Logo
আজঃ শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম
বাকৃবির নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখবে ভারত সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার মানে অন্যরা কাজ করছে না: মির্জা ফখরুল সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স বাড়ছে ভারতের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ স্বৈরাচারদের প্রতি উদারতা দেখানোর কোনো প্রশ্নই আসে না : মো. নাহিদ ইসলাম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জুরি বোর্ড গঠন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে এ ফাউন্ডেশনে একশ’ কোটি টাকা অনুদান আহত-নিহতদের জন্য সেপ্টেম্বরের প্রথম ১৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৪ হাজার কোটি গাজীপুরে শ্রমিকদের বিক্ষোভে মহাসড়কে যানজট

আগামী তিন দিন বন্ধ থাকবে ব্যাংক

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১১১জন দেখেছেন

Image



বিডি বাংলা ডেস্কঃ


আগামী তিন দিন (সোম-মঙ্গল-বুধবার) বন্ধ থাকবে ব্যাংক। আজ রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


তিনি বলেন, সরকারের নির্বাহী আদেশে সারা দেশে তিন দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এসময় সব ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।



এদিকে, বিকালে দেশে চলমান উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সোমবার থেকে তিন দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। 


 





আরও খবর

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স বাড়ছে

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ফেনী, কুমিল্লা ও নোয়াখালীতে বন্যার কারণ সম্পর্কে যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ আগস্ট 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | ১২০জন দেখেছেন

Image



স্টাফ রিপোর্টারঃ


ভারী বৃষ্টি ও ভারতের উজানের পানিতে বন্যাকবলিত হয়েছে দেশের ১১টি জেলা। বন্যায় এখন পর্যন্ত দুইজন নারীসহ ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৪৮ লাখের বেশি মানুষ।


এসব জেলার মধ্যে ফেনী জেলার মানুষের কাছে এবারের বন্যা একদিকে যেমন আকস্মিক অন্যদিকে অকল্পনীয়। শুধু ফেনী নয়, এর পাশের জেলা কুমিল্লা, নোয়াখালী এবং চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে বন্যা আগ্রাসী রূপ ধারণ করেছে। বহু জায়গায় বন্যার পানি ঘরের চাল ছুঁয়েছে কিংবা উপচে গেছে।



ভারত সীমান্তের লাগোয়া এসব জেলায় এই বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে নানা বিশ্লেষণ চলছে। এই জেলাগুলোর বাসিন্দারা বলছেন, এসব জেরায় সচরাচর বন্যা হয় না। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এই অঞ্চলগুলোতে সচরাচর বন্যা না হবার তথ্যটি সঠিক নয়।


বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ভারতের আসাম ও মেঘালয়ে অতিবৃষ্টি একটি বড় কারণ হলেও এর বাইরে আরও কিছু উপাদান এসব বন্যার পেছনে কাজ করছে। যেমন, নদীর পানি বহনের ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাওয়া। ওই অঞ্চলের নদীগুলোর নাব্যতা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় মেঘালয় বা আসাম থেকে আসা বৃষ্টির অতিরিক্ত পানি নদী পথে হাওর থেকে বের হয়ে মেঘনা বা যমুনা হয়ে বঙ্গোপসাগরে চলে যেতে পারে না।


 সেই সঙ্গে, সিলেটসহ হাওর এলাকার অপরিকল্পিত উন্নয়নকেও এর জন্য দায়ী করেন অনেকে।


বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বন্যার এমন ভয়াবহতার কারণ সম্পর্কে পানি সম্পদ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ আইনুন নিশাত বলেন, ৩০ বছর আগেও কুমিল্লা ও ফেনীতে প্রতি বছর বন্যা হতো। বন্যার কারণে গোমতীকে বলা হতো কুমিল্লার দুঃখ।


 এখন বন্যা না হবার কারণ হচ্ছে বাঁধ পানি ধরে রাখে। এই বাঁধটা ভারত করেছিল তাদের উপকারের জন্য, তাতে আমাদেরও কিছু উপকার হয়েছিল।


আইনুন নিশাত বলছেন, সারা মাসে যে পরিমাণ বৃষ্টি হবার কথা, অগাস্ট মাসের মাঝের তিনদিনে তার চেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া ত্রিপুরা মিজোরামসহ বাংলাদেশের ওই অঞ্চলে যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে তা যদি ঢাকায় হতো, তাহলে ঢাকার ৮০ শতাংশ এলাকা ডুবে যেত। ফলে বন্যার জন্য অতিবৃষ্টির বিষয়টিকেই গুরুত্ব দেওয়া যায়।


বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানিয়েছেন, কুমিল্লা, ফেনী ও চট্টগ্রামে ‘বন্যা একেবারে হয় না, তাও না’। তবে অন্য বছরগুলোর তুলনায় এবছর বন্যা বেশি হয়েছে।


তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে কুমিল্লাতে অত বড় বন্যা হয়নি। কিন্তু ফেনী, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজারে সাধারণত বন্যা হয়। এ বছর বড় পরিসরে বেশি এলাকাজুড়ে বন্যা হয়েছে, ফলে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে। ২০০৭ সালের পর কুমিল্লায় এবারই বড় আকারের বন্যা হয়েছে। তবে হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে ২০১৮ সালেও এমন বন্যা দেখা যায়।’


পানি ও পরিবেশ ইন্সটিউটের চেয়ারম্যান ম. ইনামুল হক জানান, এই দুর্যোগ অস্বাভাবিক না। বরং আগের থেকেই ফেনী বন্যাপ্রবণ এলাকা। আর মুহুরী-কহুয়া-সিলোনিয়া, এই তিনটি নদী জেলাটিকে বেষ্টিত করে রেখেছে।


তিনি বলেন, নদীর পাশে বন্যা প্রতিরোধ বাঁধ আছে। এই বাঁধ অল্প বন্যা প্রতিরোধ করতে পারে, বড় বন্যা নয়। ফলে মিজোরাম ও ত্রিপুরায় যে ভারী বর্ষণ হয়েছে, তা উজান থেকে ভাটিতে নেমে এসেছে। আর এর মধ্যে একটি প্রভাব রেখেছ স্থানিক নিম্নচাপ। 


কারণ স্থানিক নিম্নচাপ হলে মেঘ উত্তর দিকে সরে যেতে পারে না। ফলে একটি জায়গাতে বৃষ্টিপাত করতেই থাকে। স্থানীয়ভাবে নিম্নচাপ হয়েছে, যার ফলে অতি বৃষ্টি ও বন্যা হয়েছে।


বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে গত বছর আগস্টে গ্রান্থাম রিসার্চ ইন্সটিটিউট অন ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড দ্য এনভায়রমেন্ট ও সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ ইকোনমিক্স অ্যান্ড পলিসি থেকে একটি সমীক্ষা প্রকাশিত হয়।


এতে বলা হয়, বাংলাদেশের ৬০ শতাংশ মানুষ বন্যার উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। এছাড়া ১৯৭১ থেকে ২০১৪ সাল অর্থাৎ ৪৩ বছরে হওয়া ৭৮টি বন্যায় ৪১ হাজার ৭৮৩ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। আর এতে অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে ১২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের।


এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) উদ্ধৃতি দিয়ে এতে বলা হয়, কেবল ২০১৪ সালের বন্যায় অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ দুই দশমিক দুই বিলিয়ন ডলার, যা দেশটির মোট জিডিপির প্রায় দেড় শতাংশ।


২০২২ সালের বন্যায় সাত দশমিক তিন মিলিয়ন মানুষ এবং এক বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। সূত্র: বিবিসি।


আরও খবর

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স বাড়ছে

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ইনস্টাগ্রাম নোট কী, নোট লিখবেন যেভাবে

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | ৬৩জন দেখেছেন

Image

তথ্য প্রযুক্তি ডেস্ক : ছবি ও ভিডিওভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রাম। বিগত কয়েক বছরে সারা বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে মেটার মালিকানাধীন এই প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের একটা বড় অংশ ফেসবুকের চেয়ে ইনস্টাগ্রামেই সময় কাটাতে বেশি পছন্দ করেন। আর ব্যবহারকারীরা চাইলেই এখানে নোটের মাধ্যমে সহজেই অভিব্যক্তি প্রকাশের পাশাপাশি নিজের সম্পর্কে আপডেট তথ্য সংক্ষেপে উপস্থাপন করতে পারেন। ইনস্টাগ্রামের ডিএম বা ডিরেক্ট মেসেজ বিভাগে নোট লেখা যায়। আর সেটি প্রকাশিত হওয়ার ২৪ ঘণ্টা পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে যাওয়ায় অনেকেই নোটের মাধ্যমে নিয়মিত নতুন নতুন তথ্য প্রকাশ করে থাকেন। ফলে অ্যাকাউন্টের অনুসারীরা সেসব তথ্য জানার পাশাপাশি নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে পারেন। নোটে সর্বোচ্চ ৬০ অক্ষরের বার্তার পাশাপাশি চাইলে গান ও ভিডিও যোগ করা যায়। তবে সেটি কিভাবে করতে হয় তা অনেকেই জানেন না। তাহলে চলুন ইনস্টাগ্রাম নোটে বার্তা, অডিও ও ভিডিও যোগ করার পদ্ধতি দেখে নেওয়া যাক:


১. নোটে বার্তা, অডিও ও ভিডিও যোগ করার জন্য প্রথমে ইনস্টাগ্রাম অ্যাপের ওপরের ডান দিকে থাকা ‘মেসেজ’ আইকনে ট্যাপ করে ডিরেক্ট মেসেজ বিভাগে প্রবেশ করতে হবে।

২. এরপর পরের পৃষ্ঠার সার্চ বক্সের নিচে প্রোফাইল ছবির কোনায় থাকা ‘নোট’ অপশন ট্যাপ করতে হবে।

৩. এবার নোট বক্সে প্রয়োজনীয় বার্তা লেখার পর অডিও যুক্তের জন্য নিচে থাকা ‘মিউজিক’ আইকনে ট্যাপ করে পছন্দের গান নির্বাচন করতে হবে।

৪. আর ভিডিও যোগ করতে চাইলে একইভাবে ‘ক্যামেরা’ আইকন ট্যাপ করে ভিডিও ধারণ করতে হবে।

৫. এরপর ওপরের ডান দিকে থাকা ‘শেয়ার’ বাটনে ক্লিক করলেই নোট প্রকাশ হয়ে যাবে।


আরও খবর

মোবাইল ফোন পানিতে পড়ে গেলে করণীয়

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জিমেইল অ্যাকাউন্ট খালি করার টিপস

শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪




করদাতাদের জন্য উন্মুক্ত করা হলো অনলাইন রিটার্ন দাখিল সিস্টেম

প্রকাশিত:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | ৭৪জন দেখেছেন

Image

 নিজস্ব প্রতিবেদক: ই-রিটার্ন সংক্রান্ত যে কোনো সমস্যায় করদাতাদের সহায়তায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) কল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে কল সেন্টারের ০৯৬৪৩৭১৭১৭১ নম্বরে ফোন করে করদাতারা ই-রিটার্ন সংক্রান্ত যে কোনো সেবা নিতে পারবেন।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ অনলাইন আয়কর রিটার্ন বিষয়ক সভায় এ সিস্টেম উন্মুক্ত করেন। এ সময় এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

সভা পরবর্তীকালে এনবিআর জানায়, করদাতাদের স্বাচ্ছন্দ্য ও দ্রুততম সেবা নিশ্চিত করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের ২০২৪-২০২৫ কর বছরের অনলাইন রিটার্ন দাখিলের জন্য অনলাইন রিটার্ন দাখিল সিস্টেম আপডেট করা হয়েছে।

৯ সেপ্টেম্বর থেকে অনলাইন রিটার্ন দাখিল সিস্টেমটি করদাতাদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। করদাতারা চাইলে ঘরে বসেই www.etaxnbr.gov.bd ওয়েবসাইটে নিজের তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে সহজেই রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে ২০২৪-২০২৫ কর বছরের ই-রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।

এছাড়া  www.etaxnbr.gov.bd এর e-TaxService অপশন হতে করদাতারা ই-রিটার্ন সংক্রান্ত যে কোনো সমস্যা লিখিতভাবে জানাতে পারবেন এবং সমাধান পাবেন।

এনবিআর সূত্র জানায়, ই-রিটার্ন সিস্টেম ব্যবহার করে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতারা নিজের রিটার্ন তৈরি, অনলাইনে রিটার্ন দাখিল অথবা অফলাইনে রিটার্ন দাখিলের জন্য প্রিন্ট গ্রহণ, অনলাইন ব্যাংকিং, ক্রেডিট কার্ড/ডেবিট কার্ড বা মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (নগদ, বিকাশ, রকেট ইত্যাদি) মাধ্যমে কর পরিশোধ, রিটার্ন দাখিলের তাৎক্ষণিক প্রমাণ প্রাপ্তি, আয়কর পরিশোধ সনদ ও টিআইএন সনদ প্রাপ্তি, পূর্ববর্তী কর বছরের দাখিলকৃত ই রিটার্নের কপি ও রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ ডাউনলোডের সুবিধা পাবেন।

এই সিস্টেমে রেজিস্ট্রেশন করতে টিআইএন ও করদাতার নিজ নামে বায়োমেট্রিক ভেরিফায়েড মোবাইল নম্বর প্রয়োজন হবে। 

এনবিআর ২০২১ সালে এই সিস্টেম চালু করার পর ২০২১-২০২২ কর বছরে ৬১ হাজার ৪৯১ জন, ২০২২-২০২৩ কর বছরে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৪৮১ জন ও ২০২৩-২০২৪ কর বছরে ৫ লাখ ২৬ হাজার ৪৮৭ জন করদাতা ই-রিটার্ন দাখিল করেছেন।



আরও খবর

রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখবে ভারত

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ভারতে কি আদৌ ইলিশ রপ্তানি হবে?

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




লোকসান এড়াতে চুক্তিভিত্তিক ফার্মে ঝুঁকছেন ব্রয়লার খামারিরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | ৩৩জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: বাজারে ব্রয়লার মুরগির দরপতন ঘটেছে। খামারিরা বাধ্য হচ্ছেন উৎপাদন খরচের তুলনায় কম দামে মুরগি বিক্রি করতে। এতে লোকসানের মুখে পড়েছেন এ খাতে বিনিয়োগকারী দেশের হাজার হাজার প্রান্তিক খামারি। তবে দুশ্চিন্তা নেই দেশীয় পোলট্রি শিল্পপ্রতিষ্ঠান কাজী ফার্মসের চুক্তিভিত্তিক খামারিদের (কন্ট্রাক্ট ফার্মার)। তারা জানিয়েছেন, কোম্পানি কম দামে মুরগি বিক্রি করলেও উৎপাদন বাবদ আমরা ভালো মুনাফা পাচ্ছি। অন্যদিকে নিজস্ব বিনিয়োগে ব্রয়লার মুরগি উৎপাদনকারী ময়মনসিংহের প্রান্তিক খামারিরা বলেছেন, ‘বাজারদর বেশি হলে ভালো লাভ করা যায়, কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে চলমান দরপতনে বড় অঙ্কের লোকসান গুনতে হচ্ছে।’ ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকার খামারিরা জানান, নিজস্ব বিনিয়োগে খামার করতে স্থানীয় ডিলারদের কাছ থেকে সব সময়ই চড়া দরে বাচ্চা, খাবার ও ওষুধ কিনতে হয়। তার ওপর ব্রয়লারের বাজারদর যেভাবে কমছে, তা চলতে থাকলে মুরগির খামার চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।

জেলার দত্ত পাকুটিয়ার মো. সেলিম বলেন, ১৪ বছর ধরে ডিলারের সঙ্গে খামার চালাই। কখনো লাভ, কখনো লোকসান হয়েছে। তবে লোকসানের অঙ্কই বড়। এভাবেই চলছিল বছরের পর বছর। সবকিছুর দাম বাড়ায় এখন প্রতি কেজি মুরগির উৎপাদন খরচ ১৪৪ টাকার ওপরে। গত কয়েক মাস ধরে খরচের চেয়েও কম দামে মুরগি বিক্রি করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, আগস্টের প্রথম সপ্তাহে ১১৮ টাকা দরে মুরগি বিক্রি করেছি। এ অবস্থা চলতে থাকলে খামার বন্ধ করে দিনমজুরের কাজ করা ছাড়া উপায় থাকবে না। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই সব এলাকায় অনেক ক্ষুদ্র খামারি নিজস্ব বিনিয়োগ ছেড়ে কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিতে (কন্ট্রাক্ট ফার্মিং) মুরগি উৎপাদন করছেন। এর মধ্যে কাজী ফার্মসের চুক্তিভিত্তিক খামারিদের মুরগির বাজারদরের পরিবর্তে উৎপাদন পরিমাপের ভিত্তিতে মুনাফা (গ্রোয়িং চার্জ) দেওয়া হয়। বাজারে ব্রয়লারের দাম যতই কমুক, কোম্পানি তার দায় বহন করে খামারিদের বেশি উৎপাদনে বেশি লাভ দেয়। ফলে দাম কমলেও লোকসানের কোনো ভয় নেই চুক্তিভিত্তিক খামারিদের।

ফুলবাড়িয়ার দশমাইল বাজারের নারী উদ্যোক্তা আফরোজা খাতুন। নিজস্ব বিনিয়োগের খামার ব্যবসা ছেড়ে দুই বছর ধরে কাজী ফার্মসের সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক মুরগি উৎপাদন করছেন তিনি। আফরোজা খাতুন বলেন, আগে নিজের বিনিয়োগে খামার করে অধিকাংশ সময় লোকসান হতো। স্বামীর টাকার ওপর নির্ভর করতে হয়েছে। তবে কন্ট্রাক্ট ফার্মিং শুরুর পর থেকে ৮০০ মুরগির খামারে যে ব্যাচে সবচেয়ে কম মুনাফা পেয়েছি, তাও ১৫ হাজার টাকা। জেলার অপর থানা ভালুকার ধলিয়া এলাকার তরুণ খামারি সাব্বির হোসেন জানান, লোকসান এড়িয়ে ঝুঁকিবিহীন খামার চালাতে সচেতন খামারিরা কোম্পানির সঙ্গে কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ে যুক্ত হচ্ছেন। কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের এ শিক্ষার্থী বলেন, দুর্যোগ, মহামারি ও দরপতনের বাজারে খামারি হিসেবে নিজের সুরক্ষায় কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের চেয়ে উত্তম আর কিছু দেখছি না। কারণ কোম্পানি যে নীতিতে মুরগি উৎপাদন করায়, তাতে খামারিদের কখনোই লোকসানের দায় নিতে হয় না।

খামারের মুরগির ন্যায্য মূল্য সম্পর্কে জানতে চাইলে সাব্বির জানান, বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লারের উৎপাদন ব্যয় হয় ১৪৪ টাকা। এর ওপর কৃষক, সরবরাহকারী ও খুচরা ব্যবসায়ীদের যৌক্তিক মুনাফা যোগ করে বাজারদর নির্ধারণ করা জরুরি। চুক্তিভিত্তিক খামার পরিচালনা ব্যবসায় বিশেষজ্ঞ ও প্রাণিসম্পদ চিকিৎসক হাফিজুর রহমান বলেন, চুক্তিভিত্তিক পোলট্রি খামার ব্যবসায় ফিড কনভার্সন রেশিও (এফসিআর) পদ্ধতি খামারিদের জন্য উৎসাহব্যঞ্জক। চুক্তিভিত্তিক খামারে কেবল মুরগির উৎপাদন বাড়াতেই নয়, বরং খামারে স্বাস্থ্যবিধির কঠোর অনুশীলনের মাধ্যমে মুরগির মাংসের আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকে। যেখানে উৎপাদক ও ভোক্তাদের স্বার্থকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, ব্রয়লারের দাম কমে যাওয়ায় নিজস্ব বিনিয়োগের খামারিরা লোকসানে মুরগি বিক্রি করলেও কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ খামারিদের কোনো লোকসান নেই, বরং তারা উৎপাদন অনুযায়ী আকর্ষণীয় কমিশন পাচ্ছেন। মুরগির মানসম্মত বেশি উৎপাদন উৎসাহিত করতে কোম্পানি চুক্তিভিত্তিক খামারের জৈব-নিরাপত্তা বজায় রাখা এবং অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার এড়িয়ে চলতে প্রশিক্ষণ দেওয়ায় খামারিরা কোম্পানির প্রতি সন্তুষ্ট থাকেন।

অন্যদিকে ব্যক্তি বিনিয়োগের খামারে অ্যান্টিবায়োটিকের অযাচিত ব্যবহার মুরগির উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যায়’ বলে জানান এই পোলট্রি খাত বিশেষজ্ঞ। এ প্রসঙ্গে কাজী ফার্মসের পরিচালক কাজী জাহিন হাসান বলেন, ব্যক্তি বিনোয়োগের প্রান্তিক খামারিদের স্থানীয় ডিলারের কাছ থেকে মুরগির বাচ্চা, খাবার ও ওষুধ কিনতে হয়। ডিলাররা নিছক নিজস্ব স্বার্থ বিবেচনায় অযাচিতভাবে খামারিদের বেশি বেশি অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করেন। এতে প্রান্তিক খামারির মুরগির উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যায়। কিন্তু চুক্তিভিত্তিক খামারিদের (কন্ট্রাক্ট ফার্মার) সরাসরি কোম্পানি থেকে সুস্থ বাচ্চা, উন্নতমানের খাবার এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করা হয়। এসব খামারে অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রির সুযোগ না থাকায় বাড়তি ব্যয় নেই, ফলে আমাদের খামারিরা তুলনামূলক কম খরচে মুরগি উৎপাদন করতে পারেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি। 


আরও খবর

বাফলার বিলে সাদা শাপলার সমারোহ

শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বাংলাদেশের সঙ্গে স্থিতিশীল সম্পর্ক চায় ভারত: জয়শঙ্কর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪১জন দেখেছেন

Image

ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে স্থিতিশীল সম্পর্ক চায় বলে মন্তব্য করেছেন ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ আমাদের প্রতিবেশী দেশ এবং আমরা তাদের সঙ্গে স্থিতিশীল সম্পর্ক রাখতে চাই।

একইসঙ্গে বাংলাদেশে যা ঘটেছে তা দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয় বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। এছাড়া প্রতিবেশী দেশগুলো একে-অপরের ওপর নির্ভরশীল হয়ে থাকে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এস জয়শঙ্কর এসব কথা বলেছেন বলে মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে হওয়া রাজনৈতিক পরিবর্তন সেই দেশের “অভ্যন্তরীণ বিষয়” কিন্তু বাংলাদেশের সঙ্গে যে স্থিতিশীল সম্পর্ক ছিল তা অব্যাহত রাখতে ভারত আগ্রহী বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর মঙ্গলবার বিকেলে এনডিটিভিকে জানিয়েছেন।

তিনি বহুলপ্রচলিত সেই প্রবাদবাক্যের ওপরই জোর দিয়ে বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলো ‘একে অপরের ওপর নির্ভরশীল’।



আরও খবর

পেজারের পর ওয়াকিটকি ল্যাপটপ বিস্ফোরণ লেবাননে

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪