Logo
আজঃ শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3
শিরোনাম

আমিরাতে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি নিহত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৪৫৭জন দেখেছেন

Image

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল-আইনে গত শুক্রবার (১ জুলাই) রাত ১১টার দিকে মোহাম্মদ হাছান মিয়া (২৭) নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন।

হাছান মিয়া চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার ৪নং ধুম ইউনিয়নের উত্তর নাহেরপুর গ্রামের মোহাম্মদ আবু ভাণ্ডারীর ছেলে।

গত শুক্রবার রাতে মোটরসাইকেলে ডেলিভারি দিতে যাওয়ার সময় পিকআপের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন তিনি। এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

হাছানের বন্ধু শেখ রাহাদ খান জানান, হাছান আর আমি একসঙ্গে পড়াশোনা করেছি। এসএসসি পাশের পর সে জীবিকার সন্ধানে কয়েক বছর আগে আমিরাতে চলে যায়। সেখানে একটি মোটরসাইকেল কোম্পানিতে ডেলিভারির কাজ করত।


আরও খবর



যেভাবে সেমির সমীকরণ মেলাতে পারে পাকিস্তান

প্রকাশিত:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৪৮জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক : কেবল কাগজে-কলমে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার আশা টিকে আছে পাকিস্তানের। রানরেটে অনেক এগিয়ে থাকায় সেই আশা প্রায় পূরণ করেই রেখেছে নিউজিল্যান্ড। তবে এখনও আশা হারাতে রাজি নন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। সেজন্য কীভাবে কঠিন সেই সমীকরণ মেলাবেন, তিনি সেই হিসাবও করছেন। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ (শনিবার) দুপুর আড়াইটায় রাউন্ড রবিন পর্বে নিজেদের শেষ লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান-ইংল্যান্ড।

এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের ৮ ম্যাচের চারটিতে জিতেছে পাকিস্তান। ৮ পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থান পাঁচ নম্বরে। অন্যদিকে ৯ ম্যাচ খেলা নিউজিল্যান্ডের পয়েন্ট ১০। আজ ইংল্যান্ডকে হারাতে পারলে পাকিস্তানের পয়েন্টও ১০ হবে। তবে রানরেটে পাকিস্তান পিছিয়ে আছে বিশাল ব্যবধানে। যে কারণে নিউজিল্যান্ডকে টপকে সেমিতে যেতে হলে পাকিস্তানকে জিততে হবে ২৮৭ রানে। আর রান তাড়ায় লক্ষ্য ছুঁতে হবে ২.১ ওভারের মধ্যে।

প্রায় অসম্ভব এই সমীকরণ মেলানোর বিষয়ে বাবর বলেন, ‘ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নেট রানরেট নিয়ে আমরা পরিকল্পনা করেছি। যাই হোক, আমরা প্রথম বল থেকেই মারতে যাব না। প্রথম ১০ ওভার কীভাবে খেলব এবং তারপর আমরা কী করব, সেটা নিয়ে পরিকল্পনা করেছি। যদি ফখর ২০-৩০ ওভার টিকে যায়, আমাদের যা লক্ষ্য তা অর্জন করতে পারব। আমরা কেউ জানি না পরবর্তীতে কী হবে, এখনও আমাদের একটি ম্যাচ বাকি আছে।’

পাকিস্তানের এমন কঠিন পরিস্থিতির জন্য অনেকেই অধিনায়ক বাবরকে দুষছেন। নেতৃত্ব তাকে বাড়তি চাপে ফেলেছে বলে মত তাদের। তবে বাবর বললেন ভিন্ন কথা, ‘আমি তিন বছর ধরে পাকিস্তানের অধিনায়ক। আমি কখনোই অধিনায়কত্বের চাপ অনুভব করিনি। নেতৃত্বের কোনো চাপ আমার ওপর নেই। লোকে আমার অধিনায়কত্ব নিয়ে কথা বলে। কিন্তু আমি বিশ্বকাপে গড়পড়তা মানের নিচে পারফরম্যান্স করিনি। বিশ্বকাপ শেষ করে পাকিস্তান যাওয়ার পর পিসিবি আমার অধিনায়কত্ব নিয়ে আলোচনা করবে। এই মুহূর্তে আমি বাকি থাকা লিগ ম্যাচ নিয়েই ভাবছি।’

কেবল অধিনায়কত্বই নয়, বাবর কাঠগড়ায় উঠেছেন ব্যাট হাতে আশানুরূপ পারফর্ম না করায়ও। কিন্তু বিষয়টি অনেকটা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে বলে জানিয়েছেন বাবর। একইসঙ্গে নির্দিষ্ট কোনো বিভাগকে দোষ দিতে চান না পাক অধিনায়ক, ‘আপনি বোলিং কিংবা ব্যাটিংকে দোষ দিতে পারবেন না। আমরা সামগ্রিকভাবে নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছি। আমাদেরকে নিজেদের ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে। ভারতে আমরা অনেক ভালোবাসা ও সমর্থন পেয়েছি। আমি কখনও নিজের ফিফটি নিয়ে ভাবিনি। অনেক মানুষ আমার সমালোচনা করে বলেছে আমি মন্থর স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করি। কিন্তু আমার কাছে পরিস্থিতি গুরুত্বপূর্ণ। আমি সব সময় দলের জন্য খেলেছি।’

শ্রীলঙ্কা-নিউজিল্যান্ডের সর্বশেষ ম্যাচের দিকে তাকিয়ে ছিলেন বাবররা। ম্যাচটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হলেও কিছুটা সম্ভাবনা থাকত পাকিস্তানের। কিন্তু শ্রীলঙ্কাকে মাত্র ১৭১ রানে অলআউট করে ২৩.২ ওভারে লক্ষ্য টপকে যায় কিউইরা। লঙ্কানদের এমন ভরাডুবির পর পাকিস্তানের বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের আগেই বিদায় এখন প্রায় নিশ্চিত।


আরও খবর

৩১৭ রানে অলআউট নিউজিল্যান্ড

বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩




মাসের শুরুতেই হোক সমন্বয়

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | ৩৫জন দেখেছেন

Image

সংসারের খরচ বাবদ একটা অংশ ব্যয় হয় দিনের খাবারের আয়োজনে। সেজন্য বাজারের পরিকল্পনাটা খুব জরুরি। মাসের আয় থেকে কত টাকা খাবারে ব্যয় করবেন তার মানসিক প্রস্তুতি রাখা জরুরি। এক্ষেত্রে আগে থেকেই তালিকা করে নিন। এভাবে পরবর্তী পরিস্থিতিতে সমন্বয়ে আপনার মানসিক যন্ত্রণা কম হবে।

বাজেট করা জরুরি
জনপ্রিয় বই অল ইয়োর ওর্থ: দ্য আলটিমেট লাইফটাইম মানি প্ল্যান বইটির কিছু বিষয় এখানে মনে রাখা জরুরি। তাদের হিসেব থেকেই আমরা একটি ভাগ করে নিচ্ছি। যদি কেউ মাসে ১ লাখ টাকা আয় করেন তাহলে সেটি ৫০, ৩০, ২০ হাজার এই তিন অংশে ভাগ করে ফেলুন। ভাগ অবশ্য আপনার চাহিদা অনুসারে করুন। যত কষ্টই হোক, সঞ্চয় খাতে যাবে ২০ হাজার, ৩০ হাজারে নিজের শখ মেটাবেন, বাকি ৫০ হাজার যাবে নিত্য খরচে। এই ৫০ হাজারের মধ্যেই আপনার বাড়ি ভাড়া, বাজার খরচসহ নানান রকম খরচ শোধ করার চেষ্টা করবেন।

বাজারে গেলে মানিয়ে নেওয়া
বাজারে আপনার চোখের হিসেবে পণ্য বাছাই করুন। চেষ্টা করুন কমদামি পণ্য কেনার। অনেকের এখন রান্নাকে একটু আয়েশি করার শখ থাকে। তাই কিছু পণ্য আপনাকে না কিনেই থাকতে হবে। মাসের শুরুতেই ভাড়া ও বিলের টাকা এক পাশে রেখে বাজারের টাকা আলাদা করুন। এবার বাজারের টাকা দিয়ে কীভাবে কী করবেন তা বাসার সবার সঙ্গে আলোচনা করুন। ভেবে দেখুন, কীভাবে এই টাকা আপনি খরচ করবেন। মাসের শুরুতেই যদি মুদিপণ্য কিনে ফেলা যায় তাহলে ভালো। টাকা কিছুটা সাশ্রয় হবে, তেমন সময় ও শ্রম কম লাগবে। অনেকেই বাজারে গেলে পণ্য কেনেন এবং খুচরো আকারে কেনেন। খুচরো আকারে কিনলে সমস্যা।

পরিবারের সবার সঙ্গে আলোচনা করে খাবারের হিসেব করা জরুরি। কারণ একজন ব্যক্তির খাবারে প্রতিদিন শর্করা (কার্বহাইড্রেট), আমিষ, প্রোটিন, খনিজ লবণ ও ভিটামিন থাকা দরকার। দরকারি উপকরণের কথা মাথায় রেখেই বাজার করা জরুরি। অনেকেই ভাবেন প্রোটিন প্রয়োজন নেই। কিন্তু এটি সত্য নয়।

খাবারে পুষ্টিগুণের সমন্বয়
ধরুন একদিন আপনি রুটি ও ডিম খেলেন নাশতায়। তারপরের দিন মেন্যু হবে ডাল ও রুটি। দুই দিন প্রোটিন, এক দিন ব্যালেন্সড, এক দিন নিরামিষ-এভাবে খাবারের মেন্যু ঠিক করে নেওয়া যায়। শীত আসছে তাই খিচুড়ি ব্যালেন্স ডায়েট হিসেবে একটি উপায়। নাশতায় প্রতিদিন দামি খাবার না রেখে ছোলা বা নুডলস রাখতে পারেন। বাদাম বাড়িতে রাখতে পারেন। রোজ দুধ না রাখতে পারলে বাদাম ব্যালেন্স করবে। দুধের বদলে চিনাবাদাম খেলেও ক্ষতি নেই। প্রতিদিন শাকের একটি মেন্যু রাখতে পারেন। শাকের দাম কম এবং পুষ্টিও অনেক।

বাজারে তালিকা নিয়ে যান
বাজারে গেলে অবশ্যই তালিকা নিয়ে যাবেন। শুধু শুধু ঘুরে লাভ নেই বরং আপনাকে দেখতে হবে তালিকার পণ্য পাওয়া যায় কি-না। আগে পরিবারের সদস্য সংখ্যা হিসাব করা দরকার, তারপর কোন জিনিস কতটুকু কিনবেন হিসাব করুন।

কোনো মাসে কোনো পণ্য বেশি থাকলে তা দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করবেন না। বাড়তি অংশ পরের মাসে যোগ হওয়ায় কিছু টাকা সাশ্রয় হবে, যেটা চাইলে সঞ্চয়ে যুক্ত করতে পারেন। খাবারের জন্য মাসের শুকনা বাজারগুলো মাসের শুরুতেই করা উচিত। কাঁচা বাজারটার ক্ষেত্রে কিছু স্বাধীনতা পাবেন।


আরও খবর

শুষ্ক ত্বকের যত্নে মধু

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩

শীতে লালশাক কেন খাবেন?

সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩




এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ২৬ নভেম্বর

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | ৩৭জন দেখেছেন

Image

এইচএসসি ও তার সমমানের পরীক্ষার ফলাফল আগামী ২৬ নভেম্বর রোববার প্রকাশ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতির ভিত্তিতে  ওই দিনটিকে আনুষ্ঠানিক ফলপ্রকাশের তারিখ হিসেবে নির্ধারণ করেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড।

প্রচলিত রীতি অনুযায়ী ওইদিন সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফল হস্তান্তর করা হবে। পরে সারা দেশের শিক্ষার্থীরা একযোগে পরীক্ষার ফলাফল পাবেন। আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড সাব কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।‌

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এর আগে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আগামী ২৬ অথবা ২৮ নভেম্বর —যে কোনো একদিন চাওয়া হয়েছিল। পরে তিনি ২৬ নভেম্বর দিনটিতে সম্মতি দিয়েছেন। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশের নিয়ম রয়েছে।

প্রসঙ্গত, পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ জন্য প্রতিবারই সম্ভাব্য সময় হিসেবে দুই অথবা তিন দিনের একটি প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে আলাপ করে ফলাফল প্রকাশের তারিখ চূড়ান্ত করে সেটি বোর্ডগুলোকে জানিয়ে দেয়।

চলতি বছর আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয় ১৭ আগস্ট, আর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পিছিয়ে যাওয়া তিনটি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা (চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড) শুরু হয় ২৭ আগস্ট। এবার পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তবে আইসিটিতে ১০০ নম্বরের পরিবর্তে ৭৫ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



গাজায় বোমা হামলা বন্ধ না হলে আঞ্চলিক যুদ্ধের হুঁশিয়ারি হিজবুল্লাহর

প্রকাশিত:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | ৩৫জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা বন্ধ না হলে মধ্যপ্রাচ্যে বৃহত্তর যুদ্ধের ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সেকেন্ড ইন কমান্ড শেখ নাঈম কাসেম।

তিনি বিবিসিকে বলেন, 'এই অঞ্চলে অত্যন্ত গুরুতর ও ভীষণ বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে এবং এর পরিণতি কেউ আটকাতে পারবে না।’

গাজায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তরফে সম্প্রতি জানানো হয়, সেখানে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এরকম একটা সময়েই বৈরুতে একটি সাক্ষাৎকারে হিজবুল্লাহর উপপ্রধান ওই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

গত ৭ই অক্টোবর হামাসের হামলায় ১,৪০০ মানুষের মৃত্যু হয়, যাঁদের মধ্যে ১,০০০ বেসামরিক নাগরিক ছিলেন। হামাসের ওই হামলার জবাবেই ইসরায়েলও পাল্টা হামলা চালায়।

হিজবুল্লাহর ওই নেতা বলেন, ‘বিপদটা সত্যিই আসতে চলেছে। কারণ ইসরায়েল বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে আগ্রাসন বাড়াচ্ছে এবং বেশি সংখ্যায় নারী ও শিশুদের হত্যা করছে।’ তার কথায়, ‘এই অঞ্চলে আরও বিপদ ডেকে না এনে কি এই পরিস্থিতি চলতে পারে? আমার মনে হয় না।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইসরায়েলের হামলা বাড়লে এই অঞ্চলের যুদ্ধের ঝুঁকিও বাড়বে।

প্রত্যেক বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যুর জবাব দেবে হিজবুল্লাহ
গাজায় যুদ্ধের প্রেক্ষিতে এখনও পর্যন্ত হিজবুল্লাহ শুধুমাত্র হুঁশিয়ারির মাত্রাই বাড়িয়েছে আর সতর্কভাবে তাদের প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে। রবিবার লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি হামলায় এক নারী ও তিন শিশুর মৃত্যুর পর হেজবুল্লাহ প্রথমবার গ্রাড রকেট ব্যবহার করে যাতে এক ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়।

হিজবুল্লাহর নেতা হাসান নাসরাল্লাহ হুমকি দিয়ে বলেছেন, লেবাননে প্রত্যেক বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যুর জবাব সীমান্তের ওপারেও দেওয়া হবে। তবে এখনো তিনি ইসরায়েলকে সর্বাত্মক যুদ্ধের হুমকি দেননি। ‘সমস্ত বিকল্প পথই খোলা রয়েছে।’ এ কথায় জোর দিয়ে জঙ্গি গোষ্ঠীটি মূলত সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে আন্তঃসীমান্ত আক্রমণের মধ্যেই নিজেদের প্রতিক্রিয়া সীমাবদ্ধ রেখেছে।

তাদের ৬০ জনেরও বেশি যোদ্ধা নিহত হয়েছেন, কিন্তু তাদের জায়গা নেওয়ার মতো যুদ্ধের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হিজবুল্লাহ-র আরও বহু সমর্থক আছে। বৈরুতে এমন এক যোদ্ধাকে এই সপ্তাহে কবর দেওয়া হয়েছে, যাঁর পরিবারের সদস্যরা কয়েক প্রজন্ম ধরে হেজবুল্লাহর হয়ে লড়াই করে এসেছে। শুধু তাই নয়, তিনি তাঁর পরিবারের পঞ্চম সদস্য যিনি ওই গোষ্ঠীর হয়ে প্রাণ দিয়েছেন।


আরও খবর



আর্জেন্টিনার নতুন প্রেসিডেন্ট জেভিয়ার মিলে

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | ২২জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন দেশটির ডানঘেঁষা গণতন্ত্রপন্থী নেতা ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব জেভিয়ার মিলে (৫৩)। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ও আর্জেন্টিনার সাবেক অর্থমন্ত্রী সের্গিও মেসাকে (৫১) ১২ শতাংশ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।

আর্জেন্টিনার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল ভোটের ফলাফল প্রকাশ করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। সেখানে দেখা গেছে, জেভিয়ার মিলে পেয়েছেন ৫৬ শতাংশ ভোট এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী সের্গিও মেসা পেয়েছেন ৪৪ শতাংশ ভোট।

রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, ব্যাপক মূল্যস্ফীতি এবং তার জেরে সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দা এবং বাড়তে থাকা দারিদ্রের চাপে বিপর্যস্ত আর্জেন্টিনায় নির্বাচনের শুরু থেকেই খানিকটা সুবিধাজনক জায়গায় ছিলেন জেভিয়ার। কিন্তু তারপরও তার ৫৬ শতাংশ ভোট অর্জনকে ‘আশার চেয়েও বেশি’ বলে মনে করছেন অনেকেই।

নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর জাতির উদ্দেশে দেওয়া তাৎক্ষণিক এক ভাষণে জেভিয়ার বলেন, ‘আমাদের সামনে পাহাড়প্রমাণ সমস্যা অপেক্ষা করছে। এই সমস্যার উৎস মূল্যস্ফীতি, বেকারত্ব এবং দারিদ্র্য। দেশের পরিস্থিতি বেশ খারাপ এবং সত্যিকার অর্থেই আসলে এখন হাত গুটিয়ে বসে থাকার কোনো সুযোগ নেই।’

‘আমরা পিছু হটব না; সামনে এগিয়ে যাবো এবং এই সংকট পরিস্থিতিকে অতিক্রম করব।’

শনিবার রাতে ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর রাজধানী বুয়েন্স এইরেসে জেভিয়ারের শত শত সমর্থক গাড়ি-মোটরসাইকেলের হর্ন বাজিয়ে, স্লোগান দিয়ে, আতশবাজি ফুটিয়ে, রক মিউজিক বাজিয়ে নিজেদের নেতার বিজয় উদযাপন শুরু করেন।

২১ বছর বয়সী শিক্ষার্থী এফরেইন ভিভেরো তাদের মধ্যে একজন। বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে এই ঐতিহাসিক বিজায় উদযাপন করতে এসেছে। আমি সত্যিই খুব আনন্দিত। (জেভিয়ার) মিলে ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রতীক। মেসা আসলে আমাদেরকে একটি সুন্দর ভবিষ্যতের দিকে নেতৃত্ব দিতে পারতেন না; এখন আমরা আমাদের নেতাকে পেয়ে গেছি।’

চলতি বছর জাতীয় নির্বচানে জয়ের মধ্যে দিয়ে আর্জেন্টিনার ঘরোয়া রাজনীতিতে পেরোনিস্ট পার্টির গত ৮৩ বছরের আধিপত্যের অবসান ঘটিয়েছেন জেভিয়ার মিলে।

মিলে ব্যাপকভাবে গর্ভপাতবিরোধী, অস্ত্র আইন সহজ করার পক্ষে এবং আর্জেন্টিনার নাগরিক পোপ ফ্রান্সিসের সমালোচক। তার প্রথম দু’টি বৈশিষ্টের সঙ্গে মার্কিন রাজনৈতিক দল কনজারভেটিভ পার্টির মতাদর্শের মিল রয়েছে।

ভোটের পরাজিত প্রার্থী সের্গিও মেসার সমর্থক এবং স্কুলশিক্ষিকা সুসানা মার্টিনেজ বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘জেভিয়ারের নীতির কথা ভাবলে আমরা আতঙ্কিত হয়ে উঠি।’


আরও খবর