Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম

আইনি ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছেন দক্ষিণ ভারতীয় সুপারস্টার আল্লু অর্জুন

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ | ১০৩জন দেখেছেন

Image

অনলােইন ডেস্ক: হায়দরাবাদে ‘পুষ্পা ২: দ্য রুল’ ছবির প্রিমিয়ারের সময় এক নারীর মৃত্যুকে ঘিরে আইনি ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছেন দক্ষিণ ভারতীয় সুপারস্টার আল্লু অর্জুন। তবে আপাতত স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন অভিনেতা। এ মামলায় তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট চার সপ্তাহের জন্য অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছেন আল্লু অর্জুনকে।

তেলেঙ্গানা হাইকোর্টের শুনানির ঠিক এক ঘণ্টা আগে তাঁকে ১৪ দিনের জন্য বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছিলেন নিম্ন আদালত। এই গ্রেপ্তারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আল্লু হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট তাঁর আবেদন মঞ্জুর করেছেন।

গতকাল শুক্রবার আল্লুকে তাঁর বাড়ি থেকে দুপুর ১২টা নাগাদ গ্রেপ্তার করেছিল হায়দরাবাদ পুলিশ।

এরপর চিক্কদপল্লি পুলিশ স্টেশনে অভিনেতাকে নিয়ে এসে তাঁর বয়ান নথিভুক্ত করে পুলিশ। আল্লুকে নামাপল্লি আদালতে পেশ করা হয়েছিল। এর আগে অভিনেতার শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছিল বলে জানা গেছে। এ মামলায় আল্লুর নিজস্ব দেহরক্ষী সন্তোষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিকেল পাঁচটার সময় তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট তাঁকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন। ৫০ হাজার টাকার বন্ডে অভিনেতার অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেছেন তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট।

২০২৫ সালের ২১ জানুয়ারি এ মামলার আগামী শুনানির দিন ঘোষণা করেছেন আদালত। এদিকে আল্লুর অভিযোগ যে পুলিশ হঠাৎ তাঁর শয্যাঘরে ঢুকে পড়েছিল। এমনকি তাঁকে পোশাক বদলাতে এবং নাশতা খাওয়ার সময় দেওয়া হয়নি। আবার এদিকে রেবতীর স্বামী ভাস্কর সংবাদমাধ্যমকে জানান, তিনি আল্লু অর্জুনের গ্রেপ্তারির বিষয়ে কিছু জানতেন না। আর তিনি এই মামলা ফিরিয়ে নিতে চান বলে জানিয়েছেন। ভাস্করের কথায়, এ ঘটনার পেছনে আল্লুকে সরাসরি দায়ী করা যায় না।

আল্লু অর্জুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ৪ ডিসেম্বর রাতে আরটিসি ক্রসরোডসের চিক্কদপল্লির সন্ধ্যা থিয়েটারে ‘পুষ্পা ২: দ্য রুল’ ছবির প্রিমিয়ারে কাউকে না জানিয়ে হঠাৎই গিয়েছিলেন তিনি। তাঁকে দেখে থিয়েটারের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। আর ধাক্কাধাক্কিতে বেশ কিছু ব্যক্তি আহত হয়েছিলেন। এই রাতে পদপিষ্ট হয়ে অকালে প্রাণ হারান ৩৫ বছরের রেবতী।

রেবতীর সঙ্গে ছিল তাঁর ১৩ বছরের ছেলে শ্রীতেজ। এ ঘটনার কবলে পড়ে আহত হয়েছিল শ্রীতেজ। এখনো কিশোরটি ভেন্টিলেশনে চিকিৎসাধীন আছে। শ্রীতেজের চিকিৎসাজনিত সব খরচের দায়িত্ব নেওয়ার কথা জানিয়েছেন আল্লু। আর তিনি রেবতীর পরিবারকে ২৫ লাখ টাকা আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

চিক্কদপল্লি পুলিশ স্টেশনে আল্লু অর্জুন, তাঁর সুরক্ষাকর্মী এবং প্রেক্ষাগৃহের মালিকের বিরুদ্ধে সেকশন ১০৫ ও ১১৮(১) ধারায় মামলা করেছিল রেবতীর পরিবার। রেবতীর পরিবারের বক্তব্য, আল্লুর আগমনের কোনো আগাম খবর দেওয়া হয়নি। আর প্রেক্ষাগৃহের পক্ষ থেকে নিরাপত্তাজনিত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন তাঁরা।




আরও খবর

কখনও ভাবিনি আমি বাঁচব : প্রীতি জিনতা

রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫




১১৪জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রাদন

প্রকাশিত:শনিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ১৬২জন দেখেছেন

Image

পটুয়াখালী প্রতিনিধি: নুরুন্নাহার-আলাউদ্দিন কল্যাণ ট্রাষ্ট এর উদ্যেগে ও অর্থায়নে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার মাধ্যমিক ও সমপর্যায়ের সকল মাদ্রাসা এর মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।  শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় বাঁশবাড়িয়া মরিয়ম মেমোরিয়াল গালর্স হাই স্কুলে উপজেলার ২৮টি মাধ্যমিক ও ২০টি মাদ্রাসার ১১৪জন শিক্ষার্থীদের এ বৃত্তি প্রদান করা হয়।

ট্রাষ্ট চেয়ারম্যান ও অবসরপ্রাপ্ত সদস্য গ্রেড-১ জাতীয় রাজস্ব বোড (সচিব পদ মর্যাদায়) মো. আলাউদ্দিন এর সভাপতিত্বে ও যুব বিষায়ক সম্পাদ উপজেলা যুব ফাউন্ডেশনের এ্যাডভোকেট শাহিন খান এর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক শাহ আলম শানু, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ও বাংলাবাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী আনোয়ার হোসেন,

মাদ্রাসা সমিতির সভা মাওলানা মোসলেম উদ্দিন, উপজেলা কল্যান সমিতির সদস্য মহিবুল্লা জয়, সদস্য এ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান,  যুব ফাউন্ডেশনের মহা সচিব আবু সায়েম দেওয়ান, উপজেলা ছাত্র কল্যান সমিতির সভাপতি রাহাত হোসেন, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক নাহিদ খান, সহ-সভাপতি জাহেদুল ইসলাম নোমান, সদস্য আন্তর্জাতিক বিষায়ক সম্পাদক গকুল চন্দ্র, আরজবেগী ইমেল ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি ঈশ্বর চন্দ্র শীল, মাধ্যামিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার শিক্ষক সহ স্থানীয় গন্যমান্যব্যাক্তিবর্গ।



আরও খবর



গৃহবধূ থেকে যেভাবে রাজনীতিতে উত্থান খালেদা জিয়ার

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ৩৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে ১৯৮১ সালের ৩০মে যখন হত্যা করা হয় তখন খালেদা জিয়া ছিলেন নিতান্তই একজন গৃহবধূ। দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে তখন ঢাকা সেনানিবাসে অবস্থান করছিলেন।

রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি তখন দিশেহারা ও বিপর্যস্ত। জিয়াউর রহমান পরবর্তী দলের হাল কে ধরবেন—এ নিয়ে আলোচনা চলতে থাকে। নেতাদের মধ্যে শুরু হয় কোন্দল।

তখন ভাইস-প্রেসিডেন্ট বিচারপতি আব্দুস সাত্তার অস্থায়ী প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন। তার বয়স তখন আনুমানিক ৭৮ বছর। তখনকার রাজনীতিতে সাত্তারকে একজন বৃদ্ধ এবং দুর্বল চিত্তের ব্যক্তি হিসেবে মনে করা হতো।

তাই দলের একটি অংশ চেয়েছিল কাউন্সিলের মাধ্যমে নেতৃত্বের কাঠামো ঠিক করা হোক। কিন্তু অপর আরেকটি অংশ, যারা রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তারের সরকারে ছিলেন, তারা এর বিরোধিতা করেন।

 

প্রয়াত বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদ তার চলমান ইতিহাস : জীবনের কিছু সময় কিছু কথা বইতে লিখেছেন- সামরিক ও শাসকচক্রের জন্য সবচেয়ে বড় ভয় ছিল খালেদা জিয়াকে নিয়ে। কারণ প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হওয়ার জন্য খালেদা জিয়াই সে সময় সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যক্তি হতে পারতেন। কিন্তু তড়িঘড়ি করে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য আব্দুস সাত্তারের মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়।

তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল এইচ এম এরশাদ চেয়েছিলেন, সাত্তার প্রেসিডেন্ট হোক। বিষয়টি নিয়ে তখনকার বিএনপিতে মতভেদ দেখা দেয়। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। শেষ পর্যন্ত সেনা প্রধানের ইচ্ছে অনুযায়ী কাজ হয়েছে।

মওদুদ আহমদ লিখেছেন, বেগম জিয়া যদি প্রতিদ্বন্দ্বী হতে চাইতেন, তাহলে অন্য কারো প্রার্থী হওয়ার তখন আর প্রশ্ন উঠতো না।

জিয়াউর রহমান যখন রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিলেন তখন খালেদা জিয়াকে প্রকাশ্যে খুব একটা দেখা যেত না। খালেদা জিয়া যখন রাজনীতিতে আসেন সেটা অনেককে চমকে দিয়েছিল।

সিনিয়র সাংবাদিক শফিক রেহমান তার সংগ্রামী নেত্রী খালেদা জিয়া শীর্ষক লেখায় তাকে বর্ণনা করেছেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতাসীন হলেও লাজুক গৃহবধূরূপে তার দুই ছেলে তারেক রহমান (পিনো) এবং আরাফাত রহমান (কোকো)-কে নিয়ে সাংসারিক কাজে ব্যস্ত ছিলেন।

রাজনীতির প্রতি অনীহা

বিচারপতি আব্দুস সাত্তারের বার্ধক্য ও দল পরিচালনা নিয়ে অসন্তোষের কারণে তৎকালীন বিএনপির একাংশ খালেদা জিয়াকে রাজনীতিতে আনার পরিকল্পনা করেন। কিন্তু রাজনীতির প্রতি খালেদা জিয়ার তেমন কোনো আগ্রহ ছিল না।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে এর কয়েকটি কারণ ছিল। প্রথমত; জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ড তার মনে গভীর দাগ কেটেছিল এবং তিনি মানসিকভাবে সে ধকল কাটিয়ে উঠতে পারছিলেন না।

দ্বিতীয়ত; খালেদা জিয়ার রাজনীতিতে আসার ব্যাপারে পরিবারের দিক থেকে তেমন কোনো উৎসাহ ছিল না।

খালেদা জিয়ার জীবন নিয়ে প্রয়াত সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ বেগম খালেদা জিয়া: হার লাইফ, হার স্টোরি বই লিখেছেন।

বছর তিনেক আগে যখন তিনি বেঁচে ছিলেন, তখন বিবিসি বাংলাকে বলেছিলেন, জিয়াউর রহমানের আকস্মিক হত্যাকাণ্ড তার মনের মধ্যে এক ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি করেছিল। তিনি হয়তো ভাবতে শুরু করেছিলেন যে রাজনীতি হয়তো মানুষকে এ ধরনের করুন পরিণতির দিকে ঠেলে নিয়ে যায়। রাজনীতির কঠিন পদযাত্রা সামলাতে পারবেন কিনা সেটি নিয়েও তার মনে প্রশ্ন ছিল। তাছাড়া পারিবারিকভাবে তার পিতা মেয়ের রাজনীতির ব্যাপারে খুব একটা আগ্রহী ছিলেন না।

এসময় দলের নেতা-কর্মীরা রাজনীতিতে আসার জন্য দিনের পরদিন খালেদা জিয়াকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। তিনি দলের হাল না ধরলে দল টিকবে না বলেও অনেকে বলেন।

অন্যদিকে খালেদা জিয়ার রাজনীতিতে আসার বিষয়ে তৎকালীন সেনাপ্রধান এইচএম এরশাদের মনে ভয় ছিল বলে উল্লেখ করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

কারণ এরশাদ যেহেতু ক্ষমতা দখলের দীর্ঘ পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন ভাবছিলেন খালেদা জিয়া রাজনীতিতে এলে পরিস্থিতি সামলানো তার জন্য কঠিন হয়ে যাবে।

 

সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ ২০১৯ সালের শুরুর দিকে বিবিসি বাংলাকে বলেন, খালেদা জিয়াকে রাজনীতিতে আসার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) আকবর হোসেন, সাবেক সামরিক কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম শিশু এবং একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। কর্নেল (অব.) আকবর হোসেন পরবর্তীতে বিএনপি সরকারের মন্ত্রী হয়েছিলেন। নুরুল ইসলাম শিশু ছিলেন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সহচর। এছাড়া একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী পরবর্তীতে বিএনপি সরকারের মন্ত্রী এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হয়েছেন।

কর্মী থেকে দলের চেয়ারম্যান

বিএনপি'র ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য অনুযায়ী ১৯৮২ সালের ১৩ জানুয়ারি একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে খালেদা জিয়া আত্মপ্রকাশ করেন। সেদিন তিনি বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদ লাভ করেন।

একই বছর ৭ নভেম্বর জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গিয়ে খালেদা জিয়া প্রথম বক্তব্য রাখেন।

বিএনপি: সময়-অসময় বইয়ে লেখক মহিউদ্দিন আহমদ লিখেছেন বিএনপিতে যোগ দেবার পর থেকে খালেদা জিয়া বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে হাজির হওয়া শুরু করেন।

আহমদ লিখেছেন, ১৯৮২ সালের ২৮ জানুয়ারি শেরেবাংলা নগরে জাতীয় সংসদের নতুন ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তার এবং প্রধানমন্ত্রী শাহ আজিজুর রহমানের সঙ্গে খালেদা জিয়াও উপস্থিত ছিলেন।

 

দলের তরুণ অংশ চেয়েছিল খালেদা জিয়া দলীয় প্রধান হোক। অন্যদিকে রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তারকে বিএনপি'র প্রধান হিসেবে দেখেতে আগ্রহী ছিল তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল এরশাদ।

বিএনপির চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য একইসঙ্গে প্রার্থী হয়েছিলেন খালেদা জিয়া এবং রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তার।

বিএনপির ওয়েবসাইটে তখনকার ঘটনা বর্ণনা তুলে ধরে বলা হয়, এর ফলে এক বিব্রতকর অবস্থার সৃষ্টি হয়। বিচারপতি সাত্তার দুবার বেগম খালেদা জিয়ার বাসায় যান। বেগম খালেদা জিয়া তাকে তরুণ নেতৃত্বের মনোভাবে কথা জানান। এসময় বিচারপতি সাত্তার বেগম খালেদা জিয়াকে দলের সহ-সভাপতির পদ এবং দেশের ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের অনুরোধ জানান। কিন্তু বেগম জিয়া ব্যক্তিগত কারণে তা গ্রহণ করেননি। অবশেষে বিচারপতি সাত্তারের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর বেগম খালেদা জিয়া চেয়ারম্যান পদ থেকে তার প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেন।

১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ তৎকালীন সেনাপ্রধান এইচএম এরশাদ এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তারকে ক্ষমতাচ্যুত করেন। তখন রাজনীতিতে সাত্তারের আর কোনো মূল্য থাকেনি। সাত্তার আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপির চেয়ারম্যান থাকলেও দল পরিচালনায় খালেদা জিয়ার প্রভাব বাড়তে থাকে।

১৯৮৩ সালের মার্চ মাসে খালেদা জিয়া দলের সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান হন এবং এপ্রিল মাসের প্রথমে বিএনপির এক বর্ধিত সভায় তিনি ভাষণ দেন। কিন্তু তৎকালীন বিএনপির কিছু নেতা সেটি পছন্দ করেননি। বিএনপির সেই অংশটি ভিন্ন আরেকটি জায়গায় বৈঠকের আয়োজন করে।

সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের কয়েকমাস পরেই খালেদা জিয়া দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হন। এ সময় এরশাদবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় হয়ে উঠেন তিনি। ১৯৮৪ সালের ১০মে খালেদা জিয়া বিএনপির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

এরশাদবিরোধী আন্দোলন যখন ধীরে ধীরে জোরালো হচ্ছিল তখন বিএনপির বাইরে অন্য রাজনৈতিক দল থেকে খালেদা জিয়াকে দলের নেতৃত্ব গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছিল। এক্ষেত্রে হায়দার আকবর খান রনো এবং রাশেদ খান মেনন ছিলেন অন্যতম।

খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলোচনার জন্য তারা দুজন তার তৎকালীন ক্যান্টনমেন্টের বাসায় গিয়েছিলেন। রনো তার আত্মজীবনী 'শতাব্দী পেরিয়ে' বইতে একথা তুলে ধরেছেন।

১৯৮০র দশকে জেনারেল এরশাদের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের মাধ্যমে দেশজুড়ে খালেদা জিয়ার ব্যাপক পরিচিত গড়ে উঠে। জেনারেল এরশাদের পতনের পর ১৯৯১ সালে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল, তাতে বিএনপি জয়লাভ করে।

রাজনীতিতে আসার ১০ বছরের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী হন খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার শাসন আমল, ১৯৯১-৯৬ এবং ২০০১-২০০৬ -- এই দুইভাগে ভাগ করেন অনেক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক। দুই হাজার এক সালে ক্ষমতাসীন হবার পর থেকে খালেদা জিয়ার সরকার একের পর এক বিতর্কের মুখে পড়ে। সেই বিতর্ক থেকে তার দল ও সরকার আর বেরিয়ে আসতে পারেননি। দুই হাজার আট সালের নির্বাচনে খালেদা জিয়ার দল বিএনপির ব্যাপক ভরাডুবি হয়।

এরপর তেকে দলটি রাজনৈতিকভাবে আরে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন বর্জনের পর বিএনপি রাজনৈতিকভাবে অনেকটা চাপে পড়ে যায়। খালেদা জিয়ার সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এসে হাজির হয় তাঁর বিরুদ্ধে করা দুর্নীতির মামলা। দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হওয়ার কারণে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে খালেদা জিয়া অংশ নিতে পারেননি।

দেশে-বিদেশে সে নির্বাচন প্রবল বিতর্কের মুখে পড়ে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ২০১৮ সাল থেকে খালেদা জিয়া কারাগারে ছিলেন। ২০২০ সালে তিনি সরকারের নির্বাহী আদেশে কারাগারের বাইরে আসেন, তবে এজন্য নানা বিধিনিষেধ পালন করতে হয় তাকে, যার মধ্যে রয়েছে - রাজনীতিতে অংশ না নিতে পারা, বিদেশ যেতে না পারা।


আরও খবর

স্বস্তি ও উদ্বেগ দুটোই বিএনপিতে

শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫




আইসিএবির নতুন সভাপতি মারিয়া হাওলাদার

প্রকাশিত:বুধবার ০১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ৪১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি: সনদপ্রাপ্ত হিসাববিদদের সংগঠন দ্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউনট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএবি) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মারিয়া হাওলাদার। সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মো. জহিরুল ইসলাম। ২০২৫ সালের জন্য তাঁরা নির্বাচিত হয়েছেন।


গত শনিবার আইসিএবির কাউন্সিল সভায় নতুন কাউন্সিল সদস্যদের দ্বারা তাঁরা নির্বাচিত হন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।



আইসিএবির নতুন সভাপতি মারিয়া হাওলাদার এর আগে ২০২১ ও ২০২৪ সালে আইসিএবির সহসভাপতি (অপারেশনস অ্যান্ড মেম্বারস সার্ভিসেস) ছিলেন। তিনি হাওলাদার মারিয়া অ্যান্ড কোং (এইচএমএসি) চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা অংশীদার। প্রতিষ্ঠানটি আন্তর্জাতিক ক্রেস্টন গ্লোবালের সদস্য সংস্থা।


মারিয়া হাওলাদার বর্তমানে জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (জেবিসিসিআই) মহাসচিবের দায়িত্বে আছেন। তিনি ২০২১ সালে আইসিএবির বেশ কয়েকটি অটোমেশন প্রকল্পের চেয়ারপারসন ছিলেন। মারিয়া হাওলাদার ২০০৮ সালে আইসিএবির সহযোগী সদস্য ও ২০১৩ সালে ফেলো সদস্য হন।


আইসিএবির নতুন সহসভাপতি জহিরুল ইসলাম এ কাসেম অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসের অংশীদার। প্রতিষ্ঠানটি আন্তর্জাতিক ইকোভিস ইন্টারন্যাশনালের সদস্য সংস্থা।


২০২৪ সালেও আইসিএবির সহসভাপতি ছিলেন জহিরুল ইসলাম। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন চট্টগ্রাম আইন কলেজ থেকে এলএলবি সম্পন্ন করেন। কর ও করপোরেট আইন অনুশীলনে তাঁর ৩০ বছরের বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে।


জহিরুল ইসলাম রোটারি ইন্টারন্যাশনালের সদস্য ও রোটারি ক্লাব অব চিটাগাং পোর্ট সিটির সভাপতি ছিলেন। তিনি মা ও শিশু হাসপাতাল, কিডনি ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশের ডায়াবেটিক সমিতির আজীবন সদস্য। এ ছাড়া তিনি চিটাগাং ক্লাব, চিটাগাং বোট ক্লাব, নর্থ গুলশান ক্লাব ও ভাটিয়ারি গলফ ক্লাবের আজীবন সদস্য।



আরও খবর



বিষণ্নতা দূর করে কোরআন তিলাওয়াত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | ৯৪জন দেখেছেন

Image

ধর্ম ডেস্ক: ডিপ্রেশন মানসিক ও শারীরিকভাবে অত্যন্ত ক্লান্তিকর এবং নিঃশেষকারী হতে পারে। আমাদের মধ্যে যারা প্রতিদিন এ ধরনের মানসিক অশান্তির মুখোমুখি হই, তাদের জন্য আশা আছে। ইসলাম মুমিনদের ডিপ্রেশন মোকাবেলা এবং তা থেকে উত্তরণের জন্য প্রয়োজনীয় হাতিয়ার দিয়েছে, যার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হাতিয়ার হলো পবিত্র কোরআন। 


মনস্তাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে, আল্লাহর (সুবহানাহু ওয়া তাআলা) সঙ্গে একটি দৃঢ় এবং স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক মানসিক সুস্থতার দিকে সরাসরি প্রভাব ফেলে। এই সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে আল্লাহর প্রতি অপরিসীম বিশ্বাসের ভিত্তিতে- তাঁর পরিকল্পনা ও ইচ্ছার ওপর। আল্লাহ তাঁর বিশ্বাসীদের কখনো ত্যাগ করেন না এবং যদি বিশ্বাসী আল্লাহর (সুবহানাহু ওয়া তাআলা) প্রতি পরম বিশ্বাস রাখেন, তবে আল্লাহ তাঁর জন্য যথেষ্ট।


যদি আপনি নিজেকে ডিপ্রেশনে ডুবে যেতে দেখেন, তবে কোরআন বেশি বেশি তিলাওয়াত করুন। অন্যান্য কারণের পাশাপাশি ডিপ্রেশন ও উদ্বেগের প্রধান কারণগুলোর একটি হলো ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা এবং অজানা বিষয়ে ভয়। জীবনের পরিস্থিতি বা ঘটনাগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ না থাকার অনুভূতি (যা-ই হোক না কেন) অস্থিরতা, নিঃসঙ্গতা ও হতাশা সৃষ্টি করতে পারে। 


কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে এবং আল্লাহর বাণী বোঝার মাধ্যমে মানুষকে বারবার স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয় যে কেবল আল্লাহই (সুবহানাহু ওয়া তাআলা) সব বিষয়ে নিয়ন্ত্রণকারী এবং তিনি আমাদের প্রত্যেকের জন্য একটি পরিকল্পনা রেখেছেন। আমাদের জীবনে যা কিছু ঘটে, তা যত ছোটই হোক না কেন, তা আল্লাহর বড় এবং নিখুঁত পরিকল্পনার অংশ। শেষ পর্যন্ত কিছুই আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই; সব কিছু আল্লাহর হাতে। তাহলে আমরা কেন হতাশ হবো? যখন আমরা জানি, আল্লাহ আমাদের দেখছেন এবং তিনিই সব কিছুর ওপর ক্ষমতাবান।


কোরআনে আল্লাহ বলেন : ‘যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে, তিনি তার জন্য কোনো না কোনো উপায় বের করে দেবেন এবং তিনি তাকে এমন জায়গা থেকে রিজিক দেবেন, যা সে কল্পনাও করতে পারে না। যে আল্লাহর ওপর ভরসা করে, আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট। আল্লাহ অবশ্যই তাঁর উদ্দেশ্য পূর্ণ করবেন; নিশ্চয়ই প্রত্যেক বস্তুতে আল্লাহ একটি নির্ধারিত পরিমাণ স্থির করেছেন।’ (সুরা : তালাক, আয়াত : ২-৩)


কোরআন পাঠ করলে মানুষকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয় যে এই পৃথিবী ক্ষণস্থায়ী। এই দুনিয়া মানুষের জন্য পরীক্ষা এবং বেদনাদায়ক ঘটনাবলির স্থান, যা শেষ হয়ে যাবে এবং একটি নতুন (স্থায়ী) জগৎ উদ্ভূত হবে- জান্নাত ও জাহান্নামের জগৎ। আল্লাহ এই পৃথিবীকে আমাদের পরীক্ষা করার জন্য সৃষ্টি করেছেন। আর আল্লাহ তাদের পরীক্ষা করেন যাদের তিনি ভালোবাসেন এবং তিনি তাঁর বিশ্বস্ত বিশ্বাসীদের ধৈর্য ও তাওয়াক্কুল (আল্লাহর পরিকল্পনার ওপর বিশ্বাস) নিয়ে এসব পরীক্ষা মোকাবেলা করার নির্দেশ দেন।


রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘সবচেয়ে বড় পুরস্কার আসে সবচেয়ে বড় পরীক্ষার সঙ্গে। আল্লাহ যখন কোনো সম্প্রদায়কে ভালোবাসেন, তখন তিনি তাদের পরীক্ষা করেন।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৩৯৬)


এই জীবনের লক্ষ্যই হলো কষ্ট, ক্ষতি ও হতাশা। কেবল আল্লাহর প্রতি আমাদের বিশ্বাসই আমাদেরকে এই দুনিয়ার পরীক্ষাগুলো সহ্য করতে এবং জান্নাতে চিরস্থায়ী জীবনের লক্ষ্যে কেন্দ্রীভূত থাকতে সাহায্য করতে পারে। কোরআনের তিলাওয়াতের মাধ্যমে আমাদের অন্তর প্রশান্তি পায় এবং আমরা আল্লাহর (সুবহানাহু ওয়া তাআলা) অসংখ্য অনুগ্রহের কথা স্মরণ করি। ‘নিঃসন্দেহে, আল্লাহর স্মরণেই অন্তর প্রশান্তি লাভ করে।’ (সুরা : রাদ, আয়াত : ২৮)


আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতিশ্রুতি দেন এবং সান্ত্বনা দেন যে আমরা এই পৃথিবীতে অসংখ্য কষ্টের সম্মুখীন হবো, কিন্তু প্রতিটি কষ্টের পরই প্রশান্তি আসবে। ‘সুতরাং নিশ্চয়ই, প্রতিটি কষ্টের সঙ্গে আছে প্রশান্তি; নিশ্চিতভাবেই প্রতিটি কষ্টের সঙ্গে আছে প্রশান্তি।’ (সুরা : ইনশিরাহ, আয়াত : ৫-৬)


পরিশেষে, এই দুনিয়ায় আমাদের ভাসিয়ে রাখতে পারে একমাত্র আল্লাহর প্রতি আমাদের বিশ্বাস। মূল বিষয় হলো আল্লাহর ক্ষমতার ওপর বিশ্বাস রাখা এবং তাঁর অসীম জ্ঞান ও প্রজ্ঞার ওপর আস্থা রাখা যে তিনি জানেন আমাদের জন্য কী ভালো আর কী নয়। তিনি আমাদের সীমাহীনভাবে ভালোবাসেন এবং তিনি অপেক্ষা করেন যে আমরা তাঁর ওপর নির্ভর করব, যাতে তিনি আমাদের সীমাহীনভাবে দান করতে পারেন-এই পৃথিবীতে এবং পরকালেও।


এই দুনিয়া এবং এর পরীক্ষাগুলো একমাত্র একটি উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করা হয়েছে : আমাদেরকে আল্লাহর দিকে ফিরিয়ে আনার জন্য। আল্লাহ (সুবহানাহু ওয়া তাআলা) আমাদের কষ্ট দিয়ে পরীক্ষা করেন, যাতে আমরা তাঁর কাছেই শান্তি পাই। তিনি আমাদেরকে কঠিনতায় ফেলেন, যাতে আমরা তাঁর ওপর নির্ভর করি। তিনি আমাদের পথে বিপর্যয় পাঠান, যাতে আমরা শুধু তাঁর কাছেই সাহায্য চাই। তিনি চান তাঁর বান্দারা তাঁকে স্মরণ করুক, তাঁর কাছে ফিরে আসুক এবং এই দুনিয়ার প্রতিযোগিতায় হারিয়ে না যাক।


ইবন মাসউদ (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার বান্দা, তোমার বান্দার সন্তান, তোমার দাসীর সন্তান। আমার কপালের ভাগ্যদণ্ড তোমার হাতে, তোমার আদেশ আমার ব্যাপারে কার্যকর এবং তোমার সিদ্ধান্ত আমার ব্যাপারে ন্যায়সংগত। আমি তোমাকে তোমার প্রতিটি সুন্দর নামে ডাকি, যা তুমি নিজেকে দিয়ে বর্ণনা করেছ অথবা তোমার কিতাবে অবতীর্ণ করেছ, অথবা তোমার সৃষ্টির কাউকে শিখিয়েছ, অথবা তুমি যা অদৃশ্যের মধ্যে রেখেছ, কোরআনকে আমার অন্তরের প্রশান্তি, আমার বক্ষের আলো, আমার দুঃখ দূরকারী এবং আমার উদ্বেগ অপসারণকারী করো।’ (মুসনাদ আহমাদ, হাদিস : ৩৭০৪)।


এই দোয়া আমাদের হৃদয় ও আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনা করতে একটি চমৎকার উদাহরণ হিসেবে কাজ করে। ইসলামে সব সময় নিরাময়ের আশা আছে। আল্লাহ (সুবহানাহু ওয়া তাআলা) সব কিছু করতে সক্ষম এবং এমন কোনো গভীরতায় আপনি পৌঁছতে পারবেন না, যা তাঁর সাহায্যের বাইরে। ডিপ্রেশনের সমাধান আল্লাহর (সুবহানাহু ওয়া তাআলা) বাণীতে এবং তাঁর অসীম প্রজ্ঞায় নিহিত : তাঁর ওপর বিশ্বাস রাখুন, কারণ তিনি কখনো আপনাকে ত্যাগ করবেন না এবং তিনি সর্বোত্তম পরিকল্পনাকারী।


আরও খবর

ডালিমসহ জান্নাতে পাওয়া যাবে যেসব ফল

শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫

ভূমিকম্প নিয়ে কোরআন-হাদিসে কী বলা হয়েছে?

বৃহস্পতিবার ০৯ জানুয়ারী ২০২৫




যুক্তরাষ্ট্রে হামলা, কে এই শামসুদ-দীন জব্বার?

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ জানুয়ারী 2০২5 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ | ৫৮জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যের নিউ অরলিয়েন্স শহরে বর্ষবরণ উৎসবে গাড়ি উঠিয়ে দেওয়ার ঘটনায় নিহত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে ১৫-এ উন্নীত হয়েছে। এ সময় সন্দেহভাজন হামলাকারীও পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। তার ছবি প্রকাশ করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এফবিআই।


এএফপি ও সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সন্দেহভাজন হামলাকারীর নাম শামসুদ-দীন জব্বার (৪২)। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের বাসিন্দা। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এফবিআই তার নাম-পরিচয় জানিয়েছে। প্রকাশ করেছে ছবিও।


শামসুদ-দীন জব্বার একসময় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীতে কাজ করেছেন। টেক্সাসের জননিরাপত্তা বিভাগ জানায়, শামসুদ-দীন জব্বার দুবার গ্রেফতার হয়েছিলেন। এর মধ্যে ছোট আকারের একটি চুরির ঘটনায় ২০০২ সালের নভেম্বরে টেক্সাসের কেটিতে গ্রেপ্তার হন তিনি। দোষী সাব্যস্ত হলে অল্প জরিমানা করা হয় তাকে।


ঘটনাটির তদন্তে নেমেছে এফবিআই। শামসুদ-দীন জব্বারের কোনো রাজনৈতিক বা ধর্মীয় মতবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা আছে কি না বা তিনি কোনো ‘সন্ত্রাসী সংগঠনের’ সঙ্গে জড়িত কি না, এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা।


আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দুটি সূত্র সিএনএনকে জানিয়েছে, হামলার ঘটনায় ব্যবহৃত ট্রাকটিতে বরফ রাখার একটি পাত্রে একাধিক বোমা পাওয়া গেছে। সেগুলো নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। সঙ্গে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের পতাকাও ছিল।


জব্বার দুইবার বিয়ে করেন এবং তার দ্বিতীয় বিয়ের পর আর্থিক সমস্যা শুরু হয়। তিনি ১৬,০০০ ডলারের ঋণে জর্জরিত। একইসাথে তার রিয়েল এস্টেট ব্যবসা থেকে ২৮,০০০ ডলার ক্ষতি হয়েছিলো বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।


নিউইয়র্ক টাইমস ও অন্যান্য সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা যায়, জব্বারকে ২০০২ সালে চুরির জন্য এবং ২০০৫ সালে অবৈধ ড্রাইভিংয়ের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।



আরও খবর