Logo
আজঃ মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩
শিরোনাম

বাসভাড়া কমবে কিনা জানা যাবে বিকালে

প্রকাশিত:বুধবার ৩১ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | ২৩৪জন দেখেছেন

Image

ডিজেলের দাম কমানোর পরিপ্রেক্ষিতে ডিজেলচালিত বাস ও মিনিবাসের ভাড়া পুনর্নির্ধারণ সংক্রান্ত বৈঠক ডেকেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।

বুধবার বিকাল ৫টায় বনানীতে বিআরটিএর প্রধান কার্যালয়ে এ বৈঠক হবে। সোমবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর ঘোষণা দেয় বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।

নতুন দাম অনুযায়ী, ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি লিটার ডিজেল ১১৪ টাকা থেকে কমে ১০৯ টাকায় বিক্রি হবে। আর প্রতি লিটার কেরোসিন ১১৪ টাকা থেকে কমে বিক্রি হবে ১০৯ টাকায়, অকটেন ১৩৫ টাকা থেকে কমে ১৩০ টাকা এবং পেট্রল ১৩০ টাকা থেকে কমে ১২৫ টাকায় বিক্রি হবে। এ দাম কার্যকর হচ্ছে রাত ১২টার পর থেকে।

এর আগে গত ৬ আগস্ট জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে মহানগরে প্রতি কিলোমিটারে বাস ও মিনিবাসে ভাড়া ৩৫ পয়সা বাড়ায় বিআরটিএ। আর দূরপাল্লায় বাসভাড়া বাড়ায় ৪০ পয়সা।

বাড়ানোর আগে ভাড়া ছিল মহানগর পর্যায়ে কিলোমিটারে বাসে ২ টাকা ১৫ পয়সা, মিনিবাসে ২ টাকা ১০ পয়সা। দূরপাল্লার বাসে ভাড়া কিলোমিটারপ্রতি ১ টাকা ৮০ পয়সা ছিল। সর্বনিম্ন ভাড়া বাসে ১০ টাকা, মিনিবাসে ৮ টাকা।

জ্বালানি তেলের দাম কমায় ভাড়া সমন্বয়ের দাবি করেছেন যাত্রী সাধারণ। সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে বিকালে। 


আরও খবর



আবারও দুইশ’র নিচেই শেষ বাংলাদেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | ৪৯জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক : মাঠের ক্রিকেট ছাপিয়ে মাঠের বাইরের ইস্যুই যেন এখন বাংলাদেশ ক্রিকেটে আলোচনার বড় বিষয়। বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণার ঠিক আগমুহূর্তে সাকিব আল হাসান এবং তামিম ইকবালের দ্বন্দ্ব ইস্যুটাই বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে দলের জন্য। এমন টালমাটাল সময়ে বাংলাদেশ যে ভাল নেই তারই প্রমাণ পাওয়া গেল মিরপুরের মাঠে। নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে সিরিজের শেষ ম্যাচে আরও একবার ভয়াবহ ব্যাটিং ব্যর্থতা দেখতে হলো টাইগার ভক্তদের। টানা ব্যর্থতার দিনে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে ১৭১ রানেই। 

ব্যাট হাতে এদিন বাংলাদেশের ইনিংসের শুরুটা করেছিলেন দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম এবং জাকির হাসান। তবে অভিষেক সুখকর হয়নি জাকিরের। ১ রান করেই বোল্ড আউট হয়ে ফিরতে হয়েছে সাজঘরে। তানজিদ তামিমও টেকেননি। ৫ রান করে বিদায় নেন তিনি। 

তাওহীদ হৃদয়ের শুরুটা ছিল দারুণ। কিন্তু তিন চারের পর তিনিও পারেননি ইনিংস বড় করতে। তবে ব্যক্তিগত ১৮ এবং দলীয় ৩৫ রানের মাথায় ফিরে যান তিনিও। এরপর মুশফিকুর রহিম এবং নাজমুল শান্তর ইনিংস যোগ করেছে ৫৩ রান। দুজন মিলে যখনই কিছুটা আশা দেখিয়েছেন, তখনই দুর্ভাগ্যজনকভাবে আউট হয়ে যান মুশফিক। অ্যাডাম মিলনের তৃতীয় শিকার ছিলেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। মুশফিকের পর কিছুটা সময় সঙ্গ দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ২১ রানের ছোট্ট ইনিংস খেলার পথে পূরণ করেছেন ব্যক্তিগত মাইলফলকও। তবে সেট হয়েও খুব বেশি কিছু করা হয়নি তার। শান্তকে ক্রিজে রেখে ফিরেছেন তিনিও। 

এরপর শেখ মেহেদি, নাসুম আহমেদদের কেউই যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি অধিনায়ক শান্তকে। ৭৬ রান করা শান্তই ছিলেন বাংলাদেশের আজকের সর্বোচ্চ স্কোরার। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেমেছে ১৭১ রানে। 


আরও খবর

তামিমকে নিয়ে যা বললেন মাশরাফি

রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩




নেইমারের জোড়া গোলে বলিভিয়াকে উড়িয়ে ব্রাজিলের বড় জয়

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | ৫১জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক : ঘরের মাঠে প্রায় অর্ধলক্ষ দর্শক যেন এই মুহূর্তের সাক্ষী হতেই এসেছিলেন। ব্রাজিলের মত ফুটবল ঐতিহ্যের দেশে নতুন এক রেকর্ড হবে। সর্বকালের সেরার তকমা পাওয়া পেলেকে ছাড়িয়ে যাবেন এই প্রজন্মের একজন তারকা। নেইমার জুনিয়রের এমন কীর্তির অপেক্ষায় অবশ্য ছিল পুরো ফুটবল দুনিয়া।

নেইমার অবশ্য নিরাশ করেননি। ঘড়িতে ম্যাচের বয়স যখন ঠিক এক ঘন্টা, তখনই দারুণ সংঘবদ্ধ এক আক্রমণ থেকে স্কোরশিটে নিজের নাম তোলেন এই সুপারস্টার। বলিভিয়ার বিপক্ষে এই গোলের মাধ্যমে কিংবদন্তি পেলেকে টপকে ব্রাজিলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা হলেন নেইমার। পরে আরও একবার বল জালে জড়িয়েছেন। তাতে ব্রাজিল পেয়েছে ৫-১ গোলের বিশাল এক জয়।  

ঘরের মাঠে ম্যাচের ১৭ মিনিটেই গোল করার সুবর্ণ সুযোগ এসেছিল নেইমারের সামনে। পেনাল্টি নিতে বরাবরই দক্ষ তিনি। কিন্তু কি বুঝে যেন আজই নিলেন দুর্বল এক শট। তাতে গোল আর রেকর্ড দুটো থেকেই বঞ্চিত হলেন এই সুপারস্টার। 

ব্রাজিলকে অবশ্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। ২৪ মিনিটেই দেখা মিললো প্রথম গোলের। জটলার ভেতর দূরহ কোণ থেকে পা ছুঁইয়ে বল জালে জড়ান রদ্রিগো। এরপর গোল না এলেও দাপট দেখিয়েছে ব্রাজিল। প্রথমার্ধের অন্তিম সময়ে ডিবক্সের বাইরে থেকে চার ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে একাই গোলমুখে এগিয়ে গিয়েছিলেন নেইমার। শটও নিয়েছিলেন ঠিকঠাক। তবে সেটা আটকে যায় বলিভিয়ার গোলরক্ষকের হাতে। 

মাঝে ব্রাজিল অবশ্য উপহার দিয়েছে আরও দুই গোল। ৪৭ মিনিটে নেইমারের অ্যাসিস্টেই গোল করেন রাফিনহা। আর নিজের করা রদ্রিগো পূরণ করেছেন ৫৩ মিনিটে। পুচকে বলিভিয়ার সঙ্গে দারুণ ফুটবল খেলেই বড় জয়ের পথে ছিল পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। 

তবে আগ্রহের কেন্দ্রে যেন ছিলেন নেইমার। তবে ৬১ মিনিটে আর সুযোগ হাতছাড়া হলো না। ডিবক্সের ভেতর অনেকটা জটলার মধ্যেই রদ্রিগোর পা ঘুরে বল আসে তার সামনে। ফার্স্ট টাইম শটে গোল করে রেকর্ডবুকে নিজের নাম লেখালেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা। বামপ্রান্ত থেকে আক্রমণের সূত্র ধরে বল আসে বলিভিয়া ডিবক্সে। রাফিনহার ব্যাকপাস থেকে রদ্রিগোই শট নিতে চেয়েছেন, তবে শেষ মুহূর্তে বল ঠেলে দেন নেইমারের কাছে। দারুণ শটে দলের চতুর্থ এবং নিজের রেকর্ডগড়া গোল করেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের এই পোস্টারবয়। 

ম্যাচের অন্তিম সময়ে রাফিনহার পাস থেকে আরও একবার গোলের খাতায় নাম লেখান নেইমার। তাতেই নিশ্চিত হয় ব্রাজিলের ৫-১ গোলের বিশাল জয়।


আরও খবর

তামিমকে নিয়ে যা বললেন মাশরাফি

রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩




হালকা ব্যায়ামে দূর হয় বাতের ব্যথা

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | ৬৯জন দেখেছেন

Image

স্বাস্থ্য টিপস : বয়স কম হলেও আজকাল অনেককেই পেয়ে বসে বাতের ব্যথা। অফিসে দীর্ঘ ক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকা, শরীরচর্চা না করা, শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি, ভিটামিন ডি-র অভাবের কারণে এই ব্যথা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। 

এ ছাড়া ওজন বাড়লে হাঁটু ও কোমরের ব্যথাও বাড়ছে। তাই জীবনযাপনে খানিক পরিবর্তন আনা জরুরি। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন জানাচ্ছে বাতের ব্যথায় সুস্থ থাকতে কয়েকটি ব্যায়াম নিয়ম করে করা জরুরি। কোন ব্যায়ামে কমবে বাতের ব্যথা?

• দাঁড়িয়ে হাত দু’টি সামনের দিকে তুলে রাখুন, চাইলে মুঠোও করতে পারেন। এ বার অল্প বসার চেষ্টা করুন। তবে পুরোপুরি নয়, অর্ধেক বসার ভঙ্গি পর্যন্ত রেখেই উঠে পড়ুন। এ ভাবে অন্তত ১০টি সেট করতে হবে। এই হাফ স্কোয়াট করতে সাধারণত ব্যথা হওয়া উচিত নয়। তবে কারও ব্যথা হলেও তা প্রাথমিক। নিয়মিত অভ্যাস করলে স্কোয়াট বা হাফ স্কোয়াটে ব্যথা হবে না। 

• টানটান হয়ে শুয়ে দু’হাতের তালু মেঝের ওপরে রাখুন। তারপর বাম পা আস্তে আস্তে ওপরে তুলুন। মাটি থেকে অন্তত ৪৫ ডিগ্রি কোণে পাঁচ সেকেন্ড তুলে রাখুন। তার পরে ধীরে ধীরে নামিয়ে নিন। একইভাবে ডান পা ওপরে ওঠান ও নামান। 

• মাটির দিকে মুখ করে শুয়ে হাত এবং পায়ের আঙুলের উপর ভর দিয়ে মাটি থেকে দেহ সমান্তরাল ভাবে তুলে ধরুন। কনুই ভাঁজ করে এক বার মাটির কাছাকাছি আবার কনুই সোজা করে মাটির থেকে দূরে নিয়ে যান। শুরুতে অসুবিধা হলে দেওয়ালের সোজাসুজি দাঁড়িয়েও করা যেতে পারে এই ব্যায়াম।


আরও খবর

খেলেই বদহজম? ডিসপেপসিয়া কি না সতর্ক হোন

বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩




মরক্কোতে ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রাণহানি ছাড়াল ২ হাজার

প্রকাশিত:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | ৬৫জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ছয় দশকের সবচেয়ে প্রাণঘাতী এক ভূমিকম্পে উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কোতে নিহতের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। স্মরণকালের ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে আহত হয়েছেন আরও একইসংখ্যক মানুষ। ধ্বংস হয়েছে অসংখ্য বাড়িঘর।

গত শুক্রবার গভীর রাতে মরক্কোর মধ্যাঞ্চলে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ওই শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

মরক্কোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ভূমিকম্পে আহত ২ হাজার মানুষের মধ্যে ১৪০০ জনেরও বেশি মানুষ গুরুতর আহত হয়েছেন। আর সবচেয়ে বেশি হতাহত হয়েছেন মারাক্কেশের দক্ষিণে অবস্থিত প্রদেশগুলোতে।

বিবিসি বলছে, ভয়াবহ এই ভূমিকম্প ও হতাহতের ঘটনায় রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ দেশটিতে তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন এবং বেঁচে যাওয়াদের আশ্রয়, খাবার ও অন্যান্য সাহায্য দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। অবশ্য ভূমিকম্পে বাড়িঘর হারিয়ে অনেকেই তাদের টানা দ্বিতীয় রাত খোলা জায়গায় কাটাচ্ছেন।

ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে আঘাত হানা ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মারাক্কেশ শহর থেকে ৭১ কিলোমিটার দূরে এটলাস পর্বতমালা এলাকার ১৮ দশমিক ৫ কিলোমিটার গভীরে। স্থানীয় সময় রাত ১১.১১ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানার পর লোকজন ঘরবাড়ি ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন।

এছাড়া ভূমিকম্পটির ১৯ মিনিট পর আবারও ৪ দশমিক ৯ মাত্রার ভূ- কম্পন অনুভূত হয়। দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় বেশ কিছু গ্রাম পুরোপুরি সমতল হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। এছাড়া রাজধানী রাবাতের পাশাপাশি কাসাব্লাঙ্কা, আগাদির এবং এসসাউইরাতেও কম্পন অনুভূত হয়।

মরক্কোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, দেশটির আল হাউজ প্রদেশে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে, আর এর পরে রয়েছে তারউদান্ত প্রদেশ। মারাক্কেশে মৃত্যুর সংখ্যা অনেক কম, যদিও ইউনেস্কো-সুরক্ষিত পুরোনো এই শহরটিও ভূমিকম্পে যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

পাহাড়ের গ্রামগুলোতে সাধারণ মাটির ইট, পাথর এবং কাঠের তৈরি বাড়িগুলো ভেঙে পড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ধ্বংসের মাত্রা মূল্যায়ন করতে কিছুটা সময় লাগবে। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত একটি গ্রাম থেকে বিবিসির রিপোর্টার নিক বেক বলছেন, আফটারশকের আশঙ্কায় অনেক লোক সেখানে রাতের (ঘুমানোর) জন্য ক্যাম্পিং করছে।

ক্ষতিগ্রস্তরা বলছেন, তাদের খাদ্য ও পানির তীব্র সংকট রয়েছে। কিন্তু এই ধরনের জায়গায় খাবার ও পানি পৌঁছানো কঠিন। মূলত পাহাড়ি রাস্তাগুলোতে পাথর এবং অন্যান্য ধ্বংসাবশেষ পড়ে থাকায় জরুরি পরিষেবার দলগুলোর জন্য সেখানে পৌঁছানো কঠিন।

মরক্কোর রাজপ্রাসাদ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আগামী তিন দিন দেশের সব সরকারি ভবনে পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। এছাড়া উদ্ধারকারী দলকে সহায়তা করার জন্য রাজা সশস্ত্র বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন এবং মরক্কোর নাগরিকরা ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করার জন্য রক্ত ​​দান করছেন।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলছে, ১৯৬০ সালের পর শুক্রবার এই ভূমিকম্প দেশটিতে সবচেয়ে প্রাণঘাতী। ওই বছর দেশটিতে শক্তিশালী এক ভূকম্পনে কমপক্ষে ১২ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে। তবে শুক্রবারের ভূমিকম্পটি মরক্কোতে গত এক শতাব্দীরও বেশি সময়ের মধ্যে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প ছিল।

জাতিসংঘ বলেছে, তারা মরক্কো সরকারকে উদ্ধার প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে প্রস্তুত। এছাড়া স্পেন, ফ্রান্স এবং ইসরায়েলসহ বেশ কয়েকটি দেশ থেকে একই ধরনের প্রতিশ্রুতি এসেছে।

এছাড়া প্রতিবেশী আলজেরিয়ার সঙ্গে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মরক্কোর বৈরী সম্পর্ক থাকলেও ভূমিকম্পের পর এখন মরক্কোতে মানবিক সহায়তাবাহী ফ্লাইটের জন্য দেশটি তার আকাশসীমা খুলে দিয়েছে।


আরও খবর



লিবিয়ায় সুনামি সদৃশ বন্যায় সাগরে ভেসে গেছেন হাজার হাজার মানুষ

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | ৫৭জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফ্রিকার দেশ লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে সোমবার আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েল। ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে পূর্বাঞ্চলে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়। আর এই বৃষ্টির পানির চাপে দারনা শহরের কাছে নদীর ওপর দেওয়া দুটি বাধ ধসে পড়ে। সেই বাঁধের পানির কারণেই সেখানে বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বাঁধের পানির কারণে সৃষ্ট বন্যা হাজার হাজার মানুষকে সমুদ্রের দিকে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। সেই বন্যাটিকে অনেকে সুনামির মতো আখ্যায়িত করেছেন।

বিবিসি আরও জানিয়েছে, বন্যার পানির তোড়ে অনেক এলাকাই নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। সমুদ্রের পানিতে যেসব মানুষ ভেসে গেছেন তাদের মরদেহ পানি থেকে উদ্ধার করতে হিমশিম খাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা।

বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দারনা শহরের অ্যাম্বুলেন্স সোসাইটি জানিয়েছে, শুধুমাত্র এ শহরটিতেই ২ হাজার ৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, এখনো ১০ হাজার মানুষ নিখোঁজ আছেন।

এদিকে ভয়াবহ এই বন্যার পানিতে ডুবে বা ভেসে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে লিবিয়ার স্বঘোষিত পূর্বাঞ্চলের সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে মৃত্যুর এ সংখ্যাটি নিশ্চিত করতে পারেনি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো।

লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিপর্যস্ত দারনা শহরে গিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, সেখানকার অবস্থা বেশ খারাপ।

ওই পুরো দারনা শহরই বন্যার পানিতে সমুদ্রে ভেসে গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

দারনার এক উদ্ধারকারী জানিয়েছেন, সেখানকার হাসপাতালগুলোতে এখন আর চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া মর্গগুলোও মৃতদেহে ভরে গেছে।

বিবিসি আরও জানিয়েছে, এই ভয়াবহ বিপদে যারা পড়েছেন তাদের যে উদ্ধার করা হবে সেই পরিস্থিতিও এখন লিবিয়ায় নেই। কারণ ২০১১ সালে সাবেক শাসক কর্নেল মোহাম্মদ গাদ্দাফিকে হত্যার পর রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মুখে পড়ে দেশটি। আর তখন থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত দেশটিতে শুধুমাত্র যুদ্ধই চলেছে। ফলে কোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দিলে— বিপর্যয় পরবর্তী বিষয়াবলী যে সামাল দেওয়া হবে এমন কোনো বাহিনী বা অবকাঠামোই তৈরি করা সম্ভব হয়নি।

এছাড়া গাদ্দাফির পতনের পর গৃহযুদ্ধের কবলে পড়ে যায় লিবিয়া। এর ফলে বর্তমানে দেশটি দুইভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। এখন পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল আলাদা আলাদাভাবে শাসিত হয়ে আসছে। আর বিভক্তির কারণে কেন্দ্রীয় ও সমন্বিত কোনো উদ্ধার অভিযানও সম্ভব হচ্ছে না।

সুনামি সদৃশ বন্যা সম্পর্কে পূর্বাঞ্চলের সরকারের এক মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছেন, ‘আমি যা দেখেছি তা দেখে মারাত্মকভাবে চমকে গিয়েছি। এটি সুনামির মতো ছিল।’

তিনি বিবিসিকে বলেছেন, দারনার দক্ষিণাঞ্চলে একটি বাঁধ ধসে পড়ার পর পুরো শহরটিকে বাধের পানি সমুদ্রে নিয়ে চলে যায়।

এই ভয়াবহ সুনামির মতো বন্যা থেকে বাঁচতে অনেকে উঁচু বাড়ির আশ্রয় নেন। কিন্তু যাদের কপাল ভালো ছিল না, তারা ভেসে চলে যান সমুদ্রে। আর সেখানেই তাদের সলিল সমাধি ঘটে।


আরও খবর