Logo
আজঃ সোমবার ১৬ জুন ২০২৫
শিরোনাম

৭ বছর পর নিখোঁজ ছেলেকে ফিরে পেলেন মা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | ১০১জন দেখেছেন

Image

সাত বছর আগে ছেলেকে হারিয়ে ফেলেছিলেন মা হনুফা খাতুন (৬০)। ছেলে নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি। ভেবেছিলেন হারানো ছেলেকে মৃত্যুর আগে আর ফিরে পাবেন না। ফিরে পাওয়ার আশাও ছেড়ে দিয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত আদরের ছেলেকে ফিরে পেয়েছেন। রাজশাহীর বাগমারার কুমারপুর গ্রামের বাসিন্দা মামুনুর রশিদের প্রচেষ্টায় গতকাল বুধবার হারানো ছেলেকে ফিরে পেয়েছেন মা হনুফা।

মামুনুর রশিদ বলেন, ১৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের একটি সারের দোকানের সামনে এক যুবককে দেখতে পান তিনি। গায়ে ময়লা ও ছেঁড়া জামা। ট্রাউজার পরা অবস্থায় দোকানের বারান্দায় শুয়ে ছিলেন ওই যুবক। কাছে গিয়ে বুঝতে পারেন, ওই যুবক মানসিক প্রতিবন্ধী। যুবককে নিজ বাড়িতে নিয়ে খাবার দেন তিনি। খাওয়ার পর বাড়িতে আশ্রয় দেওয়া হয়। তাঁর পরিবারের সদস্যরা পরের দিন গোসল করিয়ে পোশাক পরিবর্তন করে দেন। যুবকের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হয়। তিনি কোনো কথা বলছিলেন না তিনি। হতাশ হননি তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তাঁর কলেজপড়ুয়া ছেলে ওই যুবকের সঙ্গে ভাব বিনিময়ের চেষ্টা অব্যাহত রাখেন। পরে ১৭ সেপ্টেম্বর যুবকের কাছে কলম ও সাদা কাগজ দিলে তিনি তাঁর নাম লেখেন হারুনুর রশিদ। সেই সঙ্গে তাঁর বাবার নাম: নজরুল ইসলাম, গ্রাম: কালাপাড়া, উপজেলা: নালিতাবাড়ী ও জেলা শেরপুর বলে উল্লেখ করেন।

ঠিকানা পাওয়ার পর যুবকের বিষয়ে খোঁজ নেওয়া শুরু করেন মামুনুর রশিদ। পরে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ কল করে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) মুঠোফোন নম্বর সংগ্রহ করেন। ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই যুবক সম্পর্কে জানান। ওসির মাধ্যমে কালাপাড়া গ্রামের এক গ্রাম পুলিশ সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন মামুনুর রশিদ। একপর্যায়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে হারুনের পরিচয় বিষয়ে নিশ্চিত হন। শেষ পর্যন্ত গতকাল বুধবার পরিবারের সদস্যদের কাছে হারুনকে হস্তান্তর করেন মামুনুর রশিদ।




আরও খবর



ঘোড়া কোরবানি করা নিয়ে ইসলাম যা বলে

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ মে 20২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | ১৬৩জন দেখেছেন

Image

ছয় ধরনের গবাদি পশু কোরবানি করা যায়; উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা। খাওয়া হালাল এমন যে কোনো পশু কোরবানি করা যায় না। যেমন হরিণের মাংস খাওয়া হালাল হলেও হরিণ কোরবানি করা যায় না। একইভাবে ঘোড়ার মাংস খাওয়া অনেকের মতে হালাল হলেও ঘোড়া কোরবানি করা যায় না। উট, গরু ও মহিষ এ তিন পশু কোরবানিতে সর্বোচ্চ সাত জন শরিক হতে পারে। অর্থাৎ একজন, দুজন, তিনজন থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ সাতজন ব্যক্তির পক্ষ থেকে একটি পশু কোরবানি যথেষ্ট হতে পারে। সে ক্ষেত্রে সাত জন ওই পশু কেনায় সমান শরিক হবে এবং সমানভাবে গোশতও ভাগ করে নেবে। ছাগল, ভেড়া, দুম্বা এ তিন পশু একজনের পক্ষ থেকে কোরবানি করা যায়। কোরবানি করার জন্য পশুর নির্দিষ্ট বয়সসীমা পার হওয়াও জরুরি। যে কোনো বয়সের পশু দিয়ে কোরবানি করা যায় না। উট কোরবানির জন্য তা কমপক্ষে ৫ বছরের হতে হবে। গরু ও মহিষ কমপক্ষে ২ বছরের হতে হবে। ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা কমপক্ষে ১ বছরের হতে হবে। ভেড়া ও দুম্বা যদি ১ বছরের কিছু কমও হয়, কিন্তু এমন হৃষ্টপুষ্ট হয় যে, দেখতে ১ বছরের মতো মনে হয় তাহলে তা দ্বারাও কোরবানি করা জায়েজ। এ রকম ক্ষেত্রে ভেড়া ও দুম্বার বয়স কমপক্ষে ৬ মাস হতে হবে। উল্লেখ্য যে, ছাগলের বয়স ১ বছরের কম হলে কোনো অবস্থাতেই ওই ছাগল দিয়ে কোরবানি জায়েজ হবে না।


ঘোড়ার মাংস খাওয়ার বিধান কী?

ঘোড়ার মাংস হালাল এবং তা খাওয়া সাধারণভাবে জায়েজ। কিন্তু ঘোড়া যেহেতু এক সময় বাহন হিসেবে ব্যবহৃত হতো, যুদ্ধে ব্যবহৃত হতো, তাই ব্যাপকভাবে ঘোড়ার মাংস খাওয়া হলে বাহন হিসেবে বা যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য ঘোড়ার সংকট দেখা দিতে পারে এই আশঙ্কায় ইমাম আবু হানিফা (রহ.) ঘোড়ার গোশত খাওয়াকে মাকরুহ বা অপছন্দনীয় বলেছেন। কারণ খাদ্যের চেয়ে বাহন হিসেবে ঘোড়ার উপযোগিতা ও প্রয়োজনীয়তা বেশি। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে ঘোড়াকে বাহন হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَّ الۡخَیۡلَ وَ الۡبِغَالَ وَ الۡحَمِیۡرَ لِتَرۡكَبُوۡهَا وَ زِیۡنَۃً وَ یَخۡلُقُ مَا لَا تَعۡلَمُوۡنَ

তিনি ঘোড়া, খচ্চর ও গর্দভ সৃষ্টি করেছেন যাতে তোমরা ওগুলোতে আরোহণ করতে পার আর শোভা-সৌন্দর্যের জন্যও; তিনি সৃষ্টি করেন অনেক কিছু যা তোমাদের জানা নেই। (সুরা নাহল: ৮)


বর্তমান সময়ে ব্যাপকভাবে ঘোড়ার মাংস খেলে যদি বাহন হিসেবে বা যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য ঘোড়ার সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাহলে ইমাম আবু হানিফার (রহ.) মত অনুযায়ী ঘোড়ার মাংস খাওয়া মাকরুহ বা অপছন্দনীয় বিবেচিত হবে। এ ছাড়া হানাফি মাজহাবের অন্য দুই বড় ইমাম আবু ইউসুফ (রহ.) ও মুহাম্মাদ (রহ.) এবং অন্যান্য মাজহাবের ইমামগণ ঘোড়ার মাংস খাওয়াকে পুরোপুরি হালাল বলেছেন। তাদের মতের পক্ষে কিছু হাদিস পাওয়া যায়। জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) খায়বারের দিন গৃহপালিত গাধার মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ করেছিলেন এবং ঘোড়ার মাংস খাওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন। (সহিহ বুখারি: ৩৯৮২, সহিহ মুসলিম: ১৯৪১)


আসমা বিনতে আবু বকর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা আল্লাহর রাসুলের (সা.) যুগে একটি ঘোড়া জবাই করে তা খেয়েছিলাম। (সহিহ বুখারি: ৫১৯১, সহিহ মুসলিম: ১৯৪২)


জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমরা আল্লাহর রাসুলের (সা.) সঙ্গে সফর করেছিলাম। ওই সফরে আমরা ঘোড়ার মাংস খেতাম এবং তার দুধ পান করতাম। (দারাকুতনি ও বায়হাকি)


আরও খবর



মিনায় দায়িত্ব পালন করবে ১৮ টি টীম বাংলাদেশি হাজীদের সেবায়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ জুন ২০২৫ | ৩১জন দেখেছেন

Image

 বুধবার থেকে শুরু সৌদি আরবে শুরু হচ্ছে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা। ৮ জিলহাজ্ব হজযাত্রীরা মিনার উদ্দেশে রওয়ানা হবেন। বাংলাদেশি হাজীদের সেবায় মিনায় দায়িত্ব পালন করবে ১৮ টি টীম।

মঙ্গলবার সৌদি আরবের মক্কা আল মোকাররমায় বাংলাদেশ হজ অফিস হতে এসকল টীম গঠন সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে।

সোমবার হজ মনিটরিং কমিটির সভায় হজযাত্রীদের হজ পালন সহজ ও নিরাপদ করার লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব অর্পণ করে বিভিন্ন টীম গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ সিদ্ধান্তের আলোকেই কাউন্সিলর (হজ) এই আদেশ জারি করেন।

সরকারি মাধ্যমে আগত হজযাত্রীদেরকে মিনায় পৌঁছানো ও হজ শেষে মিনা থেকে তাদের হোটেলে ফেরত আনার জন্য চারটি টীম গঠন করা হয়েছে। এই চারটি টীমে দায়িত্ব পালন করবে ১০ জন কর্মকর্তা। হজযাত্রীদের পথনির্দেশ ও প্রয়োজনীয় সহায়তায় মিনার ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিয়োজিত থাকবে ছয়টি টীম। এই ছয়টি স্থানে তিন শিফটে কারিগরি ও প্রশাসনিক সহায়তাকারী টীমের ৮৭জন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দায়িত্ব পালন করবেন।

বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের তাবু পরিদর্শনে গঠন করা হয়েছে আটটি দল। ২৩ সদস্যবিশিষ্ট এই দলসমূহ স্বতন্ত্রভাবে মিনার ৫ নম্বর জোনে বিভিন্ন সেবা প্রদানকারী কোম্পানির তাবুসমূহ পরিদর্শন করবেন।

উল্লেখ্য, এ বছর বেসরকারি হজ এজেন্সিসমূহ তাদের মাধ্যমে নিবন্ধিত হজযাত্রীদের সেবায় আটটি সেবা প্রদানকারী কোম্পানির সাথে চুক্তি করেছে। কোম্পানিসমূহ হলো রাউয়াফ মিনা, ইসওর আল মাশায়ের, এম বাই মিলেনিয়াম, রেহলাত মানাফে, একরাম আদ দইউফ, মাশারিক আল মুতামাইজাহ, ফ্লাইনাস ও আল রিফাদাহ।


আরও খবর



সুন্দরবনে শিকারিদের ফাঁদ ভেস্তে দিল বন বিভাগের অভিযান, আটক ২

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ | ৭১জন দেখেছেন

Image

মোঃ কামরুল ইসলাম টিটু 

        স্টাফ রিপোর্টার

পূর্ব সুন্দরবনের কোকিলমোনি এলাকার ছোট ময়নার খালে বন বিভাগের টহল অভিযানে হরিণ শিকারের অভিযোগে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। সোমবার (২৬ মে) রাতের অভিযানে একটি কাঁকড়া ধরার নৌকায় তল্লাশি চালিয়ে দুটি হরিণের কাটা মাথা, শিকারে ব্যবহৃত ফাঁদ এবং ২৬টি কাঁকড়া ধরার যন্ত্র উদ্ধার করা হয়। এছাড়া একটি ডিঙ্গি নৌকাও জব্দ করা হয়েছে।

আটককৃতরা হলেন বাগেরহাটের মোংলার উত্তর চাঁদপাই এলাকার বাসিন্দা মামুন (৩৫) ও আব্দুর রহিম (২১)। অভিযানের সময় নৌকায় থাকা আরও একজন গভীর বনে পালিয়ে যায়।

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, “অনেকেই বৈধ কাঁকড়া আহরণের ছুতোয় সুন্দরবনে প্রবেশ করলেও প্রকৃতপক্ষে তারা হরিণ শিকার করে মাংস পাচার করছে। এই ধরনের অপরাধ রোধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

আটকদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং মঙ্গলবার (২৭ মে) সকালে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।



আরও খবর



গাইবান্ধা স্টেশন মাস্টারকে মারপিটে যুবক স্ত্রীসহ গ্রেফতার : কারাগারে প্রেরণ

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ | জন দেখেছেন

Image

মোঃ জিল্লুর  রহমান গাইবান্ধা প্রতিনিধি

গাইবান্ধা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার আবুল কাশেমকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে আনোয়ারুল হক ও তার স্ত্রী মহিমা বেগমকে গ্রেফতার করেছে রেলওয়ে পুলিশ। রোববার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোনারপাড়া রেলওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম তালুকদার। আনোয়ারুল হক কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোহাম্মদ আলীর ছেলে। তারা কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকায় যাচ্ছিলেন।

জানা গেছে, শনিবার দুপুরে ঢাকাগামী লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব মেটাতে গেলে স্টেশন মাস্টার আবুল কাশেম ও এক যুবকের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, স্টেশনের প্লাটফর্মের নিচে রেললাইনের উপর ট্রেনের পাশে এক যুবক ও স্টেশন মাস্টার একে অপরকে কিল-ঘুষি ও লাথি মারছেন। এসময় ওই যুবকের স্ত্রীও সেখানে এগিয়ে আসেন।

স্থানীয়রা জানান, প্রকাশ্যে এমন মারধরের ঘটনার পর অভিযোগ উঠেছে, ঘটনাটি স্টেশনে উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের সামনে ঘটলেও তারা তাৎক্ষণিকভাবে এগিয়ে আসেননি। স্টেশন মাস্টার ও রেলওয়ে পুলিশের গায়ে পোশাক থাকলে হয়তো এ ধরনের ঘটনা ঘটতো না। একজন সরকারি কর্মকর্তার সাথে এ ধরনের আচরণ অপ্রত্যাশিত ও অগ্রহণযোগ্য। তারা তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

বোনারপাড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম তালুকদার মুঠোফোনে জানান, ঘটনার পর স্টেশন মাস্টার একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করলে অভিযুক্ত আনোয়ারুল হক ও তার স্ত্রীকে বগুড়া-সান্তাহার রুটে চলন্ত লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে গ্রেফতার করা হয়। দুপুরে তাদেরকে গাইবান্ধা আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়।



আরও খবর



কারাগার থেকে ২শ’ জনেরও বেশি বন্দী পালিয়ে গেছে পাকিস্তানের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ জুন ২০২৫ | ৪১জন দেখেছেন

Image

পাকিস্তানের বন্দর নগরী করাচিতে গতকাল সোমবার ধারাবাহিক ভূমিকম্পের পর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার পর একটি কারাগার থেকে ২শ’ জনেরও বেশি বন্দী পালিয়ে গেছে। সরকারি কর্মকর্তারা একথা জানিয়েছেন। 

করাচি থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

মঙ্গলবার সিন্ধু প্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জিয়া-উল-হাসান লাঞ্জার সাংবাদিকদের বলেছেন, ভূমিকম্পের পর যখন কয়েকজন পালানোর চেষ্টা করে তখন মালির কারাগারে ৬শ’ জনেরও বেশি বন্দীকে তাদের নিরাপত্তার জন্য অন্য একটি বিভাগে স্থানান্তরিত করা হচ্ছিল। এসময় ২১৬ জন পালিয়ে যায়।

করাচিতে জেল সুপারিনটেনডেন্ট আরশাদ শাহ সাংবাদিকদের বলেছেন, এখন পর্যন্ত ৮৭ জন পলাতক বন্দীকে পুনরায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি আরো বলেছেন, ‘বাকি ১২৯ জন বন্দীকে পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চলছে।’

লাঞ্জার সাংবাদিকদের জানান, সোমবার রাতে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলায় একজন বন্দী নিহত এবং কারাগার ও পুলিশ কর্মীসহ আরো ২২ জন আহত হয়েছেন।

সিন্ধু প্রদেশের পুলিশ প্রধান গোলাম নবী মেমন বলেছেন, বেশিরভাগ বন্দির বিরুদ্ধে মাদকের অভিযোগ এবং অন্যান্য ছোটখাটো মামলা রয়েছে।

মেমন বলেছেন, কর্তৃপক্ষের কাছে ঠিক কারা পালিয়েছে তার তথ্য আছে এবং তারা তাদের ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবে।

তিনি বলেছেন, ‘কেন এবং কীভাবে এটি ঘটেছে তা তদন্ত করে দেখা হবে।’

সিন্ধু প্রদেশের তথ্যমন্ত্রী শারজিল ইনাম মেমন বলেছেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কারাগারে ফিরে আসলে বন্দিরা সরকারি পদক্ষেপ থেকে নিরাপদ থাকবেন। কিন্তু যারা তা করবে না তাদের কঠোর শাস্তির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। 


আরও খবর

গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ১০

বৃহস্পতিবার ০৫ জুন ২০২৫