Logo
আজঃ শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3
শিরোনাম

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ঘোষণায় বাড়ছে চিন্তা, গভীর সংকটের পথে অর্থনীতি

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ২৬জন দেখেছেন

Image

বিশ্বব্যাপী শ্রমিকদের অধিকার ও তাদের মান উন্নয়ন নিয়ে সম্প্রতি একটি নতুন স্মারকপত্র সই করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বিশ্বজুড়ে যারা শ্রমিক অধিকার হরণ করবে, শ্রমিকদের ভয়ভীতি দেখাবে এবং আক্রমণ করবে, তাদের ওপর বাণিজ্য ও ভিসা নিষেধাজ্ঞাসহ নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। ওই স্মারক জারির ঘোষণা দেওয়ার সময় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের বক্তব্যে বাংলাদেশ প্রসঙ্গও চলে আসে। ব্লিংকেন বলেছেন, আমরা কল্পনা আক্তার নামে বাংলাদেশি এক গার্মেন্টকর্মীর মতো মানুষদের সঙ্গে থাকতে চাই।

এদিকে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে চলমান ডলার সংকট সম্প্রতি আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। সংকট সামাল দিতে গত অর্থবছরের শুরু থেকে আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপ করে সরকার। বিভিন্ন পণ্যের এলসি খোলা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এতে আমদানিতে তাৎক্ষণিক প্রভাব দেখা না গেলেও গত বছরের অক্টোবর থেকে প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। এর ফলে ক্রমাগতভাবে কমছে এলসি খোলার প্রবৃদ্ধি। ফলে আমদানি হ্রাস পাওয়ায় দেশে পণ্যের দামও হু হু করে বেড়ে চলেছে। এলসি খুলতে না পারায় দেশের বিভিন্ন বন্দর দিয়ে আমদানি-বাণিজ্য কমে গেছে। আমদানি কম হওয়ায় বেনাপোল কাস্টমস হাউজে রাজস্ব আদায়ে ধস নেমেছে।

অপরদিকে বিশ্বজুড়ে শ্রম অধিকার নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নীতি ঘোষণায় চিন্তিত ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে পোশাক খাতের ব্যবসায়ীদের মাঝে। চাহিদামতো এলসি খুলতে না পেরে এখন শিল্প কাঁচামাল, নিত্যপণ্য ও মূলধনী যন্ত্রপাতির মতো অত্যাবশ্যকীয় আমদানিও কমিয়ে দিয়েছেন অনেক উদ্যোক্তা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৪ মাসে (জুলাই-অক্টোবর) পণ্য আমদানিতে এলসি খোলা কমেছে ১১.২২ শতাংশ। এ ৪ মাসে পণ্য আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছে মোট ২ হাজার ১৮২ কোটি ডলারের। যেখানে গত অর্থবছরের একই সময় এলসি খোলা হয়েছিল প্রায় ২ হাজার ৪৬৬ কোটি ডলারের। এ সময় ব্যাংকগুলোর এলসি নিষ্পত্তিও কমেছে ২৪ শতাংশের বেশি।

এছাড়া ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ৪ মাসে ব্যাংকগুলো এলসি নিষ্পত্তি করেছিল ২ হাজার ৮৯৪ কোটি ডলারের। সেখান থেকে কমে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৪ মাসে তা নেমে এসেছে ২ হাজার ১৯৭ কোটি ডলারে। এছাড়া চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত একটানা ১২ মাস ধরে আমদানিতে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি চলে আসছে।

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম গণমাধ্যমকে বলেন, মূলধনী যন্ত্র ও কাঁচামাল দুটোরই আমদানি কমে গেছে। উৎপাদনের যে সক্ষমতা আছে, গ্যাস-সংকটের কারণে তাও ব্যবহার করা যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে অর্থনীতি বড় ধরনের সংকটের দিকে যাচ্ছে।

পণ্য আমদানিকারকরা জানান, এলসি খুলতে নানা ধরনের শর্ত দেওয়া হচ্ছে ব্যাংক থেকে। একদিকে উৎপাদন কমছে, অন্যদিকে মূল্যস্ফীতির কারণে ভোগ্যপণ্যের বিক্রিও কমছে।

দেশের পোশাক খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর বিধিনিষেধ ও ভিসানীতির পর শ্রম অধিকার ইস্যুকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া বক্তব্য এখন বড় শঙ্কার কারণ হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও পোশাক খাতের ন্যূনতম মজুরি নিয়ে শ্রমিক বিক্ষোভে পর ঘোষিত এ স্মারক এখন উদ্যোক্তাদের নতুন করে ভীত করে তুলছে।

প্রসঙ্গত, বিশ্বব্যাপী শ্রমিকদের অধিকারকে সক্রিয়ভাবে একীভূত ও উন্নত করার জন্য পাঁচ ধরনের কর্মপরিকল্পনা রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। এগুলো হচ্ছে—

প্রথমত: যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার, শ্রমিক, শ্রম সংগঠন, ট্রেড ইউনিয়ন, সুশীলসমাজ এবং বেসরকারি খাতের সঙ্গে মিলিতভাবে কাজ করবে, যাতে করে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শ্রম অধিকারকে সুরক্ষিত করা যায়। এর অংশ হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিয়োজিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ও দূতাবাসের কর্মীরা শ্রমিক ও শ্রম ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত হবে, যাতে তাদের কথা যুক্তরাষ্ট্রের কাজের মধ্যে প্রতিফলিত হয়। দ্বিতীয়ত: যারা শ্রমিকদের হুমকিধমকি দেবে, ভয় দেখাবে, শ্রম ইউনিয়নের নেতা, শ্রম অধিকারের পক্ষে কাজ করা ব্যক্তি, শ্রম সংগঠনের ওপর আক্রমণ করবে তাদের নিষেধাজ্ঞা, বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা এবং ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। তৃতীয়ত: দক্ষতাসম্পন্ন শ্রমিকদের জন্য চাকরির সুযোগ বাড়ানোকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিদেশে শ্রমিকদের অধিকার উন্নত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের সক্ষমতাকে বাড়ানো হবে। এজন্য শ্রমিকদের অধিকার সম্পর্কে মার্কিন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, তারা যাতে শ্রম অধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলো শনাক্ত করে তা প্রতিরোধ করতে পারে। চতুর্থত: যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশের সরকার এবং জাতিসংঘ, জি-২০-এর মতো বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কাজ করবে, যাতে শ্রম অধিকার এবং শ্রমমান উন্নত করা যায়। পঞ্চমত: যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব বাণিজ্য চুক্তি এবং সাপ্লাই চেইন যাতে শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে তার জন্য মার্কিন প্রচেষ্টা আরো বাড়ানো হবে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র জোরপূর্বক শ্রমে নিয়োজিত করার মাধ্যমে উত্পাদিত পোশাক আমদানি বন্ধ করবে।

তবে সম্প্রতি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র স্যাংশনের দেশ। ওরা (চাইলে) দিতে পারে। ওরা বড়লোক। আমাদের বাস্তবতার নিরিখে আমরা কাজ করবো। আমরা তো একদিনে যুক্তরাষ্ট্র হতে পারবো না। যুক্তরাষ্ট্র স্যাংশন দিলে বাংলাদেশের কিছু হবে না।


আরও খবর

আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম

শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩




ডেঙ্গুতে আরও ৭ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১০৯৪

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | ২৬জন দেখেছেন

Image

বুধবার সকাল ৮টা থেকে বুহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত (একদিনে) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নতুন করে আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। একইসঙ্গে এই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১০৯৪ জন। নতুন এসব শনাক্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৫৩ জন, আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৪১ জন।

২৩ নভেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৪ হাজার ১২৪ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ১ হাজার ১১১ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৩ হাজার ১৩ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।

চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৫ হাজার ৭৯২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ১ লাখ ৬ হাজার ৫২৪ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ লাখ ৯৯ হাজার ২৬৮ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩ লাখ ৯১ জন। ঢাকায় ১ লাখ ৪ হাজার ৪৯৫ এবং ঢাকার বাইরে ১ লাখ ৯৫ হাজার ৫৯৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১৫৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।


আরও খবর

একদিনে ৮৭৭ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ৭

বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩




নতুন ফসলে তিস্তা পাড়ের কৃষকের মুখে হাসি

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | ২০জন দেখেছেন

Image

স্বচ্ছ পানির নদী হিসেবে তিস্তার-ধরলার পরিচিতি। নাব্য সংকটে বর্ষায় অল্প পানিতেই উপচে পড়ে। ভাঙে ঘরবাড়ি, ক্ষেত-খামার। তবে শুষ্ক মৌসুমে সম্পূর্ণ বিপরীত। জেগে ওঠা চরগুলো ফুলে-ফসলে ভরে ওঠে। বাদাম, ভুট্টা, আলু, মিষ্টি কুমড়াসহ নানা ফসল চাষে ব্যস্ত ও মুখরিত সময় পার করেন চরের কৃষকরা। অন্যবারের তুলনায় এবার তারা আরও বেশি খুশি।

সিকিমের চুংথাং বাঁধ ভেঙে একদিনে ভেসে যায় তিস্তা। তখন দুর্গতির কমতি না থাকলেও এখন তিস্তা পাড়ে খুশি। ওই বন্যায় স্মরণকালের সব থেকে ঘোলাটে পানি আসে। পানি কমে গিয়ে তিস্তার চকচকে বালির ওপর ১ থেকে ৩ ফুট পর্যন্ত পলি জমেছে। আর এই পলিযুক্ত বালিতে অল্প সার, পানি ব্যবহার করেই ফলাচ্ছেন ফসল। ইতোমধ্যে চরে চাষকৃত আমনের ব্যাপক ফলন হয়েছে। বাদামসহ বেশ কিছু সবজি চাষেও মিলেছে সাফল্য। সম্ভাবনা দেখাচ্ছে আলু, ভুট্টা, তামাক, রসুন, মিষ্টি কুমড়াসহ অর্থকরী ফসলগুলো।

কৃষি অধিদফতরের মতে, গেলো রবি মৌসুমে ৮ হাজার ৫০০ হেক্টর চাষাবাদের আওতাভুক্ত ছিল। তবে তিস্তার চরে প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর চাষাবাদ যোগ্য জমি আছে। প্রতিনিয়ত নতুন চরকে চাষযোগ্য করা হচ্ছে। যেখানে শুধু বালি আছে সেখানে বিকল্প ব্যবস্থা করে চাষের আওতায় আনা হচ্ছে। রবিশস্য, ধান, পাট, আলু, বাদাম, ভুট্টা, পেঁয়াজ, মরিচ, ডাল এসব অর্থকরী ফসল চরাঞ্চলেই বেশি উৎপাদন হয়।

সদর উপজেলার খুনিয়াগাছের কৃষক মোফা মিয়া বলেন, ‘এবার নিচু কিছু স্থানে ২/৩ ফুট পলি জমেছে। বালুর ওপর এমন পলি আমার জীবনে দেখিনি। এবার যা-ই লাগানো হচ্ছে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নের কৃষক রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘এবার ভারতের বাঁধ ভেঙে অনেক বেশি ঘোলা পানি এসেছে। এমন ঘোলা পানি কখনও আসে নাই। সাদা বালু কালো হয়ে গেছে। এবার খুব ভালো ফলন হচ্ছে।’

একই ইউনিয়নের রাব্বানি আজিজার বলেন, ‘যেখানে কখনও ধান হতো না এবার সেখানে ধান হয়েছে। অন্যবার যে চরে সার-পানি দিয়ে বিঘায় ৬ মণ ধান হতো এবার সেখানে ১৮ থেকে ২০ মণ পর্যন্ত ধান হয়েছে।’

কালিগঞ্জের চর শৌলমারির কৃষক আব্দুর রহিম মিষ্টি কুমড়া লাগিয়েছেন ২৮ দিন আগে। এখন পর্যন্ত কোনও সার কীটনাশক প্রয়োগ করেননি। গাছ হৃষ্টপুষ্ট হয়ে ৪/৫ ফুট লম্বা হয়েছে। আশা করছেন এবার খুব কম খরচে বেশ ভালো ফল পাবেন।

ভোটমারি ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘চরে আমার দুই জায়গায় ৪ একর পর্যন্ত বালুতে মিষ্টি কুমড়া চাষ হচ্ছে। কৃষি উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে মিষ্টি কুমড়া ও তরমুজ চাষ হচ্ছে। তরমুজের সাথি ফসল হিসেবে ক্ষীরা চাষ হচ্ছে। এ ছাড়াও ভুট্টা, ধান, পেঁয়াজ, পেঁয়াজ বীজ, লাউ, গমসহ অন্যান্য ফসল চাষ হচ্ছে।’

মৃত্তিকা গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মশিউর রহমান বলেন, ‘উঁচু স্থান বা পাহাড় থেকে যে পানি আসে তা বিভিন্ন নিউট্রিয়েন্ট বা পুষ্টি নিয়ে আসে। বন্যার পানিতে কয়েকটি স্তর আছে। প্রথমত তিনটি স্তর; বালি, পলি, ফেনা। বালির ওজন বেশি হওয়াতে প্রথমে বালিটা পড়বে তারওপর পলি বা ঘোলা এবং তারওপর ফেনা। যেখানে শুধু বালি পড়বে সেখানে ভালো জমিও নষ্ট হয়ে যাবে। আর পলির সঙ্গে পানির যে ফেনা অংশ থাকে এটা পড়লে যেকোনও অনুর্বর জমি উর্বর হবে। এটা আশীর্বাদ। সাধারণত ১০ ইঞ্চি পর্যন্ত পলি জমে।’

লালমনিরহাট কৃষি দফতরের উপপরিচালক (শস্য) সৈয়দ সিফাদ জাহান বলেন, পলি প্রতি বছর পড়ে। এবার সিকিমের বন্যার পরে বেশি পড়েছে। এখন পর্যন্ত প্রতি হেক্টরে ৩ দশমিক ০২ মেট্রিক টন (চালের হিসাব) আমনের ফলন পাওয়া গেছে। চূড়ান্ত হিসাব এখনও করা হয়নি। পলি পড়ার ফলে প্রচুর মাইক্রো নিউট্রিয়েন্ট জমিতে থাকে। জমির অপুষ্টির লক্ষণ প্রকাশ না ঘটলে রাসায়নিক সার দিতে হবে না। তবে কিছু জমিতে মাটির কিছু খাদ্য উপাদান দিতে হতে পারে।


আরও খবর



বিএনপি এখন শেষ হওয়ার পথে: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৪০জন দেখেছেন

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ২৮ তারিখ সরকার তো যায় যায়। শেষ হয়ে গেছে? শেষ হয়ে যাচ্ছে তারা। বিএনপি এখন শেষ হওয়ার পথে।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) বিকাল ৪টার দিকে খুলনা সার্কিটহাউজ মাঠে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এখন শেষের পথে। ২৮ তারিখে মির্জা ফখরুল নয়াপল্টন থেকে দৌড়ে পালিয়েছে। তারা বেশি তর্জন গর্জন করতে গিয়ে নিজেদেরই পতন ডেকে যাচ্ছে। ঠিক কিনা বলেন? ইনশাআল্লাহ বিএনপির পতন অনিবার্য।

তিনি বলেন, তারা নাকি কী এক আরাফিকে ডেকেছে। এই আরাফি নাকি বিএনপির অবতার আর ভগবান। ভগবানকে ডেকে সরকারকে সেদিন হটাতে চেয়েছিল। পেরেছে? তাকে দিয়ে সরকার হটানো চক্রান্ত করেছে। সেই চক্রান্ত সফল হয়নি আল্লাহর রহমতে।

শেখ হাসিনার ওপর আল্লাহ’র আশীর্বাদ রয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখের বেটি শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রাখুন। ইনশাআল্লাহ আগামী জানুয়ারিতে আমরা মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধে বিজয়ী হব। শেখ হাসিনা আছেন, তিনি যতদিন আছেন, জনগণের সঙ্গে আছেন। আমাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই।


আরও খবর

হঠাৎ ডিবি কার্যালয়ে শামীম ওসমান

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




সেমিফাইনালে টস জিতে ব্যাটিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৩৬জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক : বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে স্বাগতিক ভারত। ফাইনালে ভারতের সঙ্গী হতে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নামছে অস্ট্রেলিয়া। ১৬ নভেম্বর কলকাতার ইডেন গার্ডেন স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রোটয়ারা।

বিশ্বকাপে টানা দুই জয় দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে হারে বড় অঘটনের শিকার হয়েছিল তারা। এরপর টানা চার জয় পায় প্রোটিয়ারা। তবে চলতি বিশ্বকাপে উড়তে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা নিজেদের সর্বশেষ ম্যাচে এই স্বাগতিক ভারতের কাছে হোঁচট খায়। পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয়স্থানে থেকে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে প্রোটিয়ারা। এবার সেমিফাইনালে জিতে 'চোকার্স' তকমা থেকে বের হতে চায় তারা। 

অপরদিকে, টানা দুই হার দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছিল পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। এরপর টানা সাত ম্যাচ জিতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে অজিরা। এই ম্যাচ জিতে হেক্সা জয়ের মিশনে আরেক ধাপ এগিয়ে যেতে চায় তারা।


আরও খবর

৩১৭ রানে অলআউট নিউজিল্যান্ড

বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩




আল্লাহ বিশ্ব জাহানের একমাত্র সৃষ্টিকর্তা

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৬৬জন দেখেছেন

Image

ইসলমিক ডেস্ক : এ দুনিয়ায় যা কিছু আছে এগুলোর কোনোটিই নিজে নিজে পয়দা হয়নি। সবকিছুরই একজন স্রষ্টা আছেন। সেই স্রষ্টা হলেন মহান রব্বুল আলামিন। তিনিই বিশ্বজাহানের একমাত্র সৃষ্টিকর্তা।

সৃষ্টির সেরা : সব সৃষ্টির মাঝে মানুষ হচ্ছে সবচেয়ে সুন্দর, সর্বাপেক্ষা জ্ঞানী ও বুদ্ধিমান এবং সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ মর্যাদার অধিকারী। মানুষকে এ শ্রেষ্ঠত্বদানের কথা উল্লেখ করে পবিত্র কোরআনে আল্লাহপাক ইরশাদ করেন : ‘নিশ্চয়ই আমি আদম সন্তানকে মর্যাদা দান করেছি, আমি তাদের স্থলে ও জলে চলাচলের বাহন দান করেছি; তাদের উত্তম জীবনোপকরণ প্রদান করেছি এবং তাদের অনেক সৃষ্টবস্তুর ওপর শ্রেষ্ঠত্বদান করেছি। (বনি ইসরাইল : ৭০)।

সৃষ্টিকুলের পরিমাণ অসংখ্য-অগণিত : অনেকে বলেন, আল্লাহতায়ালা সর্বমোট ১৮ হাজার মাখলুকাত সৃষ্টি করেছেন। অথচ সৃষ্টিকুলের মোট সংখ্যা কারও জানা নেই। বরং সৃষ্টিকুল হচ্ছে অসংখ্য, অগণিত। সুবৃহৎ কলেবরে সুদীর্ঘ ৩০ খণ্ডে সমাপ্ত এক অসাধারণ তাফসির গ্রন্থের লেখক প্রখ্যাত মুফাসসির আল্লামা তানতাভি (রহ.) স্বীয় তাফসির গ্রন্থের ভূমিকায় লিখেছেন; লোকেরা বলে যে, আল্লাহতায়ালা সর্বমোট ১৮ হাজার মাখলুকাত সৃষ্টি করেছেন। লোকদের এ কথা শুনে আমি আল্লাহর বিভিন্ন সৃষ্টি সংখ্যা গুনতে শুরু করলাম। এক এক করে গুনতে গুনতে ১০ লাখ পর্যন্ত পৌঁছেছি। কিন্তু তাতেও গণনা শেষ হয়নি। গণনার বাইরে আরও অসংখ্য মাখলুক রয়ে গেছে। যাই হোক, জল ও স্থলভাগের সব সৃষ্টির মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হচ্ছে মানুষ। আল্লাহ মানুষকে সবকিছুর ওপর শ্রেষ্ঠত্বদান করেছেন। সবকিছু সৃষ্টির চেয়ে মানুষকে সর্বাপেক্ষা সুন্দর হিসেবে সৃষ্টি প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা বলেন, আমি মানুষকে সুন্দরতম অবয়বে সৃষ্টি করেছি। (সুরা তীন : ৪)।

মানুষকে সর্বশেষে সৃষ্টি করার রহস্য : আল্লাহতায়ালা সবকিছু সৃষ্টির চেয়ে মানুষকে সর্বাধিক সুন্দর করে বানিয়েছেন। সবকিছু সৃষ্টি করার পর সর্বশেষে মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। কেননা অন্যান্য সৃষ্টিকে বানানো আল্লাহর মূল লক্ষ্য ছিল না বরং মানুষকে সৃষ্টি করাই ছিল আল্লাহর মূল লক্ষ্য। তাই মানবজাতি হচ্ছে আল্লাহতায়ালার মূল লক্ষ্যবস্তু। ওয়াজ মাহফিলে যেরূপ বক্তা এবং শ্রোতার আগমনের আগেই সভাস্থলে বিছানা বিছানো হয়, লাইটিং করা হয় এবং মাইকের ব্যবস্থা করা হয়, যাতে শ্রোতারা পাক-পবিত্র পরিবেশে বসে বক্তার মুখে কোরআন-হাদিসের কথা শুনতে পারে। যথাযথভাবে দীনি আলোচনা করা ও তা শ্রবণ করার সুবিধার্থে বক্তা এবং শ্রোতাদের সভাস্থলে উপস্থিত হওয়ার আগেই উপরোল্লিখিত আনুষঙ্গিক কাজগুলো করে রাখতে হয় এবং সভা শেষে বক্তা ও শ্রোতারা যখন সভাস্থল ছেড়ে নিজ নিজ গন্তব্যে চলে যান তখন সেই বিছানাপত্র উঠিয়ে ফেলা হয়, লাইট খুলে ফেলা হয় এবং মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। তদ্রুপ আশরাফুল মাখলুকাত মানুষকে সৃষ্টি করার আগেই তাদের বসবাসের জন্য এ পৃথিবীকে সৃষ্টি করা হয়েছে। মানুষের জন্যই চাঁদ, সূর্য গ্রহ-নক্ষত্র, পাহাড়-পর্বত, নদী-সাগর, আগুন পানি এবং আলো-বাতাস প্রভৃতি সৃষ্টি করা হয়েছে। মানুষের কল্যাণার্থে আনুষঙ্গিক সবকিছুকে সৃষ্টি করার পর আল্লাহপাক মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। চন্দ্র-সূর্যের নমুনা রূপে মানুষকে দুটি চক্ষুদান করেছেন। এ চন্দ্র-সূর্য না থাকলে শুধু চোখ দ্বারা দেখা আমাদের পক্ষে সম্ভব হতো না। আবার এক এক করে পৃথিবীর সব মানুষ যখন এ পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবে তখনো সেই ওয়াজ মাহফিলের ন্যায় সব সৃষ্টিকুল ধ্বংস হয়ে যাবে। সারকথা এ আসমান-জমিন, গ্রহ-নক্ষত্র, আগুন-পানি, আলো-বাতাস ও মাটি ইত্যাদি সবকিছুকে আল্লাহতায়ালা মানুষের জন্য সৃষ্টি করেছেন। আর মানুষকে সৃষ্টি করেছেন একমাত্র আল্লাহর ইবাদতের জন্য। অতএব মানুষ হচ্ছে আল্লাহর মূল সৃষ্টি ও প্রধান লক্ষ্যবস্তু। আর সৃষ্টিকুল হচ্ছে আনুষঙ্গিক গৌণমাত্র।

মানুষের অকৃতজ্ঞতা : সৃষ্টির সেরা হওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে আমরা কোনো দিন কোনো দরখাস্ত করিনি। কোনো প্রকার আবেদন-নিবেদন এবং দরখাস্ত ছাড়াই আল্লাহতায়ালা আমাদের তাঁর সব ধরনের নেয়ামত দান করেছেন। তিনি আমাদের বসবাসের জন্য উপযোগী বাসস্থানের ব্যবস্থা করেছেন, আমাদের রক্ষণাবেক্ষণ ও সব ধরনের রিজিকের ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, মানুষের প্রতি আল্লাহতায়ালা এ সীমাহীন অনুগ্রহ প্রদর্শন করা সত্ত্বেও তারা আল্লাহর সবচেয়ে বেশি নাশুকরী করছে। অন্য কোনো সৃষ্টি এভাবে আল্লাহর নাশুকরী করে না।

বাকশক্তি আল্লাহর দান : আল্লাহতায়ালা মানুষকে অসংখ্য নেয়ামত দান করেছেন। সুস্থ-সবল ও সুঠাম শরীর দান করেছেন। কিন্তু এতদসত্ত্বেও সে যদি কথা বলতে না পারত, তাহলে দুঃখের সীমা থাকত না।

তাই আল্লাহতায়ালা তাকে বাকশক্তি দান করেছেন, কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়া সত্ত্বেও কেউ যদি কথা বলতে না পারে, তবে তার মতো দুঃখী মানুষ দুনিয়ায় আর কেউ নেই। আমাদের আশপাশের বোবা মানুষগুলো কথা বলতে না পেরে কতইনা কষ্ট করে।

এ বাকশক্তি কোনো দোকানে বিক্রি হয় না। টাকা-পয়সায় কিনতে পাওয়া যায় না। পৃথিবীর সব মানুষ মিলেও কাউকে বাকশক্তি দান করতে পারবে না। এটা একমাত্র আল্লাহতায়ালার দান; মানুষের প্রতি আল্লাহর অসীম অনুগ্রহের অন্যতম।


আরও খবর