Logo
আজঃ শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3
শিরোনাম

উফশী ধানের উৎপাদন বাড়াতে বড় অঙ্কের প্রণোদনা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৪৪জন দেখেছেন

Image

চলতি বছর বোরো মৌসুমে উচ্চফলনশীল উফশী জাতের ধানের আবাদ ও উৎপাদন বাড়াতে ১০৭ কোটি ৬২ লাখ টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছে সরকার।

সোমবার এ সংক্রান্ত সরকারি আদেশ জারি হয়েছে করা হয়েছে বলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। প্রণোদনার এ অর্থ শিগগিরই মাঠ পর্যায়ে বিতরণ শুরু হবে।

এর আওতায় সারাদেশের ১৫ লাখ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক প্রণোদনা পাবেন। একজন কৃষক এক বিঘা জমিতে চাষের জন্য প্রয়োজনীয় পাঁচ কেজি উফশী জাতের বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার বিনামূল্যে পাবেন।

চলতি বছর গত  মাসে প্রথম ধাপে বোরোতে হাইব্রিড জাতের ধানের উৎপাদন বাড়াতে ৯০ কোটি টাকার প্রণোদনার আদেশ জারি করা হয়। এসব প্রণোদনা মাঠ পর্যায়ে বিতরণ চলছে।

সব মিলিয়ে দুই ধাপে বোরোতে প্রণোদনার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৯৮ কোটি টাকা। সুবিধাভোগী কৃষকের সংখ্যা দাঁড়াল প্রায় সাড়ে ২৯ লাখ। 


আরও খবর



ব্রি ধান-৭৬ ধান চাষের আশার আলো দেখছে কৃষক

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | ৪৬জন দেখেছেন

Image

বালাদেশ ধান গবেষণা ইনষ্টিটিউট (ব্রি) উদ্ভাবিত লবণ-জোয়ার-ভাটা সহিষ্ণু উচ্চ ফলনশীল ব্রি ধান-৭৬ চাষে আশার আলো দেখছেন কৃষক। নিচু জমিতে এ ধান চাষ করে কৃষক বিঘা প্রতি ১২ থেকে ১৪ মণ পর্যন্ত ফলন পেয়েছেন। গোপালগঞ্জ জেলার স্থানীয়  জাবরা, জৈনা, ময়নামতি ধান ও বাগেরহাট জেলার স্থানীয় জাত মন্ডেশ্বরের পরিবর্তে কৃষক ব্রি ধান-৭৬ আবাদ করে তিনগুনেরও বেশি ফলন পেয়েছেন। তাই এ জাত ছড়িয়ে দিতে পারলে আমন মৌসুমে দক্ষিণাঞ্চলের নিচু জমিতে ধানের উৎপাদন অন্তত ৩ গুণ বৃদ্ধি পাবে। এ অঞ্চল খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। 

ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়  গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট ও নড়াইল জেলার ধানের উৎপাদন বৃদ্ধিতে কাজ করছে। 

প্রতিষ্ঠানটি সূত্রে জানা গছে, চলতি আমন মৌমুমে গোপালগঞ্জ ও বাগেরহাট জেলায় বিনামূল্যে ১ হাজার ২৭০ কেজি ব্রি ধান-৭৬ বীজ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। বীজ দিয়ে গোপালগঞ্জ সদর , টুঙ্গিপাড়া, বাগেরহাট জেলার মংলা, রামপাল, মোড়লগঞ্জ ও শরনখোলার কৃষক ২৫৪টি প্রদর্শনী প্লটে ব্রিধান-৭৬ এর আবাদ করেন। ৩৩ শতাংশের বিঘায় এ ধান ১২ থেকে ১৪ মন পর্যন্ত ফলন দিয়েছে। স্থানীয় জাত জাবরা, জৈনা, ময়নামতি ও মন্ডেশ্বর বিঘায় ৪ থেকে ৫ মন ফলন দিয়ে থাকে।

গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ডুমরিয়া গ্রামের কৃষক আহমেদ আলী (৬৫) বলেন, নিচু জমিতে স্থানীয় জাত জাবরা, জৈনা, ময়নামতি চাষ করতাম। এতে বিঘা প্রতি ৪/৫ মণ ফলন পেতাম। কিন্তু এ বছর ব্রিধান-৭৬ আবাদ করে বিঘা প্রতি ১৩ মণ ফলন পেয়েছি। লবন-জোয়ার-ভাটা সহিষ্ণু উচ্চ ফলনশীল ব্রিধান-৭৬ চাষে আশার আলো দেখছি। আমাদের এলাকার চাষীরা এত ফলন দেখে আগামী বছর ব্রিধান-৭৬ চাষ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের  গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সৃজন চন্দ্র দাস বলেন, বীজ তলায় ব্রিধান-৭৬ এর চারা ৩০ দিনেই ৬০ সেন্টিমিটারের চেয়েও বড় হয়। লবনাক্ত নিচু জমিতে এ ধানের চারা রোপণ করে দিতে হয়। জোয়ারভাটা সহিষ্ণু এ জাতের ধান ১৪০ দিনেই স্থানীয় জাতের তুলনায় ৩ গুনেরও বেশি ফলন দেয়। দক্ষিণাঞ্চলে এ ধানের জাত ছড়িয়ে দিতে আমরা কাজ করছি। দক্ষিণাঞ্চলে এ ধানের জাত ছড়িয়ে দিয়ে আমরা খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সক্ষম হব। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির উপ-পরিচালক আঃ কাদের সরদার বলেন, নিচু জমিতে ব্রি ধান-৭৬ এর বাম্পার ফলন হয়েছে। এ জাত দক্ষিণাঞ্চলের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের হাতছানি দিচ্ছে। ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)বীজ সরবরাহ করলে আমরা এ জাত ছড়িয়ে দেব।

ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান ও সিনিয়র সাইন্টিফিক অফিসার ড. মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বলেন, লবণ-জোয়ার-ভাটা সহিষ্ণু উচ্চ ফলনশীল ব্রিধান-৭৬ কৃষক র্পায়ে জনপ্রিয় করতে আমরা বীজ উৎপাদন বাড়াব । কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে এটি ছড়িয়ে দিয়ে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা আমরা নিশ্চিত করব ইনশাল্লাহ।


আরও খবর



মিথ্যা সাক্ষী দেওয়া কবিরা গুনাহ

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | ৫১জন দেখেছেন

Image

মহান রব্বুল আলামিন কোরআনুল কারিমের সুরাতুল ফুরকানে একজন খাঁটি মুমিনের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করেছেন, যারা কখনো মিথ্যা সাক্ষী দেন না। আল্লাহতায়ালা অন্যত্র বলেছেন, তোমরা মিথ্যা থেকে আত্মসংবরণ কর। সূরা হজ। 

আমাদের প্রিয়নবী হজরত রসুলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, মিথ্যা সাক্ষ্য দান শিরকের সমান, (আবু দাউদ, তিরমিজি, ইবনেমাজা, তাবারানি)। অপর হাদিসে রসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, কেয়ামতের দিন মিথ্যা সাক্ষ্যদাতার জন্য জাহান্নামের ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত নিজের পা নাড়াতেও পারবে না। (ইবনে মাজাহ)। 

অপর হাদিসে প্রিয়নবী ইরশাদ করেন, নিশ্চয়ই সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় এবং মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে দেয়। কেননা সত্যের গন্তব্য হলো আলো এবং মিথ্যার গন্তব্য হলো অন্ধকার। 

এ প্রসঙ্গে একটি ঘটনা উল্লেখযোগ্য যে, বড়পীর হজরত আবদুল কাদির জিলানী (রহ.) বাল্যকালে যখন তিনি লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে নিজ এলাকা থেকে বাইরে গমন করেন, তখন তাঁর মা ছোট্ট বালকের পকেটের ভিতরে সেলাই করে কিছু দিনার রেখেছিলেন এবং বলে দিলেন, প্রয়োজনে এগুলো বের করবে।আর বিশেষভাবে তাকে উপদেশ দিয়েছিলেন, বাছা যতই বিপদে পড় না কেন, কখনো মিথ্যা কথা বলবে না, পথিমধ্যে কাফেলাটি ডাকাতের কবলে পড়লে মুসাফিরদের সব মাল-সামানা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। অবশেষে বালক আবদুল কাদির জিলানীকে জিজ্ঞেস করল, বালক তোমার কাছে কি কিছু আছে, তিনি বললেন- হ্যাঁ, নিশ্চয়ই আছে, আমার কাছে ছয়টি দিনার আছে, ডাকাতরা বলল, তা কোথায়? তিনি বললেন আমার পাঞ্জাবির আস্তিনের ভিতরে আমার মা সেলাই করে দিয়েছেন। ডাকাতরা চেক করে দেখল হ্যাঁ বাস্তবেই আছে। জিজ্ঞেস করল, বালক তুমি কেন সত্য কথা বললে, মিথ্যা কথা বললে তোমার টাকাটা বেঁচে যেত। তিনি বললেন, না মিথ্যা কথা বলব না। কেননা আমার মা নিষেধ করেছেন এবং মিথ্যা বলা মহাপাপ। 

অতঃপর ডাকাত সরদার এই বালকের সত্যবাদিতা দেখে এবং মায়ের আদেশ পালনে অবিচলতা দেখে বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে গেল এবং নিজের দুর্বৃত্তপূর্ণ নোংরা জীবনের প্রতি অনুশোচনা এলো, কারণ তার মাও নিষেধ করেছিলেন এ জঘন্য অপরাধ না করার জন্য। অতঃপর সে অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহতায়ালার কাছে তওবা করল এবং খাঁটি মুসলমান হয়ে গেল। 

মূলত কোরআন ও হাদিসের আলোকে মিথ্যা সাক্ষ্যদাতা চারটি বড় গুনাহে লিপ্ত হয়ে নিজেও ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং অপরকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে। প্রথমত, দুনিয়ার লোভে পড়ে অপরের ক্ষতি করার জন্য মনগড়া মিথ্যা অপবাদ দেয়। দ্বিতীয়ত, সে অন্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়ে তার ওপর জুলুম করে। তৃতীয়ত, সে যার পক্ষে সাক্ষ্য দেয় তার ওপরেও জুলুম করে, কেননা সে তার জন্য হারাম সম্পদ ভোগে সহায়তা করে দেয়। ফলে তার জন্য জাহান্নাম অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে। চতুর্থত, আল্লাহর বিধান সমাজের সুষ্ঠু সুবিচার থেকে মজলুমকে বঞ্চিত ও ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়। 

এ মর্মে সহিহ বুখারি, মুসলিম, ও তিরমিজিতে বর্ণনায় রয়েছে, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- আমি কি তোমাদের জঘন্যতম কবিরা গুনাহ কী কী বলব না? সাহাবাগণ আরজ করলেন ইয়া রসুলুল্লাহ অবশ্যই বলবেন। তিনি বললেন : তাহলে শোন, তা হচ্ছে আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করা, মাতা-পিতাকে কষ্ট দেওয়া, আর সাবধান মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া, সাবধান মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া।’


আরও খবর



এস.এস.সি ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি আদায় করছে সবুজ বিদ্যাপীঠ স্কুল কতৃপক্ষ

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৬৯জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানাধীন বিবির বাগিচা ১নং গেইট সবুজ বিদ্যাপীঠ উচ্চ বিদ্যালয়ে এস.এস.সি পরিক্ষা -২০২৪ সালের দুটি নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।

গত ২৬-১০-২৩ ইং তারিখে একটি প্রধান শিক্ষক এর স্বাক্ষর ও সিল সহ যাতে লেখা আছে শুধু মাত্র বোর্ড ফি বিজ্ঞান বিভাগ ২১৪০ টাকা, মানবিক বিভাগ ও ব্যবসায় শিক্ষা ২০২০ টাকা, ছাত্রছাত্রীদের প্রদান করতে বলা হয়েছে। গত ০২-১১-২৩ ইং তারিখে আর একটি শুধু মাত্র অফিসের সিল প্রদান করে সভাপতি নির্দেশে বোর্ড ফি সাথে অতিরিক্ত ৬০০০ টাকা যোগ করে প্রদান করা হয়েছেন।


ফরমের জন্য অতিরিক্ত আরো২০০টাকা আদায় করছে। অতিরিক্ত টাকা না দিলে ফরম পূরণ করতে দেওয়া হবে না বলে অভিভাবকগন জানালেন এবং ছাত্র/ছাত্রীদের কাছ থেকে ফি আদায় করছেন। যা অনেক অভিভাবক দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। অভিভাবকরা আরো বলেন বিগত কালে এই স্কুলে নিয়ম করে ছাত্র/ছাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে আসছেন ।

স্কুল কমিটির দূর্নীতির জন্য দিনে দিনে ছাত্র/ছাত্রীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। অনেক পরিবারের অতিরিক্ত ফি এর চিন্তায় সন্তানদের মনের উপর প্রভাব ফেলছে। এই বিষয়ে প্রধান শিক্ষক কে মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি অতিরিক্ত ফি আদায়ের বিষয়ে অস্বীকার করেন।

অভিভাবকগন বলেন শিক্ষা মন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করে ৫ম শ্রেনীর ২২০ উপরে ছাত্রছাত্রীর কোচিং ফি ১০০০ টাকা ও ১০ম শ্রেণীর ২০০ উপরে ছাত্র/ছাত্রীর কোচিং ফি ১২০০ টাকা করে আদায় করেন। যা প্রতি মাসে ৪ লক্ষ ২০ টাকা উপরে আদায় করেন সভাপতি যা প্রধান শিক্ষক জানেন না।


এ সমস্ত টাকা আদায় করা হয় কোন রকম রশিদ ছাড়া। আদায়কৃত কোচিং ফি এর এক টাকাও স্কুল ফান্ডে জমা হয় নাই। স্কুল ছাত্র/ছাত্রীর অনুপস্থিতির জরিমানার টাকা ও চলে যায় সভাপতির পকেটে।

একি বিষয় সভাপতি’র কাছে মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি বলেন এটি তিন মাসের স্পেশাল ক্লাস ফি নেওয়া হচ্ছে ।কেউ স্পেশাল ক্লাস করতে না চাইলে সে শুধু মাত্র বোর্ড ফি প্রদান করতে পারবে।

স্কুল অভিভাবকদের দাবি শুধু মাত্র বোর্ড ফি এর মাধ্যমে পরিক্ষা দেওয়ার জন্য। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।


আরও খবর



রাশিয়ার পর এবার অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি থেকে সরে গেল ন্যাটো

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৫৩জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়ার সঙ্গে স্বাক্ষরিত অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক একটি চুক্তি স্থগিত করেছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো। রাশিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে ন্যাটোর সঙ্গে ইউরোপে প্রচলিত অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক চুক্তি বা সিএফই থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর এই পদক্ষেপ নিলো ন্যাটো।

ক্রেমলিন বলেছে, স্নায়ু যুদ্ধের সময় সই হওয়া ওই চুক্তি অনেকটা অকেজো হয়ে পড়েছিল এবং এটি এখন বাস্তবতা বিবর্জিত হয়ে গেছে। ১৯৯০ সালে শীতল যুদ্ধের একেবারে শেষদিকে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে ন্যাটো জোটের ‘ট্রিটি অন কনভেনশনাল আর্মড ফোর্সেস ইন ইউরোপ’ বা সিএফই চুক্তি সই হয়েছিল। চুক্তিতে ইউরোপে মোতায়েন ট্যাংক, সাঁজোয়া যান, কামান, হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমানের সংখ্যা সীমিত রাখার কথা বলা হয়েছে।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি সিএফই থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে বলেছে, সিএফই শেষ পর্যন্ত ইতিহাসে রূপান্তরিত হলো। রাশিয়া এই চুক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য ২০০৭ সালে প্রাথমিক পদক্ষেপ নিয়েছিল।

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, প্রকৃতপক্ষে এই চুক্তি কিছু ক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রেখেছে ঠিকই, তবে এটিকে বৃহত্তর পরিসরে ন্যাটো জোট উপেক্ষা করেছে। ফলে এই চুক্তি রাশিয়ার স্বার্থ রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে।

একই দিন ন্যাটো এক বিবৃতি প্রকাশ করে মস্কোর এ সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, রাশিয়ার এ পদক্ষেপে ইউরো-আটলান্টিক অঞ্চলের নিরাপত্তাকে পদ্ধতিগতভাব অবজ্ঞা করা হয়েছে। 

বিবৃতিতে বলা হয়, রাশিয়া সিএফই থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর ন্যাটোর পক্ষ থেকে এটি মেনে চলার কোনো অর্থ হয় না কারণ, তা ‘অস্থিতিশীল’ পরিস্থিতি তৈরি হবে। সূত্র: ন্যাটো, রয়টার্স 


আরও খবর



আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৪৬জন দেখেছেন

Image

দেশের বাজারে আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। সবচেয়ে ভালো মানের স্বর্ণের ভরি ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৭৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানিয়েছে, রোববার (১৯ নভেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর করা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৭৬ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১ হাজার ৫৩৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৮৭ হাজার ১৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরির দাম ৭২ হাজার ৫৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে চলতি মাসের ৫ নভেম্বর ভরিতে ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেট এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪ হাজার ৬২৬ টাকা নির্ধারণ করে বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের স্বর্ণের ভরি ৯৯ হাজার ৯০২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণের ভরি ৮৫ হাজার ৬১৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ৭১ হাজার ৩২৫ টাকা।

চলতি মাসে এ নিয়ে দুই দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম। আর অক্টোবর মাসে চার দফায় বাড়ানো হয়েছিল স্বর্ণের দাম। গত ৪, ১১ ও ১৫ অক্টোবর স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়। তার আগের মাস সেপ্টেম্বরেও ২ দফায় বাড়ানো হয় স্বর্ণের দাম।


আরও খবর