Logo
আজঃ শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24
শিরোনাম
বাকৃবির নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখবে ভারত সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার মানে অন্যরা কাজ করছে না: মির্জা ফখরুল সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স বাড়ছে ভারতের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ স্বৈরাচারদের প্রতি উদারতা দেখানোর কোনো প্রশ্নই আসে না : মো. নাহিদ ইসলাম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জুরি বোর্ড গঠন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে এ ফাউন্ডেশনে একশ’ কোটি টাকা অনুদান আহত-নিহতদের জন্য সেপ্টেম্বরের প্রথম ১৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৪ হাজার কোটি গাজীপুরে শ্রমিকদের বিক্ষোভে মহাসড়কে যানজট

১৬ উপদেষ্টা নিয়ে ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যাত্রা শুরু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | ১১৪জন দেখেছেন

Image


সদরুল আইনঃ


অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।


 বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় বঙ্গভবনে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।  


এদিন দুপুর ২টা ১০ মিনিটে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস থেকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফেরেন ড. ইউনূস। তাকে স্বাগত জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, অন্য দুই বাহিনীর প্রধান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।


অলিম্পিক কমিটির আমন্ত্রণে বিশেষ অতিথি হিসেবে প্যারিসে গিয়েছিলেন ড. ইউনূস। সেখানে তিনি চিকিৎসা নিয়েছেন, তার একটি ছোট অস্ত্রোপচার হয়েছে। 


ঢাকায় ফিরে প্রথম বক্তৃতায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করাই হবে আমার প্রথম কাজ। কারও ওপর কোনো হামলা যেন না হয়। দেশবাসী যদি আমার ওপরে বিশ্বাস রাখেন, ভরসা রাখেন, তাহলে নিশ্চিত করেন দেশের কোনো জায়গায় কারও ওপর হামলা হবে না।


তিনি বলেন, আজ আমাদের গৌরবের দিন। যে বিপ্লবের মাধ্যমে নতুন বিজয় দিবস সৃষ্টি করল তরুণেরা সেটাকে সামনে রেখে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। যারা এটা সম্ভব করেছে, যে তরুণ সমাজ তাদের প্রতি আমি আমার কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তারা বাংলাদেশকে রক্ষা করেছে। নতুন করে পুনর্জন্ম দিয়েছে।


ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর দেশ পরিচালনার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। 


গত মঙ্গলবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি। ওইদিন রাতে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধান ও ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হবেন ড. ইউনূস।


 বঙ্গভবনে শুরুতে প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শপথ পড়ান মো. সাহাবুদ্দিন। এরপর তিনি উপদেষ্টামণ্ডলীর ১৬ জনের মধ্যে ১৩ জনকে উপদেষ্টাকে শপথ বাক্য পাঠ করান। 



শপথ অনুষ্ঠানে ফারুক–ই–আজম, ডা. বিধান রঞ্জন রায়, সুপ্রদীপ চাকমা ঢাকার বাইরে থাকার কারণে উপস্থিত ছিলেন না। পরবর্তীতে তাদের শপথ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।


শুরুতে জাতীয় সঙ্গীতের মধ্যদিয়ে শপথ অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব হলেন মো. মাহবুব হোসেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণে এসময় ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।


এসময় সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীসহ আমন্ত্রিত ৪০০ জন অতিথি উপস্থিত ছিলেন।


উপদেষ্টা পরিষদে যে ১৬ জন রয়েছেন তারা হলেন:


 বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আসিফ নজরুল, মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।


এছাড়াও রয়েছেন: নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, পররাষ্ট্র ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সাবেক রাষ্ট্রদূত সুপ্রদীপ চাকমা, সরকারি সংস্থা উবিনীগের (উন্নয়ন বিকল্পের নীতি নির্ধারণী গবেষণা) নির্বাহী পরিচালক ফরিদা আখতার, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায়, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক নায়েবে আমীর আ.ফ.ম খালিদ হাসান, গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরজাহান বেগম, ব্রতী প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন মুরশিদ ও ফারুক–ই–আজম এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।


জানা যায়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় থাকবেন। তার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা। ভেতরে আসবাবপত্র নতুনভাবে বসানো হচ্ছে। এই কাজগুলো করছে গণপূর্ত অধিদফতর (পিডব্লিউডি)।


প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে এক-এগারোর পট পরিবর্তনের পর সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দীন আহমেদ যমুনায় ছি‌লেন।


এর আগে, ১৯৯৬ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি হাবিবুর রহমান এবং ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা লতিফুর রহমান তাদের দায়িত্বের দিনগুলো রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যুমনাতেই ছিলেন।



আরও খবর

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স বাড়ছে

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




৭-১০ দিনের মধ্যে জানা যাবে ঢাবির ক্লাস শুরুর তারিখ

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | ৮৩জন দেখেছেন

Image

 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্লাস শুরুর বিষয়ে সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট তারিখ জানানো হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান।  

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বাংলানিউজের সাথে আলাপকালে তিনি এই কথা বলেন।

 

উপাচার্য বলেন, ক্লাস শুরু করাটাই আমাদের সবচেয়ে বড় জরুরি। আমরা অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা ভিত্তিতে এটি করতে চাচ্ছি। অংশীজনদের পূর্ণমাত্রায় সমর্থন ছাড়া আমরা এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত নিতে পারি না।  

‘সেজন্য আমরা অত্যন্ত সিস্টেমেটিক মতবিনিময়ের মধ্য দিয়ে এখানে এসেছি। আমরা প্রায় শেষের পর্যায়ে আছি। আমাদের ডিনরা ও প্রভোস্টরা শূন্যপদ ছিল। তা আমরা পূরণ করেছি।  

তিনি বলেন, রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) আমাদের বিভাগীয় ও অফিস প্রধানদের সঙ্গে একটি মিটিং রয়েছে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিভিন্ন সংগঠন, সাংবাদিকদের সঙ্গে আমরা আলোচনা করব। আশা করা যায় এক সপ্তাহ থেকে দশদিনের মধ্যে একটা নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করতে পারব। আমরা সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে একটা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করব।

উপাচার্য বলেন, একবার কার্যক্রম শুরু করে দিতে পারলে বাকি অনেকগুলো আমাদের উন্নয়নের কাজ করব। ট্রমা ও সাইকোলজিক্যাল দিক থেকে শিক্ষার্থীদের সহায়তা করার পরিকল্পনা রয়েছে। ছাত্র-শিক্ষক পর্যায়ে কিছু দ্বন্দ্ব আছে, সেগুলো নিয়ে আমাদের পরিষ্কার পরিকল্পনা রয়েছে।  

সিন্ডিকেট পুনর্গঠন করা হবে কী না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সিন্ডিকেট পুনর্গঠনের মতো সময় আমাদের হাতে নেই। ক্লাস শুরু করাটা ইমার্জেন্সি। এটা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। এ মুহূর্তে সদস্য যারাই থাকুন না কেন, তারা এর গুরুত্ব অনুধাবন করবেন।  

সিন্ডিকেট পুনর্গঠনের মতো দীর্ঘমেয়াদি পদ্ধতিগত জটিলতা প্রক্রিয়ায় গেলে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার আরও দীর্ঘ হয়ে যেতে পারে। এজন্য এটাকেই (শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা) মৌলিক অ্যাজেন্ডা ধরে সবচাইতে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে চাই।


আরও খবর

শাবির নতুন ভিসি সারওয়ারউদ্দিন চৌধুরী

বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ডিসি নিয়োগের প্রজ্ঞাপন নিয়ে আপত্তি, বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা

প্রকাশিত:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৭০জন দেখেছেন

Image

দেশের ৫৯ জেলায় নতুন করে জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ নিয়ে ঘোর আপত্তি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বঞ্চিত 'বিএনপিপন্থি' হিসেবে পরিচিত কর্মকর্তারা। তাদের আপত্তির মুখে ডিসি নিয়োগের প্রজ্ঞাপন বাতিল হতে পারে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।এদিকে, আজ বেলা ১১টায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সদ্য নিয়োগ পাওয়া ডিসিদের একটি ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সেটি অনিবার্য কারণবশত স্থগিত করা হয়েছে। এজন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ডিসিদের পদায়ন হওয়া কর্মস্থলের উদ্দেশে যাত্রা করতে বারণ করা হয়েছে।

সোমবার এবং মঙ্গলবার দুই দিনে দেশের ৫৯ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দেওয়া হয়। এ পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে হট্টগোল করেন উপ-সচিব পর্যায়ের একদল কর্মকর্তা।এদিন দুপুরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব কে, এম, আলী আযম ও জিয়াউদ্দিনের কক্ষে হট্টগোল করেন তারা। বেলা ৩টায় বঞ্চিত কর্মকর্তারা এ দুই যুগ্ম সচিবের কক্ষ অবরুদ্ধ করে রাখেন। কর্মকর্তাদের রোষ থেকে নিজেকে বাঁচাতে যুগ্ম সচিব আলী আযম পাশের রুমের টয়লেটে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দেন। প্রায় ২ ঘণ্টা পর সিনিয়র কর্মকর্তারা সেখানে গিয়ে তাকে বের করে আনেন।


আরও খবর

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স বাড়ছে

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




গাজায় স্কুলে হামলা, জাতিসংঘের ৬ কর্মীসহ নিহত ১৮

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | ৭০জন দেখেছেন

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে আবারও একটি স্কুলে বর্বর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে কমপক্ষে ১৮ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৬ জন জাতিসংঘের কর্মী।

আহত হয়েছেন আরও ২০ জন। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী মধ্য গাজায় জাতিসংঘ-পরিচালিত আল-জাউনি স্কুলে বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে কমপক্ষে ১৮ জন নিহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, হামলায় ‘নারী ও শিশুদের ছিন্ন-ভিন্ন করা হয়েছে’।

ইসরায়েলের লাগাতার আগ্রাসনের কারণে হামলার শিকার স্কুলটিতে ফিলিস্তিনি শরণার্থী পরিবারগুলো আশ্রয় নিয়েছিল এবং স্কুলটি আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল। আল জাজিরা বলছে, নিহতদের মধ্যে ছয়জন ইউএনআরডব্লিউএ কর্মী। তাদের মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থাপকও রয়েছেন।

সংস্থাটি বলেছে, গত ১১ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা এই যুদ্ধে একক কোনও হামলার ঘটনায় এটিই তাদের কর্মীদের সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা।

এদিকে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস বলছে, মধ্য গাজা উপত্যকায় আশ্রয়কেন্দ্রে পরিণত হওয়া একটি স্কুলে বিমান হামলায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২০ জন। গত বছরের অক্টোবরে গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এনিয়ে পঞ্চমবারের মতো ইসরায়েলি বাহিনী এই আশ্রয়কেন্দ্রে বোমাবর্ষণ করল।

অন্যদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতির চেষ্টা চলছে। ভূখণ্ডটির স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস মধ্যস্থতাকারীদের বলেছে, তারা কোনো পক্ষের কাছ থেকে কোনো নতুন শর্ত ছাড়াই মার্কিন-প্রস্তাবিত ও জাতিসংঘ-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব বাস্তবায়ন করতে প্রস্তুত।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।



আরও খবর

পেজারের পর ওয়াকিটকি ল্যাপটপ বিস্ফোরণ লেবাননে

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বাংলাদেশের এই টেস্ট দলকে সেরা বলে মনে করছেন হার্শা

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | ২১জন দেখেছেন

Image

বাংলাদেশ–ভারত সিরিজ নিয়ে আগ্রহ–উত্তেজনা শুরু হয়ে গেছে আরও আগে থেকেই। প্রতিদিনই দুই দেশের সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটাররা এই সিরিজ নিয়ে কথা বলছেন। সম্প্রতি বাংলাদেশ পাকিস্তানকে তাদেরই মাটিতে টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাই করায় এবার সাকিব–মুশফিকরা ভারতীয়দের কাছ থেকে বাড়তি সমীহ পাচ্ছেন।সমীহ করাদের সেই তালিকায় এবার যুক্ত হয়েছেন হার্শা ভোগলে। ভারতের জনপ্রিয় এই ধারাভাষ্যকার বাংলাদেশিদের কাছেও পরিচিত নাম। বাংলাদেশের খেলা নিয়ে প্রায়ই তিনি প্রশংসা করে থাকেন।

এবার রোহিত–কোহলিদের বিপক্ষে সিরিজ সামনে রেখেও বাংলাদেশ দলের প্রশংসা করেছেন হার্শা। ভারতকে ফেবারিট মানলেও নাজমুলের দল দারুণ লড়াই করে সিরিজ জমিয়ে তুলবে বলে আশা তাঁর।

গতকাল রাতে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ৬৩ বছর বয়সী এই ধারাভাষ্যকার বলেছেন, ‘প্রথমত, ভারত আবারও বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানোয় আমি খুব খুশি। দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার হলো তারা (বাংলাদেশ) এমন একটি দল, যাদের নিয়মিত আমন্ত্রণ জানানো হয় না। তাদের কিছু পুরোনো সফরের ওপর নির্ভর করতে হয়। ২০১০ সালের পর তারা ইংল্যান্ডে কোনো টেস্ট খেলেনি। অস্ট্রেলিয়া তাদের মাত্র একবার (টেস্ট খেলতে) আমন্ত্রণ জানিয়েছিল, সেটাও ২০০৩ সালে এবং ডারউইনে (ও কেয়ার্নসে) খেলা হয়েছিল অসময়ে। আমি খুব খুশি যে ভারত এখানে দায়িত্ব নিয়েছে এবং ভারতের মাটিতে তাদের টেস্ট ম্যাচ খেলার সুযোগ দিয়েছে।’

দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সর্বশেষ ভারত সফরে গিয়েছিল প্রায় ৫ বছর আগে। ২০১৯ সালের সেই সফরেও তিনটি টি–টোয়েন্টি ও দুটি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। সফরে প্রথম টি–টোয়েন্টি জিতলেও এরপর হেরেছে সব ম্যাচ। বিশেষ করে টেস্ট সিরিজে ন্যূনতম প্রতিরোধও গড়ে তুলতে পারেনি। মুমিনুল হকের নেতৃত্বাধীন সেই দল দুই টেস্টেই হেরেছে ইনিংস ব্যবধানে।

তবে এবারের বাংলাদেশ দলকে আগের চেয়ে অনেক ভারসাম্যপূর্ণ মনে হচ্ছে হার্শার। সে কারণেই তাঁর আশা সাকিব–মুশফিকরা সিরিজটা জমিয়ে তুলতে পারেন, ‘ভারত অনেক এগিয়ে থেকেই শুরু করবে। তবে বাংলাদেশের কাছ থেকে আমি কিছুটা লড়াই প্রত্যাশা করছি। কারণ, এর আগে (ভারত সফরে) তাদের মধ্যে লড়াইয়ের মানসিকতা দেখিনি। তারা যদি লড়াই করতে পারে, তাহলে চমৎকার একটি টেস্ট সিরিজ হবে।’

ভারতে এবার বাংলাদেশ কেন ভালো করতে পারে, সেই ব্যাখাও দিয়েছেন হার্শা, ‘দীর্ঘ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের এই টেস্ট দলটিকেই আমার কাছে সেরা মনে হচ্ছে। প্রথম কারণ, তাদের পেস আক্রমণ। নাহিদ রানা সবচেয়ে রোমাঞ্চকর বোলারদের একজন। সম্প্রতি সে কী করেছে, আমরা জানি। হাসান মাহমুদের বলেও পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা ভুগেছে। হতে পারে এখানে (ভারতে) এটাই তাসকিন আহমেদের শেষ সুযোগ। সেও দেখাতে চাইবে, আমরা কেন তাকে অনেক বেশি মূল্যায়ন করে থাকি।’

বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপ নিয়ে হার্শার বিশ্লেষণ, ‘তাদের ব্যাটিংয়ের দিকে যদি তাকান, প্রথম ৮ জনের সবাই নিখাদ ব্যাটসম্যান। এদের মধ্যে দুজন স্বীকৃত উইকেটকিপার এবং দুজন পুরোদস্তুর স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার—একজন অবশ্যই সাকিব আল হাসান, অন্যজন মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরাজকে যতবারই দেখছি, সে শুধু উন্নতিই করে যাচ্ছে। লিটন দাস ও মিরাজকে দেখে আমার মনে এই অনুভূতি জন্মেছে যে তারা এখন অনেক বড় দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওদের ৫ থেকে ৮ নম্বর পজিশন যদি দেখেন, মুশফিকুর রহিম–সাকিব আল হাসান–লিটন দাস–মেহেদী হাসান মিরাজ, তারা সবাই যেখানে ব্যাট করতে পারত সেখান থেকে এক ধাপ নিচে ব্যাট করে। এটা একটা দলের ব্যাটিং গভীরতা ও শক্তির নির্দেশক। তবে প্রথম চারজনের কাছ থেকে তাদের আরও রান পেতে হবে।’



আরও খবর

ভারতের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সাকিব

বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪




চলমান পোলিও টিকা কর্মসূচির মধ্যেই হামলা গাজায়, একদিনে নিহত ২৭

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৮৭জন দেখেছেন

Image

স্থানীয় জনগণ এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত গাজার সব এলাকায় সংঘাত হয়েছে। উপত্যকার বৃহত্তম এবং ঐতিহাসিক শরণার্থী শিবির নুসেইরাতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন দুই নারী এবং দু’জন শিশু। গাজার বৃহত্তম শহর গাজা সিটিতে বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন ৮ জন এবং বাকি নিহতদের কেউ খান ইউনিস, কেউ রাফা, কেউ বা জেইতুনের বাসিন্দা।গত ১১ মাস ধরে গাজায় যুদ্ধ হচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী এবং হামাসের মধ্যে। এই যুদ্ধ থামানোর জন্য মাসের পর মাস ধরে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে মধ্যস্থতাকারী ৩ দেশ যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, মিসর এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। কিন্তু এখন পর্যন্ত গাজায় যুদ্ধাবসান ও শান্তি স্থাপনে যেসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তার প্রায় সবই ব্যর্থ। হামাস এবং ইসরায়েল— উভয়ই এ ব্যর্থতার জন্য পরস্পরকে দায়ী করছে।গত ১ সেপ্টেম্বর গাজা উপত্যকার শিশুদের জন্য পোলিও টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রতি বছর উপত্যকায় এই সময় শিশুদের পোলিও টিকা খাওয়ানো হয় হয় এবং পুরো কর্মসূচি তত্ত্ববধানের দায়িত্বে থাকে জাতিসংঘের তিন অঙ্গসংগঠন— বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও), ইউনিসেফ এবং ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক জাতিসংঘের সংস্থা আনরোয়া।টিকাদান কর্মসূচি শেষ হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন ৯ ঘণ্টা যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী এবং হামাস।প্রাথমিক ভাবে ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ সেপ্টেম্বর ছিল টিকাদান কর্মসূচির মেয়াদ। তবে ৩ সেপ্টেম্বর গাজার সীমান্তবর্তী শহর রাফায় আশ্রয় নেওয়া ফিলিস্তিনিরা জানান, সেখানকার অনেক শিশু টিকা পায়নি। তাই কর্মসূচির মেয়াদ আরও বাড়ানো হয়।শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় জাতিসংঘের সংস্থা আনরোয়া’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “গত ১ সেপ্টেম্বর টিকাদান কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় পোলিও টিকা খাওয়ানো হয়েছে প্রায় ৩ লাখ ৫৫ হাজার শিশুকে পোলিও টিকা খাওয়ানো হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য গাজার ১ থেকে ১০ বছর বয়সী সব শিশুকে টিকার আওতায় আনা। গাজায় বর্তমানে এই বয়সী শিশুদের মোট সংখ্যা ৬ লাখ ৪০ হাজারের বেশি।”




আরও খবর

পেজারের পর ওয়াকিটকি ল্যাপটপ বিস্ফোরণ লেবাননে

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪