Logo
আজঃ সোমবার ১৬ জুন ২০২৫
শিরোনাম

আফগানিস্তানে বোমা হামলায় নিহত ৬

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | ১০৯জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণের কারণে ছয়জন নিহত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী এ হামলার দায় স্বীকার করেনি। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানায়।

দেশটির পুলিশ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ ঘটনায় আরও ১৩ জন আহত হয়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার বিকেলে, দক্ষিণ কাবুলের কালা-ই-বখতিয়ার এলাকায় এ আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে কাবুল পুলিশ। এর আগে, ২০২১ সালে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে তালেবান। তারপর থেকে দেশটিতে সন্ত্রাসবাদীদের হামলার সংখ্যা কমেছে। তবে, হঠাৎ করে কেন এই হামলা, সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি দেশটির সরকার।


আরও খবর

গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ১০

বৃহস্পতিবার ০৫ জুন ২০২৫




প্রথমবার এসি কেনার সময় যেসব বিষয়গুলো লক্ষ রাখতে হবে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ | ৯৯জন দেখেছেন

Image

গ্রীষ্মের দাবদাহে এসি আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। অনেকে আবার নতুন এসি কিনতে চাচ্ছেন। এসি ব্যবহারের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা হচ্ছে বিদ্যুৎ খরচ। তবে সঠিকভাবে এসি ব্যবহারে খুব বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয় না। যারা নতুন এসি কিনবেন তারা বেশ কিছু বিষয় খেয়াল রাখুন। এতে খুব ভালো মানের এসি যেমন কিনতে পারবেন। তেমনি আপনার জন্য যেটা প্রয়োজন সেটাই কিনতে সুবিধা হবে। আসুন কোন বিষয়গুলো নজর রাখবেন দেখে নিন-

 সাইজ বা এসির মাপ বাছাই করুন প্রথমেই। আসলে এসির সাইজ নির্ভর করবে আমাদের ঘরের মাপের উপরেই। ছোট্ট ঘরের জন্য একটা ১ টন এসিই যথেষ্ট। আর বড় ঘরের জন্য আদর্শ হলো ১.৫ টন থেকে ২ টন এসি।

 ঘর ছোট্ট আকৃতির হলে উনন্ডো এসিই যথেষ্ট। আর এটি ইনস্টল করাও বেশ সহজ। কিন্তু বড় ঘরের জন্য আদর্শ হল স্পিল্ট এসি। আর এর থেকে আওয়াজও তেমন বেরোয় না।

এসি কেনার সময় এর স্টার রেটিং দেখে নেওয়া জরুরি। কারণ ৫-স্টার রেটিং এসি বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে। আর দীর্ঘ সময়ের জন্য তা বিদ্যুতের বিলের বোঝাও অনেকাংশে কমিয়ে দেয়।

 নিজের বাজেট অনুযায়ী এসির দাম ধার্য করা উচিত। এর পাশাপাশি ইনস্টলেশন এবং রক্ষণাবেক্ষণের খরচের বিষয়টাও মাথায় রাখতে হবে। আর এসি কেনার জন্য সব সময় অফারের জন্য অপেক্ষা করে যাওয়া উচিত। কারণ উৎসবের মরশুমে এসির উপর প্রচুর ডিসকাউন্ট বা ছাড় পাওয়া যায়।

 ভালো ব্র্যান্ডের এসি কিনতে হবে। যা ভালো ওয়ারেন্টি এবং ভালো পরিষেবা প্রদান করতে পারে। ভবিষ্যতে এই বিষয়টিই নানা রকম সমস্যা থেকে বাঁচিয়ে দিতে পারে।

 বর্তমানে প্রায় সব এসিতেই একাধিক অ্যাডভান্সড ফিচার দেখা দেয়। এর মধ্যে অন্যতম হলো ওয়াই-ফাই কানেক্টিভিটি, অটো ক্লিন এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ফিল্টার ইত্যাদি। নিজের প্রয়োজন বা চাহিদা অনুযায়ী ফিচার বেছে নিতে হবে।

 এসি কেনার ক্ষেত্রে সবার আগে অনলাইন রিভিউ এবং রেটিং দেখে নেওয়া আবশ্যক। এতে প্রোডাক্টের গুণমান এবং পারফরম্যান্স নিয়ে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।


আরও খবর

দেশে চালু হতে যাচ্ছে ‘গুগল পে’

বৃহস্পতিবার ২৯ মে ২০২৫




প্রায় ৬০ কোটি টাকার টোল আদায় ঈদের ছুটিতে পদ্মা ও যমুনা সেতুতে

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ | জন দেখেছেন

Image

ঈদের ছুটিতে পদ্মা ও যমুনা সেতুতে প্রায় ৫৯ কোটি ৭৭ লাখ ২৯ হাজার ৫০ টাকার টোল আদায় করা হয়েছে।

সেতু বিভাগের সচিব এম আব্দুর রউফ জানান, ঈদুল আজহার ছুটিতে পদ্মা ও যমুনা সেতু পারাপারের ক্ষেত্রে সর্বাধিক যানবাহন দেখা গেছে।

তিনি বলেন, সেতু পারাপারের সময় কমানোর লক্ষ্যে সেতুগুলোতে ইলেকট্রনিক টোল সংগ্রহ (ইটিসি) পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।

সচিব বলেন, আমরা ছয়টি সংস্থার সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছি, যাতে যানবাহনগুলো অ্যাপের মাধ্যমে টোল পরিশোধ করে দ্রুত সেতু পার হতে পারে।

সূত্র জানায়, ৫ জুন পদ্মা ও যমুনা সেতু তাদের সর্বোচ্চ দৈনিক টোল সংগ্রহ ও যানবাহন পারাপারের রেকর্ড করেছে।

এই ঈদের ছুটিতে দেশের বৃহৎ সেতু দুটি থেকে বিপুল পরিমাণ টোল আদায় করা হয়েছে।

পদ্মা বহুমুখী সেতু কর্তৃপক্ষ ৫ জুন সর্বোচ্চ ৫ কোটি ৪৩ লাখ ২৮ হাজার টাকার টোল আদায় করেছে। 
একই দিনে যমুনা সেতু থেকে ৪ কোটি ১০ লাখ ৮০ হাজার ৯৫০ টাকার টোল আদায় করা হয়েছে।

৫ জুন, যমুনা সেতু দিয়ে ৬৪ হাজার ২৮৩টি যানবাহন এবং পদ্মা সেতু দিয়ে ৫২ হাজার ৪৮৭টি যানবাহন অতিক্রম করে।


আরও খবর



ধোনী, আমলা ও স্মিথের সাথে আইসিসির হল অব ফেমে সানা মির

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ জুন ২০২৫ | ১৯জন দেখেছেন

Image

ভারতের মাহেন্দ্র সিং ধোনী, দক্ষিণ আফ্রিকার হাশিম আমলা ও গ্র্যায়েম স্মিথসহ আরো সাত ক্রিকেটার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের হল অব ফেমে জায়গা করে নিয়েছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন পাকিস্তান নারী দলের অধিনায়ক সানা মির।

এই তালিকায় আরো রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান ম্যাথু হেইডেন, নিউজিল্যান্ডের ড্যানিয়েল ভেট্টরি ও ইংল্যান্ডের সারা টেইলর। নারী ক্রিকেটে অবদানের জন্য সানা মির ও সারা টেইলরকে স্বীকৃতি দিয়েছে আইসিসি। 

পাকিস্তানের প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে আইসিসি হল অব ফেমে জায়গা করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন সানা মির। ২০০৫ সালে অভিষেকের পর পাকিস্তানের হয়ে ১২০টি ওয়ানডে এবং ১০৬টি টি২০ খেলেছেন। এর মধ্যে ৭২টি ওয়ানডে এবং ৬৫টি টি২০ ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেছেন।

২০১০ ও ২০১৪ সালে এশিয়ান গেমসে পাকিস্তানের স্বর্ণপদক জয়ে অধিনায়ক ছিলেন সানা মির। নিয়েছেন ১৫১ উইকেট। ২০১৮ সালে ওয়ানডে বোলারদের র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থানেও ছিলেন সানা মীর।

ভারতের সাবেক অধিনায়ক ধোনি ২০০৭ সালে প্রথম টি২০ বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক। ২০১১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ উপহার দেন ভারতকে। দুই বছর পর ২০১৩ সালে তার নেতৃত্বে ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয় করে। তিনি একমাত্র অধিনায়ক যার অধীনে ভারত আইসিসির তিনটি সাদা বলের ট্রফিই জিতেছে। তার অধীনে ভারত টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষেও উঠেছিল।

প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটার হিসেবে আমলা টেস্টে ত্রিপল সেঞ্চুরি করেছিলেন। ২০১২ সালে ওভালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি ৩১১ রান সংগ্রহ করেছিলেন। 

সব ফরম্যাট মিলিয়ে তিনি ৫৫টির বেশি আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি করেছেন। গ্রায়েম স্মিথ ১০৯টি টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার নেতৃত্ব দেন, যার মধ্যে ৫৩টি জয় পেয়েছেন। একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে ১০০টিরও বেশি টেস্টে অধিনায়কত্ব করেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ১৫০টি ওয়ানডেতেও অধিনায়ক ছিলেন গ্রায়েম স্মিথ, যা তাদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

সারাহ টেইলর ছিলেন ইংল্যান্ড নারী দলের ২০০৯ সালের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম কান্ডারি। তিনি ২০১৭ সালে ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালে ৪৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। অসাধারণ উইকেটকিপিংয়ের জন্য খ্যাত টেইলর সব ফরম্যাটে মিলিয়ে ২৩২টি ডিসমিসাল করেছেন।


আরও খবর



প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করবেন না

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | ১১৪জন দেখেছেন

Image

প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়ব শুক্রবার ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন, 

“প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করবেন না। অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের ক্ষমতা প্রয়োজন নেই, কিন্তু বাংলাদেশের জন্য, বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনের জন্য ড. ইউনূস স্যারের দরকার আছে। বরং ক্যাবিনেটকে আরও গতিশীল হতে হবে। সরকারকে আরও বেশি ফাংশনাল হতে হবে, উপদেষ্টাদের আরও বেশি কাজ করতে হবে, দৃশ্যমান অগ্রগতি জনতার সামনে উপস্থাপন করতে হবে- এ ব্যাপারে কোনও দ্বিমত থাকতে পারে না। আমাদের দেখাতে হবে, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে জনতার সম্মতিতে ক্ষমতায় এসে ড. ইউনূস সাফল্য দেখিয়েছেন। আমি মনে করি, সরকারকে এখন থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে আলোচনায় বসতে হবে, নিয়মিত বসে এবং বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মতামত চাইতে হবে। কোনও ধরনের বিচ্ছিন্নতা কাম্য নয়।”

সেনাবাহিনী রাজনীতিতে নাক গলাতে পারবে না মন্তব্য করে প্রধান উপদেষ্টার এই বিশেষ সহকারী লেখেন, “আজকের দুনিয়ায় কোনও সভ্য দেশের সেনাবাহিনী রাজনীতি করে না। তাই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের বক্তব্যে সেনাপ্রধান জুরিশডিকশন কারেক্টনেস রক্ষা করতে পারেনি। তবে সেনাবাহিনীকে প্রাপ্য সম্মান দেখাতে হবে, আস্থায় রাখতে হবে। সেনাবাহিনী প্রশ্নে হুট করে কিছু করা যাবে না। তেমনি, ইনক্লুসিভনেস নাম করে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনও চাওয়া যাবে না। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের গর্ব এবং আস্থার জায়গা- সেটা কেউ ভঙ্গ করবে না।”:

দরকারি প্রস্তুতি শেষ করে নির্বাচন এপ্রিল-মে’র কোনও সময়ে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করে তিনি আরও লেখেন, “এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। এসময়ে সব যৌক্তিক সংস্কার শেষ করতে হবে, করতে হবে জুলাই সনদ। তবে ডিসেম্বর থেকে জুনে দেওয়া রোডম্যাপ মতে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার এখতিয়ার শুধুমাত্র স্যারের। স্যারের এখতিয়ার অন্য কেউ হাইজ্যাক করতে পারবে না।”

ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, “আমরা জাতীয়ভাবে জুলাই-আগস্ট দুমাস জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তির উদযাপন করবো, ইনশাল্লাহ। এবং আগস্টের মধ্যেই স্বৈরাচারী খুনি হাসিনার বিচারের প্রথম রায়টি আলোর মুখ দেখতে পাবে বলেও আশা প্রকাশ করি। ইনশাআল্লাহ আমরা হারবো না, আমাদের হারানো যাবে না।”


আরও খবর



গাজা যুদ্ধ: ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি, পশ্চিমা চাপ ও নেতানিয়াহুর জবাব

প্রকাশিত:বুধবার ২১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | ১১০জন দেখেছেন

Image

গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের ভয়াবহতা এবং তাতে আন্তর্জাতিক উদ্বেগের মাত্রা আরও বাড়ছে। সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের পক্ষ থেকে এমন ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে, গাজায় যুদ্ধ বন্ধ না হলে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার করা হতে পারে। একইসঙ্গে ব্রিটেন, কানাডা ও ফ্রান্সের নেতারাও সরাসরি ইসরায়েলকে নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছেন। এই প্রেক্ষাপটে টালমাটাল হয়ে উঠছে মধ্যপ্রাচ্যের কূটনৈতিক আবহাওয়া।

সোমবার (১৯ মে) ওয়াশিংটন পোস্ট এক প্রতিবেদনে জানায়, ট্রাম্প প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, “ইসরায়েল যদি গাজায় যুদ্ধ বন্ধ না করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তার পাশে থাকবে না।” প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিনিধি দলের মাধ্যমে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে এ সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।

তবে এই দাবিকে “হাস্যকর” ও “অমূলক” বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন মার্কিন প্রশাসনের এক প্রভাবশালী কর্মকর্তা। তিনি বলেন, “মতপার্থক্য থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র কখনো ইসরায়েলকে ত্যাগ করবে না।” ইসরায়েলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হাকাবিও এই বক্তব্যকে ‘অর্থহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।

এদিকে হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লিভিট জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গাজায় যুদ্ধ বন্ধের পক্ষে এবং সেখানে মানবিক বিপর্যয় এড়াতে চান। তিনি বলেন, “মানুষ সেখানে অনাহারে মরছে, ভয়ংকর মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট এর অবসান চান।”

এর আগেও গোপন আলোচনার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল থেকে ইসরায়েলি বংশোদ্ভূত মার্কিন সেনা এডান আলেকজান্ডারকে মুক্ত করে এনেছে। এই আলোচনায় ইসরায়েলকে সম্পৃক্ত না করায় বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় নেতানিয়াহু সরকারের ভেতরেও।

অন্যদিকে আন্তর্জাতিক মহল থেকেও চাপ বাড়ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গত সোমবার ব্রিটেন, কানাডা ও ফ্রান্স এক যৌথ বিবৃতিতে গাজায় চলমান সামরিক অভিযান ও ত্রাণপ্রবাহে বাধা দেওয়ায় ইসরায়েলের সমালোচনা করে। তারা সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলে, “মানবিক সহায়তা বাধাগ্রস্ত করা অগ্রহণযোগ্য এবং এটি আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘনের শামিল। প্রয়োজনে আমরা ব্যক্তিবিশেষ বা সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করব।”

এই তিন দেশ ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে এবং দ্বিরাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধানের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। তারা গাজায় দ্রুত মানবিক সহায়তা প্রবাহের দাবি জানায়।

তবে এই বক্তব্যের জবাবে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, “লন্ডন, অটোয়া ও প্যারিসের নেতারা ৭ অক্টোবর হামলার পর ইসরায়েলের আত্মরক্ষাকে উপেক্ষা করে সন্ত্রাসীদের পুরস্কৃত করছে। এভাবে তারা ভবিষ্যতের আরও রক্তপাতকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “ইসরায়েল যতক্ষণ না পূর্ণ বিজয় অর্জন করছে, ততক্ষণ যুদ্ধ চলবে। আমরা হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ এবং সব জিম্মির মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত পিছু হটব না।”

প্রসঙ্গত, ইসরায়েলের লাগাতার হামলায় গাজায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে। সেখানে খাদ্য, পানি, ওষুধ ও চিকিৎসাসেবা মারাত্মকভাবে সংকটাপন্ন। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ পর্যন্ত নিহত হয়েছে প্রায় ৫৩ হাজার মানুষ, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় গাজার সব বাসিন্দা।

এই ভয়াবহতার মধ্যেই বিশ্বজুড়ে ক্রমেই বাড়ছে ইসরায়েলের ওপর চাপ। মানবাধিকার লঙ্ঘন, যুদ্ধাপরাধ ও মানবিক সঙ্কটের দায়ে ইসরায়েলকে বিচ্ছিন্ন করার পথে হাঁটছে অনেক পশ্চিমা দেশ। আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে এই ঘটনাগুলো বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।


আরও খবর

গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ১০

বৃহস্পতিবার ০৫ জুন ২০২৫