Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম

যাদের মৃত্যুর সময় কালেমা নসিব হয়

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ | ১১৮জন দেখেছেন

Image

ধর্ম ডেস্ক : মৃত্যুর সময় ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ (আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের উপযুক্ত কেউ নেই এবং মুহাম্মদ সা. আল্লাহর রাসুল) এই সাক্ষ্য-বাক্য পাঠ করার বিশেষ গুরুত্ব আছে। পাপের মার্জনা ও ক্ষমা লাভে এর ভূমিকা অপরিসীম। কেননা মৃত্যুর সময় এই কালেমা তারই ভাগ্যে জোটে যে তাতে বিশ্বাস করে এবং তার মর্ম অনুধাবন করে।

প্রকৃতপক্ষে যে ব্যক্তি এই পবিত্র বাক্য পাঠ করে এবং তার মর্ম অনুধাবন করে তার প্রবৃত্তিগুলো মরে যায়, সংশয়পূর্ণ অন্তর নম্র হয়, অবাধ্যতার পর তা অনুগত হয়, প্রত্যাখ্যান করার পর স্বীকার করে, উদ্ধতার পর বিনয়ী হয়, দুনিয়া ও এর অনর্থক বিষয়ের মোহ অন্তর থেকে দূর হয়। কালেমায় বিশ্বাসীরা মহাবিশ্বের স্রষ্টা, মুনিব ও প্রতিপালকের সামনে সিজদাবনত হয়, তাকে সাক্ষী রেখে সত্যকে জীবনে ধারণ করে। বিনিময়ে তারা আল্লাহর দয়া, ক্ষমা ও অনুগ্রহ কামনা করে। সে শিরক ও বাতিলের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে। তার অন্তরে যে দ্বিধা, দ্বন্দ্ব ও সংশয়ের সঙ্গে প্রতিনিয়ত সংঘাত চলত তা দূর হয়ে যায়। সে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছার ব্যাপারে দৃঢ় প্রত্যয়ী হয়। এর মাধ্যমে বান্দা পুরোপুরি আল্লাহমুখী হয়। তার চিন্তা, অন্তর ও আত্মাও আল্লাহমুখী হয়ে যায়। ফলে তার ভেতর ও বাহির উভয়ই আল্লাহর আনুগত্য স্বীকার করে নেয়। তার ভেতর ও বাহিরের মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকে না। বান্দা যখন নিষ্ঠার সঙ্গে কালেমা পাঠ করে তখন অন্তরের নিষ্ঠার কারণে গাইরুল্লাহর (আল্লাহ ছাড়া বাকি সব) সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়। ফলে সে গাইরুল্লাহর প্রতি ভ্রুক্ষেপ করে না।

দুনিয়া তার অন্তর থেকে পুরোপুরি অন্তর থেকে বের হয়ে যায়, বরং বান্দার তার পার্থিব জীবনকে আল্লাহর পায়ে সমর্পণ করে। প্রবৃত্তিকে পুরোপুরি অবদমিত করে এবং অন্তর পূর্ণ করে পরকালের ভাবনায়। ফলে পরকালই হয় তার লক্ষ্য এবং দুনিয়াকে পেছনে ফেলে আখিরাত পানেই সে এগিয়ে যায়। তার পুরো জীবনের নির্যাস হয়ে কালেমা উচ্চারিত হয় তার মুখে। এই পবিত্র কালেমা তাকে পাপমুক্ত করে এবং তার প্রভুর সম্মুখে আনন্দময় অবস্থায় উপস্থিত করে। এটা সে লাভ করে, কেননা সে সত্য সাক্ষ্য নিয়ে আল্লাহর দরবারে উপস্থিত হয়েছে। তার ভেতরটা বাহিরের, প্রকাশ্যটা অপ্রকাশ্যের অনুকূল। যদি সুস্থতার দিনগুলোতে এমন নিষ্ঠাপূর্ণ সাক্ষ্য মানুষের জীবনে পাওয়া যায়, সে দুনিয়া ও ঘরসংসারের মোহ ত্যাগ করে, মানুষকে ছেড়ে আল্লাহর দিকে ধাবিত হয় এবং তাকেই সব কিছুই বিপরীতে ভালোবাসে, তবেই মৃত্যুর সময় ব্যক্তির কালেমা নসিব হয়। কিন্তু বহু মানুষ এই কালেমা কেবল মুখেই উচ্চারণ করে। অথচ তাদের অন্তর কুপ্রবৃত্তি, পৃথিবী ও তার উপকরণের ভালোবাসায় পূর্ণ; তার মন ভরপুর থাকে গাইরুল্লাহ ও তা অর্জনের আকাঙ্ক্ষা। তার দায়িত্ব হলো দুনিয়ার মোহ ত্যাগ করা যেভাবে মৃত্যুর সময় সে সব ছেড়ে যায়। তবেই সে পশুর জীবন থেকে মুক্তি পাবে। মুক্তির পথে চলতে পারবে।


আরও খবর

ডালিমসহ জান্নাতে পাওয়া যাবে যেসব ফল

শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫

ভূমিকম্প নিয়ে কোরআন-হাদিসে কী বলা হয়েছে?

বৃহস্পতিবার ০৯ জানুয়ারী ২০২৫




বাজে ব্যাটিংয়ে ভারতের কাছে ফাইনালে হার বাংলাদেশের

প্রকাশিত:রবিবার ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | ৯৯জন দেখেছেন

Image

খেলা ডেস্ক: বোলাররা ভারতকে আটকে রেখেছিলেন নাগালের মধ্যে। রান তাড়ায় ব্যাটিংয়ের শুরুটাও খারাপ ছিল না। কিন্তু রান তুলতে হাঁসফাঁস করতে করতে শেষ পর্যন্ত থামতে হয়েছে বেশ পেছনে থেকেই।

অনূর্ধ্ব–১৯ নারী এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের ১১৭ রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ ৪১ রানে হেরেছে।

কুয়ালালামপুরের বেউয়েমাস ওভালে রান তাড়ায় প্রথম ৬ ওভারে ২ উইকেটে ৩৫ রান ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু পরের ছয় ওভারে কোনো বাউন্ডারি তো আসেইনি, ওভারে ৬ রানও ওঠেনি। এ সময় বাংলাদেশ হারায় আরও ২ উইকেট।

এরপরও শেষ ৪৮ বলে দরকার ছিল ৬৩ রান, হাতে ৬ উইকেট ছিল বলে অসম্ভবও ছিল না। কিন্তু এ পর্যায়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ একেবারে ভেঙে পড়ে। ২৬ বলের মধ্যে ১৩ রান তুলতে শেষ ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ।

জয়ের সুযোগ থাকা ম্যাচে বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১৮.৩ ওভারে ৭৬ রানে। অথচ ইনিংসের বিরতিতেও ভালো সম্ভাবনা দেখছিল বাংলাদেশ।

৩১ রানে ৪ উইকেট নেন ফারজানা ইয়াসমিনএসিসি

টসে জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে প্রথম পাঁচ ওভারের মধ্যে ২৫ রানে ২ উইকেট তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। ভারত গঙ্গাদি তৃষা ও নিকি প্রসাদের তৃতীয় উইকেট জুটি থেকে ৪১ রান পেয়ে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায়। তবে শেষের দিকে বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ভারত আটকে যায় ৭ উইকেটে ১১৭ রানেই।

বাংলাদেশের পক্ষে ৩১ রানে ৪ উইকেট নেন পেসার ফারজানা ইয়াসমিন। নিশিতা আক্তার নেন ২ উইকেট।

তবে বোলারদের এই আনন্দ শেষ পর্যন্ত ব্যাটারদের ব্যর্থতায় মিলিয়ে গেছে।



আরও খবর



সিংড়ায় আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালিত

প্রকাশিত:বুধবার ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ১৩১জন দেখেছেন

Image

ফজলে রাব্বী : নাটোরের সিংড়ায় জাঁকজমকপূর্ণভাবে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালিত হয়েছে।

'প্রবাসী অধিকার আমাদের অঙ্গীকার, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ আমাদের সবার’ এ প্রতিপাদ্যে বিষয়কে নিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয় আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে ১০টায় এ দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি শেষে উপজেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

সিংড়া কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ ইঞ্জি. মো: রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, সিংড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাজহারুল ইসলাম

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সিংড়া মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি এম.এম রাজু আহমেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রবিন খান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আসাদ মোল্লা প্রমূখ।


আরও খবর



পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এমডি ও পিডিকে অপসারন সহ ৯ দফা দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ১৬জন দেখেছেন

Image

পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্লান্ট ম্যানেজারের অপসারণ সহ ৯ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে ভূমি অধিগ্রহনে ক্ষতিগ্রস্থরা। রবিবার দুপুর বারোটায় কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য রবিউল আউয়াল অন্তর,  বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাহবুবুল আলম নাঈম ও বিলকিস বেগম সহ আরো অনেকে।

বক্তারা, তাদের দাবি মানা না হলে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান ফটকে অবস্থান কর্মসূচি সহ আরো কঠোর কর্মসূচি পালনের হুশিয়ারি দেন।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নে ১ হাজার একর জমির উপর নির্মান করা হয় পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র। ভূমি অধিগ্রহনের সময় ক্ষতিগ্রস্থদের বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হওয়ায় তারা দীর্ঘদিন ধরে এসব কর্মসূচি পালন করে আসছে।


আরও খবর



সচিবালয়ের আগুন ৬ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৫ | ৭৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনে গভীর রাতে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে ছয় ঘণ্টা পর। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের ইন্সপেক্টর আনোয়ারুল ইসলাম।

 

এর আগে সকাল পৌনে ৭টার দিকে সচিবালয়ের সামনে ব্রিফিংয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বলেন, রাত ১টা ৫২ মিনিটে আমরা মেসেজ পাই সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুন লেগেছে। ১টা ৫৪ মিনিটের মধ্যে আমাদের ইউনিট পৌঁছে যায়। এ পর্যন্ত এখানে ১৯টি ইউনিট নিয়োজিত করা হয়েছে।

তবে ফায়ার সার্ভিসের বড় গাড়িগুলো প্রবেশ করতে না পারায় কাজে বেগ পেতে হয়েছে বলে জানান তিনি।

জাহেদ কামাল বলেন, সামনের গেইট ভেঙে দুটো গাড়ি প্রবেশ করিয়েছি। ৬, ৭, ৮, ৯ এই চারটি তলায় আগুন ধরেছে। 

রাতে আগুন লাগার পর কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় পুরো সচিবালয় এলাকা। সেনাবাহিনী, পুলিশ ও এপিবিএন সদস্যরাও পরে আগুন নেভানোর কাজে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের সঙ্গে যোগ দেন।

অগ্নিনির্বাপণের কাজে পানির লাইন দিতে গিয়ে সচিবালয়ের সামনের রাস্তায় ট্রাক চাপায় আহন হন মো. সোহানুর জামান নয়ন নামের একজন ফায়ার ফাইটার।

আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তার মৃত্যু হয় বলে ফায়ার সার্ভিসের ডিজি জানান।


আরও খবর



চিরিরবন্দরে আলুর ভালো ফলন ও দাম পেয়ে কৃষকেরা খুশি

প্রকাশিত:সোমবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ১২১জন দেখেছেন

Image

দিনাজপুর প্রতিনিধি : আগাম জাতের আলু তুলতে শুরু করেছেন দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার আলু চাষিরা। আবহাওয়া ভালো থাকায় ফলন ও বাজারদর ভালো পাওয়ায় আগাম জাতে আলু চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন কৃষকেরা। পাইকাররা জমি থেকে প্রতিকেজি আলু ৫০ টাকা দরে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দিনাজপুর জেলায় ৪৭ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে আগাম জাতের আলু চাষ হয়েছে ১১ হাজার হেক্টর জমিতে। এবার প্রতিহেক্টরে ফলন হয়েছে ১০-১২ মেট্রিক টন। 

চিরিরবন্দর উপজেলার ইসবপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ নগর গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, লাভের আশায় এক বিঘা জমিতে সাত জাতের আলু লাগিয়েছি। জমি থেকেই পাইকাররা আলু প্রতিকেজি ৫৬ টাকা দরে নিয়ে যাচ্ছেন। 

উপজেলার সাঁইতাড়া ইউনিয়নের কৃষক আশরাফুল ইসলাম বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে লাভের আশায় এক বিঘা জমিতে দুই জাতের আলু লাগিয়েছি। তবে আর ১০দিন আগে আলু তুলতে পারলে ৭০-৭৫ টাকায় বিক্রি করতে পারতাম। আমার জমি থেকে পাইকাররা প্রতিকেজি আলু ৫০ টাকা দরে নিয়ে যাচ্ছেন। ফলন ভালো হওয়ায় এ দামে আলু বিক্রি করেও ভালোই লাভ হচ্ছে।

কৃষক মো. জাকির হোসেন বলেন, তিন বিঘা জমিতে আগাম জাতের চার জাতের আলু চাষ করেছি। তিন বিঘা জমিতে সব মিলে খরচ হয়েছে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। তিন বিঘা জমির আলু বিক্রি করছি সাড়ে ৫ লাখ টাকায়। উৎপাদন খরচ বাদ দিয়েও আমার আড়াই লাখ টাকা লাভ হয়েছে। আমি প্রতিকেজি আলু ৬০ টাকা কেজি দরে  বিক্রি করেছি। আগাম আলুর ফলন গতবছরের তুলনায় বেশি ও দাম ভালো পাওয়ায় লাভ বেশি হয়েছে। 

কৃষক মোশাররফ হোসেন বলেন, এক বিঘা জমিতে আগাম জাতের আলু লাগিয়েছি। আলু বীজের দাম বেশি থাকায় এক বিঘা জমিতে ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আলু বিক্রি হবে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা। বীজের দামটা কম থাকলে আরও বেশি লাভ হতো।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মিনহাজুল হক নবাব বলেন, কৃষকরা ফসলের মাঠ থেকে আগাম জাতের আলু উত্তোলন শুরু করেছে। আলু চাষিদের কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সকল ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। আগাম জাতের আলুর ফলন তুলনামূলক কম হয়। তারপরেও এবার ফলন মোটামুটি ভালো হয়েছে। কৃষকরা বর্তমান বাজারে আলুর দাম বেশ ভালোই পাচ্ছেন। এরপরের মৌসুমে আগাম জাতের আলু লাগানোর জন্য কৃষকেরা উদ্বুদ্ধ হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জোহরা সুলতানা বলেন, চলতি মৌসুমে  উপজেলায় এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৪২৫ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন আগাম জাতের আলুর চাষ হয়েছে। ইতিমধ্যে সেভেন, স্ট্যারিক্স জাতের আলু উত্তোলন শুরু করেছেন কৃষকেরা। কৃষকেরা আগাম জাতের আলু ৬৫-৭০ দিনের মধ্যে তুলতে পারেন। সাধারণত হেক্টর প্রতি আগাম জাতের আলুর ফলন ১০-১২ মেট্রিক টন। তবে মাঠ পর্যায়ের কৃষকেরা যে আলু তুলছেন সেখানে আমরা দেখছি হেক্টর প্রতি ১২-১৫ মেট্রিক টন পর্যন্ত আলু উৎপাদন হয়েছে। কৃষকেরা বর্তমানে প্রতিকেজি আলু ৫০-৬০ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি করছেন। উৎপাদন খরচ বাদ দিয়েও তারা ভালো লাভ পাচ্ছেন।



আরও খবর