিধানিকভাবে স্বাধীন। সংবিধানের অভিভাবক হচ্ছেন সুপ্রিম কোর্ট। কয়েকটি বিষয় ছাড়া ইসির সব সিদ্ধান্ত নিয়ে যে কেউ উচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ করতে পারেন। নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন কী চিন্তা করছে, তারা সরাসরি কোনো বিধানের কথা ভাবছে কি না, তা তিনি জানেন না। তবে কোনো ধরনের কমিটি করে দায়বদ্ধতার জায়গা তৈরি করতে গেলে ইসি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে কি না, সেটাও দেখতে হবে।
বায়ুদূষণ বন্ধে ৭ দিনের মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ
রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫
১০ জেলার ওপর দিয়ে বইছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ
শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে কার্টারের বড় সাফল্য-ব্যর্থতা কী
অনলাইন ডেস্ক: জিমি কার্টার ১৯৭৭ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এই মেয়াদকালে তাঁর সাফল্যের মধ্যে অন্যতম ছিল ক্যাম্প ডেভিড শান্তি চুক্তি।
অবশ্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে কার্টারকে ঘিরে যথেষ্ট বিতর্কও ছিল। বিশেষ করে মার্কিন ভোটাররা তাঁকে একজন দুর্বল প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখেছিলেন। এ কারণে এক মেয়াদ শেষে তাঁকে হোয়াইট হাউস ছাড়তে হয়।
কার্টারের কর্মজীবনের যে উত্তরাধিকার, তা মূলত তাঁর হোয়াইট হাউস ছাড়ার পরের সময়ে প্রতিষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় সময় গতকাল রোববার বিকেলে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের বাড়িতে কার্টার মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ১০০ বছর।
কার্টার প্রথম কোনো সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যিনি শতবর্ষে পা রেখেছিলেন। গত অক্টোবরে তিনি তাঁর ১০০তম জন্মদিন উদ্যাপন করেন।
কার্টারের প্রয়াণে তাঁর জীবনের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা তুলে ধরেছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
পানামা খাল
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে কার্টার তাঁর মেয়াদের প্রথম বছরে একটি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণে পদক্ষেপ নেন। তিনি পানামা খালের ব্যবস্থাপনা পানামার কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
গত শতকের শুরুর দিকে এই খাল খনন করা হয়। শুরু থেকে খালটি মার্কিন সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে ছিল।
১৯৭৭ সালের ৭ সেপ্টেম্বর কার্টার ও পানামার জাতীয়তাবাদী নেতা ওমর তোরিজোস পানামা খাল চুক্তি সই করেন। চুক্তির শর্ত মেনে ১৯৯৯ সালে পানামার কাছে খালটির নিয়ন্ত্রণ আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করে যুক্তরাষ্ট্র।
চুক্তি সইয়ের সময় কার্টার বলেছিলেন, বিশ্বের দেশগুলোর সঙ্গে চুক্তির কেন্দ্রে থাকা উচিত ন্যায্যতা, বলপ্রয়োগ নয়।
এই পদক্ষেপের জন্য কার্টারকে নিজ দেশে উপহাসের শিকার হতে হয়েছিল। তবে ইতিহাস অবশ্য এই চুক্তিকে কূটনীতির একটি নিপুণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখে আসছে।
কার্টারের মৃত্যুতে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পানামার বর্তমান প্রেসিডেন্ট হোসে রাউল মুলিনো বলেছেন, সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট পানামাকে নিজ দেশের পূর্ণ সার্বভৌমত্ব অর্জনে সহায়তা করেছিলেন।
রাজনীতিতে নৈতিকতা
কার্টার হোয়াইট হাউসে এসে তাঁর পূর্বসূরিদের চর্চা করা ‘অনৈতিক রাজনৈতিক’ বিষয় থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে উদ্যোগী হয়েছিলেন। তিনি মানবাধিকারকে তাঁর প্রশাসনে গুরুত্বের কেন্দ্রে রেখেছিলেন।
১৯৭৮ সালে মার্কিন নেভাল একাডেমিতে একটি বক্তব্য দিয়েছিলেন কার্টার। বক্তব্যে তিনি বলেছিলেন, ‘আমাদের প্রধান লক্ষ্য হলো এমন একটি বিশ্ব গঠনে সহায়তা করা, যা অর্থনৈতিক মঙ্গল, সামাজিক ন্যায়বিচার, রাজনৈতিক আত্মনিয়ন্ত্রণ ও মৌলিক মানবাধিকারের জন্য সর্বত্র মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতি আরও দ্রুত সাড়া দেয়।’
কার্টার ১৯৭৭ সালে নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের আন্তর্জাতিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন।
ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি
১৯৭৮ সালের সেপ্টেম্বরে কার্টার তৎকালীন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী মেনাচেম বেগিন ও মিসরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাতকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্প ডেভিডে আমন্ত্রণ জানান।
মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফেরাতে কার্টারের মধ্যস্থতায় ১৩ দিনের গোপন আলোচনার পর দুটি চুক্তি সই হয়। কার্টারকে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করার সময় এই চুক্তিকে (ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি) একটি কূটনৈতিক বিজয় হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছিল।
ইরান জিম্মি সংকট
১৯৭৯ সালের নভেম্বরে ইরান জিম্মি সংকটের সূত্রপাত হয়। ১৯৮১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত তা চলে।
ইরানের রাজধানী তেহরানে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসে ৫০ জনের বেশি আমেরিকানকে ৪৪৪ দিন জিম্মি করে রাখা হয়েছিল।
কার্টারের জন্য এই সংকট ছিল ‘অগ্নিপরীক্ষা’।
জিম্মি সংকটের অবসানে ১৯৮০ সালের এপ্রিলে একটি ব্যর্থ সামরিক অভিযান চালানও হয়। আর এই ব্যর্থতা একই বছরের শেষ দিকে কার্টারের পুনর্নির্বাচনের সম্ভাবনা শেষ করে দেয়।
যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা শুল্ক বাড়ালে বিশ্বে পণ্যের দাম বাড়তে পারে
রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫
ফের শপথ নিলেন মাদুরো, গ্রেপ্তারে তৎপর যুক্তরাষ্ট্র
শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫
রাজশাহী ক্যাডেট কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত
চারঘাট (রাজশাহী) সংবাদদাতা: রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ এর ৫৭তম আন্ত:হাউজ বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকালে কলেজ মাঠ প্রাঙ্গনে তিনদিন ব্যাপি আন্ত:হাউজ বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৪ এর সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অত্র কলেজের অধ্যক্ষ ড. আ ফ ম মোরতাহান বিল্লাহ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর সামরিক সচিব, মেজর জেনারেল সাজেদুর রহমান এনডিইউ, পিএসসি। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার, ইউএনও সানজিদা সুলতানা, এ্যাডজুটেন্ট মেজর জুভেন ওয়াহিদসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, অভিভাবকমন্ডলী, প্রাক্তন ও বর্তমান ক্যাডেটবৃন্দ।
প্রতিযোগিতায় রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের খালিদ হাউস, কাসিম হাউস এবং তারিক হাউসের ক্যাডেটবৃন্দ ২৭টি ইভেন্টে তিনদিন ব্যাপি এ প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহন করেন। সারা বছরের একাডেমিক ও সহ-পাঠ্যক্রম সংক্রান্ত কার্যক্রমের সফলতা বিবেচনা করে কাসিম হাউসকে চ্যাম্পিয়ন ও খালিদ হাউসকে রানার্স আপ হিসেবে ঘোষনা করা হয়। প্রতিযোগিতায় অসাধারন ক্রীড়া নৈপুন্য দেখানো বিজয়ী ক্যাডেটদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন,মেজর জেনারেল সাজেদুর রহমান উত্তরবঙ্গের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিট এই কলেজের শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ফলাফল ও শৃঙ্খলার মানের ভূয়সী প্রশংসা করেন। পাশাপাশি শিক্ষার সাথে ক্রীড়া ক্ষেত্রে রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের গৌরবোজ্জ্বল অবস্থানের কথা উল্লেখ করেন। প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষার পাশাপাশি ক্যাডেটদের দেহসৌষ্ঠব বিকাশে খেলাধুলা, সুস্থ মানসিকতা ও দলীয়ভাবে কাজ করার সক্ষমতা অর্জন করে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে অগ্রনী ভুমিকা পালন করতে পারবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। #
মনোহরদীতে দুষ্কৃতকারীদের আগুনে ৫০.০০০/-টাকার ক্ষতি
রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫
পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এমডি ও পিডিকে অপসারন সহ ৯ দফা দাবিতে মানববন্ধন
রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫
র্যাব-১০ এর বিশেষ অভিযানে বিপুল পরিমান গাঁজাসহ মাদক ০২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
ডেস্ক রিপোর্ট : র্যাব-১০, সিপিসি-৩ ফরিদপুর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানাধীন রাজবাড়ী এলাকায় কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী বিপুল পরিমান অবৈধ মাদক মজুদ করে রেখেছে। উক্ত সংবাদ প্রাপ্তির পর র্যাব-১০, সিপিসি-৩ ফরিদপুর ক্যাম্পের উল্লেখিত আভিযানিক দল অদ্য ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখ বিকাল আনুমানিক ১৬:০০ ঘটিকায় উল্লেখিত এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে আনুমানিক ১,৭০,০০০/-(এক লক্ষ সত্তর হাজার) টাকা মূল্যমানের ০৫(পাঁচ) কেজি ৭০০(সাতশত) গ্রাম গাঁজাসহ ০২ জন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীদেরকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদের নাম ১। মোঃ ফিরোজ মোল্যা (২৩), পিতা- মৃত শফিরুদ্দিন, ২। মোঃ ফরিদ হোসেন (২২), পিতা- মোঃ খবির বিশ্বাস, উভয় থানা- মাগুরা সদর, জেলা- মাগুরা বলে জানা যায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। তারা বেশ কিছুদিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা হতে অবৈধ পন্থায় গাঁজাসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে ফরিদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করে আসছিল।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদ্বয়ের বিরুদ্ধে একটি মাদক মামলা রুজু করতঃ সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
মনোহরদীতে দুষ্কৃতকারীদের আগুনে ৫০.০০০/-টাকার ক্ষতি
রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫
পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এমডি ও পিডিকে অপসারন সহ ৯ দফা দাবিতে মানববন্ধন
রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫
রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন ছাড়া সংস্কার কাজে আসবে না
নিজস্ব প্রতিনিধি: নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, জুলাই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে। পুরনো পচা, জীর্ণ, লুটেরা সংস্কৃতির সংশোধন করে নতুন একটা দেশ গড়তে হবে। দেশটা পুরো বদলাতে হবে। এর জন্য সরকার সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে।
বুধবার (১ জানুয়ারি) বাংলাদেশ প্রতিদিন আয়োজিত রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি কনফারেন্স হলে ‘নতুন বছরের প্রত্যাশা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সংস্কার একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এ সরকার কতটুকু সংস্কার করে যেতে চায় সেটা স্পষ্ট করতে হবে। এর জন্য কী পরিমাণ সময় প্রয়োজন সেটাও নির্ধারণ করতে হবে। নির্বাচন যত দেরি হবে সরকার তত বেশি সমস্যায় পড়বে।
তিনি আরও বলেন, আমি চাই, নির্বাচনের মাধ্যমে যারা ক্ষমতায় আসবে তারা যেন ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চলেন, যাতে তারা জনগণের প্রত্যাশার জবাব দিতে এবং আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারেন। এর জন্য দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনতে হবে। ’২৪-এর অভ্যুত্থান ছিল চাঁদাবাজি, গুন্ডামি, মাস্তানি, দখলদারি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে। এ সংস্কৃতি থেকে রাজনৈতিক দলগুলোকে বেরিয়ে আসতে হবে। আমাদের রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন নিয়ে আসতে হবে, তা ছাড়া সংস্কার করে কোনো লাভ হবে না।
হাসপাতালে যেসব খাবার খাচ্ছেন খালেদা জিয়া
রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫
স্বস্তি ও উদ্বেগ দুটোই বিএনপিতে
শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫