Logo
আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

বাংলাদেশ কখনোই শ্রীলঙ্কা বা পাকিস্তান হবে না: সেতুমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ২৪১জন দেখেছেন

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে মানুষ কষ্টে আছে। তবে এই অস্থিরতা, বাস্তবতা আমাদের সৃষ্টি নয়, আমরা বিশ্ব পরিস্থিতির মূল্য দিচ্ছি। এরকম দিন থাকবে না। মানুষের কষ্ট হচ্ছে সরকার এটা জানে। এই অবস্থাও থাকবে না।

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) আয়োজিত শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ কখনোই শ্রীলঙ্কা বা পাকিস্তান হবে না, উন্নত দেশ হবে। শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রাখুন। এই বৈরি পরিস্থিতিতেও তিনি বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এদেশে গণতন্ত্রের জন্য একটি পরিবার পর্যন্ত শেষ হয়ে গেল। তারা এই সেক্রিফাইস করেছিলেন বলেই আজকে বাংলাদেশ আলোকিত বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর হাতে স্বাধীনতা, শেখ হাসিনার হাতে মুক্তি। এটাই নিয়তি।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, পৃথিবীতে যত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড এ যাবৎ হয়েছে এসব হত্যাকাণ্ডের মধ্যে সবথেকে নৃশংস হত্যাকাণ্ড হলো বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড। ’৭১ এর পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে ’৭৫ এর হত্যাকাণ্ড। একটি হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড জিয়াউর রহমান, আরেকটি ২১ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড তার ছেলে তারেক রহমান।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাচিপের সভাপতি ডা. এম ইকবাল আর্সলান, মহাসচিব ডা. এম এ আজিজ, সদস্য সচিব ডা. মো. আরিফুল ইসলাম জোয়ারদার টিটো, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী প্রমুখ।


আরও খবর



দুবাইয়ে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের বেতন বাড়ানোর নির্দেশ

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১৭জন দেখেছেন

Image

মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের বেতন বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের ক্রাউন প্রিন্স শেখ হামদান বিন মোহাম্মদ।

এই নির্দেশনার কারণে যেসব ইমাম ও মুয়াজ্জিন দুবাইয়ের ইসলামবিষয়ক ও দাতব্য কার্যক্রম বিভাগের অধীনে কাজ করেন তাদের বেতন বাড়বে।

এতে সমাজে ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের যে ভূমিকা রয়েছে বেতন বাড়ানোর মাধ্যমে সেটিকে আরও বেশি স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমও এই আদেশ দেন। এই বেতন বৃদ্ধি ধর্মীয় বিষয়গুলো তত্ত্বাবধান এবং গঠনমূলক সামাজিক নীতি সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের ত্যাগকেও স্বীকৃতি দেয়।


আরও খবর



আজ সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ২৭জন দেখেছেন

Image

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সোমবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারের পাশাপাশি বেসরকারি টেলিভিশন এবং রেডিও স্টেশনগুলো তার এই ভাষণ একযোগে সম্প্রচার করবে।

প্রেস উইং জানিয়েছে, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন।


আরও খবর



গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর তাণ্ডবে ফিলিস্তিনি নিহত প্রায় ৩১ হাজার 

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৬১জন দেখেছেন

Image

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর তাণ্ডবে প্রায় ৩১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকাজুড়ে আক্রমণ আরও জোরদার করেছে। তারা নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়ে নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ১৩ জনকে হত্যা করেছে। এছাড়া রাফা শহরের একটি আবাসিক টাওয়ার ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। শুধু তাই নয়, উত্তর গাজায় অপুষ্টিতে এক শিশু এবং এক তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। ফলে সেখানে অনাহারে এখন পর্যন্ত ২৫ জনের মৃত্যু হল।

এদিকে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউ এনআর ডব্লিউ এ তহবিল পুনরুদ্ধার করেছে কানাডা এবং সুইডেন। ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ বলছে, হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। অপরদিকে রমজান মাসকে সামনে রেখে এক বার্তায় হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ গাজার ওপর এই জঘন্য যুদ্ধ বন্ধ করতে ইসরায়েল এবং এর মিত্র বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। এরপরই গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল। হামাসের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযান চালানো হচ্ছে। এমনকি হামাসকে নির্মূলের অজুহাতে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর প্রতিদিন হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।

গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত সেখানে কমপক্ষে ৩০ হাজার ৯৬০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৭২ হাজার ৫২৪ জন। সেখানে ইসরায়েলি তাণ্ডবের কারণে খাবার এবং পানির তীব্র সংকট তৈরি হয়েছে।


আরও খবর



দুবাই ক্যান শহর জুড়ে কৌশলগত স্থানে ৫০টি পাবলিক ওয়াটার স্টেশন স্থাপন

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৫১জন দেখেছেন

Image

ইউ এ ই প্রতিনিধি (দুবাই) : দুবাই ক্যান উদ্যোগ দুই বছরে একক-ব্যবহারের প্লাস্টিকের জলের বোতলের ব্যবহার প্রায় ১৮ মিলিয়ন কমিয়েছে। এই উদ্যোগের ৫০ টি বিদ্যমান স্টেশন ছাড়াও শহরের চারপাশে আরও ৩০টি পাবলিক ওয়াটার স্টেশন স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।দুবাই ক্যান, শহরব্যাপী স্থায়িত্বের উদ্যোগ, এটি চালু হওয়ার পর থেকে মাত্র দুই বছরে প্রায় ১৮ মিলিয়ন 500ml, একক ব্যবহারের প্লাস্টিকের জলের বোতলের সমতুল্য ব্যবহার হ্রাস পেয়েছে।তার অংশীদার এবং পৃষ্ঠপোষকদের সহায়তায়, দুবাই ক্যান পার্ক এবং জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য সহ শহর জুড়ে কৌশলগত স্থানে ৫০টি পাবলিক ওয়াটার স্টেশন স্থাপন করেছে।  এই স্টেশনগুলি প্রায় নয় মিলিয়ন লিটার জল বিতরণ করেছে।

দুবাই ক্যান ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২-এ দুবাইয়ের ক্রাউন প্রিন্স এবং দুবাইয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান শেখ হামদান বিন মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম দ্বারা চালু করা হয়েছিল, একক-ব্যবহারের প্লাস্টিকের জলের বোতলের ব্যবহার কমাতে, বাসিন্দাদের এবং দর্শনার্থীদের ক্ষমতায়ন করতে।  আরও টেকসই ভবিষ্যত গড়ে তোলার জন্য সক্রিয় খেলোয়াড় হন এবং বন্যপ্রাণী এবং সামুদ্রিক পরিবেশ সংরক্ষণে অবদান রাখুন।

এই উদ্যোগটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস-প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, আমিরাতকে একটি নেতৃস্থানীয় টেকসই গন্তব্যে রূপান্তরিত করতে।  এটি একক-ব্যবহারের প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানোর ব্যাপক প্রচেষ্টার অংশ এবং শহরের বাসিন্দারা এবং দর্শনার্থীরা কীভাবে স্থায়িত্ব দেখেন তাতে মানসিকতার পরিবর্তনকে উৎসাহিত করা।

দুবাই ক্যানের উদ্দেশ্যগুলি দুবাই ২০৪০ আরবান মাস্টারপ্ল্যান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতকে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য এবং ইউএই নেটজিরো ২০৫০ লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতিকেও সমর্থন করছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের "স্থায়িত্বের বছর" ২০২৪ পর্যন্ত প্রসারিত হওয়ার সাথে সাথে, দুবাই ক্যান উদ্যোগটি শহরের আশেপাশের অবস্থানগুলিতে বছরের শেষ নাগাদ ৩০টি অতিরিক্ত জলের ফোয়ারা বসানোর সাথে সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করেছে।  এটি বাসিন্দাদের এবং দর্শনার্থীদেরকে আরও সহজ জীবনধারা পরিবর্তন করতে অনুপ্রাণিত করবে যেমন রিফিলযোগ্য জলের বোতল ব্যবহার করা এবং তাদের বাড়ি, অফিস এবং স্কুলে জলের ফিল্টার ইনস্টল করা।

দুবাই ইকোনমি অ্যান্ড ট্যুরিজম বিভাগের কর্পোরেট স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড পারফরম্যান্স সেক্টরের ভারপ্রাপ্ত সিইও ইউসুফ লুটাহ বলেছেন, "দুবাই ক্যান আন্দোলনকে বাসিন্দা এবং দর্শনার্থীরা একইভাবে গ্রহণ করেছে এবং দুই বছরের পর থেকে এটি যে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে তাতে আমরা গর্বিত।  দুবাইকে একটি নেতৃস্থানীয় টেকসই গন্তব্যে পরিণত করার জন্য মহামান্য শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদের দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। আমরা শহর জুড়ে দুবাই ক্যানের সাথে ধারাবাহিক সম্পৃক্ততা দেখেছি এবং এই উদ্যোগটি গত দুই বছরে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

প্লাস্টিক বর্জ্য কমানোর মাধ্যমে, আমরা আমাদের মহাসাগর, বন্যপ্রাণী এবং প্রাকৃতিক ল্যান্ডস্কেপগুলিকে রক্ষা করছি এবং আমাদের পাবলিক ওয়াটার স্টেশনগুলির মতো পুনর্ব্যবহারযোগ্য বিকল্পগুলি বেছে নিয়ে, আমরা একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার প্রচার করছি এবং আমাদের কার্বন পদচিহ্ন হ্রাস করছি৷ আমরা নিশ্চিত করব যে দুবাই উৎসাহিত করতে পারে৷  দুবাই ইকোনমিক এজেন্ডা,ডি ৩৩ এর লক্ষ্যগুলির সাথে সঙ্গতি রেখে বাসিন্দা এবং দর্শনার্থীরা সবুজ চর্চা এবং জীবনধারা পছন্দ গ্রহণ করতে, যার লক্ষ্য আগামী দশকে ব্যবসা এবং অবকাশ যাপনের জন্য শীর্ষ তিনটি বিশ্বব্যাপী শহরের মধ্যে দুবাইয়ের অবস্থানকে সুসংহত করা।

যেহেতু আমরা দুবাইয়ের টেকসইতার লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছি, আমরা দুবাই ক্যানের ক্রমাগত সাফল্যের জন্য উন্মুখ, বিশেষ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের 'সাসটেইনেবিলিটি ইয়ার'-এ, যা ২০২৪ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে এবং টেকসই অনুশীলনগুলি গ্রহণ করার জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টায় যোগদানের জন্য সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।  দুবাই ক্যান পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য প্রয়োজনীয় আচরণগত পরিবর্তনগুলিকে চালিত করেছে এবং এই উদ্যোগের সাফল্য আমাদের মূল্যবান শহরের স্টেকহোল্ডার এবং অংশীদারদের সমর্থন এবং সেইসাথে জনসাধারণের কাছ থেকে অপ্রতিরোধ্য প্রতিক্রিয়া ছাড়া সম্ভব ছিল না,তিনি যোগ করেছেন।

দুবাই অনেক প্রাইভেট কোম্পানিকে তাদের অফিসে পানির ফোয়ারা বসাতে অনুপ্রাণিত করেছে, কর্মক্ষেত্রে একক-ব্যবহারের প্লাস্টিক কমিয়েছে।  সর্বোপরি, আন্দোলনটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাসিন্দাদের এবং দর্শকদের আরও টেকসই আচরণ গ্রহণ করতে এবং বিবেকবান গ্রাহক হতে উৎসাহিত করেছে।


আরও খবর



সরকারি-বেসরকারি সব শিক্ষার্থীকে বিমার আওতায় আনতে চায় আইডিআরএ

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১০০জন দেখেছেন

Image

সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থীকে বিমার আওতায় আনতে চায় বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। এ লক্ষ্যে চালু করা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষাবিমা’ প্রকল্প।

এই বিমা প্রকল্পের আওতায় প্রতি জেলার সব সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থীকে নিয়ে আসতে জেলা প্রশাসকদের চিঠি দিয়েছে আইডিআরএ।

গতকাল মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের এই চিঠি পাঠানো হয়েছে। ৪ মার্চ আইডিআরএ চেয়ারম্যান চিঠিতে সই করেন। এতে বলা হয়েছে, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষাবিমা’ পরিকল্প প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেন ২০২১ সালের ১ মার্চ। আইডিআরএর তত্ত্বাবধানে বঙ্গবন্ধু শিক্ষাবিমা পরিকল্প জীবনবিমা করপোরেশনের মাধ্যমে প্রথমে দুই বছরের জন্য সীমিত পরিসরে পাইলটিং করা হয়।

২০২৩ সালে এটি সব জীবনবিমা কোম্পানির মাধ্যমে বাজারজাতকরণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। ফলে গত বছরে বেসরকারি কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে প্রায় ৭৮ হাজার শিক্ষার্থী এ বিমা পরিকল্পের আওতায় এসেছে। চলতি বছরের শুরুতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত সব স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের এ বিমার আওতায় আনা হয়েছে, যার সংখ্যা প্রায় ২ লাখ। বঙ্গবন্ধু শিক্ষাবিমা পরিকল্পটির উদ্দেশ্য দেশের শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধ। এ বিমার আওতায় ৩ থেকে ১৭ বছরের কোনো শিক্ষার্থীর পিতা-মাতা বা আইনগত অভিভাবক এই বিমাসুবিধার আওতায় আসতে পারেন।

বছরে মাত্র ৮৫ টাকা প্রিমিয়াম পরিশোধের মাধ্যমে এ বিমার আওতায় আসার পর কোনো শিক্ষার্থীর অভিভাবকের শারীরিক অক্ষমতা বা মৃত্যুতে শিক্ষার্থীর বয়স ১৭ বছর হওয়া পর্যন্ত মাসিক ৫০০ টাকা হারে বৃত্তি পাবে, যা শিক্ষার্থীর পড়াশোনা চলমান রাখার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। বার্ষিক প্রিমিয়াম আনুপাতিক হারে বৃদ্ধি করে বর্ধিত বিমাসুবিধা (মাসিক বৃত্তি) পাওয়া যাবে।

জেলা প্রশাসন বা তার অধীনস্থ কার্যালয় জেলা/উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনায় সম্পৃক্ত থাকেন। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয়ে থাকে; যেমন কালেক্টরেট স্কুল, বিয়াম স্কুল ইত্যাদি। জেলা প্রশাসকরা উদ্যোগ নিয়ে জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীদের এ শিক্ষাবিমার আওতায় আনতে পারেন। এর ফলে ঝরে পড়ার হার রোধসহ সার্বিকভাবে শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নতি হবে।

এ অবস্থায় ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষাবিমা’ পরিকল্পের কার্যক্রম সফল করার লক্ষ্যে জেলার সব সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং কারিগরি ও মাদ্রাসার সব শিক্ষার্থীকে এই পরিকল্পের আওতাভুক্ত করার উদ্যোগ নিতে চিঠিতে জেলা প্রশাসকদের অনুরোধ করা হয়।


আরও খবর