Logo
আজঃ বুধবার ০৯ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম
ট্রাম্প এখনো কূটনৈতিক সমাধানে আগ্রহী : হোয়াইট হাউস জুলাই বিপ্লবে স্কাউট সদস্যের আত্মাহুতি, এ নজির বিশ্বে আর নেই: প্রধান উপদেষ্টা বিসিবি সভাপতি রাজশাহী অঞ্চলে প্রিমিয়ার লিগ চালুর কথা বললেন সিএস ও কমিটির পক্ষ থেকে সি এস ও লিড ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত ইরানে মার্কিন হামলায় জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্বেগ বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নৌবাহিনী প্রযুক্তিনির্ভর ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে ভূমিকা রাখছে : সেনাপ্রধান অবকাশ শেষে রোববার থেকে নিয়মিত বিচারিক কার্যক্রম ফিরছে সুপ্রিম কোর্ট হলি আর্টিজান হামলা : মৃত্যুদণ্ড থেকে সাত আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ডের যুক্তি পূর্ণাঙ্গ রায়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। ওমান উপসাগরে দুটি তেল ট্যাঙ্কারের মধ্যে সংঘর্ষে

বাধ্যতামূলক অবসরে পুলিশের আরও ৪ কর্মকর্তা

প্রকাশিত:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | হালনাগাদ:বুধবার ০৯ জুলাই ২০২৫ | ১১৪জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার : পুলিশের শীর্ষ পর্যায়ের আরও চার কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছেন এক উপপুলিশ মহাপরিদর্শক ও তিন জন অতিরিক্ত উপপুলিশ মহাপরিদর্শক।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন স্বাক্ষরিত পৃথক চারটি প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

অবসরে পাঠানো কর্মকর্তারা হলেন, অপরাধ তদন্ত বিভাগের উপপুলিশ মহাপরিদর্শক (চলতি দায়িত্ব) মো. ইমাম হোসেন, হেডকোয়ার্টারের অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক খন্দকার লুৎফুল কবির, ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মীর রেজাউল আলম এবং নোয়াখালী পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের অতিরিক্ত উপপুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৫৭ নং এর ৪৫ ধারার বিধান অনুযায়ী তাদেরকে জনস্বার্থে অবসরে পাঠানো হলো। অবসরকালীন সময়ে তারা বিধি অনুযায়ী অবসরজনিত সুবিধা প্রাপ্ত হবেন বলেও উল্লেখ করা হয় প্রজ্ঞাপনে।


আরও খবর



জুলাই বিপ্লবে স্কাউট সদস্যের আত্মাহুতি, এ নজির বিশ্বে আর নেই: প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত:সোমবার ২৩ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৮ জুলাই ২০২৫ | ৩৯জন দেখেছেন

Image

জুলাই বিপ্লবে বাংলাদেশের স্কাউট সদস্যদের অংশগ্রহণ গৌরব ও অহংকারের উল্লেখ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, এটি সারাবিশ্বের স্কাউটস এর জন্য বিশেষ গৌরবের। স্কাউট সদস্যরা দেশ ও দেশের মানুষের জন্য আত্মাহুতি দিয়েছে। নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টির জন্যে তাদের এই আত্মাহুতি। বিশ্ব স্কাউটসের ইতিহাসে এ নজির আর নেই।

বাংলাদেশের যে স্কাউট সদস্যরা জীবন দিয়ে এই ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন, তাদেরকে তিনি অভিনন্দন জানান ।

আজ সোমবার ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে বাংলাদেশ স্কাউটস এর কাব কার্নিভালের উদ্বোধন ও শাপলা কাব অ্যাওয়ার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ইউনূস ১৯৫৫ সালে কানাডায় গ্লোবাল স্কাউটস জাম্বুরিতে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা ও স্মৃতি তুলে ধরে বলেন,‘শৈশব ও কিশোর বয়সে স্কাউটস আমার আদর্শিক পোশাকে পরিণত হয়েছিল। ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে এই যাত্রা আমার শুরু। তা আর থামেনি। স্কাউটিংয়ের সুবাদে কানাডা, ইউরোপসহ পৃথিবীর বহু দেশ দেখার সুযোগ হয়েছে।অন্য দেশের মানুষ সম্পর্কে জেনেছি।’

স্কাউটিংয়ের ব্যবহারিক দিক ও সৃজনশীলতা তাঁকে খুব আকর্ষণ করতো উল্লেখ করে তিনি বলেন,‘এখানে নতুন কিছু করার সুযোগ থাকে। নতুন কিছু করার সুযোগের কারণে আনন্দ পেতাম। প্রতিযোগিতা করারও সুযোগ রয়েছে এখানে।’

বর্তমান স্কাউটিং কর্মসূচিতে বিশ্বভ্রমণের সুযোগ রাখার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বর্তমান স্কাউটিংয়ে পৃথিবীকে দেখার, অন্য দেশের মানুষকে চেনার এবং তাদের ভাষা জানার সুযোগ রাখতে হবে। বিশ্ব নাগরিকের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলার সুযোগ যেন থাকে। এর মাধ্যমে একজন কিশোর নিজেকে আবিষ্কার করতে পারবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

কিশোর বয়সে দুনিয়াকে দেখা এবং ভিন দেশের মানুষ সম্পর্কে জানা প্রতিটি মানুষের জীবনে অতি মূল্যবান বলে তিনি উল্লেখ করেন।

স্কাউট সদস্যদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘স্কাউটিং তোমার জীবনে একটা বড় দরজা খুলে দিয়েছে।

এখন তোমার দায়িত্ব হলো অন্যের জন্য দরজা খুলে দেওয়া। অন্যের দরজা তোমাকে খুলতে হবে, যেহেতু তুমি অনেক দূর এগিয়ে এসেছো তাই এই দায়িত্ব তোমাকে নিতে হবে।’

অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা জুলাই বিপ্লবে শহীদ হওয়া আট স্কাউট সদস্যের পরিবারের হাতে গ্যালানট্রি অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন। এছাড়া তিনি স্কাউটিং প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে শাপলা কাব অ্যাওয়ার্ড বিতরণ করেন।

আজ সারাদেশে ৫২৭টি স্থানে একযোগে কাব কার্নিভাল শুরু হয়েছে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ স্কাউটস এর এডহক কমিটির আহ্বায়ক মো. এহছানুল হক এবং সদস্য সচিব মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বক্তব্য রাখেন।


আরও খবর



প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠক রাজনৈতিক সংকট কাটাতে টার্নিং পয়েন্ট : মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ০৯ জুলাই ২০২৫ | ৫৫জন দেখেছেন

Image

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যুক্তরাজ্য সফররত প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক হবে। এই বৈঠকটি রাজনৈতিক সংকট কাটাতে টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে বলেও উল্লেখ করছেন তিনি।

আজ রাজধানীর গুলশানে বিএনপি’র চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মহাসচিব বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তিনি (ড. ইউনূস) যে হোটেলে উঠেছেন সেখানেই বৈঠক হবে।’

আগামী ১৩ জুন শুক্রবার লন্ডনের স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টার মধ্যে বৈঠকটি হবে।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক যে সংকটগুলো রয়েছে, সেগুলোয় এই বৈঠক ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে বলে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, বর্তমানে যে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বা অবস্থান, তাতে এটা একটা বড় ইভেন্ট। গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট। এটার গুরুত্ব অনেক বেশি। নিঃসন্দেহে রাজনৈতিক সংকট কাটাতে এটা একটা বড় টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে।’

প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠক প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এটা (বৈঠক) আমরা বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই যখন থেকে প্রধান উপদেষ্টা লন্ডনে যাবেন সিদ্ধান্ত হয়েছে তখন থেকেই মোটামুটি একটু আলোচনা হচ্ছিল যে, সেখানে যেহেতু আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আছেন সেখানে একটা সাক্ষাৎ হতে পারে। 

এটা একটা সম্ভাবনা তখন থেকেই শুরু হয়েছিল। এখন এটা পরিপর্ক্ক হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘গতকাল সোমবার রাতে আমাদের স্ট্যাডিং কমিটির মিটিংও হয়েছে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিটিংয়ে সভাপতিত্ব করেছেন। তারেক রহমানকে ফরমালি দাওয়াত করা হয়েছে মিটিংয়ের জন্যে। ১৩ তারিখ ৯টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত (লন্ডন স্থানীয় সময়) প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে এই সময়টা দেয়া হয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই মিটিংয়ের জন্য আমাদের স্ট্যান্ডিং কমিটির পক্ষ থেকে স্বাগত জানানো হয়েছে।

আমরা প্রত্যাশা করছি যে, এটা বাংলাদেশের যে রাজনৈতিক সংকট কাটাতে পজেটিভ ভূমিকা রাখতে পারে।’

অনুষ্ঠেয় বৈঠকটিকে এই সময়ের বড় ‘পলিটিক্যাল ইভেন্ট’ হিসেবে অভিহিত করে মির্জা ফখরুল বলেন, অনেক সুযোগও তৈরি হতে পারে এই বৈঠকে। অনেক সমস্যার সমাধান হতে পারে। অনেক কিছু সহজ হয়ে যেতে পারে। নতুন ডাইমেনশন তৈরি হতে পারে এই বৈঠকে। নতুন একটা দিগন্তের উন্মোচন হতে পারে।

তিনি বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস তিনি দেখা করবেন আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যিনি দল চালাচ্ছেন এতোদিন ধরে। যিনি রাজনীতিতে প্রধান কেন্দ্র বিন্দু হয়ে আছেন বাংলাদেশে এবং ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্যেও একটা প্রধান ভূমিকা পালন করেছেন। 

তার সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ হওয়াটা আমি বড় ইভেন্ট বলে মনে করি। ‘ইটস এ মেজর পলিটিক্যাল ইভেন্ট।’

তিনি বলেন,  আমার মনে হয় যে, এই সময়ের মধ্যে সবচাইতে ইম্পরটেন্ট ইভেন্ট, এই মিটিংয়ে গুরুত্ব অনেক বেশি। আমি মনে করি জাতীয়ভাবে এবং আন্তর্জাতিকভাবেও এটা গুরুত্ব অনেক বেশি।

মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য বলেছেন, ‘আপনাদের পত্র-পত্রিকায় সাংবাদিকদের মধ্যে বহু আলোচনা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চলছে। এর মধ্যে এই মিটিংটা হলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যেতে পারে এবং অনেক কিছু সহজ হয়ে যেতে পারে। নতুন ডাইমেনশন সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক। এখন এটা নির্ভর করবে আমাদের নেতৃবৃন্দের (মুহাম্মদ ইউনুস-তারেক রহমান) উপরে তারা কিভাবে সেই সম্ভাবনার দিকে নিয়ে যাবেন। আমরা আমাদের দলের তরফ থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে সম্পূর্ণ অথোরিটি দিয়েছি তার, সাফল্য প্রার্থনা করেছি।’

বৈঠকের স্থান কোথায় জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ লন্ডনে যে হোটেলটিতে (হোটেল ডোরচেস্টার) উনি প্রধান উপদেষ্টা আছেন সেটাতেই ভেন্যু। ওখানেই তার সঙ্গে ‘ইংল্যান্ডের হাউজ অব কমন্সের ডেপুটি লিডার অব দি হাউজ’ দেখা করবেন তারেক রহমান সাহেবের বৈঠকের পরে। এরপরে অন্যান্য নেতা যারা আছেন তারা ওখানেই দেখা করবেন। 


আরও খবর



বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নৌবাহিনী প্রযুক্তিনির্ভর ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে ভূমিকা রাখছে : সেনাপ্রধান

প্রকাশিত:রবিবার ২২ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৮ জুলাই ২০২৫ | ৪৪জন দেখেছেন

Image

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, একবিংশ শতাব্দীর প্রগতিশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনী আজ একটি আধুনিক, প্রযুক্তিনির্ভর ও ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে সমুদ্রসীমার সার্বভৌমত্ব রক্ষা, সমুদ্র সম্পদের সুরক্ষা, সমুদ্রে অপরাধ দমন ও সুশাসন বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মানবিক সহায়তায় দেশে-বিদেশে নৌবাহিনীর অংশগ্রহণ এবং ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ এর আওতায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তায় নৌবাহিনীর কর্মকাণ্ডকে সাধুবাদ জানান সেনাপ্রধান।

সেনাবাহিনী প্রধান রোববার বাংলাদেশ নেভাল একাডেমিতে নৌবাহিনীর মিডশিপম্যান ২০২২-বি ব্যাচ এবং ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসার ২০২৫-এ ব্যাচের প্রশিক্ষণ শেষে ঐতিহ্যবাহী রীতি অনুযায়ী গ্রীষ্মকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন।

উক্ত অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ২০২২-বি ব্যাচের ৪৪ জন মিডশিপম্যান এবং ২০২৫-এ ব্যাচের ৮জন ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসারসহ মোট ৫২ জন নবীন কর্মকর্তা কমিশন লাভ করেন।

উল্লেখ্য, কমিশনপ্রাপ্ত নবীন কর্মকর্তাদের মধ্যে ৮ জন নারী এবং ৪ জন বিদেশি কর্মকর্তা রয়েছেন।  কুচকাওয়াজ পরিদর্শন শেষে সেনাবাহিনী প্রধান বিভিন্ন বিষয়ে কৃতি প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে পদক তুলে দেন। সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত নবীন কর্মকর্তাদের মধ্যে মিডশিপম্যান মেহেদী হাসান মৃধা,(এক্স), বিএন সকল বিষয়ে সেরা চৌকস মিডশিপম্যান হিসেবে ‘সোর্ড অব অনার’ লাভ করেন।

মিডশিপম্যান মো. মেহেরাব হক তনি, (এক্স), বিএন প্রশিক্ষণে ২য় সর্বোচ্চ মান অর্জনকারী হিসেবে ‘নৌ প্রধান স্বর্ণপদক’ এবং ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসার অ্যাক্টিং সাব লেফটেন্যান্ট রাজীব দত্ত, (শিক্ষা), বিএন কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জনকারী হিসেবে ‘বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিন স্বর্ণপদক’ লাভ করেন। এছাড়াও, মিডশিপম্যান্ট আবুহোরাইরা এলবাদাউয়ি আহমেদ আবদেলনাইম, (এক্স) এসইউডি (সুদান আর্মি) সেরা চৌকস বিদেশি মিডশিপম্যান হিসেবে প্রথমবারের মতো ‘বিএনএ আন্তর্জাতিক স্বর্ণ পদক’ লাভ করেন। পরে সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত নবীন কর্মকর্তাগণ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার মহান ব্রত নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করেন।

সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত নবীন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে সেনাবাহিনী প্রধান তাঁর ভাষণের শুরুতে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নৌ কমান্ডোদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন।

সেনাবাহিনী প্রধান ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নবীন কর্মকর্তাদের দেশপ্রেম ও কর্তব্য নিষ্ঠার সঙ্গে নিরলসভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান। সততা, সঠিক নেতৃত্ব ও আত্মত্যাগের মন্ত্রে বলীয়ান হয়ে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তিনি নবীন কর্মকর্তাদের সদা প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দেন। পেশা হিসেবে দেশ সেবার এ মহান দায়িত্বকে বেছে নেওয়ায় নবীন কর্মকর্তা ও তাদের অভিভাবকবৃন্দকে তিনি আন্তরিক অভিনন্দন জানান। মনোমুগ্ধকর কুচকাওয়াজ প্রদর্শনের জন্য প্রশিক্ষণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা, প্রশিক্ষক ও নৌসদস্যদের তিনি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তাগণ, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাগণ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত নবীন কর্মকর্তাদের অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



দেশের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোয় গ্যাসের বিপুল বকেয়া বিল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৮ জুলাই ২০২৫ | ৫৬জন দেখেছেন

Image

দেশের সরকারি-বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো দীর্ঘদিন ধরেই গ্যাস সরবরাহের বিল নিয়মিত পরিশোধ করছে না। বরং গ্যাসের বিপুল বকেয়া পরিশোধে ওসব প্রতিষ্ঠান গড়িমসি করছে। তাতে বিপাকে পড়েছে দেশের ৬টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানি। বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে ছয়টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানি মোট ২১ হাজার কোটি টাকা বকেয়া পড়েছে। আর ওই টাকা আদায় করতে না পারায় এরই মধ্যে কোম্পানি পরিচালনায় হিমশিম খেতে হচ্ছে। সরকার বিদ্যুতের বকেয়া পরিশোধে বিগত সরকারের চেয়ে অনেক তৎপর হলেও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে অর্থ আদায়ে সফলতা দেখাতে পারছে না। বিশেষ করে বিপুল অর্থ দিয়ে বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানি করে গ্যাস সরবরাহ করলেও ওই গ্যাসের বিল আদায় হচ্ছে না। ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলো। পেট্রোবাংলা সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বিগত তিন বছর ধরেই গ্যাসের বকেয়া বিল পরিশোধ নিয়ে টানাপড়েন চলছে। বিদেশী কোম্পানিগুলোর কাছে এ খাতে গত বছরের আগস্ট পর্যন্ত ৭৫ কোটি ডলার বকেয়া ছিল। আর বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত বছরের এপ্রিল পর্যন্ত বকেয়া পরিশোধ করে ২৪ কোটি ডলারে নামিয়ে আনা হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় ও বিদেশী বিদ্যুৎ সরবরাহ কোম্পানির বিপুল পরিমাণ বকেয়া বিল পরিশোধেও তৎপরতা চালানো হয়। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতির তেমন উন্নতি ঘটছে না। বর্তমানে বিদ্যুৎ খাতে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গ্যাসের মোট ২১ হাজার ৭৯ কোটি টাকা বকেয়া পড়েছে। তার মধ্যে বিতরণ কোম্পানি তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (টিজিটিডিসিএল) পাবে ৮ হাজার ৯৬ কোটি টাকা। সরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে তিতাস গ্যাস পাবে ৩ হাজার ৫৬৬ কোটি টাকা এবং বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে বকেয়া ৪ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা। তবে মার্চ ও এপ্রিল হিসাবে ধরলে এ খাতে মোট বকেয়ার পরিমাণ ২৩ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। এ অর্থ আদায়ে বিতরণ কোম্পানিগুলো কঠোর অবস্থানে থাকলেও খুব বেশি অগ্রগতি নেই।

সূত্র জানায়, বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর কাছে বকেয়া পড়েছে ৪ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকা। তার মধ্যে সরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর কাছে ১৬৫ কোটি টাকা বকেয়া এবং বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে ৪ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। আর বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে চট্টগ্রামে গ্যাস বিতরণে নিয়োজিত কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ৬৯৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা বকেয়া পাওনা রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছে ৬৫৫ কোটি টাকা আর বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছে বকেয়া প্রায় ৪৩ কোটি টাকা। জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমস লিমিটেডের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে বকেয়া পাওনা রয়েছে ৪ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে ২ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা এবং বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে ১ হাজার ৮২৮ কোটি টাকা বকেয়া আছে। আর দেশের পশ্চিমাঞ্চলে গ্যাস সরবরাহে নিয়োজিত পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (পিজিসিএল) বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে পায় ১ হাজার ৭৩৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছে ১ হাজার ২০ কোটি টাকা এবং বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে ৭১৬ কোটি টাকা বকেয়া পড়েছে। সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডও বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে বিপুল পরিমাণ বকেয়া পাবে। সংস্থাটির গ্যাস সরবরাহ বাবদ কেন্দ্রগুলোর কাছে বকেয়া পাওনার পরিমাণ ১ হাজার ৭৮৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে ১ হাজার ১০৫ কোটি টাকা এবং বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে বকেয়ার পরিমাণ ৬৮৪ কোটি টাকা।

সূত্র আরো জানায়, সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো দেশের ছয়টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানির কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ গ্যাস সরবরাহ নেয়। ওই গ্যাসের বকেয়া বাবদ বিতরণ কোম্পানিগুলো বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে ২১ হাজার কোটি টাকার বেশি বকেয়া পাবে। যার মধ্যে বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্র (আইপিপি) কাছে গ্যাসের বিল ২১ হাজার ৭৯ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো গ্যাস নিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) কাছে বিক্রি করে। কিন্তু বিপিডিবি কেন্দ্রগুলোর বিদ্যুৎ বিল নিয়মিত পরিশোধ করতে না পারায় তারাও গ্যাসের বিল নিয়মিত পরিশোধ করতে পারছে না। যদিও এখন সরকার বিদ্যুতে বেসরকারি কোম্পানিগুলোর বকেয়া কমিয়ে এনেছে। তার পরও বেসরকারি কেন্দ্রগুলোর কাছে গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোর বিপুল পরিমাণ অর্থ বকেয়া রয়েছে। বিতরণ কোম্পানিগুলোর মধ্যে গ্যাসের বিপুল পরিমাণ বকেয়া নিয়ে তীব্র অস্বস্তি রয়েছে। বিশেষ করে কোম্পানিগুলোর রাজস্ব আদায়ে এ ঘাটতি পরিচালন ব্যয়ে বড় আকারে প্রভাব ফেলছে। তবে বকেয়া আদায়ে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। বিশেষ করে সংযোগ বিচ্ছিন্ন, অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদের মাধ্যমে বকেয়া আদায়ে তৎপরতা চালানো হচ্ছে।

এদিকে একাধিক বিতরণ কোম্পানির সংশ্লিষ্টরা জানান, বিদ্যুৎ খাতে সরকার বকেয়া বিল আগের চেয়ে দ্রুত পরিশোধ করছে। কারণ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোও দ্রুত অর্থ পাচ্ছে। তবে তারা বকেয়া পরিশোধের ক্ষেত্রে নানা ইস্যু তুলে ধরে। আর্থিক ক্ষতির বিষয়টি বারবার সামনে তুলে ধরে। এ বিষয়ে এখন সরকারের পক্ষ থেকে জোরালো ভূমিকা রাখা জরুরি। কারণ এ বিল বকেয়ার কারণে কোম্পানিগুলোর রাজস্ব ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। যদিও বকেয়া আদায়ে তিতাস কঠোর অবস্থানে রয়েছে। তবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর ক্ষেত্রে বিষয়টি একটু ভিন্ন। কেননা এটি যেহেতু সরবরাহ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত, ফলে এক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক কঠোর অবস্থানে গেলে নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা রয়েছে। তবে আগের চেয়ে বিল আদায় কিছুটা বেড়েছে। গত মাসে বকেয়া আদায়ের হার ছিল ১১০ শতাংশ। 

অন্যদিকে বেসরকারি বিদ্যুৎ উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইপিপিএ) সভাপতি ডেভিড হাসানাত জানান, বিদ্যুৎ খাতে সরকারের কাছে বেসরকারি কেন্দ্রগুলোর এখনো তিন মাসের বকেয়া রয়েছে। আগে এর পরিমাণ ছিলো ছয় মাস। গত জানুয়ারি পর্যন্ত সরকার বিল পরিশোধ করেছে। বকেয়া নিয়ে সরকারের আন্তরিকতার ঘাটতি না থাকলেও বেশকিছু একক সিদ্ধান্ত নিয়ে আইপিপিগুলোর মধ্যে অস্বস্তি রয়েছে। যেমন সার্ভিস চার্জ ৯ শতাংশ থেকে নামিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সরকারকে আমাদের সমস্যাগুলো বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জ্বালানি সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, বিদ্যুতে গ্যাসের বকেয়া বিল আদায়ে জ্বালানি বিভাগ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। বিল বকেয়া রাখা প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা করা হয়েছে। কারো দুই মাসের অধিক বিল বকেয়া থাকলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে। আবাসিকের ক্ষেত্রে সংযোগ বিচ্ছিন্ন অব্যাহত রয়েছে। অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদে পাঁচজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। তারা সার্বক্ষণিক মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন। সরকারি গ্যাস বিল আদায়ে বকেয়া  বিল আদায়ে একটা কমিটি করা হয়েছে। বকেয়ার বিষয়টি নিয়ে তাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করা হচ্ছে।


আরও খবর



শপথ ছাড়াই নগর পরিচালনায় ইশরাক, সরকারের বিরুদ্ধে ‘প্যারালাল প্রশাসনের’ অভিযোগ

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৮ জুলাই ২০২৫ | ৪৩জন দেখেছেন

Image

 মেয়র হিসেবে শপথ না নেওয়া সত্ত্বেও নাগরিক সেবার অচলাবস্থা কাটাতে কার্যক্রম পরিচালনার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। আদালতের রায় অনুযায়ী নিজেকে বৈধ মেয়র দাবি করে তিনি বলেছেন, সরকার রাজনৈতিক কারণে তাকে শপথ নিতে দিচ্ছে না। একইসঙ্গে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ডেঙ্গু মোকাবিলা, পরিচ্ছন্নতা ও জন্ম-মৃত্যুসনদ প্রদানসহ জরুরি সেবা চালু রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

সোমবার (১৬ জুন) নগর ভবনে সংবাদ সম্মেলনে ইশরাক হোসেন বলেন, ‘‘আন্দোলন চলবে, তবে জনগণের দুর্ভোগ যেন না বাড়ে, সেটি আমরা নিশ্চিত করবো।’’ এদিন তিনি ডিএসসিসির পরিচ্ছন্নতা বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এটাই ছিল নগর ভবনে তার প্রথম সভা, যার ব্যানারে ‘মাননীয় মেয়র’ উপাধি ব্যবহার করা হয়।

ইশরাক বলেন, ‘‘ডিএসসিসির মেয়র হিসেবে আদালতের রায় ও নির্বাচন কমিশনের গেজেট প্রকাশের পরও আমাকে শপথ নিতে দিচ্ছে না সরকার। আন্দোলন করেও কোনো সাড়া পাচ্ছি না। আজ পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আলোচনা বা যোগাযোগ হয়নি।’’

তিনি অভিযোগ করেন, “এই অচলাবস্থার জন্য পুরোপুরি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত দায়ী। সরকার তার পছন্দের প্রশাসক বসিয়ে ‘অবৈধ সুযোগ সুবিধা’ নিতে চায়।”

ডেঙ্গুর ক্রমবর্ধমান সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে সেবার অচলাবস্থা না টানতে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করার ঘোষণা দিয়ে ইশরাক বলেন, ‘‘প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে মনিটরিং টিম গঠন করা হবে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

ইতিমধ্যে তিনি পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শকদের সঙ্গে বৈঠক করে কর্মীদের উৎসাহিত করেছেন এবং আশ্বাস দিয়েছেন, তাদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করবেন।

আগামী মঙ্গলবার (১৭ জুন) ওয়ার্ড সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করার পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন তিনি। এই বৈঠকে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, নাগরিক সনদ ও ওয়ারিশ সনদসহ নাগরিক সেবাগুলো সচিবদের মাধ্যমে পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

বুধবার (১৮ জুন) স্বাস্থ্য বিভাগের সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে ডেঙ্গু প্রতিরোধে শক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান ইশরাক।

তিনি বলেন, “আমরা জনগণের দুর্ভোগ কমাতে সেবা কার্যক্রম চালু রাখছি, তবে আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। নগর ভবনের ফটকে তালা থাকবে—এটাই আন্দোলনের প্রতীক।”

এদিকে নগর ভবনে ইশরাকের এই তৎপরতা ঘিরে সরকারি পক্ষ থেকে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে চলমান পরিস্থিতিতে নগর ভবনের দৈনন্দিন কার্যক্রমে অচলাবস্থা বিরাজ করছে।

২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস বিএনপির ইশরাক হোসেনকে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। কিন্তু ২৭ মার্চ, ঢাকার নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল ওই ফল বাতিল করে ইশরাককে বিজয়ী ঘোষণা করে। এরপর ২৭ এপ্রিল, নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করলেও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ‘আইনি জটিলতা’র অজুহাত দেখিয়ে শপথ অনুষ্ঠান স্থগিত রাখে। ফলে ইশরাক সমর্থকরা ১৪ মে থেকে নগর ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে। এতে পরে ডিএসসিসি কর্মচারী ইউনিয়নও যোগ দেয়।

ইশরাক দাবি করেন, আদালতের রায় কার্যকর না করে সরকার ‘প্যারালাল প্রশাসন’ চালাচ্ছে এবং দুর্নীতিতে জড়িত কর্মকর্তাদের দিয়ে সিটি করপোরেশন পরিচালিত হচ্ছে। তিনি সরকারকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে মেয়র হিসেবে তাকে শপথ করানোর আহ্বান জানান, অন্যথায় আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে হুঁশিয়ার করেন।


আরও খবর