Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম

আদালতে কাঁদলেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী

প্রকাশিত:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৮৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দেওয়া বক্তব্য ও সে সময় আদালতে হয়রানির অভিযোগ তুলে ধরতে গিয়ে সর্বোচ্চ আদালতে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন তার আইনজীবী। বিএনপির আইন সম্পাদক ও খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সর্বোচ্চ আদালতে বক্তব্য দেওয়ার সময় কান্না করে ফেলেন।


বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয় রেফাত আহমেদের নের্তৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে এই মামলা বাতিল আবেদনের ওপর তৃতীয় দিনের মতো শুনানি চলছিল। পরে এ মামলার অপর আসামি কাজী সালিমুল হক কামাল (ইকোনো) কামালের আপিল শুনানির জন্য প্রস্তুত না হওয়ায়, আদালত আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শুনানি মূলতবি করেন। ওইদিন এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে।



বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ আদালতে এ মামলায় বিচারিক আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন করে খালেদা জিয়ার দেওয়া বক্তব্য পড়ে শোনানা ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।


ওই বক্তব্যে খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘প্রায় ৩ যুগ আগে মানুষের ডাকে ও ভালোবাসায় সাড়া দিয়ে আমি রাজনীতির অঙ্গনে পা রাখি। সে দিন থেকেই বিসর্জন দিয়েছি নিজের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনের সুখ-স্বাচ্ছন্দ। আমি রাজনীতিতে যোগ দিয়ে দেশে ও জনগণের ভাগ্যের সঙ্গে নিজের ভাগ্যকে একাকার করে ফেলেছি। আমার নিজের কোনো পৃথক আশা-আকাঙ্ক্ষা নেই। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাই আমার আশা আকাঙ্ক্ষায় পরিণত হয়েছে। আমার জীবন পুরোপুরি জড়িয়ে গেছে এদেশের মানুষের স্বপ্ন ও প্রত্যয়ের সঙ্গে। তারে সুখ-দুঃখ ও উত্থান পতনের সঙ্গে।’



তিনি আরও বলেছিলেন, ‘দেশ জাতি যখন সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছে, আধিকার হারিয়েছে, বিপন্ন হয়েছে তখন আমিও নানাভাবে আক্রান্ত হয়েছি। আমার পরিবারও পড়েছে নানামুখী সমস্যা সংকটে। বারবারই প্রকাশ হয়েছে যে বাংলাদেশ ও এদেশের জনগণের ভাগ্যের সঙ্গে আমার নিজের ও আমার পরিবারের ভাগ্য একসূত্রে গাথা হয়ে গেছে।’ এই বক্তব্য তুলে ধরার সময় কায়সার কামালের চোখে জল চলে আসে। যখন অশ্রুসিক্ত নয়নে তিনি এই বক্তব্য তুলে ধরছিলেন তখন পুরো আদালত কক্ষে পিনপতন নীরবতা।


আত্মপক্ষ সমর্থনে খালেদা জিয়ার য়ো দীর্ঘ বক্তব্যের অংশ বিশেষ তুলে ধরে আপিল শুনানিতে কায়সার কামাল বলেন, ২০১৮ সালে আমাদের প্রতিকূল অবস্থার মধ্য দিয়ে বিশেষ আদালতে এই মামলার শুনানি করতে হয়েছে। ১০/১২ জন আইনজীবীকে ভেতরে যেতে অনুমতি দিত। এমনকি সিনিয়র আইনজীবীরা আদালতের কাছে অনুনয় বিনয় করে খালেদা জিয়াকে বসার জন্য অনুমতি চাইতেন। আমরা পিঁড়ি নিয়ে আদালতে যেতাম। সেই ভয়াবহ অবস্থার মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়ার পক্ষে আমাদের আইনি লড়াই চালাতে হয়েছে।


তিনি বলেন, খালেদা জিয়া তো দেশের কোনো সাধারণ নাগরিক নন। তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। স্বাধীনতার ঘোষকের স্ত্রী। সিনিয়র সিটিজেন হিসাবে যে আচরণ তার প্রতি করার দরকার ছিল দুকের তৎকালীন পিপি মোশাররফ হোসেন কাজল সেটা করেননি। খালেদা প্রতি তীর্যক মন্তব্য করেছেন বিচার চলাকালে। আমারে প্রত্যাশা দেশের সর্বোচ্চ আদালত থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন ন্যায়বিচার পাবেন। মামলায় আনীত অভিযোগের সঙ্গে যার কোনো বিন্দুমাত্র সম্পৃক্ততা নাই সেই মামলায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে। যা ছিল অন্যায়।


সিনিয়র অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, বিশেষ আদালত বিচারের নামে অবিচার করেছে। আপিল বিভাগের কাছে আবেদন ওই আদালতের রায় বাতিল করে খালেদা জিয়াকে খালাস দেওয়া হোক। শুধু খালেদা জিয়াই নয় অন্যান্য আপিলকারী ও আপিল করেনি তাদেরও খালাস দেওয়ার আবেদন করছি।


রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও দুদকের পক্ষে মো. আসিফ হাসান শুনানি করেন। এদিকে মামলার দণ্ডিত আসামি কাজী সালিমুল হক কামালের আপিল শুনানির জন্য প্রস্তুত না হওয়ায় আগামী ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেছে আপিল বিভাগ।


আদালতে আপিলের পক্ষে ছিলেন আরও শুনানিতে ছিলেন, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, বদরুদ্দোজা বাদল ও রুহুল কুদ্দুস কাজল। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী গাজী কামরুল ইসলাম সজল, মাকসুদ উল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।


এর আগে ১১ নভেম্বর খালেদা জিয়াকে আপিলের অনুমতি দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া সাজার রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করেছিলেন আপিল বিভাগ। পরে খালেদা জিয়া আপিল করেন। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত। পরে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ওই বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া আপিল করেন। একই বছরের ২৮ মার্চ খালেদার সাজা বৃদ্ধি চেয়ে দুদকের করা আবেদনে রুল দেন হাইকোর্ট। সাজা বৃদ্ধিতে দুদকের আবেদনে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার সাজা পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করেন। এছাড়া পাঁচ বছরের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে খালেদা জিয়া এবং ১০ বছরের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে কাজী কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের আপিল খারিজ করেন আদালত।


এদিকে ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের ৭ নম্বর কক্ষে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান একটি রায় দেন। রায়ে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সাজা হয়েছে মামলার অপর তিন আসামিরও।


পরে একই বছরের ১৮ নভেম্বর ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া। পরে শুনানি শেষে হাইকোর্ট গত নভেম্বরে আপিল মঞ্জুর করে খালেদা জিয়াসহ সবার সাজা বাতিল করে দেন। যদিও এ দুই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি।


এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের দাবি, বিএনপি চেয়ারপারসনের দণ্ড মওকুফ করা হয়েছে। তারপরও আপিল শুনানি কেন? আমরা বলেছি, তিনি (খালেদা জিয়া) আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। রাষ্ট্রপতি মওকুফ করেছেন। সেখানে ক্ষমার কথা আছে। খালেদা জিয়া ক্ষমার প্রতি বিশ্বাসী নন। তিনি অপরাধ করেননি। তিনি ক্ষমাও চাননি। তাই এটা আইনগতভাবে মোকাবিলা করতে আইনজীবীদের নির্দেশ দিয়েছেন।


আরও খবর



কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৩৮জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন মুখপাত্র হলেন নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান। তিনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বর্তমান মুখপাত্র হুসনে আরা শিখার স্থলাভিষিক্ত হন। বুধবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

আরিফ হোসেন সহকারী পরিচালক পদে ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগদান করেন। তিনি মোহাম্মদপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, নটর ডেম কলেজে এইচএসসি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জিওগ্রাফি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট সাইন্সে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে তিনি নিউপোর্ট ইউনিভার্সিটি ঢাকা ক্যাম্পাসে এমবিএ ডিগ্রি নেন।

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র পদ থেকে নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হককে সরিয়ে দেওয়া হয়। পরে সেখানে নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখাকে নিযুক্ত করা হয়। হুসনে আরা শিখা রাজশাহীতে বদলি হওয়ায় নতুন মুখপাত্র নিয়োগ দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।


আরও খবর

৬ দফায় কত বাড়ল স্বর্ণের দাম?

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




সাত কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত থাকছে না

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৬৮জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক : ২০২৪-২০২৫ সেশন থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত থাকছে না রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ। সোমবার সাত কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বৈঠকে শেষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।

তিনি বলেন, সাত কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের সম্মানজনক পৃথকীকরণের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এই মুহূর্ত থেকে নতুন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সাত কলেজের কোনো ভর্তি নেয়া হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আছেন তাদের বিষয়ে ঢাবি দায়িত্বশীল থাকবে।

এর আগে, বেলা ১২টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে বিকেল চারটার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ পদত্যাগ না করলে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেন ঢাবি অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি মোহম্মদ সজীব উদ্দিন জানান, রোববারের সংঘর্ষের ঘটনায় তাদের অন্তত ৪৪ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি সুমাইয়া আক্তার বলেন, দ্রুত হামলাকারীদের বিচারের আওতায় আনার পাশাপাশি তাদের ছয় দফা দাবি বাস্তবায়ন না করা হলে তারা কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।

সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা দাবিগুলো হলো:

ঢাকা কলেজসহ সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংঘাতের দায় নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে এবং প্রো-ভিসি মামুন আহমেদকে পদত্যাগ করতে হবে।

ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী রাকিবকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলাসহ ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের ওপর নিউমার্কেট থানা পুলিশের ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনায় এসি, ওসিসহ জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করে তদন্ত সাপেক্ষে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

ঢাবি শিক্ষার্থী কর্তৃক ইডেন কলেজ ও বদরুন্নেসা কলেজসহ সাত কলেজের নারী শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য এবং অশালীন অঙ্গভঙ্গির সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সাত কলেজের একাডেমিক এবং প্রশাসনিক সম্পর্কের চূড়ান্ত অবসান ঘটিয়ে তা বাতিল করে শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপরেখা প্রণয়ন করতে হবে।

উল্লেখ্য, রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, এদিন বিকেলে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ৫ দফা দাবির অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে ঢাবি প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি তাদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন। পরে রাত ১১টার দিকে মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যের বাসভবন অভিমুখে যাত্রা করে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত অন্যান্য কলেজের শিক্ষার্থীরা। মিছিল প্রতিরোধ করতে জড়ো হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। নীলক্ষেত মোড়ে মুখোমুখি অবস্থান নেয় দুই পক্ষ। এরপর শুরু হয় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও পাল্টা-পাল্টা ধাওয়া। রাত ১টার দিকে ঘটনাস্থলে আসেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান তিনি। রাত ৩টা পর্যন্ত চলা সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে রূপ নেয় নীলক্ষেত মোড়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দফায় দফায় টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ। পরে এলাকায় ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়।


আরও খবর



ভোলায় সাংবাদিক মুনসুরের উপর হামলার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৪২জন দেখেছেন

Image

মো কামরুল হোসেন সুমন : ভোলায় সাংবাদিক মুনছুর আলম এর উপর সন্ত্রাসী হামলা ও টাকা ছিনতাই এর প্রতিবাদ এবং চিহ্নিত সন্ত্রাসীদেরকে গ্রেফতার এবং শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সকালে ভোলা প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা, ভোলা জেলা শাখা আয়োজনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা ভোলা জেলা শাখার সভাপতি আবদুস শহিদ তালুকদার, ভোলা টাইমস পত্রিকার সম্পাদক মোঃ আলী জিন্নাহ, মোহনা টিভির জেলা প্রতিনিধি মোঃ জসিম রানা, দৈনিক ভোলাটাইমস্ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক আরিফুর ইসলাম রিয়াজ, এশিয়ান টিভির স্টাফ রিপোর্টার এন এম আলম সহ অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ।


আরও খবর



ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পাষণ্ড স্বামীর হাতে গৃহবধূ খুন

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ২১জন দেখেছেন

Image

শফিকুল হক শাকিল : ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইলে পাষণ্ড স্বামীর হাতে শেখ তানিয়া বেগম (৪০) নামে পাঁচ সন্তানের জননী নিহত হয়েছেন৷ মঙ্গলবার  রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই গৃহবধূ মারা যায়। সোমবার রাতে উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের মনিবাগ গ্রামে এই নির্মম ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে ঘাতক স্বামী উজ্জল মিয়া পলাতক রয়েছেন। 

নিহতের সন্তান ও স্বজনরা জানান, উজ্জল বিভিন্ন সময় তানিয়ার উপর কোন কারন ছাড়াই মারধর করত। সোমবার রাতে  উজ্জ্বল ঘরে এসে দরজা বন্ধ করে ভারি বস্তু দিয়ে তানিয়ার উপর পৈশাচিকভাবে নির্যাতন চালায়। রাতভর তাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে । এ সময় ছেলে- মেয়েরা বাধা দিলে তাদেরকেও মারধর করা হয়। পরে মঙ্গলবার দিনভর তানিয়াকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পরে তানিয়ার বড় মেয়ে জয়া ৯৯৯ ফোন দিয়ে পুলিশকে অবগত করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তানিয়াকে আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সার্জারী বিভাগে ভর্তি করে। সেখানে তানিয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে মারা যায়। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটি ঘাতক উজ্জলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। 

সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, ৯৯৯ খবর পেয়ে তানিয়াকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানে হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘাতক স্বামীকে আটক করতে পুলিশের অভিযান চলছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। 


আরও খবর



দ্বার খুললো অমর একুশে বইমেলার

প্রকাশিত:শনিবার ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৫৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি: ক্যালেন্ডারের পাতা ঘুরে এসেছে ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি। এ মাসের সাথে জড়িয়ে আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্যের অনেককিছু। প্রতিবারের মতো এবারও সেই ভাষার মাসে শুরু হলো অমর একুশে বইমেলা।

এবারের মেলা শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় বাংলা একাডেমিতে উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস। প্রতিপাদ্য ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান: নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ’।

জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এতে শ্রদ্ধা জানানো হয় ভাষা সংগ্রামী, মুক্তিযুদ্ধ, গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ, আহত ও অংশগ্রহণকারী সবার প্রতি।

বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তরুণদের আত্মত্যাগ বিশ্বকে চমকে দিয়েছে। এবারের বইমেলা নতুন তাৎপর্য নিয়ে আমাদের সামনে এসেছে। বরকত সালাম রফিক জব্বারের বুকের রক্তে যে অঙ্গিকার মাখা ছিলো তাতে ছিলো জুলাই অভ্যুত্থানকে নিশ্চিত করার মহাবিস্ফোরক শক্তি। এ সময় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের প্রতিও শ্রদ্ধা জানান তিনি।

সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, দেশের সংস্কৃতি উন্নয়নে বাংলা একাডেমির সংস্কার প্রয়োজন। বাংলা একাডেমিকে চলমান সংস্কৃতির কেন্দ্রস্থল তৈরিতে কাজ করবে সংস্কার কমিশন। পরে, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪ প্রদান করা হয়। পুরস্কার প্রাপ্তদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন প্রধান উপদেষ্টা।

এবারের বইমেলায় মোট প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ৭০৮টি, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১৯৯টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৬০৯টি; মোট ইউনিট ১০৮৪টি। ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। রাত সাড়ে ৮টার পর নতুন করে কেউ মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন না। ছুটির দিন বইমেলা চলবে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।


আরও খবর

প্রধান উপদেষ্টার আয়নাঘর পরিদর্শন

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

এপ্রিল হতে পারে ইউনূস-মোদি সাক্ষাৎ

মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫